নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আম জনতার একজন।

ইছামতির তী্রে

I have a dream.

ইছামতির তী্রে › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহানবীর (সাঃ) মহাজীবনের স্বরূপ সন্ধানে অন্তহীন যাত্রা… (শেষ পর্ব)।

২১ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৪৩

বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর নাম উচ্চারিত হলে দরুদ পড়া মুসলমানদের জন্য অবশ্য কর্তব্য। অন্যান্য নবিদের বেলায় একই নির্দেশ প্রযোজ্য। এই লেখাতে (সাঃ) থাক বা না-থাক, পাঠকগণ এ বিষয়ে খেয়াল রাখবেন।



১ম পর্ব

২য় পর্ব



আজকে এর ৩য় ও শেষ পর্ব দেয়া হলো



একটি হাদিসের স্মরণঃ

হজরত আয়েশা (রা.) কে একজন জিজ্ঞেস করলেন, হজরত রাসূল (সা.) এর চরিত্র কীরুপ ছিল? হজরত আয়েশা (রা.) বললেন, তুমি কি কোরআন পড়নি? তার চরিত্র তো ছিল কোরআন। আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন, রাসূল (সা.) এর মধ্যেই রয়েছে তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ। যেমন কোরআনে নামাজ পড়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কীভাবে পড়তে হবে কোরআনে কারিমে তা বিস্তারিত বলা হয়নি। আর রাসূল (সা.) দেখিয়ে গেছেন এবং বলেছেন, আমাকে যেভাবে নামাজ পড়তে দেখ সেভাবে নামাজ পড়। তেমনিভাবে হজের বিস্তারিত নিয়ম পদ্ধতি কী তা কোরআনে বলা হয়নি। রাসূল (সা.) দেখিয়ে গেছেন এবং বলে গেছেন, আমার থেকে তোমরা হজের প্রত্যেকটা আমল শিখে নাও।

রাসূল (সা.) এর মিশন ছিল কোরআন শরিফের ব্যাখ্যা দিয়ে যাওয়া। এই কোরআনের আলোতে আলোকিত করেই একটা হতাশাগ্রস্ত জাতিকে সঠিক পথের দিশা দিয়েছেন। রাসূল (সা.) তার সুন্দর সিরাত ও চরিত্রের মাধ্যমেই তাদের সুপথে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। এটাই ছিল রাসূল (সা.) এর সিরাতের বৈশিষ্ট্য। রাসূল (সা.) বলেছেন, উত্তম চরিত্র মাধুরীকে পূর্ণতা দান করার জন্যই আমাকে প্রেরণ করা হয়েছে। সর্বোপরি একটা শিশু, একজন কিশোর, একজন তরুণ, একজন যুবক, একজন বৃদ্ধ, একজন ব্যবসায়ী থেকে রাষ্ট্রনায়ক পর্যন্ত সবাই রাসূলের সিরাত ও আদর্শ গ্রহণ করে পেতে পারে ইহকাল ও পরকালের সব সফলতা।



৮. মহাগ্রন্থ আল-কোরআনঃ

মহাগ্রন্থ ‘আল-কোরআন’ বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি আল্লাহর কাছ থেকে জিব্রাইল ফেরেশতা মারফত সুদীর্ঘ ২৩ বছরে অবতীর্ণ হয়। এটি মানবজাতির সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ ও মুক্তির দিশারি বা পথপ্রদর্শক। কুরআন আমদের সকল জীবন ব্যবস্থার চাবিকাঠী। বিশ্বের সর্বাধিক পঠিত ও জনপ্রিয় পূর্নাঙ্গ গ্রন্হ। কুরআন সমগ্র বিশ্ব জাতির জন্য মহামূল্যবান সম্পদ। জীবন ব্যবস্থার সম্পূর্ণ দিক-নির্দেশনা এই আল কুরআনে বিশদভাবে দেয়া আছে। যা পৃথিবীর অন্য কোন উত্সে নেই। জীবন চলার পথে পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও মহাবিশ্ব জাগতিক বা ঐশ্বরিক তথা মানব জীবনের সকল সমস্যার সমাধান রয়েছে পবিত্র কুরআনে।



এই মহাগ্রন্থ না পড়লে একজন মুসলিমের আসলে কাজ কি? তাই আমিও পড়া শুরু করলাম। আমি তাফসীরগ্রন্থ পড়তেই মনস্থ করলাম। অনেক ভেবেচিন্তে মাওলানা মুহিউদ্দীন খান অনূদিত ও সম্পাদিত হযরত মাওলানা মুফতী মুহাম্মদ শাফী’ (রহঃ) রচিত ‘তফসীর মাআরেফুল ক্বোরআন’ পড়া শুরু করলাম। ক্বোরআনের অর্থ হচ্ছে একাগ্র ভঙ্গীতে পাঠ বা আবৃত্তি করা।



এটা পড়তে গিয়ে মাথায় আর ধরে না। ভাবে, ভাষায় অতুলনীয় এক মহাগ্রন্থ। এর সম্মন্ধে লেখা আমার মত অশিক্ষিত লোকের পক্ষে শোভনীয় নয়। তবু অনুভূতি প্রকাশ করা আর কি। একপাতা পড়তে অনেক সময় লেগে যায়। বিশেষ করে যেগুলো গভীর অর্থবাচক আয়াত সেগুলোর ক্ষেত্রেই এমন হয়। কাহিনী বিশিস্ট আয়াতগুলো দ্রুতই পড়া হয়। সকল আয়াতের বিস্তারিত ব্যাখ্য আছে বিধায় সময় লাগলেও বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না।



পবিত্র আল-কোরআন পড়ার সময়ে মন-মননে এক অতি পবিত্র ভাব কাজ করে। এই মহাগ্রন্থের প্রতিটা আয়াতে স্রস্টা তাঁর উপস্থিতি স্পস্টভাবে জানান দিয়েছেন। কখনো মানবমন্ডলীর জন্য দিয়েছেন সীমাহীন সুসংবাদ। আবার কখনো ভয়াবহ আযাবের কথা। কখনো গোমরাহীদের কঠোর ভাষায় শাসিয়েছেন তো পরক্ষণেই বিশ্বাসীদের জন্য অতি কোমল ভাষায় কথা বলেছেন।



পবিত্র আল-কোরআনে বিভিন্ন রকমের আয়াত আছে। যথা, আদেশমুলক, নিষেধমুলক, ভীতিমুলক, প্রতিজ্ঞামুলক, দৃষ্টান্তমুলক, ইতিহাসমুলক, প্রশংসামুলক, পুর্ণতামুলক, উদ্দেশ্যমুলক, অন্যান্য আয়াত।



সকল মুসলিম-অমুসলিমের এই মহাগ্রন্থ পড়া অবশ্য কর্তব্য। সবাইকে কুরআন পড়ার উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।



কেমন ছিলেন মহানবী (সাঃ)?

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বিশুদ্ধ আরবী ভাষায় কথা বলতেন। অসঙ্কোচ, অনাড়স্ট, দ্ব্যর্থবোধক, ও অর্থপূর্ণ কথা। সহিষ্ণূতা, ধৈর্য্য ও ক্ষমাশীলতার গুণবৈশিস্ট্য তাঁর মধ্যে ছিল। এসবই ছিল প্রকৃত পক্ষে আল্লাহর পক্ষ থেকে পাওয়া গুণরাজী। হযরত আয়েশা রাঃ বলেন, প্রিয়নবীকে দু’টি কাজের মধ্যে একটি বেছে নিতে বলা হলে সহজ কাজটিই বেছে নিতেন। পাপের সাথে সম্পৃক্ত কাজ থেকে তিনি দূরে থাকতেন। তিনি ক্রোধ ও দুর্বিনীত ব্যবস্থা থেক দূরে ছিলেন। সকলের প্রতি তিনি সহজেই রাজী হয়ে যেতেন। তাঁর দান ও দয়াশীলতা পরিমাপ করা অসম্ভব ছিল। তিনি কল্যাণ ও দানশীলতায় পরিপূর্ণ বাতাসের চেয়ে অগ্রণী ছিলেন।



বীরত্ব ও বাহাদুরির ক্ষেত্রে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাআহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্থান ছিল সবার ওপরে। তিনি ছিলেন সকলের চেয়ে শ্রেষ্ঠ বীর। তিনি সুকঠিন সময়েও পশ্চাদপসারণ না করে সামনে এগিয়ে যেতেন। তাঁর চেয়ে বেশী দৃঢ়তার সাথে অন্য কেউ শত্রুর মোকাবেলা করতে সক্ষম হত না।



তিনি ছিলেন সর্বাধিক লাজুক প্রকৃতির। তিনি সাধারণত মাটির দিকে দৃষ্টি রাখতেন। কোন কিছু তাঁর পছন্দ না হলে তাঁর চেহারা দেখেই বোঝা যেত। লজ্জাশীলতা ও সম্মানবোধ এত প্রবল ছিল যে, কারো মুখের উপর সরাসরি অপ্রিয় কথা বলতেন না। তিনি ছিলেন সবচেয়ে বেশী ন্যায়পরায়ণ পাক পবিত্র, সত্যবাদী এবং বিশিস্ট আমানতদার। বন্ধু শত্রু সকলেই এটা স্বীকার করতেন। তিনি ছিলেন অতি বিনয়ী ও নিরহংকার। বিশ্বজাহানের সর্বাপেক্ষা প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব, আমাদের প্রাণপ্রিয় রাসুল সাঃ নিজের জুতো, কাপড় নিজেই সেলাই করতেন। নিজ বকরি দোহন করা ইত্যাকার নানা সাংসারিক কাজ তিনি নিজ হস্থ মোবারক দিয়েই করতেন।



অঙ্গীকার পালনে তিনি ছিলেন অগ্রণী। তিনি আত্বীয়স্বজনের প্রতি অতিমাত্রায় খেয়াল রাখতেন। মানুষের সাথে সহৃদয়তা ও আন্তরিকতার সাথে মেলামেশা করতেন। স্বভাবগতভাবেই তিনি কখনো অশালীন কথা বলতেন না। কাউকে কখনো অভিশাপ দিতেন না। উচ্চ স্বরে কথা বলতেন না। তাঁর খাবার-দাবার, আচার-আচরণ, কথা-বার্তা সকল কিছু সকল মানুষের প্রতি সমান ছিল। তিনি কাউকে ছোট মনে করতেন না।



প্রিয়নবী সাঃ বেশীরভাগ সময় গভীর চিন্তায় মগ্ন থাকতেন। অপ্রয়োজনে কথা কথা বলতেন না। কথার শুরু ও শেষে সুস্পস্ট উচ্চারণ করতেন। তিনি ছিলেন নরম মেজাজের অধিকারী। তিনি কখনো সমালোচনা করতেন না। সত্য ও ন্যায়ের পরিপন্থী কোন কিছু দেখলে তিনি বিরক্ত হতেন। তাঁর মন ছিল বড় উদার। তিনি কাউকে ইশারা করতে চাইলে হাতের পুরো তালু ব্যবহার করতেন। বিস্ময়ের সময় হাত উল্টাতেন। ক্রুদ্ধ হলে মুখ ফিরিয়ে নিতেন এবং খুশী হলে দৃষ্টি নিচু করতেন। অধিকাংশ সময়ে মৃদু হাসতেন। হাসির সময়ে তাঁর দাঁতের কিয়দংশ ঝকমক করত।

তিনি সম্মানিত লোককেই নেতা নিযুক্ত করতেন। মানুষের ক্ষতি করা থেকে বিরত থাকতেন। সাহাবাদের খবরাখবর নিতেন। সব বিষয়েই মধ্যমপন্থা অবলম্বন করতেন। কোন বিষয়ে অমনোযোগী থাকা তিনি পছন্দ করতেন না। তাঁর কাছে তাঁদের মর্যাদাই ছিল অধিক যারা ছিলেন অন্যের দুঃখে কাতর, স্বভাবতই গম্ভীর এবং অন্যের সাহায্যকারী। তিনি উঠতে বসতে সর্বদাই আল্লাহকে স্মরণ করতেন। তাঁর বসার জন্য আলাদা কোন জায়গা ছিল না। যেখানে খালি জায়গা পেতেন সেখানেই বসতেন। তিনি ছিলেন সবার কাছে পিতৃতুল্য। তিনি তাদেরকেই অধিক সম্মান দিতেন যারা বেশীমাত্রায় তাকওয়ার অধিকারী। তাঁর মজলিস বা সমাবশ ছিল জ্ঞান, ধৈর্য্য, লজ্জাশীলতা ও আমানতদারীর মজলিস। তিনি বড়দের সম্মান ও ছোটদের স্নেহ করতে আদেশ দিতেন। অপরিচিত লোককে অবজ্ঞা বা উপেক্ষা করা হতো না।



তিনি তিনটি বিষয় থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতেন। ১) অহঙ্কার ২) কোন জিনিষের বাহুল্য এবং ৩) অর্থহীন কথা। আর তিনটি বিষয় থেকে লোকদের নিরাপদ রাখতেন। এগুলো হচ্ছে ১) পরের নিন্দা ২) কাউকে লজ্জা দেয়া এবং ৩) অন্যের দোষ প্রকাশ করা।



তিনি এমন কথাই শুধু মুখে আনতেন যে কথায় সওয়াব লাভের আশা থাকত। তিনি যখন কথা বলতেন তখন সাহাবীগণ এমনভাবে মাথা নিচু করে বসতেন যে, মনে হতো তাদের মাথায় চড়ুই পাখি বসে আছে। তিনি হাসলে সাহাবীগণ হাসতেন, তিনি অবাক হলে তারাও অবাক হতেন, তিনি নীরব হলে সবাই নীরব হয়ে যেতেন। এমনই ছিল তাঁর ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন তাঁর মজলিশের সবচেয়ে সম্মানিত ও মর্যাদাশীল। পোশাক পরিধানে তিনি ছিলেন অতীব শালীন।



মোটকথা, মহানবী (সাঃ) তুলনাহীন গুণবৈশিস্টের অধিকারী একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষ ছিলেন। মহান রাব্বুল আলামিন তাঁকে অতুলনীয় বৈশিস্ট দান করেছিলেন। আল্লাহ পাক তাঁর প্রিয় নবীর সম্মানে বলেছেন, ইন্নাকা লা আলা খুলুকিন আযীম’, অর্থাৎ নিঃসন্দেহে আপনি সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী’। এটি এমন তুলনাবিহীন গুণ যার কারণে মানুষ তাঁর প্রতি ছুটে আসত। তাঁর প্রতি মানুষের মনে ভালোবাসা ছিল বদ্ধমূল। তাঁর মানুষ ছিল নিবেদিত প্রাণ। মানবীয় গুণাবলীর সর্বোত্তম বৈশিস্টের কারণে তাঁর স্বজাতির রুক্ষতা পুরোপুরি পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছিল।



তিনি সব ধর্মের প্রতি উদারতায়, বিধর্মীদের সাথে ব্যবহারে, বিশ্বভাতৃত্ব ও মহামানবতায়, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রে, নারীজাতির উন্নয়নে, মাতৃভক্তিতে, সাম্য ও মৈত্রী স্থাপনে, সুদক্ষ কুটনীতিকরুপে, ক্রীতদাসদের মুক্তিদানে, জ্ঞান-সাধনায়, আল্লাহর প্রতি নির্ভরতায়, ক্ষমায়, ন্যায়বিচারে, বদান্যতায়, জীবে দয়ায়, শ্রমের মর্যাদা দানে, স্বামীরুপে, গৃহীরুপে, পিতারুপে, স্বাবলম্বনে, চরিত্র-মাধুর্যে, বীরবেশে, রাস্ট্রনায়করুপে সেনাপতিরুপে, আদর্শ প্রতিষ্ঠায়, বিবাহ-প্রথার উন্নয়নে, বহুবিবাহের ব্যবস্থায়, যুগসমস্যার সমাধানে, বৈজ্ঞানিকরুপে, অতিথি সেবায়, আর্ত, পীড়িত ও দুর্গতদের সেবা ও সাহায্য দানে, ব্যবসায়-বাণিজ্যে ও অন্যান্য কার্যে, নাগরিক জীবনের কর্তব্য পালনে, সামাজিক আচার-অনুস্ঠানে, বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ সফল মানুষরুপে তথা মানবীয় সকল গুনরাশির সর্বোচ্চ শিখরে তাঁর স্থান ছিল। মোটকথা সকল গুণবাচক বিশেষণের তিনিই ছিলেন শেষ কথা।



স্মরণ রাখতে হবে যে, ইতিপূর্বে আমরা রাসুলুল্লাহ সাঃ এর যে সকল গুণাবলী আলোচনা করলাম সেসব ছিল তাঁর অসাধারণ ও অতুলনীয় গুণাবলীর সামান্য রেখাচিত্র। প্রকৃতপক্ষে তাঁর গুণাবলী এত ব্যাপক ও বিস্তৃত ছিল যে, সেসব গুণাবলীর আলোচনা করে শেষ করা সম্ভব নয় এবং তাঁর চরিত্র বৈশিস্টের ব্যাপকতা ও গভীরতা নিরুপণ করাও সম্ভব নয়।



মানবেতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব নিরুপণ করা কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। পূর্ণতার শ্রেষ্ঠতম আদর্শ এ মহান মানুষের পরিচয় এই যে, তিনি মানবতার সর্বোচ্চ চুড়ায় সমাসীন ছিলেন। তিনি মহান রাব্বুল আলামীনের পবিত্র আলোক আভায় এমনভাবে আলোকিত ছিলেন যে, কোরআন করিমকেই তাঁর চরিত্রের পরিচয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁর চারিত্রিক বৈশিস্ট ছিল পবিত্র কুরআনেরই বাস্তব ও পূর্ণাঙ্গ প্রতিফলন।



দরুদঃ

আসুন, আমরা মোস্তফা চরণের অনুরক্ত ভক্ত ও সেবক-সেবিকাগণ- পবিত্র দরুদ শরীফ পাঠ করতে করতে এই প্রসঙ্গের উপসংহার করিঃ



‘হে আল্লাহ তায়ালা, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর এবং তাঁর পরিবার-পরিজনের ওপর তুমি শান্তি ও বরকত নাযিল করো, যেমন শান্তি ও বরকত নাযিল করেছিলে হযরত ইবারাহীম (আ.) ও তাঁর পরিবার-পরিজনের ওপর। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসা ও মর্যাদার অধিকারী’।

আসুন, আমরাও এই সুরে সুর মিলিয়ে বলিঃ “আমিন!”



উৎসর্গঃ

সদ্যপ্রয়াত আমার প্রাণপ্রিয় ‘মা’ কে।



কৃতজ্ঞতায়ঃ

এটি মূলতঃ একটি সংকলনমূলক পোস্ট। লেখাটি তৈরী করতে সংশ্লিস্ট বইগুলো ছাড়াও পি.কে হিট্ট্রি তার সুবিখ্যাত “The History of Arabs” উইকিপিডিয়া, অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বেশ কয়েকটি লেখা, ‘কুরআনের আলো’ নামের একটি ওয়েবসাইট এর সাহায্য নিয়েছি। আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।







মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:২৪

এক মুসাফির বলেছেন: কোন এক আশেক বলেছিলেন-বাদে খোদা আছ তোহি,কিচ্ছা এ মুক্তচর।
ইয়া রাসুল সাঃ আপনার শনে আমি কি বলব,শুধু এইটুকু বলতে পারি-আল্লাহর পরেই আপনার স্থান।এখানেই সমস্থ গবেষনার অবসান।
আপনার লেখা ভাল লাগলো।
ভাই রাসুলের সাঃ আদর্শে যাদের জীবন গড়া তেমন কোন নায়েবের অনুসরনের মাধ্যমে আল্লাহপাক আমাদের রাসুলের সাঃ আদর্শ নিজেদর জীবনে বাস্তবায়ন করার তুউফিক দান করুক।

২১ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:২৫

ইছামতির তী্রে বলেছেন: অসাধারণ কথা!

তবে একজন স্রস্টা, একজন সৃষ্টি।
আল্লাহপাক আমাদের রাসুলের সাঃ আদর্শ নিজেদর জীবনে বাস্তবায়ন করার তুউফিক দান করুক।
-আমিন।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৩১

এহসান সাবির বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা রইল।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৫৮

ইছামতির তী্রে বলেছেন: কস্ট করে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপনাকেও ঈদের শুভেচ্ছা।

৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩৮

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ‘হে আল্লাহ তায়ালা, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর এবং তাঁর পরিবার-পরিজনের ওপর তুমি শান্তি ও বরকত নাযিল করো, যেমন শান্তি ও বরকত নাযিল করেছিলে হযরত ইবারাহীম (আ.) ও তাঁর পরিবার-পরিজনের ওপর। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসা ও মর্যাদার অধিকারী’।
আসুন, আমরাও এই সুরে সুর মিলিয়ে বলিঃ “আমিন!



ভাই, আসসালামুয়ালাইকুম, তিন পর্বই পড়লাম! যেহেতু আপনি অনেক গুলো সিরাত গ্রন্থ ইতিমধ্যে পড়েছেন, আলোচনা গুলো আরো দির্ঘ হতে পারত, অর্থৎ সিরিজটা লম্বা হতে পারত। আরা আলোচনা গুলো সাবজেকটিভ অবজেকতিভ আর ডিটেইল হতে পারত।

ভবিষতে এই ধরনের লেখার অপেক্ষায় থাকব।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:২০

ইছামতির তী্রে বলেছেন: খুব কস্ট করে ছোট করে লিখেছি। আসলে ব্লগে বড় লেখা পড়তে অনেকেই ইচ্ছুক নয়। তার প্রমাণ এই লেখাটি। খুব কম পাঠকই এটি পড়েছেন। সিরিজ আকারে লিখলে হত। যাইহোক, যা হওয়ার হয়েছে। যদিও এই লেখাটি আমার নিজের জন্যই লিখেছিলাম। তবু আপনাদের কয়েকজনের পড়া আমার জন্য বোনাস।

আপনার পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৫৩

বোকামানুষ বলেছেন: অনেক ভাল লাগলো পড়তে প্রিয়নবী এবং আমাদের আদর্শ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) নিয়ে এরকম লিখা পড়তে

আল্লাহ আমাদের তার আদর্শ অনুসারে চলার তৌফিক দান করুন আমিন

০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:২০

ইছামতির তী্রে বলেছেন: আল্লাহ আমাদের তার আদর্শ অনুসারে চলার তৌফিক দান করুন আমিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.