নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইচ্ছাঘুড়ির অবাধ আকাশ www.facebook.com/RezwanaAliTanima

রেজওয়ানা আলী তনিমা

বনমুরগী পোষ মানে না.......

রেজওয়ানা আলী তনিমা › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিঠি

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৩

বিভূতিভূষণ শ্রদ্ধাভাজনেষু,

যেখানে আপনি এখন আছেন তাতে করে কেমন আছেন , শরীর কেমন আছে এসব জিজ্ঞেস করা অর্থহীন। আপনি যেমন কালজয়ী লেখা লিখে কালের সীমাকে অতিক্রম করে গিয়েছেন সেভাবে নিজের নশ্বর দেহকে তো আর কালোতীর্ণ করতে পারেন নি। তাছাড়া চিঠি লেখার অভ্যাস আমার নেই। এটিকেটে ভুল থাকবে আগেই স্বীকার করে নিচ্ছি। কিন্তু আপনি যে সশরীরে নেই সেই কারণেই আরো বেশী করে অনভ্যাসী কলম ধরার অ্যাডভান্টেজ আছে ।সেজন্যই ধরা।

নটা পাঁচটার চাকরি করার আবেগ ছিল ঠিক ততদিনই যতদিন চাকরিটা জোটেনি। এখন জোটার সাথে সাথেই ক্যাম্পাস, হুদাহুদি ঘোরাঘুরি, আড্ডা সব গেছে। টঙের রং চায়ের মজা এখন নেই, যখন নির্দিষ্ট লোককে বললেই টেবিলে এসে দিয়ে যায় তখন খাঁচা থেকে বের হবার কোন অজুহাত দেখানো যায় না। টাকা অনেক কিছু কিনতে পারে। মেয়েলি চাহিদার ছোটখাট জিনিসপাতি- একটা নতুন স্টাইলিশ থ্রিপিস, লেটেস্ট ডিজাইনের শখের গয়না,আরও অনেক বড় উপরতলায় উঠতে পারলে ফ্ল্যাট , গাড়ি ইত্যাদি। কিন্তু যে ফ্ল্যাটটা কেনা হবে তার বারান্দায় বসে আয়েশ করে সূর্যাস্ত দেখাটা কিনতে পারে না। টাকা যতই বাড়ে সকালের প্রথম কিরণটা মুঠোবন্দি করা ততই দূর্মুল্য হয়ে যায়। তাই বই নামক বন্ধুর সাথেই আমি ঘুরতে শুরু করি। অভ্যাসটা আগেও ছিল, এখন নিরুপায় অবস্থায় আরো প্রবলতর হয়েছে। আর অভ্যাসটা ব্যাকটেডেট মানুষের, তাই আপনার মত সেকেলে একজন লোকের কাছেই লিখছি।তাও আপনার অারণ্যক পড়ার পড়েই লিখতে ইচ্ছা করছে। যদিও আপনার সাথে পরিচয় আমার মেলা দিনের। সেই ছোটবেলার পথের পাঁচালির দিনগুলো থেকে।তবুও আরণ্যক পড়ার পরই এতদিনে যেন মনে হলো, আপনার সাথে আমার অবস্থার ও মনের খুব মিল। সবসময়ই আমার মনে হয়েছে বাঁধানো সুখী গৃহস্তের পথ আপনাকে বিশেষ সুখ দিতে পারেনি।আসলে সংসারে মাত্র একটা রাস্তা ছাড়া প্রতিষ্ঠা নামক শব্দের অর্থ এত সংকীর্ণ হওয়া উচিত ছিল না। পথের পাঁচালীর অপুর মধ্যেকার ভ্রাম্যমাণ অ্যাডভেঞ্চারী মনটা , পরিণত বয়সের অপরাজিতর অপুর মাঝেও হারিয়ে যায় নি। সেও অনাস্বাদিত বিকেলগুলোর অপমৃত্যুতে বিচলিত হয়। দুপুরে কুৎসিত সাদাকালো কাগজের মধ্যে থাকতে থাকতে আমারও টিউট টিউট করে ডাকতে থাকা অচিন পাখির ডাকে মন উচাটন করে। ইচ্ছে হলে জানালায় ঝুঁকে দেখতে পর্যন্ত পারি । এখনও পর্যন্ত ।নিচু দরের স্টাফ তাই খুব চাপ এখনও নেই আপাতত। কিন্তু আশেপাশে থেকে খালি ফিসফিস শুনি, কি করছো বোকা মেয়ে? এত অল্পেই তুষ্ট থাকলে কি হয়? অ্যাপ্লাই করো, একটার পরে একটা ঘাড় গুঁজে গুঁজে ,জানি তুমি খুব মেধাবিনী না, তবু কোথাও হয়ত লেগে যাবে। জানালা দিয়ে বাইরে তাকিও না । অল্প কয়েকটা টাকা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকাটা বোকামি। নতুন একটা ধর, তারপরে ওখানে থেকে ভালো সুযোগ পেলে নাহয় আরেকটা। এভাবেই মরীচিকার পেছনে চলে যাবে একসময় জীবন । তাতে কি? গতিই তো জীবন। কিন্তু মনে মনে আমি যে আসলে চাঁদের পাহাড়ের শঙ্কর- এই সত্যটা জানতে পারলে গেছো মেয়ের কলঙ্কে চারিদিকে ঢি ঢি পড়ে যাবে- জানি ,তাই চুপ করে থাকি।এইখানেই আরণ্যকের মধ্যে লুকিয়ে থাকা আপনাকে আমি ঠিক চিনেছি। জানি ভবঘুরে একটা মন আপনারও ছিল। তবে পার্থক্য আপনি সেটা পেয়েছেন । আমি শুধু পাই বইয়ের পাতায়।তবু ভক্ত পাঠিকা হয়ে বইয়ের পাতায় পাওয়া দুধের সাধ ঘোলে মেটানো , তবু হাত খালি তো আর থাকেনা।


আশ্চর্য কি জানেন, আমার কিন্তু অরণ্য ভালো লাগে না। ভালো লাগে সবুজ বিস্তৃত প্রান্তর। কিংবা উচ্ছ্বল জলরাশি। কেমন করেই বা লাগবে বলুন? আমরা নারীরা জন্ম থেকেই আবদ্ধ থাকি ইটকাঠের ভরা দেয়ালের জঞ্জালে , যেভাবে গাছেরা জঙ্গলে মোটা মোটা গুড়ির দেয়াল তুলে বেড়া দিয়ে দেয়। মাটিও তাই অসূর্যস্পর্শা হয়ে ওঠে। যেমন মাটির তৈরী মানবী আমরা আমাদের ঘরে। - তাই , আর কত বিজন বনানী ভালোলাগে? তবুও আপনার জঙ্গলের বর্ননা পড়ে বেশ লাগলো।বেশ হারিয়েই গেলাম ওতে।তবু সে এমন হারানো যাতে পথ খুঁজে পাবো কিনা,সে ভয়ও নেই।পথ খুঁজে পাবার ইচ্ছাও এমনকি নেই। জোৎস্না নিয়ে ফ্যাসিনেশন না থাকলেও হুমায়ুন পড়ে যেমন জ্যোৎস্না ভালোবেসেছি বইয়ের পাতায় লেখকের চোখ দিয়ে দেখতে, অারণ্যক পড়েও সুন্দর বর্ননায় জঙ্গলা পথে আটকে গেছি। বেশ লাগে ভাবতে ঘোড়ায় চড়ে একাকী বনপথে চলেছি, লবটুলিয়ার মাঠ ও বন , নাঢ়া বইহার পেরিয়ে স্বরস্বতী কুন্ডীর চমৎকার অরণ্য ঘেরা টলটলে হৃদ,কারো নদী , শৈলমালা , কত কিছু পেরিয়ে- বুকে ঢপ ঢিপ করছে ভয় , হয়ত বুনো মহিষ এসে চড়াও হবে যেকোন মুহূর্তে। হয়ত বাঘও আছে এখানে। ভালুকের আক্রমণও বিচিত্র কিছু না।আবার প্রকৃতির নিজের হাতের রচনা সৌন্দর্য দেখে বাকরুদ্ধ হয়েছি। আপনি পরীদের শুধু গল্প শুনেছেন,আমি কিন্তু কল্পনার চোখে দেখতেও পেয়েছি, আবছা আলোয় তাদের ম্লান স্বচ্ছ পাখা গুটিয়ে সেরকমই কুয়াশা আর জ্যোৎস্না রঙের গড়া তাদের মসলিন ওড়না আর জামা। স্পষ্ট পেয়েছি নাম- না -জানা বন্যফুলের গন্ধ।

আর গাঙ্গোতা প্রজাদের কথা আর কি বলবো। আপনার অতদিনের পড়শীরা আমারও বন্ধুমানুষ হয়ে গিয়েছে। ঐ যে যুগলপ্রসাদ নামের আধা পাগলাটে লোকটার সাথে আপনি বনে লুকিয়ে লুকিয়ে একটা বাগান তৈরী করেছেন , লুকিয়েই কারণ কেউ জানতে পারলে হয়ত শুধু স্বভাব উদাসী যুগলপ্রসাদকেই না, আপনাকেও- সম্মানিত ম্যানেজারবাবুকেও পাগল ঠাওড়াবে, সেই গুপ্ত কথা আমিও জেনে গিয়েছি। সাজিয়েছেন আপনারা , শোভা দর্শনে আমিও সঙ্গী হয়েছি। মহাজন ধাওতাল সাহুর অর্থের প্রাচুর্যে না, তার নির্লোভ বড় হৃদয়টাতে মুগ্ধ হয়েছি। পন্ডিত মটুকনাথের পন্ড অধ্যবস্যায়ে কষ্ট পেয়েছি, আবার তার ধৈর্য ধরে লেগে থাকায় শেষতক অর্জিত সাফল্যে খুশি। যেন কত আপনজনের সাফল্য এটা! নাটুয়া বালক ধাতুরিয়ার স্বপ্নে একাত্ন হয়ে গিয়েছি। ছোট ছোট আশা , তাও মানুষের পূর্ণ হয় না। কি যে কষ্ট , চোখের কোনে পানি চিক চিক -যখন ওর মৃত্যুর সংবাদ পেলাম। হ্যাঁ পেলামই তো, অনবদ্য লেখনীর আরণ্যক পড়তে পড়তে আমি যে ঐসময়েরই বাসিন্দা হয়ে গিয়েছিলাম।তাইতো দুঃসাহসী মঞ্চীর উধাও হয়ে যাবার কথা শুনে মনে অজানা আশঙ্কা হয়, কোথায় আছে কেমন আছে মেয়েটা? তাইতো ঢালতলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার , রাজা দোবরু পান্নার প্রতি শ্রদ্বা যখন জানিয়েছেন ,আমিও জানিয়েছি, মনে মনে। রাজার অবমাননায় আর তার প্রতি লোকের তাচ্ছিল্যে ক্ষুদ্ধও হয়েছি। মনটা কেমন মায়ার ভরে গিয়েছে। রাজকুমারী ভানুমতীর হৃদয়ে আপনার প্রতি অকলুষ ভালোবাসা টের পেয়েছিলেন কি? আমি তো পেয়েইছি , মনে হয় যেন আপনিও ঠিক পেয়েছিলেন। কেন তাকে অগ্রাহ্য করতে গেলেন? এত নিস্পাপ হৃদয়কে দলিত করা ভুল শুধু নয়, পাপ। কে জানে সে এখনও আপনার পথে চেয়ে আছে কিনা?

বন উজাড় হয়ে উঠেছে , সবুজ শোভা দলিত মথিত হয়েছে জীবনের প্রয়োজনে -জেনে আপনার মত আমিও কষ্ট পেয়েছি, যদিও বন ভালো লাগে না অতটা, আগেই বলেছি। থাকবার কথা দিনের পরে দিন চিন্তা করলেই নাগরিক অন্তকরণ সংকুচিত হয়ে ওঠে। তবুও কেন কষ্ট? এত কষ্ট!মনে হয় নারী বলেই।আশ্চর্য লাগছে না এই পরস্পরবিরোধিতা? মাত্রই না বললাম, নারী বলেই আবদ্ধ জঙ্গলে বিতৃষ্ণার কথা? আসলে অক্ষম নারীর গোপন কষ্ট পুরুষতান্ত্রিকতায় , তাই আর সব অক্ষম, দূর্বলের প্রতিই তার অকৃপণ মায়া চলে আসে। দেখুন , কতবার চিঠিটা লিখতে বসে ভেবেছি এই প্রসঙ্গ আনবো না।চিঠি হবে নৈব্যক্তিক। কারণ লেখকের (বা লেখিকারও) জাত বা লিঙ্গ থাকে। লেখার না। আরণ্যকের নেই।অরণ্যের আবার লিঙ্গপরিচয় কি? তাই এই চিঠিরও এমন কোন ভেদাভেদ থাকবেনা । কিন্তু অভিমান- যার অস্তিত্ব নিজের কাছেও লুকিয়ে যাই সেই অভিযোগ হয়ে থেকে থেকে ঠেলে বের হয়ে আসে বার বার। কি করব? দোষ শুধু নারী পুরুষের সমীকরণের না। তাহলে আবার এই অন্যায্য বৈষম্যের প্রশ্নের প্রতি বড় অবিচার করা হয়ে যাবে। দোষ বলুন প্রশ্ন বলুন বা উত্তর - আসলে সবল আর দূর্বলের ব্যবধানের। তাই ধনীর বনাম দরিদ্র , সক্ষমদেহের বনাম প্রতিবন্ধিতার, সুন্দরের সাথে কুৎসিতের ,সাদা ভার্সেস কালোর, সবলের মুখোমুখি দূর্বল। বনকে উজাড় হতেই হয় কারণ লড়াইটা আসলে জঙ্গলের বিরুদ্ধে ফসলের । তাই বন্যমহিষের রক্ষাকর্তা সদয় দেবতা টাঁড়বারো বনজ অধিবাসীদের উপকথার কাল্পনিক চরিত্র হয়েই থেকে যায়।বাস্তবে এদের দেখা মেলে না।



ইতি
আপনার একজন অনামা ভক্ত পাঠিকা।

মন্তব্য ৭৬ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৭৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৮

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
বিভূতিভূষণরা আপনার মতো পাঠক পেয়ে পেয়ে কালজয়ী হয়েছেন। মাঝে মধ্যে ভাবি আমরা কি লিখে যাচ্ছি। এমোনসব চিঠি আমাদের জন্য তো কখনো লেখা হবে না ...

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: লেখক তার কাজ দিয়ে কালজয়ী হন , আমরা পাঠক পাঠিকারা স্রেফ তাদের স্তুতিই করতে পারি। গুণীকে সম্মান দিলে গুণীর মান বাড়ে না, তারা তো এমনিতেই সম্মানিত। আর আপনিও তো বেশ ভালো লেখেন। অবশ্যই অনাগতকালে আপনাদের জন্যও লেখা হবে। :)

২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩০

পুলহ বলেছেন: ১। লেখায় অসাধারণ কিছু এপিগ্রাম চোখে পড়েছে, উদাহরণ-
"...আসলে অক্ষম নারীর গোপন কষ্ট পুরুষতান্ত্রিকতায় , তাই আর সব অক্ষম, দূর্বলের প্রতিই তার অকৃপণ মায়া চলে আসে।..."
" ...লেখকের (বা লেখিকারও) জাত বা লিঙ্গ থাকে। লেখার না।"
২। কিছু কিছু জায়গা ছুয়ে গেছে স্বপ্ন, কল্পনা আর ম্যাজিক। উদাহরণ-
"...আপনি পরীদের শুধু গল্প শুনেছেন,আমি কিন্তু কল্পনার চোখে দেখতেও পেয়েছি, আবছা আলোয় তাদের ম্লান স্বচ্ছ পাখা গুটিয়ে সেরকমই কুয়াশা আর জ্যোৎস্না রঙের গড়া তাদের মসলিন ওড়না আর জামা.."
৩। আমি যদি ঠিক বুঝে থাকি- তবে নারীজীবনের চিরায়ত বঞ্চনার মেসেজ টুকুও খুব শৈল্পিকভাবে দিতে পেরেছেন।

আর সব কথার শেষ কথা- লেখাটা আমার প্রিয় কথা সাহিত্যিককে নিয়ে। সুতরাং, ভালো না লেগে আর কোথায় যায়!

অনেক শুভকামনা রইলো আপু :)

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৯

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আপনার বিস্তারিত মন্তব্যে অনেক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ পুলহ। কোন মেসেজ দেবার ইচ্ছা ছিল না, একজন প্রিয় লেখকের একটা ভালো বই পড়ে এলোমেলো যা ভেবেছি, লিখে ফেলেছি। :)

৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৯

শামছুল ইসলাম বলেছেন: বিভূতিভূষণ নেই, তার ভক্তরা আছে।

আপনার মত আমিও তার ভক্ত।

সকল ভক্তের কথা জানিনা, চিঠিটা পড়ে উনার সৃষ্টিরা যেন জীবন্ত হয়ে উঠলো।

ব্যক্তি লেখকের চাওয়া-পাওয়ার সাথে শ্রদ্ধেয় লেখক বিভূতিভূষণের লেখার সেতু বন্ধন রচনাটা বেশ সহজ ও সুন্দর হয়েছে।

//তাও আপনার অারণ্যক পড়ার পড়েই লিখতে ইচ্ছা করছে। যদিও আপনার সাথে পরিচয় আমার মেলা দিনের। সেই ছোটবেলার পথের পাঁচালির দিনগুলো থেকে।তবুও আরণ্যক পড়ার পরই এতদিনে যেন মনে হলো, আপনার সাথে আমার অবস্থার ও মনের খুব মিল।//

সেই সেতু ধরে কি অনায়াসেই পাঠককে ঘুরিয়ে নিয়ে এলেন পথের পাঁচালী হয়ে আরণ্যক- এর বন পথ ধরে নিজের জীবনের সুখ-দুঃখের কথা মিশিয়ে অনবদ্য কথামালার মধ্য দিয়ে।

// সবসময়ই আমার মনে হয়েছে বাঁধানো সুখী গৃহস্তের পথ আপনাকে বিশেষ সুখ দিতে পারেনি।আসলে সংসারে মাত্র একটা রাস্তা ছাড়া প্রতিষ্ঠা নামক শব্দের অর্থ এত সংকীর্ণ হওয়া উচিত ছিল না। পথের পাঁচালীর অপুর মধ্যেকার ভ্রাম্যমাণ অ্যাডভেঞ্চারী মনটা , পরিণত বয়সের অপরাজিতর অপুর মাঝেও হারিয়ে যায় নি। সেও অনাস্বাদিত বিকেলগুলোর অপমৃত্যুতে বিচলিত হয়। দুপুরে কুৎসিত সাদাকালো কাগজের মধ্যে থাকতে থাকতে আমারও টিউট টিউট করে ডাকতে থাকা অচিন পাখির ডাকে মন উচাটন করে। ইচ্ছে হলে জানালায় ঝুঁকে দেখতে পর্যন্ত পারি ।//

খাওয়ার জন্য গিন্নি ডাকছে, নতুবা আরোকটু বিস্তারিত লেখার ইচ্ছে ছিল।

ভাল থাকুন। সবসময়।



৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: শামছুল ভাইয়া, সচরাচর আমি ধন্যবাদ বলেই মন্তব্যের জবাব শেষ করতে পারি না, যদিনা না মন্তব্যটাও সেরকম এক দুই শব্দের হয়। কেননা, যে পড়েছে সে তার অমূল্য সময় আমার একটা লেখা কষ্ট করে পড়ার জন্য ব্যয় করেছে, আমি কেন দায়সারা এক শব্দেই উত্তর দেবার কাজ সেরে দেব? সময় করে নেয়া সেই সময়ের মধ্যেই আপনার কমেন্টের জবাবটা দিতে আরেকটু সময় নিয়ে ভাবতে হলো। অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম, সত্যি। খুব কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ ।

৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩০

অনিন্দ্য অন্তর অপু (অঅঅ) বলেছেন: অসাধারণ এক লেখা । শুভেচ্ছা

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৯

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ অনিন্দ্য। শুভেচ্ছা আপনার প্রতিও।

৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আরণ্যক নিয়ে আমার একটা চমৎকার মধুর স্মৃতি আছে|
তখন এইটে পড়ি| মা তার স্কুলের লাইব্রেরী থেকে বিভূতি রচনাবলী এনে এনে আমাকে দিতেন| আমি প্রতিদিন নিয়ম করে সকাল দুপুর রাত পাঠ্য বই না পড়ে পড়তাম|
এভাবে হাতে আসে আরণ্যক| সকালে শুরু করেছি| স্কুলের সময় হয়ে গেছে অথচ আমি বইটা থেকে উঠছি না| পড়েই যাচ্ছি| আমি তখন হয়ত কোন মাঠে অথবা জঙ্গলে পাখির ডাক শুনছিলাম| হয়ত তখন আমি ঘোড়া করে যাচ্ছিলাম এক জঙ্গল থেকে আরেকটায়|
এটা কোন রহস্যোপন্যাস নয়| অথচ হলফ করে বলতে পারি কোন রহস্যোপন্যাসও আমাকে এতটা হিপনোটাইস করতে পারেনি|
তাই হয়তো আমার নিকটা আরণ্যক|
ও সেদিনের কথা বলছিলাম| সেদিন স্কুলে গিয়েছিলাম টিফিন টাইমে| আর লিয়াকত স্যার দেখে সে কী মার| বাড়িতে বিচার এসেছিল পর্যন্ত|
আরেকদিন লিখবো এটা নিয়ে| কত কথা বলার আছে!
আপনার লেখাটাও চমৎকার| অভিনন্দন নতুন বছরের

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আরণ্যক রাখাল যার নাম তার আরণ্যক পড়ার ঘটনা তো এমনই হবার কথা!। ভালো লাগলো আপনার স্মৃতিচারণা। আমি ছোটবেলায় বই পড়তাম কাঁথার তলায় লুকিয়ে কিংবা বাথরুমে।এসএসসি পরীক্ষার মাঝের বন্ধে পাঠ্যবইয়ের বদলে ফেয়ারওয়েলে উপহার পাওয়া গল্পের বই পড়ার ফলাফল হিসেবে এ প্লাস মিস হওয়ায় সে কি অশান্তি বাসায়!

নতুন বছরের শুভেচ্ছা আপনার প্রতিও।

৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫২

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন। আপনার লেখায় চড়ে ঘুরে আসলাম খন্ড বিভূতিভূষণে। ভালো লাগা। অনেক। :)

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৯

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ দিশেহারা রাজপুত্র । :)
শুভেচ্ছা রইলো।

৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৯

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

একদম তাৎক্ষণিক আবেগ তুলে ধরেছেন!
বিভূতিভূষণ এমনই এক সমাজ চিত্রকর ছিলেন। কত নিখুঁত ছিল তার সমাজচিত্র!

উদ্ধৃতি করার মতো বেশকিছু কথা এসেছে আপনার লেখনিতে।
পুলহ আর শামছুল ইসলামের মন্তব্যে কিছু তুলে ধরা হয়েছে।

নারীর অধিকারহীনতার বিষয়টিতে স্পষ্ট আলোকপাত করেছেন।

রিভিউ লেখতে চাইলেও আরেকটি মৌলিক লেখা হয়ে গেলো :)

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১২

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: বিভূতিভূষণের তুলনা বিভূতিভূষণ নিজেই।

মইনুল ভাইয়া , অনেক দিন পরে ব্লগে আপনার মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। :)

৮| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১২

আরজু পনি বলেছেন:

আপনি বড্ড বেশি সুন্দর করে লেখেন, তনিমা ।
নিজেকে কেমন যেনো মনে হয়, মনে হয় সব ছেড়ে নির্জন ঘরেকাগজে কলমে সাধনা করি ।

অসাধারণ !
তবে আমি নিজেকে কখনো "অসূর্যস্পর্শা" শব্দটির সাথে বন্ধুত্ব করিনি বা আমার কন্যাকেও করতে দিবো না ।
:)

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৭

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আরজুপনি আপু, আপনার মন্তব্যগুলো সবসময়েই একটু বেশী পাওনা। প্রেরণা যোগায় অনেক। যদিও এত প্রশংসার যোগ্য আমি নই। আপনার মত অবশ্য আমারও ভাবতে ভালোই লাগে খালি পড়ছি আর লিখছি, জগতে আর কোন দায় নেই , কাজ নেই।অথচ, তা কি আর হয়?

আর হ্যাঁ, আপনার শেষের বাক্যটার সাথে আমি খুব সহমত। আমি নিজে তো নই-ই , নিজের কখনো মেয়ে থাকলে তাকেও সমাজের কাছে হার মানতে দিতাম না।

৯| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৫

আবু শাকিল বলেছেন: বছরের সেরা চিঠি পড়লাম ।
ধন্য আমি ।বিভূতিভূষণ বেঁচে থাকলে তিনিও ধন্য হতেন ।
বিভূতিভূষণ এর পথের পাঁচালী পড়ি নাই ।মুভিটা দেখছিলাম। কখনো কখনো মনে হয়েছে আমি ই অপু।কিছু চরিত্রে নিজেকে খোজে পাই।
সোনাবীজ ভাই আমার এক পোষ্টে বলেছেন- পথের প্যাচালির অপু কে যখন দেখি আর তখন একটা বড়দিদিকে পেতে খুব সাধ হয়, যার নাম দূর্গা।
আজকে আপনার চিঠি পড়ে সেই কথাটি ই বলতে ইচ্ছা করছে - :) আমার একটা বড়দিদি পেতে সাধ হয় ,যার নাম হবে তনিমা।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২০

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: এই বছরের সেরা চিঠি আমার লেখাটা না হলে কোন দুঃখ নেই, তবে আমার পাওয়া সেরা মন্তব্যেগুলোর মধ্যে আপনারটা তো অবশ্যই আসবে শাকিল ভাইয়া। আমার নিজের কোন ভাই নেই, এখন ভীষণ সম্মানিত ও আনন্দিত বোধ করছি একটা রেডিমেড ছোট ভাই পেয়ে । :)

১০| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



বাংলা সাহিত্যের সৌন্দর্যটা বোধ হয় এখানেই।

চমৎকার লিখেছেন। +++

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০২

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ কান্ডারি অথর্ব ভাইয়া।

ভালো থাকবেন।

১১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২০

আজমান আন্দালিব বলেছেন: দারুণ!

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০২

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আন্দালিব।

১২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৫১

গ্রিন জোন বলেছেন: সত্যি দারুণ লেখা........প্রকাশের ভঙ্গি বিভূতিভূষণের চেষ্টায়........ধন্যবাদ।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৩

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ গ্রিন জোন আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইলো। :)

১৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:০২

শ্রাবণধারা বলেছেন: বড়ই ভাল লেগে গেল গো আপু আপনার এই পত্রখানা । একটু চিন্তাও হচ্ছে একথা জেনে যে, আশেপাশে থেকে খালি ফিসফিস শুনতে পাচ্ছেন "কি করছো বোকা মেয়ে, এত অল্পেই তুষ্ট থাকলে কি হয়, জানালা দিয়ে বাইরে তাকিও না ''।

এখন কি হবে মন-ভবঘুরে আপুটার ? সবুজ বিস্তৃত প্রান্তর কিংবা উচ্ছ্বল জলরাশি কি ঢাকা পড়ে যাবে কুৎসিত সাদাকালো কাগজের মধ্যে থাকতে থাকতে? এই সমস্যার আছে কি কোন সমাধান?

প্রতিষ্ঠা নামের বিষয়টা অ্যাডভেঞ্চারী মানুষের সাথে গেলেও যেতে পারে, কিন্তু ভবঘুরে মানসের সাথে যায় না । আশার কথা এই যে, বাঙ্গালীর মননে, চরিত্রের গভীরে ভবঘুরে-পনাটা বেশ ভাল মাত্রায় আছে । আপাত বিরোধী হলেও বাঙ্গালীরা একই সাথে সংসারী আবার বৈরাগী - অপুর বাবা হরিহর রায়ের মত। অপু অবশ্য সেই অর্থে ভাগ্যবান, অপর্ণা মরে গিয়ে অপুকে বাউন্ডেলেপনা করার বিরাট সুযোগ দিয়ে যায়। নইলে তাকেও খুব সম্ভব ৯-৫ টার চাকরি, আর সন্ধ্যার পরে ছাত্র পড়ানোর কাজ করে যেতে হতো । বাঙ্গালীর ধর্ম সাধনা, শিল্প-সাহিত্য, প্রকৃতি-রহস্য পাঠের সাধনা মোটের উপর এই ভবঘুরে দর্শনজাত । আর হ্যা, একথা তো জানেনই যে দূঃখ একটা বড় শক্তি - কখনও কখনও "অসূর্যস্পর্শা" হয়ে থাকাটাও। যেটাকে আপনি বাধা হিসেবে ভাবছেন, হয়ত সেটাই সুযোগ । বদ্ধ ঘরে বসে থাকাটায় সার্থকতা নেই ঠিকই, তবে বদ্ধ ঘরে বসেও মনের জানালা খুলে দেওয়া যায়, বপন করা যায় অরণ্যের বিশালতা আর রহস্যের জাদু ।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৭

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: সুপ্রিয় শ্রাবণধারা আপু/ ভাইয়া, আমারও খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটা পেয়ে। আমার সমস্যার কোন সমাধান না হয় কালের হাতেই তোলা থাকুক। তবে হ্যাঁ, দূর্গা আর অপর্ণা দুইজনের মৃত্যুতেই খুব কষ্ট পেয়েছি। আপনি একে অপুর ভাগ্য বললেন কেন? এ তো খুব খারাপ হলো । অপর্ণাকে যতটুকু চিনি, বেঁচে থাকলে সে আর অপু মিলে বেশ একটা ভবঘুরের সংসার তৈরী করতে পারতো, শুধু ছেলেরাই কি হিমু হবে, মেয়েরা নয়? সব মেয়ে সংসারী হবেই এ সরলরৈখিক হিসাব কিন্তু সবসময় খাটে না।

আর অসূর্যস্পর্শা আমি নই, যদিও সমাজ এটাই চায় মেয়েদের বেলায় । তবু গন্ডি খুব সীমিত এটাই সত্য। এটা কোন সুযোগ নয়, সীমাবদ্ধতা। যদি ঝরঝর করে ঝরে পড়া উচ্ছ্বল ঝর্ণা না দেখতে পাই তবে এর শোভা নিয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে লিখবো কিভাবে? মেয়েদের জীবনের অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ খুব অল্প। কি জানেন, এজন্যই হয়তো নারী লেখিকাদের সংখ্যাই পুরুষের তুলনায় অনেক কম।

১৪| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৪৩

অর্বাচীন পথিক বলেছেন: মুগ্ধ হলাম চিঠি টা পড়ে সাথে কিছু টা বিচলিত ও হলাম।

মুগ্ধ হলাম চিঠির প্রতিটি কথা পড়ে। বিভূতিভূষণের যে কটা বই পড়েছি সেই গুলো পড়ে আমার কি হয়েছিল আমি জানি না, মানে ঠিক বলে বোঝাতে পারবো না কারন আমার ক্সলমের সেই ক্ষমতা নেই । তবে এটা বলা যায় মুগ্ধতায় আমি ভেসেছি।
আপনার লেখাটা পড়ে শুধু মনে হয়েছে এটা তো সেই আমার মনের কথা !!

আর বিচলিত ও হলাম এই ইবুকের যুগে আস্ত বইয়ের বড্ড অভাব এটা ভেবে। আমার হাতে এখন নতুন কোন বই নেই। তাই আর কী পুরাতন বই গুলো আবার নতুন করে পড়ছি।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৩

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অর্বাচীন পথিক,আপনার মন্তব্য পেয়ে অনেক ভালো লাগলো । অশেষ ধন্যবাদ।বিভূতিভূষণের পড়া প্রথম বই ছিল পথের পাঁচালী। অদ্ভূত ঘোরে পড়েছিলাম কিছুদিন।দূর্গার মৃত্যুতে মনে হয়েছিল খুব আপনজন কাউকে হারিয়েছি।

আস্ত বইয়ের অভাব! কি বলছেন? আমি তো খালি বই- ই দেখি, অভাব শুধু পকেটের আর কিনে পড়বার মানসিকতার। যা হোক ধার করে হোক , নেটে ইবুক হোক পড়ার অভ্যাস থাকুক বেঁচে।

১৫| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৭

শামছুল ইসলাম বলেছেন: বইয়ের পাতে উল্টো পড়তে এখনো আমার ভাল লাগে।

তেলাপোকার আক্রমণে আমার কিছু বইয়ের বেহাল দশা হবার পর থেকে গত শুক্রবারে বইয়ের র‍্যাকটা ঝাড়া-মোছা করলাম।
আমার এ আকস্মিক পরিবর্তন দেখে গিন্নি ব্যাপক খুশি !!!

আপনার পোস্টটার পড়ার পর বিভূতিভূষণ সমগ্রটা নিয়ে আবার বসেছিলাম, আশা করি আগামী এক মাসে সব বাদ দিয়ে বইটা শেষ করব।

ভাল থাকুন। সবসময়।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৯

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আমারও বইয়ের পাতা উল্টে পড়তে খুব ভালো লাগে।বিশেষত নতুন বইয়ের পাতার গন্ধ সুখাদ্যের সুবাসের কাছাকাছি প্রিয়! অনলাইনে এভাবে তারিয়ে তাড়িয়ে পড়ার আবেশ কোথায়? আপনার গিন্নিকে আমার সালাম। আশা করি আপনার ছেলেটিও এই পাঠ্যাভ্যাস ও বইয়ের প্রতি ভালোবাসা পাবে উত্তরাধিকার সূত্রে।

ভালো থাকবেন আপনিও।

১৬| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৬

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: চমৎকার। অনবদ্য। চাকরি নিয়ে আমার মনের কথাটা উঠে এসেছে আপনার মন হয়ে। সুযোগের অপেক্ষায় আছি কবে চাকরি ছেড়ে দিতে পারি। তবে প্রথম সুযোগেই যে ছাড়ব তাতে আমার কোনো সন্দেহ নাই।

শুভেচ্ছা।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩২

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ অলওয়েজ ড্রিম। চাকরি নিয়ে বিরক্তি সারাজীবন কাজ করলেও দূর হবে বলে মনে হয় না। ফ্রিল্যান্সে কিছু করার প্রথম সুযোগেই বাই বাই জানিয়ে দেব, ঠিক। তবু এটাও ঠিক ঘরের কোণে বসে জীবনকে দেখা যায় না। আমার সীমিত গন্ডিতে চাকরিই অভিজ্ঞতা অর্জনের একমাত্র সুযোগ। সেজন্য একটু কৃতজ্ঞতাও আছে।

১৭| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৪

সুলতানা রহমান বলেছেন: বইটা পড়া হয়নি। আমি যেখানে থাকি সেখান থেকে কোন বই সংগ্রহ করা সহজ নয়। আপনার লিখা অনেক ভাল লেগেছে।
আমারো মাঝে মাঝে আমার জায়গা ভাল লাগেনা।আরো ভাল কিছু পেতে ইচ্ছে করে।++

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৬

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: সুলতানা আপু, আপনি কি দেশের বাইরে থাকেন? সেক্ষেত্রে নেটে চেষ্টা করে দেখতে পারেন। লেখা ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ। প্রায় সব মানুষই মাঝে মাঝে নিজের বরাদ্ধ জায়গা থেকে ভিন্নতা পেতে চায়, এটা স্বাভাবিক। ভালো থাকবেন যেখানেই থাকুন।

১৮| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩১

আলোরিকা বলেছেন: ' টাকা যতই বাড়ে সকালের প্রথম কিরণটা মুঠোবন্দি করা ততই দূর্মুল্য হয়ে যায়। তাই বই নামক বন্ধুর সাথেই আমি ঘুরতে শুরু করি। অভ্যাসটা আগেও ছিল, এখন নিরুপায় অবস্থায় আরো প্রবলতর হয়েছে। আর অভ্যাসটা ব্যাকটেডেট মানুষের, তাই আপনার মত সেকেলে একজন লোকের কাছেই লিখছি।তাও আপনার অারণ্যক পড়ার পড়েই লিখতে ইচ্ছা করছে। যদিও আপনার সাথে পরিচয় আমার মেলা দিনের। ' - খুব সুন্দর করে লিখেছেন আপু ! ভাগ্যিস এসব ব্যাকডেটেট মানুষ ছিল এবং এখনও কিছু আছেন । তা না হলে এই ইট পাথরের যান্ত্রিক সভ্যতায় কোথায় পেতাম বন - বাদাড় ,পাহাড় আর সমুদ্রকে চেনা এমন উদ্দাম জীবনবোধ ! :)

অপু - দুর্গার সাথে আমার পরিচয় এক্কেবারে ছোট বেলায় । মনে আছে দুর্গার মৃত্যুতে কেঁদে বুক ভাসিয়েছিলাম । এটা আমার দ্বিতীয় বই যা আমাকে কাঁদিয়েছিল - প্রথম ছিল কুৎসিত হাঁসের ছানা । এরপর একে একে পড়া , অপরাজিত , আরণ্যক , চাঁদের পাহাড় ............. কিন্তু অপু - দুর্গার সেই উদ্দাম , প্রকৃতি সংলগ্ন জীবন আমাকে সব সময়ই হাতছানি দেয় ।

অনেক ভাল থাকুন । শুভ নববর্ষ :)

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৯

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: সুপ্রিয় আলোরিকা আপু, শুরুতেই ধন্যবাদ এমন বিস্তারিত ও সুন্দর একটা কমেন্টের জন্য।

অপু দূর্গার সাথে আমারও পরিচয় ছোটবেলাতেই।বই খোলার আগে তেমন আকর্ষণ পাইনি কিন্তু কভার উল্টাতেই প্রথম পৃষ্ঠা থেকে কেবল মুগ্ধতা আর মুগ্ধতা। দূর্গার জন্য কি যে কষ্ট পেয়েছিলাম।

ভালো থাকবেন আপনিও। নতুন বছর শুভ হোক।

১৯| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩০

হাসান মাহবুব বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর!

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২০

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অজস্র ধন্যবাদ হাসান ভাইয়া।

২০| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৬

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: মুগ্ধ হয়ে পড়লাম।

বিভূতিভূষণ এর পথের পাঁচালী আমাকে বার বারই টানে। কতবার যে পড়েছি তার হিসাব নেই।

নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইল।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২২

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: হুম , বাংলাতে পথের পাঁচালীর তুলনা সম্ভবত পথের পাঁচালীই। অনেক বার পড়েছি আরও অনেক বারই হয়তো পড়া হবে। মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ রুহী আপু। নববর্ষের শুভেচ্ছা আপনার প্রতিও। :)

২১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১০

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: অন্ধবিন্দু বলেছেন:
বিভূতিভূষণরা আপনার মতো পাঠক পেয়ে পেয়ে কালজয়ী হয়েছেন। মাঝে মধ্যে ভাবি আমরা কি লিখে যাচ্ছি। এমোনসব চিঠি আমাদের জন্য তো কখনো লেখা হবে না ...


+++

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৩

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: জহিরুল ভাইয়া, আপনার মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগলো , অনেক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ ।

২২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৬

জুন বলেছেন: প্রিয় লেখককে নিয়ে চিঠি দারুন লাগলো তনিমা । পথের পাচালী আর অপরাজিত তো মুখস্থ কিন্ত তার লেখা চাদের পাহাড় যে কি অসম্ভব ভালোলেগেছিল বা এখনো লাগে তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না ।।
চিঠি মনে দাগ কেটে গেল ।
+

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৯

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: জুনাপু, বিভূতিভূষণের বই মানেই আসলে বিশেষ কিছু। পথের পাঁচালী আর অপরাজিত খুব প্রিয় দুটি বই। চাঁদের পাহাড় অন্যরকম এক অ্যাডভেঞ্চারের স্বাদ দিয়েছিল। আপু, আপনার মন্তব্যে অনেক প্রেরণা পেলাম । অজস্র ধন্যবাদ ও শুভকামনা।

২৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৮

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: প্রিয় লেখক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আপাতত বলব অসম্ভব সুন্দর একটি লেখা পাঠ করলাম...

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩০

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আমারও খুব প্রিয় বিভূতিভূষণ। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ রুদ্র।

২৪| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৯

ফেলুদার তোপসে বলেছেন: " আমার কিন্তু অরণ্য ভালো লাগে না"- অরণ্য ভালো না লাগলে যে বিভূতিভূষন'কে ও ভালো লাগবে না আপনার ।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩২

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: কিন্তু ভালো তো লাগলো তোপসে। ভালো লেখিয়ের বৈশিষ্ট্যই এই যা পাঠক পাঠিকার ভালো লাগে না তাও তারা ভালো লাগিয়ে ছাড়তে পারেন।

২৫| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩০

ফেলুদার তোপসে বলেছেন: " আমার কিন্তু অরণ্য ভালো লাগে না"- অরণ্য ভালো না লাগলে যে বিভূতিভূষন'কে ও ভালো লাগবে না আপনার ।

২৬| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৫

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: পড়ে ভালো লাগলো

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩২

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মাসুম।

২৭| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫২

দীপংকর চন্দ বলেছেন: মুগ্ধপাঠ!!!

প্রিয়তে।

অনিঃশেষ শুভকামনা সুলেখক।

নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৩

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: প্রিয়তে নেয়ায় খুব সম্মানিত ও কৃতজ্ঞ বোধ করছি। অজস্র শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ চন্দ ভাই।

২৮| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫২

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অসাধারণ! ভাল লাগল । নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইল।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৪

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম খুব । ধন্যবাদ ও নতুন বছরের শুভেচ্ছা সুজন।

২৯| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪৩

অগ্নি সারথি বলেছেন: বিভূতিভূষণ আমারো বেশ লাগে। শুভকামনা।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৫

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ধন্যবাদ অগ্নি সারথি ভাইয়া মন্তব্যের জন্য। অযুত শুভকামনা আপনার প্রতিও। :)

৩০| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৪

আমি তুমি আমরা বলেছেন: বিভূতিভূষণ পড়া হয়নি।এবার মনে হয় শুরু করা দরকার।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৬

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: হুম শুরু করে দেন আমি তুমি আমরা। ভালো জিনিস মিস করার কোন মানেই হয় না।

৩১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:১৩

ফুয়াদ আল আবীর বলেছেন: যে বিভূতিভূষণ আমাদের নিয়ে গেছেন আফ্রিকায়, সম্ভবত উড়িষ্‌যার কোনো অরণ্‌যে, তিনি কিনা কখনও কলকাতারই বাইরে যান নি! আরণ্‌যকের রিভিউ এর চে' ভালো হতে পারে না...!

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: সত্যি ফুয়াদ ভাইয়া, বিভূতিভূষণের লেখাগুলো পড়ে মনেই হয় না উনি যেসব জায়গার কথা লিখেছেন সেখানে যাননি।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ রইলো।

৩২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৯

বৃতি বলেছেন: একজন পাঠিকার চোখ দিয়ে প্রিয় লেখকের প্রিয় লেখাটিকে আবার দেখলাম। বেশ ভালো লেগেছে। নতুন বছরের শুভেচ্ছা, তনিমা :)

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৯

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ভালো লেগেছে জেনে খুব আনন্দিত হলাম বৃতি আপু। কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইলো আপনার প্রতিও। :)

৩৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১০

লেখোয়াড়. বলেছেন:
মর্মকথা!!

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪০

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মানে??!!!

৩৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: "ফুয়াদ আল আবীর বলেছেন: যে বিভূতিভূষণ আমাদের নিয়ে গেছেন আফ্রিকায়, সম্ভবত উড়িষ্‌যার কোনো অরণ্‌যে, তিনি কিনা কখনও কলকাতারই বাইরে যান নি!"

না তো ভাই !!! তার পথের পাচালী উড়িষ্যার অরণ্যে বসেই লেখা, কিন্তু আরণ্যক লিখেছেন কলকাতায় বসে । তিনি আফ্রিকায় জাননি সত্যি কিন্তু ভারতবর্ষে প্রচুর ঘোরাঘুরি করেছেন ।

৩৫| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৪

এহসান সাবির বলেছেন: ইংরেজী নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অযুত শুভেচ্ছা রইলো আপনার প্রতিও সাবির ভাইয়া, ভালো থাকবেন।

৩৬| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২২

আহমেদ জী এস বলেছেন: রেজওয়ানা আলী তনিমা ,



অনবদ্য ষ্টাইলে এক আরণ্যক পথের পাঁচালীর ঘোর লাগিয়ে গেলেন । উৎকৃষ্ট সাহিত্যের চেয়েও চিঠিতে ব্রীড়াময় অনেক ঋদ্ধ সাহিত্যের দেখা যে মেলে , এ লেখাটি তার স্বাক্ষী হয়ে থাকবে ।

ঠিকই লিখেছেন - লড়াইটা আসলে জঙ্গলের বিরুদ্ধে ফসলের ।
অপুষ্টিতে, অরূচিতে ভোগা ব্লগীয় সাহিত্যের জঙ্গলের বিরূদ্ধে আপনি এই লেখায় যেন শুদ্ধতম বিজন ফসলের লড়াই লড়ে গেলেন ।

অপুর মতো অবাক বিস্ময়ে শুধু তাকিয়ে রইলুম এই চিঠির বুননিতে ।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৬

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: সুপ্রিয় আহমেদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর মন্তব্যে অনেক প্রেরণা পেলাম। এত প্রশংসার যোগ্য যদিও নই। অনেক কিছু শেখার আছে। প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছি শেখার।

ভালো থাকবেন। অনেক ধন্যবাদ ।

৩৭| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪১

সুমন কর বলেছেন: আমি আর কি বলব, এতো সুন্দর করে লিখেছেন ভাষাই হারিয়ে ফেলেছি !!

বিভূতিভূষণ কম পড়েছি। কিন্তু মনে হলো আপনার চিঠিতে উনি পুরোটাই চলে এসেছে।

২০১৬ সালের প্রথম বেস্ট পোস্ট পড়লাম।

+।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: বিভূতিভূষণের সব বই আমারও পড়া হয়নি। আরণ্যক শেষ করে মনে হচ্ছে খুব মিস হয়ে গিয়েছে।
আপনার মন্তব্যের জন্য অজস্র ধন্যবাদ রইলো সুমন কর ভাইয়া।

৩৮| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৬

কিরমানী লিটন বলেছেন: ভীষণ ছুঁয়ে যাওয়া, গভীর বোধের মুগ্ধ অনুবাদ- অভিভুত !!! সত্যিই অসাধারণ !!!
আমিও বিভূতিভূষণের একনিষ্ঠ ভক্ত, পথের পাঁচালীর অপুই জীবনের প্রথম নায়ক- সেটা আজও অম্লান! অনেক অনেক শুভকামনা প্রিয় রেজওয়ানা আলী তনিমা আপুকে। নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানবেন ...

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৯

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ লিটন ভাইয়া এতো সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য। নতুন বছরশুরুর শুভেচ্ছা থাকলো আপনার প্রতিও।

৩৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৯

রাইসুল ইসলাম রাণা বলেছেন: আপনার দেখি চরিত্রগুলা ভালোই মনে থাকে,আমার থাকেন না! স্মৃতিশক্তি খুব কমের জন্যে। আমি যার সবগুলা বই পড়তে চাই তিনিই বিভূতিভূষণ।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২২

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: হুম , খুব প্রিয় যে তাই মনে থাকে । কষ্ট করে মনে রাখা লাগে না মনে লাগা জিনিস। বিশেষ করে পথের পাঁচালীটা কতবার পড়েছি, ভাগ্য থাকলে আরও কতবার পড়বো..

ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.