নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আম জনতার একজন।

ইছামতির তী্রে

I have a dream.

ইছামতির তী্রে › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে দেয়ালে কাঁদতে আসে মানুষ

০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:০৯



পাথর যদি সত্যি গলতে পারত, তবে এত বছরে নিশ্চয় তা গলে মিশে যেত। সময় তো কম নয়। কমপক্ষে দু’হাজার বছর। হ্যাঁ দুই হাজার বছর ধরে মানুষ এই দেয়াল ধরে শুধু কাঁদতেই এখানে আসে।

ইংরেজিতে বলে ওয়েলিং ওয়াল, হিব্রুতে স্রেফ কোটেল বা দেওয়াল, তা ছোঁয়ার জন্য লম্বা লাইনে ধৈর্য ধরে দাঁড়িয়ে থাকেন রোজ কয়েক'শ মানুষ

প্রায় চার হাজার ফুট দেয়ালের মাত্র ১৬০০ ফুট দাঁড়িয়ে রয়েছে। বাকিটা এখন আর নেই। ওই দেওয়ালটুকু ইহুদিরা ছুঁয়ে ভাবেন, একদিন এ দেয়াল ঘিরে রেখেছিল তাঁদের ধর্মের প্রাণকেন্দ্র, হেরোডের তৈরি মন্দির। যেখানে বছরে একদিন ঈশ্বরের সঙ্গে সাক্ষাৎ হত প্রধান পুরোহিতের।



মুসলিমদের বিশ্বাস, যে জায়গাটায় ছিল ইহুদিদের মন্দির, সেখান থেকেই ‘বুরক’ নামের এক ডানাওয়ালা অতিজাগতিক জীবের পিঠে চেপে স্বর্গে গিয়েছিলেন পয়গম্বর মহম্মদ (সাঃ)। জেরুজালেমের বিলাপ দেওয়ালকে তাঁরা বলেন ‘বুরক’ দেওয়াল। তাঁদের কাছে মক্কা আর মদিনার পরেই তৃতীয় পবিত্রতম তীর্থ এই আকসা মসজিদ।

সত্যি ওইখানেই যিশুর ক্রুশ ছিল কিনা, ওটাই তাঁর সমাধি ছিল কিনা, তা নিয়ে তর্ক আছে। কিন্তু দেওয়ালের ওই টুকরোটা তখনও ওই ভাবেই ছিল, তাতে সন্দেহ নেই।

কান্নার ঐ দেয়ালে এসব ধর্মের মানুষ জামার ভাঁজ, কী ব্যাগের পকেট থেকে এক টুকরো কাগজ বার করে গুঁজে দেয় পাথরের খাঁজে। কী অসম্ভব অ্যাঙ্গেলে, কত যে উচ্চতায় দেখা যায় ইচ্ছে-লেখা কাগজ! ‘‘দেওয়ালেরও কান আছে,’’ কথাটা নাকি জেরুজালেমের এই দেওয়াল থেকেই এসেছে।

আমাদের প্রায় সকলের মাঝে কতই না কান্না লুকিয়ে আছে। আমরা নিরবে নিভৃতে কাঁদি। আমাদেরও ওমন একটা কান্নার দেয়াল দরকার বৈকি।

সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।

বিঃদ্রঃ লেখাটি মূলত কপি-পেস্ট। লিঙ্ক নিচে দেয়া হলো।

মূল লেখার লিঙ্ক

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:০০

হানিফঢাকা বলেছেন: এটা ভুয়া দেয়াল। এরা যা ভাবছে এটা সেই জিনিস না

০৯ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:১৫

ইছামতির তী্রে বলেছেন: হতে পারে। আমি শুধুমাত্র কপি-পেস্ট করেছি। যাইহোক, এই বিশ্বাসটা তাহলে আসছে কিভাবে? দেয়াল যদি এটা না হয় তবে কোনটা? এই রকম দেয়াল কি আদৌ আছে? আপনার জানা থাকলে দয়া করে জানান।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:২৬

ইছামতির তী্রে বলেছেন: আমি উইকিতেও দেখলাম। উপরোক্ত লেখার সাথে প্রায় সবই মিল আছে। আপনি দয়া করে একটু পরিস্কার করে জানান।

২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:১৭

হানিফঢাকা বলেছেন: এই বিশ্বাসের উৎপত্তি অনেক গভীরে। এই দেয়াল সম্ভবত রোমানদের তৈরী। এই গল্পের উৎস ছোট করে বলা সম্ভব না। প্রথমত আপনাকে খুজতে হবে ইহুদীদের উৎপত্তি কোথা থেকে হয়েছে, অর্থাৎ এদের অরজিনাল হোমল্যান্ড কোথায়। এটা অবশ্যই বর্তমান প্যালেস্টাইন বা জেরুজালেমে না। সলোমনের স্ম্রাজ্য সেখানে ছিলনা। সুতরাং বর্তমান যে যায়গাটাকে আপনি প্যালেস্টাইন এবং জেরুজালেম বলছেন, ৫০০-৬০০ বি।সি আগে এইটার কোন রকম ভু- রাজনৈতিক গুরুত্ব ছিলনা, এমনকি এই নামও ছিলনা। সেইজন্য এই পর্যন্ত কোন আরকিওলজিস্ট সেখানে সলোমনের প্রথম টেম্পল বা তার সময়কার কোন অস্ত্বিত্ব খুজে পায়নি। এর জন্য অনেক ইহুদী স্কলাররা পর্যন্ত সলোমনের কাহিনীকে মিথ হিসাবে বলার চেস্টা করেছেন। সমস্যাটা হচ্ছে, তারা ভুল লোকেশনে খুজছে।

এমনকি, ব্যাবিলিয়ন এক্সাইলের পর তারা তাদের ওরিজিনাল হোমল্যান্ডে প্রত্যাবর্তন করে। পরে এর কিছু অংশ মাগ্রেশন করে বর্তমান প্যালেস্টাইন এবং জেরুজালেমে বসতি করে। সেখানে তারা টেম্পল তৈরী করে। পরবর্তীতে রোমানরা সেটা ধ্বংস করে।

এটা তাদের ধারনা যে প্রথম টেম্পল এইখানে ছিল। এইটা তারা আপনাদের বিশ্বাস করিয়েছে। গত ১০০ বছরের বেশী সময় ধরে তারা সেখানে প্রতিটা ইঞ্চি জায়গা খুঁড়েছে, কিন্তু কিছুই পায়নি। কিয়ামত পর্যন্ত যদি তারা ঐ এলাকা খুড়ে পৃথিবীর আরেক প্রান্ত দিয়ে বের হয়, তবু তারা সেখানে কিছু পাবে না।

সেখান থেকেই ‘বুরক’ নামের এক ডানাওয়ালা অতিজাগতিক জীবের পিঠে চেপে স্বর্গে গিয়েছিলেন পয়গম্বর মহম্মদ। - নবী মোহাম্মদ তার জীবদ্দশায় কোনদিন জেরুজালেমে আল-আকসা নামক মসজিদের নামও শোনেননি।






০৯ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:১৫

ইছামতির তী্রে বলেছেন: হুম। 'আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া' বইটি আমার কাছে আছে। ওখানে এসবের বিস্তারিত বিবরণ থাকার কথা। পড়ে দেখতে হবে।

নবী মোহাম্মদ ( সা) তার জীবদ্দশায় কোনদিন জেরুজালেমে আল-আকসা নামক মসজিদের নামও শোনেননি। -আপনার এই কথাটি বুঝতে পারলাম না।

ইসলামের বর্ণনা অনুযায়ী মুহাম্মদ (সা) মিরাজের রাতে মসজিদুল হারাম থেকে আল-আকসা বা বাইতুল মুকাদ্দাস (দূরবর্তী মসজিদ) বলেও পরিচিত মসজিদে এসেছিলেন এবং এখান থেকে তিনি ঊর্ধ্বাকাশের দিকে যাত্র করেন। এই স্থান মুসলিমদের প্রথম কিবলা। হিজরতের পর কুরআনের আয়াত অবতীর্ণ হলে কাবা নতুন কিবলা হয়।

অথচ আপনি বলছেন অন্য কথা। আবারও আপনার কাছে ব্যাখ্যা চাচ্ছি।

৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:০২

হানিফঢাকা বলেছেন: 'আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া' - উহা পাঠ করিলে এই বিষয়ে তেমন কিছুই জানতে পারবেন না।

আল-আকসা - বর্তমান জেরুজালেমে অবস্থিত এই মসজিদ টি নির্মাণ হয় খলিফা ওমরের সময় এবং পরে পুন নির্মাণ এবং এক্সটেনশন করা হয় ওমাইয়াদ খিলাফতের সময়। তাহলে নবী কিভাবে তার জীবদ্দশায় ঐ মসজিদে গিয়েছিলেন যে মসজিদ নির্মাণ হয়েছে তার মৃত্যুর পরে। নবীর জীবদ্দশায় ঐ খানে কোন মসজিদ ছিল না। ঐটা ছিল রোমানদের গারবেজ ডাম্প করার জায়গা। আপনার মুসলিম ট্র্যাডিশনে এইটাও বলে যে ওমর ঐখানে খোলা মাঠে সালাত আদায় করেছিল। আপনি চাইলে বিশ্বাস করেন, কিন্তু ঐ খানে ওমরের আগে কোন মসজিদ ছিল এই প্রমান পাবেন না।

ইহুদীরা তাদের গ্রন্থে বিভিন্ন স্থানের নামের অনুবাদ করতে গিয়ে ম্যানিপুলেশন করেছে। । মুসলমানরা এই গুলি চোখ বুঝে কপি করেছে। এইসব গল্পে অনেক গোঁজামিল দেওয়া আছে। সেইজন্য কোরআনে দেওয়া জিওগ্রাফির সাথে ট্র্যাডিশনে বর্ণিত জিওগ্রাফির প্রচুর বিসাদৃশ্য রয়েছে। আমি কিছু লেখার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু নবী ইব্রাহিমের ঘঠনা নিয়ে যখন লিখতে গেলাম, আমি যে রেস্পন্স পেয়েছি তাতে বুজলাম, মানুষ এইগুলি শুনার জন্য প্রস্তুত না।

উদাহরন হিসাবে নিচের লিঙ্ক গুলি দেখতে পারেনঃ
মিশর এবং ফেরাউনের সন্ধানে - পর্ব ১
মিশর এবং ফেরাউনের সন্ধানে – পর্ব ২
নবী ইব্রাহিমের মিথলজিকাল ভ্রমণঃ পর্ব ২

আগেই বলেছি সলোমনের প্রথম টেম্পলের লোকেশন ঐ জায়গা না। সুতরাং আপনার ঐ আকসা মসজিদকে সলোমনের টেম্পলের সাথে লিঙ্ক করার কোন কারন নেই। এইটা আমি খুব সহজেই প্রমান করতে পারতাম আরকিওলজিকাল ফ্যাক্ট, প্রমানিত ঐতিহাসিক সত্য, ইজিপ্ট, ব্যাবিলিয়ন, আস্যিরিয়ান ইতিহাস, গ্রীকদের বর্ণনা, এবং আগের যুগের মুসলিম ইতিহাসিকদের বর্ণনা এবং ওল্ড টেস্টামেন্টের বর্ণনা দিয়ে, সময় লাগত, কিন্তু পারতাম। কিন্তু ঐ লাইন থেকে আমি সরে এসেছি। যাই হোক, বর্তমান জেরুজালেমের নাম অনেক পরে করা হয়েছে সম্ভবত ৩০০-৪০০ বি।সি তে।

এরামিক ভাষায় ওল্ড টেস্টামেন্টে বর্ণিত উর-সালেম আর বর্তমান জেরুজালেম এক জায়গা না।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৮

ইছামতির তী্রে বলেছেন: ইসলাম অনুযায়ী এটি পৃথিবীতে নির্মিত দ্বিতীয় মসজিদ যা মসজিদুল হারামের পরে নির্মিত হয়। যেজন্য ইসলামের প্রথম ১৭ মাস এই মসজিদকে কিবলা করেই নামাজ আদায় করা হয়েছে। সেখানে মসজিদ যদি নাই থাকে তাহলে ক্বিবলার কথা আসল কিভাবে? তাহলে প্রথম কিবলার ব্যাপারটা ও কি মিথ্যা?

আপনার কথা আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। এইবার আপনি শুধু কিবলার ব্যাপারটা পরিস্কার করেন, প্লিজ।

৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:২০

হানিফঢাকা বলেছেন: ইসলাম অনুযায়ী এটি পৃথিবীতে নির্মিত দ্বিতীয় মসজিদ যা মসজিদুল হারামের পরে নির্মিত হয়। - ভাই আপনি প্রথমে "আকসা" মসজিদের নির্মাণ কাল নিয়ে একটু পড়া লেখা করেন। আগে নিশ্চিত হন আমি যা বলেছি তা ঠিক কি না। আপনি যে কোন ইন্ডিপেন্ডেন্ট সোর্স থেকে এটা পাবেন।

মসজিদুল হারাম বলতে কি বুঝেন সেইটা আগে ঠিক ভাবে নিশ্চিত হওন। তারপর কিবলা নিয়ে চিন্তা কইরেন। সবকিছুর একটা লজিক্যাল সিকোয়েন্স আছে। একবার এইটা, একবার ঐটা এইভাবে ধরলে বুঝতে সমস্যা হবে।

ধন্যবাদ।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:২৪

ইছামতির তী্রে বলেছেন: মনে হচ্ছে আপনি অনেক বেশী পড়ে ফেলেছেন! যাইহোক, আপনাকে আর বিরক্ত করছি না।

এতক্ষণ ধরে আলাপ করেছেন এই জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

৫| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৬

টারজান০০০০৭ বলেছেন: নিতান্তই ধর্মীয় বিষয়ে আর্কিওলজিক্যাল রেফারেন্স কেন বিশ্বাস করিতে হইবে ? আমরা আমাদের ওলামায়ে হকদের লেখাই বিশ্বাস করিব ! ইসলামের ইতিহাস নতুন করিয়া বানানোর দরকার দেখিনা ! নবী ও রাসূলদের নামের পর স. , আ. লিখিতে হয় ! ইহাই আদব ! সংশোধন করিয়া দিলে উত্তম হইবে !

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০২

ইছামতির তী্রে বলেছেন: সংশোধন করে দিয়েছি। ধন্যবাদ ভাই। আমি হুবহু কপি-পেস্ট করেছি।

আমিও আপনার সথে একমত। ধর্মীয় বিষয়ে আর্কিওলজিক্যাল রেফারেন্স টানা অনুচিত।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.