নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছোটো প্রাণ,ছোটো ব্যথা >ছোটো ছোটো দুঃখকথা >নিতান্তই সহজ সরল >সহস্র বিস্মৃতিরাশি প্রত্যহ যেতেছে ভাসি>তারি দু-চারিটি অশ্রুজল>নাহি বর্ণনার ছটা ঘটনার ঘনঘটা> নাহি তত্ত্ব নাহি উপদেশ> অন্তরে অতৃপ্তি রবে সাঙ্গ করি মনে হবে>শেষ হয়ে হইল না শেষ

রিকি

কাছে আছে দেখিতে না পাও, তুমি কাহার সন্ধানে দূরে যাও। মনের মতো কারে খুঁজে মর, সে কি আছে ভুবনে, সে যে রয়েছে মনে।

রিকি › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্টিগ লারসনের মিলেনিয়াম সিরিজ এবং এর নেপথ্যের বাস্তব কাহিনী---আসুন The girl with the Dragon Tattoo, The Girl who played with Fire এবং The girl who kicked the Hornet’s Nest এর পাগলাটে কিন্তু বুদ্ধিমতী anti-social, punk লিসবেথকে একটু আলাদাভাবে চিনি :-B :-B :-B :-B :-B :-B

১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৩১





“Truth is stranger than fiction, but it is because Fiction is obliged to stick to possibilities; Truth isn't.”



The Girl with the Dragon Tattoo প্রথমে দেখেছিলাম ২০১০ সালের শেষের দিকে...সুইডিশ ভার্সনটা। সিনেমাটা দেখার আগে জানতাম না সিনেমাটা মূলত একই নামের একটি বইয়ের adaptation এ তৈরি হয়েছে যা আন্তর্জাতিকভাবে বেস্টসেলার!!! :( সিনেমা দেখার কিছুদিন পরে বইটার ব্যাপারে জ্ঞাত হয়েছি ! তো যাই হোক, প্রথমে যখন সিনেমাটা দেখেছিলাম subtitle না থাকার দরুণ সিনেমাটার অর্ধেকের বেশির ভাগ বুঝতে পারিনি... এবং দেখে অত্যন্ত রাগ হয়েছিল... কি আজব মার্কা সিনেমা... গোটা সিনেমার কাহিনী এই আর নাম “Dragon Tattoo”…পাগল না এদের মাথা খারাপ !!! :|| :|| আর সিনেমার মুখ্য চরিত্র কিভাবে একটা ছিটে মাতাল পাগলাটে স্বভাবের মেয়ে হতে পারে এটা একটা বিরাট প্রশ্ন ছিল ! 8-| না তার Glamorous চেহারা আছে, না তার কথাবার্তার আদব কায়েদা আছে, কিছুই নাই... How could this movie is being named upon and themed over “ this bizarre girl” যার জীবন যাত্রা পর্যন্ত স্বাভাবিক নয়! সিনেমাটা প্রথমে দেখে shift+delete করে দিয়েছিলাম...। :-< আমার পরিষ্কার মনে আছে...Lisbeth Salander নামের চরিত্র কে সেই সময়ে অত্যন্ত অপছন্দ হয়েছিল এক কথায় বলতে গেলে! :-P :-P এরপর এর দ্বিতীয় কিস্তি The Girl who played with fire বহুদিন পর দেখি...লিসবেথের জীবনের ঘটনার কিয়দংশ যা এবং তৃতীয় কিস্তি The Girl who kicked the Hornet’s Nest… যা দিয়ে লিসবেথের জীবনের ঘটনা মোটামুটি ভাবে শেষ হয়... শেষ হয়েও হইল না শেষের মত! Millennium trilogy পুরোটা শেষ করার পর Lisbeth চরিত্রটার প্রতি একটা অন্য ধরণের ভালো লাগা জন্মায়...পাগলাটে কিন্তু উপস্থিত বুদ্ধির কমতি নেই, জীবন যাত্রা complex কিন্তু জীবনের প্রতি তার কোন আক্ষেপ নেই...সে তার মত বাঁচতে পছন্দ করে, নিজের নিয়মে চলতে পছন্দ করে, অস্বাভাবিক নিয়মে হলেও সে তার জীবনের রাস্তা নিজেই আঁকতে পছন্দ করে। :-B Lisbeth Salander এর নিজেরই একটি স্বতন্ত্র ভাব রয়েছে... যা তাকে আর দশটা চরিত্র থেকে পার্থক্য করে দেয়। আজকের ব্লগ এই মিলেনিয়াম সিরিজ, তার চরিত্র লিসবেথ, লিসবেথের চরিত্রের পিছনের ঘটনা এবং স্টিগ লারসনের মিলেনিয়াম সিরিজ রচনার নেপথ্যের কাহিনী নিয়ে। তবে প্রথমে Millennium trilogy র তিনটি গল্পেরই সারমর্ম অল্প করে আলোচনা করে নিব। :-B :-B :-B :-B







The Girl with the Dragon Tattoo:





মিলেনিয়াম সিরিজের প্রথম উপন্যাস এবং উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা “Mȧn som hatar kvinnor” যার ইংরেজি অনুবাদ করলে দাঁড়ায় আসলে “ Man who hates woman”… আমেরিকা এবং ইংল্যান্ডে এটি কিন্তু “The Girl with the Dragon Tattoo” নামেই পরিচিতি পায়। সুইডিশ থ্রিলার ঘরানার এই উপন্যাস অবলম্বনে একই নামের সিনেমাটি ২০০৯ সালে রিলিজ পায়। এই উপন্যাসটির গল্প আবর্তিত হয় Mikael Blomkvist এবং Lisbeth Salander কে ঘিরে। ২০০২ সালের ডিসেম্বর মাস, Mikael Blomkvist একটি সুইডিশ ম্যাগাজিন “Millennium ” এর সম্পাদক। একটি ভুয়া খবর প্রকাশের কেসে দণ্ডপ্রাপ্ত হয়... এর ফলে তার ৩ মাসের জেল এবং একটি মোটা অঙ্কের জরিমানা হয়। অপরদিকে, Mikael Blomkvist সম্পর্কে তথ্য যোগাড় করতে থাকে Lisbeth Salander নামের একজন computer hacker যে Milton Security Agency তে কর্মরত। তার কাছ থেকে Mikael Blomkvist এর ব্যাক্তিগত এবং বৈষয়িক তথ্যগুলো সংগ্রহ করে একজন আইনজীবী এবং Henrik Vanger নামের একজন সম্পদশালী ব্যাক্তিকে তথ্যগুলো দেয়...। Henrik Vanger, Mikael Blomkvist কে তার বাসাতে ডেকে পাঠায় এবং ৪০ বছর আগের একটি unsolved mystery র রহস্য উন্মোচনের দায়িত্ব দেয়... ৪০ বছর আগে তার ভাতিজি Harriet Vanger একদিন হঠাৎ করে নিখোঁজ হয়ে যায় Children’s day তে...। পুলিশ তাকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে মৃত ঘোষণা করলেও Henrik মনে করে Harriet এর নিখোঁজ হওয়াটা স্বাভাবিক কিছু নয় এবং Harriet তাকে যেমন তার জন্মদিনে ফুলের একটি করে artifact দিত... ৪০ বছর ধরে সেরকম Henrik তার জন্মদিনে একটি করে ফুলের artifact বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা পোস্টের মাধ্যমে পায়...। Harriet এর নিখোঁজের পিছনে দায়ী রয়েছে Vanger পরিবারের কেউ Henrik এটাও জানায়। Mikael Blomkvist কেসটির দায়িত্ব নেয়। অপরদিকে Lisbeth Salander এর অতীতের কিছু অসংলঘ্ন ঘটনার কারণে তার দায়িত্ব ন্যস্ত থাকে state এর উপর... state তার Guardian হিসেবে নিয়োগ দেয় Nils Bjurman কে তার পূর্বের Guardian স্ট্রোক করার দরুণ। Nils Bjurman, Lisbeth কে তার আনুষঙ্গিক খরচ দাওয়ার বিনিময়ে তার বিকারগ্রস্ত প্রবৃত্তির শিকার বানায়...। Lisbeth Salander একসময় নিজের উপর সকল প্রকার abuse এর প্রতিশোধও নেয়। এদিকে Harriet এর কেস জটিল থেকে জটিলতর পর্যায়ে যেতে থাকে... Mikael Blomkvist এর কম্পিউটার এর যাবতীয় জিনিস পর্যবেক্ষণ করতে থাকে Lisbeth Salander নিজের খেয়াল বশতই এবং কেসটির মোক্ষম একটি ক্লু Mikael Blomkvist কে সেই ব্যাখ্যা করে দেয়। কেন নিখোঁজ হয় Harriet? Harriet এর নিখোঁজের রহস্যের আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে আর কোন রহস্য? Mikael Blomkvist আর Lisbeth Salander যৌথ উদ্যোগে কেসটিকে কিভাবে সমাধান করে? প্রত্যেক মুহূর্তে নতুন নতুন প্যাঁচ আছে এই গল্পটিতে। শেষে গিয়ে as usual স্ক্যান্ডিনেভিয়ান style এর ধাক্কা দেয় ! :P :P



The Girl with the Dragon Tattoo র বইয়ের প্রচ্ছদ--







The Girl with the Dragon Tattoo র সুইডিশ মুভির পোস্টার--







The Girl who played with Fire:



দ্বিতীয় এই কিস্তির গল্প মূলত Lisbeth Salander কে ঘিরে। এই উপন্যাসের চলচ্চিত্ররূপও রিলিজ পায় ২০০৯ সালে। এই উপন্যাসের সুইডিশ ভার্সনটির নাম “ Flickan som lekte med elden”. এই গল্পে Lisbeth সুদীর্ঘ ১ বছর দেশের বাইরে থাকার পর পুনরায় সুইডেনে ফিরে আসে এবং দেশে ফিরে সে তার Guardian, Nils Bjurman এর কাছে যায়। Lisbeth তাকে বন্দুক তাক করে শাসিয়ে আসে, Bjurman যেন তার সম্পর্কে ভালো রিপোর্ট লেখে যার ফলে Lisbeth নিজে স্বতন্ত্র হতে পারে...আর অন্যথায় হলে সে Bjurman এর অপকর্ম জনসম্মুখে নিয়ে আসবে বলে ভয়ও দেখায়। এদিকে তরুণ সাংবাদিক Dag Svensson মিলেনিয়াম ম্যাগাজিনের নতুন সদস্য হিসেবে যোগ দেয় এবং সে মিলেনিয়াম ম্যাগাজিনের অন্যান্য সদস্যদের বলে সে সুইডেনের Sex trafficking এবং prostitution নিয়ে এমন একটি খবর প্রকাশ করতে চায় যা সুইডেনের উচ্চ পর্যায়ের মানুষ থেকে ক্ষমতাধর অনেকের সাথেই সম্পর্কিত... Dag এর girlfriend Mia Bergman ফেলোশিপের সময় এই বিষয়টিকে বেছে নেওয়াতে অনেক লুক্কায়িত সত্যের হদিশ বের হয়ে আসে। মিলেনিয়াম ম্যাগাজিন এই sex trafficking এর বিষয়টিকে তাদের পরবর্তী এডিশন হিসেবে বেছে নেয়। এই ঘটনার দিন দুয়েক পর Dag, Mia এবং Nils Bjurman খুন হয়... এবং পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে Lisbeth Salander এর আঙ্গুলের ছাপ পায় Nils Bjurman এর বন্দুকে! রাতারাতি Lisbeth Salander তিনটা খুনের আসামী হয়ে যায়। অপরদিকে তার অতীতের কালো ছায়া আবার তার পিছু নিতে থাকে। কে করে খুন গুলো? Lisbeth এর অতীতের সেই লুক্কায়িত রহস্য কি, যা তাকে দিন রাত তাড়া করে নিয়ে বেড়ায়? The girl who played with fire, Lisbeth Salander এর জীবনের সেই লুক্কায়িত অংশের গল্পের কিয়দংশ!



The Girl who played with Fire র বইয়ের প্রচ্ছদ--









The Girl who played with Fire র সুইডিশ মুভির পোস্টার---











The girl who kicked the Hornet’s nest:





মিলেনিয়াম সিরিজের তৃতীয় এই বইটির সুইডিশ নাম “Luftslottet som Sprängdes” যার ইংরেজিতে আক্ষরিক অনুবাদ হলে এমন দাঁড়াত “The air castle that was blown up”. কিন্তু আবারও আমেরিকা, কানাডা প্রভৃতি দেশে এটি পরিচিতি পায় “The girl who kicked the hornet’s nest” নামে। এই বইটি অবলম্বনে সিনেমাটিও বেরিয়েছিল ২০০৯ সালে। The girl who played with fire এর কাহিনী যেখানে শেষ হয়... The girl who kicked the Hornet’s nest এর কাহিনীর উৎসস্থল সেখানে।The girl who played with fire এর কাহিনীতে শেষে Lisbeth Salander অত্যন্ত দুর্বিষহভাবে আহত হয় এবং তাকে Gothenberg হাসপাতালে ভর্তি করা হয়...তিনটি গুলি খেয়ে আহত Lisbeth এর উপর এদিকে পূর্বের তিনটির সাথে নতুন একটি খুনের চেষ্টার মামলা আরোপ করা হয়... নতুন যে ব্যাক্তিটির মামলা যোগ হয় তার নাম Zala. এর পরিচয় The girl who played with fire এ রয়েছে... বিস্তারিত বললে সিনেমা দেখার image নষ্ট হয়ে যেতে পারে “spoiler” হিসেবে ! Lisbeth এর সাথে সাক্ষাতের অনুমতি থাকে শুধুমাত্র তার আইনজীবী Annika Giannini র। তার ডাক্তার এই বাদে আর কাউকে Lisbeth এর সাথে সাক্ষাতও করতে দেয় না। এর মধ্যে “Section” নামের একটি গুপ্ত গ্রুপ সচল হয়ে উঠতে থাকে যারা বাস্তবিক পক্ষে সুইডেনের security group এর প্রাক্তন সদস্য ছিল এবং কিছু কিছু বিভিন্ন শ্রেণীর উচ্চ পর্যায়ের লোক। এরা Zala এবং Lisbeth কে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করতে থাকে... কিন্তু কেন? কি কারণে Lisbeth Salander এবং Zala কে তারা তাদের পথ থেকে সরিয়ে দিতে ব্যাকুল হয়ে যায়? অতীতের কোন ঘটনার সাথে কি যোগসূত্র রয়েছে বর্তমানের কোন সম্পর্কের? এই কিস্তিতে সব সত্যের উন্মোচন ঘটে.....এবং Lisbeth এর শেষ পর্যন্ত কি হয় জানতে হলে দেখতে হবে বা পড়তে হবে The girl who kicked the Hornet’s nest !



The girl who kicked the Hornet’s nest র বইয়ের প্রচ্ছদ--









The girl who kicked the Hornet’s nest র সুইডিশ মুভির পোস্টার---









স্টিগ লারসনের মিলেনিয়াম সিরিজ রচনার নেপথ্যের কাহিনী :



স্টিগ লারসন প্রকৃতপক্ষে একজন সাংবাদিক ছিলেন ঠিক Mikael Blomkvist এর মত। তার লেখা “Millennium trilogy” এমন একটি ক্রাইম ঘরানার উপন্যাস যা তাকে শুধু বিখ্যাতই করেনি তাকে একটি অন্য অবস্থানে নিয়ে গেছে লেখক হিসেবে। ২০০৮ সালে তিনি বেস্টসেলার লেখকদের মধ্যে দ্বিতীয় ছিলেন পুরো বিশ্বে। যে মিলেনিয়াম ত্রয়ী উপন্যাস তাকে এত বিখ্যাত বানিয়েছিল তার নেপথ্যের ঘটনা অনেক বেশি pathetic ছিল তা কি জানেন? যদি বলি লারসনের Lisbeth বাস্তবে ছিল তাহলে??? লারসনের জীবনের এক অত্যন্ত কঠিন সত্যের বহিঃপ্রকাশ... “Millennium trilogy”. লারসন যখন ১৫ বছর বয়সী ছিলেন, তখন তিনি একটি গণধর্ষণের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন...এবং সেই ঘটনাটি ঘটিয়েছিল লারসনের কিছু বন্ধু। লারসন সেই ঘটনার সঠিক সময়ে প্রতিবাদ করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন এবং পরে অনুশোচনার বশীভূত হয়ে তিনি ধর্ষণের শিকার মেয়েটির কাছে ক্ষমাপ্রার্থী হিসেবেও যান... কিন্তু মেয়েটি তাকে ক্ষমা করেছিলেন না। এই ঘটনার পর থেকে লারসনের অনুশোচনা আরও বাড়তে থাকে এবং সে মেয়েদের উপর নিপীড়ন, নির্যাতনের বিরুদ্ধে একটা দৃঢ় অবস্থান নেয়ার চিন্তা করেন... এবং তার সাংবাদিক জীবনে সে এসবের বিরুদ্ধে অনেক বেশি প্রতিবাদ করে গেছেন। লারসন কোনোদিন নিজেকে ক্ষমা করতে পারেননি তার ১৫ বছরের প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সেই ভুলের...তার অপরাধবোধ তাকে কখনও ক্ষান্ত দিয়েছিল না...। /:)Millennium trilogy র ব্যাপারে তার দীর্ঘ দিনের girlfriend Eva Gabrielsson বলেছেন, “ Everything of this nature described in Millennium trilogy has happened at one time or another to a Swedish Citizen, journalist, politician, public prosecutor, unionist or policeman… Nothing was made up”. লারসন মিলেনিয়াম সিরিজের বইগুলোতে সুইডেনের এক বাস্তব গুপ্ত সামাজিক চিত্র তুলে ধরেছেন ! অপরদিকে লারসনের সৃষ্ট “Millennium” ম্যাগাজিন এবং তার কর্মক্ষেত্র “Expo” র মধ্যে অনেক বেশি সাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয়... আর feminist হিসেবে সে তার Lisbeth কে সাজিয়েছিল অন্য ভাবে...অসহায় চরিত্রে নয়...। সমাজের হাজার বিগ্রহ সহ্য করার পরেও যেন সে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারে, লারসন তার Lisbeth কে এভাবেই সৃষ্টি করেছিলেন...লারসন সৃষ্ট Lisbeth ও ধর্ষণের শিকার হয়েছিল কিন্তু লারসন তার চরিত্রটিকে আগে থেকেই হয়ত শিখিয়ে দিয়েছিল “ নিজের প্রতিবাদ নিজেই করবে তুমি, সমাজকে আমার মত শুধু প্রত্যক্ষদর্শী হওয়ার সুযোগ দিবে না Lisbeth....একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনায় নিজের জীবন শেষ করে দিবে না তুমি, নিজের মত করে বাঁচবে” ! Lisbeth এর পাগলাটে এবং daring চরিত্রটিকে রূপায়িত করেছিলেন তিনি দুইটি চরিত্রের সংমিশ্রণে...Astrid Lindgren এর বাচ্চাদের গল্পের চরিত্র “Pippi Longstocking” এবং ৭০ দশকের Peter O’Donnell’s এর ব্রিটিশ কমিক চরিত্র “Modesty Blaise” . আর Mikael Blomkvist কে অনেক সময় তিনি “Kalle Blomkvist” বলেছেন যে চরিত্রটিও আসলে Lindgren এর একটি detective চরিত্র। অপরদিকে The girl who played with fire এর সাদা চুলের দানব আকৃতির ব্যাথাহীন, অনুভূতিহীন মানুষ Ronald Niedermann এর সাথে “Modesty Blaise” এর Simon Delicata র সাদৃশ্য রয়েছে...! সবশেষে বলব, যদি কেউ “Peter O’Donnell’s এর ব্রিটিশ কমিক চরিত্র "Modesty Blaise" । “Millennium trilogy” পুরোটা না দেখে থাকেন দেখে ফেলুন বা পড়ে ফেলুন...আর সিনেমা যদি দেখেন অবশ্যই সুইডিশ ভার্সনটা দেখবেন... US এর টা অনেকে অনেক ভালো বললেও বাস্তব এটাই সুইডিশটার ধারে পাশেও যায়নি সেটা….!!



Stieg Larsson এবং Eva Gabrielsson---







Astrid Lindgren এর বাচ্চাদের গল্পের চরিত্র “Pippi Longstocking”---







Peter O’Donnell’s এর ব্রিটিশ কমিক চরিত্র “Modesty Blaise”--











**** এই লেখা সম্পূর্ণ রূপে আমার… পূর্বের কোন লেখার সাথে মিলে গেলে তা একান্তই co-incidence….no resemblance. আশা করি পোস্টটি ভালো লাগবে ! !:#P !:#P !:#P







মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:০২

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: সুইডিশ নির্মাতা ইংমার বার্গম্যান এর মুভি দেখতে পারেন । আমার সুইডিশ চলচ্চিত্র দেখা শুরু এই নির্মাতার ছবি দিয়ে । :)

পোস্টের জন্যে শুভেচ্ছা :)

১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৯

রিকি বলেছেন: না ভাই বার্গম্যান এর মুভি দেখা হয়নি এখনও। তবে দেখব সামনে আশা রাখি =p~ =p~ =p~ =p~

২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:১৭

আরজু পনি বলেছেন:


সে তার মত বাঁচতে পছন্দ করে, নিজের নিয়মে চলতে পছন্দ করে, অস্বাভাবিক নিয়মে হলেও সে তার জীবনের রাস্তা নিজেই আঁকতে পছন্দ করে। :D

------
অফটপিকে কথা বলার জন্যে দুঃখিত।

http://www.somewhereinblog.net/blog/Ricks007/30007939 এই পোস্টে একটা মন্তব্য করেছি দেখলে ভালো হতো ।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০০

রিকি বলেছেন: লিসবেথ চরিত্রটাকে আপু এক কথায় প্রথমে আমার পাগল মনে হয়েছিল....!!! #:-S #:-S #:-S কিন্তু প্রত্যেকের যদি অদ্ভুত আচরণের, স্বভাবের background কারণগুলো আমরা বিচার করে দেখি.... লিসবেথের ক্ষেত্রে হয়ত পাগলামিটাই স্বাভাবিক !!! She has gone through a lot, suffered a lot.... what else she can do...এই চিন্তাটা একটু দেরিতে হলেও লিসবেথ চরিত্রটাকে দেখে আসবে ! কিছু কিছু মানুষ weird হতে চায় না... কিন্তু পারিপার্শ্বিকতা তাকে সেই অবস্থানে নিয়েই যায় !! এই পোস্টটা তাই এই weird মার্কা একটা চরিত্র লিসবেথকে dedicate করে লেখা... B:-/ B:-/ B:-/ B:-/ আপু যে লিংকটা দিলেন ঐটাতে কমেন্ট করেছি। !:#P !:#P !:#P

৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৯

জেন রসি বলেছেন: সুইডিশ এবং আমেরিকান দুই ভার্সনই দেখছি। :)

তবে সুইডিশটা বেশী মজা লাগছে কারন আমেরিকানটা দেখার সময় কাহিনী জানতাম!!!

স্টিগ লারসনের মিলেনিয়াম সিরিজ রচনার নেপথ্যের কাহিনী জানা ছিল না।

এখন জানলাম :)

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৫

রিকি বলেছেন: ভাই আমার এই পোস্ট পুরাই মাঠে মারা পড়েছে !!!! :(( :(( :(( :(( মানুষ হয়ত ভেবেছে আমি রিভিউ লিখেছি--- কিন্তু তা তো না এটা নেপথ্যের কাহিনী !!! :( :( আমিও দুইটাই দেখেছি--- সুইডিশটাই বেস্ট লেগেছে :) :) :) :) রুনি মারাকে ভালো লাগেনি লিসবেথের চরিত্রে !!!! কঙ্কাল :-P :-P :-P :-P :-P :-P

৪| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৪৯

সর্ট সার্কিট বলেছেন: ইউটিউবে প্রথম যখন এর সুইডিশ ট্রেলার-টা দেখি সাবটাইটেল না থাকায় কিছুই বুঝি নাই, আর পাঙ্ক মেয়েটাকে দেখে তো আর দেখার আগ্রহই জাগে নাই X( ....... এর প্রথম দুইটা বই-এর বাংলা ইবুক আমার কাছে ডাউনলোড করা আছে...একদিন ব্লগে হ্যাকিং রিলেটেড মুভি লিস্ট দেখতে গিয়ে দেখলাম এর নাম..........সিদ্ধান্ত নিলাম আগে পড়ব তারপর দেখবো, পড়ে তো দেখি পুরা্ই মাথা নষ্ঠ বই :-B , অসাধারণ বললে কম বলা হবে, আর তারপর দেখা হলো। ড্যানিয়েল ক্রেগ থাকায় আমেরিকান ভার্সনটা দেখেছিলাম আর বুঝলাম বই-এর গল্পটাকে কেটে অর্ধেক করে ফেলছে........পরে দেখা হলো মুভিগুলোর সুইডিশ ভার্সন, এই গুলোই বেস্ট। আর লিসবেথ "দ্য পাঙ্ক" !!!! ওওওওওওও্সামমমমমমমম................

আপনার লেখাটা ভালো হইছে। আসলে গত কয়েকদিন ধরে ভাবছিলাম আমি এইটা নিয়ে একটা লেখা লিখবো, কিন্তু সার্চ দিতে গিয়েই দেখি আপনি অলরেডী লিখে ফেলছেন...... :(

১০ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:১২

রিকি বলেছেন: ভাই আর বলতে--- আপনার মত আমিও লিসবেথ "দ্য পাঙ্ক" এর চরিত্রটা দেখে মুগ্ধ, সে আর দশটা প্যানপানানি চরিত্রের মত নয়, তার কাহিনী কল্পনা নয়--- অনেক অনেক ভয়ঙ্কর বাস্তব। প্রথমে যখন দ্য গার্ল উইথ দ্য ড্রাগন ট্যাটু দেখেছিলাম, আমার ওকে দেখে চরম চরম রাগ হয়েছিল। যা আমি পোস্টেও উল্লেখ করেছি--- কিন্তু বিশ্বাস করেন, পরের দুইটা পার্ট দেখে যখন আবার প্রথমটা দেখি, চরিত্রটা অনেক কিছু অনুভব করায় নিজে উটকো মার্কা হওয়ার পরেও।

তাই ভেবেছিলাম, এই লিসবেথের অন্য একটা সত্ত্বা, তার নেপথ্যের ব্যাপারগুলো নিয়ে লেখা খুব খুব দরকার---যে ভাবা সেই কাজ, লিখে ফেলেছি সময়ক্ষেপণ না করেই। অনেক অনেককককককক ধন্যবাদ ভাই, মন্তব্য এবং মতামত শেয়ারের জন্য। :) :)

৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:০০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আমিও এটাই ভাবছিলাম ড্রাগন ট্যাটু পড়ে। মিকাইল না প্রধান চরিত্র তবে এই হিপি কেন আসল শিরোনামে। পরের পার্টগুলো যে লিসবেথকে নিয়েই এটা জানতাম না।
অসাধারণ একটা বই। মিকাইল চরিত্রটা ভাল লেগেছে খুব। এটা বুঝতে পারছি পরের পার্টগুলোতে নেই, থাকলঘ কেমন হতো জানি না। তবে যদি পড়ি পরের পার্টদুটো মিকাইলকে মিস করবো খুব।
পোস্টটা সুন্দর

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪০

রিকি বলেছেন: :) ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.