নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমড়া কাঠের ঢেঁকি

তোতা পাখির জগৎ খাঁচায় বন্দি.... তার ভাষা মনিবের বাক্যেই সীমাবদ্ধ। তোতাপাখি হতে কীবোর্ড ধরিনি, এখানে তোতাপাখি হতে আসিনি!!

রায়ান ঋদ্ধ

এলোমেলো ধাঁচের পাগলাটে একজন মানুষ আমি। অনেকে বলে কল্পনা প্রবণ। একটু বোকা ধরণের হলেও সচেতন, নিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িক, বিপ্লব মনা, তর্ক প্রবণ, মধ্যবিত্ত ঘরের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির একজন বাংলাদেশী নাগরিক আমি, যে দেশকে অন্য সব কিছুর থেকে বেশি ভালোবাসে। ভালোবাসা আমার মৌলিক বৈশিষ্ট্য গুলোর একটি এবং আমার সব কর্মকাণ্ডের অনুপ্রেরক। সব কিছুর মত আমিও আপেক্ষিক। আজ হয়তো এমন আছি, কাল বদলেও যেতে পারি!!

রায়ান ঋদ্ধ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দিনাজপুরে সাইদীর রায়ের প্রতিক্রিয়া

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩২

দিনাজপুর রামডুবি অঞ্চলের পশ্চিমে অবস্থিত দিনাজপুর টেক্সটাইল মিল এর সামনে বাজারে সকাল থেকে আশেপাশের অঞ্চলের জামাত-শিবির কর্মীরা বিচ্ছিন্ন ভাবে জমা হতে থাকে। উক্ত স্থানে নাশকতার সম্ভাবনা দেখা দিলে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। দেলোয়ার হোসেন সাইদীর রায় কে কেন্দ্র করে জামাতের ডাকা হরতাল সমর্থন করে আনুমানিক বেলা ১টার দিকে রামডুবি অঞ্চল থেকে জামাত-শিবিরের একটা বড় দল টেক্সটাইল বাজারে আসে। পুলিশ হরতাল সমর্থনকারীদের ছত্রভঙ্গের চেষ্টা করলে তারা পুলিশের উপর চড়াও হয়। নারী-পুরুষ-শিশু-কিশোর মিলে প্রায় ৪০০ জন হরতালকারী পুলিশকে ধাওয়া করলে তারা পিছিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে টেক্সটাইল বাজারের পশ্চিমে রিপুজিপাড়া জামে মসজিদের সামনে এসে পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে। গোলাগুলিতে ১৬ বছরের এক কিশোর গুলিবিদ্ধ হয়। আহত কিশোরকে তাৎক্ষনাত মোটরসাইকেলে করে চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর শহরে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা যায় আহত কিশোরটি রামডুবি মাদ্রাসার এক শিক্ষকের ছেলে এবং শিবির কর্মী। এখন পর্যন্ত পাওয়া খবর মতাবেক কিশোরটি এখনো জীবিত আছে। গুলিটি তার কানে লেগেছিল।



এদিকে দিনাজপুরের রানীবন্দরে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে এক শিবির কর্মী। আরও পাঁচজন গুলিবিদ্ধ এবং তিন জনের অবস্থা আশংকাজনক। জামতের আমির দেলোয়ার হোসেন সাইদীর রায় ঘোষণার পর জামাত-শিবির সহিংসতার চেষ্টা করলে তাদের নিয়ন্ত্রনের জন্য ছোড়া গুলিতে এই ঘটনা ঘটে। আহতদের হসপিটালে নিলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা একজনের কিছুক্ষন আগে মৃত্যু হয়।



দিনাজপুর মূল শহরে এখন পর্যন্ত জামাত-শিবিরের কোনো কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায় নি। তবে নাশকতার আশঙ্কায় শহরের মূল পয়েন্ট গুলোতে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রায় ঘোষণার পর দিনাজপুর আওয়ামীলীগ দিনাজপুর ইন্সট্রিটিউট থেকে আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে আবার ইন্সট্রিটিউটে ফিরে আসে। জামাত-শিবিরের ডাকা হরতালে আজ শহরের বেশির ভাগ দোকান-পাট বন্ধ ছিল। শহরে সকাল থেকে লোকজন কম দেখা গেলেও দুপুরের পর থেকে লোকজন ও যানবাহনের সংখ্যা বাড়তে থাকে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.