নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বনমুরগী পোষ মানে না.......
১।
কে যেন ম্যাসেজের পরে ম্যাসেজ পাঠিয়ে যাচ্ছে। দুত্তোরি। রাতের সুনিদ্রা সুন্দর একটি স্বপ্ন ভেঙে গেল রশিদ মিয়ার। টুং টাং শব্দে ঘোরলাগা চোখ মুছে স্ক্রিনে দিকে তাকায় সে। এক রাশি প্রেমার্ত ক্ষুদে বার্তা। ভালোবাসার ভাবালুতা পরতে পরতে মেশামেশি কিছু রঙিন জরির ওড়াওড়ি ওগুলোতে। কিন্তু দেখে ওর অনুরক্তি নয়,কেবল বিরক্তিই জাগে।কার মনে এত রঙ ,এমন আরামের ঘুমটা মাটি করে দিল? ঘটনা কি? মোবাইলের দিকে তাকিয়ে কিছু একটা আবছা আবছা স্মৃতি মনে পড়ে ওর। ওহ হো! আজ যেন কি তারিখ? ৮ ডিসেম্বর। প্রতিবছরই এই দিনে ওর ফোনে এরকম ম্যাসেজ পাঠায় কোন এক পাগলে।ভুলেই গিয়েছিল সে আবার মনে পড়লো। মোবাইলটা ধুপ করে রেখে কপালে বিরক্তির ঢেউ মুছে পাশ ফিরে আবার ঘুমিয়ে পড়লো সুখী নিরুদ্বিগ্ন মানুষ রশিদ মিয়া।নাহ, নম্বরটাকে ব্লক করে দেয়া দরকার- ভাবনাটা পুরোপুরি জমাট বাঁধার আগেই সুপ্তির আশ্রয় নেয় তার চোখের পাতাদ্বয়।
আর কোন উৎপাত করে নি ,তাই নম্বরটাকে নিষিদ্ধ করে দেবার কথা সে পরদিন সকালের ব্যস্ততায় বরাবরের মতই ভুলে যায়।
---
সুহৃদ উদাস চোখে হাতের মুঠোফোনটার দিকে তাকিয়ে থাকে। প্রতিবছর অনন্যাকে সেই বিশেষ দিনটিতে সে এতে চিঠি লেখে । সাদা রঙের পর্দায় কালো কালো অক্ষরের নাচন কি বোঝাতে পারে কেমন রক্ত লাল হয়ে ক্ষরিত হয় তার অনুভূতিগুলো?অনন্যা আগেও বোঝে নি , বুঝবেও না সম্ভবত। তবু হয়ত বুঝতে পারে ভেবে সে গত দশ বছর ধরে এভাবে পাঠিয়ে চলেছে। কঠিন পাথরেই কখনো কখনো ফুল ফোটে তো !
২।
প্রাণপণে দৌড়াচ্ছিল আশিষ। ওর পিছু পিছু ওরা আসছে।হাতে উদ্যত ছোরা, রিভলবার। ধরতে পারলেই ওকে হত্যা করবে, নিশ্চিত জানে। প্রাণভয়ে দৌড়াচ্ছে তাই। এত ভয় সে জীবনে কখনো পায়নি । ছুটছে ছুটছে ছুটছে। এই ধরে ফেলবে, ফেললো - আবার মুহূর্তেই ওদের মাঝখানের দূরত্ব বেড়ে যায়। হাঁপাতে হাঁপাতে একপর্যায়ে একটা ঝোঁপের আড়ালে বসে পড়লো সে। ওকে লুকাতে দেখতে পায়নি ওরা।খুঁজছে এদিক ওদিক তাকিয়ে। কোথায় গেল , এই মাত্রই তো ছিল। একটা জলজ্যান্ত মানুষ তো হাপিশ হয়ে যেতে পারে না। নিঃশ্বাস চেপে চুপ করে বসে থাকে আশিষ।ওর হৃদপিন্ডের ছন্দিত শব্দটাকেও মনে হয় বড় বেশী, কোনভাবে যদি এটাকেও লুকিয়ে ফেলা যেত, নিজেকে ঝোঁপের সাথে মিশিয়ে নিজেও একটা ঝোঁপ হয়ে যেতো পারতো!
---
মরিয়ম বানু খুব চিন্তা করছেন।এত দেরী হয়ে গেল, ছেলেটা এখনও আসছে না কেন? কোনদিন তো এমন হয়না। একটা কথা মনে পড়ে অকস্মাৎ তার শরীর অবশ হয়ে আসে। ওদের খপ্পরে পড়ে যায়নিতো? সর্বনাশ। উদ্বেগে অস্থির হয়ে ভাবেন, একটা ফোন করা যাক।যখন তখন ফোন করলে ছেলে খুব বিরক্ত হয়। পইপই করে বলে দিয়েছে , কোন সমস্যা হলে নিজেই জানাবে। জরুরী কাজে আছে, এখন কথা বলার সময় হবে না। তবুও , না হয় একটু রাগ করলোই।তার মন তো ঠান্ডা হবে।ডায়াল করলেন তিনি।
---
আশিষ শব্দটা শুনে প্রথমে টেরই পায়নি কোথা থেকে আসছে। সেকেন্ড পরে বুঝতে পেরে আতঙ্কে সে নীল হয়ে যায়। ওরা শুনে ফেলেছে, নিশ্চয়ই শুনে ফেলেছে। শব্দ অনুসরণ করে এখনই আসবে।তবু বৃথাই সে ব্যাগ হাতড়ে হাতড়ে মোবাইলটা খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে থাকে।আহ! দরকারের সময় মানুষ নার্ভাস হয়ে সহজ জিনিসটাও সহজে করতে পারেনা। যান্ত্রিক শব্দের সাথে সাথে দূরে চলে যাওয়া লোকগুলোর মানবিক পায়ের শব্দও ক্রমে মিশে যেতে থাকে।মচমচ করছে শুকনো পাতারা , ভারী জুতার আক্রোশে ওদের কাতর ধ্বনি ক্রমশ আরও নিকটতর হচ্ছে-
৩।
মেয়েটি বন্দিনী। সে রাপুনজেলের গল্প পড়েনি , তাই জানে না তাকেও কারো অপেক্ষায় থাকতে হবে। অথবা বাস্তবে তার টাওয়ারসম উঁচু বন্দিশালায় হয়ত রূপকথারা পৌঁছাতে পারে না। তাকে নিজে নিজেই পালানোর পথ বের করে নিতে হবে। ভিতরে ভিতরে ছটফটে কষ্ট নিয়ে মেয়েটি বাইরে স্থিরভাবে বসে থাকে,বাইরের সবুজ প্রান্তরের দিকে চেয়ে, পৃথিবীর সমস্ত তৃষ্ণা বুকে ধরে। দিনের পরে দিন সে ইতিউতি উঁকি ঝুঁকি দেয়া প্রজাপতিটার দিকে তাকিয়ে থাকে ঈর্ষাকাতর মনে। আরেকটা গিরগিটিও আসে। তার পরিবর্তনশীল রং দেখে সে ভাবে অমন ভোল পাল্টে পাথুরে দেয়ালের সাথে মিশে মিশে সে যদি যেতে পারতো! সতর্ক প্রহরীর চোখ এড়িয়ে।চুপি চুপি অলক্ষ্যে। প্রতিরাতে শোবার আগে তীব্র থেকে তীব্রতর হয় তার প্রার্থনা।' প্রভু, মুক্তি দাও।'
অবশেষে ঈশ্বর দয়া করলেন।
---
কোন এক সুন্দর সকালে ঘুম ভেঙে লম্বা সুতোর মত দেহটা নিয়ে হেঁচড়ে হেঁচড়ে বিশাল বিছানাটা থেকে নামে মেয়েটি। আজ আর তার প্রাত্যহিক কাজের তাড়া নেই। নিজেকে গুছিয়ে গুটিয়ে নিয়ে অনায়াসলব্ধ দক্ষতায় উঠে যায় ছাদে। একটা ছোট্ট কালচে পোকা দেখছে তার সূক্ষ হয়ে ওঠা চোখ । পেট পুরে খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তোলে সে। গুটি গুটি ভাবে, সাতরঙা বিস্তৃত ডানার ভাঁজ খোলে। বার দুয়েক নেড়ে চেড়ে আড়মোড়া জড়তা ভাঙে। অনভ্যস্ততা কাটিয়ে ওঠে ।তারপরে খোলা জানালা দিয়ে নিচে ঝাঁপ দেয়।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫২
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ। তবে পড়ে দিলেই বেশী ভালো লাগতো। পরে আবার আসার আমন্ত্রণ রইলো লেখোয়াড়।
২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৬
প্রামানিক বলেছেন: অনুকা গুচ্ছ ভাল লাগল। ধন্যবাদ
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫২
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ প্রামানিক ভাইয়া।
৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এক আর তিন বেশি ভাল লাগছে।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ কান্ডারি অথর্ব ভাইয়া।
৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১১
ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল লেগেছে।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৪
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ঢাকাবাসী ভাইয়া।
৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২০
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার লেগেছে। ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন নিরন্তর।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪১
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অজস্র ধন্যবাদ দেশ প্রেমিক বাঙালী । ভালো থাকবেন আপনিও।
৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২১
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এক অার দুই-ই বেশি ভালো লেগেছে ।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪২
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: এক আর দুই বেশী ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম সাধুভাই ,যদিও আমার কাছে একটাই সবচেয়ে দূর্বল গল্প মনে হয়েছিল।
৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৩
মাসুম সোহাগ বলেছেন: সবগুলোই মাথার উপর দিয়ে গ্যালো। তবে লেখার মান ভালো।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৪
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মাসুম সোহাগ , মাথার উপর দিয়ে গেলে আর মান ভালো হলো কি করে? !
৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৩
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: দুই নাম্বারটা ভাল লেগেছে
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৫
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ধন্যবাদ রাখাল ভাইয়া, ২ নংটা আমারও সবচেয়ে প্রিয়।
৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩২
অনিক বলেছেন: মজবুত ফ্রেমে এলোমেলো চিত্রকর্ম ...। ভাল লাগলো।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৫
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার সুন্দর মন্তব্যও অনিক । ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
১০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪২
রানার ব্লগ বলেছেন: ভালো লাগলো, গল্পের সাথে ছুটছিলাম
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৭
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: রানার ব্লগ, ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম,মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
১১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৮
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার লেখা দেখলাম ।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৮
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: বলেন কি, আজকাল তো কয়েকদিন পরে পরেই লেখা দিচ্ছি। কাজ কাম কম, তাই টাইম পাস।
১২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৯
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:
সুন্দর অণুকণাগুচ্ছ । ২য়টার শেষ প্যারাটা মনে হচ্ছে না হলে ভালো হত !
তবে গল্প আপনার ভাবনা আপনার ।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫২
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: সুপ্রিয় কথাকথিকেথিকথন, সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ২টার শেষের প্যারাটা না দিলে রিংটোনই যে আশিষের মৃত্যুঘন্টা সেটা বোঝাবার কোন উপায় ছিল কি? আর আমার আগের কিছু অভিজ্ঞতায় জানি, অনেকেই বিটুইন দ্য লাইনস অংশ ধরতে পারেন না।
১৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৯
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আপুরে ! সবগুলো গল্পই আমার কাছে খু উ ব ভাল লেগেছে, দুই নম্বরটা পড়ার সময় ভয় লাগছিল-মনে হচ্ছিল সত্যিই। দারুন, দারুন এবং দারুন ----- আপনার জন্য এত্তগুলি ভালবাসা পাঠিয়ে দিলাম
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৪
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: সুপ্রিয় লাইলী আপু, অনেক দিন পরে ব্লগে পেলাম।আশা করি ভালো আছেন।এত সুন্দর মন্তব্য পেয়ে এত্তগুলি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ রইলো।
১৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: এগুলো কি আলাদা গল্প নাকি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত? যাই হোক, পড়তে ভালো লেগেছে।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৫
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অবশ্যই আলাদা অনুগল্প। না বুঝতে পেরে থাকলে আমারই ব্যর্থতা। ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। মতামতের জন্য ধন্যবাদ হাসান ভাইয়া।
১৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০০
পার্থ তালুকদার বলেছেন: ঘোর লাগা ভাললাগা
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৬
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অযুত ধন্যবাদ পার্থ তালুকদার ভাই।
১৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৪
উইশবার্ড বলেছেন: সবই ভাল। ধন্যবাদ
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৭
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: উইশবার্ড আপনাকেও ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
১৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৯
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ২ নাম্বারটা সেই রকম হয়েছে। আতংকময়
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৮
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ২টা আমারও সবচেয়ে প্রিয়। আতংক বোধ করে থাকলে লেখা সার্থক।
১৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৮
আলোরিকা বলেছেন: সুক্ষ অনুভূতির অদ্ভুত দোলাচল !
যাহা চাই ভুল করে চাই , যাহা চাই তাহা পাই না
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১১
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: হুমম।
১৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৪
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: শব্দের গাথুনি দুর্দান্ত ! +++
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৩
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ জহিরুল ইসলাম ভাইয়া।
২০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৩
সুলতানা রহমান বলেছেন: এরকম তিন রকমের তিনটি গল্প একসাথে কেন দিলেন বুঝলাম না। পড়তে গিয়ে আমি শুধু মিল খুজছিলাম।
যাই হোক, তিনটা গল্পই আলাদা সুন্দর। শেষ দুইটা বেশি।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৩
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আপুনি , তিনটা তিনরকম ইচ্ছা করেই রাখা। দেখুননা আপনিও মিল খুঁজছিলেন, পেয়ে গেলে নিশ্চয়ই ভাবতেন একই গল্প!
যাই হোক , গল্প ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো, মন্তব্যের জন্য অজস্র ধন্যবাদ।
২১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৬
সুমন কর বলেছেন: অনুকণাগুচ্ছ ভালো হয়েছে। বিশেষ করে বর্ণনা। দারুণ !
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৪
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সুমন কর । ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম।
২২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৭
সাহসী সন্তান বলেছেন: হাসান মাহবুব ভাইয়ের মত আমিও কিছুটা কনফিউশনে আছি! তবে আপনার সবলিল বর্ননার কারণে পড়তে অনেক ভাল লেগেছে!
ভাল থাকবেন!
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৬
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: সাহসী সন্তান ভাইয়া, নাম দেখেই অনুমান করা যেত, তিনটা আলাদা অনুগল্প, বিশেষ করে যখন একটার সাথে আরেকটার কোন যোগসূত্র নেই। তারপরেও বিভ্রান্তি হলে লেখিয়ে হিসেবে আমি ফেইল।
২৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৫
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: সবগুলোই ভাল লেগেছে।
এক আর দুই একটু বেশি ভাল লেগেছে আর কি
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৮
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যে অনেক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ রুহী আপু।
২৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৫
উল্টা দূরবীন বলেছেন: সবগুলোই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৮
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ উল্টা দূরবীন ।
২৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৩
অগ্নি সারথি বলেছেন: বেশ!
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৯
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ অগ্নি সারথি।
২৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:১১
ধমনী বলেছেন: কাব্যিক ভঙ্গিমায় লেখা।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০০
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ধমনী।
২৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৪৬
মানবী বলেছেন: ভালো লেগেছে পড়ে, ধন্যবাদ আপু।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০১
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম মানবী আপু, মন্তব্যের জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
২৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২১
আবু শাকিল বলেছেন: তিনটা গল্প ই ভাল লেগেছে।অল্প লেখা আমাকে খুব টানে।
পড়ায় তৃপ্তি পাওয়া যায়।আপনার লেখায় ও তাই।
লেখায় দারুন ভাল লাগা পেলাম।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০২
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে আবু শাকিল ভাইয়া। কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।
২৯| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৪
সালেহ মতীন বলেছেন: তনিমা,
আপনার ব্লগ বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলাম, আপনার কয়েকটি লেখা পাঠ করলাম- খুব ভালো লিখেন আপনি। এত ভাববার এবং বিষয়বস্তু আহরণের সময় পান কী করে ? সময় পেলে আমার ব্লগ কুটিরে বেড়াতে আসবেন। ধন্যবাদ।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৫
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: সালেহ ভাইয়া, আমার ব্লগ বাড়িতে এসে কষ্ট করে সময় নিয়ে কয়েকটি লেখা পড়েছেন এজন্য অসীম কৃতজ্ঞতা রইলো।
অকাজের মানুষের ভাবাই সম্বল, কিছু করতে পারেনা যেহেতু।
অবশ্যই যাবো আপনার ওখানেও , মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
৩০| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৯
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:
আপনার কথাও পুরোপুরি ঠিক ।আমার বোঝায় হয়তো সহজে ধরা দিয়েছে কিন্তু অনেকে আবার নাও বুঝতে পারে ।
এখানে তার মা মরিয়ম বানু ফোন করা মানেই তো সে ধরা পড়ে যাওয়া । কারণ সে নীরবে লুকিয়ে আছে এমন কী নিঃশ্বাসও চেপে আছে । তাই ডায়ালের পরের ঘটনাটা অনুমেয় । এভাবে দিলে একটু টুইস্টভাব থাকে । এই জন্য বললাম ।
তবে বৃহৎ স্বার্থে আপনারটাই ঠিক আছে ।
৩১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৭
তুষার কাব্য বলেছেন: দারুন লাগলো অনুগল্প গুলো । ২ আর ৩ বেশি জোশ !
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৩
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ তুষার কাব্য।
৩২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১০
আহমেদ জী এস বলেছেন: রেজওয়ানা আলী তনিমা ,
অনুকণাগুচ্ছ ভালো লাগলেও গুচ্ছের কিছু কথা থেকে গেল -
যে লোকের কাছে এক রাশি প্রেমার্ত ক্ষুদে বার্তা আসে । ভালোবাসার ভাবালুতা পরতে পরতে মেশামেশি করে রঙিন জরির ওড়াওড়ি যে মেসেজগুলোতে, তাকে ঠেলে সরিয়ে দিতে পারে আহাম্মক কেউ একজন । তাই তার নাম হয় " রশিদ মিয়া " । নইলে তার নামটি হতো " রাশেদ ইম্মনিয়া " । রং নম্বর .................. দশ বছর ধরে ?
যান্ত্রিক শব্দের সাথে সাথে দূরে চলে যাওয়া লোকগুলোর মানবিক পায়ের শব্দও যখন ক্রমে মিশে যেতে থাকে তখন শুকনো পাতায় মচমচ করে ভারী জুতার ধ্বনি ক্রমশ আরও নিকটতর হয় কি করে ? দরকারের সময় মানুষ নার্ভাস হয়ে গেলে এমন ওলোট পালোট হতে পারে !!!
শেষেরটি সম্পর্কে কোন গুচ্ছের কথা নেই ।
শুভেচ্ছান্তে ।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৫
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আহমেদ ভাইয়া, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ম্যাসেজ গুলো অনন্যা নাম্মী একটা নারীর কাছে পাঠায় সুহৃদ নামের এক পুরুষ। রশিদ মিয়া, নিজে পুরুষ সে তো জানেই যে প্রাপক সে হতেই পারে না। কিংবা ,ধরা যাক রশিদ মিয়া -বছর পঞ্চাশেক বয়স, চিরকুমার এবং জীবনে প্রেম ভালোবাসার বালাই নেই এমন অল্পশিক্ষিত সরল মানুষ। তাহলে তার পক্ষে এসব নিয়ে না ভাবাই কি স্বাভাবিক না?আর দশ বছর ধরে কেউ কি কাউকে ভালোবাসতে পারে না? কত মানুষ তো আজীবন একলা রয়ে যায়। আমার নিজের আত্নীয়মহলেই এমন একজন আছে।
দুইতে, ওলোট পালোট কোথায় হল বুঝলাম না। যন্ত্রের শব্দ খুব কাছে তাই জোরালো।দূরে চলে যাওয়া হত্যাকারীদের পায়ের শব্দও কাছে আসলে তাও একই রকম জোরালো হয়ে রিংটোনের সাথে মিশে শব্দের তীব্রতা বাড়াবে এটাই স্বাভাবিক ও গল্পে এটাই বোঝাতে চেয়েছি।
আর তিনটার সম্পর্কেই বলা যায়, অনুগল্প হিসেবে অনেকখানি সম্ভাব্যতা , হয়তো হয়, যদি হয় টাইপের কল্পনা মিলিয়েছি। পাঠক বা পাঠিকার সাথে সাথে নিজের লেখার স্বাধীনতাকে ইচ্ছামতো ব্যবহার করেছি।ফাঁকগুলো মনের মাধুরী মিশিয়ে ভরাট করে নিন না। গল্প মানেই তো বানোয়াট জিনিস।
৩৩| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৩
নেক্সাস বলেছেন: আপনার লিখাটিও যেন সাদা ক্যানভাসে নন্দন শব্দের জলকেলি। ভিষন ভালো লাগলো।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৬
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ নেক্সাস।
৩৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০১
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: তিনটিই চমৎকার লিখেছেন। আমি দ্বিতীয়টি সবসময় মাথায় রাখি, ট্র্যাভেলিং এ থাকা কোন আপনজনকে ফোন দেই না, এরকম ভয়ে, ফোনের কারণে যদি কোন বিপদ ঘটে।
আরও বেশী বেশী লেখা চাই। ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা নিরন্তর।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০১
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: দুঃখিত , উত্তর দিতে দেরী হয়ে গেল।বোকা মানুষ বলতে চায় , সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা আপনার প্রতিও।
৩৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৭
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমি নিজে লেটার লতিফ, আই মিন লেটার পাঠক; তাই প্রতিত্তরে দেরী হলে নো প্রব্লেম।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৬
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন:
৩৬| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৫
এহসান সাবির বলেছেন: অনুকণাগুচ্ছ চমৎকার লেগেছে।
এক গুচ্ছ ভালোলাগা।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৩
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন ভাইয়া।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৫
লেখোয়াড়. বলেছেন:
প্রথম প্লাস।
কেমন আছেন?
এখন সময় নেই পরে পড়ে নিব।