নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছোটো প্রাণ,ছোটো ব্যথা >ছোটো ছোটো দুঃখকথা >নিতান্তই সহজ সরল >সহস্র বিস্মৃতিরাশি প্রত্যহ যেতেছে ভাসি>তারি দু-চারিটি অশ্রুজল>নাহি বর্ণনার ছটা ঘটনার ঘনঘটা> নাহি তত্ত্ব নাহি উপদেশ> অন্তরে অতৃপ্তি রবে সাঙ্গ করি মনে হবে>শেষ হয়ে হইল না শেষ

রিকি

কাছে আছে দেখিতে না পাও, তুমি কাহার সন্ধানে দূরে যাও। মনের মতো কারে খুঁজে মর, সে কি আছে ভুবনে, সে যে রয়েছে মনে।

রিকি › বিস্তারিত পোস্টঃ

এ ট্রিবিউট টু মাই ‘ফ্রেন্ড’--- বন্ধু দিবসে ‘বন্ধুত্বের’ অমূল্য সম্পর্কটি নিয়ে আমার অন্যতম পছন্দের দুইটি সিনেমা

০২ রা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৩৬



“There are some people in life that make you laugh a little louder, smile a little bigger, and live just a little bit better.”

বন্ধু... মানব সম্পর্কের এক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই বন্ধু অনেক রূপে আসে, অনেক ধরণে আসে... কেউ সুসময়ের মাছি হয়, কেউ দুঃসময়ের ভেলা, আবার কেউ সবসময়ের সঙ্গী। এই সম্পর্ক একটা আলাদা সম্পর্ক নয় বরং সব সম্পর্কের মিলিত রূপ--- বাবার মত শাসন, মায়ের মত যত্নশীল, ভাইয়ের মত দায়বদ্ধতা, বোনের মত খুনসুটির সম্পর্ক, প্রেমিক প্রেমিকার মত পাগলাটে আত্মিক সম্পর্ক কোনটা নাই এতে...... A versatile relation. বন্ধু নিয়ে সিনেমা কোনটা কোনটা আছে বলতে বললে অনেকে উল্লেখ করবে...My Best Friend’s Wedding, Dumb and dumber, Dil Chahta Hain, 3 Idiots, Hangover এরকম ধরণের আরও কয়েকটা। এর বাইরেও কিন্তু কিছু সিনেমা আছে যেগুলোর কথা খুব কম উল্লেখিত হয়...বন্ধুত্বের এক অন্য দিক হয়ত উন্মোচন করে যেগুলো। সেই কম উল্লেখিত সিনেমাগুলোর মধ্যে আমার দুইটি অত্যন্ত প্রিয় সিনেমা আজকে বন্ধু দিবসে ‘বন্ধু’ সম্পর্কটিকে উৎসর্গ করে পোস্টের বিষয় হিসেবে উল্লেখ করলাম।


প্রথম মুভি :


“If you live to be a hundred, I want to live to be a hundred minus one day so I never have to live without you.”





দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপট...আট বছর বয়সী Bruno, Berlin এ তার পরিবারের সাথে সুখেই বসবাস করছিল। তার বাবা Nazi বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। বাবার আরও এক ধাপ পদন্নোতি হলে তাদের Berlin ছেড়ে গ্রাম্য পরিবেশে দ্বারস্থ হতে হয় । Bruno, তার মা Elsa, তার বড় বোন Gretel সবাই নির্জন এক পরিবেশের বাড়িতে এসে বসবাস শুরু করে। শহরের পরিবেশ, নিজের স্কুল, খেলার সাথী ছেড়ে এসে Bruno এখানে নিজেকে অনেক বেশি একা হিসেবে পায়। যে ছেলে খেলে বেড়াতে, নিজের মত ঘুরতে ফিরতে ভালবাসত তার উপর নিয়ম এবং কড়া শাসনের প্রতিবন্ধকতা চাপিয়ে দেয়া হয়। Bruno এবং তার বড় বোনের জন্য বাড়িতেই গৃহশিক্ষক নিয়োগ করা হয় যেন শহর থেকে চলে আসলেও তাদের পড়াশোনার কোন ক্ষতি না হয়। Gretel এর পড়াতে মন বসলেও Bruno র এসব কিছুতে মন বসে না...Explorer হতে চায় যে সে, ঘুরে বেড়াতে চায় নিজের মত করে সব জায়গায়। Bruno র এই বাড়িতে সে কিছু লোককে নিজেদের চাকর হিসেবে দেখে, যারা একই ধরণের stripe দাগ দাগ পোশাক পড়ে ঘুরে, তাদের একজনের সাথে তার সম্পর্কও অনেক সুন্দরভাবে গড়ে উঠে যার নাম Pavel…সে জানায় সে ইহুদী। কৌতূহলবশত তাকে তার সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করলে Bruno এও জানতে পারে সে পূর্বে একজন ডাক্তার ছিল..। অপরদিকে Bruno র শিক্ষকের ইহুদী বিরোধী চিন্তার সাথে তার বড় বোন প্রভাবিত হলেও, সে তার কথার সাথে মিলিয়ে মানুষগুলোর কোন খারাপ দিক খুঁজে পায়না। Bruno র উপর তাদের বাড়ির পিছনের বাগানে খেলার প্রতি নিষেধাজ্ঞা থাকে। কিন্তু Bruno সেদিকে একদিন ধোঁয়া উঠার চিহ্ন দেখতে পায়। কৌতূহলী ছোট্ট মন একদিন সিদ্ধান্ত নেয় বাগান পার হয়ে ওদিকে কি রয়েছে দেখতে যাবে । সবার অলক্ষ্যে এক দুপুরে সে বাগান পারও হয় এবং একটি কাঁটা তারের বেড়ার কাছে গিয়ে পড়ে। সেখানে সে দেখা পায় Pavel এর মত অবস্থাপন্ন আরও কিছু মানুষের এবং সাথে তার সমবয়সী একটি ছেলের...নাম Shmuel…সে দেখে ছেলেটি তার বয়সী হলেও, জীবন ধারণের পদ্ধতির সাথে তাদের কোনভাবেই মিল নেই... Shmuel বন্দী সেখানে। তার বাবার সাথে বন্দি বানানো হয়েছিল তাকে... যদিও বেশ কিছুদিন ধরে সে তার বাবার সন্ধান জানে না। Shmuel এর দোষ সে ইহুদীর সন্তান...Bruno র সরল মন বিশ্বাস করে Pavel, Shmuel এরা সবাই strip পোশাক ধারী তাদের মতই মানুষ, কিন্তু কেন জানি তাদের জীবন ধারণের এরকম অদ্ভুত ধরণ সে বুঝে উঠতে পারে না। এদিকে Shmuel ভাবে সে এখানে কিছুদিনের জন্য বন্দি... একদিন না একদিন সে এখান থেকে মুক্তি পাবে তার বাবা সহ, স্বাধীনতার স্বাদ পাবে আবারও নতুনভাবে। Shmuel এর সাথে Bruno র সখ্যতা গড়ে উঠে এবং এভাবে কাঁটা তারের বেড়ার দুই দিকের দুই ভিন্ন পরিবেশের দুইটি শিশুর সরল বন্ধুত্ব এক অন্য দৃষ্টান্ত রূপে থেকে যায়। কি হয় শেষ পর্যন্ত তাদের সাথে? Bruno আর Shmuel এর বন্ধুত্ব কোন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়ায়? মনকে ছুঁয়ে যাওয়া এই সিনেমাটি আইরিশ লেখক John Boyne এর ‘The Boy in the Striped Pyjamas’ অবলম্বনে নির্মিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা দুইটি ছোট্ট ছেলের দৃষ্টি দিয়ে অদ্ভুতভাবে ফুটিয়ে তুলেছে লেখক এবং সেই সাথে এর চিত্ররূপ সিনেমাটাও। এর বিশেষ দিক, সম্পর্কের মূল্যবোধ। বয়স গেলে আমরা মনে করি যে, স্বার্থ ছাড়া সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়া নিরর্থক... কিন্তু এই The Boys in the Striped Pyjamas দেখে একটা জিনিস সহজেই বোঝা যায় পৃথিবীতে সব সম্পর্কের আড়ালে কারণ থাকে না বরং টান থাকে এবং সম্পর্কটার প্রতি অনেক বেশি দায়বদ্ধতাও থাকে--- Bruno এবং Shmuel এর এই গল্পটা যেমন। তাদের জীবনের মিল নেই, পরিবেশের মিল নেই, তাদের অবস্থারও মিল নেই... কিন্তু মিল এক জায়গায়... নিঃস্বার্থ এক সম্পর্কে... যার নাম বন্ধুত্ব। এই সিনেমা এমন একটা সিনেমা... যে বয়সী মানুষ, যতবারই দেখবে তার মনে একটা চাপা কষ্টের সৃষ্টি হবে......গল্পটার সার্থকতায় এমন। আগেও বলেছি, কিছু কিছু সিনেমা দেখার বাইরেও একটা অনুভূতির বড় অংশ হয়ে দাঁড়ায়, অন্য ধরণের একটা আবেশে আঁকড়ে ধরে রাখে মেলা সময়...এই সিনেমাটি এমন ধরণের প্রকৃষ্ট উদাহরণ। জীবনের গল্প, ভাতৃত্বের গল্প, বন্ধুত্বের গল্প... সব শেষে এক চাপা কষ্টের গল্প এই ‘The Boy in the Striped Pyjamas. ’ The Story of innocence in the world of ignorance… এই সিনেমার জন্য সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের সেই ‘মানুষ জাতি’ কবিতাটি উৎসর্গ করছি-


“জগৎ জুড়িয়া এক জাতি আছে
সে জাতির নাম মানুষ জাতি;
এক পৃথিবীর স্তন্যে লালিত
একই রবি শশী মোদের সাথী।
শীতাতপ ক্ষুধা তৃষ্ণার জ্বালা
সবাই আমরা সমান বুঝি,
কচি কাঁচাগুলি ডাঁটো করে তুলি
বাঁচিবার তরে সমান যুঝি।
দোসর খুঁজি ও বাসর বাঁধি গো,
জলে ডুবি, বাঁচি পাইলে ডাঙ্গা,
কালো আর ধলো বাহিরে কেবল
ভিতরে সবারই সমান রাঙা।
বাহিরের ছোপ আঁচড়ে সে লোপ
ভিতরের রং পলকে ফোটে,
বামুন, শূদ্র, বৃহৎ, ক্ষুদ্র
কৃত্রিম ভেদ ধুলায় লোটে।…
বংশে বংশে নাহিক তফাত
বনেদি কে আর গর্-বনেদি,
দুনিয়ার সাথে গাঁথা বুনিয়াদ্
দুনিয়া সবারি জনম-বেদী। ”





The Boy in the Striped Pyjamas 2008

IMDB rating: 7.8/10
Genre: Drama/War
Cast: Asa Butterfield, David Thewlis, Rupert Friend, Vera Farmiga
Country of Origin: UK/USA





দ্বিতীয় মুভি :

“Good friends are like stars. You don’t always see them, but you know that they are always there. “





সাল ১৯৭২... Madison, Pennsylvania র এক সুসজ্জিত আবাসিক পরিবেশে Vada Sultenfuss এর বাড়ি। মা মরা Vada র বাবা Harry Sultenfuss একটি funeral parlor চালায়... অর্থাৎ সে মৃত মানুষের শেষ কয়েক মুহূর্ত অলঙ্করণের কারিগর। অদ্ভুত স্বভাবের এই লোকটি নিজের মেয়ে Vada র প্রতি সেভাবে দৃষ্টি দিতে পারে না নিজের কাজের সুবাদেই। আর এভাবে মা হারা Vada র মধ্যে tomboy প্রকৃতিটা প্রকট হয়ে উঠে... নিজের মত চলে ফিরে বেড়ায় সে। তার মধ্যে বাবার কাজের ধরণ এবং বাড়ির পরিবেশের কারণেই অনেক আগে থেকেই মরে যাওয়ার একটা obsession কাজ করে, আবার পর মুহূর্তেই সে ঠিকও হয়ে যায়। Vada মনে করে তার কারণেই তার মা মৃত, সে জন্ম না নিলে তার মা হয়ত বেঁচে থাকত ! Vada র বাবা ছাড়াও আত্মীয় বলতে তার বাসায় থাকে তার দাদী যাকে Grammo বলে সে এবং Alzheimer’s Disease এ আক্রান্ত এই মানুষটি। Vada র tomboy স্বভাবের কারণে অন্যান্য মেয়েরা তাকে খুব একটা পছন্দ করে না এবং তাকে অনবরত ক্ষেপাতে থাকে। তার বেস্ট ফ্রেন্ড হিসেবে এগিয়ে আসে Thomas J. Sennett… যে চারিত্রিক দিক দিয়ে Vada র সম্পূর্ণ বিপরীত, নির্জীব প্রকৃতির হলেও ভালোভাবে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখে সে … অদ্ভুত স্বভাবের সাদা সরল একটি বালক, যার প্রায় সব কিছুতেই অ্যালার্জি থাকে। অপরদিকে Vada বাকপটু, মেজাজী এবং মরণের আগেই মরণের চিন্তা নিয়ে পাগলপ্রায়!! Vada র ছোট্ট সরল মন ক্রাশ খায় তারই এক শিক্ষক Mr. Bixler এর উপর...সে তার বড়দের জন্য খোলা writing class এরও সদস্য হয়ে যায়... প্রতিনিয়ত উপস্থিত থাকার চেষ্টা করে সে। Thomas J. Vada র একাকী খাপছাড়া জীবনে সুখ, দুঃখ ভাগাভাগি করার একমাত্র সঙ্গী... রাগ দেখারও একমাত্র মানুষ। নিরীহ স্বভাবের Thomas J. রও একমাত্র বন্ধু Vada ই। একদিন খেলতে খেলতে তারা একটি বনের মধ্যে চলে যায় এবং Vada নিজের অত্যন্ত প্রিয় Mood Ring হারিয়ে ফেলে বনের মাঝখানে। তারা খেলতে খেলতেই ভীমরুলের চাকে পাথর মারে এবং ভীমরুলের আক্রমণে পালায় ও। কিন্তু Thomas J. থেকে যায় তার বন্ধুটির প্রিয় জিনিস সেই Mood Ring খুঁজে নিয়ে আসার জন্যে। এরপর তাদের দুইজনের ভাগ্যের সব কিছুই ওলট পালট হয়ে যায় সারা জীবনের জন্য। কি হয় Thomas J. এর সাথে? কি হয় তাদের বন্ধুত্বের?? কিছু কিছু সম্পর্কের তাৎপর্য আমাদের জীবনে সবসময় থাকে অদৃশ্যভাবে...যখন সেটিকে আমরা হারিয়ে ফেলি তখন নিজেদের একটা আলাদা দিক আমরা খুঁজে পায়... ‘I have lost something’... Vada Sultenfuss আর Thomas J. এর সম্পর্কটাও ঠিক যেন তাই । অনেকে বলে লিঙ্গভেদে বন্ধুত্ব হয় না, সেই বন্ধুত্ব প্রেমে একসময় রূপ নেয়, কিন্তু সত্যি কি তাই?? বন্ধুত্বের সম্পর্ক অনেক বেশি আবেগের বরং চাওয়া পাওয়ার নয়, অনেক বেশি অধিকারের যেখানে এটা হল কেন, ওটা হল না কেন ব্যাপার থাকে না। বন্ধুত্বের gender discrimination হয় না... বন্ধু বন্ধুই হয়। Vada Sultenfuss এর চরিত্র পাগলাটে মনে হবে প্রথম দিকে কিন্তু পরের দিকে এই ছোট্ট মেয়েটিই emotional করে দিবে। Vada আর Thomas J. এর অনেক বেশি মন ছুঁয়ে যাওয়া এই বন্ধুত্বের গল্প হাসাবে, ভাবাবে সব শেষে অনেক বেশি মনকে নাড়া দিবে। এই গল্প আর কিছু হলেও কল্পকাহিনী নয়...অনাকাঙ্খিত বাস্তব। এই সিনেমাটা কাজী নজরুল ইসলামের সেই ‘অভিশাপ’ কবিতাটার এই কয়টা লাইন মনে করিয়ে দেয়...

“যেদিন আমি হারিয়ে যাব, বুঝবে সেদিন বুঝবে,
অস্তপারের সন্ধ্যাতারায় আমার খবর পুছবে-
বুঝবে সেদিন বুঝবে!
ছবি আমার বুকে বেঁধে
পাগল হ’লে কেঁদে কেঁদে
ফিরবে মরু” কানন গিরি,
সাগর আকাশ বাতাস চিরি’
যেদিন আমায় খুঁজবে-
বুঝবে সেদিন বুঝবে! ”





My Girl 1991

IMDB rating: 6.8/10
Genre: Drama/ Family
Cast: Anna Chlumsky, Macaulay Culkin, Dan Aykroyd
Country of origin: USA





**** এই লেখা সম্পূর্ণ রূপে আমার… পূর্বের কোন লেখার সাথে মিলে গেলে তা একান্তই co-incidence….no resemblance. আশা করি পোস্টটি ভালো লাগবে !!!! Happy Movie Watching !!!

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:০৫

হামিদ আহসান বলেছেন: ভাল থাকুন সবান্ধব ......

০২ রা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:০৬

রিকি বলেছেন: মন্তব্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই :)

২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:১২

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: যথারীতি প্রথম প্যারা আর শেষটূকু পড়ছি। কাহিনী জানার আগ্রহ করে উঠতে পারিনাই। বন্ধু দিবস নিয়ে কোন আগ্রহ নাই। জীবনে মনে হয় কোন স্ট্যাটাস দেয়া হয়নাই, কাউকে কোনোদিন মেসেজ করা হয়নাই। কিন্তু বেশ কয়বছর ধরে আমি জানি অন্তত ৩ টা কল পাবোই। না ধরলে বার বার করবে। আজকেও যেমন মনে ছিলোনা, সকালে কল দেখছিলাম, কিন্তু পরে ধরে বলার পর বুঝছি যে আজকে এই দিন। মাঝে মাঝে যখন ভাবি এই জীবনে কি পাইলাম, তখন মনে হয় একদম অল্প কিছুও হয়নাই। মইরা টইরা গেলে অল্প কয়জন হইলে বছরে বেশ কয়বার মনে করতো। আমি ভুইলা গেলেও ওদের আমার জন্মদিন মনে থাকতো। কোনো বিশেষ জায়গার পাশ দিয়া গেলে হয়তো আমার কথা ভাইবাও অল্প একটূ মন খারাপ করতো। এইটাই তো অনেককিছু। আবার অনেকে বলে ছেলে মেয়ের বন্ধুত্ব হয়না, প্রেমে মোড় নিবেই। ভাইবোনের সম্পর্কে মোড় নেবার কথা ওরা বলেনা কেনো? আমার বন্ধু অল্প, বন্ধু হইতেও অনেকদিন লাগছে, কিন্তু আমার মা আমি খোজ না নিলে, বাসায় না আসলে যেমন রাগ করে, ওরাও উলটাপালটা করলে, খোজ না নিলে, বাসায় না আসলে রাগ করে। কয়দিন আগে এক বন্ধু ফোন দিয়া বলে, আম্মু নাকি ওকে রাত ১ টার দিকে কল দিছে, কারন ও দেশে আসছে আম্মুকে কে বলছে, আর বাসায় যায়নাই দেখে আম্মু কস্ট পাইছে।

আর বন্ধুত্ব বোঝা যায় বিপদে, আমি সেইটা খুব ভালোভাবেই টের পাইছি, উপভোগও করছি। জীবনে আর একটা বন্ধু না হইলেও চলবে। আমি আমার এই অল্প চক্রে আবদ্ধ থাকতে পাইরাই খুশী।

পোষ্ট তো সেইভাবে পড়িনাই। কমেন্টে কিছু লেখার সুযোগ কইরা দেয়ার জন্য ভালোলাগা জানাইলাম। :)

০২ রা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:২২

রিকি বলেছেন: জীবনে মনে হয় কোন স্ট্যাটাস দেয়া হয়নাই, কাউকে কোনোদিন মেসেজ করা হয়নাই। কিন্তু বেশ কয়বছর ধরে আমি জানি অন্তত ৩ টা কল পাবোই।

আমার কল বন্ধ হয়ে গেছে, এখন আর মেসেজও পাইনা। আগে অনেক মাথা ব্যাথা থাকত কেন জানি সারা বছর গালি গালাজ করে (একদিনের জন্য ভালো হওয়া আর কি !!! ), এখন আর গালি গালাজও করি না কাউকে, মাথা ব্যাথাটাও নাই!!!

আর বন্ধুত্ব বোঝা যায় বিপদে, আমি সেইটা খুব ভালোভাবেই টের পাইছি, উপভোগও করছি। জীবনে আর একটা বন্ধু না হইলেও চলবে। আমি আমার এই অল্প চক্রে আবদ্ধ থাকতে পাইরাই খুশী।

বন্ধু যদি দুইটা থাকে এবং সেই দুইটাই যদি সেরকম ধরণের হয়, তাহলে ২০ জনার প্যারা দুইজনেই দেয় 'অধিকারের সম্পর্ক আর কি ' !!!! তাই লিমিটেড থাকাই ভালো ;) ভালো লাগল কথাগুলো শুনে :) :) :)

৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:২৬

বোকামানুষ বলেছেন: সবার কপালেই ভাল বন্ধু জুটুক

০২ রা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৫

রিকি বলেছেন: আমি তো ভাই মনে করি, সবার কপালে দুইটা 'জোকার' এর মত বন্ধু জুটুক--- বদমাশ ক্যাটেগরির হলেও লোকটার কথা বার্তা মন্দ ছিল না--- আর সারাদিন এরকম বন্ধুর সাথে মোকাবেলা করতে করতেই উদ্বিগ্ন, খারাপ লাগা ভাবের অবকাশ থাকত না আর সবশেষে পাগলাটে ডায়লগ বাজি --- জীবনটাই ধন্য!!!! ;) অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য :) :) :)

৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:০৮

দূরের পথযাত্রী বলেছেন: দিল চাহতা হ্যায়,থ্রি ইডিইয়টস এর ফ্রেন্ডশিপনেস দেখে আবেগে আপ্লুত হয়েছি কতবার ঠিক নেই।আমার ফেভারিট উক্তিটাও ফ্রেন্ডস নিয়ে। 'ইটস অ্যা ওয়ান্ডারফুল লাইফ"এর শেষে অ্যাঞ্জেল সেকেন্ড ক্লাস ক্যারেন্স,মুভির নায়ক জর্জকে টম স্যয়ারের বইটা উপহার দেয়।আর বইটাতে লেখা থাকে--
'রিমেম্বার নো ম্যান ইজ অ্যা ফেইলিউর হু হ্যাজ ফ্রেন্ডস।' :) :D B-)

০২ রা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৯

রিকি বলেছেন: 'ইটস অ্যা ওয়ান্ডারফুল লাইফ"এর শেষে অ্যাঞ্জেল সেকেন্ড ক্লাস ক্যারেন্স,মুভির নায়ক জর্জকে টম স্যয়ারের বইটা উপহার দেয়।আর বইটাতে লেখা থাকে--
'রিমেম্বার নো ম্যান ইজ অ্যা ফেইলিউর হু হ্যাজ ফ্রেন্ডস।'


দারুণ দারুণ অনেক বেশি দারুণ। আমার আবার ফ্রেন্ডের ব্যাপারে পছন্দের উক্তি কার্টুন থেকে--

”If you live to be a hundred, I want to live to be a hundred minus one day, so I never have to live without you.”
― Winnie the Pooh

৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:২২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার অনেক বন্ধু আছে ,কিন্তু সারাজীবনে প্রিয়বন্ধু র লিস্ট এ ফ্যামেলি মেম্বার রাই থেকে গেল।
এর কারন হয়ত নিজেকে খুব খুব করে কারো কাছে তুলে না ধরতে পারার ব্যর্থতা ।প্রথম ছবিটা ভাবতাছি ছেলে মেয়ে নিয়ে এক্ষনি দেখতে বসব ।
চমৎকার রিভিউ :)

০২ রা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৪

রিকি বলেছেন: দুইটাই অনেক বেশি টাচিং--- প্রথমটা দেখতে বসছেন ছেলে মেয়ে নিয়ে, আপু অনেক অনেক মন খারাপ হয়ে যাবে। আমি কিন্তু আগেই বলে দিলাম-- খুব খুব pathetic। :(

৬| ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:২৯

জেন রসি বলেছেন: আমার আবার বন্ধু ভাগ্য খুব ভালো। :)

যদিও ভাগ্য বইলা কিছু নাই!

তাই পুরাটাই তাদের কৃতিত্ব। :)

The Boy in the Striped Pyjama আমার দেখা অন্যতম সেরা মুভি।


০২ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৩৪

রিকি বলেছেন: আমার বন্ধু ভাগ্যও ভাল কিন্তু আমার বন্ধুদের ভাগ্য আমাকে বন্ধু হিসেবে পেয়ে খুব একটা মনে হয় ভালো না (নিশ্চিত করে তারাই বলতে পারবে) ! :P কিছু কিছু সিনেমা আছে যেগুলো বহুবার দেখলেও আবার যদি ইচ্ছার বশে দেখা হয়, অনুভূতি প্রথমবারের মতই হয়....The Boy in the Striped Pyjamas সেইরকম প্রকৃতির..একটা mesmerize ধরণ আছে এটার এবং বলা বাহুল্য যতবার দেখি কেঁদে ফেলার situation must..:(

৭| ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৪৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: চমৎকার রিভিউ রিকিমনি। খুব শীঘ্রই ফ্রি হব, আপনার রিভিউ দেখে দেখে সব মুভিগুলো এক এক করে দেখে ফেলতে হবে। আমার কলেজ লাইফের দুই প্রবাসী ফ্রেন্ড বছর দুয়েক আগে বিয়ে করতে দেশে আসে। তখন প্ল্যান করেছিলাম, এক বন্ধুর বাসায় সারাদিন মুভি পার্টি হবে, তিনটা হিন্দি মুভি দেখব, আর খানাপিনা, যদিও শেষ পর্যন্ত তা করা হয়ে উঠেনি। ছবি তিনটা ছিলঃ দিল চাহ তা হ্যায়, থ্রি ইডিয়টস এবং জিন্দেগি না মিলেগি দুবারা।

বন্ধু দিবসে শুভেচ্ছা সবাইকে, দুনিয়ার সকল বন্ধুরা ভালো থাকুক সবসময়।

আপনার জন্য শুভকামনা রইল, ভালো থাকুন সবসময়।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:০০

রিকি বলেছেন: জিন্দেগী মিলেগি না দোবারা আমার অনেক পছন্দের একটা সিনেমা কিন্তু দূভার্গ্যক্রমে পোস্টটা লিখতে গিয়ে সেটাই ভুলে গেছি! :( ফ্রি হয়ে দেখেন মুভিগুলো...আশা করি অনেক অনেক ভালো লাগবে বোকা ভাইয়ের. মন্তব্যে অনেক অনেক ভালোলাগা রইল :) :) :)

৮| ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৫৫

আমিনুর রহমান বলেছেন:



রিভিউ ভালো লেগেছে। মাই গার্ল দেখা হয়নি। রিভিউ পড়ে দেখার ইচ্ছে জেগেছে।
প্রিয় দুটো কবিতার জন্য +

বন্ধু দিবসের শুভেচ্ছা।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:০৭

রিকি বলেছেন: মাই গার্ল খুব খুব টাচিং একটা সিনেমা...নির্দ্বিধায় দেখতে পারেন ভাইয়া. মন্তব্যে অনেক অনেক ভালোলাগা রইল. :) :) :)

৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:০৯

সুমন কর বলেছেন: The Boys in the Striped Pyjamas ২দিন আগে ডাউনলোড করেছি। দেখি মঙ্গলবারে দেখতে পারি। !:#P

২য়টি দেখিনি। রিভিউ পড়ে দেখার ইচ্ছে হলো।

সত্যিকারের বন্ধু পাওয়া খুব কঠিন ব্যাপার।

আমি একটি পেয়েছি। !:#P যার সাথে আমার বন্ধুত্ব প্রায় ১৮ বছর হয়ে গেল এবং চলছে।
আমাদের দেখা বা কথা খুব কম হয়। কিন্তু দু'জনেই জানি-আমরা প্রকৃত বন্ধু।

পোস্টে ভালো লাগা।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:২৩

রিকি বলেছেন: The Boys in the Striped Pyjamas ২দিন আগে ডাউনলোড করেছি। দেখি মঙ্গলবারে দেখতে পারি। দেখে জানাবেন দাদা অভিজ্ঞতা --- কেমন লাগল। ;)

১০| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৮

আবু শাকিল বলেছেন: মুভি গুলা দেখা হয়নি ।
রিভিউ পড়ে ভাল লেগেছে ।ধন্যবাদ রিকি আপু :)

০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৫

রিকি বলেছেন: মন্তব্যে অনেক অনেক ভালোলাগা রইল ভাইয়া :) :) :) :)

১১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৯

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
রিভিউ দারুণ 'লাগছে।

মুভি গুলো দেখা হয় নাইভ।

আমার বন্ধবান্ধব বেশি নাই তবে যে তিন চারজন আছে তারা আমার জন্য অন্তপ্রাণ। :)

০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৪

রিকি বলেছেন: মুভিগুলো দেখতে ফেলতে পারেন সময় পেলে--- worth watching. :)

আমার বন্ধবান্ধব বেশি নাই তবে যে তিন চারজন আছে তারা আমার জন্য অন্তপ্রাণ।

ভালো বন্ধু দুই তিন জনই যথেষ্ট ভাই--- friends forever :)

ভালো লাগল অনুভূতি শেয়ার এবং মন্তব্যে :) :) ভালো থাকবেন :)

১২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:০৭

উর্বি বলেছেন: wooooooooooooooooow

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:০১

রিকি বলেছেন: কি হল উর্বি বুবুনি...দুইটা W এর মধ্যে এত্তগুলো ও ও ও ও ও ও ও ও Oooooo !! :D

১৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৩৩

সুমন কর বলেছেন: আজ (মানে মঙ্গলবার) দেখলাম। !:#P
কাহিনী অনুসারে মুভিতে আরো গতি আনা যেত। একটু স্লো, মনে হল। ব্রুন'র অভিনয় ভালো লেগেছে। শেষ দৃশ্যটি দারুণ।
সংগ্রহে থাকবে। আমি আবার মুভি সংগ্রহ করি। ;)

শুভ রাত্রি।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৫৯

রিকি বলেছেন: দাদা এই সিনেমা প্রথম দিকে একটু স্লো মেরেছে...এটা আমিও স্বীকার করি...এইটা মনে হয় WWII প্রেক্ষাপটে নির্মিত মুভিগুলোর কমন পয়েন্ট...তবে আমার ভালো লাগে যে আসল ঘটনা unwrap করতে কিছুটা সময় নেয়. মুভি সংগ্রহ করার অভ্যাস আমারও আছে...আমি আবার ভালো লাগা সিনেমাগুলো রাইটও করে রাখি, আবার ডিলিটও দেয় না ল্যাপটপ থেকে. :)

১৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৪৫

এম এম করিম বলেছেন: ভাল লিখেছেন।
এধরনের মুভি নিয়ে আমার একটি পোস্ট দেয়ার ইচ্ছে ছিল। সময়াভাবে করতে পারিনি।
ভাল লাগা জানবেন।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:০৩

রিকি বলেছেন: ভাই লিখে ফেলুন সময় বের করে...আমার তো এই দুইটা সিনেমা প্রায় চার বছর আগের দেখা. লেখার ইচ্ছা ছিল...তাই ফ্রেন্ডশিপ ডে কে বেছে নিলাম. :) :) মন্তব্যে অনেক অনেক ভালোলাগা রইল ভাই :)

১৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৩৬

তুষার কাব্য বলেছেন: চমতকার রিভিউর সাথে কবিতা গুলোও দারুন !

০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৫২

রিকি বলেছেন: অনেক অনেকককককক ধন্যবাদ ভাই :) :)

১৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:১৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বন্ধু দিবসের শুভেচ্ছা । রিভিউ ভাল লেগেছে ।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:২৫

রিকি বলেছেন: অনেক অনেকককক ধন্যবাদ ভাইয়া. :) :)

১৭| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৫৭

দীপান্বিতা বলেছেন: “জগৎ জুড়িয়া এক জাতি আছে
সে জাতির নাম মানুষ জাতি;
এক পৃথিবীর স্তন্যে লালিত
একই রবি শশী মোদের সাথী
।"

---বন্ধুকে শুভেচ্ছা :)

১০ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:১৪

রিকি বলেছেন: দিদি আপনাকেও বিলেটেড শুভেচ্ছা । :D :D

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.