নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় প্রকৌশলী। অন্তর্মুখী। কবিতা ভালোবাসি ভীষণ। লিখিও

ঋতো আহমেদ

আমার হাতের দিকে বাড়ানো তোমার হাত। হাতের ভেতরে শিখা, শত্রুতার এমন রূপ! কামনা বিভীষিকা

ঋতো আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

টি এস এলিয়টের সাক্ষাৎকার (প্রথম অংশ)

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১২



বাংলা রূপ: ঋতো আহমেদ

ইংরেজী ভাষার বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান কবি এলিয়টের এই সাক্ষাৎকার টি নিয়েছিলেন ডোনাল্ড হল। ১৯৫৯ এ এটি প্রকাশিত হয়। এলিয়ট দম্পতির বন্ধু লুইস হেনরি কন এর নিউইয়র্কের এপার্টমেন্টে চমৎকার সব ব‌ইয়ের থাক সম্বলিত লিভিং রুমে বসেছিলেন সবাই। দেয়ালে এলিয়টের একটি প্রতিকৃতি টাঙানো ছিল যেটি এঁকেছিলেন তাঁর শ‍্য‌ালিকা মিসেস হেনরি ওয়‍্য‌ার এলিয়ট। টেবিলে এলিয়টের বিয়ের ছবি দাঁড় করানো ছিল। ঘরের এক কোণে মিসেস কন আর মিসেস এলিয়ট সোফায় বসে ছিলেন। আর ডোনাল্ড হল আর এলিয়ট মাঝখানে সামনাসামনি। তাদের মাঝখানে টেপরেকর্ডার আর মাইক্রোফোন রাখা ছিল।


ডোনাল্ড হল

আমার মনে হয় একদম প্রথম থেকে শুরু করতে পারি আমরা। আচ্ছা, আপনার কি মনে আছে আপনি যখন সেন্ট লুইস-এ থাকতেন, কিশোর ছিলেন, তখন আসলে কোন পরিস্থিতিতে কেমন করে প্রথম কবিতা লিখতে শুরু করেন?

টি এস এলিয়ট

মনে আছে আমার বয়স তখন চৌদ্দ, ফিজগেরাল্ডের অনুবাদে ওমর খৈয়াম পড়ে উৎসাহিত হ‌য়েছিলাম এবং বিষণ্ন, নান্দনিক ও নিরাশা মূলক কিছু চার লাইনের কবিতা লিখি যেগুলো পরে ধ্বংস করে ফেলি—মানে ওগুলোর অস্তিত্ব আর নেই। কাউকে ওগুলো দেখাইনি কখনো। সে হিসেবে আমার প্রথম কবিতাটি স্মিথ একাডেমি রেকর্ডে ও পরে হার্ভার্ড এডভোকেট-এ প্রকাশিত হয়। বেন জনসন-কে অনুসরণ করে লিখেছিলাম আমার ইংরেজি শিক্ষকের জন্য অনুশীলন হিসেবে। তাঁর কাছে মনে হয়েছিল ১৫/১৬ বছরের ছেলে হিসেবে লিখাটা খুব ভালো হয়েছে। এরপর হার্ভার্ড এডভোকেট-এ সম্পাদনা পর্ষদের নির্বাচনে অংশ নিতে কিছু লিখা পাঠাই যা খুব উপভোগ্য ছিল আমার জন্য। তখন থেকেই পরবর্তী কয়েক বছরে বলা চলে আমার লিখালিখির উন্মেষ ঘটে। বদলেয়ার আর জুলেস লাফোর্গের প্রভাবে আমি আরো উর্বর হয়ে উঠি। এঁরা ছিলেন হার্ভার্ডের আমার প্রথম কয়েক বছরের আবিস্কার।

হল

নির্দিষ্টভাবে কেউ কি আছেন যে আপনাকে ফরাসি কবিদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন? ইরভিং বেব্বিত্ নন মনে হয়।

এলিয়ট

না, বেব্বিত্ হতে পারেন শেষ ব‍্য‌াক্তি ! গ্রে'স এলিজি কবিতাটি বেব্বিত্ সবসময় আওড়াতো। নিঃসন্দেহে দারুণ একটি কবিতা, কিন্তু আমি মনে করি এই ব্যাপারটি এক ধরনের দূর্বলতা প্রকাশ করতো, ঈশ্বর তাঁর সহায় হউন। আমার পরিচিত পরিমন্ডলে খুঁজেছি; ওটা ছিল আর্থার সাইমনের একটি ফরাসি কবিতার বই। হার্ভার্ড ইউনিয়নেই ওটা পেয়েছিলাম। তখনকার দিনে হার্ভার্ড ইউনিয়ন মানে একটা সভাস্থান যেখানে এর সাথে সম্পৃক্ত স্নাতক শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা যুক্ত হতো। তাদের খুব সুন্দর ছোট একটা পাঠাগার ছিল। যেমনটি এখন হার্ভাডের প্রায় অনেক বাড়িতেই আছে। আর্থারের উদ্ধৃতি গুলো আমার ভালো লাগতো এবং আমি একবার বোস্টনের এক বিদেশী ব‌ইয়ের দোকানেও গিয়েছিলাম (নাম ভুলে গেছি আর জানি না এখনো ওটা আছে কি না) যা ফরাসি, জার্মান এবং অন্যান্য ভাষার বইয়ের জন্য বিখ্যাত ছিল। সেখানে লাফোর্গ আর অন্য কবিদের ব‌ই পেয়েছিলাম। এখনও ভাবলে অবাক হ‌ই ছোট ওই দোকানে কেন‌ইবা ওরা লাফোর্গের মতো অল্প কিছু লেখকের ব‌ই সংগ্রহে রাখতো। ভালো কথা যে, না জানি কতোদিন ব‌ইগুলো সংগ্রহে ছিল কিংবা হয়তো অন‍্য কোনো চাহিদা ছিল ওদের।

হল

আপনি যখন অনার্সে ছিলেন তখন কি কোনো আগ্রজ কবির প্রভাব সম্পর্কে সচেতন ছিলেন? এখন যেমন তরুণ কবিরা লিখতে গিয়ে এলিয়ট, পাউন্ড আর স্টিফেনসের প্রভাব অনুভব করেন। আপনার তখনকার চিন্তা চেতনা কেমন ছিল মনে করতে পারেন? অবাক হবো যদি আপনার অবস্থা অতিমাত্রায় আলাদা না হয়ে থাকে।

এলিয়ট

আমার মনে হয় তখন ইংল্যান্ড বা আমেরিকায় সেরকম কোনো জীবিত কবির উপস্থিতি না থাকাটা আমাদের জন্য সুবিধাজনক হয়েছিল যার উপর কেউ আলাদা কোনো আগ্রহ দেখাতে পারতো। আমি জানিনা ব‍্যপারটা কেমন হবে কিন্তু আমি মনে করি এতোজন কবির প্রভাব, যেমনটি আপনি বললেন, তাহলে তো বিরক্তিকর ক্ষোভের সৃষ্টি হবে। সৌভাগ্য যে আমরা একে অপরকে বিব্রত করিনি।

হল

হার্ডি কিংবা রবিনসন এর মতো লেখকের ব‍্যপারে কি একটুও সচেতন ছিলেন?

এলিয়ট

রবিনসন সম্পর্কে সামান্য সচেতন ছিলাম। কারন আটলান্টিক মান্থলি-তে তাঁর বিষয়ে একটা গদ‍্য পড়েছিলাম। সেখানে তাঁর কিছু কবিতার উদ্ধৃতি ছিল। ওগুলো মোটেই আমার ধাঁচের ছিল না। আর হার্ডি কে কবি হিসেবে খুব কম মানুষই চিনতো তখন। শুধু একটা উপন্যাস পড়েছিলাম। কিন্তু তার কবিতা আসলে অনেক পরে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। আর ছিলেন ইয়েটস। তিনিও তখন‌ তরুণ। অতি রোমান্টিক কুয়াশায় আচ্ছন্ন মনে হয়েছে আমার তাকে। ৯০ দশকের কয়েকজন ছাড়া আসলে তেমন কেউই ছিলেন না। এঁরাও অবশ্য মদ খেয়ে কিংবা আত্মহত্যা করে অথবা অন্য কোনো ভাবে মারা গিয়েছিলেন।

হল

যখন এডভোকেট-এ সহ-সম্পাদক ছিলেন আপনি আর কোনরাড এইকেন তখন কি কবিতা বিষয়ে একে অপরকে সাহায্য করতেন?

এলিয়ট

আমরা বন্ধু ছিলাম। কিন্তু আমি মনে করি না এ বিষয়ে একে অপরকে প্রভাবিত করেছিলাম। কোনো বিদেশী লেখকের ব‍্যপারে ওঁর আগ্রহ ছিল স্পেনিশ আর ইতালিও-র দিকে আর আমার ছিল ফরাসি।

হল

অন‍্য কোনো বন্ধু বা কেউ ছিল সেখানে যে আপনাকে সাহায্য করেছেন?

এলিয়ট

হ‍্য‌া, একজন ছিলেন। টমাস এইচ টমাস, আমার ভাইয়ের বন্ধু। তিনি কেমব্রিজে থাকতেন। আমার কিছু কবিতা হার্ভার্ড এডভোকেট-এ পড়েছিলেন। তারপর একটি দারুন অনুপ্রেরণা মূলক চিঠি লেখেন আমাকে যেটা পড়ে খুব উৎফুল্ল হ‌ই। আর আমি মনে মনে চ‌ইতাম তিনি এরকম আমাকে আরো লিখুন। ওই উৎসাহটি দেয়ার জন্য আমি উনার প্রতি খুবই কৃতজ্ঞ ছিলাম।

হল

আমি মনে করি কনোড়াড এইকেন‌-ই আপনাকে আর আপনার কাজকে পাউন্ড-এর কাছে তুলে ধরেন।

এলিয়ট

হ‍্য‌া, ঠিক বলেছেন। এইকেন একজন উদার মনের বন্ধু ছিলেন। তিনি আমার কিছু কবিতা লন্ডনে কয়েকটি স্থানে দিতে চেয়েছিলেন। কোনো এক গ্রীষ্মে হ‍্য‌ারল্ড মনরো এবং আরো কয়েক জায়গায়। কিন্তু কেউই ওগুলো ছাপতে আগ্রহ দেখায়নি। পরে ওগুলো ফেরত এনেছিলেন আমার কাছে। তারপর ১৯১৪ সালে হবে হয়তো, আমরা দুজনে তখন লন্ডনে। তিনি বললেন, “তুমি পাউন্ড-এর কাছে যাও। তোমার কবিতা তাঁকে দেখাও।” ভেবেছিলেন পাউন্ড ওগুলো পছন্দ করবেন। এইকেন পছন্দ করেছিলেন, যদিও ওগুলো তাঁর ধারার চেয়ে আলাদা ছিল।

হল

পাউন্ড-এর সাথে আপনার প্রথম সাক্ষাত কেমন ছিল?

এলিয়ট

প্রথমে ফোনে যোগাযোগ করে দেখা করতে যাই। কেনসিংটনের ছোট তিন কোনা বসার ঘরে ভালো ছাপ ফেলতে পেরেছিলাম। তিনি বললেন, “তোমার কবিতা পাঠিও আমাকে।” তারপর উত্তরে লেখেন, “আমার দেখা মতে এগুলো খুবই ভালো হয়েছে। এসো একদিন কবিতাগুলো নিয়ে কথা বলবো।” তারপর তিনি ওগুলো হ‍্য‌ারিয়েট মনরো তে পাঠিয়ে দেন। কিছু দিন পর ছাপা হয়।

হল

আপনার এডভোকেট এর দিন গুলো নিয়ে এইকেন একটি গদ‍্য‌ে লিখেছেন, যেটি ব‌ই হিসেবে আপনার ৬০তম জন্মদিনে উপহার দিয়েছিলেন, এইকেন সেখানে লিখেছেন প্রথম দিককার ইংল্যান্ড থেকে পাঠানো এক চিঠিতে পাউন্ডের কবিতা সম্পর্কে আপনি লিখেছিলেন “অস্পৃশ্য অখাদ্য”। আমি অবাক হয়েছি যখন আপনি আপনার মতামত বদলালেন।

এলিয়ট

হাহ্! ব‍্যপারটা খুব বাজে, তাই নয় কি? হার্ভার্ড এডভোকেট-এর একজন সম্পাদক প্রথম পাউন্ড-এর কবিতা দেখান আমাকে। ডব্লিউ জি তিন্কম-ফারনান্দেজ আমার এবং কনোড়াড এইকেনের এবং সিনেটের অন‍্য কবিদের অন্তরঙ্গ বন্ধু ছিলেন। তিনি বলেন, “এই কবিতা গুলো তোমার ধারার, তোমার উচিৎ এগুলো পছন্দ করা।” আসলে আমার তেমন ভালো লাগেনি। মনে হয়েছিল অলঙ্কারে ভারাক্রান্ত, পুরোনো ধাঁচের, রোমান্টিক কবিতা। তেমন খুশি করতে পারে নি আমাকে। এমনকি যখন আমি পাউন্ডের সাথে দেখা করতে যাই, তখন তাঁর লিখার ভক্ত ছিলাম না আমি। যদিও আমি মনে করি তখন যা ভেবেছিলাম তা ঠিক ছিল, তবে তাঁর পরবর্তী লিখাতেই মহৎ কাজ গুলো পেয়েছি আমরা।

হল

আপনি প্রকাশিত কোনো লিখায় বলেছেন পাউন্ড আপনার অপেক্ষাকৃত লম্বা ওয়েস্ট ল‍্য‌ান্ড কে কেটে বর্তমানের মতো ছোট করেছিলেন। এরকম কাটাকাটি তে আপনি কি উপকৃত হয়েছিলেন? তিনি কি আর কোনো কবিতা কাটছাঁট করেছেন?

এলিয়ট

হ‍্য‌া, সেই সময় করেছিলেন। তিনি একজন অসাধারণ সমালোচক। কারন তিনি চাননি কেউ তাঁর নকল হয়ে উঠুক। তিনি দেখতে চেয়েছিলেন আপনি কী করতে চাইছেন।

হল

কখনো কি আপনি কারও কবিতা পূনর্লিখনে সহায়তা করেছেন? এই ধরুন এজরা পাউন্ড?

এলিয়ট
...
(চলবে..)

সূত্র : প‍্য‌ারিস রিভিউ
কৃতজ্ঞতা : এমদাদ রহমান (এ-সময়ের অন্যতম গদ্যকার, বন্ধু)

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২১

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন:
এই লেখাটি কি আপনি ইংরেজী থেকে সরাসরি অনুবাদ করেছেন?
লেখাটি পড়ে অনেক কিছুই জানাতে পারলাম। আশা করি, পরবর্তী অংশ খুব শীঘ্রই পোষ্ট করবেন। ধন্যবাদ।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৮

ঋতো আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ তানভীর সাকিব। ইংরেজী থেকে ভাষান্তর করেছি। অনেক লম্বা সাক্ষাৎকার। কয়েকটি অংশে ভাগ করে পর্যায়ক্রমে পোস্ট দিব। পড়েছেন জেনে ভালো লাগলো। শুভ কামনা জানবেন।

২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ঋতোভাই,

অসম্ভব সুন্দর অনুবাদ কাজ হয়েছে। বিশেষ করে এধরনের অনুবাদ কার্যে ভাবের একটু ঘাটতি থাকে। কিন্তু আপনার এই অনুবাদটি মনে হল যেন বাংলাভাষাতেই সাক্ষাতকারটি হয়েছিল।

পোস্ট অনুযায়ী মন্তব্য আবার সময় নিয়ে এসে করবো।

শুভকামনা জানবেন ।


০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫২

ঋতো আহমেদ বলেছেন: আমি আসলে ভেবেছি, চিন্তা করেছি, বাংলায় কথা বললে উনারা কীভাবে বলতেন। আর সহজ শব্দ আর বাক্যে ভাষান্তরের দিকে মনোযোগ দিতে চেষ্টা করেছি। পোস্টটি নজড়ে নিয়েছেন আর মন্তব্য করেছেন এ জন্য কৃতজ্ঞ রইলাম। ধন্যবাদ দাদা।

৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৫

এ.এস বাশার বলেছেন: সুন্দর ঋতো ভাই অনুপ্রেরণা পেলাম খুব।
অনুবাদ মাধুর্য্য পূর্ণ।
শুভকামনা রইলো.....

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৯

ঋতো আহমেদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বাশার ভাই। পড়েছেন জেনে ভালো লাগলো। আমার বন্ধু এমদাদ রহমান লন্ডনে বসে এই কাজগুলো অত্যন্ত সুচারুভাবে করে যাচ্ছেন একে একে। অনেকগুলো করেছেন। সামনে বই আকারে পাবো। ওর কাছে প্রেরণা পেয়ে হঠাৎ এই প্রচেষ্টা।

৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চৌধুরি ভাইয়ের কমেন্ট ও আপনার উত্তর ভালো লেগেছে। এর আগে আপনার অনুবাদ কবিতা পড়ে আমারও মনে হয়েছিল ওটা অনুবাদ নয়, ন্যাচারাল বাংলা কবিতা।


টিএস এলিয়ট সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাওয়া গেল। ভবিষ্যতে হয়ত আরো অনেক কিছু জানবো।

শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৪

ঋতো আহমেদ বলেছেন: এলিয়ট ইংরেজী ভাষায় আমার প্রিয় একজন কবি। কবিতায় আধুনিকতা প্রতিষ্ঠার অন্যতম পথিকৃত। ১৯৪৮ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কারে ভূষিত হন। তার কবিতার ভাষা, কবিতার শরীর, জগৎকে দেখার ভংগি এখনও অবাক করে। ইচ্ছে আছে তার কিছু কবিতা বাংলায় ভাষান্তর করার।

সাক্ষাৎকারটি পড়েছেন জেনে ভালো লাগলো। পর্যায়ক্রমে পরবর্তী অংশগুলো পোস্ট করবো। ভাল থাকবেন।

৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১১

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার।
আরও দেন।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২০

ঋতো আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ ব্রো

৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৩

রাকু হাসান বলেছেন:
বুঝলাম না B:-) আমি মন্তব্য করে ছিলাম আগে ,প্রতি উত্তর দেখতে আসিছিলাম কিন্তু ! কোন কারণে মে বি মন্তব্যটি হয়নি ।
ভাল একটি টপিক নিয়ে লিখছেন । সাধুবাদ জানাই । জানার সুযোগ করে দিলেন । কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি । ++

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৩

ঋতো আহমেদ বলেছেন: রাকু হাসান,, হয়তো আমি যখন কিছুক্ষণের জন্য এডিটে নিয়েছিলাম তখন আপনি মন্তব্য করেছিলেন তাই গৃহীত হয় নি। আবার এসে মন্তব্য করেছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। কৃতজ্ঞতা জানবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৪

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম ।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪১

ঋতো আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আশা করি খুব দ্রুত পরবর্তী পর্ব পোস্ট করতে পারবো। শুভ কামনা।

৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৫:৩৭

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আর সবার মতই বলছি সত্যি ভালো লেগেছে অনুবাদ। আপনার লেখা আমার বরাবরই ভালো লাগতো। সাক্ষাৎকারটি থেকে অনেক কিছুই জানতে পেরেছি, পারবো সামনে আশা করছি।

এমন পোস্টের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা, ঋতো আহমেদ।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৩

ঋতো আহমেদ বলেছেন: আপনার ভালো লাগাই আমার প্রেরণা। শুভ সকাল। ভালো থাকবেন সবসময় এই কামনা করছি।

৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:৩৪

জাহিদ অনিক বলেছেন: চমৎকার আয়োজন। অনুবাদ সাক্ষাৎকার পড়ে বেশ কিছু ধারনা পাওয়া গেল।
এই পর্বে মনে হচ্ছে এলিয়েট কেবল তাঁর সময়ের ও আগে-পরের কবিদের নিয়ে তাঁর ভাবনা ও যোগাযোগের কথা বলেছেন।
ভালো লাগলো পড়ে।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১৩

ঋতো আহমেদ বলেছেন: তৎকালীন সময়ে, এমনকি এখনও, মানুষ ইউরোপ এশিয়া আফ্রিকা থেকে আমেরিকা প্রবাসী হয়। অনেক কবি সাহিত্যিক এর ব‍্যতিক্রম নন। শুধু টি এস এলিয়টকে দেখলাম আমেরিকা ছেড়ে ইংল্যান্ড প্রবাসী হয়েছিলেন। সাহিত‍্য‌ে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী এই কবির দীর্ঘ এই সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে তাঁকে ও তাঁর সমসাময়িক অন‍্য অনেক কে জানার সুযোগ করে দিয়েছেন ডোনাল্ড হল। বাংলা ভাষার পাঠকের কাছে তুলে ধরতে চেষ্টা করছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

পাঠ ও মন্তব্যে‌ কৃতজ্ঞতা জানবেন।

১০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৭

দিলের্‌ আড্ডা বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো যে উনিও ওমর খৈয়ামের দ্বার প্রভাবিত ছিলেন।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩১

ঋতো আহমেদ বলেছেন: আড্ডা, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। বালক বয়সে ওমর খৈয়াম পড়ে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন।

১১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:২৭

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: পরুটা পড়বার ইচ্ছে আছে। নেক্সট পর্ব কবে দিচ্ছেন?

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩১

ঋতো আহমেদ বলেছেন: টি এস এলিয়টের বিষয়ে আপনার আগ্রহ দেখে ভালো লাগলো। আশা করি দু'একদিনের মধ্যে দিতে পারবো। ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.