নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বনমুরগী পোষ মানে না.......
ভাষা আন্দোলনকারী আমাদের পূর্বসুরী নারী-পুরুষের প্রতি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা ও লাল সালাম।ওনাদের কারণেই অন্ততপক্ষে ফেব্রুয়ারি মাসটাতে বাংলা ভাষার কদর থাকে। ক্রমাগত কোনঠাসা হতে থাকা বাংলার জন্য এ বড় কম কথা না।
আজকাল শিশু জন্ম থেকেই ডোরেমন দেখে। হিন্দি শেখে বাংলার আগে,তার আদি ভাষা বা "ফার্স্ট ল্যাঙ্গুয়েজ" যদি ফরমে বাংলা লিখে পূরণ করে তাহলে তা রীতিমত মিথ্যাভাষণের দায়ে দোষনীয় হবার কথা।এই দেশের ভবিষ্যতেরা সারাবছরই বাড়িতে হিন্দি শিক্ষা আর বাড়ির বাইরে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোতে ইংরেজী শিক্ষায় ব্যস্ত থাকে। বাংলা শেখার মত ফালতু অবসর সময় ওদের কোথায়?এই এক ফেব্রুয়ারি মাসে মা-বাবারা "মেরী হ্যাড এ লিটিল ল্যাম্ব" বা "টুইঙ্কল টুইঙ্কল লিটল স্টারের" সাথে সাথে" মোদের গরব মোদের আশা আ মরি বাংলা ভাষা " শেখাতে তৎপর হয়ে ওঠেন।একুশে ফেব্রুয়ারির প্রোগামে সবাইকে তার ছোট্ সন্তানের প্রতিভায় তাক লাগিয়ে দিতে হবে না! নিজেকে সংস্কৃতিমনা অভিভাবক হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করা যায় তাতে।
অফিসে যাওয়া আসার পথচলায় অসহ্য যানজটে বসে বসে রেডিওতে গান শুনি। বেশির ভাগ রেডিও স্টেশনেই প্রতি দুতিনটা বাংলা গানের সাথে একটা করে ইংরেজী আর একটা করে হিন্দি গান ঢুকিয়ে দেয়। আরজে দের উচ্চারণ সম্পর্কে কিছু আর না বলাই ভালো। একবার হিসেব করে দেখলাম প্রতি দশটা শব্দে এরা আটটা ইংরেজী শব্দ উচ্চারণ করে।মাশাআল্লাহ, আশি শতাংশ!
আজ আবার রেডিও চালু করে তাজ্জব হয়ে গেলাম।কি সর্বনাশ,একটাও তো বিজাতীয় ভাষার গান নেই।মনে হচ্ছে বটে এটা এখন বাংলাদেশের রেডিও স্টেশন!
এই মাসটাতে দলে দলে মানুষ বইমেলায় একবার হলেও ঢু মারে। সত্যিকারের লেখক ছাড়াও কিছু
কিছু সিজনাল লেখক বের হয়। কেউ কেউ টাইট জিন্স চেন-স্যুট বুট ছেড়ে খাদির পাঞ্জাবি,কাঁধে ঝোলা নিয়ে ভাব ধরে অটোগ্রাফের আশায় চাতক পাখির মত বসে থাকে।
এই মাসটিতে প্রাণপণে বাঙালি সাজার প্রতিযোগীতা চলে।চিহ্নিত বিরোধীরা ভাষা শহীদের স্বরণে কর্মসূচীর ঘোষণা দেয়।
সবশেষে......
আমরা আমজনতা তামাশা দেখি।ফেব্রুয়ারির রঙ্গের শেষ নাই। জয়তু একুশে ফেব্রুয়ারি।
২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১০
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ধন্যবাদ আশরাফুল।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৩
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
ভাবার আছে অনেক কিছু