নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইচ্ছাঘুড়ির অবাধ আকাশ www.facebook.com/RezwanaAliTanima

রেজওয়ানা আলী তনিমা

বনমুরগী পোষ মানে না.......

রেজওয়ানা আলী তনিমা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাষার আবেগ- ভাসার আবেগ

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৩

ফেব্রুয়াড়ি আমাদেড় ভাষাড় মাস। অনেক ব্লাডের বিনিময়ে এই বাংলা ভাষাড় অধিকাড় আমড়া পেয়েছি। আসুন আমরা শুদ্ধ বেঙ্গলীতে স্পিক কড়াড় প্র্যাকটিস কড়ি।- বয়ানে জনৈক কথাবন্ধু (আরজে)।

ফেব্রুয়ারি আসলেই মনে পড়ে প্রতিবারে একই ধরণের (মর্যাদা)স্ট্যাটাস দিতে হয়, সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন হোক। আন্দোলনের এতদিনেও বাঙালিকে বাংলায় চর্চা হোক এই দাবী জানাতে হয় তাও নিজেরই স্বভাষীর কাছে, ভীষণ লজ্জার। অথচ বাংলা না শিখেই বা আমরা কি এমন ইংরেজী শিখছি?আমার পরিচিত আইবিএ থেকে পাশ করা একজন লোকের কথা জানি, জঘণ্য ইংরেজী লেখেন। মানবসম্পদে পাস করা একজন মহিলাকে চিনি- 'ফরমাল বা আনুষ্ঠানিক' নির্ভুল ভাষায় একটা ইংরেজী চাকরীর দরখাস্ত লিখতে পারেন না।হেমেন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, 'আগে চাই মাতৃভাষার গাঁথুনি, তারপর ইংরেজি শেখার পত্তন'। -না হয়ে এখনকার ছেলেমেয়েরা খুব কষে ইংরেজী পড়ছে, বাংলাতে তারা দূর্বল। অথচ বাংলায় ভালো না হলেও ইংরেজীতেও তো পারছেনা।' ব্রিটিশ আমলের ইংরেজী' বলে একটা কথা আছে। ঐসময়ের ম্যাট্রিক পাস আমাদের চেয়ে ভালো ইংরেজী জানতেন।ঔপনিবেশিক শাসকের ভাষা নাহলেও এমনকি বাংলা শিক্ষার মানও ভালো ছিল। নজরুল দরিদ্র ছিলেন , পড়াশোনা বেশীদূর করেননি, তবু তাঁর রচনা দেখে অবাক লাগে। সবাই নজরুলের মত লিখতে পারবেন সেটা আশা করা যায় না।এখন আগেকার অলংকারবহুল সাধুভাষার ব্যবহার নেই , দরকারও নেই। তবু বঙ্কিম, শরৎচন্দ্র, পরশুরাম পড়ে বুঝতেও পারবেন না, মনে হবে জটিল- এসব তো আমাদের ভাষা দক্ষতার অমার্জনীয় অবনমন।কিন্তু নিয়ত দেখছি,ফেসবুকে বিখ্যাত সাহিত্যিকের রচনার অংশ তুলে দিলে লোকে না বুঝে লাইক দেয়, না হলে কমেন্ট করে 'কিসুই বুঝলাম্না।

এই যুগে মাতৃভাষা দিবস সেলফির ফাজলামিতে ভাবগাম্ভীর্য শব্দটা থেকে শুধু 'ভাব' ধরে রেখেছে।তবু বলি, 'একুশে ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২ ইং' না করে আমরা '৮ ফাল্গুন, ১৩৫৯ বাং' পালন করতে পারিনা? বাংলা একাডেমী ভাষার ঐতিহ্য রক্ষার পুরোধা তবু সেটা বাংলা ' একাডেমী', আন্তর্জাতিক ভাষা 'ইন্সটিটিউট'-টে সরষের মধ্যে মধ্যে আমাদের কাঠামোর অলিগলিতে ভূত লুকিয়ে আছে। মানছি বাইরে থেকে শব্দ নিয়ে ভাষা সমৃদ্ধ হয় তবু তার সীমা আছে। আমাদের দেশে পৃথিবীর অনেক বড় বড় ধনী দেশের মত বিদেশী লোক তেমন থাকেনা। তবু দোকান পাট, আমন্ত্রণপত্র, আবেদনপত্র, বিজ্ঞপ্তি সবকিছুতে এত ইংরেজী কেন? অফিস পর্যায়ে এখনও হাতেগোণা প্রতিষ্ঠান বড় আকারের রপ্তানিতে আছে, তবু সামান্য দোকানের রশিদও ইংরেজীতে না লিখলে স্মার্টনেস আসেনা। কেন আসবেনা? বইমেলার মাসে অনেক বড় বড় প্রকাশনীর নাম চমৎকার কাব্যিক বাংলায়, স্মার্ট লাগে তো ঠিকই। এবং ওগুলো যেহেতু কাজ দিয়ে ঐতিহ্য দিয়ে সুনাম তৈরী করেছে তাদের ইংরেজী নামের ফুটানীও দরকার হয়না। মোবাইল অপারেটরদের কাছে থেকে সুন্দর বাংলায় অফার পাই , যেগুলো প্রায়ই দরকার নেই বলে বিরক্ত হই, অথচ সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জনগুরুত্বপূর্ণ আহবানগুলো আসে বাংলিশে। বাংলা ভাষা, অক্ষর ইংরেজী। পড়ার ও জানার দরকার থাকলেও পড়তে কষ্ট হয়। অদ্ভূত!

ভাষার মাসে যেখানে সবই একটু খানি বেশী বাংলা ভাষা ব্যবহার করে , সেখানে কয়েকদিন থেকে সমানে ইংরেজী ব্যবহার করে চলেছি।ইচ্ছাকৃত নয়। কারণ ফেসবুকে বাংলা লেখাটা আমার জন্য তত সুবিধাজনক না। ফোনেটিকে ব্লগে লিখে কপি পেস্ট করি। অভ্র দিয়েও কিছুদিন চেষ্টা করেছি , তবে ফোনেটিকে অভ্যস্ত হয়ে পড়ায় নড়ন মুশকিল লাগলো।সবসময় ব্লগে সাইন ইন করে লেখা ঝামেলা তাই ইদানিং ইংরেজীতে কমেন্ট করছি বেশী। এখনও বাংলা লেখা ও লেখা ডকুমেন্ট অনলাইনে কোথাও পাঠানো খুব ঝামেলার।ফন্ট এলোমেলো হয়ে যায়। কেন ওয়ার্ড বা অন্য যেকোন কিছু খুলেই ইংরেজীর মত অনায়াসে লেখা যায় না? অথচ আমরা সংখ্যাগতভাবে পৃথিবীর প্রথম দশটা বহুল প্রচলিত ভাষার একটায় কথা বলি, কম কথা না।

শেষ যে পয়েন্টটা লিখবো- লোকে আমাকে মার দিতে পারে, চেতনাবিরোধী বা মৌলবাদী বলে। তাহলেও বলব।প্রতিবছর বিশেষ কিছু দিনে আমরা কিছু স্থাপনায় ফুল দেই, প্রতিমাবিহীন পূজার মত। এসবে লাভ শুধু ফুলব্যবসায়ী আর করপোরেট প্রতিষ্ঠানের। এর চেয়ে অনেক ভালো হতো , যদি আমরা নিজেরা ঘরোয়া দোয়া -প্রার্থনার আয়োজন করতাম শহীদের জন্য , পাড়া কাঁপিয়ে একুশের অনুষ্ঠান করার বদলে। বইপাঠ বা আলোচনাচক্রের আয়োজন করতাম নতুন প্রজন্মকে ই্তিহাস জানাতে অর্থহীন ভাষণসভার বদলে ।যে অর্থে স্মৃতিস্তম্ভ গড়ার মাধ্যমে সবাইকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে তৈরী করা হয় তাতে কি লাভ? আজ যাতে খালি পায়ে উঠে ফুল দেই, কাল স্যান্ডেলে মাড়াই, গাঁজার আসর বসাতেও সমস্যা হয় না। যে টাকা একদিনের ফুল বা সাদাকালো সাজার ফ্যাশনে নষ্ট হয় তাতে দেশের কিংবা যারা দেশের জন্য রক্ত দিলেন তাদের কি লাভ হয়? লাভ যদি হবার সেটা একমাত্র কাপড়ের দোকানগুলোর। এই টাকাটা শহীদদের বা আরো ব্যাপকভাবে দেশের জন্য আত্নত্যাগ করেছেন তাদের পরিবারের জন্য ব্যায় করার ট্রাস্টে দেয়া যেতো পারতো।শুধু একে আমাদের সংস্কৃতির অংশ করে তোলা দরকার। একসময় এই ত্যাগী মানুষদের কেউ থাকবেন না, তখনও সংগ্রহ করা অর্থ দেশের কাজে বা দেশ নিয়ে, দেশের ইতিহাস নিয়ে গবেষণার কাজে খরচ করা যেতে পারে।বাইরের দেশে যেমন 'পপি অ্যাপিল' হয় সেভাবে কোন দেশী ফুলের আদল তৈরী করে বিক্রিত অর্থও এভাবে কাজে লাগানো যায়।দরকার শুধু সদিচ্ছার। দেখনদারি করার লোভ সামলানোর।আর কিছু না।

মন্তব্য ৮৪ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৮৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৪

অজ্ঞাত অন্বেষা বলেছেন: একটা আর্টিকেল লিখবো ভাবছিলাম, এই যুগের বাংলিশ কিছু উপস্থাপকের কথা উল্লেখ করবো। কিন্তু তাদের বলা কোনো লাইন মাথায় আসছিলো না। আপনার ব্লগের প্রথম লাইন টা দেখে মজা পেলাম। :)

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০০

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: :) :)

২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৯

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: পুরো লেখাটায় দ্বিমত করার মত কোন কিছু নেই ।

আমরা শোষিত শ্রেণীর জাতি, তাই ইংরেজি ব্যবহার করে জাতে উঠতে চাই, সে অভ্যাস থেকে আমরা এখনো বের হতে পারি নি ।

শেষের স্তবকটা অসাধারণ বলেছেন । এইসব ফুল টুল গান বাজনা করে শহীদদের কোনই লাভ হয় না, উল্টো ক্ষতি হয় বলে মনে করি । সত্যিকার অর্থে তাঁদের আত্মার শান্তি চাইলে কবর জিয়ারত, দোয়া দুরূদ পড়ার বিকল্প নাই, সামর্থ থাকলে এতিম গরীব দুখীদের খাওয়ানোটাই শ্রেয় ।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০২

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: সহমত হবার জন্য অজস্র ধন্যবাদ কথা ভাইয়া/ আপু। শুভেচ্ছা রইলো।

৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৩

অজ্ঞাত অন্বেষা বলেছেন: আপনি একেবারেই আমার মনের কথাগুলা লিখেছেন, তবে আরো অনেক গুছিয়ে লিখেছেন। ভালো লাগলো।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৩

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা অন্বেষা। শুভেচ্ছা রইলো।

৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: প্রতিবছরের মতো এবারেও অনেক কথা বলা হবে কিন্তু যে কৃষ্ণ সেই কেষ্ট! কিচ্ছুটি হবে না।
আপনার এই লেখাটাও তাই বৃথা! কোন কাজেই আসবে না!

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৫

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: কাজে না আসুক , দুঃখ থাকবে এটাই জীবন। কিন্তু দুঃখ পেলে প্রকাশও না করতে পারা জুলুম। ক্ষোভ থেকে লিখলাম। একজনও সচেতন হলেই বিরাট সৌভাগ্য মানব।

ধন্যবাদ রাখাল। ভালো থাকবেন।

৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৬

এস কাজী বলেছেন: খুব ভাল কিছু পয়েন্ট তুলে ধরেছেন আপু। তবে বাকি পয়েন্ট গুলা ভ্যালিড হলেও আমার মনে হয় ইংরেজি তারিখের ব্যাপারটা পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা একটু কম আছে। কারন এটি এখন সর্বজন গ্রহণযোগ্য হয়ে গেছে।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: তিনটা উদাহরণ দিয়েছি পরিবর্তন হবে এই আশায় না। আমাদের কথা কাজের অসামঞ্জস্য বোঝাতে। আমাদের কাঠামোর মধ্যে গলদ, সেটাতে আমরা অসচেতন। তবে তারিখ যদিও ২১ গ্রহণযোগ্য হয়ে গেছে অন্তত বাংলা দিনটা জানা ও সভা- মিছিল ব্যানারে ইংরেজীর পাশাপাশি বাংলাটার উল্লেখ থাকলে ভালো হতো।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ কাজী।

৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৭

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আপনার চিন্তার সাথে সহমত।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৯

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: সহমত হবার জন্য অনেক ধন্যবাদ সুজন ।শুভেচ্ছা।

৭| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৯

রাইসুল ইসলাম রাণা বলেছেন: ৮ই ফাল্গুন না হয়ে ২১ ফেব্রুয়ারী। এখানে আমি ভুল দেখিনা এজন্যে যে,সমগ্র বিশ্ব আমাদের ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। সেখানে একুশ ইংরাজি শব্দটি গ্রহণ করলে দোষ নেই। তাছাড়া ৮ই ফাল্গুন বাংলা আবার বিদেশীও,কলকাতার দিক ধরলে।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হয়েছে এই কয় দিন। আমরা কিন্তু বরাবর ফেব্রুয়ারি ধরে পালন করে আসছি। বাংলা তারিখটা জানা ও ইংরেজীর পাশপাশি দেশী অনুষ্ঠানগুলোতে ব্যবহার করা যেতেই পারতো। আমরা রক্ত দিয়েছি , বিশ্বের কাছে এদিনের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করেছি। কলকাতার দিক আমাদের ধরা প্রয়োজন কি? আমাদের ১ বৈশাখ, বা ১ ফাল্গুন তো আমার নিজেদের হিসেবেই পালন করি।

তাছাড়া উদাহরণ দিয়েছি পরিবর্তন হবে এই আশায় না। আমাদের কথা কাজের অসামঞ্জস্য বোঝাতে। আমাদের কাঠামোর মধ্যে গলদ, সেটাতে আমরা অসচেতন। তবে তারিখ যদিও ২১ গ্রহণযোগ্য হয়ে গেছে অন্তত বাংলা দিনটা জানা ও সভা- মিছিল ব্যানারে ইংরেজীর পাশাপাশি বাংলাটার উল্লেখ থাকলে ভালো হতো।

৮| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩২

উল্টা দূরবীন বলেছেন: সহমত

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৯

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: সহমত হবার জন্য ধন্যবাদ দূরবীন।

৯| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০৪

রাজ বিদ বলেছেন: শেষ পয়েন্ট টা পড়ে যারা মারতে আসবে তারা আসলে সংস্কৃতি,ধর্ম এইসব থেকে অনেক দূরেই আছে।এইসব অর্থহীন আনুষ্ঠানিকতার প্রতি সেই কবে থেকেই একধরণের ঘেন্না কাজ করে।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৭

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অজস্র ধন্যবাদ রাজ বিদ। শুভেচ্ছা ।

১০| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০৫

রাজ বিদ বলেছেন: শেষ পয়েন্ট টা পড়ে যারা মারতে আসবে তারা আসলে সংস্কৃতি,ধর্ম এইসব থেকে অনেক দূরেই আছে।এইসব অর্থহীন আনুষ্ঠানিকতার প্রতি সেই কবে থেকেই একধরণের ঘেন্না কাজ করে।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৭

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আবারও ধন্যবাদ।

১১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০৫

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আরজে কি বলে না বলে আমি শুনিই না, টিভিতে মাঝে মাঝে কিসের যেন অনুষ্ঠান হয় আর দাঁত ভেঙ্গে যেভাবে বাংলা ইংলিশ বলে শুনলেই বিরক্ত লাগে।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আপু আজকাল কিছু মানুষ এমন বাজে উচ্চারণে বাংলা বলে , শোনাও কানের উপর অত্যাচার । :(

১২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: লেখায় সহমত ...
কবে যে এই দেখনোর সংস্কৃতি শেষ হবে ।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৯

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: সহমত হবার জন্য অশেষ ধন্যবাদ মনিরাপু। ভালো থাকবেন।

১৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: লেখায় সহমত ...
কবে যে এই দেখনোর সংস্কৃতি শেষ হবে ।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১০

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আবারও ধন্যবাদ আপু। :)

১৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৪২

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: আপু, আপনার লেখার প্রতিটা লাইন কোট করার মত.।
আমরা মাতৃভাষা নিয়ে যতই ভাষণ দেই না কেন, শহুরে পরিবারের প্রতিটা বাচ্চাই ইংরেজি মিডিয়াম/ ইংরেজি ভার্শনে লেখাপড়া করে।
ফরফর করে ইংরেজি না বলতে পারলে বাবা-মায়ের ইজ্জত থাকে না।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১০

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ফরফর করে ইংরেজি না বলতে পারলে বাবা-মায়ের ইজ্জত থাকে না।

দূর্ভাগ্যজনক অবস্থা। :(

১৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:৫৯

এম সিয়াম বলেছেন: কি বলব বুঝতে পারছি না । তবে আমরা উন্নতির শিখরে পৌছানোর জন্য বাংলা ভাষাকে যে ভাবে অবহেলা করছি তাতে করে অচিরেই বাংলা হাড়িয়ে যাওয়ার সংকট তৈরী হতে পারে। আর একটা বিষয় না বললেই নয় "আমারা নিজের ভাষা বাংলাকে মুল্যায়ন করছিনা কিন্তু অন্যতম ধনী রাষ্ট্র সিংগাপুর বাংলাকে দাপ্তরিক ভাষা হিসাবে সীকৃতি দিয়েছে"

- বিঃদৃঃ লেখায় বানানে ভুল হতে পারে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৪

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: নিজের দেশ , ভাষা, সংস্কৃতিকে অবহেলা করে ধার করা জিনিস নিয়ে কোন জাতি বেশিদূর যেতে পারেনা। কবে যে আমাদের বোধোদয় হবে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সিয়াম।

১৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪১

কল্লোল পথিক বলেছেন: শতভাগ সহমত।সুন্দর একটি বিষয় তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৪

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: সহমত হবার জন্য অযুত ধন্যবাদ পথিক । শুভেচ্ছা সতত।

১৭| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩২

অশ্রুত প্রহর বলেছেন: "এই টাকাটা শহীদদের বা আরো ব্যাপকভাবে দেশের জন্য আত্নত্যাগ করেছেন তাদের পরিবারের জন্য ব্যায় করার ট্রাস্টে দেয়া যেতো পারতো"। আপনার মত করে যদি সবাই ভাবত তাহলে খুব ভাল হোত। কিন্তু কেউ এভাবে ভাবে না। গলাবাজি বা আড্ডা দেয়ার সময় সবাইকে পাওয়া যায়। কিন্তু কোন ভাল কাজের উদ্যোগ নেয়াতে তখন মানুষ পাওয়া ভারী হয়ে দাড়ায়। আর এখন এই যুগে বাংলা ভাষাকে সবাই মুখে মুখে ভালবাসে। এর থেকে বেশী কিছু না। হায়রে বাংলিশ বাঙালী।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২১

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: দেখুন আমি আপনি হয়তো খুব সামর্থ্যবান না। কেউ কেউ যারা এই চিন্তাকে ভালো বলছেন, তাদের সামর্থ্য , সুযোগ হয়ত আমার চেয়ে অনেক বেশী।আমরা নিজ জায়গা থেকে নিজেরা সাধ্যমত চেষ্টা করতে পারি। পাঁচজন খুব প্রশংসা করে আমার বক্তব্যে সহমত হবেন এর চেয়ে অনেক ভালো একজনও যদি নিজের বানান নিয়ে একটু যত্নশীল হন। পৃথিবীতে সব কিছু ছোট আকারেই শুরু হয়। ছোট আকার দেখে ভয়ে পেয়ে গেলে সে উদ্যোগ ঘরের বাইরেই পা ফেলতে পাবে না।

সুন্দর মন্তব্যে অজস্র ধন্যবাদ রইলো প্রহর।

১৮| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪১

প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। সহমত।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২১

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।

১৯| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২১

তার আর পর নেই… বলেছেন: প্রথম লাইন পড়েই চমকে যাচ্ছিলাম …

=p~ =p~

আমার কাছেও ফুল দেওয়ার এই পদ্ধতি হাস্যকর মনে হয়। ওই একদিনের জন্য শহীদ মিনার চকচক করা হয়, টাকা খরচ হয় …

ভালো লাগা রইলো

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৩

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আমাদের উচিত অযথা আনুষ্ঠানিকতা পরিহার করে কিছু কাজের কাজ করা। মন্তব্যের জন্য অজস্র ধন্যবাদ তার আর পর নেই...।

২০| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অতি সত্য কথন, অনেকের মনের কথা। এগুলো শোনার কেউ নেই, বুঝার কয়জন আছে জানা নেই। আসলে আমাদের ইচ্ছেটাই নেই বাংলা ভাষাটাকে পরিপূর্ণরূপে ব্যবহার করতে। এখনকার বাংলিশে গড়ে উঠছে আমাদের নতুন প্রজন্ম। অথচ মনে আছে, কলেজে উঠে গল্প-উপন্যাসে নতুন নতুন শব্দ শিখলে তা নোট করে রাখতাম, প্রয়োজন মত যথাযথ ব্যবহারের জন্য। আমি পুরাতন ঢাকার ছেলে, আমার কথ্য ভাষায় উচ্চারণে পুরাতন ঢাকার একটা টান ছিল, সবাই হাসাহাসি করত। মনে আছে, এই সমস্যা দূর করতে টিএসসি কেন্দ্রিক "স্বরবৃত্ত" নামক একটা সংগঠনে ছয়'মাসের একটা কোর্স পর্যন্ত করেছিলাম। যদিও আজ এতো বহর পড়ে সেই সব অর্জন হারিয়ে গেছে। কর্পোরেট ক্যারিয়ার গড়ার দৌড়ে হারিয়েছি সেই আমাকে। আমার ব্লগ পোস্টগুলোতেই দেখা যায় অহেতুক প্রচুর ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করছি, যদিও তার অনেক সুন্দর বাংলা প্রতিশব্দ জানা আছে, কিন্তু প্রাকটিস নেই। এই যে দেখেন, লিখলাম প্রাকটিস, কিন্তু কেন অনুশীলন লিখলাম না? আসলে অনভ্যস্ততা আর সার্বজনীন পরিমিত ব্যবহারে এমনটা হয়েছে বলেই মনে করি।

তবে, আপনার পোস্ট নতুন করে মনে করিয়ে দিল। এখন থেকে লেখার সময় অন্তত চেষ্টা থাকবে যথাযথ বাংলা ভাষার প্রয়োগ করার।

চমৎকার পোস্টের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সবসময়, অনেক অনেক শুভকামনা।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৭

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আপনার মন্তব্যটা পেয়ে খুব ভালো লাগলো বোকা মানুষ বলতে চায় ভাইয়া। খুব বেশী কিছু চাওয়া না, সবাই ভালোবেসে শুদ্ধ করে নিজের ভাষা ব্যবহার করবে। এটুকুও অর্জন করা কত কঠিন।এই নগণ্য লেখাটা পড়ে যদি একজনও সচেতন হন তাহলেই বিশাল সাফল্য বলে মনে করবো।

ভালো থাকবেন আপনিও। অযুত শুভেচ্ছা।

২১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৭

সুমন কর বলেছেন: ইদানিং আপনার লেখাগুলো বেশ ভালো হচ্ছে। সমসাময়িক বিষয়গুলো তুলে ধরছেন এবং নিজস্ব মতামত দিচ্ছেন।

অথচ আমরা সংখ্যাগতভাবে পৃথিবীর প্রথম দশটা বহুল প্রচলিত ভাষার একটায় কথা বলি, কম কথা না। -- তাইতো, তবুও আমরা বাংলায় সব কাজ করতে পারিনা। সবখানে ইংরেজী। শুধু একমাস নয়, সারা বছর জুড়ে চলুক--বাংলা ভাষার চর্চা।

পোস্টে +।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ সুমন ভাইয়া।নিজেদের যা কিছু আছে তা নিয়ে আমাদের গর্ব থাকা উচিত , কুন্ঠা না।

২২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৪

নুরএমডিচৌধূরী বলেছেন: সুন্দর একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। সহমত।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৯

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: সহমত হবার জন্য অজস্র ধন্যবাদ নুর ভাই। ভালো থাকবেন।

২৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৭

শ্রাবণধারা বলেছেন: " ফেব্রুয়াড়ি আমাদেড় ভাষাড় মাস। অনেক ব্লাডের বিনিময়ে এই বাংলা ভাষাড় অধিকাড় আমড়া পেয়েছি। আসুন আমরা শুদ্ধ বেঙ্গলীতে স্পিক কড়াড় প্র্যাকটিস কড়ি। "

হে হে হে হে হে :) মজা পেলুম ।

টবে আপু, রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, 'আগে চাই মাতৃভাষার গাঁথুনি, তারপর ইংরেজি শেখার পত্তন' ইহা কিন্টু সম্পূর্ণ সঠিক হয় নাই । ইহা আসলে বলিয়াসিলেন - রবীন্ড্রনাঠের সেজ দাদা "হেমেন্দ্রনাথ" - সেজ দাদা মিনস - থার্ড ফ্রম দ্যা টপ....।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৪

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: শ্রাবণধারা ভাইয়া, আপনার মন্তব্যে বানানের এই অবস্থা কেন? ;)

আমিও তো ব্যাপক মজা নিলাম । :)

আলোচ্য উক্তিটা কার মনে ছিলো না, গুগল মামাকে খুঁচিয়ে জানলাম রবীন্দ্রনাথ বলেছেন। তবে আপনি যখন ধরিয়ে দিলেন তখন সংশোধন করে দিচ্ছি।

ধইন্যা।

২৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: post good. i give u plus. i give no minus B-)

ভালো লেগেছে লেখা, তবে শেষের অংশের সাথে পুরোপুরি একমত নই। ফুল দেয়াটা শ্রদ্ধার প্রকাশ। বই কিনে যেমন কেউ দেউলিয়া হয় না, পুষ্পার্পন করেও তেমনই কেউ দরিদ্র হয় না। তবে হ্যাঁ, যখন দেখি যে ফুলের তোড়া নিয়ে গুঁতোগুতি করে ক্যামেরার সামনে আসার নির্লজ্জ চেষ্টা, সেটা খুবই দৃষ্টিকটু লাগে।

আপনি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মানের বদলে তা দিয়ে জনহিতকর কাজ করার পক্ষে বলেছেন। দেখুন, দুটোরই দরকার আছে। অপচয় তো কতই হয়। বলেন তো, বিয়ের সময় লাখ লাখ টাকা খরচ করে মহাভোজ দিয়ে, টাকা দিয়ে ক্যামেরাম্যান কিনে ছবি তুলে, সোনার গহনা কিনতে যে খরচ হয় তার কী দরকার আছে? এরকম হাজারো অপচয় হয়, আমরাই করি, করাই। তো স্মৃতিস্তম্ভ বানাতে সমস্যা কোথায়? কিছু চিহ্ন, কিছু স্থাপনা থাকা দরকার আমাদের সংগ্রামের স্বাক্ষী হিসেবে। তবে, এটাও ঠিক, বছরের একটা দিন ধোয়ামোছা করে বাকি দিনগুলো হেলায় ফেলে রাখাটা মোটেও উচিৎ না। এতে শহীদদের স্মৃতর অসম্মান হয়।

শুভেচ্ছা রইলো।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫২

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: হাসান ভাইয়া, মতামতের ভিন্নতাকে সম্মান করি। ফুল দেয়াটা যদিও শ্রদ্ধার প্রকাশ, প্রিয় কাউকে দিলে খুশিও হন, তবু যিনি নেই তাঁকে দিয়ে খুশি করার উপায় নেই। আমাদের দেশের মানুষ দরিদ্র। তাদের মৌলিক চাহিদা পূর্ণ করা আগে দরকার। দেশের টাকা , দেশের মানুষের টাকা ফুল দেয়ার আনুষ্ঠানিকতায় অপচয় না করে গঠনমূলক কাজে লাগালে যারা দেশের জন্য, ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছেন তারা অনেক বেশী খুশি হতেন বলেই আমার বিশ্বাস। তাদের অনেকের পরিবার ধুঁকে ধুঁকে মরছে, তাদের জন্য কিছু করলে তা আরো বেশী অর্থবহ হতো।

আমাদের যদি দেশের যথেষ্ট অর্থ থাকতো তাহলে স্তম্ভের বিলাসিতা হয়ত করা যায়। অনেকের মাথার উপরে ছাদ নেই অথচ স্মৃতিস্তম্ভের স্থাপনায় লাখ খরচ হচ্ছে -এটা সমর্থনযোগ্য না। বিয়ের যে খরচের উদাহরণ দিলেন। এটা এখন বরকনে ও তাদের পিতামাতার উপর জুলুমের পর্যায়ে চলে গেছে। কোন অপচয়ই আমি সমর্থন করিনা। শহীদের স্মৃতি ধরে রাখতে চাইলে আমাদের বইয়ে সঠিক ইতিহাস সংরক্ষন করতে হবে, এছাড়া রাস্তাঘাট, স্কুল , কলেজ, মাদ্রাসা, হাসপাতালের নামকরণেও ধরে রাখা যায়। যারা ফুল দেবার জন্য যায় অনেকটা হুজুগ, অনেকটা ফ্যাশন। মনে করে দেখুন নিকট অতীতের শাহবাগ আন্দোলনের কথা।অনেকে ভিড় বাড়াতে যেত শুধু এজন্য যাতে ছবি তুলে ফেসবুকে দেয়া যায়।

ধন্যবাদ।শুভেচ্ছা আপনাকেও।

২৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৫

পুলহ বলেছেন: ব্যাক্তিগতভাবে আমি নিজে অন্য ভাষার শব্দ 'সুস্থ উপায়ে' আত্তীকরণের পক্ষে। আপনি আরজে দের যে উদাহরণটা দিলেন, তারা সে সুস্থ উপায়ের ধার-কাছ দিয়েও যাচ্ছে না- বিরক্তির কারণ এটাই।
আপনার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে আইবিএর যে উদাহরণটা দিলেন, প্রার্থনা করছি সেটা যেনো 'ব্যাতিক্রম' হয়..
"আন্দোলনের এতদিনেও বাঙালিকে বাংলায় চর্চা হোক এই দাবী জানাতে হয় তাও নিজেরই স্বভাষীর কাছে, ভীষণ লজ্জার।"- কি আর বলবো, কিছু বলার নাই।
শেষের অংশটুকু আসলে একেকজন একেকভাবে নেবে, তবে আপনার উদ্দেশ্যটা যে সৎ- সেটা অন্তত পড়ে বোঝা গিয়েছে...
সময় উপযোগী লেখায় ধনাত্মক (প্লাস :P )
আন্তরিক শুভকামনা জানবেন আপু :)

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৩

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ পুলহ। আপনার বিস্তারিত মতামতে অনেক ভালোলাগা। শেষ অংশটা অনেকে অন্যভাবে নেবে কিন্তু নিজের কাছে যা উচিত অনুচিত বলে মনে হয় শুধু সেটুকুই লিখেছি, জানতাম অনেকের প্রচলিত ব্যবস্থার বাইরে কথা বলা ভালো লাগবে না সেটা জেনেও। কিন্তু যা চলছে সেটা চলছে মানেই যে ভালো তা তো নাও হতে পারে ।আরো ভালো বিকল্প খোঁজ করতে সমস্যা কোথায়?
অনেক শুভকামনা । :)

২৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: শুরুর লাইন দুটি হয়েছে চমৎকার !
হাসান মাহবুব ভাইয়ের সাথে একমত পোষণ করলেও , আপনার লিখাটি খুব ভাল লেগেছে ।
দিন দিন আপনার লিখনি ক্ষুর ধারালো হচ্ছে B-)

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: শুরুর লাইন দুটি হয়েছে চমৎকার ! সত্যি নাকি? আপনি চমৎকৃত আর আমি দু্ঃখিত হয়েছি ভাই।
মতামতের ভিন্নতা থাকাই স্বাভাবিক।সবার মতকেই সম্মান করি।
:)

ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

২৭| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাষার আবেগে ভাসা শুধু একদিনের জন্যই!! তারপর যেইকে সেই!

ইংলিশ মিডিয়ামে ভর্তির জন্য লাখ টাকা ঘুষ.. তা নিয়ে পাড়পড়শি ভাবীদের সাথে পায়রার বাকুম বাকুম গলা ফূলীয়ে চাপা মারা!!!

তারউপর হিন্দি আগ্রাসনের অবস্থাতো আরো ভয়াবহ!
অবশ্যই এখন তা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হয়ে যাওয়ায় রক্ষে! আন্তর্জাতিকতার আড়ালে অনেক কিছূ আড়াল করা যাবে!!!

স্মৃতি সৌধ বিষয়ে হামা ভাইয়ের সাথে একমত।
এমনিতেই গোল্ডফিস মেমোরি! বছরে একবার তাও মনে করে.. একেবারে নাই হয়ে গেলে যদা আবার ভরে বসে- ওরা কারা???

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: গোল্ডফিস মেমরি আমাদের- কথা ঠিক আছে কিন্তু শোকে ক্রন্দন করার চেয়ে শক্তিতে রূপান্তর শ্রেয়। গঠনমূলক কোন উপায়ে ভাষা শহীদের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ পেলে সেটাই হতো ভালো।

ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভাই। শুভেচ্ছা।

২৮| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: রেজওয়ানা আলী তনিমা ,




লিখেছেন - কয়েকদিন থেকে সমানে ইংরেজী ব্যবহার করে চলেছেন। ফেসবুকে বাংলা লেখাটা আপনার জন্য অসুবিধা বলে । এরকম ভিন্ন ভিন্ন অসুবিধা কমবেশী আমাদের সবার , সমাজের , রাষ্ট্রের , অর্থনীতির । কোনটাই ইচ্ছেকৃত নয় । তাই বাংলা ভাষার ব্যবহার নিয়ে আপনার আক্ষেপ মনে হয় তেমন বলিষ্ঠতা পাবেনা ।
এটাতো স্বীকৃত - এতদিনেও বাঙালিকে বাংলায় চর্চা হোক এই দাবী জানাতে হয় তাও নিজেরই স্বভাষীর কাছে, ভীষণ লজ্জার । কারো না কারো মুখে বা লেখায় এগুলোই উচ্চারিত এই ভাষার মাসে । নতুনত্ব কিছু নেই । বলতে পারতেন কি করে বাংলাকে সকলের কাছে সমাজে, অর্থনীতিতে, শিক্ষায়, সকল বিষয়ের পাঠ্যপুস্তক ইত্যাদিতে সম্পৃক্ত করা যায় । এটা যে সম্ভব নয় সেটা আপনিও জানেন । প্রচুর সংগত কারনেই যে দেশে ইংরেজী ভিন্ন কর্মসংস্থানের বৃহৎ কোনও সুযোগ নেই , উদ্যোগ নেই ( অবশ্য উদ্যোগ নিয়েও লাভ নেই ) পরিকল্পনা নেই সেখানে আপনার কাঙ্খিত আয়োজন কতোটুকু সম্ভব ভেবে দেখতে বলি । কারন এর পেছনে আছে আমাদের কাঠামোর খোলনলচে আমূল বদলে ফেলার প্রসঙ্গ ।

তবে ভিজে, আরজে'দের সম্পর্কে শুরুতে যে কথা বলেছেন , যা আসলেই শ্রুতিকটূ , তা শোধরানো যেতে পারে ইচ্ছে থাকলে ।

স্মৃতিস্তম্ভ , ফুল এগুলো সম্পর্কে আপনাকে আরো গভীর ভাবে চিন্তা করে দেখতে হবে । আবেগ কে , তার অন্তর্নিহিত ভাবকে বাস্তবের সাথে এক কাতারে মিশিয়ে ফেলাটা ঠিক নয় মনে হয় । যেমন, কেউ মারা গেলে আমরা কাঁদি । আপনি যদি বলেন , এই বেআক্কল কাঁদিস কেন ? যে মানুষটা চলে গেছে কাঁদলে কি আর সে ফিরে আসবে ? যে কাঁদে সে ও জানে , চলে যাওয়া মানুষ ফিরে আসেনা । তবুও মানুষ কাঁদে । এটা তার অনুভূতির প্রকাশ । কি বলবেন ?

শুভেচ্ছান্তে ।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৫

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আহমেদ ভাইয়া। শুরুতেই বিস্তারিত চমৎকার মন্তব্যের জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা। জানি যা লিখেছি তা চর্বিত চর্বন। তবু একজনও সচেতন হলে আমার মত নগণ্য ব্লগারের জন্য অনেক বড় সার্থকতা। :)

প্রত্যেকে নিজ জায়গায় থেকে চেষ্টা তো করতে হবে!

আবেগের একটা জায়গা থাকে -সেটা মুখের কথার চেয়ে কাজে প্রকাশ পেলে ভালো। কেউ মারা গেলে কাঁদি আমরা , তবে তার সম্মানজনক শেষকৃত্য করি এর চেয়ে বেশী গুরুত্ব দিয়ে, তার বেঁচে থাকা পরিজনের পাশে সাধ্যমত দাঁড়াই, তার শেষ ইচ্ছা পূরণ ও ঋণ শোধের ব্যবস্থা নেই। আপনি এখন বলুন যে নেই তার শোকে মাতম বেশী জরুরী নাকি তার অবশিষ্ট কর্তব্যগুলো পালন ও দায় বহন করলে সে বেশী ভালো? মৃত জীবিত থাকলে কোনটাতে বেশি খুশি হতো? শোকে কানণদবেন তাতে বারণ নেই, কিন্তু প্রকাশটা ঠিক দিকে হওয়া উচিত।

শুভেচ্ছা অযুত।

২৯| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৬

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আপু শিরোনামটা যেমন চমৎকার ঠিক তেমনি এর ভেতরের লেখাটাটাও চমৎকার ---- সুন্দর ও সময় উপযোগী লেখায় ++++++++++++

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আপুনি অনেক সুন্দর একটা মন্তব্য, খুব প্রেরণা পেলাম। এত্তগুলো প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ। :)

৩০| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩২

ধমনী বলেছেন: সুন্দর বলেছেন। কিন্তু....

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: কিন্তু ....। :(

৩১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১৭

জুন বলেছেন: মাতৃভাষার মাসে সুন্দর একটি লেখা তনিমা । তবে আমাদের বাঙ্গালী হওয়ার চর্চা যেন এই এক মাসেই সীমাবদ্ধ না থাকে ।
+

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: তবে আমাদের বাঙ্গালী হওয়ার চর্চা যেন এই এক মাসেই সীমাবদ্ধ না থাকে । সেটাই চাওয়া আপু। অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা। :)

৩২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১৮

আলোরিকা বলেছেন: চমৎকার ভাবনা ! সহমত । শুভ কামনা :)

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩০

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: সহমত হবার জন্য অজস্র ধন্যবাদ আলোরিকা। শুভকামনা আপনার প্রতিও। :)

৩৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৭

মানবী বলেছেন: ভাষার মাস হোক আর অন্য ১১ মাস ইংরেজী ব্যবহারের মাঝে কোন দোষের কিছু নেই। দোষ হলো যখন কেউ বিকৃত উচ্চারনে বাংলা বলে নিজেকে আধুনিক ভাবতে চেষ্টা করে, অবমাননা আর গ্লানিটা তখন যখন কোন বাংলাদেশি বাবা মা গর্ব করে জানায় বাংলাদেশেই লালিত তাদের সন্তান বাংলা জানেনা এবং সেই জানানোর সাথে এক অদ্ভুত(বিকৃত) পরিতৃপ্তি লাভ করে।

নিতান্তই হিনমণ্যতায় ভোগা নির্বোধ হলে পোস্টের শুরুর মতো এমন অর্থহীন ভাষায় কথা বলবে। এদের শুদ্ধভাবে ইংরেজি বলতে বললে মনে হয়না দু লাইনও বলতে পারবে " ইউ নো" "আই মিন" দিয়ে আমতা আমতা করে কাটিয়ে দিবে :-)

সুন্দর পোস্টের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু। আট বছর আগে এমন এক ভাবনা থেকে লিখেছিলাম , আপনার ভাবনার সাথে অনেকটা মিলে গিয়েছে তাই শেয়ার করা।
আন্তরিক শুভকামনা রইলো।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৪

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: দেখে এলাম আপু। খুব ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা আপনার প্রতিও।

৩৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: " লেখক বলেছেন: আলোচ্য উক্তিটা কার মনে ছিলো না, গুগল মামাকে খুঁচিয়ে জানলাম রবীন্দ্রনাথ বলেছেন। "

আপু ইহা কি বলিলেন, আমিতো এই রবীন্ড্র-পাঠের দূর্দিনে আপনাকেই রবীন্ড্র প্রভাবিট ব্লগার ভাবিয়াছিলাম । কিন্টু সে যাক, গুগল মামাকে সর্বডা সম্পূর্ন বিশ্বাস করিবেন না, টাহলে ঠকিবেন । রবীন্ড্র জবানিতেই ডেখিয়া নিন ইহা কে বলিয়াছিল :

ছেলেবেলা

আর হ্যা, শুধু কি আঢুনিক বাংলা বলিলেই চলিবে, আমাডেরকে লেখাটেও আঢুনিক হইটে হইবে...।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ভাই শ্রাবণধারা, রবীন্দ্রনাথকে অনুকরণ করবো বা আপনার মত আধুনিক করে লিখতে পারবো এমন যোগ্যতা কি আমার আছে আজ্ঞে?মুখ্যু সুখ্যু মানুষ, কিইবা জানি, ক্ষ্যামা দেন ভ্রাতা।

৩৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: প্রথম লাইনটা পড়ে একটু ঘাবড়ে গেছিলুম। দারুণ লিখেছেন!

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুপ্রিয় ঢাকাবাসী মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইলো।

৩৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৫

নুরএমডিচৌধূরী বলেছেন: মাতৃভাষার মাসে সুন্দর একটি লেখা তনিমা

সুন্দর ও সময় উপযোগী লেখায় ++++++++++++

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৯

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: এতগুলো প্লাসের জন্য নিযুত কৃতজ্ঞতা নুরভাই। :)

৩৭| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: সময়ের ম্যাট্রিক পাস আমাদের চেয়ে ভালো ইংরেজী জানতেন।- কথা সত্য। কারণও আছে। সিলেবাস আপডেট। দেশভাগের পর ইংরেজি শিক্ষার মান নিচু হতে শুরু করে।কারণ সিলেবাস ও শিক্ষাব্যবস্থার অবনতি হয়েছিল।কিভাবে ক্যামনে অবনমন হয়েছিল।এ সংক্রান্ত বেশ কিছু বই পুস্তক আছে।আগ্রহী হলে জানতে পারবেন।
নজরুল দরিদ্র ছিলেন , পড়াশোনা বেশীদূর করেননি, - যদি একাডেমিক বোঝান, ঠিক আছে। নয়তো
উনি সবসময় পড়াশুনার মধ্যে থেকেছেন , যতদিন সুস্থ ছিলেন।কয়েকটা ভাষায় উনার ভাল রকমের দক্ষতা ছিল।
এখন আগেকার অলংকারবহুল সাধুভাষার ব্যবহার নেই , দরকারও নেই। দরকার বেদরকারের প্রশ্ন গৌণ।
ব্যবহার হলে , প্রসারিত হলে দরকার ও হবে। বিপনন ও গ্রহণ ব্যবস্থার উপর নির্ভর। সংস্কৃত অলংকারবহুল সাধুভাষা
র প্রবর্তকরা বাংলা ভাষার উপর এই জগদ্দল জোর করে চাপিয়ে দিয়েছেন।যার ফল সুদূরপ্রসারী হয়েছে।
এই বিষয়ে আগ্রহী হলে প্রচুর লেখা আছে,গুণীজন অনেকেই এই বিষয়ে বলেছেন , তাদের লেখায় তাদের ভাষা ভাবনার সাক্ষর রেখেছেন।
একটা হাল্কা উদাহরণ দিচ্ছি।
আপনি হুমায়ূন আহমেদের সাহিত্য বিষয়ক লেখায় 'নেই' পাবেন না, 'নাই' পাবেন।
বঙ্কিম, শরৎচন্দ্র, পরশুরাম পড়ে বুঝতেও পারবেন না, মনে হবে জটিল- এসব তো আমাদের ভাষা দক্ষতার অমার্জনীয় অবনমন । এর একটা ঐতিহাসিক কারণ আছে। এছাড়াও না বোঝাটা ভাষার গতিশীলতার প্রমাণ। এতে পরিস্কার ভাষা
সেই আগের জায়গায় থেমে নেই।ভাষা ঐ জায়গায় থাকলে, ভাষা বোঝা যেত।ভাল রকমের গতিশীলতা থাকলে
আজকের অনেক শব্দ ৫০ বছর পর বোঝা যাবে না।
একটা ভাষাকে সর্বোচ্চ রকমের ব্যবহার করেন ঐ ভাষার সাহিত্যিকরা। তারাই ঐ ভাষার সবচেয়ে দক্ষ ব্যবহারকারী।
ভাষা ব্যবহারে, প্রয়োগে , বোঝায় পাঠকের চেয়ে লেখক এগিয়ে থাকবেন - স্বাভাবিক।
বুঝতে চাইলে পাঠককে দীক্ষিত হতে হবে। কেউ যদি মাইকেলকে পড়তে চান,তাহলে তাকে কষ্ট করতে হবে,কষ্ট ছাড়া মাইকেল কেষ্ট মিলিবে কেমনে ;) ?
এখন কেউ যদি বুঝি না বলে সরে যান,তার ব্যাপার।কেউ প্রয়োজনবোধ না করলে করার কিছু নাই।
যা হোক উপরের কথা গুলো বললাম কথার ফাঁকে যেসব চিন্তা উঁকি দেয় তা ভরাট করতে। নয়ত আপনার পোষ্টের মূল বক্তব্যের সাথে একমত।
শুভেচ্ছা রইল।
দুটি লিঙ্ক দিচ্ছি পড়ে দেখুন
নজরুলের কাছে আমাদের ঋণ: আহমদ ছফা, কিস্তি ৩
বাংলা ভাষা : হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, কিস্তি ৩



১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৯

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ভাইয়া, শুরুতেইও অজস্র ধন্যবাদ সুচিন্তিত মতামতের জন্য। আমি একাডেমিক শিক্ষার কথাই বলেছি। এর একটা নূন্যতম মান থাকা উচিত-যা মানুষকে কথায়, বলায়, চলায় শুদ্ধ , মার্জিত দক্ষ করে তুলবে। এরপরে কেউ আরও অগস্র হবেন নিজের চেস্টায় সেটা তার ব্যাপার, কৃতিত্ব।
ভাষআ গতিশীল কিন্তু গতিটা প্রগতি না অধোগতি সেটা দেখার বিষয়। যে শব্দ গুলো আমরা ব্যকারণ বইয়ে পড়ে লিখে পাস করে এসেছি সেই সুন্দর চারু শব্দ গুলো সাধারণ পাঠক বোঝেনা। লেখকেরা জানেন না বা ব্যবহার করেন না। পাঠকের মান বা পাঠাভ্যাস কমে গেলে লেখককেও তার পর্যায়ে নিচে নেমে আসতে হয়। না হলে পড়বে কে?নতুন বাংলা শব্দ তৈরী হবার বদলে হিন্দি বা ইংরেজী অকাতরে ঢুকছে এটা সুস্থ নয়। প্রাকৃতিক আত্নীকরণও নয়।
আর হ্যাঁ, যুগের সাথে সাহিত্য আগাবে তবে যা ক্লাসিক তার নিজস্ব অবস্থান আছে। চর্যাপদের যুগ বিলুপ্তি মেনে নেয়া যায়, কিন্তু মাত্র শত বছর আগের যুগ থেকে আমরা এমনই বা কি এগিয়েছি ভাষায় যে তাও বাতিল?

লিঙ্কের জন্য বাড়তি ধন্যবাদ রইলো।

৩৮| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৩

আমি তুমি আমরা বলেছেন:



রেজওয়ানা আলী তনিমা


ব্লগার পরিসংখ্যান

পোস্ট করেছি: ৮১টি
মন্তব্য করেছি: ৪৫৫০টি
মন্তব্য পেয়েছি: ৩০৫৬টি
ব্লগ লিখেছি: ৩ বছর ১ সপ্তাহ
অনুসরণ করছি: ৪৫ জন
অনুসরণ করছে: ১৮৪ জন

তৃতীয় বর্ষপূর্তির শুভেচ্ছা প্রিয় ব্লগার :)

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫০

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আমি তুমি আমরা ভাইয়া। :)
সবার দেখাদেখি এবার জন্মদিন করার ইচ্ছা ছিল, হলোনা। :(

৩৯| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৫

বিজন রয় বলেছেন: ভাল লেখা ভাষার মাসে।
++

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫১

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মতামতে অযুত ধন্যবাদ বিজন :)

৪০| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: চমৎকার লেখা। ভাল কিছু কমেন্ট এসেছে, সেগুলোও পড়লাম।

শেষ পয়েন্টটায় বলব, কিছু জিনিস থাকে সংস্কৃতির অংশ হয়ে যায়। আমাদের ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান পালন ও তেমন একটা জিনিস। এর পাশাপাশি পাঠচক্র, ট্রাস্টের কার্যক্রম চালান যেতে পারে। তবে নিঃসন্দেহে, এই দিবসের যে নির্লজ্জ কর্পোরেটায়ন করা হচ্ছে, সেটা একটা কদর্য চেষ্টা; এর বিরুদ্ধে অবশ্যি সচেতন হওয়া দরকার, কণ্ঠ জাগানো প্রয়োজন।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫২

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ছোট কিন্তু সুলিখিত ও সুচিন্তিত মন্তব্য শঙ্কু ভাই। অনেক ধন্যবাদ।

৪১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০১

এহসান সাবির বলেছেন: তৃতীয় বর্ষপূর্তির শুভেচ্ছা।

রেডিওর আর জে দের এসএমএস করেছি এই বিষয় গুলো নিয়ে কিন্তু তারা আমার এসএমএস পড়ে নাই।

আপনার পোস্টের শেষ অংশের সাথে পুরো পুরি এক মত নই। আপনি ভালো লিখেছেন।

কোন দিন ফুল কিনে দেই নাই.. ছোট বেলাতে যখন ফুল দিতাম তখন নিজের গাছের ফুল দিতাম, যে ফুল অন্য কেউ ছিড়লে খুন করে ফেলবো অথবা সারা বছরে একবারই নিজের গাছের একটা ফুল ছিড়ব সেটা ঐ দিন। একটা ফুল নিয়ে ভাই বোন সবাই যেতাম বাসার সামনে, কি অদ্ভুত আবেগ ছিল......! আমরা ওখানে দাঁড়িয়ে মোনাজাত করতাম।

শহীদদের বা আরো ব্যাপকভাবে দেশের জন্য যারা আত্নত্যাগ করেছেন তাদের পরিবারের জন্য অবশ্যই আমাদের আরো কিছু করা উচিত।

শুভেচ্ছা।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৩

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ভিন্নমত সর্বদাই সম্মানিত সাবির ভাই। কিন্তু আপনার সময়ের আবেগ কি এখনও অবশিষ্ট আছে? কতজনের মধ্যে? সন্দেহ হয়।
শুভেচ্ছা অনেক।

৪২| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৩

টি এম মাজাহর বলেছেন: শেষের প‌্যারা নিয়ে ছোট্ট একটা দ্বিমত লিখতে এসেছিলাম, দেখলাম এহসান সাবির ভাই আমার কথাটা বলে দিয়েছেন।

০১ লা মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:২৬

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ মাজাহর । ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.