নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এলোমেলো ধাঁচের পাগলাটে একজন মানুষ আমি। অনেকে বলে কল্পনা প্রবণ। একটু বোকা ধরণের হলেও সচেতন, নিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িক, বিপ্লব মনা, তর্ক প্রবণ, মধ্যবিত্ত ঘরের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির একজন বাংলাদেশী নাগরিক আমি, যে দেশকে অন্য সব কিছুর থেকে বেশি ভালোবাসে। ভালোবাসা আমার মৌলিক বৈশিষ্ট্য গুলোর একটি এবং আমার সব কর্মকাণ্ডের অনুপ্রেরক। সব কিছুর মত আমিও আপেক্ষিক। আজ হয়তো এমন আছি, কাল বদলেও যেতে পারি!!
দেশের আসন্ন ভবিষ্যৎ বর্তমান তরুণ সমাজ। নির্দ্বিধায় একটা বৃহৎ সম্ভাবনাময় তরুণ সমাজ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীরা। এদের ভেতর থেকেই অনেকে আগামি দিনের আমাদের দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেবেন। আবার বাকিরা বিভিন্নভাবে দেশের জন্য কাজ করবেন। হ্যাঁ, এভাবেই এগিয়ে যাবো আমরা, এভাবেই তো এগিয়ে যাবার কথা! কিন্তু...... এই যাত্রার শুরুটা কতটা নৈতিক? যদি আরও সোজা ভাবে বলি তাহলে এই সম্ভাবনাময় তরুণ সমাজের আগামীর কাণ্ডারি হওয়ার শুরুটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির মাধ্যমে। এই ভর্তি প্রক্রিয়া কি দুর্নীতি মুক্ত?
আমি জানি কেউ এই ব্যাপারে হলফ করে বলতে পারবে না। ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস যে একেবারেই নেই এমন কিন্তু না। আবার মেধা তালিকার পর অপেক্ষমানদের ভেতর থেকে যে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সাথে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানো হয় তেমনও কিন্তু না, বরং খুঁজে দেখলে পাওয়া যাবে এই যায়গায়ই সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ গুলো সর্বোচ্চ দুর্নীতি পরায়ণ! মেধাতালিকার সব আসন পূর্ণ করার পর দেখতে পাওয়া যায় উপর মহল ক্ষমতাসীনদের সাথে লিয়াজু থাকার নমুনা বা সুফল। অপেক্ষমাণদের জন্য ২৬৭ আসন থাকলেও আকস্মিক ভাবে তা পূর্ণ হয়ে যায় কিংবা জানা যায় ১৮০ জনের উপর উপরওয়ালার (!) রহম হইছে!
যদি এমনি ভাবেই সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে রহম হতে থাকে তাহলে, এই রহমত প্রাপ্ত তরুণ গণ অবশ্যই তাদের রহমত দাতার প্রতি অনুগত হবেন। তাদের আহ্বানে পাশে থাকবেন এবং পরবর্তীতে তারা যদি কোন অযাচিত কর্ম করে তবে সেটার বিরোধিতা করতেও সামনে আসবেন না (অবশ্যই ব্যাতিক্রম থাকতে পারে)। এর ফলে দেশে একটা বিশেষ শ্রেণীর রহমতের প্রতি অনুগত এক দল তরুণ সমাজ আসবে যারা হয়তো সেই শ্রেণীর সাথে হাত মিলিয়ে পরবর্তীতে শাসন ব্যাবস্থায় আসবে অথবা অন্যান্য উচ্চ অবস্থানে থাকবে। কিন্তু এমন একটি সমাজ থেকে কতটুকু স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, সুশাসন কিংবা ন্যায় বিচার আশা করা যায় যাদের শুরুর পথটাই অন্যায়?
এখানে আমি সেই মেধাবী উপযোগী তরুণদের উপর আঙ্গুল তুলিনি যারা কষ্ট করে পড়াশুনা করার পর তাদের অবস্থান সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠে নিশ্চিত করেছে। আঙ্গুল তাদের উপরে তুলা যারা মামা-চাচা আর টাকার বদৌলতে অন্যদের প্রাপ্য নিয়ে নিচ্ছে বা নিতে সাহায্য করছে। আমাদের দেশের একটু সুন্দর ভবিষ্যৎ সুন্দর মনের নবীন প্রজন্ম দিতে পারে, দুর্নীতি গ্রস্থরা না।
জয় বাংলা, জয় তারুণ্য, জয় সততা।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:২৯
রায়ান ঋদ্ধ বলেছেন: সবাইকে সুযোগ দিতে গেলে প্রচুর সিট আরও অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আর সেই অনুযায়ী শিক্ষক প্রয়োজন। কিন্তু এটা 'চাহিবা মাত্র' যে পাওয়া সম্ভব না তাও কিন্তু সত্য। তাই যেই কয়টা সিট আছে সেইগুলাই যদি যোগ্যদের দেওয়া হত তাতেও কিছুটা সন্তুষ্ট থাকা যেত।
যা নেই তা চাওয়ার থেকে যা আছে তার সুষ্ঠু ও সুষম বণ্টন চাওয়াটা আর পাওয়াটা দায়িত্ব আর অধিকার।
২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৪:১৭
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
ওয়েটিং লিস্ট জিনিস্টা পুরা খাপ ছাড়া।
সেকেন্ড পজিশন চান্স পায় না বাট দেখা যায় ১০২ নাম্বার জন্য পায়।
ছাত্রলীগ কররে মনা
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৩২
রায়ান ঋদ্ধ বলেছেন: এটা কোন এক পক্ষীয় সমস্যা না, যে যখন ক্ষমতায় থাকে সেই তখন এর সুযোগ নেয়।
৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:০৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভর্তি প্রক্রিয়া আমাদের সময় দুর্নীতি মুক্তই ছিলো। এখনত সবকিছুতেই দুর্নীতি।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৪
রায়ান ঋদ্ধ বলেছেন: চোখের সামনে দেখলাম... এর জন্যই খারাপটা অনেক বেশী লাগলো।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৩১
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: যাক কিছু একটা বলেছেন; এটা আসল সমস্যা নয়; আসল সমস্যা হলো সবাই পড়ালেখার সুযোগ না পাওয়ায় সব ধরণের সমস্যা দেখা দিচ্ছে; আসল সমস্যা আপনার মাথায় এলো না কেন?