নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইচ্ছাঘুড়ির অবাধ আকাশ www.facebook.com/RezwanaAliTanima

রেজওয়ানা আলী তনিমা

বনমুরগী পোষ মানে না.......

রেজওয়ানা আলী তনিমা › বিস্তারিত পোস্টঃ

উল্লাস ও ভ্রান্তিবিলাস

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২২

টিচার শব্দের একটা ইলাবোরেশন পেয়েছি। TEACHER , T-Terrific, E-Energetic, A- Able, C - Cheerful, H- Hardworking, E- Enthusiastic, R- Remarkable। জীবনে অতীতে তাকিয়ে তন্ন তন্ন করে খুঁজলাম। এরকম কোন শিক্ষক কি পেয়েছি যার সাথে এই বৈশিষ্ট্যগুলোর সবগুলোই পাওয়া যায়? স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় আর বিশ্ববিদ্যালয় উত্তর সব পর্যায় পার করে এসে শুধু একজনের কথা মনে পড়লো। আমাদের মামুন স্যার। না,তিনি কোন স্কুল কলেজ ভার্সিটির শিক্ষক ছিলেন না। ছিলেন আমাদের কোচিং ক্লাসের শিক্ষক! খুব মেধাবী ছিলেন , ফার্স্টক্লাস পেয়েছিলেন, তবু প্রথাগত প্রতিষ্ঠানে ঢোকেন নি , ঢুকবেনই বা কেন? প্রাইভেট পড়ালে অনেক গুণ বেশি ইনকাম হয়।বিশেষত যখন উনার ক্লাসে ব্যাচকে ব্যাচ তিল ধারণের জায়গা থাকতো না।-অবশ্যই এটা একটা অনুমান , ভুল হতেও পারে। হয়ত তাঁর অন্য কোন কারণ ছিল। তবু সিগনিফিকেন্ট ব্যাপার আমার কাছে এটাই যে, এত এত শিক্ষক শিক্ষিকার কাছে জীবনে পড়লাম আদর্শ শিক্ষকের বৈশিষ্ট্য কিনা পেলাম কোচিং ক্লাসে পাঠদানকারী শিক্ষকের কাছে! এটাও অবশ্য আমি অস্বীকার করবো না, যে শিক্ষক তিনি যেখানেরই হোন , তার প্রতি আমার পূর্ণ শ্রদ্ধাবোধ আছে। পড়াশোনা কোন কালেই ভালো লাগতো না, বেশি পড়তাম না। খুব উপভোগ্য মামুন স্যারের ক্লাসগুলোতে কিন্তু আমার ক্লাসেই শেখা হয়ে যেত, তাও আনন্দের সঙ্গেই। এমনিতে আমি খুব মুখচোরা, আগবাড়িয়ে বলা তো দূরের কথা, জিজ্ঞেস করলে অনেকসময় পারা জিনিসও বলতে থতমত খেয়ে যাই। কিন্তু ইনার ক্লাসে আনন্দ নিয়ে পড়া বলার জন্য হাত তুলতাম আর সবার আগে।উনি পড়াতেন কেমেস্ট্রি। পরীক্ষার আগে একসময় ভুলে সেকেন্ড পেপারের প্রিপারেশন নিয়ে ফেলি ফার্স্টের বদলে তবু যে এ প্লাস মার্ক পাই তার কারণ তার ভালো পড়ানো, আমার নিজের কোন কৃতিত্বই ছিল না।


তখন বয়স কত হবে- বারো সম্ভবত।একবার বই দিতে বেশ দেরি হলো। অনেকে আগের বছরের বই নিয়ে পড়া শুরু করলো।আমরা চাতক পাখির মত তাকিয়ে থাকলাম কবে বই আসবে। আমি পত্রিকার চিঠিপত্র বিভাগে একটি জ্বালাময়ী পত্র লিখলাম আমাদের বই না পাওয়ার কথা নিয়ে। খুব কাঁচা হাতের বেশ বড় চিঠি তবু খুব অবাক করে দিয়ে চিঠিটা আসলেই ছাপা হয়ে গেল। লিখেছিলাম খুব লুকিয়ে লুকিয়ে, রাতের অন্ধকারে দরজা বন্ধ করে, ছাপা হবার পরে সবাইকে মহা গর্ব নিয়ে দেখাতে লাগলাম।ভাবটা এমন, না জানি কি বিশাল কাজ করে ফেলেছি! সবাই খুব উৎসাহ দিলো। কিছুদিনের মধ্যে আসলেই বই দেয়া হলো স্কুলে ।বাড়িতে পড়াতে আসতেন জাকারিয়া হুজুর , তিনি আমাকে নগরীর মশা সমস্যা নিয়ে লিখতে বললেন! কি সরল সেই দিনগুলো, মনে হতো লিখলে বুঝি আসলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়! যেমন করে আমাদের পিতামাতার কাছে সমস্যা জানাবার অপেক্ষা মাত্র, ব্যস মুসকিল আসান। কিন্তু নগরপিতারা আসলে মোটেই অত দয়াশীল নন।

এবার ঠিক বছর শুরুর দিনেই বই পেয়েছে শিশুরা। খুব আনন্দের কথা। আমাদের মত সময় নষ্ট করার প্রক্রিয়ায় ওদের যেতে হলো না। তবে ভাবছি অন্তত শুক্রবারটায় না দিলে কি হতো না? কি হতো যদি সাপ্তাহিক ছুটির দিনটা ওদের ছুটির জন্যই ছেড়ে দেয়া হতো?
খুব ছেলেমানুষী ভাবনা, তাই না? কি করবো? আমি যে দিব্যি মনের চোখে দেখতে পাচ্ছি বইগুলো নিয়ে ওরা বাড়িতে যাবার সাথে সাথে গার্জেনদের ব্যস্ততা শুরু হয়ে যাবে। কার্টুন চ্যানেলের উপর নিষেধাজ্ঞা নেমে আসবে। কোচিং , টিউটরের যাওয়া আসার পালা শুরু হয়ে যাবে। বছরের প্রথম দিন থেকে বাচ্চাগুলোর উপর চাপের রোলার কোস্টার চালানো আরম্ভ হয়ে যাবে।

আমার খুব মনে আছে, প্রথম যখন বই পেতাম, কি ভালো লাগতো নতুন বইয়ের পাতার ঘ্রাণ।অন্য বইয়ে আমার আগ্রহ ছিলো না, শুধু বাংলা বইটার গল্পগুলো সেদিন সেদিনই পড়ে শেষ করে ফেলতাম। তারপরে সহপাঠ। বইয়ের ছাপানো আমাদের দেশে সবসময় নিন্মমানেরই, অবহেলার, কাগজ বাজে, তাতে রং রস কিছু নেই। ছবিতে সহজ করে উপস্থাপনের , বাচ্চাগুলোর মন ভোলানোর, আকৃষ্ট করার মতো প্রায় কিছুই নেই। কঠমঠে বাক্য, শুধু নীরস শিক্ষণীয় বিষয়, কাজের কথা।তবু সেই নিন্মমানের হেলাফেলায় বাঁধানো বইতে একটা স্পট থাকলেও মন খারাপ হয়ে যেত। আগেই বলেছি, আমার আগ্রহ মূলত গল্প অংশটার প্রতিই ছিল।তবু যেই উৎসাহ নিয়ে প্রথম তার সাথে পরিচয় হতো, যখন ধারালো করে চুলচেরা কাটাছেঁড়া বিশ্লেষণের জন্য সেই গল্পগুলোরই লাইন তুলে দিয়ে বলা হতো, আলোচনা কর বা ব্যাখা কর, তখন আগের উৎসাহ আনন্দের লেশমাত্রও আর অবশিষ্ট থাকতো না। শিক্ষাগ্রহন একটি পরিশ্রমের বিষয় কিন্তু আমাদের দেশে এটা জোর করে একটি প্রাণান্তকর কষ্টের বিষয় করে ফেলা হয়েছে।

শীতের রাতে আমার পড়শী নিশুরা ভাই বোন মিলে ব্যাডমিন্টন খেলে,আরো অনেকেই খেলে। হাঁটতে বার হয়ে চোখে পরে কোর্ট কাটা, লাইট জ্বলছে , তার মধ্যে চঞ্চল শিশু কিশোরদের ছোটাছুটি।খুব ভালো লাগে। দুএকদিন থেকে আর নিশুকে দেখা যাচ্ছেনা কোর্টে ।তবে গাড়িতে দেখা যায়। কোচিং ক্লাসের আসা যাওয়ার ফাঁকে।শীতে অনেকের বাড়িতে আজকাল আর পিঠা হয়না, পরিবারের সবাই মিলে দলবেঁধে একসাথে সকালগুলোতে গল্পগুজব করে খাওয়ার আয়োজনের তো প্রশ্নই ওঠে না। কারোর বেশী ইচ্ছা লাগলে দোকান থেকে কিনে খায়। সেটা বাণিজ্যিক ফাঁকিবাজি পিঠা। মা যেমন পাটিসাপটা করেন, তাতে পুরু করে ক্ষীর দেয়া থাকে, ভাপা পিঠাগুলো তো এতো বড় হয় একটা খেতেই কষ্ট হয়, পেট ভরে যায়।দোকানের পিঠাগুলোতে পাটিসাপটায় পুর এত চিকন যে কিসের তৈরী তা-ই ভালো করে বুঝতে পারিনা। চিতই , ভাপা পিঠা গুলোর সাইজ ছোট ছোট । কয়েকটা খেয়ে ফেলা যায় একবসায়।এযুগে মায়েদের সময় নেই বানানোর,বাচ্চাকে নিয়ে স্কুল আর শিক্ষকের বাসায় দৌড়াচ্ছেন। বাবারা হয়ে গিয়েছেন সাংসারিক টাকা কামানোর মেশিন, বিশেষ করে বলতে গেলে সন্তানের পড়ারখরচ আয়ের।একার উপার্জনেও তা কুলাচ্ছে না, যোগান বাড়াতে মায়েরাও কাজে নেমেছেন। দশ বিশ হাজার টাকা প্রাইভেটে টিউটরের পিছনে যাওয়া কোন ব্যাপারই না। আর শিশুরা? তাদের ক্ষুদ্র অবসরে হাতে ট্যাব ধরিয়ে দিলই তারা খুশি। শিশুরা সচরাচর খুব অল্পেই খুশি হয়ে যায়। তাই তাদেরকে অভিভাবক, এই আধুনিক বাস্তববাদী নিষ্ঠুর সমাজ , বিশ্ব এত সহজেই ভুলিয়ে ফেলে। তারা জানতেই পারে না দুরন্ত শৈশব কি জিনিস, তা হারানো জন্য দুঃখ করার প্রশ্ন তাই সেখানে অবান্তর। ছোটবেলায় মা যখন নীরব দুপুর আর বিকেলের সন্ধিক্ষণটায় ঘুম পাড়াতে চাইতেন জোর করে -আমার জানালা গলিয়ে পালিয়ে খেলতে যাবার সময়গুলোর কথা, কষা কাঁচা কাঁচা পেয়ারা বরই ছিঁড়ে খেয়ে শেষ করে ফেলা আর কেউ শেষ করার আগেই, পড়ে গিয়ে ব্যাথা পাওয়া, আবার সেটা লুকিয়ে ফেলা, টের পেলে আর আসতে দেবে না- কত বাঁদরামী, দুষ্টামীর ইতিহাস ।মনে পড়ে এখনকার বাচ্চাদের জন্য লম্বা জীবন কাটিয়ে ফেলা বুড়ো মানুষের মত একটা দীর্ঘশ্বাস বের হয়। যদিও বয়সের হিসেবে এখনও আমকে তরুণী বলা যায় কোনমতে , তবু আজকাল যেখানে শিশুরাই বুড়িয়ে যাচ্ছে বা যেতে বাধ্য করা হচ্ছে সেখানে আমরা কোন ছাড়?

যে শিশুগুলির চমৎকার হাসি মুখ পত্রিকায় পাতায় এসেছে তা কি স্বতঃস্ফূর্ত নাকি তার আড়ালে শৈশব হারানোর বেদনাও মিশে আছে? সন্দেহ সন্দেহ লাগে।

প্রায়ই প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে সমানে।এতই স্বাভাবিক আজকাল যে কোনটার প্রশ্ন আউট হয়নি জানলে অবাক আর অবিশ্বাস্য লাগে। কেউ আজকাল গোল্ডেন পেয়েছে জানলে সন্দেহ হয় সত্যি, অথেনটিক তো ? নাকি আগেই প্রশ্ন পেয়েছে বলে! একেবারে ছোট বাচ্চা মানুষ গুলো জীবনের শুরুতেই কি বিপর্যয়ের মুখে পড়ছে।জেএসসি, জেডিসি পিএসসির রেজাল্ট দিয়েছে। যারা এ প্লাস/ জিপিএ ফাইভ পায়নি , তাদের জীবনে গঞ্জনার শেষ নেই।অফিসের সামিয়া আপুর ভাইয়ের শুধু অংক মিস হয়েছে, মুখ কালো। বাকি সবগুলোয় যে সে সর্বোচ্চ গ্রেড পেয়েছে তার কোন তারিফ নেই। আবার অ্যানি খালার ছেলেটি পেয়েছে সবগুলোতেই। তবু কেউ নিশ্চিত নই , সন্তুষ্ট নই।কি হবে ভবিষ্যতে? কারণ কত পাচ্ছে। ভুরি ভুরি। একটা পরীক্ষা শেষ হতেই এমনকি সফল হলেও আমরা তা উদযাপনের চেয়ে আবার আরেকটা টার্গেটে নাক মুখ গুজে ঝাঁপিয়ে পড়ি। অথচ কেন এত কষ্ট, ভাবনা? ভার্সিটিতে সবচেয়ে নিচের গ্রেড পাওয়াদের মধ্যে ছিল আমার দুটি বান্ধবী অরিন আর সূচি। আজ ওরা বিসিএস ক্যাডার। মিতালী আপু- উনার গ্রেডও বেশ খারাপ ছিলো , ৪ এর স্কেলে ৩ এরও নিচে। তিনি দেশের বাইরে পড়ে এসেছেন, ভালো চাকরিতে চমৎকার কাজ করছেন, পিএইচডি করার জন্য আবার যাবেন। এরকম আরো অনেক আছে আশেপাশে যারা খারাপ ফল করেও উপরে উঠতে পেরেছে। তবে কেন আমরা শিশু, কিশোরদের স্বপ্নমাখা দিনগুলো ছিনিয়ে নিচ্ছি? থাকুক না , ধুলাকাদা মেখে আরো কিছুদিন জীবনের রং গুলোকে চিনে নিক। না হয়, কটা পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপই হলো। জীবনের বড় পরীক্ষায় পাস ফেল নির্ণয় করে দেবার সাধ্য কি এই সব অতি নগণ্য মূল্যায়ন টেস্টের?

আমাদের দেশে শিশুদের পড়া, পাঠ্যবিষয়, পরীক্ষা পদ্ধতি ও ব্যব্যস্থাপনা থেকে শুরু করে বড়দেরটা- কোথাও আশার আলো নেই। এখন ভার্সিটি গুলোতে পর্যন্ত একে একে পুনরায় পরীক্ষা দেবার সিস্টেম তুলে দেয়া হচ্ছে। অতএব যারা একবার পা পিছলে পড়বে কোনকারণে তার আর ঘুরে দাঁড়াবার কোন জো নেই। যত যুক্তিই দেয়া হোক , ব্যাপারটা ভাবতেই নৈরাশ্য বোধ হয়। একারণেই আমাদের দেশে একবার যার ঘাড়ে কোন ব্যর্থতার দায় চাপে যে তাকে উপরে টেনে তোলার বদলে বাতিল বলে ঘোষণা করে আরও নিচে চাপা দিতেই আমরা ব্যস্ত হয়ে পড়ি। মাঝে মাঝে এর মধ্যে থেকে অদম্য কিছু ছেলেমেয়ে বিশ্ব দরবারে জায়গা করে নিচ্ছে। আমরা খুব বাহবা দিয়ে ভাবছি, সব ঠিক আছে তাহলে।না হলে -এরা তো আমাদেরই শিক্ষাব্যবস্থা থেকেই উঠে এসেছে, কেমন করে পারলো যদি গলদ থাকতোই? আসল কথা হলো, মরিয়া এই ছেলেমেয়েগুলো আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার জোরে না, নিজের মনের তাগিদে উঠে এসেছে। আমাদের সৃজনশীল সহ প্রচলিত সব শিক্ষাব্যবস্থার প্রথম কাজই হল, শিক্ষার্থীদের নিজের অন্তর্নিহিত সৃষ্টিশীলতাকে মেরে ফেলা,স্বপ্ন দেখা ,নিজের মতো নিজে কিছু করে দেখাবার ইচ্ছাকে খতম করে দেয়া। মাননীয় শিক্ষাব্যবসায়ীরা ঐ সব গুটিকয় সফল মুখ দেখে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলতে চান তো তুলতে পারেন। তবে এছাড়া কাজের কাজ আর কিছুই হবে না। একটু উজ্জ্বল হয়ে ফুটে উঠলেই আমাদের শ্রেষ্ঠ মেধাবী ফুলের মত মুখগুলো চলে যাবে দেশের বাইরে, বেশীরভাগই। তাদের মেধায় বিশ্ব আলোকিত হবে ,আমরা রইবো সেই অন্ধকারে।কারণ আলোর উৎসটা থাকবে দূরে ,চোখের আড়ালে।যে চাষীর ছেলেটি কোনমতে জমিজমা বেচে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডি পেরিয়েছে , যে গৃহপরিচারিকা মায়ের মেয়েটি ধারকর্জ করে কোনমতে হয়তো এইচএসসি পর্যন্ত পড়েছে , তারপর আর পারেনি , বিয়ে হয়ে গেছে, যে মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান শ'খানেক জুতার তলা খইয়ে কোনমতে শুধু একটি কেরানির চাকরি বাগাতে পেরেছে, তারাই আসলে দেশের ভবিষ্যত।এদের যদি য্থার্থ মানুষ সম্পদ করে তোলা যায় তবেই দেশ আগাবে।

মন্তব্য ৫৮ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৫৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৮

লেখোয়াড়. বলেছেন:
গুড পোস্ট।
+++++++

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১১

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: এতগুলো প্লাসের জন্য ধন্যবাদ লেখোয়াড়. । :)

২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৫

শূণ্য মাত্রিক বলেছেন: ছেলেবেলার কিছু কথা মনে পড়ে গেল। সাথে কাল ছোট ভাইয়ের টেবিলে রাখা একদম নতুন কিছু বইয়ের স্তুপের কথাও মনে পড়ে গেল। ওরা কত তাড়াতাড়ি বই পাচ্ছে, তাও নতুন। আমাদেরকে প্রাই স্কুলে নতুন পুরোনো মিশিয়ে বই দেওয়া হত।
যাই হোক, অসাধারন লিখেছেন।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৩

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আগেকার সবার ছোটবেলাই কমবেশী একরকম। তবে এখন যে বই ঠিক সময়ে দেয়া হচ্ছে এজন্য অবশ্যই কর্তৃপক্ষকে সাধুবাদ দিতে হবে। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ শূণ্য মাত্রিক।

৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৯

প্রামানিক বলেছেন: পোষ্ট পড়ে ভাল লাগল। শিক্ষা নিয়ে লেখা সুন্দর পোষ্ট। ধন্যবাদ

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৪

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: পোস্ট ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রামানিক।

৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন !

একেবারে ভেতর থেকে খুটে আনা অনুভব!

আর শিশুরা? তাদের ক্ষুদ্র অবসরে হাতে ট্যাব ধরিয়ে দিলই তারা খুশি। শিশুরা সচরাচর খুব অল্পেই খুশি হয়ে যায়। তাই তাদেরকে অভিভাবক, এই আধুনিক বাস্তববাদী নিষ্ঠুর সমাজ , বিশ্ব এত সহজেই ভুলিয়ে ফেলে। তারা জানতেই পারে না দুরন্ত শৈশব কি জিনিস!
কর্পোরেট ছোঁয়ায় সবই যখন মেকি..!
অন্ধ ইদুর দৌড়ে উন্মাদ সকলে..
শিশুর দিকে তাকানো সেও যেন কর্পোরেট ষ্টাইলেই!

এক বস্তা চাহিদা আর চাহিদা!
করুন কষ্টের এক জেনারেশন তৈরী হচ্ছে! কে জানে তাদের মোনজগতের এই বৈকল্য বড় হয়ে কিভাবে প্রকাশিত হবে!

ইয়ে দৌলত ভি লেলো ইয়ে সোহরভি লেলো
ভালে ছিনলো মুজছে মেরি জাওয়ানী
মাগার মুজকো লটাদো বচপনকা শ্রাবন
ও কাগজকি কাস্তি ও বারিষ কা পানি........... এই আক্ষেপেই কি যাবে জীবন!!!????

++++

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩১

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: সুন্দর ও বিস্তারিত একটা মন্তব্যের জন্য অজস্র ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃগু।এখনকার ছোটদেরকে দেখলে আসলেই খুব কষ্ট হয়। কিভাবে অনাদৃত চলে যাচ্ছে সুন্দর সময়....

৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৬

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ঢাকাবাসী ভাইয়া।

৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: যারা উঠে আসে, তারা শিক্ষাব্যবস্থার জোরে নয়, বরঞ্চ শিক্ষাব্যবস্থার সাথে যুদ্ধ করে উঠে আসে।

ভাল লিখেছেন। এতগুলো পাব্লিক পরিক্ষার কি দরকার? কি দরকার এত চাপের? সারাদিন বইয়ের সামনে চেপে ধরে রাখার?

এরা যে বিতৃষ্ণা নিয়ে বড় হবে তা কিভাবে দূর করব আমরা?

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: যারা উঠে আসে, তারা শিক্ষাব্যবস্থার জোরে নয়, বরঞ্চ শিক্ষাব্যবস্থার সাথে যুদ্ধ করে উঠে আসে। - আপনার এই কথার সাথে শতভাগ সহমত শঙ্কু।

আর এত পাবলিক পরীক্ষার আসলেই কি দরকার আসলেই বুঝি না। আগে যে দুটা ছিল ওটাই কি কম ছিল ? এত ছোট বয়স থেকে শিশুরা পড়ার চাপে পিষ্ট হচ্ছে - এটা অমানবিক লাগে।

৭| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৫

কালীদাস বলেছেন: আহারে স্কুলের নতুন ক্লাসে ওঠার পর বইগুলা কেনার দিনটা খুব মিস করি এখনও। বছরের ঐ দুয়েকদিনই পড়ার টেবিলে পুরা টাইম থাকার উৎসাহ পেতাম ন্যাচারালি।

জানি বাংলাদেশে অজস্র টিচার নামে কলংক/সোসাইটির বোঝা আছে। কিন্তু খুব ছোট একটা গ্রুপ আছে যাদের জন্য আমি ফিল করি- শিক্ষকতা কোন মহাপাপের শাস্তি বাংলাদেশে।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৩

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: কালীদাস ভাইয়া, শিক্ষকদের এককভাবে এখনকার দূরবস্থার জন্য দায়ী করি না। সিস্টেমটাই খারাপ হয়ে গেছে। শিক্ষকরা যদি টিউশনি না করতেন তবে খেয়েপড়ে ভালোভাবে বেঁচে থাকা মুশকিল হতো। জানি না মানুষ গড়ার কারিগরদের এত কম মূল্যায়ন হয় কেন আমাদের দেশে?

৮| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৬

ধমনী বলেছেন: আপনি কি কচুক্ষেতের মামুন ভাইয়ের কথা বলছেন? তার ব্যপারে আমিও খুব প্রশংসা শুনেছি।
যে শিশুগুলির চমৎকার হাসি মুখ পত্রিকায় পাতায় এসেছে তা কি স্বতঃস্ফূর্ত নাকি তার আড়ালে শৈশব হারানোর বেদনাও মিশে আছে? সন্দেহ সন্দেহ লাগে।
- সন্দেহ হওয়ার দরকার নাই। তাদের বুঝতেই দেওয়া হচ্ছে না শৈশবের কোমল অনুভূতি তারা কীভাবে হারাচ্ছে। তবে এর বেদনা তারা কোন একটা সময় বুঝতে পারবে।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: হুম ,ইবরাহীমপুরের আনন্দ রোডের মামুন স্যার। উনি পরে সারোজ ইন্টারন্যাশনালের সাথে যুক্ত হন- এই টুকুই জানি। উনার পাঠদান বেশ চমৎকার ছিলো।

এখনকার ছেলেমেয়েদের জন্য খুব খারাপ লাগে। কি হারাচ্ছে তা তারা জানে পর্যন্ত না।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ধমনী।

৯| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: নস্টালজিক এবং বিষন্ন হয়ে গেলাম
সত্যি বাচ্চাদের কিভাবে যে এই ট্যাব আই প্যাড অনলাইনের চক্কর থেকে বাঁচাব ভেবে কুল পাই না ।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২০

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: হাতে ট্যাব তুলে দেবার বদলে নীতি সাহিত্যিক জ্ঞানবিজ্ঞানের বইমুখী ও খেলার মাঠমুখী করা দরকার বাচ্চাদের। ট্যাবের আরো বেশী করলে বললে সময় নষ্ট করা গেমস ও ইন্টারনেটে পাওয়া নানা বিধ্বংসী আহবান থেকে এদের বাঁচানো জরুরী প্রয়োজন।

মন্তব্যের জন্য অজস্র ধন্যবাদ মনিরা আপু। ভালো থাকবেন।

১০| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩২

অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: নিঃসন্দেহে খুব সুন্দর পোস্ট!

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২২

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ অভ্রনীল হৃদয়। শুভেচ্ছা।

১১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৯

ফেলুদার তোপসে বলেছেন: লিখাটা ভালোই লাগলো যদিও আমার অভিজ্ঞতাটা এরকম-TEACHER=CHEATER।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৪

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: লেখা ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম। সব টিচারই যদি চিটার হতো তাহলে এই ব্লগে এই মন্তব্যটা কি আপনি করতে পারতেন? কারোর না কারোর কাছ থেকে তো আপনি অক্ষরজ্ঞান শিখেছেন, তাইনা?
যিনি একটি শব্দও শিক্ষা দেন তিনিও শিক্ষক।

১২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫২

আবদুল্লাহ িশবলী বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ শিবলী ।

১৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৮

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: জানি অবান্তর,তবুও নিজের শৈশবের সেই দুরন্তপনার সাথে আজকের সন্তানদের কত তফাৎ!! জীবনের প্রারম্ভেই এরা নুয়ে পড়ছে বইয়ের ভাড়ে।। কিন্তু সত্যিকার শিক্ষায় কতটুকু শিক্ষিত সেটা সময়ই বলে দেবে।।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: এখনকার বাচ্চারা অনেক পড়ে ঠিকই কিন্তু কতটুকু জীবনবোধ আত্নস্থ করে তাতে সন্দেহ আছে। পাঠ্যবইয়ের বাইরে এদের দুনিয়াটা ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসছে।

মন্তব্যে ধন্যবাদ সচেতনহ্যাপী। ভালো থাকবেন।

১৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩২

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ছেলেবেলায় নিয়ে গেলেন আবার বিষন্নতায়ও ভোগালেন।


বাংলা বই পেলেও পড়তাম। আমি যখন ক্লাস সিক্সে পড়তাম এইটে পড়া বড় ভাইএর বাংলা গল্প কবিতা সাবাড় করে ফেলতাম। কোচিং নিয়েও আমার বেশ ভালো কিছু স্মৃতি আছে।

দেশীয় শিক্ষাব্যবস্থার যে নুয়ে পড়া অবস্থা তা থেকে বের হওয়ার সম্ভাবনা শূন্যের কাছে (আমার অভিমত) কারণ গদি এঁটে বসা মানুষগুলোই তো ঘঁষাপেটা শিক্ষাব্যবস্থার ফল তাই তাদের পেট থেকে ভালো কিছু কিভাবে পাবো (পেট থেকে কারণ আমি মনে করি তাদের মগজ নাই)

তবে এর মধ্যে থেকেও যারা বেরিয়ে আসে তারাই আশার পথের দিশারী। যদিও নগণ্য তবুও এক দুই করেইতো লক্ষ কোটি হয়। তাই আশা রাখি দেশের প্রতিটি শিশুই শিক্ষাব্যবস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে তরতরিয়ে বেরে উঠবে বটবৃক্ষের মতো।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৬

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: দিশেহারা রাজপুত্র, আজকাল সব লেখাই নিজের অজান্তে বিষণ্ণতাবিলাসী করে তুলছে।

ছোটবেলার সেই দিন গুলির কথা কি ভোলা যায়? ছাত্রী হিসেবে নিন্মমানের হওয়ায় পড়াশোনা নিয়ে ভালো স্ম্বতি কম, তবু কিছু নিয়ে কিছু ভালো স্মৃতি আছে।স্কুলের ফর্মাল কাঠকাঠ ধরণের পড়াশোনা সবসময়েই বিরক্তিকর লেগেছে।


শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে বড়ই হতাশ লাগে।আগেকার ম্যাট্রিক পাস মানুষের দক্ষতার সাথেই এখনকার উচ্চশিক্ষিত ভার্সিটি পাসের তুলনা করা যায় না, তাহলে কিসের জন্য এত কষ্ট?

১৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩৪

সুমন কর বলেছেন: অনেকগুলো বিষয় তুলে ধরেছেন। চমৎকার।

ইদানিং আপনার লেখাগুলো পড়ে অবাক হচ্ছি.....দারুণ হচ্ছে।

নতুন বইয়ের পাতার ঘ্রাণ কেউ কি ভুলতে পারে !!

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: এত সুন্দর অনুপ্রেরণাদায়ী মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ সুমন কর।

১৬| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০৮

কল্লোল পথিক বলেছেন: চমৎকার পোস্ট ধন্যবাদ।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ কল্লোল।

১৭| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০৯

রিকি বলেছেন: চমৎকার পোস্ট :) :)

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৯

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ রিকি আপু। :)

১৮| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩৮

আলোরিকা বলেছেন: সুমন করের মন্তব্যের সাথে একমত । ব্লগে বিভিন্ন বিষয়ে লেখা হতে পারে , কিন্তু কেন জানিনা এ জাতীয় বিষয়গুলোকেই আমার সত্যিকারের ব্লগিং বলে মনে হয় !

চমৎকার আপু । অনেক অনেক শুভ কামনা :)

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৩

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক উৎসাহব্যাঞ্জক একটা মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আলোরিকা। ভালো থাকবেন। :)

১৯| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



দাও ফিরিয়ে সেই বই বেলা, লও এই ট্যাব আই প্যাড !!

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৪

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: দাও ফিরিয়ে সেই বই বেলা, লও এই ট্যাব আই প্যাড !! - হলে তো ভালোই হতো। :)

২০| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১১

অর্বাচীন পথিক বলেছেন: আমার ও ছোট বেলা কেটেছে নতুন বই দেরীতে পাবার বিরহে। বছরের ২ মাস পর পেতাম নতুন বই তাও আবার ১ টা ২ টা করে। বছরের প্রথম দিন থেকে প্রতিদিন বসে থাকতাম হা করে। আজ মনে হয় বই দেবে B:-)

নতুন বই এর ঘ্রাণ পাবার জন্য প্রাণ টা বেরিয়ে যেত।

অনেক ভাল লাগলো লেখাটা পড়ে আপু। শুভ কামনা রইল

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৭

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: হুম অর্বাচীন পথিকাপু, কমবেশী আমাদের সময়ের সবার অভিজ্ঞতাই এক রকম। :)

বই পাওয়ার পরে কিন্তু পড়ার চাপে মনে হত আরও কয়েকটা দিন পরে দিলেই ভালো হতো। ;)

মন্তব্যের জন্য অজস্র ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন আপনিও।

২১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৪

অগ্নি সারথি বলেছেন: হালকা নস্টালজিক!

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ অগ্নি সারথি। :)

২২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৬

রাবার বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৯

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ রাবার।

২৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৪

ডরোথি গোমেজ বলেছেন: এখনকার বাচ্চাদের উপর বেশি চাপ দেওয়া হয়। আমাদের সময় এতটা কখনো ছিলনা।
টিচাররা সত্যিই আর এরকম নেই। হুমায়ূন আহমেদও টিচারদের খারাপ দিকটাই লিখেছেন। তাও অনেক বছর আগে।
পোস্ট ভাল লেগেছে।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৩

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: এখনকার বাচ্চাদের উপর চাপটা বড় বাড়াবাড়ি। এখনই এই অবস্থা , ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতার যুগে সামনে কি দিন দেখবো ভাবলে চিন্তা হয়।

মন্তব্যের জন্য অজস্র ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ডরোথি।

২৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৪

আবু শাকিল বলেছেন: আমাদের গ্রামের স্কুলে যারা ভাল রেজাল্ট করত তাদের সব গুলা বই নতুন দেয়া হত ।যাদের রোল একটু পিছনে তাদের কে পুরনো ২/১ টা বই দেয়া হত। স্কুলের শিক্ষক রা এটা করতেন স্কুলে নতুন বই এর স্বল্পতার কারনে ।যারা সবগুলা বই নতুন পেত না ।তাদের কিছুটা খারাপ লাগত।পিচ্ছিকালে আমি ভাল ছিলাম =p~ তাই সব গুলা বই নতুন পাবার সৌভাগ্য হয়েছে ।তারপর সেগুলা বাসায় এনে শেষ হয়ে যাওয়া বছরের পুরনো ক্যালেন্ডার দিয়ে বই গুলার মলাট দিতাম। সে এক অদ্ভুত ভালা লাগা ছিল ।
নস্টালজিক আপু ।
তবে আজকাল পোলাপান নতুন পেলে এতটা খুশি হয় না যতটা ট্যাব পেলে হয় ।
আপনার পোষ্টে মামুন নাম দেখে আমার প্রিয় শিক্ষকের কথা মনে পড়ে গেল ।আমার প্রিয় শিক্ষক ছিলেন মামুন।হাটহাজারী কলেজে বাংলা পড়াতেন ।তার লেকচার ছেলে-মেয়েরা মুগ্ধ হয়ে শুনতেন ।ধন্যবাদ ।আপনার কারনেই অনেক দিন পর প্রিয় স্যারের কথা মনে পড়ল ।

আপু আপনার লেখাগুলো যখন পড়ি ।খুব ভাবায় ।
"যে চাষীর ছেলেটি কোনমতে জমিজমা বেচে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডি পেরিয়েছে , যে গৃহপরিচারিকা মায়ের মেয়েটি ধারকর্জ করে কোনমতে হয়তো এইচএসসি পর্যন্ত পড়েছে , তারপর আর পারেনি , বিয়ে হয়ে গেছে, যে মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান শ'খানেক জুতার তলা খইয়ে কোনমতে শুধু একটি কেরানির চাকরি বাগাতে পেরেছে, তারাই আসলে দেশের ভবিষ্যত।এদের যদি য্থার্থ মানুষ সম্পদ করে তোলা যায় তবেই দেশ আগাবে।"

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০১

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আবু শাকিল ভাইয়া, আপনার বিস্তারিত মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো। পুরানো দিন গুলোতে ফিরে গেলাম। মলাট দিতো বেশী ভালো শিক্ষার্থীরাই, আমি নিজে অত ভালো ছিলাম না। তাই বইয়ের রঙিন কভার ঢেকে দিতে খারাপ ও আলসেমী লাগতো।
:)

আজকালকার পোলাপান ট্যাব পেলে খুশি হয় সত্যি কিন্তু এই অবস্থার জন্য বাচ্চাদের বাবামা দায়ী বেশী। ছোটবেলায় বাবা মা বইপড়ায় উৎসাহ দিতেন, গল্প পড়ার অবস্থায় আসায় আগে শুনেছি ওদের মুখে। বাবার সাথে বই কিনতে যেতাম, লাইব্রেরী থেকে আনতে যেতাম। এভাবে গড়ে ওঠা ভালোলাগাটা স্থায়ী হয়ে গেছে তাই। আজকের বাবামায়েরা এরকম করলে এখনকার ছেলেমেয়েরাও বইয়ে আসক্ত হতো,অনেকাংশে।

সবশেষে সুন্দর কমেন্টের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

২৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আহারে ! এখনকার বাচ্চারা পড়া পড়া করে জীবনের কত মধুর একটা অধ্যায় উদযাপন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে , তা আমরা বুঝতে পারছিনা ।
''ছোট ছোট শিশুদের শৈশব চুরি করে
গ্রন্থ কিটের দল বানায় নির্বোধ ''

খুব ভাল লাগলো লিখাটা , আমি প্রিয়তে রেখে দিলাম ।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৭

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ গিয়াস ভাইয়া।

এখনকার বাচ্চারা পড়া পড়া করে জীবনের কত মধুর একটা অধ্যায় উদযাপন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে , তা আমরা বুঝতে পারছিনা ।
''ছোট ছোট শিশুদের শৈশব চুরি করে
গ্রন্থ কিটের দল বানায় নির্বোধ ''
শতভাগ সহমত ।

প্রিয়তে রাখার জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা।

২৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:২১

রুদ্র জাহেদ বলেছেন:

আপুনির লেখাগুলো অসাধারন হচ্ছে...
সত্যি এখনকার এই অসুস্হ প্রতিযোগিতা ছোটদের আনন্দবেলা কেড়ে নিচ্ছে।আর আমাদের করে করে তুলছে যান্ত্রিক-কৃত্রিম এক সেল্ফবিধ্বংসী অস্ত্র।সিরিয়াসলি ভাবলে এমনটাই মনে হয়।সংখ্যারিষ্ঠের দিকে কোনো নজর নেই।যে অল্প সংখ্যক অসুস্হ প্রতিযোগিতার ভেতর দিয়ে গিয়ে সফল হয়েছে শুধু তাদের দিয়ে কি সমাজ চলবে? লেখা দারুণ হয়েছে

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫০

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: সত্যি এখনকার এই অসুস্হ প্রতিযোগিতা ছোটদের আনন্দবেলা কেড়ে নিচ্ছে। আসলেই। :(
শিক্ষার মান ক্রমেই নেমে যাচ্ছে অথচ শিশুরা পড়ার চাপে পর্যদস্ত। জিপিএ ফাইভ বাড়ছে আর এটাতেই আমরা তুষ্ট।


মন্তব্যের জন্য অজস্র ধন্যবাদ রুদ্র ভাইয়া।

২৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪২

এহসান সাবির বলেছেন: শীতে অনেকের বাড়িতে আজকাল আর পিঠা হয়না, পরিবারের সবাই মিলে দলবেঁধে একসাথে সকালগুলোতে গল্পগুজব করে খাওয়ার আয়োজনের তো প্রশ্নই ওঠে না। কারোর বেশী ইচ্ছা লাগলে দোকান থেকে কিনে খায়। সেটা বাণিজ্যিক ফাঁকিবাজি পিঠা। মা যেমন পাটিসাপটা করেন, তাতে পুরু করে ক্ষীর দেয়া থাকে, ভাপা পিঠাগুলো তো এতো বড় হয় একটা খেতেই কষ্ট হয়, পেট ভরে যায়।দোকানের পিঠাগুলোতে পাটিসাপটায় পুর এত চিকন যে কিসের তৈরী তা-ই ভালো করে বুঝতে পারিনা। চিতই , ভাপা পিঠা গুলোর সাইজ ছোট ছোট । কয়েকটা খেয়ে ফেলা যায় একবসায়।এযুগে মায়েদের সময় নেই বানানোর,বাচ্চাকে নিয়ে স্কুল আর শিক্ষকের বাসায় দৌড়াচ্ছেন। বাবারা হয়ে গিয়েছেন সাংসারিক টাকা কামানোর মেশিন, বিশেষ করে বলতে গেলে সন্তানের পড়ারখরচ আয়ের।একার উপার্জনেও তা কুলাচ্ছে না, যোগান বাড়াতে মায়েরাও কাজে নেমেছেন। দশ বিশ হাজার টাকা প্রাইভেটে টিউটরের পিছনে যাওয়া কোন ব্যাপারই না। আর শিশুরা? তাদের ক্ষুদ্র অবসরে হাতে ট্যাব ধরিয়ে দিলই তারা খুশি ...........


দারুন লিখেছেন।

শুভেচ্ছা।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৩

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সাবির ভাইয়া। ভালো থাকবেন আপনিও।

২৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৯

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: অনেক ভাল লাগল আপনার লেখাটা আপু।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৪

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অজস্র ধন্যবাদ আজাদ । শুভেচ্ছা রইলো।

২৯| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৪৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: "ভীড় করে ইমারত আকাশটা ঢেকে দিয়ে চুরি করে নিয়ে যায় বিকেলের সোনারোদ
ছোটছোট শিশুদের শৈশব চুরি করে গ্রন্থকীটের দল বানায় নির্বোধ"

আমরা নিজের ওজনের সমান ব্যাগ নিয়ে নাজেহাল শিশুকে শিক্ষকদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে না পাঠিয়ে সত্যিকারের স্কুলে পাঠাতে চাই। আমরা চোখ বুঁজে থেকে ফাঁস হওয়া প্রশ্নের কল্যানে প্রাপ্ত স্বর্নশ্রেণী দেখতে চাই না। মুড়ি আর মুড়কির এক দর হলে তো সমস্যা!

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৯

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: খুব সুন্দর একটা মন্তব্য হাসান মাহবুব ভাইয়া।


"ভীড় করে ইমারত আকাশটা ঢেকে দিয়ে চুরি করে নিয়ে যায় বিকেলের সোনারোদ
ছোটছোট শিশুদের শৈশব চুরি করে গ্রন্থকীটের দল বানায় নির্বোধ"
কি সুন্দর পঙ্কতিগুলো! যদিও সত্য না হলেই ভালো লাগতো।

ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.