নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইচ্ছাঘুড়ির অবাধ আকাশ www.facebook.com/RezwanaAliTanima

রেজওয়ানা আলী তনিমা

বনমুরগী পোষ মানে না.......

রেজওয়ানা আলী তনিমা › বিস্তারিত পোস্টঃ

যাকাত ও আমরা

১১ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:১৪

সবকিছুর জন্য সরকারকে দোষ দেয়া আর কর্তাব্যাক্তিদের দিকে মুখ চেয়ে থাকা ঠিক নয়। অনেক কিছুই আমরা নাগরিকেরা করতে পারি।দেশে নানা দাতব্য সংস্থা ও যাকাত ফান্ড আছে।তাদের উপর ভরসা না থাকলে, দেখুন প্রতিদিন পত্রিকায় অনেক সাহায্যের আবেদন ছাপা হয় । যাচাইবাছাই করে এগুলোতে দেয়া যায়। আশেপাশেও অনেক এমন অভাবীকে পাবেন যারা এককালীন একটা মোটামুটি পরিমাণের টাকায় অনেক ভালো একটি জীবন পেতে পারেন। আমার একার হয়ত উপার্জন কম। কিন্তু প্রিয় বন্ধুদের বা কাছের মানুষ , আত্নীয়, অফিস কলিগদের একত্রিত পরিমাণে হয়তো একটা অর্থবহ অ্যামাউন্ট হবে।একটা ইফতার পার্টি ,নাইট আউট , গেট টুগেদার করতে কত আগ্রহে আমরা উদ্যোগ নেই। একটা দিন বা একটা রাতের পরে কারোরই এই ঘটনা মনেও থাকে না। কিন্তু একটু ভাবনা চিন্তা করে খরচ করা আমাদের এই টাকাটা একজনের বেঁচে থাকার অর্থ বদলে দিতে পারে। তা না করে আমরা পাঁচ দশ টাকা করে করে সিগনালে গাড়ি থামলে যে দুুদশজন হাত বাড়ায় তাদের দিয়ে দেই , মনে মনে ভাবি খুব যাকাত আদায় হলো। যদিও মনে জানি ও গাল দেই , এহ! গরিব না ছাঁই । পুরাই ব্যবসা। যেই জিনিস নিজেদেরই অন্তর ফাঁকি বলে বুঝতে পারছে তা দিয়ে কোন সাহসে অন্তর্যামীকে ফাঁকি দিতে পারবো বলে ভাবি?

আমাদের আসলে সবকিছুতেই ভেজাল । ছোটবেলায় কালিমা মুখস্থ করি অনেকেই মানে না জেনে। নামাজ পড়ি হয়তো সাত দিনে একবার জু'মায় কাতারে দাঁড়িয়ে একটা সূরাও ঠিক ঠাক না জেনে।শুধু উঠবস।তা তো জিমেও করা যায়, খামাখা মসজিদে যাবার কি দরকার? হজ করি তাও কালো পয়সায়। জানিই না হারাম পয়সাতে যে শরীর গঠিত, যার পরিচ্ছদ হারাম টাকায় কেনা তার দোয়া কবুল হয় না। এমন একটা দেশে ''যাকাত'' নিতে গিয়ে লোক মারা যাবে তাতে আর অবাক কি? আজ যে লোকের এই '' দান'' নিতে গিয়ে মানুষের প্রাণ গেলো, আমরা তো খুব নিন্দা করছি। কিন্তু আমাদের নিজেদের পরিবারে বা আমরা যারা নিজে উপার্জন করি কয়জনে এমন একটা লোককে দান করতে পেরেছি যার আসলে প্রাপ্য?

এই আমরাই কিন্তু দুনিয়া ঘুরে সবচেয়ে ভালো যেখানে জামা পাওয়া যায় সেখানে যাই। যে পার্লারে সবচেয়ে ভালো মেহেদী দেয় সেখানে লাইন দিয়ে বসে থাকি। সন্তানের পড়াশোনার জন্য সবচেয়ে ভালো কোচিং খুঁজে বের করি। যারা ভালো আয় করেন তারা পরিবারের জন্য যেখানে সবচেয়ে ভালো সুদ দেবে সেখানে ফিক্সড ডিপজিট করি। কিন্তু নিজের পরকালের বেলায় আমরা খুব উদাসীন। একটা কথা হাদীসের বাণী বলে লিখলেই হাজারে হাজারে শেয়ার করে দেই। একটু কষ্ট করে যাচাই করে নেই না। এটা ভুলে যাই ইসলামে বলেছে যে না জেনে শুনে কোন কিছু প্রচার করে সে মিথ্যাবাদী হিসেবেই অভিহিত হবে।আমরা এমনই এক জাতি ।অলস বললে মিথ্যা বলা হবে। মনে আছে? বিশ্বকাপ যখন হলো রাত জেগেও টিকিটের জন্য লাইন দিয়েছি।খুব যে বেশীদিন আগের কথা তাও না। পরকালের ভালোএকটা স্থায়ী বাসস্থানের টিকেট নিশ্চিত করতে আমাদের কারো মুহূর্ত ব্যায় করার সময় হয় না। যত শর্টকাটে পারা যায়! হাতুড়ে ডাক্তারের কথা শোনা যায়, আমরা হলাম হাতুড়ে ধার্মিক। সত্যিটা হলো আমাদের টাকা কম তাই অমন মর্মান্তিক ঘটনা আমাদের গোটাকয়েক সস্তা শাড়িলুঙ্গির ''যাকাতে'' ঘটে না। থাকলে ঘটতো। আজ যারা যারা নূরানী জর্দার মালিকের বিচারের দাবীতে খুব লম্ফঝম্প মারছেন বলেন তো আপনাদের কয়জনের পরিবারে এইভাবেই ''যাকাত'' দেয়া হয় না? যে পাপ আমরা করি অন্যের বেলা তার বিচার করার নৈতিক অধিকার আমাদের নেই।আরও জেনে রাখুন , নিজেদের ভালোমানুষী নিয়ে অহংকার করারও কোন যোগ্যতা আমাদের নেই। '' শুধুই সুযোগের অভাবে ভালোমানুষদের'' তা থাকেনা।

পরম করুণাময় আল্লাহ্‌পাক আমাদের হেদায়েত দিন। আমীন।

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৪১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: নিজেদের ভালোমানুষী নিয়ে অহংকার করারও কোন যোগ্যতা আমাদের নেই। '' শুধুই সুযোগের অভাবে ভালোমানুষদের'' তা থাকেনা।

পরম করুণাময় আল্লাহ্‌পাক আমাদের হেদায়েত দিন। আমীন।


এমন একটা মেসেজ নিয়েই গত কয়েকদিন আগে এই পোস্টটা দিয়েছিলাম, কর্পোরেট মানবতায় না ঝাঁপিয়ে খুঁজে ফিরুন আশেপাশের মানুষের জন্য মানবতা

আসলেই চারিপাশে তাকালে অনেক কিছুই করার থাকে।

ধন্যবাদ বোন, ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা নিরন্তর।

১৩ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:২৩

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: এ্ত সুন্দর বিস্তারিত মতামতের জন্য অনেক ধন্যবা বোকা মানুষ বলতে চায়। আসল সমস্যা হলো আমরা যারা অত সামর্থ্য রাখি না তাদের সমাজের জন্য অনেক কিছু ভাবতে পারি আর যাদের হাতে করার ক্ষমতা আছে তারা কিছু করতে চায় না। শুভেচ্ছা রইলো।

২| ১২ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৪৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: সবার জ্ঞাতার্থে এই ছবি দুটো শেয়ার করলাম।



১৩ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:২৪

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আবারও অসংখ্য ধন্যবাদ ।

৩| ১২ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৫

ঢাকাবাসী বলেছেন: আমার মনে হয়না এসব কথায় কোন কাজ হবে। অভিজ্ঞতা থেকে বললুম। যতটুকু এখন তথাকথিত গরীবরা পাচ্ছে তাই কমে আসছে। কমছে কিভাবে? আগে এক মহল্লায় ভিক্ষুক ছিল ১০টা এখন জনসংখ্যা বৃদ্ধির আর কর্মসংস্হানের অভাবের কারনে ভিক্ষুক হলো ৩০টা ফলে ওদেের আয় বাড়ছেনা, দ্রব্যমূল্য বাড়ছে..আরো গরীব হচ্ছে, জটীল ব্যাপার। বোকামানুষ.. এসব আজদাহা সাইজের নিয়ম পড়তে দিলে সব গুবলেট হয়ে যাবে, যাকাত ফাকাত লাটে উঠবে! বোর্ড তো একটা চো...

১৩ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:২৬

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য সুপ্রিয় ঢাকাবাসী ভাইয়া। কথায় কাজ হবে না সেটা কি শতভাগ সত্যি? হয়ত দশহাজারে একজনও হলেও সচেতন হতে পারে । খারাপ কি? সেই আবার আরো একজনকে সচেতন করে তুলবে। সবসময়েই অনেক ভালো ভালো কাজ অল্প কিছু সংখ্যক অর্থবান ব্যাক্তির দ্বারাই হয়েছে। সবাইকে কি আর বদলানো যায়?

৪| ১৩ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:৩৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ঢাকাবাসী ভাই শ্রদ্ধা রেখে বলছি, যাকাত হল একটি ধর্মীয় আচার যা আমি বা আপনি নিজের ইচ্ছেমত পালন করলেই হবে না। তাই যাকাত এর জন্য ধর্মীয় নিয়ম মানতেই হবে, নইলে দান হতে পারে, তবে সেটা যাকাত হবে কি না ভেবে দেখবেন। ধর্মের মূল পাঁচটা স্তম্ভের একটি সম্পর্কে দুই পাতা তথ্য যদি আজদহা হয় এবং তার প্রতি আপনার ক্ষোভ থাকে তবে কিছু বলার নেই। ইসলাম ধর্মের যে কোন অনুষঙ্গ নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত পালন করার জন্য অতি অবশ্যই সবাইকে কোরআন এবং হাদিসে বর্ণিত নিয়মেই পালন করতে হবে তাই নয় কি? সিনিয়র ভাই হিসেবে এই ছোট ভাই আপনাকে কথাগুলো বললাম, যদি বেয়াদবি হয়, নিজ গুণে ক্ষমা করে দেবেন।

দুঃখিত তনিমা বোন, আপনার পোস্টে আবার মন্তব্য করতে হল। আসলে অন্য কোন উপায়ে আমি ঢাকাবাসী ভাইকে কথাগুলো বলতে পারছি না।

সবাই ভালো থাকুন, ভুল কিছু বলে থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

৫| ১৩ ই জুলাই, ২০১৫ ভোর ৫:৩৯

বাঘ মামা বলেছেন: যাকাত নিয়ে আপনার গুরুত্বপুর্ণ মতামত ভালো লাগা।

আমার কাকা যিনি আমাদের বাড়ির সবচেয়ে অর্থশালী ব্যক্তি, ছোট কাল থেকে দেখে আসতাম তিনি ঈদে যাকাত দিবেন সেটা সারা রমজান ধরে একটা প্রস্তুতি মুলক বক্তিতা বক্তব্য চলতো, ওনার কিছু চেলাপেলা এসব করে বেড়াতো,এবং ঈদের দুদিন থেকে সেই সুদিনের সংঘাত শুরু হয় আমাদের বাড়ির সামনে। সকাল থেকে মানুষ লাইন ধরে বসে থাকেন, হইহুল্লোড় হাঙ্গামা কখনো রক্তাক্ত অবস্থাও ঘটে,সবাইকে সকলাকে আসতে বলে তিনি ঘুম থেকে উঠেন দুপুর ২ টা, এরপর আরাম আয়েশ করে নিচে নেমে আসেন। ওনাকে যখন বলা হতো যে সবাইকে সকালে আসতে বলে আপনি এখন দুপুরে করে ফেললেন কেন, তিনি বলেন থাকুকনা বসে ওরা, ওদের আর কি কাজ, বিনা পয়সায় কিছু পেতে এমন কষ্ট করতে হয়, আসল উদ্দেশ্যে হলো সারাদিন ঐ পথ ধরে মানুষ যাবে আর দেখবে চৌধুরী সাহেবের বাড়ির সামনে শত শত মানুষ, উনি যাকাত দেন দয়ালু দানবীর ইত্যাদি।
এরপরের ঘটনা আমাকে আরো পীড়া দিতো,ঈদের দিন যখন দেখতাম মা বাবা নতুন শাড়ি লুঙ্গি পড়ে হাটছে আর তাদের পিছে নগ্ন কোমল শরীরের শিশু গুলো দৌড়াচ্ছে। ধর্ম দান নিয়ে কি নির্মম রসিকতা মানুষ করে দেখুন।সেই ছোট কালে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছি যখন সময় হবে সামর্থ হবে কখনো শাড়ি লুঙ্গী দেবনা। তাই এখন আমার ঈদে আমার চিন্তায় শিশুরাই থাকে,ঈদ যাদের জন্য আর মুলত তারাই ঈদকে পুর্নাঙ্গ ঈদ করে তোলে ।

আর আমাদের সবার মধ্যে এই সচেতনতা আসলেই আসা উচিৎ,অযথা নিজের জন্য বাড়তি ব্যয় না করে তা থেকে হাতের কাছে একটা নগ্ন শিশুর গায়ে জামা জড়াতে পারার আত্মতৃপ্তি আর কিছুতে আছে কিনা আমার জানা নেই, আমি এই দৃশ্যে মুগ্ধ হই, আমি ঈদের ময়দানে সেসব শিশুর ঈদ আনন্দ গালে হাত দিয়ে তম্ময় তাকিয়ে দেখি।

শুভ কামনা আপনার জন্য

১৪ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:১৪

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ বিস্তারিত সুন্দর মতামতের জন্য বাঘ মামা ভাইয়া। আপনার জীবনের কিছু অভিজ্ঞতার কথা জানতে পারলাম। আপনি বলেছেন বাবা মাকে না দিয়ে শিশুদের দেয়ার কথা। এমনিতে যদি কেউ দিতে চায় তাহলে বলার কিছু নেই। কিন্তু যদি বলেন যাকাত হিসবে তাহলে বিনীতভাবে দ্বিমত পোষন করছি। যাকাত দিতে হয় এমনভাবে যাতে সেই টাকাটা পেয়ে গ্রহীতার জীবনে দীর্গস্থায়ী সুফল আসে, নিজে আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হতে পারে। যেন পরের বছর তাকে আর যাকাত প্রার্থী না হতে হয়। পিতামাতাকে শাড়ি লুঙ্গি দেয়াটা যাকাত আদায় না। পরিবর্তে তাদের ছোট শিশুদের দেয়াটাও কিন্তু যাকাত আদায় করা না।বরং এর খারাপ ফল হলো জীবনের শুরু থেকেই বাচ্চাগুলো মানুষের দানে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে।


অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য। ভালো থাকবেন।

৬| ১৪ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:১৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভাল বলেছেন।

১৬ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:২৭

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ প্রোফেসর শঙ্কু।শুভেচ্ছা রইলো।

৭| ১৪ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:৪৪

বাঘ মামা বলেছেন: মন্তব্যের জবাবে কৃতজ্ঞতা তানিমা
আমিতো কোথাও যাকাতের কথা বলিনি, বলেছি শুধু আমার সাধ এবং সাধ্যের সমন্বয় ঘটলে বড়দের জন্য কিছু করার আগে ঈদে অন্তত সবার আগে শিশুদের কথা ভাববো। :)


শুভ কামনা সব সময়

১৬ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৩১

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ও আচ্ছা। বাঘ মামা আপনি শাড়ি লুঙ্গির কথা এনেছেন , এটা সচরাচর যাকাত হিসেবেই দেয়া হয় ,আর আপনার কমেন্টেও শব্দটা বেশ কয়েকবার এসেছে, এই ভেবে উত্তর দিয়েছি। সেক্ষেত্রে এই কাজ শরিয়ত মোতাবেকই হওয়া উচিত। সামর্থ্য থাকলে আরও দেয়া অবশ্যই পূণ্যের কাজ। :) ভালো থাকবেন।

৮| ১৪ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:১০

ভিটামিন সি বলেছেন: আমারও তাই মনে হয়। যাকাত দিতে গিয়ে ওই লোক ফেঁসে গেলো। কেউ বলছে না যে এত যাকাত প্রার্থীর সমাগম কেন হলো, দেশে কেন এত যাকাত গ্রহীতা। যারা যাকাত নেয় তাদের জন্য কেন রাষ্ট্রীয় তালিকা নেই, রাষ্ট্র কেন যাকাত প্রদানকারীদের যাকাতের অর্থ সঠিকভাবে বন্টনের কোন ব্যবস্থা করে না। যেখানে কোন নিয়ম নেই, গ্রহীতা অসংখ্য, অগণীত - সেখানে তো যাকাত প্রদানকারী যেভাবে তার কাজ উদ্ধার করবেন সে পন্থাই অবলম্বন করবেন। আমরা তো যাকাত প্রদানকারীর কোন অবহেলা দেখছি না। লোকের ভীড় বেশি দেখে সে তার বাড়ির গেট খুলে দিয়েছে। গেট দিয়ে প্রবেশ করতেগিয়ে মানুষের চাপে বাড়ির গেট ভেঙ্গে গেছে, তাদের পায়ের চাপে পিষ্ট হয়ে লোক মারা গেছে। এখানে যাকাত দাতা ব্যাক্তির অবহেলার জায়গা কোনটি? কথা হচ্ছে, তিনি শাড়ি-লুঙ্গি না দিয়ে টাকা দিল না কেন? টাকা দিলে কি এই লোকজনের চাপ কমতো? বরং আরো বাড়তো। হ্যাঁ, তিনি একটা কাজ করতে পারতেন। যেহেতু তিনি সচ্ছল ব্যাক্তি। তিনি ইচ্ছা করলে দুইজন লোক নিয়োগ করে যাকাত গ্রহীতার লিষ্ট করে তাদের হাতে পেীঁছে দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তো মনে হয় এতটা সময় পান না। আর যারা এই লিষ্ট করবে সেখানে যে তাদের আত্মীয়-স্বজন ঢুকে পড়বে না তার নিশ্চয়তা কী?

১৬ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৪১

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ভিটামিন সি মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

যে লোকের কাছ থেকে ''যাকাত'' নিতে গিয়ে এতগুলো মানুষ মারা গেল তার দ্বায়িত্ব তো আছেই। এভাবে যাকাত দেয়া ইসলাম সমর্থন করে না। যাকাত এমনভাবে দিতে হয় যাতে যাকে দেয়া হচ্ছে সে স্থায়ী ভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারে। সেভাবে ভাবলে যা করা হচ্ছিলো তাকে যাকাত বলা চলে না। আর কাউকে কিছু দিতে হলে সেটা ঢাকঢোল পিটিয়ে বা লোক জানিয়ে দেয়াও খুব ভালো কিছু না। কিছু কিছু লোক শোঅফের জন্য দাতা সাজে। এ লোকটির প্রচারের পিছনে সেই উদ্দেশ্য হয়ত ছিল না। তা হলেও প্রতিবছর এই রকম কান্ডে অনেক মানুষ হতাহত হয় সুতরাং দেয়ার জন্য অন্য কোন উপায় অবশ্যই তার নেয়া উচিত ছিল। না নেয়াটা দ্বায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচায়ক। সবকিছুতে সরকারের উপর দায় দেয়া যায় না। আমরা নিজেরা যতই শিক্ষিত হই এখনও সচেতন নাগরিক হতে পারিনি। আর দশজনের কথা ভেবে ভালো কাজ করবে এমন মানুষ বরং দিন দিন কমছে।

ভালো থাকবেন।

৯| ১৬ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:১৪

আবু শাকিল বলেছেন: ফেবুতে পড়েছি ত :)

১৭ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:২৬

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: হুম এখানেও দিলাম, পড়ে কেউ যদি আমার মতই ব্যাপারটা নিয়ে ভাবেন।অগ্রিম ঈদের শুভেচ্ছা আবু শাকিল ভাইয়া।

১০| ১৬ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:৩১

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: সহমত এবং আমিন।

১৭ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:২৭

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য জহিরুল ইসলাম ভাইয়া। ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা।

১১| ১৭ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:০১

এহসান সাবির বলেছেন: পরম করুণাময় আল্লাহ্‌পাক আমাদের হেদায়েত দিন।

১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:০৯

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আমিন। ঈদের শুভেচ্ছা এহসান সাবির ভাইয়া।

১২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৯

নবাব চৌধুরী বলেছেন: আমি ইসলাম সম্পর্কে খুব কমই জানি তবে যাকাত সম্পর্কে আমার ধারনা হলো এরকম,এই বিধানটা করা হয়েছে দরিদ্র্যতা দুর করতে।একজনকে একটা তৃতীয় ক্লাশের শাড়ি বা লুংগি দিলে যাকাত দেয়ার আসল উদ্দেশ্যটা কিন্তু বাস্তবায়িত হচ্ছেনা তার চেয়ে বরং একজনকে জিবীকা নির্বাহের পথ খোলে দিলে একজন অন্তত এ থেকে রেহাই পাবে।আমাকে যদি আল্লাহ কোনোদিন তৌফিক দান করেন আমি কিন্তু যাকাতের সম্পূর্ন অর্থ একজনকেই দেবো।
আপনাকে অনেকগুলো ধন্যবাদ এতো সুন্দর করে প্রয়োজনীয় এই পোস্টটার জন্য।ভালো থাকবেন।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৭

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক দিন আগের পোষ্টে অনেক সুন্দর একটা মন্তব্য। পেয়ে খুব ভালো লাগলো। আপনার দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সহমত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.