নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালো থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি অবিরত.......

রক বেনন

ভালো থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি অবিরত....

রক বেনন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আবার পড়ুন- দ্যা সেলফিস জায়ান্ট (অনুবাদ)

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫



দ্যা সেলফিস জায়ান্ট
মূল লেখকঃ অস্কার ওয়াইল্ড

প্রতিদিন বিকেল বেলা স্কুল থেকে ফেরার পথে একদল শিশু দৈত্যর বাগানে খেলতে যেত।

এটি ছিল খুব সুন্দর, নরম এবং সবুজ ঘাসে মোড়ানো একটি বড় বাগান। বাগানের সর্বত্রই সবুজ ঘাসের মাঝে তারার মতো ছোট ছোট সুন্দর ফুল ফুটে থাকত। আরও ছিল বারটি পিচ ফলের গাছ যেগুলো বসন্তকালে গোলাপি মুক্তার ন্যায় অজস্র পিচ ফুলে ভরে থাকত আর শরৎকালে পিচ ফলে। বাগানের গাছগুলোতে পাখিরা বসে এত মিষ্টি সুরে গান গাইত যে শিশুগুলো তাদের খেলা থামিয়ে অবাক হয়ে সেই গান শুনত। একে অপরকে আনন্দে চিৎকার করে তারা বলতঃ আহা!! আমরা এখানে কত সুখী।

একদিন দৈত্য ফিরে এলো। সে তার একজন বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল আর সেখানে সাত বছর তার বন্ধুর সাথে ছিল। এই সাত বছরে তার বন্ধুকে তার যা কিছু বলার ছিল সব বলা হয়ে গিয়েছিল এবং সে তার প্রাসাদে ফিরতে মনস্থির করল। যখন সে বাগানে পৌঁছল, সে দেখতে পেল তার বাগানে একদল শিশু খেলা করছে।

‘তোমরা এখানে কি করছ’- দৈত্য খুব কর্কশভাবে চিৎকার করে বলে উঠল। আর তা শুনেই শিশুরা ভয়ে পালিয়ে গেল।

‘আমার বাগান শুধু আমারই’- দৈত্য নিজেকে বলল, ‘আর সবারই এটা বোঝা দরকার যে আমার বাগানে আমি নিজেকে ছাড়া আর কাউকেই ঢুকতে অনুমতি দিই না’।

তাই সে বাগানের চারপাশে একটি বিশাল দেয়াল নির্মাণ করল আর তাতে একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিল যেটাতে লিখা ছিল- ‘’অনধিকার প্রবেশ দণ্ডনীয়’’।

সে ছিল খুব স্বার্থপর একজন দৈত্য।

বেচারা শিশুগুলোর খেলার আর কোনো জায়গা রইল না। তারা রাস্তার উপর খেলতে চেষ্টা করল কিন্তু রাস্তাগুলো ছিল ময়লা আর শক্ত পাথরে পরিপূর্ণ আর এজন্য তারা তা পছন্দও করল না। তাদের পড়াশুনা শেষ হওয়ার পর তারা বাগানের সেই বিশাল দেয়ালের চারপাশে ঘুরে বেড়াত আর নিজেদের মধ্যে বলাবলি করত – ‘আহা!! আমরা সেখানে কত আনন্দে ছিলাম!!’
এরপর সেখানে বসন্ত আসলো। শহরের সব জায়গায় গাছে গাছে নতুন পাতা ও ফুলে ভরে গেল আর পাখিরাও মিষ্টি সুরে গান গাইতে শুরু করল। কিন্তু শুধুমাত্র সেই স্বার্থপর দৈত্যর বাগানে শীত রয়ে গেল। পাখিরা সেখানে গান গায় না যেহেতু সেখানে শিশুরা নেই আর ফুলেরাও ফোটে না। একটি ছোট্ট ফুল ঘাসের ভিতর থেকে মাথা তুলেছিল কিন্তু যেইনা সেই নোটিশ বোর্ডটি দেখল, বাচ্চাগুলোর জন্য তার অনেক দুঃখ হলো আর আবার সে ঘাসের ভিতর ঘুমিয়ে পড়ল। শুধুমাত্র যে দুইজন খুব খুশি ছিল তার হলো বরফ আর তুষারপাত। তারা বলল- ‘দেখ, দেখ, বসন্ত এই বাগানের কথা ভুলে গিয়েছে! তাই আমরা সারা বছর এই বাগানে থাকতে পারব!!’ বরফ তখন বাগানের সব ঘাস কে সাদা আচ্ছাদনে ঢেকে দিল আর তুষারপাত সব গাছগুলোকে রুপালি করে তুলল। তারপর তারা উত্তরের বাতাসকে তাদের সাথে থাকার আমন্ত্রণ জানালো আর সে ও এল। উত্তরের বাতাস এসে সারাক্ষন গর্জন করা শুরু করলো আর সেই সাথে প্রাসাদের চিমনির নল উড়িয়ে ফেললো। ‘এটি খুব আনন্দদায়ক জায়গা!’- সে বললো, ‘আমাদের শিলাবৃষ্টিকে এখানে বেড়াতে আসার কথা বলা দরকার!’ এবং শিলাবৃষ্টি আসলো। প্রত্যেকদিন তিন ঘণ্টা ধরে সে প্রাসাদের উপর ঝনঝন শব্দে নাচত যতক্ষন না প্রাসাদের বেশিরভাগ স্লেটগুলো (প্রাসাদের ছাদের টালি)ভেঙ্গে যায় এবং সে বাগানের এক পাশ থেকে অন্য পাশে যত জোরে সম্ভব দৌড়ে বেড়াত।

‘আমি বুঝতে পারছি না বসন্ত আসতে এত দেরি কেন করছে?’- জানালার ধারে বসে দৈত্য আপনমনে বলছিল-‘আমার মনে হয়, আবহাওয়ায় কোনো পরিবর্তন আসবে।‘

কিন্তু বসন্ত আসলো না, এমনকি গরমকাল ও না। শরৎকাল তার সোনালী ফলে সব বাগান সাজিয়ে দিয়ে গেল কিন্তু দৈত্যের বাগানে সে কিছুই দিল না। ‘সে খুবই স্বার্থপর’- শরৎকাল বললো। তাই সেই বাগানে শীতকালই রয়ে গেল আর বরফ, তুষারপাত, উত্তরা বাতাস ও শিলাবৃষ্টি সকলে একত্রে মিলে নাচানাচি করতে লাগল।

একদিন সকালে দৈত্য তার বিছানায় শুয়ে ছিল। হঠাৎ সে খুব মিষ্টি একটি সুর শুনতে পেল। এটি তার কানে এতই সুমধুর লাগছিল যে, সে মনে করলো রাজার বাদকদল পাশ দিয়ে যাচ্ছে। আসলে এটি ছিল একটি ছোট পাখি যেটি দৈত্যর জানালার পাশে বসে গান গাইছিল। অনেকদিন পার হয়ে গিয়েছে দৈত্য শেষ কোনো পাখির গান শুনেছে আর তাই এটি তার কাছে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ সঙ্গীত মনে হলো। তখন শিলাবৃষ্টির নাচ থামল সেই সাথে উত্তরের বাতাস তার গর্জন থামাল আর খুব সুন্দর একটি ঘ্রাণ গরাদবিহীন জানালা দিয়ে দৈত্যর কাছে এলো। ‘আমার মনে হয় বসন্ত এসে গিয়েছে’- দৈত্য বলে উঠল এবং লাফিয়ে বিছানা থেকে নেমে জানালার কাছে দাঁড়াল।

কি দেখতে পেল সে?

সে এক চমৎকার দৃশ্য। বাগানের দেয়ালের একটি ছোট ফুটো দিয়ে শিশুদের দলটি বাগানে ঢুকে পড়েছে এবং তারা বাগানের গাছের ডালে ডালে বসে রয়েছে। প্রত্যেক গাছেই একটি করে ছোট শিশু বসে আছে। আর শিশুরা ফিরে আসাতে গাছেরা এতই খুশি হয়েছে যে তারা ফুলে ফুলে নিজেদের ঢেকে দিয়েছে এবং তাদের ডালপালা দিয়ে শিশুদের মাথার উপর আলতো করে দোলাচ্ছে। পাখিরা ইতিউতি উড়ছে আর আনন্দে শিষ দিয়ে গান গাইছে, ফুলেরা ঘাসের ভিতর থেকে মাথা বের করে হাসছে। এটি ছিল খুব চমৎকার একটি দৃশ্য। কেবল বাগানের এক কোণায় তখনও শীত রয়ে গিয়েছিল এবং সেখানে একটি ছোট্ট ছেলে দাঁড়িয়ে ছিল। সেই এতই ছোট ছিল যে গাছের ডাল নাগাদ তার হাত পৌছতে পারছিল না আর তাই সে কান্না করছিল। বেচারা গাছটি বরফ আর তুষারে ঢাকা ছিল আর উত্তরা বাতাস গর্জন করে গাছটিকে দোলাচ্ছিল। ‘উঠে পড়, ছোট্ট বালক’- বলে গাছটি তার সব থেকে নিচের ডালটি যতটুকু সম্ভব নিচে নামিয়ে দিয়েছে কিন্তু বালকটি এতই ছোট যে সে তার নাগাল পাচ্ছিল না।

এই দৃশ্য দেখে দৈত্যের মন গলে গেল। ‘কতটা স্বার্থপর আমি’- নিজেকে সে নিজে বললো-‘এখন বুঝলাম কেন বসন্ত আমার বাগানে আসতে এত দেরি করেছে!’ ‘আমি ওই ছোট বালকটিকে ওই গাছের ডালে বসিয়ে দিব আর বাগানের ওই দেয়ালটি ভেঙ্গে ফেলব। আমার এই বাগানটি হবে শিশুদের খেলার জায়গা আর তা চিরকালের জন্যই।‘ দৈত্য আসলেই তার পূর্বের আচরণের জন্য খুব দুঃখিত হলো।

দৈত্য আস্তে আস্তে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামল, খুব আস্তে করে সামনের দরজা খুললো এবং বাগানে প্রবেশ করলো। কিন্তু যখনই শিশুরা তাঁকে দেখতে পেল, তারা এতটাই ভয় পেল যে তার একছুটে পালিয়ে গেল আর বাগানে আবার শীত ফিরে এল। কেবলমাত্র সেই ছোট্ট বালকটি পালিয়ে যায়নি কারণ তার চোখ ছিল জলে ভেজা আর তাই দৈত্যর বাগানে প্রবেশ করা সে দেখতে পায়নি। দৈত্য চুপিচুপি তার পিছনে গিয়ে দাঁড়াল এবং আলতো করে তাঁকে হাতে তুলে নিয়ে সেই গাছের ডালে বসিয়ে দিল। সাথে সাথেই গাছটি ফুলে ফুলে ভরে উঠল আর পাখিরা এসে সেই গাছে বসে গান গাইতে লাগল। আর সেই ছোট্ট ছেলেটি তার দুই হাত বাড়িয়ে দৈত্যর গলা জড়িয়ে ধরল আর তাঁকে চুমু দিল। অন্য শিশুরা যখন দেখল দৈত্য আর আগের মতন তাদের তাড়িয়ে দিচ্ছে না, তারাও বাগানে প্রবেশ করল আর সেই সাথে বসন্ত ও বাগানে প্রবেশ করল। ‘ছোট্ট শিশুরা, এখন থেকে এই বাগান তোমাদের’ – দৈত্য বললো এবং সেই সাথে একটি বিশাল হাতুড়ি দিয়ে দৈত্য বাগানের চারপাশের দেয়ালটি ভেঙ্গে ফেললো। আর ঠিক দুপুর বারটার সময়, যখন লোকেরা বাজারে যাচ্ছিল, সবাই দেখতে পেল তাদের দেখা সবথেকে সুন্দর একটি বাগানে একজন দৈত্য একদল শিশুর সাথে খেলা করছে।

সারাটা দিন তারা দৈত্যের সাথে খেলা করলো আর সন্ধ্যার সময় তারা তার কাছ থেকে বিদায় নিতে এলো।

‘কিন্তু তোমাদের সেই ছোট্ট খেলার সাথীটি কোথায়?’- দৈত্য জিজ্ঞাসা করল –‘যাকে আমি গাছে তুলে দিয়েছিলাম?’ দৈত্য সেই শিশুটিকে সব থেকে বেশি ভালবেসে ফেলেছিল কারণ শিশুটি তাঁকে একটি চুমু উপহার দিয়েছিল।

‘আমরা জানি না’ – বাচ্চারা উত্তর দিল – ‘সে হয়ত চলে গিয়েছে।‘

‘তোমরা তাঁকে অবশ্যই বলবে যেন সে কাল এখানে অবশ্যই আসে’ – দৈত্য তাদের বললো। কিন্তু শিশুরা তাঁকে জানালো যে তারা জানেনা সে কোথায় থাকে আর এর আগে তারা তাঁকে কখনও দেখেও নি। এটি শুনে দৈত্য খুব দুঃখ পেল।

প্রত্যেকদিন বিকেলবেলা, স্কুল ছুটির পরে, শিশুরা সেই বাগানে দৈত্যর সাথে খেলা করতে আসত। কিন্তু সেই ছোট্ট বালকটি, যাকে দৈত্য সব থেকে বেশি ভালবাসত, তাঁকে আর কখনও দেখা যায়নি। দৈত্য সব শিশুর প্রতিই খুব দয়ালু ছিল তবু সে তার সেই প্রথম ছোট্ট বন্ধুটির জন্য অপেক্ষা করতো আর মাঝে মাঝে নিজেকেই বলতো- ‘আমি যদি তার দেখা পেতাম।‘

এভাবে অনেক বছর চলে গেল আর দৈত্যও বয়সে বৃদ্ধ ও দুর্বল হয়ে পড়ল। সে আগের মতো শিশুদের সাথে খেলা করতে পারতো না। তাই সে একটি বড় আরামকেদারায় বসে বসে শিশুদের খেলা দেখত। ‘আমার অনেক সুন্দর সুন্দর ফুল রয়েছে’ – দৈত্য বলতো- ‘কিন্তু সব থেকে সুন্দর ফুল হলো আমার এই শিশুরা!’

এক শীতের সকালে সে কাপড় পড়তে পড়তে জানালা দিয়ে বাইরে তাকাল। সে এখন আর শীতকালকে ঘৃণা করে না কারণ সে জানে বসন্ত নিছকই বিশ্রাম নিচ্ছে আর ফুলেরা ঘুমাচ্ছে।
হঠাৎই সে একটি দৃশ্য দেখতে পেল এবং বিস্ময়ে বারবার তার চোখ রগড়াতে লাগল। নিঃসন্দেহে এটি ছিল একটি চমৎকার দৃশ্য। বাগানের এক কোণায় একটি গাছ খুব সুন্দর সাদা সাদা ফুলে ভরে গিয়েছে। গাছটির ডালগুলো ছিল সোনালী আর ডালগুলো থেকে রুপালী রঙের ফল ঝুলছিল। আর এই গাছটির নিচে দাঁড়িয়ে আছে সেদিনের সেই ছোট্ট বালকটি যাকে দৈত্য সব থেকে বেশি ভালবাসত।

মহা আনন্দের সাথে দৌড়ে দৈত্য নিচে নামল আর বাগানে প্রবেশ করলো। দ্রুতগতিতে সে ঘাসের উপর দিয়ে দৌড় দিলো আর সেই ছোট্ট বালকটির কাছে এসে দাঁড়াল। এবং যখন সে বালকটির নিকটে এসে দাঁড়াল সে রাগে লাল হয়ে উঠলো।

‘কার এত সাহস হয়েছে তোমাকে এইভাবে আঘাত করার’ – দৈত্য রাগে বলে উঠল। কারণ বালকটির দুই হাতের তালুতে দুইটি পেরেকবিদ্ধের দাগ আর দুই পায়ের পাতাতেও দুইটি পেরেকবিদ্ধের দাগ।

‘তোমাকে এইভাবে আঘাত করার সাহস কার হয়েছে’- দৈত্য চিৎকার করে বলে উঠলো –‘আমাকে বলো, আমি আমার বড় তলোয়ারটি দিয়ে তাঁকে হত্যা করবো।‘

‘কেউ না’- বালকটি উত্তর দিল-‘আর এইগুলো হলো ভালোবাসার ক্ষতচিহ্ন।‘

‘তুমি কে’- দৈত্য অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো এবং সে এক অদ্ভুত ভয়ে আচ্ছন্ন হলো আর ছোট্ট শিশুটির সামনে হাঁটু গেঁড়ে বসলো।

শিশুটি হেসে দৈত্যর দিকে তাকাল আর বললো- ‘একদিন তুমি আমাকে তোমার বাগানে খেলার অনুমতি দিয়েছিলে আর আজ আমি তোমাকে আমার বাগানে নিয়ে যেতে এসেছি আর বাগানটি হলো স্বর্গ।

আর সেইদিন বিকেলবেলা যখন শিশুদের দল প্রতিদিনকার নিয়মমত দৈত্যর বাগানে খেলতে আসলো, তারা দেখতে পেল সেই দৈত্য সেই গাছটির নিচে মৃত শুয়ে আছে আর তার সারা শরীর সাদা ফুলে ঢেকে রয়েছে।

-----০০০০-----০০০০০----০০০০-----০০০০----০০০০----০০০০----০০০০----০০০০----০০০০----০০০০০----০০০০----০০০০----


লেখক পরিচিতিঃ অস্কার ওয়াইল্ড। জন্ম ১৬ই অক্টোবর, ১৮৫৪ ইং, মৃত্যুবরণ ৩০শে নভেম্বর, ১৯০০ ইং। ভিক্টোরিয়ান যুগের লন্ডন শহরে তিনি অন্যতম সফল নাট্যকার। ফ্রেঞ্চ এবং জার্মান ভাষায় পারদর্শী ছিলেন। তার রচিত গুরুত্বপূর্ণ বইয়ের মধ্যে The Importance of Being Earnest, The Picture of Dorian Grey উল্লেখযোগ্য। ছোটদের জন্যও তার বেশ কিছু গল্প রয়েছে।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: শিশুদের গল্প গুলোই ভালো।
সহজ সরল।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৯

রক বেনন বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই, সময় করে পড়ার জন্য। শিশুরা যেমন তাদের গল্পগুলো ও তেমন। সহজ সরল।

২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৫

রাকু হাসান বলেছেন: গল্পটি পঞ্চম অথবা সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি বইয়ে পাঠ্য । ভাল একটি গল্প

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪০

রক বেনন বলেছেন: অনেক দিন পর মনে পড়ল। তাই ভাবলাম ব্লগে শেয়ার করি সবার সাথে।

৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


অনেকদিন পর আরেকটি ক্লাসিক গল্পের অনুবাদ দিলেন; পড়তে পড়তে ছোটবেলায় ফেরা হলো কিছু সময়ের জন্য।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৮

রক বেনন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার অনুপ্রেরণায় আরেকটি অনুবাদ লিখে ফেললাম। যদি ভালো লেগে থাকে তবে সার্থক হব।

৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:



অনেকদিন পর আরেকটি ক্লাসিক্যাল গল্পের অনুবাদ দিলেন; পড়তে পড়তে ছোটবেলায় ফেরা হলো কিছু সময়ের জন্য।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৫১

রক বেনন বলেছেন: মনে হয় আলঝেইমার রোগে ভুগছি। অনেক কিছু মনে করতে গিয়েও পারিনা। তা ও এই গল্পগুলো খুঁজে ফিরি। আপনার ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগল। আপনার চোখের অবস্থা এখন কেমন?

ভাল থাকবেন। আপনাকে ভাল থাকতেই হবে।

৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমাদের ক্লাস নাইনের ইংরেজি টেক্সট বুকে গল্পটা ছিলো। খুব ভালো লাগতো স্যর যখন গল্পটা পড়াতেন। ধন্যবাদ আপনাকে পোষ্টটি দেওয়ার জন্য।

অনেক শুভ কামনা আপনাকে।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৫২

রক বেনন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ পদাতিক সময় করে পড়ার জন্য। আসলে এই গল্পগুলো আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে গিয়েছে। তবু ও চেষ্টা করছি যদি কিছুটা হলেও খুঁজে পাওয়া যায়। আপনার জন্যেও শুভকামনা রইল।

৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৯

সিগন্যাস বলেছেন: বাহ বাহ।বাচ্চাদের গল্প পড়াও একটা আনন্দের বিষয়।ইংরেজি বইয়ে গল্পটা ছিল।তখন পড়ে মজা পাইনি।এখন মজা পেলাম

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৪

রক বেনন বলেছেন: পড়ে মজা পেয়েছেন আর এটাই আমার সার্থকতা। ধন্যবাদ সিগন্যাস পোস্ট পড়ার জন্য।

৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৫১

লাবণ্য ২ বলেছেন: চমৎকার গল্প।আগে ও পড়েছি।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৫

রক বেনন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে সময় করে পড়ার জন্য। শুভকামনা রইল।

৮| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:



ধন্যবাদ, চোখের অবস্হা ভালোর দিকে; আশাকরি, ভালো হয়ে যাবে।

০৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৪৩

রক বেনন বলেছেন: শুনে অনেক ভালো লাগল। আশা করি দ্রুত ভালো হয়ে যাবেন। আপনার জন্যে অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

৯| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:২২

গরল বলেছেন: পড়তে পড়তে শেষের দিকে চোখে পানি এসে গেল, অসাধারণ গল্প। আমি বাচ্চাদের গল্প খুবি পছন্দ করি এমনকি মেয়ের সাথে বসে দুরন্ত চ্যানেলে বাচ্চাদের অনুষ্ঠানও দেখি।

০৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৪৫

রক বেনন বলেছেন: ভাই গড়ল, আমরা মনে হয় আমাদের নিজেদের ভিতরের শিশুটিকে মাঝে মাঝে বের করে আনতে পারলে ভাল হোত। আর এই গল্পের ফিনিসিং টাই সবথেকে সুন্দর। ধন্যবাদ সময় করে পড়ার জন্য। ভাল থাকবেন।

১০| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৭

আখেনাটেন বলেছেন: ক্লাসিক গল্পটিকে পুনরায় সামনে আনার জন্য রক বেননকে শুভেচ্ছা।

দারুন শিক্ষামূলক গল্প এটি।

০৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৪৬

রক বেনন বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার পোস্ট টি সময় করে পড়ার জন্য! ভালো থাকবেন আখেনাটেন।

১১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৪

করুণাধারা বলেছেন: এটা আমার প্রিয় গল্প- আরেকবার পড়ার সুযোগ করে দেবার জন্য ধন্যবাদ।

০৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৪৭

রক বেনন বলেছেন: ধন্যবাদ করুণাধারা আপনাকে। আপনার প্রিয় গল্প হাজির করতে পেরেছি দেখে আমারও ভাল লাগল। ভাল থাকবেন।

১২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:১৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: রক বেনন ভাই,
ছোটবেলার গল্প, আফসোস এখন কোনো পাঠ্য বইয়ে এজাতিয় গল্প নাই, এটি পরিকল্পিত যাতে করে ভবিষ্যত প্রজন্ম হয় আবেগহীন রোবট নামক নির্বোধ - পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী শিক্ষাবোর্ড, কিন্তু জানতে ইচ্ছে করে পরিকল্পনাটি কাদের দেওয়া ?

০৯ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৩৫

রক বেনন বলেছেন: ঠাকুর মাহমুদ ভাই, আমরা এখন আছি হীরক রাজার দেশে আর আমাদের শিক্ষাবোর্ড হচ্ছে হীরক রাজার সেই যন্তর মন্তর ঘর। যন্তর মন্তর ঘরে আমাদের শিশুদের 'মগজ ধোলাই' হচ্ছে। ১৯৭১ সালের ১৪ই ডিসেম্বর এক দিনে যা সম্ভব হয়নি তা এখন আস্তে আস্তে করা হচ্ছে আর কি!!!

১৩| ০৯ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৫০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: রক বেনন ভাই,
আমি শিশুতোষ বই ও তাঁদের পাঠ্য বই সম্পর্কে আগেও লিখেছি কিন্তু তেমন সাড়া পাইনি, আমি লক্ষ্য করেছি আপনার পোষ্টেও তেমন সাড়া আসেনি - আমার হেমিলনের বাঁশিওয়ালা আর আপনার দ্যা সেলফিস জায়ান্ট একই দিনে পোষ্ট - পাবলিক সচেতনতা ১০-১৫ টি কমেন্ট, যদিও আমরা লিখি নিজেদের জন্য, নিজেন মনের প্রসান্তির জন্য, তবে লেখাটি ভবিষ্যত প্রজন্ম ও দেশের জন্য তো অবস্যই - ব্লগে সাড়া পেলে ভালো লাগে, দেশে শিক্ষা ব্যাবস্থা দিন দিন যেই ভাবে তাসের ঘর তৈরি হচ্ছে অচিরেই দেশে মুর্খ্য “I AM GPA 5” জাতি তেরি হবে বিশালাকার সংখ্যা যার পূর্ণবাসন বাঙ্গালী জাতি করার ক্ষমতা রাখে না । একটি লেখা পোষ্ট দিতে হলে যথেষ্ট শ্রম দিতে হয় তারপর ও তার আশানুরুপ সাড়া পাওয়া যায় না তারপর আছে খোঁচা মারা কথা ! অবস্য মেয়ে নিক হলে সবাই যে ঝাপিয়ে পড়তেন তা বলা বাহুল্য - চারটি ছবি আর নিজের বিদেশে থাকার আত্ম অহংকার নিয়ে দৈনিক কাজ নিয়ে লেখার পড় কমেন্ট পড়ে ৪০-৬০ টি মিনিমাম ।

০৯ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫

রক বেনন বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ ভাই, এই ধরণের গল্পগুলো হারিয়ে গিয়েছে এবং পাঠ্য বইয়ের ভাঁজে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না কোনদিন। আপনার পোস্ট টি আমি পড়েছি। আপনার পোস্টে অনেকগুলো কমেন্ট রয়েছে আর অনেকবার পঠিত ও। তার তুলনায় আমার পোস্টে পাঠক সংখ্যা কম। কারণ আমি অনিয়মিত লিখি। আমার বিশ্বাস নিয়মিত এবং আগ্রহ জাগায় এমন কিছু লিখতে পারলে পোস্টে পাঠক সংখ্যা আপনা আপনিই বৃদ্ধি পাবে। আমার পোস্ট যদি একজন ও পড়ে তবু আমার ভাল লাগে জানেন। আপনার কথাই ঠিক, আমরা লিখি নিজেদের জন্যে, নিজের মনের প্রশান্তির জন্যে। আর আমার এই ছোট ও পুরানো গল্পের পোস্ট গুলো পড়ে যদি কোন ব্লগার বাবা/মা তাদের সন্তানদের একটি বার ও গল্পটি শোনায়, তাহলেই আমি সার্থক।
ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্যে। ভাল থাকুন ভাই। শুভকামনা রইল।

১৪| ২৪ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:১৪

অচেনা হৃদি বলেছেন: ভালোলাগার একটি গল্প, সেই ছোটবেলায় পড়েছিলাম প্রথমবার ।

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:১৪

রক বেনন বলেছেন: পোস্ট পড়ার জন্যে ধন্যবাদ হৃদি। আপনার ভালোলাগার গল্পটিকে হাজির করতে পেরে আমিও আনন্দিত। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.