নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আম জনতার একজন।

ইছামতির তী্রে

I have a dream.

ইছামতির তী্রে › বিস্তারিত পোস্টঃ

হে প্রাণপ্রিয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, তোমার জন্মদিনে হাজারো সালাম

০১ লা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৫০

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ইচ্ছে জন্ম নেয় আমি যখন ক্লাস ফাইভে পড়ি। তারপর থেকে এই স্বপ্ন কোনদিন মরেনি বা পথ হারায়নি। আস্তে আস্তে সময়গুলো চলে যাচ্ছিল। আমিও নিজেকে তৈরি করছিলাম। দু'টি ঘটনা মনে পড়ছে।



১। আমি আমার এক আত্বীয়ের বিয়ে খেতে সিরাজগঞ্জ গিয়েছিলাম। কেউ একজন একটা ছেলেকে দেখিয়ে বলল 'সে ঢাবি তে পড়ে"। এতক্ষন যে আমার দৃষ্টিসীমায় পড়েনি সেই ছেলেকে আমি অবাক বিস্ময়ে দেখতে লাগলাম। এরপর থেকে ঐ ছেলেটির সমস্ত কাজই আমি খুবই উপভোগ করছিলাম। আমি সবকিছু ভুলে তার পিছে লেগে রইলাম উদ্দেশ্য, একটু কথা বলা। অবশেষে সুযোগ এলো। নিজের পরিচয় দিয়ে টুকটাক কথাবার্তার এক পর্যায়ে আমি তাকে জিজ্ঞাসিলাম, 'আপনি কি ঢাবিতে পড়েন?' আমাকে অবাক করে দিয়ে উনি বললেন, 'না তো, আমি জগন্নাথে পড়ি'। অতিদ্রুত আমি সে স্থান ত্যাগ করলাম। কারণ এরপর থেকে তার সবকিছুই বিরক্তির উদ্দ্রেক করছিল। আমি অত্যন্ত আদবের সাথে জানাচ্ছি যে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কে ছোট করা আমার অভিপ্রায় নয়। আসলে আমি মূলত তাকে নয় ঢাবিকে ভালবেসেছিলাম।



২। জীবনে প্রথমবার ঢাকা এসেছি। আমার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল ঢাবি ক্যাম্পাস দেখা। তো, এক মামার সাথে ঢাবি ক্যাম্পাস দেখার উদ্দেশ্যে বের হলাম। বাসে যাওয়ার পথে হঠাৎ একটি লাল রঙের বাস আমার সমস্ত মনোযোগ কেড়ে নিল। আমি আবারও অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখলাম সেখানে বড় বড় করে লেখা আছে “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়”। আমি মামাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করতেই তিনি বললেন যে, এগুলো ঢাবির ছাত্রছাত্রী পরিবহন বাস। যতক্ষন দেখা গেল আমি বাসের দিকে তাকিয়েই থাকলাম।



অবষেশে পৌছে গেলাম আমার স্বপ্নের ক্যাম্পাসে। ‘অপরাজেয় বাংলা’, ‘কলাভবন’ ‘মধুর ক্যান্টিন’, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী, ‘মসজিদ’, ‘জাতীয় কবির মাজার’, ‘কার্জন হল’ ইত্যাদি দেখে আর বিস্মিত হলাম। আমি ছুঁয়ে ছুঁয়ে সবগুলো স্থাপনা দেখছিলাম। আমার ভেতরে এক আশ্চর্যজনক অনুভূতি কাজ করছিল। ওগুলোর ছোঁয়া আমাকে শিহরিত করছিল। তবে আর বিস্মিত হচ্ছিলাম না। কারণ বিস্মিত হবার মতো অবস্থা তখন আমার ছিল না। আমি তখন রীতিমত বাকরুদ্ধ। আনন্দের আতিশয্যে কেঁদে ফেলার মত অবস্থা। কোনরকমে সমস্ত বিষয়গুলো হৃদয়ঙ্গম করার চেস্টা করছিলাম। একরাশ আনন্দদায়ক স্মৃতি নিয়ে ফিরে ফিরে এসে সিদ্ধান্ত নিলাম “এখানে পড়তে না পড়লে জীবন বৃথা”।



মহান রাব্বুল আলামিন কে অনেক ধন্যবাদ তিনি আমাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার সৌভাগ্য দান করেছেন। আমি ওখানে পড়ার যোগ্য না। তবু তিনি সুযোগ দিয়েছেন এজন্য আমি সারাজীবন মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ থাকব।



হে প্রাণপ্রিয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, তোমার জন্মদিনে হাজারো সালাম। তুমি সহস্র বছর তোমার গৌরব নিয়ে বেঁচে থাক।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.