নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইচ্ছাঘুড়ির অবাধ আকাশ www.facebook.com/RezwanaAliTanima

রেজওয়ানা আলী তনিমা

বনমুরগী পোষ মানে না.......

রেজওয়ানা আলী তনিমা › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প -জব্দ

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৩

শাহবাগের অদম্য তারুন্যের জাগরনের ফাঁকে কিছু বিনোদন.......



সব জায়গাতেই যেমন থাকে তেমনি আমাদের ক্যাম্পাসেও কিছু ফাঁকিবাজ কিছু আঁতেল কিছু রংবাজ আর কিছু আছে মহা ধুরন্ধর বদমাশ। রনি,তমা,সামী আর জিতু এই শেষোক্ত গোত্রের।

এক মানুষ খুন করা ছাড়া আর বোধকরি কোন অপকর্ম করারই বাকি নেই এদের।তাই এবার শীতে যখন দেখলাম এরা একটা খালি বাক্স নিয়ে শীতার্তদের জন্য সাহায্য সঞ্চয়ে নেমে পড়েছে তখন আমরা মহা অবাক হয়ে গেলাম।



'অ্যাই আমাকে একটা চিমটি কাট তো রে',শাওনকে এই কথাটা না ববললেই ছিল ভালো।এখনও আমার হাতটা টনটন করছে।আর মুহিতের মুখ আক্ষরিক অর্থেই হা হয়ে গিয়েছিল দেখে তরু ধমকে দিলো,'মুখ বন্ধ কর গাধা।'এই-ই ছিলো আমাদের সর্ব ক্যাম্পাসীয় প্রতিক্রিয়া-সূয্যিমামা বুঝি আজ ভুল করে পশ্চিম দিকে উদিত হয়েছেন।



নিয়ম করে প্রতিদিন ওরা সকাল-সন্ধ্যা এই মহান কাজে নিয়োজিত থাকতো।বিশেষত ক্লাসে ঝিমাতে ঝিমাতে লেকচার শোনার কোন বালাই চার রত্নের কোনো কালেই ছিলো না,তাই ভারি সুবিধে। বলাবাহুল্য অন্তত আমাদের ক্যাম্পাসে বেড়ালের ভাগ্যে শিকে ছিঁড়বে না-কেননা ওদের পুরোনো রেকর্ড খুবই সন্দেহজনক, তাই ওরা বসতো বসুন্ধরা শপিং মলের সামনে।দেখতাম ওদের বাক্সটা প্রতিদিনই টাকায় টাকায় পূর্ণ হয়ে উঠছে।



তা নিজেদের কাজকাম নিয়ে চারমূর্তিই কোন চক্ষুলজ্জার অপবাদ ওদের ঘোরতর নিন্দুকও ওদেরকে দিতে পারবে না। শুনলাম জমা পড়া সাহায্যের টাকায় ওরা নেপাল ভ্রমনে যাচ্ছে।জিতু শয়তানটা নাকি এটাও বলে বেড়াচ্ছে যে এবারের রেকর্ড পরিমান শীতে অনেক মানুষ মারা পড়ায় পাবলিক সেন্টিমেন্টাল হয়ে বেশী সাহায্য করায় ওদের হেব্বী মুনাফা হচ্ছে।

'চিন্তা করা যায়!' মন্তব্য করলো মুসা।

'দাঁড়া,মজা দেখাচ্ছি',মুনা ওর দারুন ফন্দিটা বাতলালো।



শীত প্রায় যাই যাই করছে,টাকা তোলারও ভরং শেষ।তমা,রনি,জিতু আর সামী জিতুদের বাসায় বসে বসে শীতের পিঠা খাচ্ছিলো। এমন সময় বাড়ির বাইরে ক্রমবর্ধমান কোলাহল।ব্যাপার দেখতে বাইরে আসতেই ওদের চক্ষু চড়কগাছ। পুরো আশেপাশের সব বস্তির লোক জমা হয়েছে-'নি্র্ভরযোগ্য সূত্রে' এরা সন্ধান পেয়েছে যে আজ এখানে শীতের কাপড় বিতরন হবে। বিশাল জমায়েত-হইহুল্লোড় এর মাঝে সবাইকে লাইনে দাঁড় করাতে ব্যস্ত ভলান্টিয়ার হিসাবে কিছু পাতি মাস্তানকেও দেখা গেল।ব্যাপার দেখে প্রমাদ গুনলো সবাই।



বেচারারা বেগতিক দেখে সটকে পড়ার বহু চেষ্টা করেছিল,কিন্তু ব্যর্থ হয়।অতঃপর উত্তেজিত হয়ে ওঠা জনতাকে ঠান্ডা করতে শীতবস্ত্র খরিদকরন,আনয়ন ও বিতরন সুসম্পন্ন হয়।জনরোষ বড় ভয়াবহ জিনিস। নেপালভ্রমন কেমন হয়েছে ওদের ,-তা বলতে পারি না-এখনও ফেসবুকে কোন আপলোড পাইনি কিনা। দাগাটা ভালই কাজ দিয়েছে-মোক্ষম ফন্দি মুনার-'নির্ভরযোগ্য সূত্র"র পরিচয় প্রকাশ এক্ষেত্রে সম্পূর্নরূপে নিষ্প্রোয়জনীয়।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০৪

রাইসুল সাগর বলেছেন: শত বিনদনেও, কথা এবং দাবি একটাইঃ

আমি কাঁদতে আসিনি
এসেছি ফাঁসির দাবি নিয়ে।

রাজাকারের ফাঁসি চাই
বাংলার বুকে হাঁসি চাই।

সব রাজাকার নিপাত যাক
বাংলা এবার মুক্তি পাক । ।

বাংলা মা তোর ভয় নাই
রাজপথ ছাড়ি নাই।

আমাদের গর্বের ইতিহাস কাঁদতে পারে না । আমরা হতে দিব না। রাজাকারের ফাঁসি চাই।

২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:২৯

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: রাইসুল সাগর সমীপে-

আবার এসেছে ডাক দূর্নিবার-
অতীতের সব আবর্জনা ঝেটিয়ে সরাবার।

শহীদের পবিত্র শোণিতে রক্তশপথ,
লোলুপ হায়েনারা নিক্ষিপ্ত হবে আস্তাকুড়ে,
ঘৃণা-প্রতিবাদের অগ্নিশিখা
যেন তিলে তিলে ওদের দগ্ধ করে।

বিজয়-সূচক ভি চিহ্ন-
আমার বিজয়কে করে উপহাস
রন্ধ্রে রন্ধ্রে নাচে প্রলয়শিখা,
হবে-ই হবে দেশদ্রোহীর চিরবিনাশ।


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.