নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আইন পড়ি, আইন মেনে চলি। দেশের রাজনীতির সিস্টেমের উপর চরম হতাশা কাজ করে। সিস্টেমটাকে ঠিক করতে চাই। রাজনীতিকে কলুষতা থেকে বাঁচাতে চাই।

টিনের চালের কাক

টিনের চালের কাক › বিস্তারিত পোস্টঃ

অপরাজনীতির ফলাফল (পর্ব-২)

২০ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:৩২

যৌবন বড় খারাপ জিনিস। ভালোও বটে। কিন্তু এই আলোচনার ক্ষেত্রে খারাপ দিকটাই তুলে ধরতে হবে। যেসকল ডোনারগণ একজন হবু সাংসদকে সত্যিকারের সাংসদ বানালেন তাঁরা যে মদ, জুয়া, দেহ ব্যবসা ফেঁদেছেন, কাস্টোমার না থাকলে তা থেকে আয় করবেন কিভাবে? এই আয় করার জন্য কাস্টোমার হিসেবে তাঁরা বেছে নেন যুবসমাজকে। হাতে মাদক তুলে দিলে বাকি জিনিসপত্র বেচতে আর বেগ পেতে হয় না। বয়সটা যেহেতু যৌবনের, নারী তো লাগবেই। এই বয়সে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ থাকবেই। কিন্তু একতরফাভাবে তো আর ভালবাসা হয় না। যুবক যে নারীকে ভালবাসলো সে নারী হয়তোবা তাকে ছ্যাঁকা দিল। তাই সে হতাশ হয়ে মাদক ধরল। মাদকের টাকা বাবা-মা দেয় না। টাকাটা জোগাড় করতে হয় নিজেকেই। যুবক টাকা জোগাড় করতে গেল। সৎ পথের টাকায় মাদক হয় না। তাই সে বিপথে গেল। কোনোমতে একটা ছুরি জোগাড় করে দুই-চারটা সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে রাত-বিরাতে হামলা করল নিরীহ পথচারীর উপর। আমরা তার নাম দিলাম ছিনতাই। কোনো যুবক শুরু করল চুরি। কেউবা ডাকাতি। যার যেমন ক্ষমতা। কিন্তু এইসব অপকর্ম করে যুবক ধরা পড়ল। পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে আচ্ছামত ক্যালানি দিল। বাবা টাকা পয়সা দিয়ে ছাড়িয়ে আনল। পুলিশও টাকা খেয়ে ছেড়ে দিল। কারণ ওই যে ব্যবসায়ীরা পুলিশকে টাকার চশমা পরিয়ে দিয়েছে, এখন আর টাকা ছাড়া কোনোকিছু সে চোখে দেখে না। ছাড়া পেলেও যুবকের মাদকের নেশা তো কাটেনি। তার আবার টাকা দরকার। ইনকামেরও নতুন কোনো পথ নেই। যুবক ভেবে দেখল, নেতার সাথে রাজনীতি করলে পুলিশ কিছু বলবে না। বললেও নেতার কথায় পুলিশ তাকে ছেড়ে দিবে। তাই সে রাজনীতিতে ভিড়ল। মেধাবী ছাত্রদের রাজনৈতিক দলে নেশাখোর ঢুকে গেল। নেশাখোর যুবক এত এত মেধাবীদের মাঝে অস্তিত্ব সংকটে ভুগতে শুরু করল। তাই সে কোনোমতে দুই-চারটা মেধাবীকে নিজের কাতারে নিয়ে এল। আবার তার সেই বিপথে টাকা আয় করা শুরু হয়ে গেল। সাঙ্গপাঙ্গসহ ধরা পড়ায় নেতা তাদের “ভাল ছেলে” নাম দিয়ে ছাড়িয়ে আনল। ভাল ছেলেগুলো জেনে গেল ক্ষমতার জোর কি জিনিস।

এদিকে জনৈক ডোনারের ছেলের যৌবনের জোয়ার একটু বেশি। কোনো নারীকে ভাল লাগলে তাকে তার পেতেই হবে। যেহেতু তার বাপ ডোনার, হাতে প্রচুর ক্ষমতা। আর বাপ তাকে খুব ভালবাসে। দুই একটা অপকর্ম করলেও পুলিশ কিছু বলেনি। যৌবনের তাড়নায় এক মেয়েকে ধর্ষণ করে বসল। মেয়েটি আবার হুমকি দিল যে সে নাকি সবাইকে বলে দিবে। রাগের মাথায় মেয়েটির ওড়নাটি মেয়েটির গলায় পেঁচিয়ে ধরল। মেয়েটি মরে গেল। বাপকে গিয়ে বলার পর বাপ খুব বকা দিল। জিজ্ঞেস করল কেউ দেখেছে কিনা। কেউ দেখেনি। কিন্তু কেউ না দেখলেও লাশখানা তো আর উবে যায়নি। জনতা লাশ পেল, পুলিশ এল, তদন্ত হল। পুলিশ গেল ডোনারের কাছে। ডোনার কিছু ডোনেট করল, পুলিশ সব চেপে গেল। কয়েকদিন সাংবাদিকরা একটু লেখালেখি করল কিন্তু অন্য ইস্যু পেয়ে মুখ ঘুরিয়ে নিল। হাজার হোক সংবাদও তো একটা পণ্য। মানুষ যেটা বেশি খাবে সেটাই তো খাওয়াতে হবে। নাহলে তো ব্যবসা টিকে থাকবে না।

অপরাজনীতির ফলাফল (পর্ব-১)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:

অপরাজনীতি জাটিকে পংগু করছে, ঠিক; তবে, আপনি উহাকে সঠিকভাবে বুঝতে পারছেন বলে মনে হচ্ছে না

২| ২১ শে মে, ২০১৭ রাত ৩:২১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: রাজনীতির নামটি যতদিন রাজনীতি থাকবে ততদিন এটা অপনীতি হয়েই থাকবে । একে নাম পাল্টিয়ে জননীতি বা গণনীতি রাখা যেতে পারে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.