নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আম জনতার একজন।

ইছামতির তী্রে

I have a dream.

ইছামতির তী্রে › বিস্তারিত পোস্টঃ

হানাদারদের কবল থেকে মুক্ত হয়ে আমরা আজ দুরাচারের কবলে...

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৩





একটা গল্প বলি চলুন। কোন এক গাঁয়ে এক বধু ছিল। সে দেখতে ছিল অনিন্দ্যসুন্দরী। তার চোখে ছিল রঙ্গীন স্বপ্ন। তার সংসার একদিন ফুলে-ফলে ভরে উঠবে। সেখানে গোয়ালভরা গরু থাকবে, পুকুরভরা মাছ থাকবে। তার সন্তানেরা থাকবে দুধে-ভাতে। কিন্তু তার কপাল যে বড়ই খারাপ! তার স্বামী খুবই জঘন্য প্রকৃতির, অতি নীচ মানুষ। সংসার শুরু হতে না হতেই তার রাংগা স্বপ্ন ফিকে হতে লাগল। স্বামী কথায় কথায় নানা রকম অত্যাচার, অবিচার করতে লাগল তার উপর। তার সুন্দর দেহ ধীরে ধীরে কালো হতে লাগল। অত্যাচারের মাত্রা যখন চরমে উঠল তখন তিনিও রুখে দাড়ালেন। ভাবলেন এভাবে ঠায় বসে থেকে মার খাবার মধ্যে কোন বীরত্ব নেই। মরতে হলে যুদ্ধ করেই মরব। যে কথা সেই কাজ। সে একদিন বজ্রকঠিন শপথ নিল শত্রু নিধনে...



তো, সেই গ্রামের পাশেই ছিল এক মাতব্বরের বাড়ি। সে অনেকদিন আগে থেকেই তক্কে তক্কে ছিল কি করে ঐ সুন্দরি বধুকে কব্জা করা যায়। সে যখন দেখল তার সংসার যায় যায় তখন সে দৃশ্যপটে হাজির হয়ে গেল সাধুরুপে। গ্রাম্যবধুটি তাকে অবতার ভেবে তার সাহায্য হাত পেতে নিল এবং কৃতজ্ঞতায় তার মন ভরে উঠল। মাতব্বর একটু মুচকি হাসি দিল। এরপর এক নদী রক্ত পেরিয়ে বধুটির নতুন সংসার হলো। তিনি তার উপকারী বন্ধুকে সাহায্যের জন্য প্রাণভরে কৃতজ্ঞতা জানালো এবং অনেক দামী উপহারসামগ্রী সহকারে তার উপকারের প্রতিফলন দেয়ার চেস্টা করল।



এরপর...গল্পের সমাপ্তি হওয়া উচিত ছিল ‘অবশেষে সে সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিল’। কিন্তু প্রিয় পাঠক, তা হলো না। এরপর শুরু হলো তার অন্য ধরনের যুদ্ধ। মানসম্ভ্রম বাঁচানোর যুদ্ধ। যে যুদ্ধ তাকে প্রতিনিয়ত করতে হচ্ছে এককালের দেবতারুপি বন্ধুটির(?) সাথে। বধুটি খুবই অসহায় বোধ করতে লাগল। সে না পারছে বলতে না পারছে সইতে। এদিকে মাতব্বরের অত্যাচার ক্রমেই বেড়ে যেতে লাগল। আজ এই অত্যাচার কাল সেই অত্যাচার।



দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর গেল...কিন্তু অবস্থার কোন উন্নতি হলো না। এখন কি করবে বধুটি? তার সংসার এখন ক্রমেই উন্নতির দিকে। তার দেহে নতুন রক্তের আনাগোনা। সেই রক্ত মাঝে মাঝে টগবগিয়ে ফোটে। তারা তীব্র রেষের সাথে বলে, ‘মা হানাদারদের একবার বিদায় করেছ। এবার আমাদের দায়ীত্ব দাও আমরা দুরাচারদের বিদায় করব’। মা পাজরভাংগা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে। সে কি বলবে তার সন্তানদের?? তবু মা তাদের বিরত রাখেন। বলেন, ‘বাবারা এখনো সময় হয়নি’। আগে তোরা মানুষ হ। শক্তি অর্জন কর। তোরা যখন অনেক বড় হবি তখন দেখবি শয়তান লোকগুলো তোদের আর মাড়াতে আসবে না’।

সন্তানেরা বোবা দৃষ্টি নিয়ে মায়ের দিকে তাকিয়ে থাকে। এক সময় হাত গুলো মুষ্টিবদ্ধ হয়ে যায়। আর একটি যুদ্ধের জন্য তার রক্তশপথ নেয় । যে যুদ্ধ হবে নিজেদের তৈরি করার যুদ্ধ, প্রিয় দেশকে উন্নতির উচ্চশিখরে নিয়ে যাবার যুদ্ধ...



পারবে কি তারা সফল হতে???????????

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.