নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আম জনতার একজন।

ইছামতির তী্রে

I have a dream.

ইছামতির তী্রে › বিস্তারিত পোস্টঃ

উপমহাদেশের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ফুটবলার তথা বিশ্ব ফুটবল ইতিহাসেরই একজন বিরল প্রতিভাধর ফুটবলার ‘জাদুকর সামাদ’ কে চিনুন।

১১ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৫২

বাংলাদেশ তথা সমগ্র ভারত উপমহাদেশের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ফুটবলার কে-এটা হয়ত অনেকেই জানেন। আর যারা জানেন না তাদেরকে বলছি, তিনি হলেন সামাদ, পুরো নাম সৈয়দ আব্দুস সামাদ। অবশ্য তিনি আমাদের মাঝে জগদ্বিখ্যাত ও চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন ‘জাদুকর সামাদ’ নামে। শুধু ভারত উপমহাদেশই নয়, বরং তিনি ছিলেন বিশ্ব ফুটবল ইতিহাসেরই একজন বিরল প্রতিভাধর ফুটবলার। কেউ আবার ভেবে বসবেন না যে, তিনি হয়ত ফুটবল খেলার পাশাপাশি জাদুবিদ্যা চর্চা করেছিলেন। একদম না। তিনি ‘জাদুকর’ উপাধি পেয়েছেন জাদুবিদ্যা জানার জন্য নয়। বরং ফুটবল খেলায় অসামান্য দক্ষতা, অনন্যসাধারণ ক্রীড়াশৈলী এবং ফুটবল মাঠে চমকপ্রদ সব ঘটনা প্রদর্শনের জন্যই জুটেছিল তাঁর ‘জাদুকর’ উপাধি।







জন্ম:

ফুটবল যাদুকর সামাদ ১৮৯৫ সালে বিহারের পূর্ণিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈত্রিক নিবাস পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার ভুরী গামে। ৮ম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে স্কুল ত্যাগ করলে তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শেষ হয়। ছেলেবেলা থেকেই তিনি ফুটবলে তাঁর অসাধারণ প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন। উলেখ্য, সারাজীবন তিনি লেফট আউটে খেলেছেন।



খেলোয়াড়ি জীবনঃ

পূর্ণিয়ায় জুনিয়র ফুটবল ক্লাবের পক্ষে খেলার সময় তিনি কলকাতার ফুটবল ক্লাব ম্যানেজারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং ১৯১২ সালে কলকাতা মেইন টাউন ক্লাবে যোগদান করেন। তিনি ১৯১৫-২০ সাল সময়ে রংপুর তাজহাট ফুটবল ক্লাবের খেলোয়ার ও সংগঠক হিসেবে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। ১৯১৬ সালে তিনি ইংল্যান্ডের সমারসেট ফুটবল দলের বিরুদ্ধে একটি খেলায় অংশগ্রহণ করেন। সামাদ ১৯১৮ সালে কলকাতা ওরিয়েন্টস ক্লাবে এবং ১৩২১-৩০ সাল সময়ে ইস্ট বেঙ্গল রেলওয়ে দলের পক্ষে খেলেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল শেরউড মালের পৃষ্ঠপোষকতায় শেরউড ফরেস্ট্রি দলের বিরুদ্ধে সামাদ তাঁর খেলোয়াড়ি জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় ট্রফি-জেতানো গোলটি করেন ১৯২৭ সালে।



১৯২৪ সালে সামাদ ভারতের জাতীয় ফুটবল দলে নির্বাচিত হন এবং ১৯২৬ সালে উক্ত দলের অধিনায়কত্ব করেন। ফুটবল খেলতে তিনি বার্মা (অধুনা মায়ানমার), সিংহল (শ্রীলঙ্কা), হংকং, চীন, জাভা, সুমাত্রা, মালয়, সিঙ্গাপুর, ব্রিটেনসহ আরো কিছু দেশ সফর করেন। চীনে খেলতে গিয়ে তিনি এক অবিশ্বাস্য কান্ড ঘটান। পিকিং-এ চীনের বিরুদ্ধে একটি খেলায় বদলি খেলোয়ার হিসেবে তিনি দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে পর পর চারটি গোল করে প্রথমার্ধে ০-৩ গোলে পিছিয়ে থাকা ভারতীয় দলকে ৪-৩ গোলে বিজয়ী করেন। ১৯৩৩ সালে সামাদ কলকাতা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে যোগদান করেন। ৩৮ বছর বয়সেও তিনি একজন দক্ষ ফুটবলার ছিলেন এবং পরবর্তী আরো ৫বছর তিনি দক্ষতার সাথে খেলেন। প্রধানত জাদুকর সামাদের অবদানে তাঁর দল পর পর ৫বার আইএফএ শিল্ড টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়। সামাদকে ‘হিরো অব দ্য গেমস’ খেতাব দেয়া হয়। ১৯৪৪ সালে সামাদ এবং তাঁর ছেলে গোলাম হুসেন একসঙ্গে রেলওয়ে দলের পক্ষে খেলেন।



১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগের পর সামাদ পূর্ব পাকিস্তানে মানে বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুরে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন এবং তদানিন্তন পাকিস্তান ইস্টার্ন রেলওয়েতে নিয়োগ লাভ করেন। যদিও রেলওয়ের কোন প্লাটফরম ইন্সপেক্টর পদ নেই তবুও যাদুকর সামাদের জন্য রেল কর্তৃপক্ষ এই পদ সৃষ্টি করেছিলেন এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে পার্বতীপুর জংশনে প্লাটফরম ইন্সপেক্টর হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। তিনি রেলওয়ে সাহেব পাড়া কলোনীতে টি-১৪৭ নম্বর বাসায় থাকতেন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এই বাসাতেই ছিলেন।



জাদুকর সামাদের জীবনের কয়েকটি জাদুকরি ঘটনাঃ

সামাদের ২৩/২৪ বছর খেলোয়াড়ি জীবনে এমন সব অসংখ্য বিস্ময়কর ঘটনা ঘটেছে যা তাঁর নামের সামনে ‘জাদুকর’ শব্দটি বসাতে বাধ্য করেছে। তেমন কয়েকটি ঘটনা নিম্নরুপঃ



১। জাদুকর সামাদের কালজয়ী ফুটবল প্রতিভা ও নেতৃত্বগুণ তৎকালীন সর্বভারতীয় ফুটবল দলকে গ্রেট ব্রিটেনের মতো বিশ্বসেরা ফুটবল দলের বিরুদ্ধে অবিস্মরণীয় জয় এনে দিয়েছিল।১৯৩৩ সালে সামাদের নেতৃত্বে সর্বভারতীয় দল গ্রেট ব্রিটেনকে ৪-১ গোলে এবং শক্তিশালী ইউরোপীয় টিমকে ২-১ গোলে পরাজিত করেছিল। ভারতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে জীবনের শেষ খেলা খেলেছিলেন ইংল্যান্ডের সার্ভিসেস একাদশের বিপক্ষে।সামাদের অসাধারণ ক্রীড়ানৈপুণ্য দেখে ইংল্যান্ডের তৎকালীন সেরা লেফট্ আউট কম্পটন চমকে উঠেছিলেন, ‘‘ধারণা ছিল না এমন খেলোয়াড় এ দেশে দেখতে পাবো!’’ ইংল্যান্ডের কৃতী ফুটবলার এলেক হোসি একবার বলেছিলেন: 'বিশ্বমানের যেকোনো ফুটবল দলে খেলবার যোগ্যতা সামাদের রয়েছে।' এই মন্তব্য থেকেই সামাদের অবস্থান সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।



২. একবার আফ্রিকায় এক সফরের সময় ষড়যন্ত্র করে তাঁকে অধিনায়ক না-করায়, সামাদ অভিমানে দল থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। সামাদবিহীন সর্বভারতীয় দলটি সেবার তেমন কোনো সাফল্যই দেখাতে পারেনি।



৩. খেলার মাঠে প্রতিনিয়ত অবিশ্বাস্য ঘটনার জন্ম দিতেন সামাদ। তেমনি একটি ঘটনা ঘটেছিল একবার ইন্দোনেশিয়ায়। সর্বভারতীয় ফুটবল দল গিয়েছিল ইন্দোনেশিয়ার জাভায়। খেলা চলাকালে ইন্দোনেশিয়ার বেশ ক’জন খেলোয়াড়কে কাটিয়ে গোলপোস্ট লক্ষ্য করে তীব্র শট করলেন সামাদ। বল গোলপোস্টের ক্রসবারে লেগে ফিরে এলো মাঠে। বিস্মিত হলেন তিনি। গোল হলো না কেন? কিছুক্ষণ পর আবারও সামাদের তীব্র শটের বল ইন্দোনেশিয়ার গোলপোস্টের ক্রসবারে লেগে ফিরে এল। এবার সামাদ রেফারিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন, 'গোলপোস্টের উচ্চতা কম আছে। তা না-হলে, আমার দুট শটেই গোল হতো' ফিতে দিয়ে মেপে দেখা গেল সত্যিই গোলপোস্টের উচ্চতা স্ট্যান্ডার্ড মাপের চেয়ে চার ইঞ্চি কম রয়েছে!



আরেকবার মাঠের মধ্যস্থল থেকে বল নিয়ে সব খেলোয়াড়কে বোকা বানিয়ে বল ড্রিবলিং করে নিক্ষেপ করলেন গোলে, বল গোলে প্রবেশ না করে গোলপোস্টের কয়েক ইঞ্চি উপর দিয়ে বাইরে চলে গেলে রেফারি বাঁশি বাজিয়ে বলকে আউট ঘোষণা করলে সঙ্গে সঙ্গে সামাদ তা গোল হয়েছে বলে চ্যালেঞ্জ করে বসলেন। 'আমার শটে নিশ্চিত গোল হয়েছে'। সামাদের শটের মেজারমেন্ট কোনোদিন ভুল হয়নি। গোলপোস্ট উচ্চতায় ছোট। মেপে দেখা গেল সত্যিই তাই।



৪. ফুটবল নিয়ে সেই কিশোর বয়স থেকে অনুশীলন করতে করতে সামাদ পরিণত হয়েছিলেন ফুটবলের এক মহান শিল্পীতে। একবার খেলার আগ মুহূর্তে মাঠের চারদিকে পায়চারী করে এসে সামাদ ক্রীড়া কমিটির কাছে অভিযোগ করলেন এ মাঠ আন্তর্জাতিক মাপ হিসেবে ছোট বিধায় এ মাঠে আমাদের টিম খেলতে পারে না। পরে মাঠ মাপার পর তার অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হয়। তাঁর খেলোয়াড়ি জীবনের এমন বহু ঘটনা আজও দেশ-বিদেশের ক্রীড়াঙ্গনে অগণিত সামাদ ভক্তের মুখে মুখে ঘুরে বেড়ায়।



৫. 'বিংশ শতাব্দীর তিরিশের দশকের কথা। তখন ইংরেজ শাসনামল। একদিন বিকেলে কলকাতার ইডেন গার্ডেনের বিপরীত দিকের ফুটপাত ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন প্রায় ছয় ফুট লম্বা একজন লোক। হঠাৎ তাঁর পাশে গাড়ি থামিয়ে নেমে এলেন স্বয়ং তৎকালীন বাংলার গভর্নর এবং তাঁর কন্যা। গভর্নর সোজা এগিয়ে গিয়ে আঁকড়ে ধরলেন ঐ লোকটাকে। ঘটনার আকস্মিকতায় গভর্নরের সঙ্গী-সাথীদের সবাই হতভম্ভ। লম্বা লোকটির হাত ধরে কুশল বিনিময় করলেন। তারপর, নিজের মেয়েকে ডেকে বললেন, 'এসো, ফুটবলের জাদুকরের সঙ্গে পরিচিত হও (Meet the wizard of football)।' এভাবেই সৈয়দ আব্দুস সামাদের নামের আগে ‘জাদুকর’ উপাধি টি দিয়ে দিলেন তৎকালীন বাংলার গভর্নর। তিনি তাকে ডাকতেন wizard of football বলে। অতীব দুঃখের ব্যাপার হলো যাঁর ছিল এমন জনপ্রিয়তা, ফুটবলের সেই মহান শিল্পী, যাদুকর সামাদ তীব্র দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত হয়ে, বিনাচিকিৎসায় ১৯৬৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারী মৃত্যুবরণ করেন।



সামাদ জাদুকর। ফুটবল জাদুকর সামাদ। যিনি কিনা পেলে ,ম্যারাডোনা্ ষ্টেফানো, গারিঞ্জা, বেকেনবাওয়ার, পুস্কাসের বহু বছর আগেই ফুটবলকে দান করেছিলেন শৈল্পিকতা, আর নৈপুণ্যতা। যিনি কিনা পায়ের জাদুতে হতবাক করেছেন হাজারো দর্শককে। তিনি আমাদের দেশেরই মানুষ।



মৃত্যু:

এই মহান জাদুকরের শেষ সময়টা কেটেছে চরম দারিদ্রের মধ্যে। মৃত্যুর আগে একবার তিনি আক্ষেপ করে বলেছিলেন, ‘আমি তো নিঃশেষ হয়ে গেছি। আমার প্রাপ্য মর্যাদা আমি পেলাম না। আমি ধুঁকে ধুঁকে মরে যাব সেটাই ভালো। কারো করুণা এবং অনুগ্রহের প্রত্যাশী আমি নই”। অবশেষে দারিদ্র্যের কষাঘাতে বিনা চিকিৎসায় ১৯৬৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি এই ফুটবলের জাদুকর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পার্বতীপুরেই চিরনিদ্রায় শুয়ে আছেন বিশ্ব ফুটবলের এই মুকুটহীন সম্রাট। তাঁর সমাধিগাত্রে শ্বেতপাথরে লেখা আছে, ‘‘চিরনিদ্রায় শায়িত ফুটবল জাদুকর সামাদ’’।



সম্মাননাঃ

কথিত আছে, ফুটবল জাদুকর সামাদের সোনার মূর্তি ব্রিটিশ মিউজিয়ামে রক্ষিত আছে। তিনি ১৯৬২ সালে প্রেসিডেন্ট পুরস্কার লাভ করেন ব্রিটিশ আমলে তিনি অনেক সমাদর পেয়েছিলেন। পাকিস্থান আমলেও তিনি তবু শেষ বেলায় কিছু একটা পুরস্কার পেয়েছিলেন। কিন্তু সোনার বাংলায় জাদুকরের ভাগ্য তেমন সুপ্রসন্ন ছিল না। গোড়া থেকেই আমাদের এই সোনার বাংলায় সূর্যসন্তানদের সম্মাননা প্রদানের ব্যবস্থা বড়ই অদ্ভুত। পা-চাটা মহামানব(?) ব্যতিত আর সকলের কপালে সম্মাননা তেমন জোটে না বললে বেশী বলা হবে না’ অন্তত জীবিতবস্থায়। অন্যান্য সকল সত্যিকারের মহামানবের মত তিনিও জীবিতবস্থায় তেমন কিছু পাননি। সাধারণত যা হয়, মরণের পরেই আমাদের সকল ভালবাসা একেবারে উথলে ওঠে। এই মহানায়কের বেলায়ও তেমনই ঘটেছে। তবে ফুটবলে জাদুকরের অসামান্য অবদানের তুলনায় তা অতি সামান্য। কি করা হয়েছে শুনতে চান?







পার্বতীপুর শহরের ইসলামপুর কবরস্থানে সমাহিত করার দীর্ঘ ২৫ বছর অবহেলিত ও অরক্ষিত থাকার পর ১৯৮৯ সালে ৫২ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় স্মৃতিসৌধ। তাঁর স্মরণে একটি স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকার । পার্বতীপুরে রেলওয়ে নির্মিত "সামাদ মিলনায়তন" নামের একটি মিলনায়তন আছে। ব্যস শেষ। এই হলো ফুটবল জাদুকরের প্রাপ্য!! একটা স্মৃতিসৌধ, একটা স্মারক ডাকটিকিট এবং একটা মিলনায়তন। আর একটা আছে। সেটা হলো, এই মহান ফুটবল কারিগরের প্রতিবছর জন্মদিনে মাইক ফাটিয়ে ফেলানোর মত কিছু স্মৃতিচারণা। তাহলে আমার প্রশ্ন হলো, ‘ঐ বেচারার এত ভাল ফুটবল খেলার কি দরকার ছিল???



আমাদের দাবীঃ

অনেক হয়েছে। আর বসে থাকার সময় নেই।অনেকদিন পরে হলেও জাদুকর সামাদের জন্য জাতীয়ভাবে কিছু করা একান্ত অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।সামু ব্লগ আজ কোন শখের জিনিষ নয়। এটা আজ গণমানুষের ভালবাসার প্লাটফরম। নিকট অতীতে এমন অনেক ঘটনা আছে যেখানে সামু পুরো দেশের রঙ পালটে দিয়েছিল। সেই সামু-র দুই লক্ষাধিক ব্লগারের হয়ে আমরা দাবী করছি, জাদুকর সামাদের জন্য কিছু করুন। এক্ষেত্রে আমাদের প্রাণের দাবী হলোঃ



১. অবিলম্বে ‘জাদুকর সামাদ ফুটবল একাডেমী’ করতে হবে।

২. বাংলাদেশের অন্তত একটি প্রধান ফুটবল মাঠের নামকরণ করতে হবে ‘জাদুকর সামাদ’র নামে।

৩. চতুর্থ অথবা পঞ্চম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ‘জাদুকর সামাদ’ নামে একটি প্রবন্ধ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এতে করে নতুন প্রজন্ম জানবে ও চিনবে একজন ফুটবল যাদুকরকে।

৪. জাতীয়ভাবে তাঁর জন্মদিবস, মৃত্যু দিবস পালন তথা তাঁকে স্মরণ করতে হবে।



আমরা কত খ্যাত-অখ্যাত মানুষের নামে হরহামেশা এটা সেটা হতে দেখছি। কিন্তু যিনি নিজের চেষ্টা ও অনুশীলনের মাধ্যমে ফুটবলে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন তাঁর মূল্যায়ন কতটুকু করছি? আশা করি সংস্লিস্ট কর্তৃপক্ষের শুভবুদ্ধির উদয় হবে।



সামু-র দুই লক্ষাধিক বন্ধুর সাহায্য কামনা করছি।



কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ

এটিকে এক কথায় সংকলনমূলক লেখা বলা যেতে পারে। মূল লেখার সিংহভাগ অংশ আমি বাংলাপিডিয়া, উইকিপিডিয়া, ফেসবুক, সমকাল, প্রথম আলো পত্রিকা, বিভিন্ন ব্লগের একাধিক লেখা এবং অন্যান্য কিছু লেখা নিয়ে নিজের মত করে সাজিয়েছি। এমনকি বেশ কিছু অংশ হুবহু তুলে দিয়েছি। ছবিসুত্রও তাই।সবার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:০৩

নিজাম বলেছেন: সেকালে দেশে স্বাধীন থাকলে অথবা ইংল্যান্ড দলে যাদুকর সামাদকে দলে নিলে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ জয় করতে পারতো।

১১ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৩৭

ইছামতির তী্রে বলেছেন: ভাল বলেছেন। তারা ইচ্ছে করলে নিতে পারত।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২| ১১ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:০৫

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: গুড পোস্ট।+++।

১১ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৩৮

ইছামতির তী্রে বলেছেন: কেমন আছেন বস? মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

৩| ১১ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৭

মামুন রশিদ বলেছেন: জাদুকর সামাদের বর্ণময় জীবন খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন । বিশ্বকাপ ফুটবলের এই জমজমাট সময়ে তাঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ।

১১ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৩৯

ইছামতির তী্রে বলেছেন: বিশ্বকাপ ফুটবলের এই জমজমাট সময়ে তাঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ।

মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

৪| ১১ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৪০

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: সোজা প্রিয়তে।

১১ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৪১

ইছামতির তী্রে বলেছেন: গর্ব বোধ করছি।
আমার ব্লগে ঢু মারার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৫| ১১ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৫২

রিয়াদ হাকিম বলেছেন: গোল না হওয়ার কারন গোল বার ছোট - এই ঘটনা অন্য কোন প্লেয়ারের জন্য ও পরেছিলাম - এই ঘটনার কোন রেফারেন্স আছে?

১১ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৪৩

ইছামতির তী্রে বলেছেন: আমার জানা মতে এই ঘটনা শুধুমাত্র 'জাদুকর সামাদ' এর ক্ষেত্রেই ঘটেছে। রেফারেন্সের জন্য সার্চ করে দেখতে পারেন। অনেক পত্রিকাতেও এভাবেই লেখা আছে।

মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

৬| ১১ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর পোস্টে ভাল লাগা। জাদুকর সামাদ তরুনদের জন্য উৎসাহ অনুপ্রেরণা হতে পারেন।

১১ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৪৬

ইছামতির তী্রে বলেছেন: সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে তাঁকে যথাযোগ্য সম্মান ফিরিয়ে দিতে। জাদুকর সামাদ তরুনদের জন্য উৎসাহ অনুপ্রেরণা হতে পারেন। -একমত।

মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

৭| ১১ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:০১

দার্শনিক লেখক বলেছেন: I support it

১১ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৪৮

ইছামতির তী্রে বলেছেন: আমাদের সবাইকে একজোট হতে হবে। ফুটবল জাদুকরকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করার সময় এখনি।

মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

৮| ১১ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:০২

সময়ের ডানায় বলেছেন: ভালো পোস্ট প্রিয়তে রেখে দিলাম।+++

১১ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৯

ইছামতির তী্রে বলেছেন: গর্ব বোধ করছি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

৯| ১১ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।

১১ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৫

ইছামতির তী্রে বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

১০| ১১ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:১৩

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: দারুন পোস্ট++

১১ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৬

ইছামতির তী্রে বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

১১| ১১ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:২৩

নীল আকাশ ২০১৩ বলেছেন: জাদুকর সামাদের নাম শুনেছি, ছবিও দেখেছি, কিন্তু তার কীর্তি কর্ম সম্পর্কে কিছুই জানা ছিলনা। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সেই কৌতূহল মেটানোর জন্য।

১২ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৯:১১

ইছামতির তী্রে বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
এখন দাবীর ব্যাপারে সোচ্চার হতে হবে।

১২| ১১ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৭

অশ্রু হাসান বলেছেন: আমরা আমাদের এইসব গুনিজন দের প্রাপ্য সম্মান দিতে পারলাম না কোনদিন

১২ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৯:১৪

ইছামতির তী্রে বলেছেন: এটা আমাদের জাতীয় সমস্যা। কথায় আছে, 'যে দেশে গুণীজনের কদর নেই, সেখানে গুণীজন জন্মায় না'।

মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
এখন দাবীর ব্যাপারে সোচ্চার হতে হবে।

১৩| ১১ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:৫৪

খেয়া ঘাট বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। ফুটবলের এক বিস্ময়। আমরা গর্বিত।

১২ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৯:১৫

ইছামতির তী্রে বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

গর্ব করার সুযোগ কোথায়? এমন একজন বিস্ময়কর ফুটবলারের জন্য আমরা কিছুই করিনি।

১৪| ১২ ই জুন, ২০১৪ রাত ১:০০

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ লেখাটির জন্য। পোস্টে প্লাস।

১২ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৯:১৬

ইছামতির তী্রে বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
এখন দাবীর ব্যাপারে সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন।

১৫| ১৫ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৮

নাহিদ ইসলাম ৩৫০ বলেছেন: জানতে পারলাম। অনেক কিছুই।




আইডিয়া বাজ

১৬ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৫৬

ইছামতির তী্রে বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০৭

ইমরান আশফাক বলেছেন: চমৎকার, অনেক কিছুই জানতে পারলাম আমাদের এই হারানো রত্ন সন্মন্ধে।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৪৭

ইছামতির তী্রে বলেছেন: অনেকদিন আগের লেখা এটি। আপনি নতুন করে পড়েছেন জেনে ভাল লাগলো।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৭| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:২১

আমি অথবা অন্য কেউ বলেছেন: দারুন পোস্ট। টিকিটটা আমার কালেকশনে আছে। অনেক অনেক ভালোলাগা

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৫০

ইছামতির তী্রে বলেছেন: ডাকটিকেটটা আপনার কালেকশনে আছে? বাহ ! দারুণ তো!

মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৮| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১০

এ.জেড.এম. জালাল উদ্দিন জয় বলেছেন: ফুটবলের জাদুকর "সামাদ" সম্পর্কে জানার আগ্রহ টা খুবি প্রখর ছিলো ! তবে সুযোগ হয়নি ! হলেও সেটি ছিলো লোকশ্রুতি মাত্র !!! কিন্তু, আরো ভালো করে জানার সুযোগ হলো আজকে ! তাই আমাদের এই রত্ন, আমাদের (আমার নিজ জন্মস্থান পার্বতীপুর) দেশের রত্ন স্মৃতি রক্ষার্থে উল্লিখিত পদক্ষেপ গুলো খুবি কার্যকরী বলে মনে হচ্ছে !

২১ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৪

ইছামতির তী্রে বলেছেন: এতদিন পরে আপনাকে পেয়ে ভাল লাগল। হ্যা, আপনাদের উপর বেশী দায়িত্ব উনার জন্য কিছু করা। হয়ত তার আত্বা শান্তি পাবে।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.