নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আম জনতার একজন।

ইছামতির তী্রে

I have a dream.

ইছামতির তী্রে › বিস্তারিত পোস্টঃ

একদা মারণাস্ত্রের কারিগরেরা শেষ জীবনে কি সুন্দর শান্তির দূত হয়ে শান্তির বাণী আওড়াচ্ছেন!!

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৪

১. হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে পারমানবিক বোমার ধ্বংসযজ্ঞ দেখে আতকে উঠেছিল সারা পৃথিবী। আইনস্টাইনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল “ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে কি ধরনের অস্ত্র ব্যবহার হতে পারে?” আইনস্টাইনের উত্তর ছিল “ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কে জানি না , তবে চতুর্থ বিশ্বযুদ্ধ যে লাঠি এবং পাথর দিয়ে হবে তা বলতে পারি”।" অথচ কঠিন হলেও সত্য এটাই যে, আইনস্টাইন স্বয়ং এই ধ্বংসযজ্ঞের দায় কোনভাবেই এড়াতে পারেন না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার অল্প কিছুদিন আগে ১৯৩৯ সালের ২রা আগস্ট পদার্থ বিজ্ঞানী আইনস্টাইন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টকে চিঠি লিখেন। সে চিঠিতে তিনি ইউরেনিয়াম-২৩৫ সম্বৃদ্ধকরনে নাজী জার্মানীর অগ্রগতি সম্পর্কে আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে সতর্ক করে দেন এবং তাকে পারমানবিক বোমা তৈরীর উদ্যোগ নিতে বলেন। যার ফলে ১৯৩৯ সাল থেকে শুরু করে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত ছয় বছর ২০০ কোটি ডলারের ও বেশী খরচ করে প্রথম সাফল্যজনক ভাবে যে প্রকল্প তৈরী করল পরমানু বোমা, তার নাম ছিল “মানহাটান প্রজেক্ট” আর এর প্রধান ছিলেন রবার্ট ওপেনহাইমার। আর এই বোমা কতটা ধংসাত্বক ছিল তা দেখার জন্য হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে যেতে হবে।
২. ডিনামাইটের মত মারাত্বক বিস্ফোরকের আবিস্কারক, তাঁর সময়ে যাকে ‘মার্চেন্ট অব ডেথ বা মৃত্যুর সওদাগর’ হিসাবে অভিহিত করা হতো সেই আলফ্রেড নোবেল মানুষ হত্যার বিভিন্ন অস্ত্র তৈরি করে প্রচুর টাকা উপার্জন করেছিলেন। কিন্তু সেই টাকা মানব জাতির কল্যাণের কোনো কাজে ব্যয় করেননি বলে তার প্রচন্ড নিন্দা হয়েছিল।তিনি উপলদ্ধি করলেন তিনি নিজেকে একজন "মৃত্যু ব্যবসায়ী" হিসেবে পরিচিত করে মরতে দিতে পারেন না। মানুষের মনে তাঁর সম্পর্কে সম্মানজনক ইতিবাচক পরিচয় রেখেই মরতে হবে। কী করা যায় ?
অনেক চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেন তাঁর উপার্জিত অর্থ মানব কল্যানের কাজে ব্যয় করবেন। এরপর ১৮৯৫ সালের নভেম্বর মাসে আলফ্রেড নোবেল তার মোট উপার্জনের ৯৪% (৩ কোটি সুইডিশ ক্রোনার) দিয়ে তার উইলের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করেন নোবেল পুরষ্কার। এই বিপুল অর্থ দিয়েই শুরু হয় পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান। ১৯৬৮ যোগ হয় অর্থনীতিতে।
৩. ‘মিসাইল ম্যান’ নামে খ্যাত প্রখ্যাত বিজ্ঞানী এবং ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি ড. এপিজে আবদুল কালাম।তিনিই ভারতে প্রথম পারমানবিক বোমা বহনযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ করেন। অগ্নি, পৃথ্বী, আকাশ, ত্রিশূল, নাগা ইত্যাদি ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণে তাঁর অবদান ও কৃতিত্ব অপরিসীম | ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষনা ও বিজ্ঞানচর্চায় তাঁর ভূমিকা বহুক্ষেত্রেই পথিকৃতের।
একদা মারণাস্ত্রের কারিগরেরা শেষ জীবনে কি সুন্দর শান্তির দূত হয়ে শান্তির বাণী আওড়াচ্ছেন!! আইন্সটাইন ধ্বংসযজ্ঞ দেখে শিউরে উঠছেন; মিঃ আলফ্রেড নোবেল নিজের নাম ফোটানোর ভালই ব্যবস্থা করেছেন আর এ যুগের ‘মিসাইল ম্যান’ বলছেন, ‘পরমানু মুক্ত বিশ্ব চাই’।
কি সুন্দর!! কি সুন্দর!!!

N.B. লেখাটি বিভিন্ন জায়গা থেকে জোড়াতালি দিয়ে তৈরী করা

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৫

সরদার হারুন বলেছেন: এ ইতিহাস সবার জানা ।তবুও প্রশ্ন জাগে যে যুদ্ধে যখন র্জামানী পরপজিত
তখন জাপানে কেন দু'টো এটোম বোমা ফেলা হলো ? যুদ্ধ তো আরম্ভ করে
র্জামান । র্জামানে বোমা না ফেলে এশিয়ার দেশ জাপানে কেন ফেলা হলো ?
সেটা ভেবে দেখুন । জাপান যদি য়ূরুপে হতো তা হলে তারা জাপানে বোমা ফেলতো না বলে আমার ধারণা ।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৯

ইছামতির তী্রে বলেছেন: আপনার ধারণার সাথে একমত।

আমার মতে, জাপানকে গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এটোম বোমার ভয়াবহতা বোঝানোর জন্য এর পরীক্ষার দরকার ছিল।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:২১

অন্ধবিন্দু বলেছেন:

বাণী আওড়ানো যে সহজ, ইছামতির তী্রে।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৫

ইছামতির তী্রে বলেছেন: সত্যিই তাই।

শেষ কালে হুজুর হওয়ার চেস্টা।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এ যুগের ‘মিসাইল ম্যান’ বলছেন, ‘পরমানু মুক্ত বিশ্ব চাই’।
কি সুন্দর!! কি সুন্দর!!!

ইহাকেই বলে কর্পরোটেিজম! ঘণতন্ত্র ;) ব্লা ব্লা ব্লা..

মূখে এক কর্মে আরেক প্রকাশে ইউটার্ন!!!!!!!

আরবীতে মোনাফেকি বলে যা বোঝানে হতো এখণ কর্পরোটিজমে তাই সাফল্যের চাবিকাঠি!!!!!

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:০২

ইছামতির তী্রে বলেছেন: আরবীতে মোনাফেকি বলে যা বোঝানে হতো এখণ কর্পরোটিজমে তাই সাফল্যের চাবিকাঠি!!!!-ভাল বলেছেন।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:০৩

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
আইন্সটাইন ধ্বংসযজ্ঞ দেখে শিউরে উঠছেন; মিঃ আলফ্রেড নোবেল নিজের নাম ফোটানোর ভালই ব্যবস্থা করেছেন আর এ যুগের ‘মিসাইল ম্যান’ বলছেন, ‘পরমানু মুক্ত বিশ্ব চাই’।
কি সুন্দর!! কি সুন্দর!!!


কি পরিহাস ! কি পরিহাস !!

সময়োপযোগী পোস্ট ++

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:১৮

ইছামতির তী্রে বলেছেন: কি পরিহাস ! কি পরিহাস !!

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:০১

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: আলফ্রেড নোবেল আর আইনস্টাইনের আবিষ্কার আর তার প্রয়োগ ও উদ্দেশ্য নিয়ে বিতর্ক আছে , পজেটিভ নেগেটিভ দুটোই ।

আব্দুল কালাম নিয়ে কোন বিতর্ক নাই , তিনি ধ্বংসের জন্যই শুরু থেকেই উদ্দেশ্যমূলকভাবে কাজ করেছেন ।

শুভেচ্ছা রইল :)

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:২১

ইছামতির তী্রে বলেছেন: আপনার মতামতের সাথে একমত। তবে একটা ব্যাপার পরিস্কার তা হলো, তাদের সবারই প্রাথমিক উদ্দেশ্যে ধ্বংসমূলকই ছিল।

যার নামই ‘মিসাইল ম্যান’ সে আবার বলে ‘পরমানু মুক্ত বিশ্ব চাই’। ফাজলামীর একটা সীমা থাকা উচিত।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:১৮

তিক্তভাষী বলেছেন: উচিত কথা বলেছেন। প্রবাদ আছে চোরের মার বড় গলা! মানবতার বিরুদ্ধে ঘৃণ্য অপরাধকারীরাই আবার উচ্চস্বরে শান্তির কথা বলে।

হিরোশিমা-নাগাসাকির নিরাপরাধ নাগরিকদের ওপর পারমানবিক বোমাহামলা মুলতঃ পার্ল হারবারে জাপানী আক্রমনের প্রতিশোধ।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:২৩

ইছামতির তী্রে বলেছেন: জাপানী আক্রমণের প্রতিশোধের পাশাপাশি তাদেরকে গিনিপিগ হিসেবেও ব্যবহার করা হয়েছে।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:২৩

খেলাঘর বলেছেন:


জ্ঞানীরা সময়ের সাথে সবকিছু করতে পারেন; তাই, তাঁদের ভুলও তাঁরা বুঝতে পারেন।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩১

ইছামতির তী্রে বলেছেন: খুব ভাল বলেছেন। তবে কথা 'মিসাইল ম্যান' কিন্তু তার আগেকার কর্মের ব্যাপারে তেমন কিছু বলছেন না।

ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.