নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছোটো প্রাণ,ছোটো ব্যথা >ছোটো ছোটো দুঃখকথা >নিতান্তই সহজ সরল >সহস্র বিস্মৃতিরাশি প্রত্যহ যেতেছে ভাসি>তারি দু-চারিটি অশ্রুজল>নাহি বর্ণনার ছটা ঘটনার ঘনঘটা> নাহি তত্ত্ব নাহি উপদেশ> অন্তরে অতৃপ্তি রবে সাঙ্গ করি মনে হবে>শেষ হয়ে হইল না শেষ

রিকি

কাছে আছে দেখিতে না পাও, তুমি কাহার সন্ধানে দূরে যাও। মনের মতো কারে খুঁজে মর, সে কি আছে ভুবনে, সে যে রয়েছে মনে।

রিকি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিখ্যাত ব্যাক্তির সুপ্ত ব্যাধি...পর্ব ২ — জানেন কি ???? 8-| 8-| 8-| 8-| 8-|

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৩০

“It has been said that life has treated me harshly; and sometimes I have complained in my heart because many pleasures of human experience have been withheld from me…if much has been denied me, much, very much, has been given me…”



প্রথম পর্বে লিখেছিলাম বিখ্যাতদের দুইটি ব্যাধি নিয়ে। আজকের পর্বের বিষয় ঠিক literally ব্যাধি নিয়ে নয়... বরং বিখ্যাতদের কথা বলা, দেখা এবং শোনার সমস্যা সম্বলিত যার মধ্যে কিছু কিছু সমস্যা তাদের হয়েছিল বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে, আবার কিছু কিছুর সমস্যা জন্মগত ছিল। আজকের পোস্ট Stutter, Blindness এবং Hearing Impairment সম্বলিত বিখ্যাতদের নিয়ে------



Stutter :



Stutter ( ইংল্যান্ডে stammer বলা হয়ে থাকে) সাধারণ বাংলা ভাষাতে একে আমরা এক কথায় তোতলানো বলে জানি! এটি একটি Speech Disorder… যার ফলে কথা বলার সময় মানুষ একই জিনিস পুনরাবৃত্তি করে থাকে, কখনও কখনও কথা সম্পূর্ণ করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়ে পড়ে এবং কথা অনেক বেশি বাধাপ্রাপ্ত হয়ে থাকে...এটা অনেক সময় কারও মধ্যে ছোটবেলা থেকে প্রকাশ হতে থাকে আবার কখনও কখনও এটা বয়স হলে বিভিন্ন স্নায়ুবিক কারণে ফুটে উঠে যেমন মাথায় আঘাত প্রাপ্তি, স্ট্রোক, ড্রাগ এর overdose. অনেকে ধারণা করে থাকেন... তোতলানোর মূল সমস্যা কথা বলার সময় উদিঘ্ন ভাবের প্রকাশ ছাড়া আর কিছু নয়... কিন্তু বাস্তবে তা কতটুকু বিজ্ঞানসম্মত তা বিশেষজ্ঞরা বলতে পারবেন ! এরকম কি কি কি কি কি কি কিরণ বলার সমস্যা কোন কোন বিখ্যাত মানুষের সমস্যা আজ তা জানবো—



1. Bruce Willis :



Walter Bruce Willis আমেরিকান বংশোদ্ভূত হলেও জার্মানিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি একজন বিখ্যাত অভিনেতা এবং গায়ক। তিনি অধিক পরিচিত তাঁর অ্যাকশন সিনেমাগুলোর জন্য... ১৯৮০ সালের দিকে সে তাঁর সিনেমার জীবন হলিউডে শুরু করেছিলেন। অ্যাকশন সিনেমার মূল আকর্ষণ এই অভিনেতার জীবনের কৈশোর দশা পার হয়েছে তোতলানো সমস্যাতে। সে সব সময় ভয় করত তাঁর এই তোতলানো সমস্যা তাঁর অভিনয় জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে! সে কোনোদিন তাঁর এই সমস্যার জন্য কোন ডাক্তার বা থেরাপিষ্টের কাছে যাননি... বরং অভিনয়ের সূত্র ধরেই তাঁর তোতলানোর সমস্যা কিছুটা হলেও হ্রাস পেয়েছে !









2. Tiger Woods:



সর্বকালের highest rank পাওয়া আমেরিকান এই গল্ফারকে চেনে না এমন খুব কম মানুষই রয়েছে। ১৯৭৫ সালের ডিসেম্বর মাসের ৩০ তারিখে জন্ম নেয়া Tiger এর আসল নাম... Eldrick Tiger Woods. ছোটবেলাতে Tiger এর তোতলানোর অনেক বেশি সমস্যা ছিল... সে অনেক ধৈর্য নিয়ে তাঁর এই সমস্যার মোকাবেলা করেছিলেন মেলা সময় ধরে এবং তা কাটিয়েও উঠেছেন। সে তাঁর এই সমস্যা দূর করার জন্য অনবরত কথা বলতে থাকত... এমনকি তাঁর পোষা কুকুরের সাথেও দীর্ঘক্ষণ কথা বলে যেত ঘুমানোর আগ অবধি ! তাঁর পরিবারও তাঁর এই কথা বলার সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বিশেষত তাঁর মা !









3. Julia Roberts :



Pretty Woman এর কথা মনে আছে?? অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী এই অভিনেত্রী অভিনয়শৈলী সম্পর্কে ব্যাখ্যা করার মত কোন বাক্য আমার কাছে নাই...সে এক এবং অনবদ্য তাঁর সিনেমাগুলোতে... তাঁর সিনেমাগুলোতে নায়ক Guest Appearance এর মত মনে হয়... সে একাই ১০০ ! সর্বকালের অন্যতম পারিশ্রমিক নেয়া নায়িকাদের একজন... সে শুধু অভিনেত্রী তা কিন্তু নয়, একসময় ফ্যাশন দুনিয়ার মডেল হিসেবে নাম করে অভিনয় জগতে এসেছিলেন। এক সাক্ষাতকারে সে স্বীকার করে, ছোটবেলাতে তাঁর তোতলানোর সমস্যা ছিল যা বয়স যেতে যেতে লোপ পেয়ে যায়... বর্তমানে সে অনেক fluently কথা বলতে পারেন !







4. Anthony Quinn:



Anthony তাঁর সিনেমার জীবন শুরু করেন ১৯৩৬ সালে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাঁর অভিনয় জীবনে অনেক বেশি সাফল্য আসতে থাকে। দুইবার অস্কার বিজয়ী এই অভিনেতা মূলত নাম করেছিলেন মারমুখী এবং মাফিয়া সদস্য চরিত্রে। এই অভিনেতার তোতলানোর সমস্যা ছিল...এবং সে যে শুধু সিনেমার জগতে নাম করেছে শুধু তা নয়... একই সাথে সে চিত্র শিল্পেও অনেক সুনাম অর্জন করেছিলেন!







5. Jimmy Stewart:



James Matiland Stewart হলিউড সিনেমার অভিনেতা হিসেবে ৭ দশক অবধি অভিনয় করে গেছেন। তাঁর অন্যতম প্রধান সিনেমা গুলির মধ্যে অন্যতম Vertigo, Rear Window, It’s a Wonderful Life, The Philadelphia Story, Window প্রভৃতি। তাঁর তোতলানো কথা, এবং অন্যান্য অভিনেতাদের তুলনায় একটু অন্য ধরণের অবয়ব তাকে ক্লাসিক সিনেমাগুলোতে এক আলাদা স্থান করে দিয়েছে। সে ৮৯ বছর বয়সে মারা যান... এবং ১৯৯৪ সালে তাঁর স্ত্রী গ্লোরিয়া মারা যাওয়ার পর থেকে সে জনসম্মুখে সেভাবে বেড়াতেন না !







6. Rowan Atkinson:



ইংরেজ এই অভিনেতার অন্যতম প্রধান পরিচয় Mr. Bean হিসেবে...Mr. Bean সর্বপ্রথম সম্প্রচার শুরু হয় ১৯৯০ সালে New Years Eve এ। তাঁর অভিনয়ের শক্তিশালী দিক হচ্ছে তাঁর facial expression…বেশির ভাগ Mr. Bean এর পর্ব গুলোতে কিন্তু কোন সংলাপ নেই... সে তাঁর মুখের উদ্ভট expression, এবং অভিনয়শৈলী দিয়ে Mr. Bean কে সেই পর্যায়ে নিয়ে গেছেন... তাকে অনেক সময় বলা হয় “The Man with the rubber face”! ব্রিটিশ কমেডি জগতে ৫০ জন সর্বশ্রেষ্ঠ অভিনেতাদের মধ্যে সেও একজন। এই মানুষটির ছোটবেলাতে তোতলানোর সমস্যা ছিল এবং “B” শব্দটি বলতে তাঁর অনেক সমস্যা হত। সে তাঁর এই সমস্যাটিকে শৈল্পিক ভাবে রুপান্তর করে এবং কথা বলার সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় হাজার লাখো মানুষকে হাসানোর উপাদান... কমেডি !







7. Sam Neil :



নিউজিল্যান্ডে জন্ম নেয়া এই অভিনেতার মূল সুনাম Jurassic Park এর সিনেমার মধ্যে দিয়ে এবং The Omen এর তৃতীয় পর্ব ! Peter Jackson এর সিনেমা Lord of the Rings এ অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হলেও Sam, Jurassic Park III এর মুখ্য চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পাওয়াতে Lord of the Rings প্রত্যাখ্যান করে দেন। ছোটবেলাতে Sam এর তোতলানোর সমস্যা ছিল এবং তাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে তাঁর এই সমস্যা সারানোর কাজে! তাঁর কিছু কিছু সিনেমা খুব খেয়াল করে দেখলে তাঁর এই তোতলানোর সমস্যা সহজেই ধরা পড়ে !







8. Samuel L. Jackson:



অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী এই অভিনেতার মূল পরিচয় Quentin Tarantino র Pulp Fiction সিনেমাটি ! তাঁর বেশির ভাগ সিনেমা অনেক বেশি ব্যবসাসফল... কিছু কিছু সিনেমা যদিও প্রত্যাশিত ফল করতে পারেনি ! বালক অবস্থায় এই অভিনেতার তোতলানোর সমস্যা প্রকট ছিল এবং সে অভিনয়ে নাম লিখিয়েছিল তাঁর থেরাপিষ্টের অনুমতি সাপেক্ষে !







9. Winston Churchill:



চার্চিল নিজের সমস্যাকে অভিহিত করত “ Speech Impediment” হিসেবে ! সে কথা বলার এই প্রতিবন্ধকতা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য অনেক প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন। অনেক বছর পর্যন্ত চেষ্টা করার পর সে বলেছিলেন , “ আমার প্রতিবন্ধকতা আমার জন্য বাধা নয়” ! আমেরিকার Stuttering Foundation নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে একসময় বলেছিলেন, চার্চিল তোতলা ছিল। চার্চিল তোতলা হওয়ার সাথে সাথে অনেক কিছু তালগোলও পাকিয়ে ফেলত... এটার কারণ হিসেবে অনেকে মনে করেন, চার্চিল ছোট ছোট কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে নিয়ে বেশি মাথা ঘামাতেন না... এবং তাঁর নিজস্ব প্রত্যেকটি ব্যাপারে একধরণের দম্ভ কাজ করত !







10. Aristotle :



বিখ্যাত দার্শনিক Aristotle এর মৃগীর সমস্যা ছিল এর আগের পর্বে উল্লেখ করেছি... এর সাথে তাঁর তোতলানোর ও সমস্যা ছিল বলে ধারণা করা হয়... Aristotle এর তোতলানোর বিষয় সম্পর্কে এক ধরণের অস্পষ্ট মতবাদ রয়েছে, যে মতবাদ অনুসারে তোতলানোর প্রধান কারণ হিসেবে তিনি জিহবার কার্যবিভ্রাটকে দায়ী করেছেন!







11. Charles Darwin:



প্রাকৃতিক মতবাদের প্রবক্তা এই বিজ্ঞানীর তোতলামির সমস্যা ছিল। Darwin এর সারাজীবনব্যাপী বিভিন্ন অসুস্থতার বিষয় শতাব্দী ধরে অনেক মানুষের চর্চার বিষয় হয়ে আসছে ! Darwin বলেছিলেন, তাঁর শারীরিক সমস্যাগুলোর সূচনা ঘটে ১৮২৫ সালে যখন তাঁর বয়স মাত্র ১৬ বছর! সে ২৮ বছর বয়সে অসমর্থ হয়ে পরে আস্তে আস্তে ! তাঁর অসুস্থতার ধরণ এবং আসল কারণ আজ পর্যন্ত ধোঁয়াশার মধ্যে রয়ে গেছে !







12. Alan Turing:



Alan Turing কে বর্তমানের আধুনিকতম কম্পিউটারের জনক বলা হয়... সে একজন আমেরিকান গণিতবিদ, যুক্তিবিদ এবং একই সাথে ক্রিপ্টোগ্রাফার ছিল। Turing তাঁর উদ্ভাবিত Turing machine এর সাহায্যে এলগোরিদমকে এক অন্য পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন! দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সে জার্মানদের গুপ্ত সংকেত ভাঙ্গার কাজ করে জার্মানদের বিধ্বংসী রণনীতির ভয়াবহ পরিণতির হাত থেকে পৃথিবীকে বাঁচিয়েছিলেন। এই Alan Turing এর তোতলামোর সমস্যা ছিল বলে ধারণা করা হয় ! Alan Turing এর জীবন চিত্র অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে “The Imitation Game” নামের সিনেমাটি !







13. Aesop:



শিয়াল বাঘের আড়ালে নীতিশিক্ষার গল্পের এই যাদুকর তোতলা ছিলেন... Aesop এর আসল পরিচয় নিয়ে অনেকের অনেক রকমের তত্ত্ব রয়েছে... কেউ বলে সে নাবিক ছিল, কেউ বলে সে ক্রীতদাস ছিল, আবার কেউ বলে সে দুইটির একটিও ছিল না...গ্রীক এই মানুষটির আসল পরিচয় কেউ ঠিকমত বের করতে পারেনি আজ পর্যন্ত!









Blind or Sight Impaired :



Blindness বা অন্ধত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত বলার কিছুই নেই...অন্ধত্ব কারও জন্মগত ভাবে হয় আবার কারও বয়স গেলে বিভিন্ন রোগের কারণে... Visualization মানুষের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ...পৃথিবীতে অনেক ব্যাক্তি, এসেছেন বা আছেন যারা কখনও পৃথিবীটার রং, রূপ কখনও অবলোকন করতে না পারলেও মনের দৃষ্টির সাহায্যে এর সৌন্দর্য উপলদ্ধি করে গেছেন এবং তাদের অবদান পৃথিবীতে রেখে গেছেন... এই Blindness এর স্বীকার বিখ্যাত ব্যাক্তি সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক—



1. Helen Keller:



Helen Adams Keller একজন লেখিকা এবং সমাজসেবী ছিলেন। তিনিই প্রথম অন্ধ এবং বধির ব্যক্তি যিনি প্রথম কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করেছিলেন। সে জন্মগত ভাবে অন্ধ এবং বধির কোনটিই ছিলেন না... জন্মের ১৯ মাস পরে ডাক্তাররা খেয়াল করেন সে ঘন ঘন পাকস্থলী এবং মস্তিস্ক সংক্রান্ত সমস্যায় আক্রান্ত থাকতেন... যা তারা ধারণা করেছিলেন Scarlet fever অথবা Meningitis! এই অসুস্থতা দীর্ঘ সময় ব্যাপী না থাকলেও Helen এর ফলে সারা জীবনের মত অন্ধ এবং বধির হয়ে পড়েন। Helen তাঁর কাজের এবং লেখনীর মধ্যে দিয়ে আজও অবিস্মরণীয় হয়ে আছেন... প্রতিবন্ধকতা তাকে নুন্যতম তাঁর লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি !







2. Franklin Delano Roosevelt:



আমেরিকার ৩২ তম এই প্রেসিডেন্ট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। Roosevelt তাঁর শাসনামলে দরিদ্র এবং বেকারদের পুনর্বাসনের জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলেন এবং বিভিন্ন উদ্দেশ্যের ভিত্তিতে আইন পাস করিয়েছিলেন। আমেরিকার অর্থনীতির উন্নয়নকর্তা এই প্রেসিডেন্টের দৃষ্টিত্রুটি জনিত সমস্যা ছিল !







3. Louis Braille :



Louis Braille জন্মগত অন্ধ ছিল না... সে অন্ধ হয়েছিল যখন সে তাঁর বাবার একটি তুরপুণ দুর্ঘটনাবশত নিজের চোখে বিদ্ধ করে বসে! তিনি অন্ধদের লিখন পদ্ধতি ব্রেইল এর আবিষ্কর্তা। ব্রেইল এর পদ্ধতি আবিস্কারের পর অন্ধ মানুষের পড়ার সুবিধা অনেকাংশে বেড়ে যায়... ব্রেইলের সেই পদ্ধতি ১৯ শতাব্দী থেকে শুরু হয়ে আজ অবধি চলছে... এর বিকল্প সুবিধা এরই পরিবর্ধিত রূপ ছাড়া আর কিছু নয় !







4. Galileo Galilei:



Galileo ছিলেন এমন একজন পদার্থবিদ, গণিতবিদ, জ্যোতির্বিদ এবং দার্শনিক যিনি বিজ্ঞানে যুগান্তকারী সব তত্ত্ব দিয়ে গেছেন। জন্মসূত্রে ইটালিয়ান Galileo, টেলিস্কোপের আবিস্কারক এবং বৃহস্পতির ৪ টি উপগ্রহ তিনি সর্বপ্রথম আবিষ্কারের কৃতিত্ব অর্জন করেন। এই বিখ্যাত বিজ্ঞানীর দৃষ্টিশক্তি ৬৮ বছর বয়সে ধীরে ধীরে ক্ষীণ হতে থাকে এবং ক্রমে সে অন্ধ হয়ে যান !







5. John Milton:



ব্রিটিশ এই কবিকে বিখ্যাত করেছেন তাঁরই অমর কাব্যিক সৃষ্টি “Paradise Lost” এবং “Paradise regained”… Milton শিক্ষার্থী হিসেবে স্কুলের পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে পারতেন না একেবারেই এবং তাঁর শিক্ষকের সাথে হাতাহাতি হওয়ার ঘটনায় তাকে স্কুল থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল। এরপর বয়স যেতে লাগ্লে সে ইংরেজি, ল্যাটিন এবং ইটালিয়ান ভাষাতে কবিতা লেখা শুরু করেন। ১৬৫১ সালে মাত্র ৪৩ বছর বয়সে সে অন্ধ হয়ে পড়েন এবং তাঁর পরের জীবনের লেখনীগুলোতে তাঁর অন্ধ জীবনের কষ্টের সময় তিনি বর্ণনা করে গেছেন !







Hearing Impairment:



Hearing Impairment কে এক কথায় বলা হয়... শ্রবণে ত্রুটিজনিত সমস্যা বা বধির। শ্রবণে ত্রুটি জনিত সমস্যা কখনও জন্মগত ভাবে আসে আবার কখনও দুর্ঘটনা বশত। আসুন দেখে নেয়া যাক Hearing Impairment এর সমস্যা কাদের ছিল---



1. Thomas Alva Edison:



আজকের পৃথিবীতে নিত্যদিন চলতে গেলে আমরা যে সব জিনিসের উপর ভরসা করে চলি, লাইট বাল্ব থেকে অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র ... তাঁর অধিকাংশ এই ভদ্রলোকের অবদান। ডাচ বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক Edison স্কুলে ভয়াবহ ধরণের শিক্ষার্থী ছিল...Edison এর ছোটবেলাতে Scarlet fever হয় যার ফলে তাঁর কানের মধ্যাংশে infection তৈরি হয়... এর ফলে সে সারা জীবনের মত বধির হয়ে যায় !









2. Ludwig Van Beethoven:



সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সঙ্গীতকার বলা হয়ে থাকে Beethoven কে... Beethoven নিজের তৈরি করা সুরগুলো কখনও শুনতে পেত না... বধির হওয়ার পরেও সে কিভাবে সুর সৃষ্টি করত এটি একটি চরম আশ্চর্যের ব্যাপার। তাঁর সৃষ্ট সুরের জাদুতে শ্রোতারা যখন মুগ্ধ হয়ে আনন্দে প্রশংসাসূচক হাবভাব করত... Beethoven এভাবে নিজের কাজের ভালো, মন্দের পরিচয় বুঝত!









রেফারেন্স লিঙ্কঃ

Click This Link

Click This Link

Click This Link



**** এই পর্বের লেখাগুলো সম্পূর্ণ রূপে আমার… পূর্বের কোন লেখার সাথে মিলে গেলে তা একান্তই co-incidence….no resemblance. আশা করি পোস্টটি ভালো লাগবে !:#P !:#P !:#P !:#P





এই পোস্টের প্রথম পর্বের লিংক ---

বিখ্যাত ব্যাক্তিদের সুপ্ত ব্যাধি...পর্ব ১— জানেন কি ???? 8-| 8-| 8-| 8-| 8-| Click This Link









































মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৩১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আইতাছি ফ্রী হইয়া..

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৩

রিকি বলেছেন: B:-) B:-) B:-) B:-)

২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: এত এত সমস্যা থাকার পর ও তাদের কেউ বিক্ষ্যাত হওয়া থেকে বিরত করতে পারে নাই।
অনেক পরিশ্রমী পোস্ট ভাল লাগল।
অনেক গুলি ++++++++

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:০৩

রিকি বলেছেন: সেটাই আপু ..... তাদের এত বড় বড় সমস্যা থাকার পরেও তারা আজ বিখ্যাত !:#P !:#P !:#P !:#P

৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩০

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: Nice post.++

১৭ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৫৫

রিকি বলেছেন: ফিডব্যাকের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই :) :)

৪| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৫৮

সুমন কর বলেছেন: অাপনার এ সিরিজটি বেশ মজার। অনেক কিছু জানা হচ্ছে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

১৭ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৫৯

রিকি বলেছেন: এই সিরিজের আরও দুই একটা পর্ব আসবে বলে আশা করছি Next এ....তবে দাদা এই সিরিজের response খুবই কম...এত কষ্ট করে লিখে এত কম response দেখলে মন কিছুটা খারাপ হয়ে যায় দাদা :(

৫| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:১০

আজকের বাকের ভাই বলেছেন: ধন্যবাদ দিয়ে আপনার লেখনী শক্তিকে অপমানিত করব না।
এই লেখাকে মাপার যোগ্য নই, অনেক ভাল লাগল। শুভ কামনা রইল, এমন পরীশ্রমী পোস্টই দরকার।

১৭ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:০২

রিকি বলেছেন: ফিডব্যাকের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই :) :)

৬| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:১১

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:

চমৎকার সিরিজটি চালিয়া যান।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর তথ্যগুলো শেয়ার করার জন্য।

১৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:০৩

রিকি বলেছেন: ভাই আপনাদের সবার শুভকামনা আর support এর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ...আপনাদের মন্তব্যগুলো অনেক বেশি উত্‍সাহী করে তুলে ভাই....সিরিজটা চলবে...:) :) :)

৭| ১৮ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:১২

হাসান মাহবুব বলেছেন: সব দেখি বাঘা বাঘা লোক!

১৮ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৯

রিকি বলেছেন: হ্যাঁ ভাই :) :) :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.