নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছোটো প্রাণ,ছোটো ব্যথা >ছোটো ছোটো দুঃখকথা >নিতান্তই সহজ সরল >সহস্র বিস্মৃতিরাশি প্রত্যহ যেতেছে ভাসি>তারি দু-চারিটি অশ্রুজল>নাহি বর্ণনার ছটা ঘটনার ঘনঘটা> নাহি তত্ত্ব নাহি উপদেশ> অন্তরে অতৃপ্তি রবে সাঙ্গ করি মনে হবে>শেষ হয়ে হইল না শেষ

রিকি

কাছে আছে দেখিতে না পাও, তুমি কাহার সন্ধানে দূরে যাও। মনের মতো কারে খুঁজে মর, সে কি আছে ভুবনে, সে যে রয়েছে মনে।

রিকি › বিস্তারিত পোস্টঃ

The Thief 1997 (Original Title: Vor )- রাশিয়ান এই সিনেমাটি আশার গল্প, আশাহতের গল্প...অতঃপর কিছু সরল সম্পর্কের আড়ালে ছদ্মবেশী ভাগ্যের নির্মম পরিহাসের গল্প :( :(:( :( :( :(

১৭ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৫



“In any relationship, the essence of trust is not in its bind, but in its bond. So hold the hand of the person whom you love rather than expecting them to hold yours...”

যে কোন সম্পর্কের মূল ভিত্তিগুলোর মধ্যে বিশ্বাস বা trust একটি। এই বিশ্বাস যখন অন্ধবিশ্বাসে রূপান্তর হয়, তখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অসম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ ডেকে নিয়ে আসে। ছোট ছোট ভুল জন্ম দেয় অনেক বড় কোন সমস্যার। আজকের মুভি এরকমই সম্পর্ক এবং বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে একটি গল্প নিয়ে। বরাবরের মত সিনেমালোচনা আজকেও 'একটিমাত্র' কবিতা দিয়ে শুরু করব-


" গিরিনদী বালির মধ্যে
যাচ্ছে বেঁকে বেঁকে,
একটি ধারে স্বচ্ছ ধারায়
শীর্ণ রেখা এঁকে।
মরু-পাহাড়-দেশে
শুষ্ক বনের শেষে
ফিরেছিলেম দুই প্রহরে
দগ্ধ চরণতল।
বনের মধ্যে পেয়েছিলেম
একটি আঙুর ফল।

রৌদ্র তখন মাথার 'পরে
পায়ের তলায় মাটি
জলের তরে কেঁদে মরে
তৃষায় ফাটি ফাটি।
পাছে ক্ষুধার ভরে
তুলি মুখের 'পরে
আকুল ঘ্রাণে নিই নি তাহার
শীতল পরিমল।
রেখেছিলেম লুকিয়ে আমার
একটি আঙুর ফল।

বেলা যখন পড়ে এল,
রৌদ্র হল রাঙা,
নিশ্বাসিয়া উঠল হু হু
ধূ ধূ বালুর ডাঙা--
থাকতে দিনের আলো
ঘরে ফেরাই ভালো,
তখন খুলে দেখনু চেয়ে
চক্ষে লয়ে জল
মুঠির মাঝে শুকিয়ে আছে
একটি আঙুর ফল।"






সাল ১৯৪৬...সদ্য বিধবা হওয়া অন্তঃসত্ত্বা Katya তার আত্মীয়ের বাসায় যাওয়ার জন্য অগ্রসর হয়... পথমধ্যে তার প্রসব যন্ত্রণা উঠে এবং তার সন্তান Sanya পথেই ভূমিষ্ঠ হয়... Sanya র বাবা মিলিটারিতে কর্মরত অবস্থায় যুদ্ধে অংশ নেয়, কিন্তু যুদ্ধ থেকে ফেরে গুরুতর আহত হয়ে এবং বেশ কিছুদিন পর সে মারা যায় জীবনযুদ্ধে হার মেনে। Sanya র বাবা যখন মারা যায়, তখন গর্ভজাত অবস্থায় তার বয়স ছিল মাত্র ছয় মাস। এরপরের ঘটনা দেখায়, ছয় বছর পর অর্থাৎ ১৯৫২ সালের। একদিন Sanya এবং তার মা Katya ট্রেনে করে অজানা গন্তব্যের পথে যাচ্ছিল... ট্রেনে তাদের দুইজনের একজন আগন্তুকের সাথে সাক্ষাত হয়...সুদর্শন, charming মিলিটারি অফিসার Tolyan এর। তাদের পরিচয়ের কিছু সময় পড়ে, ট্রেনে একজনের কিছু জিনিস খোয়া যায়... Sanya কে রেখে Katya এবং Tolyan তা দেখতে আসে... এবং Tolyan এই সময়েই Katya কে নিজের মোহাবিষ্ট করে ফেলে। এরপর Katya সিদ্ধান্ত নেয় তারা তিনজন এক সাথেই থাকবে...এবং Tolyan হবে Sanya র নতুন বাবা। কিন্তু ছোট্ট Sanya যতই তার নিজের বাবাকে কখনও স্বচক্ষে দেখুক না কেন, তার বাবাকে সে কল্পনা করে দিনে একবার হলেও, তার বাবা হাতছানি দিয়ে ডাকছে তাকে । নতুন গন্তব্যে এসে তারা একটি আশ্রয়স্থল খুঁজে নেয়, তিনজন মিলে একটি ঘর ভাগাভাগি করে তারা। এদিকে Tolyan এর বিভিন্ন হাবেভাবে Sanya র ছোট্ট মন বুঝতে পারে, তাকে সে খুব একটা ভালো চোখে দেখছে না। যে পরিবারটিতে এসে তারা আশ্রয় নেয়, সেখানকার তারই সমবয়সী একটি মেয়ের সাথে তার বন্ধুত্ব হয়ে যায়... বাবা-হারা Sanya কিছুটা অন্তর্মুখী স্বভাবের কারণে অন্যান্য বাচ্চার কাছে মার খায় এবং প্রতিবাদও করতে পারে না...। দৌড়ে আসে তার মায়ের কাছে, যদি সে তার কোন বিহিত করে দেয়। মা Katya নির্বিকার। Tolyan এর কাছে থেকে ঐ প্রথমবার সে নিজের প্রতিবাদ নিজে করতে শেখে, ছোট্ট Sanya এর পর থেকে Tolyan এর মধ্যে তার অভিভাবকের আভাস কিছুটা হলেও খুঁজে পায়। দিন যায়, কিন্তু ক্রমেই Katya র সন্দেহ বাড়তে থাকে Tolyan এর ভাব ভঙ্গীর প্রতি। সে ঘরটি ভাড়া নিয়েছিল এই বলে যে তার পাসপোর্ট এবং টাকা পয়সা মিলিটারি ক্যাম্পে পড়ে রয়েছে... সে কিছুদিনের মধ্যেই ঘর ভাড়া পরিশোধ করে দিবে। কিন্তু Katya কখনও Tolyan কে মিলিটারি ক্যাম্পে যেতেই দেখে না। এর পর থেকে Tolyan এর বিভিন্ন কাজে কর্মে সে বুঝতে পারে, সে এবং তার ছেলে Sanya কোন ভালো মানুষের অভিভাবকত্বে পড়েনি... বরং এক চোরের সঙ্গ পেয়েছে। এদিকে Sanya, Tolyan এর মধ্যে তার হারিয়ে যাওয়া বাবাকে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করে। কি হয় তাদের ভবিষ্যতের? কি ঘটে Sanya এবং তার মা Katya র সাথে? Tolyan এই দুইজন অভিভাবকহীন মানুষের জীবনে কি পরিণতি ডেকে আনে? রাশিয়ান এই সিনেমাটি অনেক সাধারণ গল্পের, কিন্তু এর presentation style অনেক বেশি মন ছুঁয়ে যায়...ছোট্ট Sanya শিশুসুলভ মনে তার বাবাকে খুঁজে ফেরে এবং এক অপরিচিত আগন্তুকের মধ্যে নিজের সেই অভিভাবকের অভাব কিছুটা লাঘব করতে পারেও...কিন্তু!!! সব কিন্তুর উত্তর ঐ যে... ভাগ্যের পরিহাসে অনেক কিছুই হাতের মুঠোয় থাকে না। সিনেমার সব থেকে বেস্ট পার্ট এর শেষ অংশ... অনেক বেশি কষ্ট পেয়েছি literally। ‘যার জন্য চুরি করলাম... সেই যে বলে চোর।’ ছোট্ট Sanya র পরিণতি মেনে নেয়া যায় না... সাথে তার মায়েরও। নীল চোখের রাশিয়ান বাচ্চাটার নিষ্পাপ দৃষ্টিতে দুনিয়ার বর্ণনা বলতে কিছু নেই...তার একটাই আবেদন “আমার নিজের বলতে কি আমার কিছুই নেই?” Pavel Chukhrai এর পরিচালনায় এই মুভিটি সম্পর্কে শুধু একটা কথায় বলব... “The story depicts the journey of hope to Sanya… the journey of trust to Katya and…the journey of hoax to Tolyan.” A beautiful movie which illustrates a mournful story in a different way.



The Thief 1997 (Original Title: Vor )


IMDB rating: 7.7/10
Genre: Drama
Cast: Vladimir Mashkov, Yekaterina Rednikova, Mikhail Filipchuk
Country of Origin: Russia
You tube link (full movie): https://www.youtube.com/watch?v=TkjhQln-Gfo





**** এই লেখা সম্পূর্ণ রূপে আমার… পূর্বের কোন লেখার সাথে মিলে গেলে তা একান্তই co-incidence….no resemblance. আশা করি পোস্টটি ভালো লাগবে ! Happy Movie Watching !:#P !:#P !:#P

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ছবিটা ইংরেজি সাবটাইটেল সহ দেখতে বসলাম... আশা করি ভালই লাগবে। রিভিউ ভালো হয়েছে।

১৭ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫০

রিকি বলেছেন: আর কোন কিছু ভাল না লাগলে ভাই ফুল গ্যারান্টি পিচ্চি Sanya মন খারাপ করে দিবেই দিবে....আমিও এই লিঙ্ক থেকেই নামিয়েছি. টরেন্টে অনেক ক্যাঁচাল করে রেখেছে..মন্তব্যে ভালো লাগা রইল. B-) B-)

২| ১৭ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: মন খারাপের কথা শুনে তো দেখতে ইচ্ছে করছে না .।
আবার চমৎকার রিভিউ পড়ে লোভ ও সামলানো জাচ্ছে না ।

১৭ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৬

রিকি বলেছেন: শেষটুকু কষ্ট লেগেছে আমার...Sanya র সাথে যা হয়. :(

৩| ১৭ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৬

দীপংকর চন্দ বলেছেন: উপস্থাপনে ভালো লাগা অনেক।

অনিঃশেষ শুভকামনা থাকছে।

ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।

১৭ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৩

রিকি বলেছেন: অনেক অনেককককক ধন্যবাদ দাদা...ভালো থাকবেন. :) :)

৪| ১৭ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৪১

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: আপনার রিভিউ চমৎকার সবসময়।


ভালো লাগা।

১৭ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:০২

রিকি বলেছেন: ভাইয়া রাজপুত্রের মন্তব্যে এত এত ভাল লাগা রইল :) :)

৫| ১৭ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:২৪

এন জে শাওন বলেছেন: কিন্তু আমার যে ছোট পোলাপাইনের কষ্ট ভাল লাগেনা তো আমি এখন কেমনে দেখুম?

১৭ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:৩২

রিকি বলেছেন: এ তো গভীর সমস্যা.... :D :D Senti হবেন এই মুভি দেখলে এটা নিশ্চিত...ছেলেটার চরিত্রটায় এমন. :( এখন ভাবিয়া সিদ্ধান্তে উপনীত হোন...কি করিবেন.

৬| ১৮ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:৪২

আলোরিকা বলেছেন: আপনার রিভিউ আসলেই খুব সুন্দর , সেই সাথে ভুমিকার কবিতা ও কোট গুলো ! রিভিউ সবসময়ই পড়া হয় কিন্তু মন্তব্য করা হয়না ..... রিভিউ পড়েই মন ভারাকান্ত হয়ে গেল ...... :(( :((

১৮ ই মে, ২০১৫ দুপুর ২:৪৬

রিকি বলেছেন: আপু শেষ মেস কেঁদেই ফেললেন :(( :(( :(( :(( :(( :((

৭| ১৮ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:০১

দীপান্বিতা বলেছেন: দেখার ইচ্ছে রইল ...

১৮ ই মে, ২০১৫ দুপুর ২:৪৮

রিকি বলেছেন: দেখেন সময় করে দিদি.... ভাল লাগবে আশা রাখছি :)

৮| ১৮ ই মে, ২০১৫ দুপুর ২:৪১

হাসান মাহবুব বলেছেন: নরমাল ড্রামা এখন আর দেখতে ভালো লাগে না। এক্সট্রিম ভায়োলেন্স এবং শক ভ্যালু সন্নিবিষ্ট কিছু মুভির রিভিউ অথবা সাজেশান দেন।

১৮ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৩:০০

রিকি বলেছেন: রাশিয়ান মুভি Idi i smotri দেখেন তাহলে হাসান ভাই--- এক্সট্রিম ভায়োলেন্স যাকে বলে এটাতে কমতি নেই। আমার আবার ইদানিং ড্রামা আর থ্রিলারে আগ্রহ বেশি হয়েছে। এক্সট্রিম ভায়োলেন্স মুভি মেলা দিন দেখিনা--- :P :P :P :P :P

৯| ১৮ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:৪২

সুমন কর বলেছেন: বরাবরের মতো চমৎকার রিভিউ। নাম মনে রাখলাম, সময় করে দেখতে হবে।

৭+।

১৯ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:২৩

রিকি বলেছেন: অনেক অনেককককক ধন্যবাদ দাদা :)

১০| ১৯ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৩:১৫

আরজু পনি বলেছেন: এই বিশ্বাস যখন অন্ধবিশ্বাসে রূপান্তর হয়, তখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অসম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ ডেকে নিয়ে আসে।...হতাশারা ঘিরে ধরতে থাকে...।

বাচ্চাটার জন্যে সিনেমাটা দেখতে ইচ্ছে করছে।
কিন্তু ইদানিং বিদেশী সিনেমা বলতে শুধু ইংরেজি ভাষাভাষী ছাড়া আর কোন ভাষার সিনেমা দেখতে আগ্রহই পাচ্ছিনা :(
সাবটাইটেল দিয়েও না :(
দেখা যাক...কী করি ।

১৯ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:৩২

রিকি বলেছেন: আপু ইউটিউবের যে লিঙ্কটা দিয়েছি সেটা ডাউনলোড করতে পারেন...ওর সাথে সাবটাইটেল embed হয়েই আছে...দেখতে অসুবিধা হয়না. আর রাশিয়ানরা বেশি বক বক করে না আপু.....ওদের অভিনয়টাই মুখ্য. :D

১১| ১৯ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:২৮

দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: সুন্দর রিভিউ। ডাউনলোড করছি মুভিটা। ঔ

১৯ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:৩৫

রিকি বলেছেন: ভাই দেখে জানাবেন কেমন লাগল :)

১২| ১৯ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:৪৩

দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: অবশ্যই জানাবো। বাই দ্য ওয়ে, আগের কমেন্টের "ঔ" টা ভুলে গেছে। সরি।

২০ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:০২

রিকি বলেছেন: সামু বিভ্রাট ভাই--- ব্যাপার না। আমার তো এক জায়গায় দুইটা কমেন্ট পড়েছে :P

১৩| ২৭ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৫:০০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ছবিটা তিন/চার দিন আগে দেখলাম, অসাম মুভি। আর পিচ্চি Sanya'র অভিনয় সেইরাম। ধন্যবাদ এই মুভিটির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য। :)

২৭ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:১০

রিকি বলেছেন: ভাই আপনার মুভিটা ভালো লেগেছে শুনে অনেক অনেক ভালো লাগল। :D :D:D:D:D

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.