নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছোটো প্রাণ,ছোটো ব্যথা >ছোটো ছোটো দুঃখকথা >নিতান্তই সহজ সরল >সহস্র বিস্মৃতিরাশি প্রত্যহ যেতেছে ভাসি>তারি দু-চারিটি অশ্রুজল>নাহি বর্ণনার ছটা ঘটনার ঘনঘটা> নাহি তত্ত্ব নাহি উপদেশ> অন্তরে অতৃপ্তি রবে সাঙ্গ করি মনে হবে>শেষ হয়ে হইল না শেষ

রিকি

কাছে আছে দেখিতে না পাও, তুমি কাহার সন্ধানে দূরে যাও। মনের মতো কারে খুঁজে মর, সে কি আছে ভুবনে, সে যে রয়েছে মনে।

রিকি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফাইভ গ্রেটেস্ট স্টার পর্ব ৪—যে পাঁচটি ভিন্ন ঘরানার সিনেমা দেখে তাদের উপর ভালো লাগা আরও পাঁচ ধাপ বেড়ে গিয়েছিল =p~ =p~=p~=p~=p~

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৮



“Cinema is a matter of what’s in the frame and what’s out.”

সিনেমা...রূপালী জগতের সোনালী মোড়কে জড়ানো কল্পনা। সহজাত প্রবৃত্তি বা বৈশিষ্ট্য অনুসারে, মানুষ কল্পনা করতে ভালবাসে। ছোটবেলাতে আমরা রূপকথার বই যখন পড়তাম, পড়ার সাথে সাথে সেটার চিত্রায়নও কিন্তু মনে মনে করে ফেলতাম...সিন্ডারেলা আকর্ষণীয় সুন্দরী হতে পারে কিন্তু সে অত্যাচারিত, রাজার বাড়িতে যাওয়ার দিন পরীমা তার আসল চেহারার সাথে তাকে পরিচয় করিয়ে দেয়, যে সে অতুলনীয় সুন্দরী। জ্যাক অ্যান্ড দ্য বিন গল্পের বিন গাছ হয়ত সত্যি আকাশ ফুঁড়ে বেড়িয়ে যেতে সক্ষম...এবং মেঘের উপরে থাকা হাঁস ২৪ ক্যারেটের বিশুদ্ধ সোনার ডিম দেয় (সেই ডিম না জানি কি হবে)। ছোটবেলাতে এগুলোর যখন ভিজুয়াল ইন্টারপ্রিটেশন সিনেমা বা কার্টুনের মাধ্যমে দেখতাম তখন ভাবতাম ‘হ্যা, হ্যা, আমার কল্পনা তো এর ধারে কাছেই ছিল’ !!! পর্বটি শুরু করেছিলাম, অভিনেতাদের নিয়ে, তারপরে এক পর্বে অভিনেত্রীরা এসেছিল, পর্যায়ক্রমে আবারও অভিনেতা...এবারের পর্ব পুনরায় অভিনেত্রীদের নিয়ে থাকছে। প্রথম পর্বে ছিল, জেমস স্টুয়ার্টের Vertigo, জ্যাক নিকোলসনের The Shining, শ্যেন কনেরির Entrapment,টম হ্যাঙ্কসের Cast Away এবং ব্রাড পিটের The Curious case of Benjamin Button. দ্বিতীয় পর্বটি পাঁচজন অভিনেত্রীকে নিয়ে লিখেছিলাম, অড্রে হেপবার্নের My Fair Lady, মেরিল স্ট্রিপের Sophie’s Choice, জোডি ফস্টারের The Silence of the Lambs, হিলারি সোয়াঙ্কের Million Dollar Baby এবং ক্যামেরন ডায়াজের My Sister’s Keeper. অভিনেতা কেন্দ্রিক তৃতীয় পর্বে, গ্রেগরী পেকের Roman Holiday, ড্যানিয়েল ডে লুইসের My Left Foot , জেফ ব্রিজেসের Arlington Road, শ্যেন পেনের I am Sam এবং রাসেল ক্রোর A Beautiful Mind নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। আজকে সেই ফাইভ গ্রেটেস্ট স্টার সিরিজের চতুর্থ পর্বে আবারও পছন্দের পাঁচজন অভিনেত্রীর ভিন্নধারার, ভিন্ন ঘরানার সিনেমালোচনা থাকছে। প্রথম জন, সোফিয়া লরেন...Two Women >> দ্বিতীয় জন, ফে ড্যানাওয়ে... Chinatown >> তৃতীয় জন, জুলিয়া রবার্টস... Stepmom >> চতুর্থ জন, অ্যাঞ্জেলিনা জোলি...The Bone Collector >> এবং পঞ্চম জন, জেনিফার কনেলি... Dark Water.

প্রথম মুভি :

“The most identifying trait of humanity is our ability to be inhumane to one another.”




রোমে বসবাসরত সেসিরা একজন বিধবা মুদিদোকানী। রোজকার মত একদিন দোকান খুলে সে। কিছুক্ষণ পর জার্মান সৈন্যদের ফেলা বোমে আশেপাশের এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেসিরার একমাত্র মেয়ে রোসেট্টা কিছুটা দুর্বল চিত্তের হওয়ায় বোমের শব্দে ভয় পেয়ে বিষণ্ণ হয়ে পড়ে। যুদ্ধের ভয়াবহতা তাকে সবসময় যেন তাড়িয়ে বেড়ায়। সবকিছু দেখে সেসিরা সিদ্ধান্ত নেয় সে রোম ছেড়ে কিছুদিনের জন্য নিজের জন্মস্থান মধ্য ইটালির পর্বতঘেরা এলাকা সিওসিয়ারাতে চলে যাবে, যতদিন না যুদ্ধবিরতির কোন ঘোষণা আসে। নিজের চিন্তার তুলনায় তার মাথায় অনেক বেশি প্রাণপ্রিয় রোসেট্টার চিন্তা কাজ করে, কিভাবে মেয়ের একটি নিরাপদ অবস্থান নিশ্চিত করবে সে। এসব ভেবে, সে তার স্বামীর বন্ধু জিওভান্নির কাছে যায় সাহায্যের আশায়, যেন সে তাদের সিওসিয়ারাতে যেতে সাহায্য করে। জিওভান্নি সময় এবং সেসিরার অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে তাদের সেই কাঙ্ক্ষিত জায়গায় পাঠানোর সব ব্যবস্থা করে ফেলে। এরপর মা- মেয়ে রওয়ানা হয় নিরাপদ অবস্থানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। পথমধ্যে ট্রেন খারাপ হয়ে গেলে, মাইলের পর মাইল হেঁটেই তারা তাদের গন্তব্যে পৌঁছায়। সেখানে তার কোন আত্মীয় স্বজনের দেখা পায়না সে, স্থানীয়দের কাছে জানতে পারে তাদের কেউ কেউ মারা গেছে, আবার কেউ চলে গেছে যুদ্ধের প্রাক্কালে এই জায়গা ছেড়ে। নতুন আত্মীয়-স্বজন হিসেবে এগিয়ে আসে তারই মত কিছু উদ্বাস্তু এবং বর্বর পরিবেশের শোষণধর্মী মানুষের একেবারেই বিপরীত স্বভাববিশিষ্ট মিখেইল। জীবন-মরণের এক নতুন খেলায় অবতীর্ণ হয় তারা। সেসিরা আর রোসেট্টার পরিণতি কি হয় শেষ পর্যন্ত? যুদ্ধ তাদের জীবনে কোন বিভীষিকা ডেকে আনে? সিনেমাটি আলবার্তো মোরাভিয়ার ‘লা সিওসিয়ারা’ নামের উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি হয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে এটি ফিকশনাল, কিন্তু এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ইটালির বাস্তব একটি ঘটনা ব্যক্ত করে, যাকে ইটালিয়ানরা তাদের ভাষাতে ‘মরোক্কিনেট’ বলে থাকে। ইটালিয়ানদের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিভীষিকাসম অধ্যায় এই ‘মরোক্কিনেট’। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমকালীন সময়ে ইটালির মন্টে ক্যাসিন্নোর যুদ্ধে বলি হয় হাজার হাজার ইটালিয়ান নারী। মরোক্কান গৌমিয়ার্স, আলফোন্সে জুইনের তত্ত্বাবধানে কর্মরত ফ্রেঞ্চ এক্সপিডিশনারি কর্পস (এফইসি) এর সৈন্যরা ক্যাসিন্নো ১৮মে, ১৯৪৪ সালে দখল করে নেয় এবং পরের রাত থেকে সিওসিয়ারার পাহাড়বেষ্টিত গ্রাম এবং মফস্বলের এলাকাগুলোতে ১১ থেকে ৮৬ বছর বয়সী প্রায় ৬০০০০ নারীকে গণধর্ষণের শিকারে পরিণত করে। যেসব পুরুষেরা নারীদের সম্ভ্রম রক্ষার্থে প্রতিরোধ করতে গিয়েছিল, বর্বরতার বলি হয়েছিল তারাও। ধারণা করা হয়ে থাকে এই ঘটনায় প্রায় ৮০০ পুরুষকে হত্যা করেছিল মরোক্কান গৌমিয়ার্স, আলফোন্সে জুইনের তত্ত্বাবধানে কর্মরত ফ্রেঞ্চ এক্সপিডিশনারি কর্পস (এফইসি) এর সৈন্যরা। সেই ভয়াবহ ঘটনার কালের সাক্ষী হিসেবে সেখানে ‘মাম্মা সিওসিয়ারা’ নামের একটি স্থাপত্য নির্মাণ করা হয়েছে। সিনেমাটি কেমন ধরণের, এটা শব্দে ব্যাখ্যা করে বোঝানো সম্ভব নয়। কিছু কিছু সিনেমা দেখলে সেটা চলচ্চিত্র কম, রূঢ় বাস্তবতা বেশি মনে হয়। এটাও ঠিক তেমন। যুদ্ধের ফলে জনজীবনের বিপর্যয়ের চিত্র ব্যতিরেকে এটা একটা চাপা কষ্টও অনুভব করানোর ক্ষমতা রাখে। এবং যা আরও বেশি নজর কাড়বে সে স্বয়ং সেসিরা মানে সোফিয়া লরেন...যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে ১২ বছর বয়সী মেয়ের অভিভাবকত্ব, তার নিরাপত্তা, সব কিছুর উপরে নিজের বহুমূল্য সন্তানটিকে যে কোন পরিস্থিতিতে রক্ষার যে আপ্রাণ প্রচেষ্টার লড়াই...মনকে অনেক বেশি নাড়া দেয় সেই ঘটনাগুলো। অবর্ণনীয় তার অভিনয়শৈলী। ছোট্ট রোসেট্টাও হতবাক করে দিবে। বিখ্যাত পরিচালক ভিট্টোরিও ডে সিকার এই সিনেমার অনন্য এবং একই সাথে অতুলনীয়। এই সিনেমার একটি রেকর্ড রয়েছে অস্কারে, অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডের ইতিহাসে এটিই প্রথম নন-ইংলিশ সিনেমা যা শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর ক্যাটেগরিতে পুরষ্কার জিতে নিয়েছিল। একা লরেনই এই সিনেমার জন্য সব মিলিয়ে ২২ টি পুরষ্কারে জিতেছিলেন। সোফিয়া লরেনকে যারা শুধু গ্ল্যামারাস নায়িকা হিসেবে জানেন, তাদের ধারণা কিছুটা পরিবর্তন করার জন্য এই সিনেমাটি দেখার অনুরোধ রইল। অসাধারণ সিনেমাটি অনেকদিন মনে রাখার মত একটা অনুভূতি দিবেই দিবে। A great film which portrays the heart wrenching story of mother and daughter and inhumanity.



Two Women (1960) { Original Title: La Ciociara }

IMDB rating: 7.9/10
Genre: War/Drama
Cast: Sophia Loren, Eleonora Brown, Jean-Paul Belmondo, Raf Vallone
Country of Origin: Italy




এই সেই মরোক্কান গৌমিয়ার্স



'মাম্মা সিওসিয়ারা' র সেই স্মৃতিস্তম্ভ



দ্বিতীয় মুভি :

“At the end of every light, is a tunnel of darkness.”



প্রাইভেট ডিটেকটিভ জে. জে. গিট্টিসের অফিসে একদিন সকালে ইভিলিন মালরে নামের একজন মহিলা আসে তার স্বামী হলিস আই মালরের উপর গোয়েন্দাগিরির প্রস্তাব নিয়ে, যে লস আঞ্জেলেস ডিপার্টমেন্ট অফ ওয়াটার অ্যান্ড পাওয়ারের চিফ ইঞ্জিনিয়ার। ইভিলিন সন্দেহ করে তার স্বামীর অন্য একটি মেয়ের সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে, সত্য ঘটনা উদঘাটনের জন্য সে গিট্টিসকে কেসটির দায়িত্ব দিয়ে যায় এবং গিট্টিসও অর্থের খাতিরে রাজি হয়। পরের দিন থেকে গিট্টিস তার কাজে নেমে পড়ে এবং লোকটির উপর নজরদারি শুরু করে। একটি মেয়ের সাথে তাকে দেখে ফেলে সে এবং তাদের ছবি গোপনভাবে তুলে নিয়ে পরেরদিনের পেপারে ছাপিয়ে দেয়। এদিকে গিট্টিস লক্ষ্য করে চিফ ইঞ্জিনিয়ার এলাকায় নতুন একটি বাঁধ তৈরি সংক্রান্ত বিষয়ে বারবার বাধা দেয় তার হর্তাকর্তা ব্যাক্তিদের। অফিসে ফিরে আসার পর সে আরও একজন সুন্দরী নারীর সাক্ষাত পায়, সে বলে আসল ইভিলিন সেই এবং তাদের আগে কখনও দেখা হয়নি। আজকে খবরের কাগজে যে খবর প্রকাশ করার জন্য সাহায্য করেছে গিট্টিস, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলে চলে যায় সে। হতভম্ব গিট্টিস নেমে পড়ে, নিজেকে বাঁচাতে। সে বুঝতে পারে তাকে ফাঁসানোর জন্য কেউ বা কারা কোন ধরণের ষড়যন্ত্রে নেমেছে। এই ষড়যন্ত্র এবং প্রতারণার কারণগুলো অনুসন্ধানে নেমে পড়ে সে দেরী না করেই এবং বুঝতে পারে, যার কাজই হোক না কেন এগুলো, তার আসল উদ্দেশ্য গিট্টিস বা অন্য কিছু নয় বরং মি. মালরে। মি. মালরের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলতে যাওয়ার আগেই লেফটেন্যান্ট লু এস্কোবার তাকে একটি মৃদু পানির রিসার্ভারে মৃত অবস্থায় পায়। আপাতদৃষ্টিতে ঘটনাটি আত্মহত্যা লাগলেও, গিট্টিস বুঝতে পারে কোনভাবেই এটা আত্মহত্যার ঘটনা নয় বরং পরিকল্পিত খুন। খুনের তদন্তে নেমে গিট্টিসের নজরে আসে আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয়- প্রত্যেক রাতে রিসার্ভার থেকে প্রচুর পরিমাণ পানি নির্গমনের ব্যবস্থা করে দিলেও তাদের এলাকাটি কোন একটা রহস্যময় কারণে শুষ্কই থাকে। প্রত্যেক ঘটনা কি একই সূত্রে গাঁথা? মালরে খুন হয় কেন? রহস্যময় মহিলাটিরই বা রহস্য কি? এই সিনেমার ব্যাপারে শুধু একটা কথায় বলবো, আমার কাছে অন্যতম সেরা টুইস্টেড মিস্ট্রি সিনেমা এটা। প্রত্যেক মুহূর্তে মনে হয়, হায় হায় কোনদিকে যাচ্ছে কাহিনী, এই তো ধরতে পারলাম বোধ হয়, গ্যারান্টি দিলাম শেষ ৫ মিনিট আগে ছাড়া এই সিনেমা বোঝা সম্ভব না। নয়্যের এবং নিও-নয়্যের গোত্রের মুভির একটা আলাদা বৈশিষ্ট্যই আছে---ত্যানা প্যাঁচানো এবং শেষ হওয়ার পরে মনে হবে ‘আরও কিছু গল্প হয়ত সামনে আসতে চলেছে কোন সিক্যুয়েলে’। বিখ্যাত পরিচালক রোমান পোলানস্কির এটা একটা মাস্টারপিস বললেও খুব একটা ভুল হবে না। জে. জে. গিট্টিস চরিত্রে রয়েছে জ্যাক নিকোলসন...এই মানুষটা সব পারে আগেও বলেছি- কি পাগল, কি ডিটেকটিভ, কি ভূতধরা মানুষ, কি ভিলেন---ভার্সেটাইল একজন অভিনেতা। নাকভাঙ্গা ডিটেকটিভের ভূমিকায় এই সিনেমার মূল আকর্ষণ সেই এবং সাথে আছে রহস্যমণ্ডিত সুন্দরী ইভিলিন মালরে চরিত্রে ফে ড্যানাওয়ে। সিনেমাটি বাস্তব ঘটনা, ক্যালিফোর্নিয়া ওয়াটার ওয়ার্সের অনুপ্রেরণায় তৈরি করেছিলেন পোলানস্কি। ২০ শতকের শুরুর দিকে, সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া পানি বণ্টন সংক্রান্ত কিছু বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিল যার ফলে ওয়েনস ভ্যালির পানি বণ্টনের অধিকার পায় লস আঞ্জেলেস। বাস্তব এই ঘটনার সাথে সাইকোলজিক্যাল মিস্ট্রির মসলা মিশিয়ে চায়নাটাউন নামের সর্বকালের অন্যতম সেরা সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন পোলানস্কি। রোমান পোলানস্কির এটাই শেষ আমেরিকান সিনেমা ছিল...এর পরে তিনি পোল্যান্ড চলে গিয়েছিলেন। A brilliant movie with a lot of spiral mystery.



Chinatown (1974)

IMDB rating: 8.3/10
Genre: Crime/Mystery/Neo-Noir
Cast: Jack Nicholson, Faye Dunaway, John Huston
Country of Origin: USA




তৃতীয় মুভি :

“When you are a mother, you are never really alone in your thoughts. A mother always has to think twice, once for herself and once for her child.”



লিউক এবং জ্যাকি হ্যারিসন নিউইয়র্কের আর দশটা ডিভোর্সড কাপলদের মতই। লিউক হ্যারিসন তার দুই সন্তান অ্যানা ও বেন এবং তার গার্লফ্রেন্ড ইসাবেলকে নিয়ে নতুন জীবন শুরু করে। ইসাবেলকে নতুন মায়ের দায়িত্বে বসায় সে এবং সেও তা যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করে। কিন্তু বাধ সাধে লিউকের সন্তান অ্যানা। কোনভাবেই সে ইসাবেলকে পছন্দ করে না, বেন ছোট হওয়ায় সে কোন উচ্চবাচ্চ্য না করলেও। প্রতিদিন সকালে উঠার পর সে তাদের স্কুলে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে করতেই অ্যানা এবং বেনের মা জ্যাকি দায়িত্ববানের মত তাদের স্কুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য এসে হাজিরা দেয়। অ্যানা ইসাবেলের সামনেই তার নামে অভিযোগ করে জ্যাকির কাছে। ইসাবেল চুপচাপ থাকে এবং জ্যাকি সন্তানদের নিয়ে চলে যায়। ইসাবেল তার সর্বাত্মক চেষ্টা করেও তাদের সামনে ভালো হতে পারে না। পেশায় ফ্যাশন ফটোগ্রাফার এবং স্বভাবে কিছুটা পাগলাটে ইসাবেলের কাছে আবার বাধ্য হয়ে জ্যাকি নিজের ছেলেমেয়েকে রেখে যায় কোন এক দায়বদ্ধতার দরুণ। ইসাবেলকে জ্যাকি খুব একটা ভালো দৃষ্টিতে না দেখলেও, গোপনীয় এক কারণে তার উপর বিশ্বাস করে নিজের ছেলেমেয়ের খেয়াল রাখার তাগিদে। এভাবে চলতে চলতে একদিন জ্যাকির জীবনের কালোমেঘ আরও পুঞ্জিভূত হয়। কি হয় জ্যাকির? কেন সে ইসাবেলের উপরেই এত দায়বদ্ধ? অ্যানা এবং বেন কি পারে ইসাবেলকে আপন করে নিতে? অনেক সাধারণ একটা সিনেমা, কিন্তু সাবলীল এর উপস্থাপন ভঙ্গি। কেমন যেন একটা মন ছুঁয়ে যাওয়া ভাব আছে সিনেমার গল্পে, চরিত্রগুলোর মধ্যে। সন্তানের প্রতি মায়ের ভালবাসা নিখাদ হয়, কিন্তু সেই মা যখন নিজের সম্পদগুলোকে আরেকজনের হাতে কোন এক অনাকাঙ্ক্ষিত কারণে তুলে দিতে বাধ্য হয়, তখন ব্যাপারগুলো কেমন দাঁড়ায়...এই সিনেমা তারই বহিঃপ্রকাশ। ইসাবেল চরিত্রে আছে জুলিয়া রবার্টস...নব্বইয়ের দশকের অসাধারণ একজন অভিনেত্রী। সরল সাদামাটা ভাব দিয়ে সে অনায়সেই মন জয় করে নেয়। জ্যাকি চরিত্রে আছে সুজান স্যারান্ডন, যার আবেগগুলো আরেকটি মুখ্য দিক এই সিনেমার। সিনেমাতে দুই ভিন্ন সত্ত্বার, ভিন্ন মায়ের গল্প আছে...কিন্তু তাদের মধ্যে কমন বিষয় একটা- সন্তানের প্রতি আবেগ। সৎ মা বলতে আমরা মেজাজি, রূঢ় চরিত্রের নারীকুলের চিত্র সহজেই আঁকতে পারি...কিন্তু স্টেপমমের এই সৎ মা, নিজের অবস্থান আলাদা বানায় এবং যা অনবদ্য। এর আদলে বলিউড ‘We are Family’ তৈরি করেছিল...বলা বাহুল্য দেখার ইচ্ছা হয়নি কেন জানি !! A beautiful movie about two different moms.



Stepmom (1998)

IMDB rating: 6.6/10
Genre: Comedy/Drama
Cast: Julia Roberts, Susan Sarandon, Ed Harris
Country of origin: USA




চতুর্থ মুভি :

“The possession of knowledge does not kill the sense of wonder and mystery. There is always more mystery.”



সাল ১৯৯৯, রাতের ফ্লাইটে ফেরার পর এক দম্পতি একটি ট্যাক্সি ক্যাবের যাত্রী হয়। তারা ট্যাক্সি ড্রাইভারকে তাদের গন্তব্যের কথা জানিয়ে দিয়ে ক্লান্ত অবস্থায় কিছু সময়ের জন্য ঘুমিয়ে পড়ে। তন্মধ্যে তাদের মধ্যে একজনের ঘুম ভেঙ্গে গেলে কিছু সময় যাওয়ার পর দেখে, ট্যাক্সি ড্রাইভারটি তাদেরকে তাদের বলা ঠিকানাতে না নিয়ে গিয়ে অন্য কোন সুনসান রাস্তায় নিয়ে চলে এসেছে। কিছু বলতে গেলে দেখে ড্রাইভারের কোন ভ্রূক্ষেপ নেই তাতে এবং গাড়ির দরজাও সে লক করে দিয়েছে। এরপর পরিত্যক্ত একটি জায়গায় থামিয়ে দেয় সে গাড়িটিকে। ক্রিমিনালিস্ট লিঙ্কন রাইম এক দুর্ঘটনায় কোয়াড্রোপেলাজিক হয়ে পড়ে, ডান হাতের কয়েকটি নখ এবং মাথা ছাড়া সমস্ত শরীর অসাড় হয়ে যায় তার। কিন্তু এতদসত্ত্বেও সে তার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি, সূক্ষ্ম মস্তিস্ক এবং বিশ্লেষণী ক্ষমতা ধরে রাখতে সক্ষম হয়। একটি বাচ্চা ছেলে পরেরদিন পরিত্যক্ত স্টেশনের পাশের জায়গায় একটি মানুষের হাত খুঁজে পেলে পুলিশে খবর দেয়। আশেপাশের জায়গায় টহলরত পেট্রোল অফিসার অ্যামেলিয়া স্যাকস আসে জায়গাটিতে এবং নমুনাগুলো সংগ্রহ করে খুব সূক্ষ্মভাবে। সে দেখে হাতটির একটি নখের একটি হাড় অর্ধেক কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং সেখানে একটি ম্যারেজ রিং পরিয়ে রেখে গেছে খুনি। কেসটির তদন্তের দায়ভার পড়ে ক্রিমিনালিস্ট লিঙ্কন রাইমের কাঁধে এবং সে নমুনাগুলো পরীক্ষা করে দেখে খুনি একটি সুনির্দিষ্ট পথ রেখে দিয়ে গেছে তার পরবর্তী কাজের। আবারও ডাক পড়ে আমেলিয়া স্যাকসের...এবার আর পেট্রোল অফিসার হিসেবে নয় বরং ফরেন্সিকের কাজে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে। প্রতিভাবান একজন উঠতি ডিটেকটিভ এবং কোয়াড্রোপেলাজিক একজন ক্রিমিনালিস্টের সমন্বয়ে শুরু হয় ইঁদুর বিড়ালের সেই চিরাচরিত খেলা...চেজিং ওয়ান অ্যানাদার। ভয়াবহ ঠাণ্ডা মাথার খুনিটি অভিনব পদ্ধতিতে খুন করতেই থাকে এবং পরবর্তী খুনের ব্যাপারেও সচেতন করে দিয়ে যায় সে সেখানেই, রেখে যায় কিছু ক্লু। কি উদ্দেশ্য তার? সে কি ধরা পড়ে? আমেলিয়া এবং রাইমের যৌথ উদ্যোগে কেসটি কোন পর্যায়ে যায়? বিখ্যাত ক্রাইম থ্রিলার নভেলিস্ট জেফ্রি ডিভারের ‘দ্য বোন কালেক্টর’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাটি তৈরি হয়েছে। জেফ্রি ডিভারের বইটা আরও বেশি লোমহর্ষক, সিনেমা যতটা না। অনেক তাড়াতাড়ি এগোয় হয়ত সেজন্য এর লোমহর্ষক ভাব হ্রাস পেয়েছে! কিন্তু লিঙ্কন রাইম মিস্ট্রির সেই চরম ট্রিটটার কমতি নেই কোথাও। লিঙ্কন রাইম চরিত্রে অভিনয় করেছে ডেঞ্জেল ওয়াশিংটন এবং আমেলিয়া স্যাকস চরিত্রে আঞ্জেলিনা জোলি। লিঙ্কন রাইম একজন উচ্চ মানের জিনিয়াস ক্রিমিনালিস্ট...তার তুলনা সে নিজেই। মানুষ ক্রাইম সিনে গিয়ে যা খুঁজে পায় না, রাইম ঘাড় উঠিয়ে ধুলো, মাটি, ট্রেস এভিডেন্স দেখে সেইসব অনায়সেই বলার ক্ষমতা রাখে। ফরেনসিকের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম জিনিসপত্রের ক্যারিশমা দেখতে চাইলে এর বিকল্প নাই। জোলির সেই অ্যাকশনধর্মী লুকটা আবারও দেখা যাবে, যেটা তার একটা আইকনিক পরিচয়ই বলা যায়। ফিলিপ নয়েসের পরিচালনায় চরম টানটান উত্তেজনাপূর্ণ এই সিনেমা সময় নষ্ট করবে না আর কিছু হলেও। A good movie about an intense crime.



The Bone Collector (1999)

IMDB rating: 6.6/10
Genre: Crime/Thriller/Mystery
Cast: Denzel Washington, Angelina Jolie, Queen Latifah
Country of Origin: USA




পঞ্চম মুভি :

“From the dear comes grief;
From the dear comes fear.
If you're freed from the dear
You'll have no grief, let alone fear.”





সিনেমার প্রথম সিন ১৯৭৪ সালের ঘটনা, যেখানে ছোট্ট ডাহলিয়া স্কুলের বাইরে দাঁড়িয়ে ভিজে ভিজে মায়ের জন্য অপেক্ষা করে। এরপরের ঘটনা সোজা ২০০৫ সালের, ডাহলিয়ার সাথে তার স্বামী কাইলের বিচ্ছেদের পর মেয়ে সিসিলিয়ার দায়িত্ব পায় সে। কাইল ডাহলিয়াকে জার্সি সিটিতে তার অ্যাপার্টমেন্টের আশেপাশে থাকতে বললে সে সিদ্ধান্ত নেয় যে সে রুজভেল্ট আইল্যান্ডে থাকবে, সেখানে একটি ভালো স্কুলও খুঁজে নিবে সে। কাইল তাকে হুমকি দেয়, এভাবে খামখেয়ালী চিন্তার কারণে সে মেয়ে সিসিলিয়ার কাস্টডির জন্য আপিল করবে এবং এও বলে যে ডাহলিয়া মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। সিসিলিয়ার স্কুলের কিছুটা দূরে ডাহলিয়া এবং সিসিলিয়া রুজভেল্ট আইল্যান্ডের একটি অ্যাপার্টমেন্টে থাকার জন্য কথা পাকাপাকি করে যায় ।সিসিলিয়ার প্রথমে ভগ্নপ্রায় বিল্ডিংটি আবাসস্থল হসেবে পছন্দ না হলেও কোন এক রহস্যময় কারণে সবশেষে সে রাজি হয়ে যায়। বিল্ডিংটার ছাদে সিসিলিয়া প্রথমদিন একটি ‘হ্যালো কিটি’ স্কুল ব্যাগ খুঁজে পায় পানির ট্যাঙ্কের ধারে। বিল্ডিং এর সুপারিটেন্ডেট ভেক তাকে বলে যদি কেউ এই ব্যাগটি চাইতে না আসে এবং ব্যাগটি কার সেটি খুঁজে না পাওয়া যায় তাহলে সেটি সে সিসিলিয়াকে দিয়ে দিবে। তারা অ্যাপার্টমেন্টে আসার পর হঠাৎ করে একদিন খেয়াল করে, শোবার ঘরের একদিক দিয়ে কালো রঙের পানি চুইয়ে পড়ছে এবং সেটা অনবরত। এরপর থেকে সিসিলিয়া এবং ডাহলিয়া তাদের আশেপাশে অদৃশ্য একজনের উপস্থিতি টের পায় সর্বক্ষণ। বিল্ডিংটির ম্যানেজারকে জানালো হলে, সেও বিষয়টি নিয়ে খুব একটা মাথা ব্যথা করে না। এদিকে অশরীরীটির ভূমিকা ক্রমেই বাড়তে থাকে তাদের জীবনে। পানির উৎস কি? অদৃশ্য সত্ত্বাটিই বা কি চায়? সিসিলিয়া এবং ডাহলিয়ার ভাগ্যে অপেক্ষা করে কোন পরিণতি? সিনেমাটি একটি জাপানী হরর সিনেমার অ্যাডাপ্টেশনে তৈরি হয়েছে, যা কোজি সুজুকির একটি ছোট গল্প ‘ফ্লোটিং ওয়াটার’ অবলম্বনে তৈরি। এই একই মানুষ ‘দ্য রিং’ হরর সিরিজেরও স্রষ্টা। সিনেমার প্রধান দিক, এর গল্প। এটা টিপিক্যাল হরর সিনেমার মত না...গল্পে একটা টাচিং ভাব আছে যেটা হরর এলিমেন্টটাকে সেভাবে টিপিক্যাল ‘হু হু হা হা (মহা ভয়ঙ্কর)’ হরর হতে দেয় না । এমনিতেই জাপানীদের হরর অনেক উচ্চ মাত্রার হয়ে থাকে, তাদের হরর গল্প বলার ধরণ আলাদা। একটা দুঃখজনক ঘটনা এবং দুর্ভাগ্যজনক কোন পরিণতিকে তারা বিষয়বস্তু বানিয়েই হররের ডার্ক শেড দেয় । প্রথম এই সিনেমাটা যখন দেখেছিলাম, ভয়ের থেকে অনেক বেশি কষ্ট পেয়েছিলাম। মন ছুঁয়ে যাওয়া একটা গল্প আছে এতে। জেনিফার কনেলিকে বিধ্বস্ত মার্কা চরিত্রে কেন জানি খুব ভালো মানিয়ে যায়। এটাতেও ব্যতয় ঘটেনি। It’s a mild horror movie which unfolds an untold grief.



Dark Water (2005)

IMDB rating: 5.5/10
Genre: Horror/Drama
Cast: Jennifer Connelly, Ariel Gade, John C. Reilly
Country of origin: USA





এই সিরিজের আগের তিন পর্বের লিঙ্ক :

ফাইভ গ্রেটেষ্ট স্টার পর্ব ১—যে পাঁচটি ভিন্ন ঘরানার সিনেমা দেখে তাদের উপর ভালো লাগা আরও পাঁচ গুণ বেড়ে গিয়েছিল =p~ =p~=p~=p~

ফাইভ গ্রেটেস্ট স্টার পর্ব ২—যে পাঁচটি ভিন্ন ঘরানার সিনেমা দেখে তাদের উপর ভালো লাগা আরও পাঁচ ধাপ বেড়ে গিয়েছিল =p~ =p~=p~=p~=p~

ফাইভ গ্রেটেস্ট স্টার পর্ব ৩—যে পাঁচটি ভিন্ন ঘরানার সিনেমা দেখে তাদের উপর ভালো লাগা আরও পাঁচ ধাপ বেড়ে গিয়েছিল =p~ =p~ =p~ =p~ =p~



**** এই লেখা সম্পূর্ণ রূপে আমার… পূর্বের কোন লেখার সাথে মিলে গেলে তা একান্তই co-incidence….no resemblance. আশা করি পোস্টটি ভালো লাগবে !!!! Happy Movie Watching !!!

মন্তব্য ৮২ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৮২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:২২

জেন রসি বলেছেন: stepmom দেখেছি।অন্য মুভিগুলো দেখা হয়নাই।জুলিয়া রবার্টস আমারো অনেক প্রিয় অভিনেত্রী। তার মোনালিসা স্মাইলস মুভিটা খুব ভালো লেগেছিল। অ্যাঞ্জেলিনা জোলির অনেক মুভি দেখেছি। তবে The Bone Collector দেখা হয়নাই। Denzel Washington এর অভিনয়ও ভালো লাগে। তাই এই মুভি অতি দ্রুত দেখে ফেলব বলে সিদ্ধান্ত নিলাম। :)

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩২

রিকি বলেছেন: জোলিকে আমার শুধু অভিনেত্রী হিসেবে না, মানুষ হিসেবেও ভালো লাগে। :) জুলিয়া রবার্টসের প্রথম দেখা সিনেমা ছিল, মাই বেস্ট ফ্রেন্ডস ওয়েডিং---তারপর থেকেই পুরোই পাঙ্খা হয়ে গেছি তার !!! :D এই পাঁচটার মধ্যে যদি সুপারলেটিভ ডিগ্রির বেস্ট সিনেমা কোনটাকে বলতে বলা হয়, undoubtedly সেটা La Ciociara (Two Women) হবে। চরম চরম চরম মাপের একটা সিনেমা। Phenomenal বললেও কম বলা হবে। :)

২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: শিরোনামের শেষে হাইস্যা গড়ায়া পড়নের ৫খান ইমো দিছেন ক্যান?

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪১

রিকি বলেছেন: ঐটা এই সিরিজের ট্রেন্ড ইমো হামা ভাই। B-) প্রত্যেকটাতেই দিয়েছি--সিনেমার সাথে মিল রেখে না কিন্তু অবশ্যই--ঐ ইমো আমার কোন পোস্টে দেয়া হয়নি তাই !!! ;)

৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৮

শায়মা বলেছেন: সন্তানের প্রতি মায়ের ভালবাসা নিখাদ হয়, কিন্তু সেই মা যখন নিজের সম্পদগুলোকে আরেকজনের হাতে কোন এক অনাকাঙ্ক্ষিত কারণে তুলে দিতে বাধ্য হয়, তখন ব্যাপারগুলো কেমন দাঁড়ায়...এই সিনেমা তারই বহিঃপ্রকাশ।
মনে হচ্ছে এই মায়ের কোনো দূরারোগ্য ব্যাধি ছিলো যার জন্য সে চাইছিলো সে যখন থাকবেনা পৃথিবীতে এই নতুন মা তার বাচ্চাদেরকে ভালোবাসুক। বাচ্চারাও তাকে বিশ্বাস করুক।:(
ম্যুভি আমি তেমন দেখিনা। তবে তুমি আমার প্রিয় মানুষ তাই তোমার ম্যুভি রিভিউ পড়ি আর এই জায়গাটাতে এসে ম্যুভি না দেখেও নিজের মনের কল্পনা দিয়ে দেখে ফেললাম আরেক চলচ্চিত্র।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪২

রিকি বলেছেন: ঠিক ধরেছেন আপুনি। নাহলে কথাটা কেন বলতাম। :( :(

৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: সময় করে দেখতে হবে। তবে Dark Water টা দেখেছি বেশ আগে ২০০৯ সালেই। তবে বরাবরের মতই জটিল হয়েছি রিকিআপু।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৩

রিকি বলেছেন: মুভি খারাপ লাগলে, নো মেগাবাইট, গিগাবাইট ফেরত !!!! ;)

৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪১

জেন রসি বলেছেন: আমি আবার ইদানীং বেশী অতীতকালের মুভি মনোযোগ দিয়া দেখতে পারিনা। মনে হয় অতিমাত্রায় সিরিয়াল দেখার ফল হইতে পারে।তাই মুভির আইডিয়া চিরাচরিত মনে হইলে আগ্রহ কমে যায়।আজকাল আবেগের চাইতেও বৈচিত্র্যময় আইডিয়া কিংবা গভীর মনোবিশ্লেষণ ভালো লাগে। অর্থাৎ বাস্তবের চাইতেও কাঠামোগত ভাবে অতিবাস্তব ধারনা দেখে মজা পাই। তবে ফ্যান্টাসি ভালো হইলে দেখতে ভালোই লাগে।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫০

রিকি বলেছেন: এই মুভি আপনার চিরাচরিত কোন কিছুর সাথে আগে পিছেও যাবে না---গ্যারান্টি !!!! :P আপনি চায়নাটাউন দেখেন, যদি আপনার পরাবাস্তব গেস---বর্ডার না পার করেছে, চায়নাটাঊনের নাম বদলে জিনিটাউন বানিয়ে দিবো !!!! ;) ;)

৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৩

শায়মা বলেছেন: ম্যুভি না দেখেই শুধু রিভিউ পড়েই লিঙ্কন রাইমের প্রেমে পড়ে গেলাম আপুনি!!!!:(

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৪

রিকি বলেছেন: রাইম প্রেমে পড়ার মতই চরিত্র !!! বুদ্ধি কি আপুনি---খালি বইটা পড়ে দেখেন !!! ;)

৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৬

শায়মা বলেছেন: আজকাল আবেগের চাইতেও বৈচিত্র্যময় আইডিয়া কিংবা গভীর মনোবিশ্লেষণ ভালো লাগে। অর্থাৎ বাস্তবের চাইতেও কাঠামোগত ভাবে অতিবাস্তব ধারনা দেখে মজা পাই। তবে ফ্যান্টাসি ভালো হইলে দেখতে ভালোই লাগে<<<<<<<<<<<<<

পর্যবেক্ষক প্রাচীন এলিয়েন, যাদের সাথে বর্তমান বিশ্বের কিছু মানুষের মস্তিস্কের যোগাযোগ আজও স্থাপিত হয় বলে ধারনা করা হয় তাদের মধ্যে জিনি ভাইয়া একজন বলেই আমার ধারনা!:)

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩১

রিকি বলেছেন: পর্যবেক্ষক প্রাচীন এলিয়েন, যাদের সাথে বর্তমান বিশ্বের কিছু মানুষের মস্তিস্কের যোগাযোগ আজও স্থাপিত হয় বলে ধারনা করা হয় তাদের মধ্যে জিনি ভাইয়া একজন বলেই আমার ধারনা!:)

=p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

৮| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ফ্যান্টাসি কম সিনেমাগুলোই ইদানিং ভাল লাগছে। বাস্তবের ওপর ভিত্তি করে যেগুলো মিস্ট্রি হয় সেগুলো তো এক্কেরে বেশি বেশি ভাল লাগে। B-)
Chinatown টা মনে হচ্ছে আজই দেখে ফেলি ডাউনলোড করে।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৫

রিকি বলেছেন: Chinatown দেখে যদি সাতদিন এর ঘটনা মাথায় না বন বন করে ঘুরেছে---তো কিছু বলেছি ভাই। মরার আগে বিশেষজ্ঞরা যে কয়টা সিনেমা দেখে মরতে বলেছে, তার মধ্যে Chinatown একটা (এই মরা মানে, বাজে মুভি দেখে দুঃখে মরা না কিন্তু !) !!!! ;) ;) আমার এখনও অবধি দেখা নয়্যের গোত্রের একটা মুভি আমি বোরিং পাইনি--একটা ট্রেস মার্ক রেখে দেয়, দেখবেন। :) :) :) :)

৯| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩২

জেন রসি বলেছেন: শায়মা বলেছেন:পর্যবেক্ষক প্রাচীন এলিয়েন, যাদের সাথে বর্তমান বিশ্বের কিছু মানুষের মস্তিস্কের যোগাযোগ আজও স্থাপিত হয় বলে ধারনা করা হয় তাদের মধ্যে জিনি ভাইয়া একজন বলেই আমার ধারনা!:)

বিভিন্ন কারনে মনে হচ্ছে এলিয়েন তত্ত্ব আপনার ভালো লাগে। তবে এই তত্ত্ব কিন্তু এখনো অনেকটাই ছদ্ম বিজ্ঞান।তাই সেসব এলিয়েনদের সাথে যোগাযোগ থাকা মানে আমিও ছদ্ম মানুষ হতে পারি!!

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৬

রিকি বলেছেন: তাই সেসব এলিয়েনদের সাথে যোগাযোগ থাকা মানে আমিও ছদ্ম মানুষ হতে পারি!!

এটা আমারও সন্দেহ !!!!! B-)) B-))

১০| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২১

সুমন কর বলেছেন: আপনি খুব পচা !!! ;) এত সুন্দরভাবে রিভিউ লিখেন আর মুভি দেখার আগ্রহ বাড়িয়ে দেন। +।

এমনিতেই আমার পিসি'র জায়গা কম। তারউপর বেশ কিছুদিন ব্যস্ততার কারণে মুভি দেখতে পারছি না। /:)

আপনার লিস্টের শেষ ২টি মুভি দেখেছি। !:#P ২ ও ৩ দেখার লিস্টে রাখলাম।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৯

রিকি বলেছেন: দুই নম্বর চায়নাটাউন (না দেখলে চরম মিস), তিন নম্বর স্টেপমম (মন খারাপ করে দেয়)! :( দাদা এক নম্বর?? পুরনো দেখে বাদ!! :(

১১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫০

সুমন কর বলেছেন: ২ নংটা বহুহুহুহু আগেই লিস্টে আছে...কিন্তু নতুন মুভির ঝালায় আর পিসির জায়গা স্বল্পতার কারণে নামাচ্ছি না। এখনো পিসিতে ৫/৬টা না দেখা মুভি রয়েছে।

Kramer vs. Kramer (1979) আজ দেখবো বলে ঠিক করেছিলাম কিন্তু এখন অন্য একটা কাজে যেতে হবে....তাই মনে হয় আজ আর দেখা হবে না !!! :(

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০৩

রিকি বলেছেন: Krammer vs. Krammer ভালো লেগেছে...সিনেমাতে মেরিল স্ট্রিপের মুখ খুব কম জায়গায় সাদা দেখবেন...কেঁদে কেঁদে মুখ টমেটো বানিয়ে রাখে! :( খুব টাচি একটা সিনেমা কিন্তু ঝপ করে শেষ টানাটাই একটু কেমন জানি লাগে! :( তাছাড়া ভালো সিনেমা..এর নকল Akele hum akele tum :P

১২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২৯

শায়মা বলেছেন: @জিনি ভাইয়া
ছদ্ম মানুষ ও প্রকৃত মানুষ এ দুই নিয়ে ভাবলেই আমার মনে পড়ে লালনকে। লালন তত্ব বা লালন দর্শনে লালন বিশ্বাস করতেন সকল মানুষের মাঝে বাস করে এক মনের মানুষ। তিনি বিশ্বাস করতেন মনের মানুষের কোন ধর্ম, জাত, বর্ণ, লিঙ্গ, কূল নেই। মানুষের দৃশ্যমান শরীর এবং অদৃশ্য মনের মানুষ পরস্পর বিচ্ছিন্ন। সকল মানুষের মনে ঈশ্বর বাস করেন।

লালন, মানব আত্মাকে বিবেচনা করেছেন রহস্যময়, অজানা এবং অস্পৃশ্য এক সত্তা রূপে। খাঁচার ভিতর অচিন পাখি গানে তিনি মনের অভ্যন্তরের সত্তাকে তুলনা করেছেন এমন এক পাখির সাথে, যা সহজেই খাঁচা রূপী দেহের মাঝে আসা যাওয়া করে কিন্তু তবুও একে বন্দি করে রাখা যায় না।

ঠিক তেমনি এই ছদ্ম মানুষ ও প্রকৃত মানুষ একে অন্যের সাথে জড়িত আমার মতে। ছদ্ম মানুষটা উপরের এই আমি বা তুমি কিন্তু প্রকৃত মানুষ আমাদের অন্তরে রয়েছে। যাও এই পার্থীব জগতের মোহমায়া জালে পড়ে ছদ্মাবেশে থাকে।

আবারও বলছি---

ছদ্ম মানুষ ও প্রকৃত মানুষ এ দুই নিয়ে ভাবলেই আমার মনে পড়ে লালনকে। লালন তত্ব বা লালন দর্শনে লালন বিশ্বাস করতেন সকল মানুষের মাঝে বাস করে এক মনের মানুষ। তিনি বিশ্বাস করতেন মনের মানুষের কোন ধর্ম, জাত, বর্ণ, লিঙ্গ, কূল নেই। মানুষের দৃশ্যমান শরীর এবং অদৃশ্য মনের মানুষ পরস্পর বিচ্ছিন্ন। সকল মানুষের মনে ঈশ্বর বাস করেন।

ঠিক একই ভাবে পিকে ম্যুভিতে আমরা দেখেছি একজন এলিয়েন যিনি মহাকাশ যান থেকে ঠাস করে পড়ে এই পৃথিবীর মানুষের হাল চাল কিছুই বুঝে উঠতে পারেনা। তিনিও বিশ্বাস করতেন মনের মানুষের কোন ধর্ম, জাত, বর্ণ, লিঙ্গ, কূল নেই। সবাই মানুষ যেমন তারা সবাই এলিয়েন । এখন আমার মতে তুমিও পিকে ম্যুভির মত ছদ্মবেশি এলিয়েন জিনি ভাইয়া। এখন আবার আমার মাথায় তো আরেক প্রশ্ন আসলো। তবে লালন ? তিনিও কি ......?

মনে হয় সবাই মিলে এইবার আমাকে পাগলা গারদে পাঠানোর ব্যাবস্থা করবে তার চাইতে বরং চুপ থাকি।:(ছদ্ম মানুষ ও প্রকৃত মানুষ এ দুই নিয়ে ভাবলেই আমার মনে পড়ে লালনকে। লালন তত্ব বা লালন দর্শনে লালন বিশ্বাস করতেন সকল মানুষের মাঝে বাস করে এক মনের মানুষ। তিনি বিশ্বাস করতেন মনের মানুষের কোন ধর্ম, জাত, বর্ণ, লিঙ্গ, কূল নেই। মানুষের দৃশ্যমান শরীর এবং অদৃশ্য মনের মানুষ পরস্পর বিচ্ছিন্ন। সকল মানুষের মনে ঈশ্বর বাস করেন।[

লালন, মানব আত্মাকে বিবেচনা করেছেন রহস্যময়, অজানা এবং অস্পৃশ্য এক সত্তা রূপে। খাঁচার ভিতর অচিন পাখি গানে তিনি মনের অভ্যন্তরের সত্তাকে তুলনা করেছেন এমন এক পাখির সাথে, যা সহজেই খাঁচা রূপী দেহের মাঝে আসা যাওয়া করে কিন্তু তবুও একে বন্দি করে রাখা যায় না।

ঠিক তেমনি এই ছদ্ম মানুষ ও প্রকৃত মানুষ একে অন্যের সাথে জড়িত আমার মতে। ছদ্ম মানুষটা উপরের এই আমি বা তুমি কিন্তু প্রকৃত মানুষ আমাদের অন্তরে রয়েছে। যাও এই পার্থীব জগতের মোহমায়া জালে পড়ে ছদ্মাবেশে থাকে।

আবারও বলছি---

ছদ্ম মানুষ ও প্রকৃত মানুষ এ দুই নিয়ে ভাবলেই আমার মনে পড়ে লালনকে। লালন তত্ব বা লালন দর্শনে লালন বিশ্বাস করতেন সকল মানুষের মাঝে বাস করে এক মনের মানুষ। তিনি বিশ্বাস করতেন মনের মানুষের কোন ধর্ম, জাত, বর্ণ, লিঙ্গ, কূল নেই। মানুষের দৃশ্যমান শরীর এবং অদৃশ্য মনের মানুষ পরস্পর বিচ্ছিন্ন। সকল মানুষের মনে ঈশ্বর বাস করেন।

ঠিক একই ভাবে পিকে ম্যুভিতে আমরা দেখেছি একজন এলিয়েন যিনি মহাকাশ যান থেকে ঠাস করে পড়ে এই পৃথিবীর মানুষের হাল চাল কিছুই বুঝে উঠতে পারেনা। তিনিও বিশ্বাস করতেন মনের মানুষের কোন ধর্ম, জাত, বর্ণ, লিঙ্গ, কূল নেই। সবাই মানুষ যেমন তারা সবাই এলিয়েন । এখন আমার মতে তুমিও পিকে ম্যুভির মত ছদ্মবেশি এলিয়েন জিনি ভাইয়া। এখন আবার আমার মাথায় তো আরেক প্রশ্ন আসলো। তবে লালন ? তিনিও কি ......?

মনে হয় সবাই মিলে এইবার আমাকে পাগলা গারদে পাঠানোর ব্যাবস্থা করবে তার চাইতে বরং চুপ থাকি।:(

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩৮

রিকি বলেছেন: বলেন আপুনি আমি স্পিকার হয়ে আছি.. !! ;) ;)

১৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫০

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: ''চায়নাটাউন'' আর ''স্টেপমম''
দেখেছিলুম আগে;
রিভিউ দেখে পড়লো মনে
দেখার আবার সাধ যে জাগে।

নিকোলসন আর ফে ড্যানাওয়ে
সে আমলের জ্যোতি;
জুলিয়া রবার্ট স্বমহিমায়
শীর্ষে আজো খ্যাতি।

‘দ্য বোন কালেক্টর’ দেখবো শিওর
এই করলুম পণ;
এঞ্জেলিনা শাষন করে
এ দিলের সিংহাসন :P

বাকী দুটোও দেখতে পারি
সুযোগ পেলে কাভি;
অবসরে মুভি দেখা
জেনো আমার হবি।

এবার আসি মূল কথা
পোষ্টের ব্যপারে;
জয়তূ রিকিপুনি
বাহারে খাসারে !:#P B-)

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪২

রিকি বলেছেন: জোলিকে আমার চরমমমম ভালো লাগে...Attitude ই আলাদা ভাই. B-)

১৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫৩

শায়মা বলেছেন: লেখক বলেছেন: বলেন আপুনি আমি স্পিকার হয়ে আছি.. !! ;) ;)

স্পিকার এবং নিস্পিকার মানে নির্বাক এই দুই এর মাঝে পার্থক্য না বুঝার মত নির্বোধ বালিকা তুমি নও রিকিমনি। সে আমরা জানি। এটা ছাড়াও তুমি আমার তালিকায় এখন শ্রেষ্ঠ জিনিয়াসদের একজন। এই শ্রেষ্ঠ জিনিয়াসদের একজন হয়ে যদি এমন নির্বাক স্পিকার মানে নিস্পিকার হও তো আমার মান সন্মানটা কোথায় যায় বুঝতে পারো??? :(

না না এ কিছুতেই চলবেনা । তোমার স্পিকার হবার বিষয়টি আমি মেনে নিতে পারিনা। যে কোনো মূল্যে তোমাকে এই পৃথিবীর সকল কিছু জেনে নিয়ে আমাদেরকে জানাতে হবে। তোমার জানা তুমি জানবে আর আমাদেরকে তা জানাবে। কারণ তুমি আমাদের অমূল্য সম্পদ সমগ্র ব্লগ সমাজের নারী জাতির গৌরব একমাত্র রিকিমনি। আমরা তোমাকে ভালোবাসি । কাজেই তোমাকে হইতে হইবে সর্বিদৌষু মানে বিদুষী কন্যা!:)

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৪

রিকি বলেছেন: আপুনি এবার বোধ হয় আমি জ্ঞান হারাতে চলেছি! ;) ;)

১৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১৫

জেন রসি বলেছেন: @শায়মা আপু,

আপনার এই জ্ঞানগর্ভ মন্তব্য পড়ে রিকি আপু অলরেডি স্পিকার হয়ে গেছেন!! :P আমি কি হব ভাবছি!! :P

লালনের দর্শনকে অনেক ভাবেই ব্যাখ্যা করা যায়। মনের মানুষ নিয়ে এই ব্যাখ্যাটাও ভালো হয়েছে।তবে লালন স্রষ্টা এবং সৃষ্টিকে একই বিন্দুতে দেখতে পেতেন।অর্থাৎ স্রস্টা এবং সৃষ্টি একে অপর থেকে বিচ্ছিন্ন কিছুনা। তিনি এটাই বলতে চেয়েছেন সব রহস্য মানব মনেই আছে এবং ঠিকমত অনুসন্ধান করলে সবই উপলব্ধি করা যাবে। তবে দেহ থেকে মনকে বিচ্ছিন্ন কিছু ভেবেছিলেন বলে মনে হয়না। তবে নিজের ভিতরের যা কিছুকে তিনি উপলব্ধি করতে পারেননি তাকেই হয়তোবা অচিন পাখি কিংবা মনের মানুষ বলেছেন।

মানুষ নিজেই নিজের কাছে অনেকভাবেই অজানা। সেই ভাবে চিন্তা করলে আপনিও কিন্তু এলিয়েন হতে পারেন! অর্থাৎ আমাদের সবার মধ্যে এমন কিছু ব্যাপার আছে যা আমরা কখনো ধরতে কিংবা বুঝতে পারিনা। সেইভাবে চিন্তা করলে এটা বলা যায় আমরা সবাই একই সাথে মানুষ এবং এলিয়েন!! ;)

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৭

রিকি বলেছেন: ভাই আমি স্পিকার হয়েছি...খুব জলদি শাপলা চেয়ারের তলা দিয়ে পালাতে পারি...আপনি আমার স্থলে স্পিকার হয়ে যান! :D :D

১৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪১

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: ওরে বাপরে মুভি নিয়ে কী গবেষণা !!!

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫০

রিকি বলেছেন: হা হা হা হা....:D

১৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫২

জেন রসি বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভাই আমি স্পিকার হয়েছি...খুব জলদি শাপলা চেয়ারের তলা দিয়ে পালাতে পারি...আপনি আমার স্থলে স্পিকার হয়ে যান! :D :D

এলিয়েন তত্ত্ব নিয়ে আপনার মতামত না দেওয়া পর্যন্ত আপনাকে ছাড়া হচ্ছে না। শাপলা চেয়ারে বসেই যা বলার বলে ফেলুন। শায়মা আপুর লালন বিশ্লেষণ নিয়েও আপনার মতবাদ জানতে চাই! ;)

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩০

রিকি বলেছেন: এলিয়েনরা E. T র মত দেখতে হয়..E.T স্পিলবার্গ বানিয়েছিল..সেখানে আমরা ড্রিউ ব্যারিমোরকে বাচ্চাকালের চেহারায় দেখতে পায়..তখনও অনেক কিউট ছিল..সামনে কোন পোস্টে ড্রিউ ব্যারিমোরকে আমি আনতেও পারি...এই হল এলিয়েন তত্ত্ব! ;) আর লালন সাঁইয়ের মাজার কুষ্টিয়াতে আছে...প্রত্যেক বছরে সেখানে বাউল মেলা হয়...বাউল থেকে মনে পড়লো...বাউলরা একতারা বাজায়..জেন ভাই দোতারা...আর আপুনি সেতার...ও লালনের জীবনীর উপরে মনের মানুষ নামের বই লিখেছিল নীললোহিত এবং সিনেমা বানিয়েছিল গৌতম ঘোষ...গৌতম ঘোষ বাইশে শ্রাবণে অনেক কবিতা লিখে রেললাইনের কাছে গিয়ে আউড়াতো...বাইশে শ্রাবণ 'তোমারে যা দিয়েছিনু, সে তোমারি দান...গ্রহণ করেছ যত ঋণী তত করেছ আমায়...হে বন্ধু বিদায়" বলে শেষ হয়...এটা বন্যা মিতাকে লিখেছিল...সবশেষে এই হল লালন তত্ত্ব! :D বুঝতে পেরেছেন না আরও বোঝাবো! ;) ;)

১৮| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫২

শায়মা বলেছেন:
শ্রীরামকৃষ্ণের মতে জ্ঞান ও অজ্ঞান বা অজ্ঞতার সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, এক জানার নাম জ্ঞান, অনেক জানার নাম অজ্ঞান বা শেরেক । নিরাকারে থেকে সাকারে যেতে হবে । আপন গতিতে মিলিয়ে আনতে হবে শক্তির গতি শক্তি, ধারা ও যাত্রার শক্তির প্রজ্ঞা ।
সাধক ধ্যানি ও জ্ঞানীর ছায়া, মুক্তির আদর্শ ছাড়া ও সংযোগদানকারী ছাড়া সকলই অপবিত্র । কথায় কাজে বিষয়ে অহমিকতা থাকে তাদের দেহমান । বিশ্বাস হলেই বিশ্বজয় ।

তুমি অনেক জানিয়া গিয়াছো বালিকা আর তাই এখন জ্ঞান হারাইবার সময় আসিয়াছে। কাজেই অবাক হইবার কিছু নাই। আনন্দে থাকো। সুখে থাকো। ভালোবাসায় থাকো।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩৯

রিকি বলেছেন: আহা আজ আপনাকে আর কার কার আসরে পেয়েছে? :P :P এবার কি রাণী রাসমণি বলতে চলেছে???

১৯| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩৪

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: ও, আরেকটা রিভিউ। /:)

সিনেমার নামগুলা পড়ছি। তিনখান দেখছিও। B-))

কমেন্ট শেষ, টাটা। :)

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪৩

রিকি বলেছেন: ভাই আপনাকে তাহলে জ্যাক আন্ড দ্য বিন ট্রি এর গল্প বলি? ;) ;)

২০| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩৫

জুন বলেছেন: রিকি আমার অনেক অনেক প্রিয় অভিনেত্রীদের নিয়ে লেখা রিভিয়ু পড়ে মুগ্ধ হোলাম । সোফিয়া লোরেন আমার অল টাইম ফেভারিট । তার ইট স্টারটেড ফ্রম নেপলস , টু ওমেন তো আছেই ফল অফ দ্যা রোমান এম্পায়ার কাসান্দ্রা ক্রসিং সানফ্লয়াওয়ার আর কত কত বলবো সেই বিখ্যাত নায়িকার কথা সাথে মার্সেলো মাস্ত্রোইয়ানী ।
আর জুলিয়া রবার্টসকে ভালো লেগেছিল রিচার্ড গিয়ারের সাথে তার প্রানবন্ত অভিনয় প্রিটিওমেন থেকে তার সব ম্যুভি ।
এঞ্জেলিনা জোলিকে তার একশন ছবিতে ই ভালোলাগে ।
শুভকামনা রইলো অনেক ।
+

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫৫

রিকি বলেছেন: আপি পোস্ট দেয়ার পর থেকেই আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় ছিলাম..আপনাকে বলেছিলাম সোফিয়া লরেনকে নিয়ে লিখব...আজ লিখেই দিয়েছি. :) সোফিয়া লরেনের খুব বেশি সিনেমা দেখার সৌভাগ্য হয়নি কিন্তু যে কয়টা দেখেছি Awesome অভিনেত্রী..টু ওমেন আমার দেখা অন্যতম ভালো লাগা সিনেমার একটা...কি অভিনয়...খুব কম সিনেমা মনকে নাড়া দেওয়ার মত বা একটা চাপা কষ্ট দাওয়ার মত বিশেষত্ব রাখে...এটা সেরকম একটা. রবার্টস আর জোলি নিজ নিজ বৈশিষ্ট্যে অসাধারণ.অনেক অনেক ভালোলাগা রইল আপি মন্তব্যে :)

২১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪১

এস কাজী বলেছেন: রিকিপুভাই, একটা মুভি দেখলাম মাত্র বোন কালেক্টার টা। তয় এত সুন্দর রিভিউর জন্য আপনাকে অস্কার অফার করলাম। আপনার পিলিগ লাগে অস্কার রিজেক্ট কইরেন না।

আর আমার আম্মাজান দেখি উপ্রে রচনা লিখসে। কিসের উপর লিখসে? =p~

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫৮

রিকি বলেছেন: এ মণিহার আমায় নাহি সাজে! :( আপনার আম্মাজান লালনের এলিয়েন তত্ত্ব দিয়েছেন...আর জেন ভাই এলিয়েনের লালন তত্ত্ব! ;) ;)

২২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২২

সাহসী সন্তান বলেছেন: আমার আগেই দেখি অনেক বিজ্ঞ সুধী জন মন্তব্য করে ফেলেছেন! সুতরাং রিভিউ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে আমার কিছু বলার নাই! তাছাড়া আপনার উপর আমার অসম্ভব রকমের আড়ি, কারন পোস্টটা ফ্রি থাকতে চাইছিলাম তখন দেননি? এখন এটা আমার কোন কাজের না! দলীয় লোকের আবদার না মেটানোর জন্য আপনার নামে আমি সাড়ে ৬৫৬ ধারায় মামলা দায়ের করতে বাধ্য!

প্রস্তত থাইকেন কারন যে কোন সময় আপনার ঠিকানায় উকিল নোটিশ যেতে পারে?

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২৩

রিকি বলেছেন: ভাই সত্যি কথা ইদানিং একটা নতুন উদ্যোগে একটু সময় দিতে হয়...এ কারণে ইচ্ছা থাকলেও সময়মত পোস্ট দিতে পারছি না...! :( উকিলের নোটিশ পাঠান...আদালত আদালত গেম খেলব, হাতুড়ি থাকবে আমার হাতে! :P

২৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৫:৫১

আরজু পনি বলেছেন:
গৃহকর্মের ঠেলায় আর পিসির বৈরি আচরণের জন্যে ইদানিং সিনেমা দেখায় ভাটা যাচ্ছে :(
আপনার পোস্ট দেখে মনটা কেমন আনচান করছে :(

পোস্টে অনেক ভালো লাগা রইল ।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:৩৩

রিকি বলেছেন: আমিও চিন্তায় থাকি এই ল্যাপটপ ডেস্কটপের বৈরীতা নিয়ে...একটু উল্টাপাল্টা দেখলে এ কারণে ঠিক করে নিই। আপনি যেহেতু সিনেমা দেখতে ভালবাসেন, সেহেতু যে কোন দিন সময় বের করে আপনি দেখে ফেলবেনই ফেলবেন সিনেমাগুলো এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস...মন্তব্যে অনেক অনেক ভালোলাগা রইল আপু. :)

২৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৫:৫২

আরজু পনি বলেছেন:
ওহ প্রিয়তেও নিলাম B-)

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:৩৪

রিকি বলেছেন: B-) B-) B-)

২৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৯

কাবিল বলেছেন: আমার জন্য কিছু ভয়ানক/ভৌতিক সিনেমার লিঙ্ক দিলে খুশি হতাম।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫

রিকি বলেছেন: ভাই পলটারজিস্ট দেখা আছে?? না থাকলে দেখতে পারেন। :) :) আর ভয়ানক সিনেমা এখন আর তেমন দেখি না !!! :(

২৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৪

শামছুল ইসলাম বলেছেন: আমি মুভি খুব একটা দেখি না।
তবে আপনার বর্ণনা ভঙ্গিটা ভাল লেগেছে।

ভাল থাকুন।সবসময়।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৯

রিকি বলেছেন: মনে যা আসে লিখে ফেলি ভাইয়া---এই তো। :) :) :) মন্তব্যে অনেক অনেক ভালোলাগা রইল :) :)

২৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:১৩

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ছবি না দেখলেও গল্প গুলো পড়তে ভালো লেগেছে। শুভেচ্ছা।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৫

রিকি বলেছেন: মন্তব্যে অনেক অনেক ভালোলাগা রইল আপু :) :) :) :)

২৮| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৪

হাসান রাজু বলেছেন: আপনার রিভিউ অসাধারণ । Hideo Nakata'র ডার্ক ওয়াটার (জাপানিজ মুভিটা) ভাল লেগেছে বেশি । ফিনিসিং অসাধারণ ছিল । Walter Salles'র টা যেহেতু রিমেক সেহেতু আগেরটাকে ছাড়িয়ে যাওয়াটা অনেক বেশি চেলেঞ্জিং ছিল । Two Women আর Stepmom টা দেখা হয় নাই । আপনি যেহেতু বলেছেন ভাল অতএব চোখ বন্ধ করে ডাউনলোড করা উচিৎ ।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫১

রিকি বলেছেন: Hideo Nakata'র ডার্ক ওয়াটার (জাপানিজ মুভিটা) ভাল লেগেছে বেশি । ফিনিসিং অসাধারণ ছিল । Walter Salles'র টা যেহেতু রিমেক সেহেতু আগেরটাকে ছাড়িয়ে যাওয়াটা অনেক বেশি চেলেঞ্জিং ছিল ।

জাপানীটা যে অসাধারণ হবে, সেটা বোঝায় যায় ভাইয়া, ওরা হরর এলিমেন্টকে সেভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারে, ভয়ের কিছুই নাই, তারপরেও আবহটাই ভয় ধরিয়ে দেয়। রিমেকটা আমার প্রথম দেখা হয়েছিল, কনেলির অভিনয় ভালো লেগেছিল। :) :) :) :)

Two Women আর Stepmom টা দেখা হয় নাই । আপনি যেহেতু বলেছেন ভাল অতএব চোখ বন্ধ করে ডাউনলোড করা উচিৎ ।

নির্দ্বিধায় দেখতে পারেন। অসাধারণ সিনেমা বিশেষ করে টু ওমেন। স্টেপমম ও মন ছুঁয়ে যায়। :) মন্তব্যে অনেক অনেক ভালোলাগা রইল :)

২৯| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৮

শায়মা বলেছেন: ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩৯ ০
লেখক বলেছেন: আহা আজ আপনাকে আর কার কার আসরে পেয়েছে? :P :P এবার কি রাণী রাসমণি বলতে চলেছে???


আমি বা ছিলাম না কোনো জমিদার গিন্নী। দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ি না কোনো তীর্থস্থানও গড়িনি আমি তবুও রামকৃষ্ণ পরমহংসের অহিংস নীতি এবং জনহিতৈষীমূলক কাজকর্ম করে বাকী জীবনটা কাটিয়ে দেবো ভাবছি। খ্যাতি অর্জনের জন্য নহে। এ আমার বাসনা! কিসের তরে এ মহান বাসনা সে না হয় নাই শুনিলে বালিকা। নাই জানিলে। তবে রাণী রাসমনির হইবার সাধের সাথে সাথে চিতরের রাণী কর্ণবতী বা রাজিয়া সুলতানা হইবারও সাধ জাগে মনে। বড় সাধ জাগে! আহা কত নিবৃত বাসনা নিয়েই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করিতে হইবে আমার!:(
আমার বাহাদূর শাহ ( সাহসী সন্তান) ভাই থাকিতে ভয় কি? সাথে আছেন মহান যোগ সাধক জেনভাইয়াজান। আর কাকে লাগে বলো। ওহ জামাই বাবাকেও সঠিক দীক্ষা গ্রহন করাইতে হইবে। তাহার চিত্ত বড়ই চঞ্চল ।মতিগতীর ঠিক ঠিকানা নাই। তবে তাহাকে আপাতত জামাই বাবা হইতে জামাইভাইয়া বানাইয়া হুমায়ুন বাদশার রোল দেওয়া যাইতে পারে।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৪

রিকি বলেছেন: ভাউ রে শাহজাহান বানিয়ে দেন---মোবাইলে ভিডিও কল করে মমতাজরে পটাইবে !!!! ;) ;) ;)

৩০| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: উকিলের নোটিশ পাঠান...আদালত আদালত গেম খেলব, হাতুড়ি থাকবে আমার হাতে!

-আদালত আদালত খেলার খুব শখ? :`> যেদিন নোটিশ যাবে, সেদিনই বুঝবেন কত ধানে কত চাল? আপনার হাতে হাতুড়ি থাকলেও অর্ডার করার সময় পাইবেন না?..............হুঁ..............! :P :P

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৯

রিকি বলেছেন: আমার হাতে হাতুড়ি আসলে আমি থর এর নাতনী হয়ে যায়---মনে রাইখেন !!!!! B-)) B-))

৩১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫১

সাহসী সন্তান বলেছেন: কত্ত দেখলাম....................! :#) আপনি কি তাইলে থরের হারিয়ে যাওয়া সেই নাতনী...........?? :P

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫২

রিকি বলেছেন: হ্যা :P

৩২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৩

শায়মা বলেছেন: @ জেন রসিভাইয়া
স্রষ্টা এবং সৃষ্টি
বাউলের জীবন সাধনা অজান মানুষের সন্ধানে। কে এই অজান মানুষ? সে অজান মানুষ সে নিজেই । তার বাস তার নিজঘরেই। স্রষ্টাকে দূরে রেখে তার সাধনা করতে রাজি নয় তারা । স্রষ্টাকে খুজে পাতে চায় তারা, তাকে চিনতে চায়, তাকে জানতে চায় । বাউল দেহতাত্ত্বিক এবং গুরুমুখী ধর্মে গুরু পথের দিশারি কিংবা স্রষ্টাকে পাবার পাথেয় । আর দেহ সেই জগত স্রষ্টার উপাসনালয় । তাই বাউলেরা দেহের সাধনায় পেতে চায় দেহাভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা মনের মানুষের দেহাতীত সংস্পর্শ কিংবা সান্নিধ্য।

বাউল দর্শনের সাথে সূফি দর্শনের সাযুজ্য-সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্য বহুল আলোচিত । এ দুই দর্শনের মাঝে একটা জায়গায় প্রচন্ড মিল – আর তা হল উভয়ই আত্মোপলব্ধিমূলক সাধনায় ব্রতী । উভয়ই স্রষ্টাকে দূরে না রেখে দেহাভ্যন্তরেই তার সিংহাসন ও অবস্থিতির কথা বলে । কিন্তু এ সাধনায় সিদ্ধি লাভের পথ দুই দর্শনে একেবারেই আলাদা ।

উপাসনা নাই গো তার
দেহের সাধন সর্ব-সার
তীর্থ ব্রত যার জন্য
এ দেহে তার সকল মিলে ।

কিন্তু দেহ বলো আর মন বলো কিংবা সৃ্ষ্টি বা স্রষ্ঠা!
কোথায় পাবো তারে? আমার মনের মানুষ যারে?
তাই তো আমরা অচিনপাখি----
এলিয়েন বললে তাই সই। অচিন এলিয়েন!:(

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২০

রিকি বলেছেন: B:-) B:-) ইহা কি ??? কোন ভাষায় লিখেছেন- অবহঠট !!!!

৩৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: তাইতো বলি, সেজন্যই কেমন যেন চেনা চেনা লাগছিল! :P

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২১

রিকি বলেছেন: ;)

৩৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০০

আলোরিকা বলেছেন: এ পর্বে দেখি ৯৮% কমন পড়েছে ! :D আমার অবশ্য সব সময়ের পছন্দ হেপবার্ন - তার রোমান হলিডে , মাই ফেয়ার লেডি , ব্রেক ফার্স্ট এট টিফানি , হেলেন কিলার(?) যত বারই দেখি ভাল লাগে । তার সৌন্দর্য , ব্যক্তিত্ব ,খুনসুটি আমি মুগধ হয়ে দেখি !

পুনশচ: মুভি রিভিউ বিষয়ে পূর্বের মন্তব্য বহাল থাকিল ! :D

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২৭

রিকি বলেছেন: হেপবার্নের চুলবুলি ভাবটা, আর কথা বলার স্টাইল সব থেকে বেশি ভাল লাগে আমার...দ্বিতীয় পর্বে আপু মাই ফেয়ার লেডি আর তৃতীয় পর্বে রোম্যান হলিডে আছে..পুরনো যুগের সিনেমা আর বর্তমানের সিনেমার মধ্যে আমার যে পার্থক্যটা চোখে বেশি ধরা পড়ে..সেটা অভিব্যক্তি..অড্রে হেপবার্ন, সোফিয়া লরেন, ক্যাথরিন হেপবার্ন, কিছুটা পরের দিকে মেরিল স্ট্রিপ, জেন ফন্ডা এরা অভিনয় করতেন নিজেকে উজার করে দিয়ে..অভিব্যক্তিটাই মুখ্য..গ্ল্যামার মলিন হয়ে যায় তাদের সেই অভিব্যক্তির কাছে....বর্তমানের যুগে হাতে গোনা কয়েকজন নায়িকা বাদে বাকিগুলো সবকিছু করবে অভিব্যক্তিটা বাদ দিয়ে, খুব scarce amount এ সেটা পাবেন তাদের মধ্যে...মন্তব্যে অনেক অনেক ভালোলাগা রইল আপু :)

৩৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪৭

জুন বলেছেন: আপনাকে সোফিয়া লোরেন আর ক্লাক গেবলসের it started from neples mouvie টা দেখার অনুরোধ করছি। যদিও এটা আমাদের যুগের সিনেমা নয় তারপর ও তাদের অভিনয়ে মুগ্ধ না হয়ে পারবেন না রিকি। বিশেষ করে ভাগ্নে নান্দোর অভিনয়। অসাধারন কমেডি জানি না এই টাইপ আপনার পছন্দ কি না :)

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪৯

রিকি বলেছেন: আপি অবশ্যই দেখার চেষ্টা করবো. পুরনো সিনেমা কমেডি, ট্রাজেডি সবই দেখি...আমার ভাল লাগে কেন জানি সেই সময়টাকে। :) :) :)

৩৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১৭

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: চালিয়ে যান , অনেকদিন পর আসা হল । এবং আপনার পোস্ট দেখা হল :) ভালো থাকবেন ।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫১

রিকি বলেছেন: আপনার পোস্ট ফেসবুকে মাঝেমধ্যেই দেখি ভাইয়া...কোরিয়ান মুভি অফ দ্য উইক..:) :)

৩৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০০

সাহসী সন্তান বলেছেন: আমার শায়মা আপুনির যে আজ কি হলো? যেখানেই যাচ্ছি সেখানেই দেখি ভাবের কথাবার্তা? এখন আমি তো একলা হইয়া গেলাম! জিনি ভাউ আছেন কুনাই? আসেন মোরা দুইজন একলগে মিইল্যা এলিয়েন তত্ত্ব দিয়ে আপুনির ভাবকে প্রশমিত করতে পারি কি না? যদিও এভাব সহজে ভাঙা যাবে কিনা জানিনা......!!

রিকি আপু, আমাদের কাজে ইচ্ছা হলে হেল্পাইতে পারেন? আর না পারলে ফুল স্প্রিডে গান ছাইড়া আপাতত স্পিকার থাকেন? আপনার সামনে দুইটা অপশন, কোনটা বেছে নেবেন সেটা আপনার ব্যাপার!

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:২২

রিকি বলেছেন: ফুল স্প্রিডে গান ছাইড়া আপাতত স্পিকার থাকেন

এই অপশন টাই তো ভালো মনে হচ্ছে !!!!!!! B-)) B-)) B-))

৩৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:২২

আহমেদ জী এস বলেছেন: রিকি ,




সাধারনত আমি সিনেমা রিভিউ সংক্রান্ত কোনও পোষ্টে যাইনে । একদম নিরামিষ বলেই হয়তো ।
তবু কি খেয়াল হলো ঢুকে পড়লুম আর ভূমিকাতে জুলিয়া রবার্টস এবং সোফিয়া লরেন এর নাম দেখে বাকীটুকুও দেখে এলুম ।
বেশ ভালো রিভিউ হয়েছে ।

সহজাত প্রবৃত্তি অনুসারে, মানুষ কল্পনা করতে ভালবাসে, বলেছেন । আমিও একসময় (আমি কেন আমার মতো প্রায় সবাই-ই )সিনেমা দেখে ঘরে ফেরার পথে নিজেকে নায়ক নায়ক ভাবতুম । কি যে সুখ ছিলো তখন !!!!!!!!!!!

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৩

রিকি বলেছেন: সাধারনত আমি সিনেমা রিভিউ সংক্রান্ত কোনও পোষ্টে যাইনে । একদম নিরামিষ বলেই হয়তো ।
তবু কি খেয়াল হলো ঢুকে পড়লুম আর ভূমিকাতে জুলিয়া রবার্টস এবং সোফিয়া লরেন এর নাম দেখে বাকীটুকুও দেখে এলুম ।
বেশ ভালো রিভিউ হয়েছে ।


আহা ভাই খুশিতে দশখানা হয়ে গেলাম। জান খোলা হাসির ইমো দিতে চলেছি !!!! B-)) B-)) B-))

সহজাত প্রবৃত্তি অনুসারে, মানুষ কল্পনা করতে ভালবাসে, বলেছেন । আমিও একসময় (আমি কেন আমার মতো প্রায় সবাই-ই )সিনেমা দেখে ঘরে ফেরার পথে নিজেকে নায়ক নায়ক ভাবতুম । কি যে সুখ ছিলো তখন !!!!!!!!!!!

ভাইয়া ছোট বেলায় আই ড্রিম অফ জিনি নামে একটা সিরিয়াল দেখতাম---যেটার চিত্রনাট্য সিডনি শেলডন লিখেছিলেন। নিজেকে জিনির জায়গায় কল্পনা করতে ভালো লাগত, যখন খুশি যেখানে খুশি চলে যেতে পারত আর ম্যাজিক জানতো। দিনে যে কয়বার হত, সে কয়বারই দেখতাম !!!! আহা কি দিন ছিল, সেইসব, সেই মজাটা আর পায়না !!! :( :(

এই সেই জানের প্রাণের প্রোগ্রাম--আই ড্রিম অফ জিনি




এই আমার সেই জিনি---বারবারা এডেন =p~ =p~


৩৯| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ম্যুভি দেখার সময় নেই কিন্তু আপনার চমৎকার রিভিউ পড়ে অনেকেই হয়ত সময় বের করে ফেলবে।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৫

রিকি বলেছেন: অনেক অনেক ভালোলাগা রইল আপু মন্তব্যে। আমি নিজেও এখন এভাবেই সময় বের করে মুভি দেখে ফেলি, এখন যা দেখছেন এগুলো সব আগে, পরে মিলিয়ে দেখা :) :) :)

৪০| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫০

সাহসী সন্তান বলেছেন: আজ সবার হইলো টা কি কারোরই কোন খোঁজ নাই? সবাই বেশ ব্যস্ত মনে হচ্ছে? আমি কেবল ফ্রিইইইইইইইইইই! :P :P

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫০

রিকি বলেছেন: ভাই আমি সকালে লগ ইন করেছিলাম..সারাদিন ফাঁকে ফাঁকে দুই একবার ঢুঁ মেরেছি...আপনি ফ্রিইইইই তাহলে লাক্সের সাথে কোলাবরেশনে যেতে পারেন...আপনার সাথে লাক্স ফ্রি, লাক্সের সাথে আপনি ফ্রি..পুরাই পাঙ্খা! :P :P :P

৪১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


রিকি আপনার কাছে একটা দাবি রেখে গেলাম।

উরসুলা আন্দ্রেস, ডেবরা প্যাগেট, বো ডেরেক, ব্রুক শীল্ড, উমা থুরমেন

এই পাঁচজন নায়িকাকে নিয়ে একটা পোষ্ট দিবেন।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১০

রিকি বলেছেন: জ্বি ভাইয়া অবশ্যই চেষ্টা করব আপনার কথা রাখার। সামনে কোন পর্বে পেয়ে যাবেন হয়ত, এই সিরিজ বন্ধ করার আপাতত ইচ্ছা নাই। আপনাদের সাথে গল্প করতে, আপনাদের পছন্দের কথা শুনতে অনেক বেশি ভালো লাগে। :) :) :) দোয়া করবেন যেন সিরিজটা চালিয়ে যেতে পারি ভাইয়া :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.