নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বই পড়তে আমি খুব ভালোবাসি। এর কোন কারন নেই । কেউ যদি জিজ্ঞাসা করে কেন পড়েন তখন খুব রাগ লাগে । নতুন কিছু জানতে খুব আগ্রহ আমার ।

রূবাইয়াৎ তৃণা

রূবাইয়াৎ তৃণা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংকেত ( অতিপ্রাকৃত গল্প )

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:০০

বর্ষা বিকেলের ঝিরি ঝিরি হাওয়া । প্রাণ জুড়িয়ে যায় । মেঘলা আকাশ আর তাতে ধূসর মেঘের খেলা । বারান্দার গাছগুলোকে দেখলাম । হাওয়ায় যেন খেলা করছে । ঝুলন্ত টবগুলোকে এতো দারুন লাগছে ! উইন্চার্মের মিষ্টি সুর পাচ্ছি । একটা হাই তুললাম । কেমন ঘুম ঘুম লাগছে । এমন মনোরম নিদ্রানুকুল আবহাওয়া হলে ঘুমের আর কি দোষ ! হাতের বইটা বন্ধ করে বহু কষ্টে উঠে চায়ের কাপটা হাতে নিয়ে দ্রুত কয়েকটা চুমুক দিলাম ।
না ভালো লাগছে না । কাপটা টুলে রেখে দিয়ে পা তুলে গুটুসুটি মেরে শুয়ে পড়লাম । তখনি টুকটুক এলো ।
একটা হাসি দিয়ে বললাম, "এসো সোনা আমার !"
টুকটুক পাশে এসে বসল ।
ওর কপালে একটা চুমু দিয়ে বললাম, "কি করি বলতো ! এতো আলসি লাগছে ।"
ও আমার পাশে শুয়ে পড়ল । আমি ওকে জড়িয়ে ধরে পিঠে হাত বুলিয়ে দিতে লাগলাম । এই আরামদায়ক আবহাওয়ায় আর আদরের চোটে ওর চোখে ঘুম জড়িয়ে এলো ।
আমিও কখন ঘুমিয়ে পড়লাম জানিনা ।

কিসের শব্দে যেন ঘুম ভেঙে গেল । কেন যে ভাঙলো বুঝলাম না । দেখি বেশ অন্ধকার হয়ে গিয়েছে । আজব তো ! সন্ধ্যা উৎরে গেল ঘুমিয়ে ! শরীরে অসম্ভব আলস্য । মনে হচ্ছে আরো কিছুক্ষন ঘুম দেই ।
টুকটুক কই গেল ?
"টুকু ? টুকু কই বাবু ?"
"টুকু মাই বাচ্চা ! কই সোনা ?"
খসখস শব্দ । নাহ কাছেই আছে ।
পাশ ফিরে দেখলাম আমি খাটে শুয়ে আছি । আমার ঘরের খাটে । কিন্তু এটা আমার মালিবাগের বাসার ঘর না, এটা আমার গ্রামের বাড়ির ঘর !
হ্যা । ঐতো দেয়ালে দুটো বাবুইপাখির বাসা ঝুলছে, তার পাশে আমার বানানো আমাদের পুকুরের ওয়াটারকালারের ল্যান্ডস্কেপ ছবিটা, আরো রয়েছে দুটো হাতে বোনা হাতপাখা আর একটা ময়ূরেরপাখার অয়েলপেইন্টিং ।
হঠাৎ হুউউউউ করে কুকুর কেঁদে উঠল । ভয়ে আমার আত্মা শুকিয়ে গেল যেন । একি এতো লিলির কান্নার শব্দ । লিলি কাঁদছে কেন ? কুকুর কাঁদা নাকি খুব অমঙ্গলের কথা ।
ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে দেখলাম মেঝেতে একটা বাঁশের টোপা। এতে মুরগি রাখা হয় । দেখলাম টুকটুক টোপার ফুটো দিয়ে মাথা বের করে দেখছে আমাকে । আমি উঠে গিয়ে আদর করলাম । ও আমার হাত চেটে দিতে লাগল । বাবুটা আমার । আশ্বাস দিচ্ছে আমাকে যেন ভয় না পাই । আদর করে রেখে এলাম টোপার ভেতর ।
এসে শুয়ে পড়লাম ।
আচ্ছা কি হচ্ছে কি এসব !
হঠাৎ আবার লিলির কান্না আরো করুণ সুরে । আবার চমকে উঠলাম । কিসের যেন গন্ধ পাচ্ছি । কেমন অদ্ভুত তীব্র গন্ধ । কেমন যেন গন্ধকের মত গন্ধ ।
খসখস শব্দ । যেন টুকটুক নখ দিয়ে টোপার গায়ে আচড়াচ্ছে ।
পাশ ফিরে দেখে চমকে উঠলাম । আধো আলোআঁধারিতে দেখলাম বেশ লম্বা আর স্বাস্থ্যবান আলখেল্লার মত পোশাক পড়া কেউ একজন একেবারে কুঁজো হয়ে ঝুকে টুকটুকের টোপার ফুটো দিয়ে টুকটুককে দেখছে । তাতেই টুকটুক অমন আচড়াচ্ছে টোপার গায়ে। গায়ে যেন কাটা দিয়ে উঠল কেমন ।
আমি জোরগলায় বলে উঠলাম, "এই কে ? কে আপনি ?''
জবাব নেই ।
আমি এবার ক্রুদ্ধভাবেই বললাম, "কে আপনি ? কি চান এখানে ?
কথা বলল না ।
আবার বললাম, 'কথা বলেন না কেন ? কে আপনি ? কি চান ? কি করছেন এখানে ?"
এবার আলখেল্লাধারী মুখ তুলে তাকাল ।
ভয়ে আমার শরীরের প্রতিটা রক্তবিন্দু যেন জমে গেল । এতো বিকট বীভৎস মুখ আমি কোনদিন দেখিনি । পচাগলা আলকাতরার মত বেয়ে পড়ছে কপাল, গাল আর চোয়াল, তাতে দুই চোখ আর মুখের জায়গায় শুধু গর্ত ।
আমি দেখামাত্রই সর্বশক্তি দিয়ে আর্তনাদ করে উঠলাম । মুহূর্তেই একটা গোঁ গোঁ জাতীয় আর্তনাদ করে মিলিয়ে গেল সেই মূর্তিটা । আবার চিৎকার করলাম ।
ঘুম ভাঙলো চিৎকারেই |
উঠে দেখলাম আমি বারান্দাতেই শুয়ে আছি ডিভানের উপর । টুকটুক এসে আমার কপাল চেটে দিচ্ছে ।
স্বপ্ন দেখছিলাম আমি ? স্বপ্ন এতো ভয়ংকর হয়, এতো বাস্তব হয় ? আমার হৃদস্পন্দন অনেক বেড়ে গেছে, সারা গা ঘামে ভিজে গেছে । টুকটুককে কোলে নিয়ে ঘরে চলে এলাম ।.




"বাবা আমি যাবো না ।"
"না মা । চলো ।"
"প্লিজ বাবা । আমার মন মানছেনা । একেবারেই ইচ্ছা করছেনা ।"
"তোকে একলা রেখে যাই কিকরে ?"
"আগে যাওনি কখনো ? তবে ?"
"না এবার যেতেই হবে তোকে । তুই এমন ঘরকুনো হয়ে গেছিস যে কোথাও বের হোস না । এবার যেতেই হবে তোকে গ্রামের বাড়ি ।''

নাহ ! বহু আকুতি মিনতি করেও লাভ হলোনা । যেতেই হল বাবার সাথে গ্রামে ।



প্রতিবার গ্রামে এসে ভালোই লাগে । প্রথম প্রথম চুপচাপ গুটিশুটি মেরে থাকলেও পরে মনটা প্রফুল্ল হয়ে যায় ।
কিন্তু এবার কি হয়েছে কিছুই বুঝলাম না । কিছুই ভালো লাগেনা । আর সবচেয়ে বড় একটা সমস্যা হল আমার একটুও ঘুম পায়না রাতে । এভাবেই কিছু দিন গেল । তারপর একদিন বাবা বলল কি একটা জরুরি কাজে সে ঢাকা যাচ্ছে । আমিও সাথে যেতে চাইলাম কিন্তু বাবা আমাকে না নিয়েই চলে গেল । বলল তিনদিন পরেই ফিরবে সে ।

বাধ্য হয়েই থেকে গেলাম । পাঁচদিন হলো বাবা ফিরছে না । প্রতিদিনই ফোন দেয় আর বলে এইতো আসবো মা । কিন্তু আসার নাম নেই । পাঁচদিনের দিন নিজেই বলল, সে আরো দশদিন পর আসবে ।
উফফ ! কি বিপদ ! কিভাবে যে থাকি ! সাথে নিয়ে আসা বইগুলো সব পড়ে ফেলেছি আর ক্যানভাস রঙও আনিনি যে ছবি আঁকবো । কিযে করি !

যাক বৃষ্টি পড়া শুরু হতে গরম কমল কিছুটা । আমার মন বসতে লাগল একটু একটু । সকালে বাগানে হাটি, দুপুরে জানালায় বসে পাখি দেখি ঘুঘুর গান শুনি, বিকেলে পুকুরপাড়ে বসে মাছরাঙ্গার মাছধরা দেখি হাঁসের সাঁতার দেখি । ভালোই চলতে লাগল | সবসময় পাশে থাকে টুকটুক আর লিলি ।

রাতে টিপটিপ বৃষ্টি পড়ছে । ঘুম লেগে এসেছে প্রায় চোখে এমন সময় লিলির কান্না । ধড়মড় করে উঠে পড়লাম । কেমন যেন অস্থির লাগছে । কান্না যেমন হঠাৎ শুরু হল আবার হঠাৎ শেষ হয়ে গেল । পরের দিন নানা ব্যস্ততায় মনে রইল না রাতের কথা । কিন্তু পরেরদিন রাতে একই ঘটনা আবার ঘটল । সেরাতে বের হয়ে এলাম ঘর থেকে । লিলি বাড়ির পিছনের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে হুউউউ করে ডাকছে । কিন্তু থেমে গেল আমাকে দেখে । ওকে ডেকে এনে বারান্দায় বসিয়ে রেখে ঘুমাতে গেলাম ।


পরদিন ছোটচাচী আমাকে বলল, "তুমি এমন হুটহাট বাইরে যেওনা রাতে ।"
হেসে বললাম, "কেন চাচী ?"
"কেন আবার কি ? যেওনা । রাত বিরেতে কত কি থাকতে পারে !"
"চোর তো ঢুকবে না তিনটা কুকুর থাকতে । তো ?"
"শুধু কি চোরের ভয় ! কত কি আছে !"
"কি আছে ?"
"কত কিছুই তো থাকতে পারে । এমন অনেক কিছুই আছে যে চোরও ভয় করে ।"
"কই আমি তো এমন কিছু দেখিনি ।"
চাচী একটা নিঃস্বাস ফেলে বললেন, "শুধু দেখা গেলেই কি ভয় ? না দেখা কত ভয় আছে ।"
"আমি এসব বিশ্বাস করিনা চাচী ।"
"আমি করি । তাই সাবধান করলাম ।"
উনি চলে গেলেন কাপড় কাঁচতে ।

রাতে বই পড়ছি । আন্তন চেখভের বই । পড়া বই তাও ভালো লাগছে । আমি বই পড়ার সময় টুকটুক খুব বেশি বিরক্ত করেনা কখনোই । কিছুক্ষন হুটোপাটি করবে, আঙ্গুল চেটে দেবে তারপর গা ঘেঁষে শুয়ে পড়বে । কিন্তু আজ ওর ব্যবহারে আমি বিস্মিত । কিছুক্ষন পরপর কামড় দিচ্ছে আমাকে । কি আজব ব্যাপার ! এতো নিষেধ করছি ও মানছেই না । অবশেষে রাগ হয়ে বকলাম ওকে । কিছুক্ষন থেমে আবার শুরু হল । নাহ এতো বড্ডো যন্ত্রনা হল !

রাতে খেতে বসেও একই দৃশ্য । খুব জ্বালাতন করছে আজ । বকাঝকা করেও লাভ হচ্ছেনা কোন ।

কয়েকটা দিন ধরেই দাদির শরীরটা ভালো যাচ্ছেনা তাই কিছুক্ষন পরপরই উনার ঘরে গিয়ে দেখে আসি । আজ যেতে গেলাম । আমার ঘর লাগোয়া উনার ঘরের দরজাটা খুলতেই টুকটুক লাফিয়ে আমার আগে চলে গেল । ঘরে ঢুকেই সে থেমে গেল । কি যেন দেখছে অন্ধকারে তাকিয়ে । এরপর এসে এমন পায়ে চাটতে শুরু করল যেন হাটতেই দেবেনা আমাকে । বাধ্য হয়ে ওকে কোলে নিয়ে বেরিয়ে এলাম ঘর থেকে ।

কিছুক্ষন পর ওকে বললাম, "তুই আজ আমাকে জ্বালিয়ে কয়লা করছিস । আজ তোকে তাড়াতাড়ি ঘুমুতে পাঠাবো ।"

আমি ওর বিছানা করে ওকে টোপার তলায় রেখে দিলাম ।
ও আজ যেন টোপার তলায় থাকবেই না । দুবার বের হয়ে গেল । এবার ঢেকে দিলাম ফুটোটা । খসখস চলতে লাগল ওর ।

রাতে কেন যেন ঘুম ভেঙে গেল । ঘরটা অনেক ঠান্ডা লাগছে যেন । বৃষ্টি পড়ছে বাইরে । চাদর মুড়ি দিয়ে শুলাম । নাকে একটা দুর্গন্ধ আসছে যেন । মনে হল যেন বাতাসে বাইরের কোন ময়লার দুর্গন্ধ আসছে ।
উঠে একবার টুকটুককে দেখলাম । চুপ করে বসে আছে । আবার গিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম ।

সকালে ঘুম থেকে উঠে সবার আগেই সাধারণত টুকটুককে ছেড়ে দেই । সেদিনও দিলাম । কিন্তু টোপা সরিয়েই মনে হল যেন কিছু একটা ঠিক নেই । টুকটুক কেমন চুপচাপ । আমাকে একবার দেখে শান্ত হয়ে বসল গোল জড়ো হয়ে ।
এক মাস বয়স থেকে যাকে সন্তানের মত পেলেছি তার প্রতিটা নিঃশ্বাস আমি চিনি । টুকু অসুস্থ ।
ওকে কোলে নিয়ে লিটার বক্সে নিয়ে গেলাম । তারপর বিছানায় শুইয়ে খোঁজ করলাম কোনো ভেটেরেনারি ডাক্তার আছেন কিনা সেখানে । ডাক্তার এলেন, দেখে বললেন ঠান্ডা লেগেছে টুকুর । ওষুধ দিয়ে গেল । অসুধ খাওয়ালাম ওকে নিয়ম করে ।

টুকু খাওয়া বন্ধ করে দিল । জোর করে সিরিঞ্জ দিয়ে ঘাসের রস খাওয়ালাম অনেক চেষ্টা করে । সারাদিন ওর কাছেই রইলাম । রাতে ওকে ঘুম পাড়াতে যাবো তখন কোলে নিয়ে মনে হল টুকটুক অনেক বেশিই হালকা হয়ে গেছে একদিনে ।

কেমন যেন করছে আমার মনটা । টুকুর অনেক অসুখ গিয়েছে অনেকবার । কিন্তু এমন আমার লাগেনি ।

পরদিন সকালে মনে হল টুকুর শরীর আরো বেশি খারাপ । কিন্তু ও খুব চুপচাপ । কিছুই খায়না । চেয়ে থাকে আমার দিকে ।
দুপুরের একটু আগে আমি বসে আছি ওর পাশে ও হঠাৎ এসে কোলে উঠল আমার । এমনভাবে ঘেঁষে রইল যেন মিশে যেতে চাচ্ছে ও আমার মধ্যে । মনের মধ্যে কেমন যেন করে উঠলো আমার ।

আজ ওকে জোর করে খাওয়ানো গেলনা । মুখে দিতে গেলে মুখ সরিয়ে নেয় যেন মানা করছে । আমি পারলাম না জোর করতে ।
বিকেলে দেখলাম টুকু বিছানা থেকে নেমে গেল । ও কি যেন খুঁজছে মনে হল শুঁকে শুঁকে । কিন্তু শেষে না পেয়ে সোফার তলায় গিয়ে বসে পড়ল । কয়েকবার গিয়ে দরজার সামনে কি যেন শুঁকে এসে বসে পড়ল আবার ।
রাতে ও সব ঘর ঘুরলো । আমার মনে হল যেন ও আমাদের ঘরটা খুঁজছে । শহরের সেই পরিচিত ঘর আর বারান্দাটা ।
ওকে কোলে নিয়ে চোখে পানি চলে এলো । ও যেন তুলোর মত হালকা হয়ে গেছে ! কি হল হঠাৎ এমন !

সেই সন্ধ্যা থেকেই দাদীর শরীরটা খুব খারাপ । ভুল বকছেন, ছটফট করছেন, কেমন আধা অজ্ঞান হয়ে আছেন । টুকুকে ঘুম পাড়ানোর জন্য সোফার উপর রেখে আমি বিছানা করতে গেলাম । চাদর ঠিক করছি তখন পায়ে কিসের নরম খোঁচা । এই অনুভতি আমার পরিচিত । দেখি টুকু । আমি কোলে নিয়ে বিছানায় বসলাম । জড়িয়ে আদর করে বললাম, "সোনা আমার ! তোর মত কেউনা | আমার বাচ্চা তুই !" বলে চুমু দিলাম ওকে ।
আমি বুঝতে পারছিলাম, অদ্ভুতভাবেই বুঝতে পারছিলাম আমার টুকু আর বেশিক্ষন নেই । আমার টুকু চলে যাচ্ছে ।
বেশি সময় গেল না । আমি টুকুর প্রাণহীন দেহটা বুকে জড়িয়ে বসে রইলাম ।




আমার গল্প শেষ হলে অনি বলল, "আপু তারপর কি করলে টুকুকে ?''
"কবর দিলাম ।"
"আপু আসলে কি সত্যিই তুমি ভুত দেখেছিলে ?"
"না বোধহয় ।"
"তোমার দাদীর কি হল ?"
"টুকটুকের মৃত্যুর পরদিন উনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে গেলেন ।"
"সত্যিই ?"
"হ্যা ।"
"তো সেদিন কি হল আসলে ?"
"সেদিন কি হল তাতো বললামই । কিন্তু সেদিন যে এটা হতে পারে তা আমাকে আগেই জানানো হয়েছিল ।"
"ওই স্বপ্নে ?"
"অনেকটা তাই । ওটা একটা সংকেত ছিল । যা আমি বুঝিনি ।''

...................................
রুবাইয়াৎ তৃণা

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.