নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন ব্লগার হিসাবে সামুর সাথে ২০১৩ সাল থেকে আছি কিন্তু ২০১৪ সালের শেষের দিক থেকে আমার লেখা প্রথম পাতায় যায় না (২০১৫ এর মাঝে ১ মাস বাদে)। আমি কিন্তু আবার একজন সেইফ ব্লগার!!!

রেজওয়ান26

প্রত্যেক মানুষকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হবে । সেটা যে কোন সময়ই হতে পারে ।

রেজওয়ান26 › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসরাইলি সেনারা ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করেছে ১৩ বছর বয়সী একটি শিশুকে-একবার দু’বার নয়, ১৭ বার গুলি করা হয়েছে তাকে।

০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৫১



ইসরাইলী সন্ত্রাসীরা ক্ষমার অযোগ্য । নিরপরাধ ও নিস্পাপ মানুষকে ওরা যেরকম নৃশংসভাবে হত্যা করছে তাতে তাদেরকে কখনই ক্ষমা করা যায়না। আসুন এরকম একটি নৃশংস হত্যার কথা শুনি। ইসরাইলি সেনারা ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করেছে ১৩ বছর বয়সী একটি শিশুকে। একবার দু’বার নয়, ১৭ বার গুলি করা হয়েছে তাকে। তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে ইসরাইলি সেনারা নিজেদের মধ্যে কথা বলেছে। তাতে ফুটে উঠেছে কি নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে ওই শিশুকে। কি অপরাধ ছিল তার? ইসরাইলের নিরাপত্তা বেষ্টনির মধ্যে প্রবেশ করেছিল সে। সেই অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ খবরটি পুরনো হলেও নতুন করে মিডিয়ায় উঠে এসেছে। ২০০৪ সালের এ ঘটনা নতুন করে আলোচনায় ফিরেছে। কারণ, গাজায় যেভাবে শিশুদের হত্যা করছে ইসরাইল তাতে পুরনো সে কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে সবাইকে। তাইতো পুরনো সেই রিপোর্ট আবার মনে করিয়ে দিচ্ছে বৃটেনের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ান। এতে বলা হয়, গাজার ১৩ বছর বয়সী ওই শিশুকে যখন ইসরাইলি সেনা কর্মকর্তা গুলি করে হত্যা করে তখন আরেক সেনা তাকে সতর্ক করেছিল। বলেছিল, সে কোন অপরাধী নয় বলে মনে হচ্ছে। তাকে মারা ঠিক হবে না। জবাবে ঘাতক ইসরাইলি সেনা বলে, যদি সে তিন বছর বয়সীও হয় তাহলেও তাকে হত্যা করা হবে। ঘাতক ওই ইসরাইলি সেনা কর্মকর্তাকে শুধু ইংরেজি অক্ষর ‘ক্যাপ্টেন আর’ দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে। অস্ত্রের অপব্যবহারের অভিযোগে ওই ক্যাপ্টেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। তাতে বলা হয়, তিনি অফিসার হওয়ার মতো কোন কাজ করেন নি। তিনি ওইটুকু শিশুর ওপর ১০টি বুলেট ছুড়েছেন। শিশুটির নাম আমান আল-হামস। শিশুটি যখন রাফা শরণার্থী শিবিরের কাছে নিরাপত্তা এলাকা দিয়ে হাঁটাহাঁটি করছিল তখনই এ ঘটনা ঘটে। শিশুটিকে হত্যার ঘটনায় জড়িত সেনাদের মধ্যেকার কথোপকথনের একটি রেডিও টেপ প্রকাশ পেয়েছে ইসরাইলি একটি টেলিভিশনে। তাতে প্রকাশ পেয়েছে যে, কি নির্দয়ভাবে একটি নিরপরাধ শিশুকে হত্যা করা হয়েছে ঠাণ্ডা মাথায়। এ ঘটনায় জড়িত সেনা কর্মকর্তা বলেছে, ইমান নামের ওই মেয়েটি একটি সেনা চৌকির দিকে হেঁটে যাচ্ছিল। এ সময় তার কাছে ছিল একটি স্কুল ব্যাগ। ফলে সেনাদের মধ্যে সন্দেহ হয় যে, সে ওই ব্যাগে করে বোমা বহন করছে। কিন্তু তাদের মধ্যের কথোপকথন বলে দেয় যে, ওই শিশুটিকে একটি শিশু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তার কাছে বোমা আছে এমন কোন সংলাপ হয় নি তাদের মধ্যে। সে যে হুমকি ছিল এ বিষয়েও তারা কোন আলোচনা করে নি। সেনাদের থেকে কমপক্ষে ১০০ গজ দূরে থাকা অবস্থায় তাকে গুলি করা হয়। এ সব তথ্য ফুটে উঠেছে ওই সেনাদের সংলাপ থেকে। পক্ষান্তরে রেডিও সংলাপে দেখা যায়, সেনারা দ্রুততার সঙ্গে শিশুটিকে মাত্র ১০বছর বয়সী হিসেবে চিহ্নিত করে। সে ছিল মৃত্যুভয়েÑ একথাও আলোচনা করে সেনারা। আরও আলোচনা করে যে, ইমান হেঁটে যাচ্ছিল পূর্বদিকে। এটা সেনা চৌকির বিপরীত দিকে। সে শরণার্থী শিবিরে ফিরে যাচ্ছিল। ঠিক তখনই তাকে গুলি করা হয়। এ সময় ক্যাপ্টেন আর অস্বাভাবিক এক সিদ্ধান্ত নেন। তিনি সেনা চৌকি থেকে বেরিয়ে চলে যান শিশুটির দিকে। সেখানে গিয়ে নিশ্চিত হন শিশুটি মারা গেছে কিনা। যখন নিশ্চিত হন ১৩ বছর বয়সী ওই শিশুটি মারা গেছে তখন তিনি তার ম্যাগাজিনের সবগুলো গুলি প্রবেশ করিয়ে দিয়েছেন তার শরীরে। খালি ম্যাগাজিন নিয়ে ফিরে আসেন চৌকিতে। তাদের কথাবার্তার যে টেপ প্রকাশ পেয়েছে তাতে রয়েছে ত্রিমুখী কথোপকথন। এর একজন হলো সেনা চৌকির পর্যবেক্ষণ টাওয়ারের সেনা, সেনা বাহিনীর পর্যবেক্ষণ চৌকির নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও ক্যাপ্টেন আর। এই ক্যাপ্টেন আর ছিল এক কোম্পানির কমান্ডার। পর্যবেক্ষণ টাওয়ারের সেনা কর্মকর্তা তার সহকর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ইমানকে দেখার সঙ্গে সঙ্গে।



এরপর তাদের সংলাপ শুরু হয়ে যায়।



এখানে তা তুলে ধরা হলো:



পর্যবেক্ষণ টাওয়ার: এটা একটি ছোট্ট মেয়ে। সে আত্মরক্ষার জন্য পূর্বদিকে দৌড়াচ্ছে।



অপারেশন রুম: আমরা কি একটি মেয়ের কথা বলছি যার বয়স ১০ বছরের কম?



পর্যবেক্ষণ টাওয়ার: হ্যাঁ। মেয়েটি ১০ বছরের হতে পারে। তার মধ্যে মৃত্যুভয় দেখা দিয়েছে।



এর কয়েক মিনিট পরেই ইমানকে গুলি করা হয়। একটি সেনা চৌকি থেকে তার এক পায়ে গুলি করা হয়। তারপরের সংলাপ-



পর্যবেক্ষণ টাওয়ার: আমি মনে করি তাকে সরে যাওয়ার পথ করে দেয়া উচিত।



এ সময় মাটিতে আহত অবস্থায় পড়ে আছে ইমান। তার ক্ষত দিয়ে রক্ত ঝরছে। অসহায় একটি শিশু আর্তনাদ করছে। তখন কোম্পানি কমান্ডার এগিয়ে যায়। কথোপকথনে তিনি জড়িত হন।



ক্যাপ্টেন আর: আমি ও আরেকজন সেনা সদস্য ওই শিশুটির কাছে যাচ্ছি। নিশ্চিত হতে চাই যে, তাকে হত্যা করা হয়েছে। পরিস্থিতি সম্পর্কে আমি রিপোর্ট পেতে চাই। আমরা তাকে গুলি করে হত্যা করেছি। আমি তার মৃত্যু নিশ্চিত করেছি।



প্রত্যক্ষদর্শীরা বর্ণনা করেছেন কিভাবে ইমানের মাথায় দু’বার গুলি করা হয়েছে। তারপর সরে গেছে। আবার ফিরে গেছে। এরপর একটানা বুলেটে ঝাঁঝরা করেছে তার দেহ। রাফাহ হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলেছেন, ইমানের দেহে কমপক্ষে ১৭ বার গুলি করা হয়েছে। এরপর কোম্পানি কমান্ডার বর্ণনা করেন কেন হত্যা করা হয়েছে ইমানকে। তিনি বলেন, দিস ইজ কমান্ডার। মেয়েটি হোক না তিন বছরের তাকে হত্যা করে আমরা নিশ্চিত হয়েছি।



কার্টেসী:

http://www.somoyerkonthosor.com/news/103664

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৫৯

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

এরা কাপুরুষের দল, এরা বার বারই তা প্রমান করে X( X( X( X(

২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:২৭

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন:
খুব শিঘ্রই তারা তাদের কৃতকর্মের ফল ভোগ করবে ইন শা আল্লাহ।

৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:০১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


নিশ্চয় আল্লাহ তাদের সহায় হবেন।

৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:০৯

রাজিব বলেছেন: সত্যিই খুব হৃদয় বিদারক। ফিলিস্তনিদের মধ্যে ঐক্য না আসলে এমন ঘটনা ঘটতেই থাকবে এবং আরব দুনিয়া মনের আনন্দে চুপ করে থাকবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.