নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন ব্লগার হিসাবে সামুর সাথে ২০১৩ সাল থেকে আছি কিন্তু ২০১৪ সালের শেষের দিক থেকে আমার লেখা প্রথম পাতায় যায় না (২০১৫ এর মাঝে ১ মাস বাদে)। আমি কিন্তু আবার একজন সেইফ ব্লগার!!!

রেজওয়ান26

প্রত্যেক মানুষকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হবে । সেটা যে কোন সময়ই হতে পারে ।

রেজওয়ান26 › বিস্তারিত পোস্টঃ

“জিয়া বিশ্ব নেতা” – জিমি কার্টার

৩০ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৮

কেবল মুখে মুখে ‘বড় নেতা‘ দাবি করা সহজ, যদি অনুগত স্তাবকরা থাকে। তবে যারা সত্যিকারের কাজের মানুষ, তারা কাজ করে দেখায়। আমাদের রসুলুল্লাহ (সঃ) শিশুটিকে মিষ্টি খেতে বারণ করার আগে নিজে মিষ্টি খাওয়া ছেড়েছিলেন।মেজর জিয়া থেকে রাষ্ট্রপতি জিয়া। এই সময়ে তিনি নিজে একটি পরাধীন দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে সশস্ত্র যুদ্ধের নেতৃত্ব দিলেন। তার ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশ স্বাধীন করে। আর ‘বড় নেতা’র পরামর্শমত তার দলের নেতারা ঐ সময়ে পালিয়ে জীবন রক্ষা করে। ইনার কথামত দেশের মানুষ চললে আজও এদেশ থাকত- পাকিস্তান। দেশ স্বাধীন হবার পরেও সেই নেতা এলেন নতুন বানানো পাকিস্তানী পাসপোর্ট নিয়ে; হয়ে গেলেন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট, তারপর প্রধানমন্ত্রী!! নিজের ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে পচাত্তরে করলেন সাংবিধানিক ক্যু–’বাকশাল’। আর এ শাসনতান্ত্রিক ক্যু’য়ের অবশ্যম্ভাবী প্রতিক্রিয়ায় আসে আগষ্ট-নভেম্বরের বিপ্লব। দেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হলো ।



সদ্য স্বাধীন দেশের চরম দুঃসময়ে আবার ডাক পড়ে- জিয়ার। এবারে দেশ গঠনের। তিন বছর আগে সেই ’বড় নেতা’ এ কাজে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছিলেন। কিন্তু দেশ গড়তে সকল দল ও মতের জ্ঞানী গুনীদের নিয়ে জিয়া এগিয়ে গেলেন। দুর্ভিক্ষপীড়িত ‘তলাবিহিন ঝুড়ি’র দেশকে তিনি ’সবুজ বিপ্লব’ দিয়ে দ্বিগুণ ফসল ফলিয়ে কি করে খাদ্যে স্বয়ম্ভর করলেন, সে গল্পটি প্রবীণদের স্মৃতিতে এখনও ভাস্মর। তবে এর একটি দলিল রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট অফিস হোয়াইট হাউজে। সেখানে লেখা রয়েছে “President Ziaur and I (President Carter) have been discussing, in the last few minutes, the possibility–he says the inevitability- that Bangladesh will in the near future be self-sufficient in food production–perhaps even able to export food to other countries”(The Carter Center). বাকী সব বাদ দিলেও কেবল এই একটি কাজের জন্য জিয়া “নোবেল শান্তি পদক” পাওনা হয়ে আছেন।



জিয়া কেবল দেশের খাদ্য ও শিল্প উৎপাদন বাড়িয়ে দুর্ভিক্ষ দূর করেননি, কৃষির সম্প্রসারণের জন্য নিজে হাতে স্বেচ্ছাশ্রমে খাল খনন করলেন। আইন শৃংখলার উন্নতি ঘটিয়ে দেশকে নিয়ন্ত্রনে আনলেন। সেনাবাহিনীতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে একে শক্তিশালী বাহিনীতে পরিনত করলেন। একদলীয় শাসন রদ করে বহুদলীয় গণতন্ত্র্র প্রবর্তন করলেন। ‘ইয়থ কমপ্লেক্সে’ মাধ্যমে যুবকদের জন্য ট্রেনিং ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলেন। বাংলাদেশীদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমবাজার উন্মুক্ত হলো। পরিবার পরিকল্পনা চালু করে দেশে জনসংখ্যা বিস্ফোরণ নিয়ন্ত্রণ করলেন। গণশিক্ষা প্রবর্তন করে সারাদেশে সাক্ষরতা বাড়ালেন। জাতিধর্ম নির্বেশেষে দেশের সকল মানুষের একক পরিচয় “বাংলাদেশী” নির্ধারণ করলেন। ফারাক্কা বাঁধের সমস্যাকে জাতিসংঘে তুলে ভারতকে বাধ্য করলেন বাংলাদেশের জন্য পানির গ্যারান্টি দিতে। দেশের সার্বিক উন্নয়নে জিয়া ঘোষণা করলেন ১৯ দফা কর্মসূচি এবং দারুনভাবে সফল হলেন। দেখা যায়, বাংলাদেশের হেন কোনো সেক্টর নেই, যেখানে জিয়ার হাত পড়েনি।



আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জিয়া বাংলাদেশকে অতি উচ্চ আসনে প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। তার আমলেই বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, সৌদি আরবসহ প্রভাবশালী বিশ্বের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছিল। নবীন দেশ বাংলাদেশ স্থান করে নেয় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটানোর পাশাপাশি বিশ্বনায়ক জিয়া সারা দুনিয়ায় ছুটে বেড়ান আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে। আজ আমেরিকা; তো কাল জার্মানী; পরশু প্যালেষ্টাইন; তার পরের দিন চীন। কি ইরাক-ইরান যুদ্ধ বন্ধে তৎপরতা; কি জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন; কি ওআইসি; কি ‘আল-কুদস কমিটি’; কোথায় নেই জিয়া? আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার হোয়াইট হাউজে সম্বর্ধনা দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়াকে। হোয়াইট হাউজের কাছে জিয়া নেমেছিলেন হেলিকপ্টারে করে। এটা সম্ভব হয়েছিলো- জিয়ার স্টেটসম্যানশীপ ব্যক্তিত্ব ও কর্মের জন্যই। বাংলাদেশের অন্য কোনো প্রেসিডেন্ট বা সরকার প্রধানের ভাগ্যে এ সম্মান জুটে নি। ১৯৮০ সালে মর্কিন প্রেসিডেন্ট কার্টার হোয়াইট হাউজ লনে শতাধিক বিদেশী সাংবাদিকের সামনে জিয়ার প্রশংসা করে বলেছিলেন, “শুধু মুসলিম দেশ ও সমাজের মধ্যেই নয়, প্রকৃতপক্ষে গোটা বিশ্বসমাজে তিনি ব্যক্তিগতভাবে যে নেতৃত্ব দিয়েছেন আমরা তার জন্যেও কৃতজ্ঞ। নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হিসাবে বাংলাদেশ সাম্প্রতিক দুর্যোগের মাসগুলোতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে” (রুহুল আমিন সম্পাদিত জিয়াউর রহমান স্মারক গ্রন্থ, পৃষ্ঠা ৯৯৩)।



আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে একটি সংগঠন তৈরীর জন্য জিয়া চিঠি দিলেন দক্ষিণ এশিয়ার রাষ্ট্রগুলোতে। পাঠালেন দূত। যার ফলশ্রুতিতে পরবর্তীতে জন্ম হলো–দক্ষিন এশীয় আঞ্চলিক সহযোতিা- SAARC. এক ভিশনারী রাষ্ট্রনায়ক ও বিশ্বনেতা জিয়াউর রহমানের কর্মের মূল্যায়ন এ দেশের কিছু অন্ধ দলবাজ করতে না পারলেও তাকে চিনেছিলেন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার, রোনাল্ড রেগ্যান, কূট ওয়াল্ড হেইম, হাবিব সাত্তি, মার্গারেট থেচার, ফিদেল ক্যাস্ট্রো, মার্শাল টিটো, ইয়াসির আরাফাত, শেখ জাবের আল সাবাহ, আহমেদ সেকুতুরে, সুহার্তো, সাদ্দাম হুসেন, শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান, মোরারজী দেশাই, ইন্দিরা গান্ধী, রিচার্ড জয়বর্ধনে, রাজা জিগমে সিংমে ওয়াংচুক, মামুন আবদুল গাইউম, রাজা বীরেন্দ্র, জিয়াউল হক, বাদশাহ হুসেনের মত বিশ্ব নেতৃবৃন্দ।



১৯৮১ সালে তাঁর অকাল শাদাদৎ না হলে আজ জিয়া হতেন মুসলিম বিশ্বের অবিংসবাদিত নেতা।





http://www.ghoshona26march.com/?p=293&single=5

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৮

পংবাড়ী বলেছেন: জিয়া ছাগল পালতেন না; ছাগলের মাংস খেতেন রুটি দিয়ে।

২| ৩০ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:০৭

াহো বলেছেন:
বই / ভিডিও প্রয়োজন নেই .বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক কে, প্রথম রাষ্ট্রপতি কে এসবই বলা আছে .
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র
মুজিবনগর, বাংলাদেশ ১০ এপ্রিল ১৯৭১(কার্যকর ১৯৭১ সনের ২৬শে মার্চ থেকে ১৯৭২ ডিসেম্বর ১৬ তারিখে যখন দেশের নতুন সংবিধান)

১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিব নগর থেকে স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র জারি করা হয় এবং এর মাধ্যমে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়। শপথ গ্রহণ করেন ১৭ এপ্রিল।
স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র ১৯৭১ সনের ২৬শে মার্চ থেকে কার্যকর । যতদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলেছে ততদিন মুজিবনগর সরকার পরিচালনার অন্তর্বর্তীকালীন সংবিধান হিসেবে এই ঘোষণাপত্র কার্যকর ছিল। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পরও এই ঘোষণাপত্র সংবিধান হিসেবে কার্যকর ছিল। ১৯৭২ সালের ডিসেম্বর ১৬ তারিখে যখন দেশের নতুন সংবিধান প্রণীত হয় তখন সংবিধান হিসেবে এর কার্যকারিতার সমাপ্তি ঘটে।

সেদিন মুজিবনগরে শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে গঠিত হয় বাংলাদেশের প্রথম সরকার। তবে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে করা হয় অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি।

এপ্রিল ১৭ তারিখে গণপরিষদের সদস্য এম ইউসুফ আলী আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন.

স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র

(১০ এপ্রিল, ১৯৭১)


যেহেতু ১৯৭০ সালের ০৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালের ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত একটি শাসনতন্ত্র রচনার অভিপ্রায়ে প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশে অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল

এবং

যেহেতু এই নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ তাদের ১৬৯ জন প্রতিনিধির মধ্যে ১৬৭ জনই আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত করেছিলেন

এবং

যেহেতু জেনারেল ইয়াহিয়া খান একটি শাসনতন্ত্র রচনার জন্য ১৯৭১ সালের ০৩ মার্চ জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অধিবেশন আহ্বান করেন

এবং

যেহেতু আহূত এ পরিষদ স্বেচ্ছাচার ও বেআইনিভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হয়

এবং

যেহেতু পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী তাদের প্রতিশ্রুতি পালনের পরিবর্তে বাংলাদেশের গণপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলাকালে একটি অন্যায় ও বিশ্বাসঘাতকতামূলক যুদ্ধ ঘোষণা করে

এবং

যেহেতু উল্লেখিত বিশ্বাসঘাতকতামূলক কাজের জন্যে উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার অর্জনের আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং বাংলাদেশের অখণ্ডতা ও মর্যাদা রক্ষার জন্যে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান

এবং

যেহেতু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী একটি বর্বর ও নৃশংস যুদ্ধ পরিচালনাকালে বাংলাদেশের অসামরিক ও নিরস্ত্র জনসাধারণের বিরুদ্ধে অগুনতি গণহত্যা ও নজিরবিহীন নির্যাতন চালিয়েছে এবং এখনো চালাচ্ছে

এবং

যেহেতু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী অন্যায় যুদ্ধ, গণহত্যা ও নানাবিধ নৃশংস অত্যাচার চালিয়ে বাংলাদেশের জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের একত্র হয়ে একটি শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করতে ও নিজেদের সরকার গঠন করতে সুযোগ করে দিয়েছে

এবং

যেহেতু বাংলাদেশের জনগণ তাদের বীরত্ব, সাহসিকতা ও বিপ্লবী কার্যক্রমের দ্বারা বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডের উপর তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে

সেহেতু

সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পক্ষে যে রায় দিয়েছে, সে মোতাবেক আমরা, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আমাদের সমবায়ে গণপরিষদ গঠন করে পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের জন্যে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা আমাদের পবিত্র কর্তব্য বিবেচনা করে আমরা বাংলাদেশকে সার্বভৌম গণপ্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি এবং এতদ্বারা পূর্বাহ্নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা অনুমোদন করছি

এবং

এতদ্বারা আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, শাসনতন্ত্র প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপ্রধান ও সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপ-রাষ্ট্রপ্রধান পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন

এবং

রাষ্ট্রপ্রধান প্রজাতন্ত্রের সশস্ত্র বাহিনীসমূহের সর্বাধিনায়ক হবেন,

রাষ্ট্রপ্রধানই ক্ষমা প্রদর্শনসহ সর্বপ্রকার প্রশাসনিক ও আইন প্রণয়নের ক্ষমতার অধিকারী হবেন,

তিনি একজন প্রধানমন্ত্রী ও প্রয়োজনবোধে মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্য নিয়োগ করতে পারবেন,

রাষ্ট্রপ্রধানের কর ধার্য ও অর্থব্যয়ের এবং গণপরিষদের অধিবেশন আহ্বান ও মুলতবির ক্ষমতা থাকবে এবং বাংলাদেশের জনগণের জন্যে আইনানুগ ও নিয়মতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য অন্যান্য সকল ক্ষমতারও তিনি অধিকারী হবেন।

বাংলাদেশের জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি, যে কোনো কারণে যদি রাষ্ট্রপ্রধান না থাকেন অথবা কাজে যোগদান করতে না পারেন অথবা তাঁর দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে যদি অক্ষম হন, তবে রাষ্ট্রপ্রধানকে প্রদত্ত সকল ক্ষমতা ও দায়িত্ব উপ-রাষ্ট্রপ্রধান পালন করবেন।

আমরা আরও ঘোষণা করছি যে, বিশ্বের একটি জাতি হিসেবে এবং জাতিসংঘের সনদ মোতাবেক আমাদের উপর যে দায়িত্ব ও কর্তব্য আরোপিত হয়েছে তা আমরা যথাযথভাবে পালন করব।

আমরা আরও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছি যে, আমাদের স্বাধীনতার এ ঘোষণা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে কার্যকরী বলে গণ্য হবে।

আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, আমাদের এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী করার জন্যে আমরা অধ্যাপক ইউসুফ আলীকে ক্ষমতা দিলাম এবং রাষ্ট্রপ্রধান ও উপ-রাষ্ট্রপ্রধানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করলাম।

৩১ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:৫০

রেজওয়ান26 বলেছেন: স্বাধীনতার ঘোষনা কে দিয়েছেন তা বাংলাদেশের মানুষ এখনও শুনতে পায়। এটা নিয়ে বিতর্কের অবকাশ নেই । আপনি যদি টিভি দর্শক হন তাহলে মনে হয় গতকাল ও তা শুনেছেন।

৩| ৩০ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:১১

াহো বলেছেন:
টাইম সাময়িকী
USA
///শেখ মুজিবুর রহমান : বন্দি থেকে বাদশা / ১৭ জানুয়ারি ১৯৭২ ///
///মুজিব।। স্থপতির মৃত্যু / ২৫ আগষ্ট ১৯৭৫////
1971-1975 পর্যন্ত আমাদের ইতিহাসের অনেক প্রশ্নের উত্তর

============================================================================================
শেখ মুজিব হত্যাকাণ্ডের ১০দিন পর 'Time' USA এ প্রকাশিত হয় এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন

p4)৭২এর জানুয়ারী'র প্রথম সপ্তাহে মুজিব ফিরে এলে দেশবাসী এক অনন্য সম্বর্ধনার মাধ্যমে তাকে বরন করে নেয় । ইতিহাসে এর আগে আর বোধ হয় কোন নেতা এতো বিশাল সম্বর্ধনায় সিক্ত হননি । সম্বর্ধনার সাথে সাথে মুজিব এমন এক রাষ্ট্রের দায়িত্ব পান, যে রাষ্ট্রের কেবল একটা কাঠামোই অবশিষ্ট ছিলো, এর বেশী আর কিছু নয় । পৃথিবীর সবচেয়ে দরিদ্র দেশগুলোর একটি,সবচেয়ে ঘনবসতিপুর্ন যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ ।
প্রশাসন বলে কিছু নেই, শিল্পকারখানা গুলো ধ্বংস হয়ে গেছে ,সমুদ্র ও বিমান বন্দর গুলো ব্যবহার অনুপযোগী, রেললাইন উপড়ে গেছে, দেশপ্রেমিক বুদ্ধিজীবি ও দক্ষ পেশাজীবিদের প্রায় সকলে নিহত ।
অর্থনীতির তলানী বলতে যা কিছু ছিল তাও '৭৩ এর খরা ও '৭৪ বন্যায় শেষ হয়ে যায় ।

তাঁর প্রশংসনীয় উদ্যোগঃ
স্বাধীনতার পরের তিনবছরে ৬০০০ হাজারের ও বেশী রাজনৈতিক হত্যাকান্ড ঘটে । সহিংসতা সারাদেশব্যাপি ছড়িয়ে পরার আশংকা তৈরী হলে মুজিব রাষ্ট্রীয় জরুরী অবস্থা ঘোষনা করেন । চরমবাম ও চরম ডানপন্থী সংগঠনগুলো নিষিদ্ধ করা হয়, পত্রিকাগুলোকে নিয়ে আসা হয় সরকারী নিয়ন্ত্রনে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয় ।
এ উদ্যোগগুলো বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে গৃহীত হলেও অনেকেই সমালোচনামুখর হয়ে উঠেন । সমালোচকদের উদ্দেশ্যে মুজিব তার স্বভাবসুলভ ভংগীতে বলেনঃ-'ভুলে যেওনা আমি মাত্র তিনবছর সময় পেয়েছি । এই সময়ের মধ্যে তোমরা কোনো দৈব পরিবর্তন আশা করতে পারোনা' ।
যদি ও শেষ সময়ে তিনি নিজেই হতাশ ও বিরক্ত হয়ে কোন দৈব পরিবর্তন ঘটানোর জন্য অধৈর্য্য হয়ে পড়েছিলেন ।

সন্দেহাতীতভাবেই মুজিবের উদ্দেশ্য ছিলো তার দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়ন ঘটানো । শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত মুজিব একটা 'সোনার বাংলা' গড়তে চেয়েছিলেন, যে 'সোনার বাংলা'র উপমা তিনি পেয়েছিলেন কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছ থেকে, ভালোবেসে মুজিব সেই 'সোনার বাংলা'র স্বপ্নকে তার দেশের জাতীয় সংগীত নির্বাচন করেছিলেন

মুজিব।। স্থপতির মৃত্যু Time Magizine USA আগষ্ট ২৫,১৯৭৫










============================================================================================


গত মার্চে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর বিশ্বব্যাংকের পরিদর্শকদের একটি বিশেষ টিম কিছু শহর প্রদক্ষিণ করে বলেছিলেন, ওগুলোকে দেখতে ভুতুড়ে নগরী মনে হয়। এরপর থেকে যুদ্ধ শেষ হওয়া পর্যন্ত এহেন ধ্বংসলীলার ক্ষান্তি নেই। ৬০ লাখ ঘরবাড়ি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ২৪ লাখ কৃষক পরিবারের কাছে জমি চাষের মতো গরু বা উপকরণও নেই। পরিবহনব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, পুল-কালভার্টের চিহ্নও নেই এবং অভ্যন্তরীণ নৌ-যোগাযোগেও অনেক বাধাবিঘ্ন। এক মাস আগে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণ পর্যন্ত দেশের ওপর নির্বিচার বলাৎকার চলেছে। যুদ্ধের শেষদিকে পাকিস্তানি মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো (কার্যত প্রতিটি ব্যবসা ক্ষেত্রই পাকিস্তানিদের দখলে ছিল) তাদের সব অর্থ-সম্পদ পশ্চিম পাকিস্তানে পাচার করে দেয়। যুদ্ধ শেষে চট্টগ্রামে পাকিস্তান বিমানের অ্যাকাউন্টে মাত্র ১১৭ রুপি জমা পাওয়া গিয়েছিল। পাকিস্তান সেনাবাহিনী ব্যাংক নোট ও কয়েনগুলো ধ্বংস করে দেয়। ফলে সাধারণ মানুষ নগদ ট াকার প্রকট সংকটে পড়ে। রাস্তা থেকে প্রাইভেটকারগুলো তুলে নেওয়া হয়, গাড়ির ডিলারদের কাছে থাকা গাড়িগুলো নিয়ে নেওয়া হয় এবং এগুলো নৌবন্দর বন্ধ হওয়ার আগমুহূর্তে পশ্চিম পাকিস্তানে পাচার করে দেওয়া হয়।

শেখ মুজিবুর রহমান : বন্দি থেকে বাদশা / ১৭ জানুয়ারি ১৯৭২
টাইম সাময়িকী
USA



========================================================================

২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষনার বিষয়ে ১৯৭১ সালের অনেক আন্তর্জাতিক নিউজ-মিডিয়া, আমেরিকান বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের নানা রিপোর্ট রয়েছে। যা রিপোর্ট করা হয়েছিল সেটা অবিকৃতভাবে দেয়া হলো
এখানে ।

লিস্টের কয়েকটি নাম উল্লেখ করা হল রিপোর্টিং ডেইটসহ:

১. আমেরিকান ডিফেন্স ইনটেলিজেন্স এজেন্সী (২৬শে মার্চ, ১৯৭১)

২. আমেরিকান ডিপার্টমেন্ট অব স্টেইট টেলিগ্রাম (৩১শে মার্চ, ১৯৭১)

৩. আমেরিকান সিনেট রিপোর্ট (জুলাই ২৭, ১৯৭১)

৪. নিউ ইয়র্ক টাইমস ,The Times UK(২৭শে মার্চ, ১৯৭১)

৫. ওয়াল স্ট্রীট জার্নাল (২৯শে মার্চ, ১৯৭১)

৬. টাইম, নিউজউইক (৫ই এপ্রিল, ১৯৭১)

৭. বাল্টিমোর সান (৪ই এপ্রিল, ১৯৭১)

৮. আমেরিকান ডিপার্টমেন্ট অব স্টেইট- রিসার্চ স্টাডি (ফেব্রুয়ারী ২,১৯৭২)
9-Times of India 27 March 1971


=========================================================================
তাজউদ্দীনের ভাষণ ও তার মেয়ের লেখায় গড়মিল

২৫শে মার্চ মাঝরাতে ইয়াহিয়া খান তার রক্তলোলুপ সাঁজোয়া বাহিনীকে বাংলাদেশের নিরস্থ মানুষের ওপর লেলিয়ে দিয়ে যে নরহত্যাযজ্ঞের শুরু করেন তা প্রতিরোধ করবার আহ্বান জানিয়ে আমাদের প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীনের যুদ্ধকালীন প্রথম ভাষণ
জিয়া সহ পাঁচ সেনা কর্মকর্তার নাম উল্লেখ তাদের যুদ্ধের জন্য
তাজউদ্দীনের ভাষণ link---http://www.samakal.net/2013/07/23/7512
Click This Link
তাজউদ্দীনের ভাষণ ও তার মেয়ের লেখায় গড়মিল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.