নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আম জনতার একজন।

ইছামতির তী্রে

I have a dream.

ইছামতির তী্রে › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছিনতাইকারীদের হাত থেকে বাঁচার কৌশলঃ একটি জনসচেতনতামূলক পোষ্ট

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০০

ঘটনা একঃ
কামরুন ও নাহার (ছদ্মনাম) ধানমন্ডিস্থ এক স্কুলে শিক্ষকতা করেন। তারা উভয়েই মোহাম্মদপুর এলাকায় বসবাস করেন। তাদের নিজস্ব প্রাইভেটকার নেই। যাতায়াতের বাহন হিসেবে তাদের রিকশাই ভরসা। নিজেদের সুবিধা ও নিরাপত্তার স্বার্থে তারা একত্রে রিকশায় যাতায়াত করেন। বেশ ভোরে তারা বাসা থেকে বের হন। বাসা থেকে স্কুলে পৌঁছা পর্যন্ত দু’জনের পরিবারই বেশ উদ্বিগ্ন থাকে। কারণ ইদানিং ধানমন্ডি এলাকায় ছিনতাইয়ের হার আশংকাজনকহারে বেড়ে গেছে। সেদিনও যথারীতি তারা রিকশাযোগে স্কুলের দিকে যাত্রা করেন। রিকশা যখন ধানমন্ডিস্থ ‘বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ’ এর সামনে আসে তখন একটা প্রাইভেটকার থেকে এক যুবক চিলের মত ছোঁ মেরে কামরুনের ভ্যানিটি ব্যাগটি বাগিয়ে নিয়ে দ্রুত প্রস্থান করে। ঘটনার আকস্মিকতায় ওরা হতবিহ্বল, বাকরুদ্ধ হয়ে যায়। রাস্তার লোকজন কিছু বুঝে উঠার আগেই সব শেষ। যাইহোক, চরম হতাশা ও ভীতি নিয়ে ওরা স্কুলে পৌঁছে।



ঘটনার ঘন্টা দেড়েক পর কামরুনের মোবাইলে একটা কল আসে। অপর পাশ থেকে এক পুরুষ কন্ঠ বলে, ‘আপনার ব্যাগটা সংসদ ভবনের কাছে আছে। এসে নিয়ে যান’। আহ! কি দরদী ছিনতাইকারী রে! নতুন মুসিবত মনে করে ওদের পাল্টা প্রস্তাব দেয়া হয়, ‘যদি উপকার করতেই চান তাহলে ব্যাগটা স্কুলে পৌঁছে দেন’। ওরা অবশ্য এর জবাব না দিয়ে মোবাইল সুইচড অফ করে ফেলে।

এর ঠিক ২/৩ সপ্তাহ পর একই কায়দায় নাহারের ভ্যানিটি ব্যাগ হেঁচকা টানে ছিনিয়ে নেয় মোটর সাইকেল আরোহী এক ছিনতাইকারী। এক মাসের মধ্যে দু’জনেই ছিনতাইকারীদের কবলে পরে তারা অতিশয় ভীত ও শংকিত জীবন-যাপন করছেন। তাদের ভয় আরও বেড়ে যায় এই ভেবে যে, ভবিষ্যতে এমন ঘটনা বার বার ঘটতে পারে। চরম ভয় ও উৎকণ্ঠা তাদের পেয়ে বসেছে।

ঘটনা দুইঃ
জাতীয় পরিচয়পত্র আনার জন্য বরিশালে যান হেলেনা বেগম ও মনিরুল ইসলাম দম্পতি। গ্রাম থেকে তা সংগ্রহ করার পর ২৬ জানুয়ারি ভোররাত চারটায় লঞ্চে করে আসেন সদরঘাট। এরপর সেখান থেকে লোকাল বাসে করে ধানমন্ডির ৭ নম্বর সড়কে নামেন তাঁরা। হেঁটে কলাবাগানের বাসায় যাওয়ার সময় হঠাৎ একটি প্রাইভেট কার থেকে কেউ একজন হেলেনার ভ্যানিটি ব্যাগ ধরে হ্যাঁচকা টান দেয়। আচমকা টানে তাল সামলাতে না পেরে ওই প্রাইভেট কারের নিচে পড়েন হেলেনা। চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।



হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী নিহত হেলেনা বেগমের স্বামী মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এক মিনিটের মধ্যে আমার জীবনের সব সুখ কেড়ে নিয়েছে ছিনতাইকারীরা। আমার চোখের সামনে ওরা খুন করেছে। ওরা মানুষ না। ওরা চাইলে আমার স্ত্রীকে না মেরে ব্যাগ নিয়ে চলে যেতে পারত। আমার স্ত্রীকে যেভাবে হত্যা করেছে, ওদেরও তেমনভাবে ফাঁসি দেওয়া হোক।’

কি ভয়ানক অবস্থা! প্রাইভেটকারযোগে ছিনতাই করে দেশের মুখই উজ্জ্বল করছে এই কুলাঙ্গারের দল। যে দেশে ছিনতাই হয় গাড়িযোগে সে দেশকে আপনি গরিব বলবেন কি করে? এরা আসলে নেশাখোর।

ইদানিং ঢাকা শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে সময়ে-অসময়ে রিকশারোহীদের কাছ থেকে হেঁচকা টানে ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনা অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। ভোরের সময়টুকু ছিনতাইকারীদের জন্য মোক্ষম সময়। তাই ভোরের ঢাকা মানেই এখন আতঙ্কের বিষয়। ঐ সময়ে জনসমাগম কম থাকে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতাও শিথীল থাকে। ছিনতাইকারীরা প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসযোগে আরোহীদের টার্গেট করে পিছু নেয়। এরপর সুযোগ বুঝে আক্রমণ করে। এ সময় সাধারণ পথচারীরাও ছিনতাইয়ের কবলে পড়েন।

এসব ছিনতাইয়ের ঘটনায় টাকা-পয়সা, গয়না-গাটি বা মোবাইল তো হারানোর সাথে সাথে রিকশা থেকে পড়ে কেউ কেউ আহত হন। এমনকি কোন কোন হতভাগ্যকে এতে জীবনও দিতে হয়েছে। এসব অপ্রত্যাশিত, উটকো বিপদাপদ থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। কথা বলে, সাবধানের মার নেই। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যদের উপর পুরোপুরি নির্ভর না করে নিজেদেরও কিছু বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী। যথা,

১. রিকশায় যাতায়াতের সময় অবশ্যই হুড তুলে রাখুন, বিশেষ করে ভোরের দিকে অবশ্যই। এতে পেছন থেকে আচমকা ভ্যানিটি ব্যাগ ধরে টান মারা সহজ হবে না;

২. রিকশায় বসে ব্যাগটা কাঁধে ঝুলিয়ে না রেখে দু’পায়ের মাঝে রাখুন। এর ফলে দুর্ভাগ্যবশত ছিনতাই হলেও কোন দুর্ঘটনায় পতিত হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে;

৩. রিকশায় একা চললে দামী মোবাইল, টাকা, গয়না ইত্যাদি ছোট সাইজের ভিন্ন একটা ব্যাগে রাখুন। এই ব্যাগটি নিজের কোলের উপর রাখুন। একা চলাফেরা করলে দামী জিনিষ বহন না করাই উত্তম;

৪. রিকশায় চলাচলের সময় মোবাইলে কথা বলা পরিহার করুন;

৫. যাতায়াতের পুরো সময় চোখ-কান খোলা রাখুন। অন্যমনস্ক থাকবেন না;

৬. বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ভোরের সময়ে রাস্তায় বের না হওয়াই উত্তম। বাধ্যবাধকতা থাকলে বাসযোগে গন্তব্যে যাওয়া অধিকতর নিরাপদ।

সবশেষ কথা, মানুষ তার প্রয়োজনে রাস্তায় বের হবেই। এজন্য মানুষকে অবশ্যই সংকোচহীনভাবে পথ চলতে হবে। সে জন্য দরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যদের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। ছিনতাইকারীরা যেহেতু প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস নিয়ে ছিনতাইকর্মগুলো করে থাকে সেহেতু তাদেরকে চেনা মুশকিল। এ জন্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে তাদের গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি করে ছিনতাইকারী গ্রুপগুলোকে চিহ্নিত করে ধরাশায়ী করতে হবে। এ জন্য গোয়েন্দা কার্যক্রম বাড়ানো জরুরি হয়ে পড়েছে।

ছিনতাইকারী ধরতে পুলিশের ফাঁদঃ
আশার কথা হল, ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ছিনতাই প্রতিরোধ ও জনসাধারণের নিরবচ্ছিন্ন চলাচল নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার করতে ফাঁদ পাতা পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে।

ছিনতাইয়ের সম্ভাব্য সময় যেমন- সন্ধ্যা ও ভোররাতে পুলিশ সদস্যদের সিভিল পোশাকে সতর্কতার সঙ্গে মূল্যবান দ্রব্যসামগ্রী (ল্যাপটপ, ক্যামেরা, দামি মোবাইল ফোন ইত্যাদি) দিয়ে রিকশায় ঘোরাঘুরি করে ছিনতাইকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

জনসাধারণের তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের সহায়তায়সহ অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের সেবা প্রাপ্তির লক্ষ্যে ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ এর কার্যক্রম চালু করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

খুশির খবর হল, ছিনতাইকারীদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হওয়া হেলেনা বেগম হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঢাকার আদালতে ওই ছিনতাইকারী খুনের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। পুলিশ তাদের গোটা চক্রকেই গ্রেফতার করার প্রক্রিয়ায় আছে। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে ধানমন্ডি তথা সকল অঞ্চলে এ ধরণের অপরাধের মাত্রা অনেক কমবে বলে মনে করি।

ভিডিওটি দেখুন


সবাই নিরাপদে থাকুন এই কামনা করি।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


কম ঝামেলায় (পুলিশ হয়রাণী, গণ-পিটুনী এড়িয়ে) কিভাবে ছিনতাই করা যায়? প্রফেশানটা কেমন লাভজনক? ট্রেনিং পাওয়ার উপায় জানা আছে?

০১ লা মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:০১

ইছামতির তী্রে বলেছেন: আমি পোষ্টে যাদের কথা বলেছি, তারাই সবচেয়ে কম ঝামেলায় ছিনতাই করে। ঘটনা দুইয়ের মূল আসামি জাকির নাকি গত ২০ বছর ধরে ঐ এলাকায় ছিনতাই করে।

হাহা। ট্রেনিং এর ব্যাপারে জানা নাই।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৫

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: সচেতনতামুলক পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ। এ ধরনের ঘটনা সত্যি আতংক বাড়িয়ে দিয়েছে সবার মধ্যে।

০১ লা মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:০৩

ইছামতির তী্রে বলেছেন: ভীষণ আতংকিত হবার মত ব্যাপার।

তবে একজন মারা যাবার পর পুলিশের ভূমিকা বেড়েছে। ওই এলাকার পুরো চক্রকে ধরার প্রক্রিয়ায় আছে। এদের শাস্তি দিলে এদের উপদ্রব কিছুটা কমবে।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পুলিশের সাধারণ কাজের সময় কই? বিরোধী দমনেই উৎসাহ বেশী। তাতে অনুকম্পা সহজে মেলে!

রাষ্ট্র যখন ব্যর্থ হয় তখনই এমন শিরোনাম নিত্য দেখতে হয়!
শেয়ার বাজার লুট, ব্যাংক লুট, নিয়ন্ত্রনহীন নিত্যপণ্য মূল্য, যোগাযোগের লাল তালিকায় দেশ, টপ টু বটম মিথ্যার গর্বিত চর্চা,
মাদকের ভয়াবহ বিস্তার, শিক্ষাব্যবস্থার ধ্বস! সোনার ছেলেদের ধর্ষনের লাগামহীন উর্ধগতি, গুম খুনের ত্রাস যখন রাষ্ট্র পৃষ্ঠপোষকতা দেয়, তখন পুলিশ বেপরোয়া হয়েই পরে।
গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকা যায় কিছুদিন কিন্তু সত্যতো বদলানো যায় না। রাস্ট্র বিজ্ঞানের সকল সাধারন সূত্র মতেই এ সরকার অনির্বচিত, অজনপ্রিয়, স্বৈরাচারী। সুতরাং প্রশাসনেও তার ছায়া থাকবে স্বত:সিদ্ধতায়ই।

তখন এমন পোষ্ট লিখে আমজনতা নিজেদের অসহায়ত্ব থেকে বাঁচার পথ খুঁজবে। নিরুপায় হয়েই।

০১ লা মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:০৭

ইছামতির তী্রে বলেছেন: মন্তব্যে যা যা বলেছেন তার সবটাই সত্যি। এটাই এখন দেশের প্রকৃত চিত্র। কিন্তু এ অবস্থা বদলের চিন্তা কারোরই নেই। সবাই গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দিয়েছে। কোন কমিটমেন্ট, দায়িত্ববোধ তাদের মধ্যে দেখা যায় না।

এহেন দেশের মানুষ সত্যিই খুব হতভাগ্য। নিজের নিরাপত্তা বিধান নিজেরই করতে হয়।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৪৭

সুমন কর বলেছেন: আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে আরো অান্তরিক হতে হবে।

০১ লা মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:০৮

ইছামতির তী্রে বলেছেন: অবশ্যই তাদের আন্তরিক হতে হবে। ছোটখাটো সব অপরাধের ব্যাপারেই তাদের সিরিয়াস হতে হবে।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:০৪

শায়মা বলেছেন: একটা পুরান কাগজ ভরা বড় ব্যাগ রাখতে হবে ছিনতাইকারীদেরকে ধোকা দেবার জন্য আর মেইনটা একটু আড়ালে। :)

০১ লা মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:১০

ইছামতির তী্রে বলেছেন: ভাল বলেছেন। আমার জানা মতে, অনেকেই এটা করে থাকে। এতে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ কমানো যায়।

টোটকা বুদ্ধি দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

৬| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ ভোর ৫:১৪

নিশি মানব বলেছেন: ছিনতাইটা যখন হয়, তখন জনসম্মুখেই হয়।আর সে সময় আশে পাশে অনেক বাইকাররা থাকেনএএই বাইকার আর জনতা একটু সাহসী হলেই ছিনতাই রোধ করা সম্ভব। দুই একজন ছিনতাইকারী পুড়ে মরে গেলে বাকিজনের নেশা এমনিতেই কেটে যাবে।

০১ লা মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:১৩

ইছামতির তী্রে বলেছেন: এরা খুব দ্রুতগামী ছিনতাইকারী। প্রাইভেট কার বা মোটর সাইকেল নিয়ে আসে। ছো মেরে দ্রুত পগার পার হয়ে যায়। পথচারীদের পক্ষে এদের ধরা অসম্ভব। একমাত্র গোয়েন্দা বিভাগের লোক এদের শায়েস্তা করতে পারে।

আর হ্যা, মাঝেই মাঝেই গণপিটুনিতে ছিচকে ছিন্তাইকারী মারা যাবার খবর পাওয়া যায়। তবু কিন্তু কমে না। তবে 'ইন্সট্যান্ট বিচার' হয়ে গেলে অনেকেই ভয় পাবে এটাও সত্যি।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৭| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৩৯

মিরোরডডল বলেছেন: দেশের অবস্থা খুবই খারাপ!!!!
ভাল লিখেছেন

০১ লা মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:১৪

ইছামতির তী্রে বলেছেন: কোন অবস্থাই তো নাই, আবার খারাপ!

আমরা বড়ই অসহায় হয়ে পরেছি।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৮| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:০৬

বারিধারা ২ বলেছেন: দেশে বেকারের সংখ্যা ভয়াবহভাবে বেড়ে গেছে। আমি সপ্তাহে দু'একজনের ফোন পাই চাকরি যোগাড় করে দেবার অনুরোধে। কি করবে বলুন - খেয়ে পড়ে তো বাঁচতে হবে।

০১ লা মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:১৭

ইছামতির তী্রে বলেছেন: তাহলে ছিনতাই কি 'খেয়ে পড়ে বাঁচার পথ'? দেশে বেকার সমস্যা বেড়েছে এতে কোন সন্দেহ নাই। কিন্তু তাই বলে ছিনতাইয়ের মত একটা অপরাধ তো আর পেশা হতে পারে না।

আপনার সুযোগ থাকলে চাকুরীর ব্যবস্থা করবেন। এটা হলো সবচেয়ে বড় সমাজ সেবা।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৯| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৪১

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সাবধানতাই একমাত্র উপায়।

০১ লা মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:০৩

ইছামতির তী্রে বলেছেন: হুম, সাবধানের মার নেই।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১০| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:২৯

সোহানী বলেছেন: বুদ্ধিগুলো ভালো কিন্তু এর স্থায়ী সমাধান দরকার।

তবে আপনার ফাঁদ পাতা তথ্য শুনে হাসতে বাধ্য হলাম। কারন পুলিশ জানে না এমন কিছু নেই আর ওদেরকে চাঁদা ছাড়া ছিনতাই করবে এমন বুকের পাটা মনে হয় কোন ছিনতাইকারীর নেই। পুলিশ চাইলে আধা ঘন্টায় সব সমাধান করতে পারে।..... কিন্তু চাইতে হবে তো!!!

০২ রা মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:০১

ইছামতির তী্রে বলেছেন: অবশ্যই এর স্থায়ী সমাধান দরকার। আমি শুধু একজন নিরীহ যাত্রী/পথচারীর প্রাথমিক নিরাপত্তা প্রস্তুতির কথা বলছি।

'ফাঁদ পাতা' পুলিশেরই পরিকল্পনা। হয়ত আইওয়াশ। হুম, পুলিশ চাইলে অবশ্যই পারে। কিন্তু পুলিশ তো ব্যস্ত আছে তথাকথিত 'বড় বড়' অপরাধী ধরার কাজে।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১১| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৩৯

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
উপযোগী পোস্ট ||

০২ রা মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:০১

ইছামতির তী্রে বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

১২| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৪২

আশিক_ইসিই_২ক১৩ বলেছেন: এদের দুই একটাকে ধরে চৌরাস্তার মোড়ে ফাঁসিতে ঝুলালে কিছুটা কমবে হয়ত।

০২ রা মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:০২

ইছামতির তী্রে বলেছেন: তখন আবার অনেকেই বলে বসবে, 'দেশটায় সভ্যতা বলে কিছু নেই'।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.