নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিন্দুর মাঝে সিন্ধু দর্শনের আশায় পথ চলি...

রিদওয়ান হাসান

শুধু একদিন ভালোবাসা, মৃত্যু যে তারপর... যদি তা-ও পাই, আমি তা-ই চাই, চাই না বাঁচতে আমি প্রেমহীন হাজার বছর।

রিদওয়ান হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি মুডি রোগ এবং এর প্রতিকার

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:২৫



সহোদর দুই ভাই প্রতিযোগিতায় নামলে ছোটভাই জিতে যাওয়ার অর্থ সবসময় এমন নয় যে, ছোট ভাই-ই জিতেছে। অনেক সময় এমনটাও তো হয়, বড়ভাই ছোটভাইয়ের মুখে হাসি ফোটাতে নিজের জিৎ বিসর্জন দিয়েছে। প্রকৃতপ্রস্তাবে এই জিৎ বড় ভাইয়েরই। কিন্তু সমাজ ভাবে- বড়ভাইয়ের চেয়ে ছোটভাই ঢের শক্তিশালী। মজবুত। চালাক। তখন বিজয়ীর চেহারাতেও এক ধরনের বিশেষ মুডের উপসর্গ দেখা দেয়।

অনেকে হঠাৎ করে অযথা নিজেকে খুব বড় মাপের ভাবতে শুরু করেন! আবার কেউ নিজের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও খুব ছোট বা তুচ্ছ ভাবেন! এটি এক ধরনের কমপ্লেক্স। ব্যক্তির ভেতর দুই ধরনের কমপ্লেক্সিটি তখনই কাজ করে, যখন তিনি স্বাভাবিক মানুষের মত স্বাভাবিক থাকতে পারেন না! এবং আচরণের ভারসাম্যও বজায় রাখতে পারেন না।

অনেক সময় এই কমপ্লেক্স থেকে মুডও ওঠানামা করে! অবাক হওয়ার বিষয় হলো, এটির সাথে এক ধরনের আবেগজনিত মানসিক রোগের নাম ও বৈশিষ্ট্য জড়িয়ে আছে! এ রোগটির নাম ‘বাইপোলার মুড ডিসঅর্ডার’। কখনো খুব উচ্ছ্বসিত আবার একটু পরেই বিরক্ত হওয়া কিংবা মুড ওঠানামা করা বাইপোলার ডিসঅর্ডারের রোগের প্রধান লক্ষণ।

উপসংহারে এই মুড কন্ট্রোল করতে না পারলে একটা উপদেশ দেই- যে সম্পর্ক আপনাকে ভালো থাকতে দেয় না। সেটার চেয়ে আকাশের তারা গোনা অনেক ভালো।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৩০

রাজসোহান বলেছেন: ভালো বলছেন। তারা গোণার চেয়ে বালু গোণা আরও বেটার :D

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৫

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: বালুচরে বালু গুণতে হবে তাহলে। নইলে এ জাতি হাতের মুঠোয় কয়েকটি দানা বালুর খুচুরি নিয়ে গবেষণা শুরু করবে। :)

২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৬:৩৫

বিজন রয় বলেছেন: দারুন তো!

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৬

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: আপনি বললেন তো! তাহলে দারুন হতে পারে!!

৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:০১

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্সটা মনে হয় বেশী বিরাজমান।
ভাল লিখসেন ||

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: হুম... সেটাই। অনেকে ছোট ভাবতে ভাবতে নিজেকে হাতের মোয়া বানিয়ে ফেলে। একটা সময় এমন হয় যে, তার কাছেই আর কেউ ভিড়ে না। এজন্যই ইসলামের প্রবর্তক মহানবী আল্লাহর কাছে সবসময় দোয়া করতেন- ‘হে আল্লাহ, আমাকে তুমি নিজের চোখে ছোট করে রেখো, কিন্তু অন্যের চোখে সম্মানী ব্যক্তিত্বও স্বীকৃতি দিও।’

কারণ নিজে নিজে ছোট মনে করাটা দোষের কিছু নয়। কিন্তু যখন সেখানে কমপেয়ারিটি চলে আসবে। তুচ্ছ ভাবতে ভাবতে নিজেকে বিলীন করে দেবে। অন্যরা তাকে দেখে একশ হাতের নিরাপত্তা খুঁজবে। এমন ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্স বা হীনম্মনত্যা অবশ্যই পরিহার্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.