নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় প্রকৌশলী। অন্তর্মুখী। কবিতা ভালোবাসি ভীষণ। লিখিও

ঋতো আহমেদ

আমার হাতের দিকে বাড়ানো তোমার হাত। হাতের ভেতরে শিখা, শত্রুতার এমন রূপ! কামনা বিভীষিকা

ঋতো আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সালভিনের প্রেমের কবিতা

২৯ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:২৭



মেয়েটি জানতে চাইল..
“সবচেয়ে সহজ
তবুও কঠিন
কোন জিনিসটি তুমি চাও আমার
কাছে?”

ছেলেটি উত্তর দিলো
“সম্মতি”..



বিলীয়মান

মনে হতে পারে বিলীন হয়ে যাচ্ছি আমি
অতল অন্ধকারে..
কিন্তু বিশ্বাস করো..

এখনও এখানেই আছি আমি,

এখনও তোমার নাম ধরেই ডেকে যাচ্ছি..
তুমি কি শুনতে পাও না
আমার স্বর? এই যে ডেকে যাচ্ছি এখনও

শুধুই তোমার নাম..


খনন

স্বর্গের নাম করে..
কেনই-বা?
খুঁড়েছি,
আমার হৃদয়,
দাগ বরাবর..

এতো খুঁড়েছি,
এতোটাই যে,
রক্তক্ষরণ ঘটে গেছে,
শেষ পর্যন্ত
তোমাকে
পেতে..

আমারই,
শিল্পে লুকোনো..


বলো আমায়

বলো আমায়..
কেমন অনুভূত হয় তোমার,
আমাকে পেতে, অভ্যন্তরে..
তোমার পাছায়, তোমার হৃদয়ে?
তোমার ভাবনাগুলো
বলো আমায়..
কেমন অনুভূত হয়, আমাকে..
তোমার তলপেটে,
তোমার গলায়..?


প্রায়

আমার
অন্ধকার কোণে..
অসংখ্য অংশে,
সবচে বেশি ব্যথার কারণ..
সেই আলোক রশ্মি,
পতিত হয়
একেবারে
স্থানের ও
সুখের,
ফাঁক গলে..


দূরত্ব

তুমি আর আমি
আমরা বসি পাশাপাশি

তবুও আমাদের মধ্যকার
এই দূরত্ব
কখনই বেশি ছিল না
কেননা, সর্বদাই

তুমি ভাবো আমাকে
আর আমি তোমাকে


বখিল

আহা!
শুধু যদি মানুষ তাদের
ভালোবাসার সাথে..
ক্ষমাশীলতার সাথে
বখিল না হোতো!!

অন্তত..
তাদের আপন সুখের
স্বার্থে!!!


আমার আত্মার কবি

সে, কথা বলে
আমার আত্মার কবির
সাথে,

সান্তনার শব্দে,

রক্তাক্ত ক্ষতগুলো
পূর্ণ ক’রে ক’রে।


অলঙ্করণ

তার কাছে,
তারা সবাই ছিল তারার মতো..
অলঙ্কার,
শোভিত করে,
পিচ-কালো রাতের আকাশ

চিরকাল তার হৃদয়ে..

এক টুকরো সৌন্দর্য,
তার জন্য একাংশ,

চিরকাল তার হৃদয়ে..


সুগন্ধি

আশ্চর্যভাবে,
পুরোটাই মনে পড়ে আমার—

হলদে ফুলেল জামা,
তারকাশোভিত চুড়ি, সবই—
সবটাই মনে আছে এখনও—
তোমার সুগন্ধির
ঘ্রাণ, আহা..

কীভাবে যে..
ফিরিয়ে আনে সব,
যখন গন্ধ পাই তোমার,

কোনও ঘরে।


স্বর্গ

২৬৩ বোতল রাম,
প্রেমের আরও ৫টি প্রচেষ্টা, এই আমার
পুরো সঞ্চয়,
আর হ্যাঁ, আছে ১০০র-ও বেশি হুকআপ..

কিন্তু বিশ্বাস করো, এখনও পর্যন্ত
তোমার প্রেম!
একমাত্র স্বর্গ আমার—

আমার স্বপ্ন।


শয়তান

সে..
ছিল তার কামনা
তার চাওয়া! তাই

মেয়েটা,
নরকের ভেতর দিয়েই এগিয়ে গেল
ছেলেটির বুকে,
যদিও সে জানতো, ছেলেটিই
শয়তান।


কালিময়

কালিময় শরীরটাই যেন
মেয়েটির ভেতরকার এক জানালা;
পাংশুল হৃদয় তার
বিক্ষত আর ভাঙা,
অনুপযুক্ত উপায়ে যারে
স্পর্শ করা হয়েছে,
শুধুমাত্র
শরীরী প্রতিশ্রুতি পেতে; তাই সে
ভেঙে গেছে, মিষ্টি করে

সবচে’
সুন্দর উপায়ে।


সদ্বিবেচনা

তুমি..
আমাকে পাগল করে তোলো,
ঠিক যখনই মনে হয় আমার
আবারও ফিরে পেয়েছি
প্রজ্ঞা,
প্রশান্তি সহ,—
তখনই তুমি..
দু’পাশে ছড়িয়ে দাও তোমার পা!
ভেতরে বন্দী করে ফেল আমায়
আর চাবি ছুঁড়ে দাও দূরে।


শায়েস্তা

সে তার নখ বিঁধিয়ে আঁকড়ে ধরবে,
আমারে যেতেই দেবে না
আর চিৎকার করবে,
“জোরে! আরও জোরে! আরও! আরও!”
রাঙা-লাল হয়ে উঠবে ও!
ঘর্মাক্ত হয়ে, কোনোরকম বিরবিরিয়ে
বলবে আমারে,
“আরও ভালো করে করতে পারতি..”
আমি নিশ্চিত
এর পরও ওর কাছে যেতেই থাকবো আমার
ইগো-কে শায়েস্তা করতে।


শালীনতা

ছেলেটি বললো,
“আমি কিছুই চাইব না
তবু দেখবি সবই নিয়ে গেছি”

মেয়েটি বললো,
“তুই! হারামি একটা! সবসময়ই আমার
ভেতরের মাগিটারে
বের করে আনিস,
সমস্ত শালীনতা
পরাস্ত করে।”

সংক্ষিপ্ত কবি পরিচিতি #
সালভিন শ্রীলংকান কবি ও আর্টিস্ট। ইংরেজি তার কবিতার ভাষা। মূলত ইনস্টাগ্রাম আর ফেসবুক পেজেই লেখেন। সাথে আছে দারুণ সব আর্ট।

বাংলা অনুবাদঃ ঋতো আহমেদ

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: তরুন কবি।
সুন্দর কবিতা। আবেগময়।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২৫

ঋতো আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।।

২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:১৩

উদারত১২৪ বলেছেন: ভালো লাগলো

হিন্দুস্থানে সর্বপ্রথম যেভাবে ইসলাম প্রচারিত হয়

৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:১৪

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: বাহ্! সবগুলো কবিতা খুব ভালো লেগেছে।
অনুবাদ করার জন্য ধন্যবাদ ঋতো আহমেদ।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২৪

ঋতো আহমেদ বলেছেন: মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন নন্দিনী আপু।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.