নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
'দেশটা ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আসলে, শেখ হাসিনার আমলে বেশি দুর্নীতি হয়' - এ বক্তব্য আমার নয়। এই বক্তব্য ৭০-৮০ দশকের রাজনৈতিক নেতার মুখ থেকে নিঃসৃত বাণী। ঐ নেতা বঙ্গবন্ধুকে নিজের পিতার মতো শ্রদ্ধা ও সম্মান করে। শেখ হাসিনাকে 'বুবু' বলে সম্বোধন করে। বড় রাগব বোয়ালের সাথেও দারুন সম্পর্ক। যখন ২০১৬ সনে ১৫ আগস্টে তিনি শোক সভায় বক্তব্য রাখেন, তিনি বঙ্গবন্ধুকে ১৭ বার পিতা বলে সম্বোধন করেন। চোখে অশ্রু টলমল করছিল। আমিও শিহরিত হয়েছিলাম।
যখন ঐ মানুষটি আঃ লীগ নিয়ে আশাহত হয়, তখন আর কিছু বুঝতে বািক থাকে না। সেই আমলের এই মানুষগুলো বর্তমান রাজনীতিতে বিরল। বর্তমান রাজনৈতিক নেতা পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, বন্যা–পরবর্তী সংস্কারকাজ নিয়ে লুটপাট হতে পারে, তবে হরিলুট হবে না। যদি এই হয় তাদের ধ্যানধারণা। তাহলে, হরিলুট হলে কোন পর্যায়ের চুরি হবে। তা চিন্তা পরিধির বাইরে। এই দেশে পুলিশ, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যবসায়ী,শিক্ষক, উকিল, বিচারপতি ইত্যাদি প্রতিটি পর্যায়ের ব্যক্তিগণ দুর্নীতির সাথে জড়িত।
বর্তমানে পুলিশ সেক্টরে অত্যাধিক পরিমাণে দুর্নীতির হার বেড়েছে। তার মূল কারণ, যারা পুলিশের চাকরিতে সুযোগ পাচ্ছে, তাদের ৮৫ শতাংশ লোক অনৈতিকভাবে ঢুকছে। ৫-১০-১৫-২০ লক্ষ টাকা দিয়ে চাকিরেতে প্রবেশ করলে, ২০ লাখকে ৪০ লাখে পরিণত করা অনৈতিক চিন্তাভাবনা এমনিতে আসে। কয়েকদিন পরপর সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে কোটি টাকা আত্মসাৎ করা গ্রহণযোগ্যতা পাবে না কেন?
মেডিকেলে পড়তে হলে, ১০ লাখ টাকা দিয়ে প্রশ্ন কিনে পরিক্ষা দিলে। সেই ছাত্র ১০ বছর পর সরকারি ডাক্তার হয়ে হাসপাতালের ঔষধ চুরি করবে। এটা স্বাভাবিক। ৭ বিভাগে চেম্বার বসিয়ে রোগীদের থেকে ভারি অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতিদিনের অভ্যাস হবে। দু-একটা হাসপাতালকে হোটেলের সম্মান দিয়ে ঘণ্টায় ৩০-৪০ হাজার টাকা ভাড়া নিবে। বিনা কারণে আইসিইউ, সিসিইউতে ভর্তি করে রাখবে। খারাপ কি!?
যখন একজন ব্যবসায়ী প্রতিনিয়ত ব্যবসার জন্য চাঁদা দিচ্ছে। তখন ঐ ব্যবসায়ী অন্য ক্রেতা বা ব্যবসায়ীর সাথে দুর্নীতি করবে না কেন!? চিনি, গুড়, চিড়া, মরিচ, চাল, আলু, পিয়াজ, টমেটো ব্যবসায়ী অন্য পঁচা মালের বস্তা দিয়ে স্বস্তি পায়। তেমনই, হাতিরঝিলে হাতি নেই, কলাবাগানে কলা নেই ঠিক তেমনি আমের জুসে আম নেই। প্রাণের ফ্রুটিক্স, আকিজের আফি, হাশেম ফুডের সেজান ও এএসটি লিমিটেডের ম্যাংগো কিং জুসে আম নেই। সাধারণত জুসে কমপক্ষে শতকরা ১০ ভাগ পাল্প বা সংশ্লিষ্ট ফলের রস থাকা বাধ্যতামূলক। সেখানে ১০ শতাংশের অর্ধেক ফলের রস দেওয়া। এগুলো কি দুর্নীতি নয়।
একজন শিক্ষক তার যোগ্যতা ছাড়া স্কুল, কলেজ ও ভার্সিটির শিক্ষকতার সুযোগ পায় টাকার মাধ্যম ও নেতার চামচ হয়ে। ঐ শিক্ষক তার ছাত্রদের কতটুকু শিক্ষা দিতে পারবে। সেই সময় তিনি শুন্য মাঠে সুযোগ নিয়ে প্রশ্ন ফাঁস, ব্যবহারিক নম্বর ইত্যাদির জন্য মোট অংকে টাকা গ্রহণ করবে। সে সব শিক্ষকেরা প্রশ্নকে ধর্ষণ করাবে তারপর বাণী দিবে, এসব কুচক্রী মহল থেকে দেশকে ধ্বংসের দিকে টেনে নিতে বিশৃঙ্খল কথা ছড়িয়ে দিচ্ছে।
একজন ইঞ্জিনিয়ার হতে ছোট থেকে অনেক কাঠ-খড় ছাই করতে হয়। যখন সরকারিভাবে চাকরিতে প্রবেশ করে টাকার মাধ্যম দিয়ে। নেতার দুয়ারে পড়ে থাকতে হয়। তখন তেলবাজি করে পাওয়া সুযোগে রডের বদলে বাঁশ, সিমেন্টের বদলে অধিক পরিমাণ বালু, ৩" ইঞ্চি পিচের পরিবর্তে ১ ইঞ্চি ইট দিয়ে দিলে ক্ষতি কি!
এগুলো মাত্র অল্প কয়েকটি দুর্নীতির স্তর। বাকি আরো অনেক। যা বলা শুরু করলে, উপন্যাস তৈরি হবে। আর আমি সেই উপনাস্যের লেখক হয়ে নোবেল পুরস্কার জিতবো, এটা আপনারাও তারা চাইবে না। তাই উকিল ও বিচারপতিদের বাঁচিয়ে দিলাম। এখানে আমি স্বার্থপরতার সুযোগ নিযেছি। কারণ, জেল-জরিমানা হলেও তারা কন্সিডার করে কিছুটা টাকা-পয়সা কম নিবে। আসলে, 'সুযোগ কখনো পাওয়া যায় না, সুযোগ করে নিতে হয়'। আমার মতো সুযোগ তারাও নিয়ে সুযোগে কোটিপতি হয়েছে। কিন্তু, আমি গরীব লোক তাদের টাকার গরমে গ্রীষ্মকালীন রোদে ভ্যাপসা গরম অনুভব করি।
অনেক কথার অাড়ালে আমাদের নীতিবাদী নেতাদের কৃতকর্মের কথা চাপা পড়েছে। তারা আমাদের সকল দুর্নীতির উৎস, একথা মানতে হবে। বস! তাদের কৃতকর্মে আমরা উন্নয়নের জোয়ার-ভাটায় মাঝি ছাড়া নৌকারোহীর মতো দিশাহারা। দোদুল্যমান পরিবেশে তাল মিলিয়ে চলেও দিনশেষে তাদের কারণে শান্তির নীড় হারানোর ভয়ে চুপসে থাকি। এবার চুপসে থাকা নয়, এবার গর্জনের সময়।
১৪ ই জুন, ২০১৮ রাত ২:১৬
Mohsin Munshi বলেছেন: যথার্থ বলছেন।
২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৪০
আবু তালেব শেখ বলেছেন: ঘুষ। এই জিনিস টা উঠে গেলে সব কিছুই পাল্ট যেত। কিন্তু সেটা সম্ভব নয়
ধন্যবাদআমার ব্লগ
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৩৫
Mohsin Munshi বলেছেন: বড় সাহেব ঘুষের নেশা কন্ট্রোল করতে না পারলে। ঘুষ উঠানো অসম্ভব।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক কথার অাড়ালে আমাদের নীতিবাদী নেতাদের কৃতকর্মের কথা চাপা পড়েছে। তারা আমাদের সকল দুর্নীতির উৎস, একথা মানতে হবে। বস! তাদের কৃতকর্মে আমরা উন্নয়নের জোয়ার-ভাটায় মাঝি ছাড়া নৌকারোহীর মতো দিশাহারা। দোদুল্যমান পরিবেশে তাল মিলিয়ে চলেও দিনশেষে তাদের কারণে শান্তির নীড় হারানোর ভয়ে চুপসে থাকি। এবার চুপসে থাকা নয়, এবার গর্জনের সময়।
+++++