নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিন্দুর মাঝে সিন্ধু দর্শনের আশায় পথ চলি...

রিদওয়ান হাসান

শুধু একদিন ভালোবাসা, মৃত্যু যে তারপর... যদি তা-ও পাই, আমি তা-ই চাই, চাই না বাঁচতে আমি প্রেমহীন হাজার বছর।

রিদওয়ান হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘরের মেঝেতে বিন্দু বিন্দু পানি এবং আমাদের ভূমিকম্প ভাবনা

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:০৫

কয়েক দিন ধরে রাজধানীসহ সারাদেশে টানা বর্ষণ শেষে আজ থেমেছে বৃষ্টি। সকাল থেকে আলো ঝলমলে দিন। পরিবেশও স্বাভাবিক। কিন্তু সকালে নগরবাসীর অনেকেই ঘুম থেকে উঠে দেখেন ঘরের মেঝেতে বিন্দু বিন্দু পানি। ঘরের দেয়াল কিংবা সিলিংও ঘেমে আছে। বাসার ফ্লোর ও সিঁড়িতে বিন্দু বিন্দু পানি জমে উঠেছে। এ ঘটনায় অনেকে কৌতূহলী হয়ে ওঠেছেন। কেউ কেউ আতঙ্কগ্রস্ত হয়েছেন। অনেকেই এটিকে ভূমিকম্পের পূর্বাভাসও বলছেন। অথচ এটি একটি স্বাভাবিক বিষয়।
যখন তিন চার দিন একনাগারে বৃষ্টি হয় তখন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে যায়। আর আদ্রতা বেড়ে যাওয়ার ফলে এসব জিনিস-পত্র বাতাসের সংস্পর্শে এলে ক্রমান্বয়ে তা ভিজে ভিজে ভাবের হয়ে যায়। যেমন, একটা গ্লাস ভর্তি ঠাণ্ডা পানীয় রাখলে গ্লাসের বাইরে বাষ্পের মতো বিন্দু বিন্দু পানি জমে থাকে। এটা তারই উদাহরণ। আবহাওয়াবিদদের ভাষায়, কয়েকদিন থেকে বৃষ্টির ফলে তাপমাত্রা নিচে নেমে গিয়েছিল। এখন বাড়ছে। শীতের দিন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়ির ভেতরেও ঘেমে যায়। সেমতে, গত কয়েকদিনের তাপমাত্রা ছিল ২০ ডিগ্রি আর আজ হঠাৎ করে তা বেড়ে হয়েছে ৩৪ ডিগ্রি। তাই তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ঘরের ফ্লোর বা মেঝে ঘামছে। ফ্লোর ঘেমে যাবার মূল কারণ হিউমিডিটি। যাকে বলে আর্দ্রতা।
গ্রীষ্মপ্রধান দেশ হিসেবে ইন্ডিয়া ও বাংলাদেশের বাতাস প্রচণ্ড আর্দ্র। স্বাভাবিকভাবে জলীয় বাস্পের পরিমাণ নিয়মের মধ্যে থাকে। ঢাকার বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ আজ ৭০% এরও বেশি। এটি বড় ধরনের হিউমিড অবস্থা। এজন্য ফ্লোর এবং ঘরের দেয়াল ঘেমে উঠছে। বাংলাদেশে সামান্য গরম পড়লেই মানুষ ঘেমে ওঠে। অষ্ট্রেলিয়া কিংবা তার আশেপাশে দেশগুলোতে ৪০ ডিগ্রী গরমেও ঘাম হয় না তেমন। কারণ তাদের বাতাসে আর্দ্রতা কম। অথচ আমাদের অঞ্চলে ২০ ডিগ্রীতেও ঘেমে যেতে দেখেছি। আর ঢাকা যেহেতু একটি বদ্ধ শহর। প্রচণ্ড ঘিঞ্জি। পর্যাপ্ত পরিমাণ এডজাস্ট সিস্টেম নেই ঘরে ঘরে। ঘরের বাতাস বাইরে নেবার মতো এডজাস্ট ও ভেন্টিলেশন সিস্টেমও নেই।
বাড়ি-ঘর নির্মাণের ক্ষেত্রে আবহাওয়াগত অবস্থা এবং ভৌগলিক অবস্থান চিন্তা করে উন্নত দেশে ঘর-বাড়ি বানানো হয়। বাংলাদেশে এসব চিন্তা করার কেউ নেই। ডিহিমিউডি-ফায়ার নামে একটি যন্ত্র পাওয়া যায়। বাংলাদেশেও পাওয়া যায় গুলশানের দিকে। তাও আবার সচরাচর পাওয়া যায় না। অথচ হাতের নাগালে পাওয়ার দরকার ছিল বেশি। কারণ, বাংলাদেশ হিউমিড অঞ্চল। এ ডিহিমিউডি-ফায়ার যন্ত্র বাসায় বসিয়ে নিলে একটু মুক্তি পাওয়া যায় ভিজে ওঠা থেকে। চাইলে এডজাস্ট ফ্যানও লাগানো যেতে পারে। কিছু এসিতেও আর্দ্রতা শুষে নেয়।
ঘরের ফ্লোর বা মেঝে ঘেমে ওঠার বিষয়টাকে অনেকে ভূমিকম্পের কারণ হিসেবে দেখছেন, এটা সঠিক নয়। যদিও ঢাকা শহর ভূমিকম্পের জন্য ডেঞ্জার জোন হয়ে আছে অনেক আগ থেকেই। পরিবেশে হিউমিডিটির সাথে ঘূর্ণিঝড় সাইক্লোন টোনের সম্পর্ক যদিও আছে। কিন্তু সেটা ভিন্ন বিষয়।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:১৮

রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: মানুষের বিভ্রান্তি দূর করার এই প্রচেষ্টার প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩০

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয়। শুভকামনা রইল।

২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:৩১

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: যদি কেউ পড়ে উপলব্ধি করে।।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩১

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: এই প্রত্যাশা নিয়েই লেখা। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকুন।

৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৩:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


ফাঁস-করা প্রশ্নে পরীক্ষা দিলে সবকিছুতেই কাঁপবে।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩২

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: আমার উত্তরটি সহব্লগার রাজীব নুর ভাই দিয়েছেন। পড়ে নেয়ার আমন্ত্রণ। ভালো থাকবেন।

৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন:


ফাঁস-করা প্রশ্নে পরীক্ষা দিলে সবকিছুতেই কাঁপবে।

দারুন বলেছেন।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৩

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: চাঁদগাজীর মন্তব্যটি আপনার দারুণের জন্য আরো জোড়ালো আবেদন তৈরি করল। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.