নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় প্রকৌশলী। অন্তর্মুখী। কবিতা ভালোবাসি ভীষণ। লিখিও

ঋতো আহমেদ

আমার হাতের দিকে বাড়ানো তোমার হাত। হাতের ভেতরে শিখা, শত্রুতার এমন রূপ! কামনা বিভীষিকা

ঋতো আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

টেড হিউজ (১৯৩০—১৯৯৮) এর কবিতা

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০১


টেড হিউজ (১৯৩০—১৯৯৮) এর কবিতা

সংক্ষিপ্ত পরিচিতি#

ইংরেজি ভাষার অন্যতম কবি টেড হিউজ ১৭ই আগস্ট ১৯৩০ সালে ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারে জন্মগ্রহণ করেন। পুরো নাম এড‌ওয়ার্ড জেমস টেড হিউজ। তিনি একাধারে কবি, নাট্যকার ও শিশুতোষ লেখক ছিলেন। সমালোচকদের অভিমত, তিনি তাঁর প্রজন্মের অন্যতম সেরা কবি ছিলেন ও বিংশ শতাব্দীর অন্যতম সেরা লেখক ছিলেন তিনি। মৃত্যুর পূর্ব-পর্যন্ত পয়েট লরেটের দায়িত্ব পালন করে গেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজগুলো হচ্ছে—

দ‍ি হাওক ইন দ‍্য রেইন (১৯৫৭)
ক্রো (১৯৭০)
রিমেইনস অব এলমেট(১৯৭৯)
মুরটাউন ডাইরী (১৯৭৯)
উল্ফ‌ওয়াচিং(১৯৮৯)
রেইন-চার্ম ফ দ‍্য ডাচী (১৯৯২)
টেইলস ফ্রম অভিদ (১৯৯৭)
বার্থডে লেটার্স (১৯৯৮), ইত‍্য‌াদি।



তিনি ব‍্যক্তি জীবনে ১৯৫৬ সালে আমেরিকান কবি সিলভিয়া প্লাথ-কে বিয়ে করেন। কিন্তু প্লাথ ১৯৬৩ সালে আত্মহত্যা করেন। পরবর্তীতে ১৯৭০ সালে ক‍্য‌ারল অর্চার্ড কে বিয়ে করেন। মাঝে ১৯৬২ থেকে ১৯৬৯ পর্যন্ত আসিয়া ওয়েভিল-এর সাথে লিভ-টুগেদারে ছিলেন। তাঁর তিন ছেলে মেয়ে। ২৮ শে অক্টোবর ১৯৯৮ সালে এই কবির মৃত্যু হয়।




তাঁর মুরটাউন ডাইরী (১৯৭৯) কাব‍্যগ্রন্থ থেকে তিনটি কবিতা বাংলায় ভাষান্তর করার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।


“মুরটাউন ডাইরী” থেকে টেড হিউজের তিনটি কবিতা
ভাষান্তর : ঋতো আহমেদ

১৯৭০ সালে হিউজ ও তাঁর স্ত্রী ক‍্য‌ারল ইংল‍্য‌ান্ডের ডেভনে একটি ফার্ম কেনেন। তারপর শশুরের সাথে পার্টনারশিপে ফার্মটি চালিয়েছিলেন তিনি। ব‌ইটিও উৎসর্গ করেন শশুর জ‍্য‌াক অর্চার্ড-এর নামে। সেই সময়ে লিখিত কবিতাগুলো এই ব‌ইয়ে স্থান পেয়েছে।

মুরটাউন ডাইরী আসলে দৃষ্টি খোলে ভাষার আড়ালে লুকিয়ে থাকা সেই সব প্রাণীদের দিকে। এখানে হিউজ কবিতাগুলো এমনভাবে লিখেছেন যেন কাঁচি চালিয়ে সমস্ত বাহুল্য ছেঁটে ফেলেছেন—পড়তে গেলেই মনে হয় এক পিন-পতন নৈঃশব্দ্যের গহীন থেকে উঠে আসছে একেকটি শব্দ। বাইরের পৃথিবীর সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন একেবারে আলাদা এক জগৎ। কবিতাগুলোয় এক ধরনের গতি, ঔজ্জ্বল‍্য, ত্বরা এবং বাচনীয়তা লক্ষ‍্যনীয়।

আসুন পড়ি—


অসহায় পাখিরা

কাদার নোংরা ঝোপ। ওদের খুলির
ভেতর নীল আবছা আঁধার চেপে ধরে
নক্ষত্রের বিদ্যুৎবাহী তার। সারা রাত
পাশের আধ-ভেজা ডালে, ডালপালার মতোই বিস্তৃত সব নখ,
ওরা স্বপ্ন দ‍্য‌াখে, স্বর্গে পালকহীন হয়ে গেছে,
আর দ‍্য‌াখে বুভুক্ষু সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ। সন্ত্রস্ত হয়, নিচে,
উড়ে যায় মাঠের দিকে। সারাদিন
ঘুমাতে চেষ্টা করে ভালো
চোখের আড়াল করতে চায় না ঘাস। আতঙ্ক
পাহাড় থেকে পাহাড়ে তাড়িয়ে বেড়ায় ওদের। নিরাপত্তা খুঁজে ফেরে ওরা
সবখানে, যেন তা লুকিয়ে আছে
সমস্ত পাথরের আবদ্ধ সব
মুখে।

(১০ ডিসেম্বর ১৯৭৩)



বরফের ধোঁয়া, যেন ফুটছে মাঠপ্রান্তর

বাছুর কাঁদছে।
চাড়ি ঘনীভূত হচ্ছে।
মুরগী ভুলে গেছে তার কণ‍্য‌াদের।
মুক্ত অপ্রত্যাশিত শিয়াল মাঝমাঠ অতিক্রম করে যাচ্ছে।
আর এ বিষয়ে কোনো আগ্রহই নেই গাছের ডালপালাদের।
আস্তরে ডুবে যাচ্ছে ফার্মটির ছাদ, যেন দেখাচ্ছে তিমির মতো।
ভেড়া হয়ে যাচ্ছে ম্লান বিনীত। এর মধ্যেই
প্রথম চেঁচিয়ে উঠলো পেঁচা, বন্দীর শর্ত ভঙ্গের মতো, তুষার কণার
ঘন শুভ্রতায়।

(৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৫)



অর্ফ (ক্ষুরা)

কারন তার নাকে মুখে ছিল পঁচা ঘা
মাসের পর মাস, কোনো চিকিৎসাই কাজে লাগে নি,
এবং তার চার পা-য়েও ছিল এক‌ই রকম ঘা,
কোনোভাবে শুধু দাঁড়াতে পারতো, এর বেশি না,

অসুস্থতা তার বেড়ে-ওঠাকে বদলে দিয়ে অবলীলায়
অসুস্থতাকেই বাড়িয়ে দিচ্ছিলো
যখন তার মুখোশ ভেদ করে শ্বাস প্রশ্বাসের ঘরঘর আওয়াজ হচ্ছিলো
যখন কোনো পদার্থে-ই যেন থামছিলো না

বাছুরটিকে গুলি করি তখন।
সে অন‍্যদিকে তাকিয়ে ছিল আর আমি গুলি করি।
দুই কানের মাঝ বরাবর করি।

মাটিতে পড়ে যায় সে।
শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ আপনাআপনি স্থির হয়ে যায় ধীরে
আর রক্ত বেরিয়ে আসে, নিঃশেষ।

কিন্তু ওর আত্মা যা আমার তত্ত্বাবধানে ছিল
উঠে আসে, যেখানে পড়ে ছিল তার শরীর, সেখান থেকে উঠে এসে দাঁড়ায় আমার সামনে

মুক্তি চায়,
নির্বাপিত হ‌ওয়ার অনুমতি চায়,
অনুমতি চায় অন্তত, একটু অপেক্ষার,

যতক্ষণ না আমার মাথার ভেতর
তেজষ্ক্রিয় এক স্থান
যেখান থেকে পতিত উল্কা সরিয়ে নেয় ওর শরীর।

(৩রা জুলাই ১৯৭৬)

ছবি সূত্র : ইন্টারনেট। ২য় ছবিতে সিলভিয়া ও টেড। ৩য় ছবিতে টেড আসিয়া আর তাদের মেয়ে। ৪র্থ ছবিতে ক্যারল এবং টেড।

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১১

বাকপ্রবাস বলেছেন: আপনার লেখা সমৃদ্ধ, অনুবাদ সমৃদ্ধ। দারুণ একটা কাজ করছেন, অনুবাদ শিল্পতে আমরা খুব পিছিয়ে, সেটা খুব বেশী প্রয়োজন নিজেদের গভীরতা স্তর মাপতে সুবিধে হয়।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৭

ঋতো আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। পিছিয়ে নেই আসলে। ওপার এপার মিলে অনুবাদে ভালো কাজ হয়েছে। হচ্ছে। যে জায়গাগুলোতে আলোকপাত হয়নি সেখানে কাজ করার আছে। অনেকেই কাজ করে যাচ্ছেন। সময়ে সামনে আসবে ওগুলো।

২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৪

কবির নাঈম দোদুল বলেছেন: বেশ লেগেছে অনুবাদগুলো। কবিকেও চিনতে পারলাম।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫১

ঋতো আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ দোদুল ভাই। টেড হিউজকে চেনাতে পেরে ভালো লাগছে। আশা করি ওনার আরো কবিতা আপনাদের সামনে নিয়ে আসতে পারবো।

৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৫

এ.এস বাশার বলেছেন: অসাধারন অনুবাদ ঋতো ভাই.....
কবিতা গু্লো মনমুগ্ধকর.....হৃদয় ছুয়ে গেল..................

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫৩

ঋতো আহমেদ বলেছেন: আপনাকেও অশেষ ধন্যবাদ বাশার ভাই। কবিতা পাঠে কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৬

সূর্যালোক । বলেছেন:

আপনার সুযোগে পড়ার সুযোগ হলো । ধন্যবাদ ।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০২

ঋতো আহমেদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সূর্যালোক ভাই। ভালো থাকবেন।

৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় ঋতোভাই,

আপনার সৌজন্যে কবির সঙ্গে পরিচিত হলাম। বরাবরের মত আপনার অনুবাদ কর্ম ভীষণ ভালো। কবির জীবনে দারুণ উত্থান - পতন আছে। তিনটি কবিতাতেই যেন সেই দ্রোহের চিহ্ন পেলাম।

সুন্দর অনুবাদে সুখপাঠ্য লাগলো। ++++


অফুরান শুভকামনা আপনাকে ।



১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০১

ঋতো আহমেদ বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। উত্থান পতন আছে। ইংরেজী সাহিত্যে টেড হিউজ অনন্য একটি নাম। তার কবিতাগুলো অন্যরকম। প্রাণীকূল তার কবিতার ক্যারেকটার। পাঠককে আলাদা এক জগৎ-এ নিয়ে যায় টেডের কবিতা।

পাঠ ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন দাদা।

৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৫

প্রথমকথা বলেছেন: এর আগে কবির সাথে পরিচিত ছিলাম না, অনুবাদ খুব ভাল হয়েছে। অনেক ছবি দেখলাম কবির।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৭

ঋতো আহমেদ বলেছেন: আপনাকে পরিচিত করাতে পেরে আমারো খুব ভালো লাগছে। শুভ কামনা রইলো।

৭| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৭

সনেট কবি বলেছেন: অসাধারন অনুবাদ

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৯

ঋতো আহমেদ বলেছেন: ফরিদ ভাই। কেমন আছেন আপনি। কবিতা পাঠ করেছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। শরীরের যত্ন নিয়েন। আর আমাদের জন্য দোয়া করবেন।

৮| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৬

লাবণ্য ২ বলেছেন: অসাধারন অনুবাদ!

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৯

ঋতো আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ লাবণ্য। ভালো থাকবেন সবসময়

৯| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট টি খুব ভালো লাগল।
খুব উপভোগ করলাম।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৩

ঋতো আহমেদ বলেছেন: ভোগ এর চে উপভোগ কথাটি ভালো শোনায়। অনেক উপভোগ করুন আর কবিতা পড়ুন। ধন্যবাদ আপনাকে ব্রো

১০| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক সময় নিয়ে কবিতাগুলোর ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলাম। হিউজ ভাষার আড়ালে লুকিয়ে থাকা প্রাণিদের ভাষাটাকেই যেন রপ্ত করে নিয়েছিলেন, তাই, শুধু প্রাণীই না, প্রাণীদের পরিবেশও চমৎকারভাবে উঠে এসেছে কবিতায়।

প্রথম কবিতায় খুব করুণ ভাবে প্রতিভাত হয়েছে অসহায় পাখিদের অসহায়ত্ব। -- 'ওরা স্বপ্ন দ্যাখে-- ' অংশটুকু বুকে খুব ধাক্কা দেয়। ২য় কবিতাটি খুবই সাংকেতিক/প্রতীকী মনে হলো। দীর্ঘ কবিতাটিতেই সবটুকু মাধুর্য যেন উপচে পড়লো।

দারুণ উপভোগ করলাম কবিতা, শুধু আপনার অনুবাদের গুণে। বাকপ্রকাশের সাথে একমত।

স্বামী-স্ত্রী দুজনেই কবিখ্যাতি প্রাপ্তিদের মধ্যে এই দম্পতিও একজোড়া, সেটা ভাসা ভাসা জানতাম।

অনেক অনেক শুভ কামনা থাকলো।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৪

ঋতো আহমেদ বলেছেন: টেড এবং সিলভিয়া দারুণ এক জুটি ছিলেন। দুজন‌ই কবি। ওদের এক মেয়ে আছে। কিন্তু একসময় ব‍্যক্তিত্বের দ্বন্দ্ব তাদের সম্পর্কে সংঘাত সৃষ্টি করে। টেড যতদূর জানি একটু ডোমিনেটিং ছিলেন। লিখালিখির ব‍্যপারেও। এক পর্যায়ে আসিয়ার সাথে সম্পর্কিত হন টেড। আর সিলভিয়া আত্মহত্যা করেন। এই ঘটনা তৎকালীন সাহিত্যের পরিমন্ডলে ব‍্যপক সারা ফ‍্য‌ালে দেয়।

সিলভিয়া এবং টেড দুজন‌ই ইংরেজী কবিতাকে অনন‍্য এক স্তরে পৌঁছে দিয়েছেন।

খলিল ভাই,, পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।

১১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩০

বিষাদ আব্দুল্লাহ বলেছেন: সাবলীল অনুবাদ, শুভেচ্ছা...

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৫

ঋতো আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই বিষাদ। ভালো থাকবেন।

১২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৭

রাকু হাসান বলেছেন: প্রকৃতির মাধুরি মিশিয়ে লেখার ক্ষেত্রে উনি অনেক এগিয়ে । খুব পশু পাখি খুব ভালবাসতেন । আপনার কবিতা অনুবাদ ভাল লাগছে । আরও অনুবাদ আশা করছি ।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪১

ঋতো আহমেদ বলেছেন: রাকু ভাই অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার আশা নিরাশায় পর্যুদস্ত হবে না কথা দিচ্ছি।

১৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৮

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: অসহায় পাখিরা পড়লাম। মূল কবিতা পড়া নাই। পড়লে ভালো হতো। দৃঢ় উচ্চারণ। অনুবাদে মুগ্ধ হলাম।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০১

ঋতো আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ শুভ্র। অনেকদিন পর এলেন সামুতে। কেমন আছেন আপনি? আসলে--

পাঠকের জন্য মূল-এর প্রয়োজন নেই। ক্রিটিক-এর জন্য প্রয়োজন। আপনি পড়তে চাইলে সংগ্রহ করে নিতে পারেন।

fnf এর THE MOORTOWN DIARY by TED HUGHES. পাঠক সমাবেশ কেন্দ্র, শাহবাগ-এ পাবেন।

১৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৩১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



"টেড হিউজ" সম্বন্ধে জানলাম; অনুবাদ কবিতা পড়লাম৷ভাল লাগলো ৷

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৯

ঋতো আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ কাওসার ভাই। ২য় ছবিতে সিলভিয়া ও টেড। ৩য় ছবিতে টেড আসিয়া আর তাদের মেয়ে। ৪র্থ ছবিতে ক্যারল এবং টেড।

১৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৫

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ক্রিটিসিজমের কোন ব্যাপার নাই। অনুবাদ পড়লে আমার যে ভাষা থেকে অনূদিত, সেটা পড়তে মন চায়। এইটা শেখার ইচ্ছা ভাবতে পারেন।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫

ঋতো আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ শুভ্র। সাহিত্যে 'ক্রিটিসিজম' একটি কাজ। এটি একটি পজিটিভ ব্যপার। বড় বড় লেখকদের 'ক্রিটিক'ও একটি পরিচয়। যাই হোক, আপনার আগ্রহ দেখে ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা নেবেন।

১৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৪

উম্মে সায়মা বলেছেন: অসাধারন পোস্ট৷ অনুবাদের সাথে ব্যাকগ্রাউন্ড জেনে পড়লে আরো গভীরভাবে উপলব্ধি হয়।
অনুবাদ সুন্দর হয়েছে।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৯

ঋতো আহমেদ বলেছেন: সায়মা আপা,, অনেক দিন পর। কেমন আছেন আপনি। মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন। ভালো লাগলো আপনাকে পেয়ে।

১৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভোগ এর চে উপভোগ কথাটি ভালো শোনায়। অনেক উপভোগ করুন আর কবিতা পড়ুন। ধন্যবাদ আপনাকে ব্রো

আপনার এই পোষ্ট টি আরেকবার পড়ার জন্য এলাম। পড়লাম।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৯

ঋতো আহমেদ বলেছেন: খুব ভালো লাগলো। পড়ুন। অনেক অনেক কবিতা পড়ুন। ভালো থাকুন।

১৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৯

জাহিদ অনিক বলেছেন:
চমৎকার
টেড হিউজ এর কবিতা আগে পড়ি নাই। আপনার পোষ্ট থেকেই শুরু হল। সেজন্য আপনাকে শুভেচ্ছা।

কবিতার শানে-নজুল জানা থাকলে কবিতার ভেতরে সহজে ঢোকা যায়। কবিতাগুলো বেশ মনোযোগ ও সময় দাবী করে। চট করে দ্রুতবেগে পড়ে যাওয়া পাঠকের ভালো নাও লাগতে পারে। আপনি যেমনটা বলেছেন, পিন পতন নিরবতা, সেইটাই সই।

শুভেচ্ছা রইলো।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৯

ঋতো আহমেদ বলেছেন: কবিতাগুলো বেশ মনোযোগ ও সময় দাবী করে। চট করে দ্রুতবেগে পড়ে যাওয়া পাঠকের ভালো নাও লাগতে পারে।

ঠিক বলেছেন আপনি। টেডের কবিতাগুলো অন্যরকম। গতানুগতিক ইংরেজি কবিতার মতো না। গভীর মনোযোগের দাবী রাখে। একটু আগে ওর কয়েকটা সাক্ষাৎকার নামিয়েছি। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জনকে দেয়া সাক্ষাৎকার। ওনাকে ভালো করে জানার জন্য প্রয়োজনীয়।

পোস্টটি আপনার মনোযোগ কেড়েছে জেনে ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা নেবেন।

১৯| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৮

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: অসাধারণ স্যার। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৭

ঋতো আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ ম‍্য‌াডাম। আপনার জন‍্য‌ও শুভ কামনা। ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.