নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছোটো প্রাণ,ছোটো ব্যথা >ছোটো ছোটো দুঃখকথা >নিতান্তই সহজ সরল >সহস্র বিস্মৃতিরাশি প্রত্যহ যেতেছে ভাসি>তারি দু-চারিটি অশ্রুজল>নাহি বর্ণনার ছটা ঘটনার ঘনঘটা> নাহি তত্ত্ব নাহি উপদেশ> অন্তরে অতৃপ্তি রবে সাঙ্গ করি মনে হবে>শেষ হয়ে হইল না শেষ

রিকি

কাছে আছে দেখিতে না পাও, তুমি কাহার সন্ধানে দূরে যাও। মনের মতো কারে খুঁজে মর, সে কি আছে ভুবনে, সে যে রয়েছে মনে।

রিকি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বইয়ের কথা..... মনের কথা (প্রথম পর্ব) B-) B-)

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:২৪






" A mind needs books as a sword needs a whetstone, if it is to keep its edge.”

বইয়ের ব্যাপারে আর আর মার্টিনের কথা দিয়েই শুরু করলাম। পেটের ক্ষুধা যেমন খাদ্য নিবৃত্ত করে, ঠিক তেমনভাবে মস্তিস্কের ক্ষুধা নিবৃত্ত করে বই।আজকের ব্লগ বই সংশ্লিষ্ট রিভিউ নিয়ে। কী অবাক লাগছে তো। সিনেমা থেকে বইতে ট্রান্সফর্মেশন হলো কেন!! আমার বই পড়ার অভ্যাস অনেক আগে থেকে শুরু হলেও, বইয়ের রিভিউ লেখার অভ্যাস একেবারে নতুন। বিশ্বসাহিত্যের আলোর পাঠশালা কার্যক্রমে হাতে খড়ি হলেও পুর্ণতা কিছুটা পায় গত বছর। একটা কনটেস্টে তিনটা রিভিউ পাঠিয়েছিলাম....সেই থেকে শুরু। আগ্রহটা থেমে থাকেনি। বিভিন্ন সুযোগে তাই রিভিউ লেখার চেষ্টা করি...চেষ্টা কতটুকু সফল হয় বলতে পারব না! যে বই আমার খুব খুব ভালো লাগে... সেই বই বাদে রিভিউটা সব বইয়ের ক্ষেত্রে আসে না!! আর আমার কাছে রিভিউ মানে বইয়ের সমালোচনা না.....বইয়ের প্রতি নিজের ভালোলাগা প্রকাশ। সমালোচনা জিনিসটা আমার দ্বারা হয় না, হবেও না। বই/ সিনেমা বাজে লাগলে এককথায় বাজে বলে দেই। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দোষ বের করি না... চন্দ্রবিন্দু নেই, হসন্তের জায়গায় হলন্ত হবে, বাক্যে গুরুচন্ডালি দোষ আছে...এগুলোর ফর্দ আমার দ্বারা হয়ে উঠে না! আমার ভালোলাগার কাজ যেমন বই অনুবাদ করা...ঠিক তেমনভাবে রিভিউটাও আমি নিজের মতো করে উপস্থাপন করি। ফরম্যাট নিজের মতো বানাই...চিরাচরিত নিয়ম কখনই মানি না। বই যেমন মনের প্রতিফলন হয়...বইয়ের রিভিউ তেমন মনের বলা অব্যক্ত কথা হয়। তো আজকের ব্লগ আমার এই বইয়ের কথা...মনের কথার প্রথম পর্ব নিয়ে। দুটো বই নিয়ে নিজের পাঠানুভুতি দেবো আজ। অনুবাদের কাজ থ্রিলারের বিভিন্ন শাখা প্রশাখা হলেও...রিভিউ লিখি খিচুড়ি...মানে বইয়ের ভেদাভেদ নাই। মোস্ট বোরিং বইও আমার মাঝে মাঝে ভালো লেগে যায়...রিভিউ দেখে তাই অবাক হলে আমার করার কিছু নেই!! :P

প্রথম বই:




বাংলা সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখনী মূলত আবর্তিত হয় কিছু চরিত্রের সমন্বয়ে সামাজিক অথবা ঐতিহাসিক ঘটনাগুলোকে কেন্দ্র করে। যেমন দুর্গেশনন্দিনীতে তিনি ঐতিহাসিক একটি প্রেক্ষাপট, কপালকুন্ডলাতে সামাজিক কিছু ভয়াবহ কুসংস্কারের প্রভাব তুলে ধরেছিলেন, ঠিক তেমনই বিষবৃক্ষতে সামাজিক কিছু প্রথার কিছু দিকের প্রতি তিনি তার নিজস্ব ভঙ্গিমাতে আলোকপাত করেছেন। বিধবা বিবাহ এবং বিধবা মেয়েটির উপর পারিপার্শ্বিকতা ও তৎকালীন সমাজব্যবস্থায় বহুবিবাহের প্রভাব এই উপন্যাসটির মূখ্য আলোচ্য বিষয়। সাধারণত কোন উপন্যাসের সার্থকতা পরিগণিত হয় তার বিষয় এবং বৈচিত্র্যের আলোকে। বিষবৃক্ষ আপাতদৃষ্টিতে কয়েকটা চরিত্রের সমন্বয়ে তাদের জীবনগাঁথা শুধু নয়; এটা যেন আপনার আমার, আমাদের সকলের অভ্যন্তরের কিছু টানাপোড়েনের গল্পও। বিষবৃক্ষ বঙ্কিমচন্দ্রের চতুর্থ উপন্যাস এবং তারই সম্পাদিত বঙ্গদর্শন পত্রিকাতে এটি বারোটি কিস্তিতে সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। গ্রন্থাকারে এটি প্রথম প্রকাশ হয়েছিল ১৮৭৩ সালে। পরবর্তীতে উপন্যাসটি অন্যান্য অনেক ভাষাতে অনূদিত হয় বিভিন্ন দেশে। ১৮৮৪ সালে মিরিয়াম এস. নাইট The Poison Tree নামে এর ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ করেছিলেন। বিষবৃক্ষ উপন্যাসের মূল চরিত্রগুলো হচ্ছে নগেন্দ্র দত্ত, সূর্যমুখী, কুন্দনন্দিনী, কমলমণি, হীরা ,দেবেন্দ্র প্রভৃতি। ঐশ্বর্য, প্রতিপত্তি, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের দিক দিয়ে নগেন্দ্র একজন আদর্শ মানুষের উদাহরণ, অপরদিকে তার ভার্যা সূর্যমুখী পতিব্রতা, অমায়িক চরিত্রের মানুষ। কাজের প্রয়োজনে নগেন্দ্র গোবিন্দপুর তথা হরিপুর থেকে নৌকা করে রওয়ানা হলে প্রবল ঝড়, বৃষ্টির কারণে এক অচেনা গ্রামে নোঙ্গর করাতে বাধ্য হয়, যেখানে তার সাথে পরিচয় হয় একাকীনি, সদ্য অভিভাবকহীন কুন্দনন্দিনীর। হ্যা এই সেই কুন্দনন্দিনী...যাকে সাহিত্যসম্রাট আখ্যায়িত করেছেন ‘অনিন্দিতগৌরকান্তি স্নিগ্ধজ্যোতির্ম্ময়রূপিণী’ হিসেবে। ধারণা করা হয়, তিনি বিষবৃক্ষের অন্যতম প্রধান এই চরিত্রটিকে তার কনিষ্ঠ কন্যা ছায়ার অনুরূপে রচনা করেছিলেন। নগেন্দ্র দত্ত অনাথা এই বালিকার নিঃস্বার্থ অভিভাবকত্বের দায়ভার নেয়, নিজের আপনজনের মত। নগেন্দ্র, তার ছোট বোন কমলমণি এবং সূর্যমুখী তাদের স্নেহের কুন্দকে বিবাহ দেয় সূর্যমুখীর পোষ্য ভাই তারাচরণের সাথে। এই ঘটনাকে বঙ্কিমবাবু তার উপন্যাসে উল্লেখ করেছেন ‘তিনজনে মিলিয়া বিষবীজ রোপণ করিলেন’। এরপরের ঘটনাগুলো বিষবীজ হতে বৃক্ষ পরিস্ফুটনের। সাহিত্যসম্রাটের লেখনী পড়লেই একমাত্র বোঝা সম্ভব, কেন এবং কি কারণে তাকে এই উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে। তার লেখনীর সব থেকে উল্লেখযোগ্য দিক ভাষার আভিজাত্য এবং চরিত্রের অলঙ্করণ। চরিত্রকে তিনি তার বলিষ্ঠ ভাষাগত দিক দিয়ে যেভাবে তুলে ধরেছেন তার প্রত্যেক সৃষ্টিতে, পড়ার সময় এবং তার পরবর্তীতে সেই চরিত্রের বৈশিষ্ট্যে শুধু মুগ্ধ হয়ে থাকতে হয়। রোহিণী থেকে কুন্দনন্দিনী, রজনী থেকে দেবী চৌধুরাণী...কেউ কারও সাথে মেলে না, কিন্তু তারা নিজস্ব ধারায়, নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে তার লেখনীতে অনন্যা- কখনও ভাল চরিত্রে, আবার কখনও সমালোচিতভাবে। তিনি সবসময় চরিত্রকে ভিন্ন ধারায় তুলে ধরতে পছন্দ করতেন। যদি নারীসত্ত্বাকে বৃক্ষের শ্রেণীতে ভাগ করতে হয় তাহলে বিষবৃক্ষের সূর্যমুখী হবে এক দৃঢ় চরিত্রের বটবৃক্ষ স্বরূপ যে নিজের উপর প্রকৃতির হাজার অনাচার সহ্য করার পরেও তার আশ্রয়ে থাকা কাউকে সেটার প্রভাব পর্যন্ত বুঝতে দেয়না। তেমনভাবে কুন্দনন্দিনী কোমলমতি, একাকিনী লতানো গাছের মত, যে কাউকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চায়, কাউকে অবলম্বন করে নিজের লতা বিস্মৃত করতে চায়। ঔপন্যাসিক বঙ্কিমচন্দ্রের বিশেষত্ব হয়ত এটাই। সবশেষে, বিষবৃক্ষ নামকরণের কথা বলব। ‘বিষবৃক্ষ’ এই উপন্যাসে কি কোন গাছ না রূপক ধরণের কিছু? বঙ্কিমচন্দ্র এই জিনিসটিরও অতি সাবলীল ব্যাখ্যা উপন্যাসটির ঊনত্রিংশ পরিচ্ছেদে দিয়ে দিয়েছেন। ‘এই বৃক্ষ মহাতেজস্বী; একবার ইহার পুষ্টি হইলে, আর নাশ নাই। এবং ইহার শোভা অতিশয় নয়নপ্রীতিকর; দূর হইতে ইহার বিবিধবর্ণ পল্লব ও সমুৎফল্ল মুকুলদাম দেখিতে অত্যন্ত রমণীয়। কিন্তু ইহার ফল বিষময়; যে খাই, সেই মরে।’ আমার অন্যতম পছন্দের একটি বই।


বইয়ের নাম: বিষবৃক্ষ
লেখক: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়




দ্বিতীয় বই:



আধুনিক যুগে বাংলা চিরায়ত সামাজিক উপন্যাস অঙ্গনে প্রফুল্ল রায় লুব্ধক নক্ষত্রের সাহিত্যিক নামান্তর...একই সাথে উজ্জ্বল এবং বৈশিষ্ট্যপূর্ণ । তাঁর উপন্যাসগুলোর মূল বৈশিষ্ট্য, তিনি বাস্তবতাকে লেখনীর রঙ-তুলিতে এবং কিছু চরিত্রের সমন্বয়ে অত্যন্ত সুচারুরূপে উপস্থাপন করেন। তাঁর প্রত্যেক বই পড়ার শেষে মনে হয়, এটা হয়ত আমার জীবনেরই গল্প, চরিত্রটা আমি। আমিই ‘আমার নাম বকুল’ এর বকুল, আমিই ‘স্বপ্নের সীমা’ র টিয়া, আমিই ‘মোহানার দিকে’ র দিবাকর, আমিই ‘মহাযুদ্ধের ঘোড়া’ র রেখা আবার আমিই হয়ত ‘আলোয় ফেরা’ র রাজা। তাহলে ঔপন্যাসিক প্রফুল্ল ‘আমার/আমাদের’ জীবনের ঘটনা এভাবে লিখলো কেমন করে! হ্যা, এটাই তাঁর বিশেষত্ব। তাঁর প্রত্যেক গল্পের প্রেক্ষাপট আলাদা। কখনও তিনি নিম্নশ্রেণীর মানুষের হাসিকান্নার জীবন নিয়ে লিখেছেন, কখনও নিষিদ্ধ শ্রেণীর ছোট্ট ছোট্ট স্বপ্নগুলোকে তুলে ধরেছেন, আবার কখনও সমাজের বেকারগোষ্ঠীর জীবনের হতাশাগুলোকে চিত্রিত করেছেন। মহাযুদ্ধের ঘোড়া সেই বেকারগোষ্ঠীর একজনের এবং তার জীবন রাতারাতি আমূল পরিবর্তন হয়ে যাওয়ার গল্প। উপন্যাসের মুখ্য চরিত্র অশোক, রেখা, সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়, হরনাথ, মালতী,ভূপাল, পারমিতা, লীনা, চন্দ্রনাথ,প্রমথেশ । অশোক ব্যানার্জি সমাজের ছিন্নমূল গোষ্ঠী থেকে আগত এমন একজন মানুষ যে ব্যক্তিগতভাবে সমাজের সকল ভালো কিছুর প্রতি বিরূপ মনোভাব সম্পন্ন, তার মতে ‘সকল ভালো কিছু উচ্চবিত্তের জন্য, নিম্নবিত্তের জন্য শুধু রেশনের কাঁকড়যুক্ত আতপ চালের ভাত বণ্টন হয়ে রয়েছে সামাজিক সমবণ্টনের সূত্রানুসারে’! কঠোর তাঁর চরিত্র এবং তীক্ষ্ণ তার দৃষ্টিভঙ্গি। স্পষ্টভাষী অশোক ইউনিভার্সিটির সমাবর্তনে নিজের অন্য এক ব্যাক্তিসত্ত্বাকে উন্মোচন করে। তার মত অসংখ্য বেকার মানুষের প্রতিভূ যেন সেই বিকেলে সে-ই হয়, ‘সার্টিফিকেট নয়, চাকরি চাই’। যে কথা মানুষ বলতে গিয়ে দ্বিধায় পড়ে এবং নিজের জীবনের যে অমূল্য সম্পদ হারাতে গিয়ে মানুষ একশোবার চিন্তা করে, হতদরিদ্র পরিবার থেকে আসা এই ছেলেটি সেই কাজটিই রাগের মাথায় করে বসে। নিজের সার্টিফিকেটটি ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলে দেয় সে সবার সামনেই। কিন্তু এই ঘটনার মাধ্যমেই সমাবর্তনে উপস্থিত বিশেষ অতিথি, বিশিষ্ট ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের দৃষ্টিগোচরে আসে সে। হায়ার সেকেন্ড ক্লাস নিয়ে অর্থনীতিতে পাশ করা এই ছেলেটি, তাঁর অন্বেষণের মূল বস্তু হয় এবং সে ইউনিভার্সিটিতে নিজের পরিচিত মারফত তার ঠিকানা খুঁজে বের করে ফেলে এক নতুন পরীক্ষা চালানোর অভিপ্রায়ে। অপরদিকে, দশ বছর বয়সে ফুড পয়জনিং এ বাবা-মা হারানোর পর অশোক মানুষ হতে থাকে ফ্যাক্টরি শ্রমিক হরনাথ এবং মালতির স্নেহের আবেশে। অভাবের সংসারে, অশোক যেন তাদের বড় ছেলে এবং নান্টু ঝিন্টুর বড়ভাই। টালিগঞ্জের ব্যারাকে হরনাথের সাথে বাড়ি ভাগাভাগি করে থাকে ভূপাল বোসের পরিবারও। সেই সূত্রে ছেলেবেলা থেকেই অশোক এবং রেখার সখ্যতা গড়ে উঠে এবং গ্রাজুয়েশনের পর তারই জোরাজুরিতে অশোক মাস্টার্স পাশ করে। রেখা তাঁর টিউশনির আয়ের সামান্য কয়েকটি টাকা থেকে অশোকের পড়ার খরচ, পরীক্ষার ফিস দিনের পর দিন চালাতে থাকে ঠিক আপনজনের মত। অশোকের বাড়ি ফিরে আসার পর যখন সবাই তাঁর দিকে চেয়ে থাকে কোন ভালো খবর শোনার আশায়, সে দ্বিধাহীনভাবে মানুষগুলোকে এক অন্য চিন্তার রাজ্যে ঠেলে দেয়... ‘ভবিষ্যতে কি করবে অশোক’? কিন্তু কারও কারও ভবিষ্যৎ হয়ত চিন্তার থেকেও অনেকটাই আলাদা হয়, অশোকের ক্ষেত্রেও যা ঘটে। পরেরদিন সকালে, বস্তিবাড়ির বাইরে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের পাঠানো লিমুজিন আসে তাকে এক অজানা লক্ষ্য এবং গন্তব্যের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য । সোমনাথের কাছে গেলে সে সমাজের নিম্নশ্রেণীর মানুষের জীবনের কাঠামো পরিবর্তনের আবাহন এবং ক্ষমতা নামের যাদুকাঠির ছোঁয়াতে তাদের জীবনযাত্রা উন্নয়নের দায়ভার পায়। অশোক সেই চ্যালেঞ্জ মেনে নেয় এবং নেমে পড়ে এক অন্য ধরণের ঘোড়দৌড়ের খেলায়। সে কি পারে তাঁর অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে? নাকি নিম্নশ্রেণীর এই প্রতিনিধি প্রতিপত্তির ছোঁয়াতে নিজেকে সারাজীবনের মত হারিয়ে ফেলে? কি হয় তার কাছের মানুষদের সাথে যারা একসময় অনাথ এই ছেলেটিকে বুকে টেনে নিয়ে সমাজে নতুন পরিচয় দিয়েছিল? কি-ই বা হয় সেই রেখার সাথে নিঃস্বার্থ অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কের? বইটি দুই খণ্ডে রচিত, প্রথম খণ্ডে অশোকের এক জীবন থেকে অন্য জীবনে পদার্পণের বর্ণনা আছে এবং অপরখণ্ডে আছে অমূল্য কিছু জিনিসের পরিসমাপ্তি। অনেক আগে পড়েছিলাম, সাধারণত কোন উপন্যাসের নামকরণ করা হয়, তাঁর নায়ক, নায়িকা অথবা উপন্যাসটির বিষয়গত তাৎপর্য মাথায় রেখে। এই বইটির নামটাও আলাদা তাৎপর্যপূর্ণ। এটা জীবনযুদ্ধের ঘোড়া, ঠিক আমাদের সবার মতই। কোন ঘোড়াকে মাঠে খেলানোর জন্য অনেক আগে থেকেই ভালোভাবে পরিচর্যা করতে হয় তাকে, তার খেয়াল রাখতে হয়, সর্বোপরি তাকে প্রশিক্ষণ দিতে হয়, কোনভাবে খেলাতে নিজের লক্ষ্য থেকে যাতে সেটি বিচ্যুত না হয়ে পড়ে। দৌড়ানোটা হয় তার উদ্দেশ্য, সবাইকে হারিয়ে গন্তব্যে সর্বপ্রথম পৌঁছানো তার লক্ষ্য। কিন্তু অনেক ঘোড়া আছে যারা ঘোড়দৌড়ে নিজস্ব কারণে পিছনেই থেকে যায়, হয় অসুস্থতার কারণে নতুবা পারিপার্শ্বিক কারণে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে। ঘোড়াটা এখানে রূপক, আমাদের অনেকের জীবনেও কিন্তু এই ধরণের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুতি, অস্তিত্ব নিয়ে টানাপোড়েনের ঘটনাগুলো ঘটতে থাকে। হঠাৎ অনেক কৃত্রিম বিলাসিতা পেলে কখনও কখনও মানুষ স্নেহের বিশুদ্ধ মাধুর্যটুকু ভুলে যায়। মহাযুদ্ধের ঘোড়া এরকম মানুষের জীবনের চিত্র এবং তার অস্তিত্ব টানাপোড়েনের গল্প। প্রথমবার যখন পড়েছিলাম, মাথায় অনেকদিন পর্যন্ত শুধু ‘মহাযুদ্ধের ঘোড়া’ নামের রেশটাই ছিল। অদ্ভুত এর উপস্থাপনশৈলী, সাবলীল এর প্রকাশভঙ্গি। প্রফুল্ল রায়ের বেশ কিছু বই তারপরেই পড়ে ফেলেছিলাম। প্রত্যেকটা একে অপরের থেকে পুরোপুরি আলাদা এবং ঘটনাগুলো মন ছুঁয়ে যাওয়ার বৈশিষ্ট্য রাখে। একটু অন্য ধরণের জীবনের ছবি পড়তে চাইলে এই বইয়ের বিকল্প নেই। চিরাচরিত চিরায়ত উপন্যাসের থেকে অনেকাংশেই ভিন্ন এটি। এক কথায় অসাধারণ একটি বই।

বইয়ের নাম: মহাযুদ্ধের ঘোড়া (১ম এবং ২য় খণ্ড)
লেখক: প্রফুল্ল রায়



**** এই লেখা সম্পূর্ণ রূপে আমার… পূর্বের কোন লেখার সাথে মিলে গেলে তা একান্তই co-incidence….no resemblance. আশা করি পোস্টটি ভালো লাগবে !!!! =p~ =p~=p~=p~



মন্তব্য ৪৫ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৪৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৩

পথহারা মানব বলেছেন: না ভাল লেগে উপায় আছে ভাইয়া....থুক্কু.... আপু!!!
মনের কথা আর মনে রইল না B-) ব্লগের পাতায় চলে আসল B-) B-) তাতে অবশ্য আমাদের লাভ হয়েছে, আরো একজন ভাল রিভিউ লেখক পেলাম।
রোহিণী থেকে কুন্দনন্দিনী, রজনী থেকে দেবী চৌধুরাণী তেমনি সিনেমার রিকি মনি থেকে বই রিভিউ লেখনী।

প্রথমটা পড়া হয়েছে, দ্বিতীয়টা পড়া হয় নাই।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৭

রিকি বলেছেন: দ্বিতীয়টা মহাযুদ্ধের ঘোড়া....সে এক বিরাট ইতিহাস !!! B-))

২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৫

পথহারা মানব বলেছেন: ফাঁকিবাজি রিপ্লাই...আরেকজন নতুন ফাঁকিবাজ চিনলাম!!!!

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৭

রিকি বলেছেন: এটার পিছনেও এক বিরাট ইতিহাস আছে !! B-)) B-))

৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৬

বৃতি বলেছেন: দ্বিতীয় বইটি পড়ার সুযোগ হয়নি আমারও। রিভিউ ভালো লেগেছে :)

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:০০

রিকি বলেছেন: ধন্যবাদ আপু :)

৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৪

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: মহাযুদ্ধের ঘোড়া সত্যিই এক অসাধারণ উপন্যাস। কত বছর আগে পড়া কিন্তু এখনো মনে তার রেশ লেগে আছে। প্রফুল্ল রায় বাংলা সাহিত্যের এক অসাধারণ শিল্পী। কিন্তু কেন যেন মনে হয় বাংলা সাহিত্যে সুনীল /শীর্ষেন্দু /সমরেশ যতটা আলোচিত , প্রফুল্ল ততটা নয় ,হয়তো ব্যক্তিগত জীবনে প্রচার বিমুখতা তার প্রধান কারণ। রিভিউ ভালো লেগেছে।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৩২

রিকি বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ :) :)

৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৭

পুলহ বলেছেন: মহাযুদ্ধের ঘোড়াটা পড়তে হবে।
শুভকামনা!

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৪

রিকি বলেছেন: বই পড়ে কেমন লাগলো জানাবেন :)

৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৭

নেক্সাস বলেছেন:
দারুন রিভিউ। সাহিত্য রিভিউ সাহিত্যের মতই হয়েছে। প্রফুল্ল চন্দ্রের বইটা কেনা দরকার।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৫

রিকি বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই। প্রফুল্ল রায়ের আরেকটা বই আছে, "আকাশের নিচে মানুষ".. এটাও পড়ে দেখবেন। :)

৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

অসাধারণ রিভিউ। এমন রিভিউ আরো চাই।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৬

রিকি বলেছেন: পাবেন আশা করি... :)

৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:০০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

আর ভাইয়া, আরেকটা প্রশ্ন, আপনার মত এত সুন্দর লেখব কি করে? প্লিজ টিপস দেন!

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৪

রিকি বলেছেন: :-* :-* আপনি তো এমনিই দারুণ লেখেন। এটা টিপস না, নিজে যেটা মানি সেটা আপনাকে বলছি... মনের ভাষাকে বাধা দেবেন না কখনো। এই তো.. :) :)

৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩১

আলোরিকা বলেছেন: এস এস সি পরীক্ষার পর বঙ্কিমের উপন্যাস সমগ্র শেষ করেছিলাম ---------কি বুঝেছিলাম জানিনা তবে বিষবৃক্ষ আর কৃষ্ণকান্তের উইল পড়ে কেঁদেছিলাম বেশ মনে আছে । উপন্যাসগুলোতে অনেক মজার মজার উক্তি আছে । রিকিমণি দেখছি আলোকিত মানুষ ;)

শুভেচ্ছা :) :) :)

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৭

রিকি বলেছেন: কার জন্য কেঁদেছিলেন---কুন্দ না সূর্য না নগেন্দ্রের হরি দিন তো গেল সন্ধ্যে হলো, পার করো আমারে অবস্থার জন্য?? ;) ;)

১০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:০২

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
পরের পর্ব আগামী মাসে।

পোস্টে এই কথাটা না দেখে বুঝতে পারলাম - রিকি 'ভাইয়া' এই মাসে জনগণের সাথে থাকবেন। B-))

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:২৪

রিকি বলেছেন: আমি আসিয়া প্রমাণ করিলাম যে আমি মরি নাই!! B-)) B-))

১১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৬

শায়মা বলেছেন: আর আমার কাছে রিভিউ মানে বইয়ের সমালোচনা না.....বইয়ের প্রতি নিজের ভালোলাগা প্রকাশ।



একদম মনের মত কথা রিকিমনি!!!!!!!!!! :)


তুমি যে পড়ুয়া তা তো আগেই জানি মাঝে মাঝে ভাবি তোমার মাথার রিভিউটা করতে হলে আমাকে কয়বার জন্মাতে হবে!

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:১৪

রিকি বলেছেন: আপুনি কী যে বলেন... B-))

১২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১২

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: ভাল লেগেছে। আরো লিখুন। ধন্যবাদ।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:১৪

রিকি বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ :)

১৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
বাঁইচা যে আছেন তা তো বুঝলাম।
বিসিএস দিছিলেন নি??? ঐটার লাইগাই এক্কেরে মরা দশায় আছিলেন?

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:১৭

রিকি বলেছেন: বিসিএস দেইনি। ব্লগের আগের মতো অবস্থা নাই দেখে খারাপ লাগে। :( প্রাণচঞ্চল ভাবটা ভীষণ মিস করি... তাই ইচ্ছা করেই কম আসি :(

১৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৫৪

পবন সরকার বলেছেন: খুব ভালো লাগল। ধন্যবাদ

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:২১

রিকি বলেছেন: :) :)

১৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:১৩

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: আপনার রিভিউ লেখায় এক মোহ আছে ।
চট করেই কাছে টেনে নেয় ।
পড়ায় মুগ্ধতা ।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:২৩

রিকি বলেছেন: মন্তব্যে অনেক অনেক ভালোলাগা জানবেন :) :)

১৬| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:৩২

মাদিহা মৌ বলেছেন: একটা ব্যাপারে আগে সহমত প্রকাশ করে নিই। বই ভালো না লাগলে আমিও রিভিউ লিখি না। এক কথাতেই শেষ, ভালো লাগেনি। ওটা নিয়ে বিশদ লেখার কোন মানেই হয় না। তবে যেই বই ভালো লাগে, মানে যেটার রিভিউ লিখি, সেটায় খুঁত পেলে জানাতে ভুলি না।

আপনার রিভিউ খুব ভালো হয়েছে।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৩১

রিকি বলেছেন: আমার আবার খুঁত পে্লে....খুঁতখুঁত করতে ভালো লাগে না। :-< বইয়ের আমেজটাই মেরে দেয় এটা। খারাপ লাগলে তো ডাইরেক্টলি বলি... এই বই ফালতু। B-)) তবে বই তৈরি করার প্যারা কিছুটা জানি তো...খুঁতের বিষয়গুলো তাই এরর কারেকশন ভ্যালু ০ ধরে নিই। :-B বিজয়ী হবার জন্য আপনাকে অনেক অনেক অভিনন্দন (রকমারি রিভিউ) :) :) :) :)

১৭| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: রিকি,




ব্লগে আপনার পোস্টটির শিরোনাম দেখে প্রথমেই যে প্রশ্নটি মাথায় এসেছিলো তা এই - আশ্চর্য্য তো ! সিনেমা রিভিয়্যু থেকে হঠাৎ করে বই রিভিয়্যু ! ঘটনা কি !!!!!!!!!

খুলে দেখি তার জবাব আপনি আগেই দিয়ে রেখেছেন । প্রশ্নটি মাঠে মারা গেলো ।

বঙ্কিমের বই দিয়েই শুরু বঙ্কিম পথে ! বঙ্কিম বাবু তার লেখাতে বঙ্কিম (বক্র) ভাবে সামাজিক কু-প্রথা, অনাচারের কথা বললেও বুঝদার পাঠকের কাছে তার মর্মার্থ একেবারেই অবঙ্কিম, মানে সোজা সরল । বঙ্কিম বাবুর যেমন ভাষার আভিজাত্য ছিলো , এখন দেখছি আপনার বই রিভিয়্যু ও তেমন এক আভিজাত্য নিয়ে চারাগাছ থেকে বৃক্ষ হয়ে উঠেছে । আপনার লেখাও মহাতেজস্বী, পঠনে বেশ মচমচে-পুষ্টিকর ।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৩২

রিকি বলেছেন: B-)) B-)) অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

১৮| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৫২

প্রামানিক বলেছেন: আপনার রিভিউ পড়লে বই পড়ার নেশা জেগে উঠে। চমৎকার রিভিউ। ধন্যবাদ

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৩৩

রিকি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া :) :)

১৯| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: বই নিয়ে লেখা সবসময় ভালো লাগে।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৩৪

রিকি বলেছেন: :) :)

২০| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:১৪

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: রিভিউ ভালো লেগেছে। রিকি।
মহাযুদ্ধের ঘোড়াটা বেশ আগ্রহ জন্মিয়েছে।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৩৬

রিকি বলেছেন: হুম ভালো বই.... পড়তে পারেন :)

২১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৭:৪৬

মাদিহা মৌ বলেছেন: ইইইইইইই! এটাই জানাতে এসেছিলাম। আপনার অনুদিত বইয়ের রিভিউতেই বিজয়ী হয়েছি। :P

এসে দেখি আপনি আগেই অভিনন্দন জানিয়ে বসে আছেন!
থেংকু থেংকু।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৬

রিকি বলেছেন: B#) আমি বইপোকাদের আড্ডাখানাতেই দেখেছি।

২২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: একটা চমৎকার, যুৎসই উদ্ধৃতি দিয়ে লেখাটা শুরু করেছেন - "A mind needs books as a sword needs a whetstone, if it is to keep its edge.” + +
আর আমার কাছে রিভিউ মানে বইয়ের সমালোচনা না.....বইয়ের প্রতি নিজের ভালোলাগা প্রকাশ - আমার ক্ষেত্রেও তাই।
আমিও এই ভালবাসা থেকে কয়েকটা রিভিউ লিখেছিঃ
নতুন বই এর পর্যালোচনা- আজো, কেউ হাঁটে অবিরাম
নতুন বই এর পর্যালোচনা- বাসন্তি
নতুন বই পর্যালোচনা—চতুষ্কোণ
নতুন বই পরিচিতিঃ বসন্তদিন
বই নিয়ে আলোচনা- রক্তে ভেজা একাত্তর

এগুলোর মধ্যে যেকোন একটা পড়ে মতামত জানালে বাধিত হবো।

২৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫২

খায়রুল আহসান বলেছেন: মোস্ট বোরিং বইও আমার মাঝে মাঝে ভালো লেগে যায়...রিভিউ দেখে তাই অবাক হলে আমার করার কিছু নেই!! - :)
তার লেখনীর সব থেকে উল্লেখযোগ্য দিক ভাষার আভিজাত্য এবং চরিত্রের অলঙ্করণ - সাহিত্যসম্রাটের বহুবিধ গুণাবলীর মধ্য থেকে সর্বোৎকৃষ্ট দুটোকে পাকা জহুরির মত তুলে এনে তার বিশেষণের অলঙ্কারমালা সাজালেন, অল্প কথায়, চমৎকারভাবে।
পোস্টে ভাল লাগা + +

২৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০২

খায়রুল আহসান বলেছেন: কিন্তু অনেক ঘোড়া আছে যারা ঘোড়দৌড়ে নিজস্ব কারণে পিছনেই থেকে যায়, হয় অসুস্থতার কারণে নতুবা পারিপার্শ্বিক কারণে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে। ঘোড়াটা এখানে রূপক, আমাদের অনেকের জীবনেও কিন্তু এই ধরণের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুতি, অস্তিত্ব নিয়ে টানাপোড়েনের ঘটনাগুলো ঘটতে থাকে - খুব সুন্দর রিলেট করেছেন।
দুটো রিভিউ পড়েই ভাল লাগলো। কথার বাহুল্য নেই। প্রশংসা ও ভাললাগা যেখানে যেটুকু প্রাপ্য, দিয়েছেন।
হ্যাপী রিভিউইং...!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.