নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রুমি৯৯

আমি রুমি

রুমি৯৯ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জিজ্ঞাসাবাদে অধিকারের তালিকার ‘হদিস মেলেনি’

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪৪

ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, “সব নিয়মকানুন মেনেই আদিলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, নিহত ৬১ জনের তালিকা এখন তার কাছে নেই। তবে জব্দ করা কম্পিউটার বা ল্যাপটপে ওই তালিকা আছে কিনা তা দেখা হচ্ছে।”



শাপলা চত্বর থেকে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের সরিয়ে দিতে গত ৫ মে রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে অভিযান চালায়, তাতে ৬১ জন নিহত হয় বলে এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করে অধিকার। সরকারের পক্ষ থেকে অধিকারের কাছে ওই তথ্যের সপক্ষে প্রমাণ চাইলে তারা নিহতদের নামের তালিকা বা পরিচয় জানাতে অস্বীকার করে।



এই প্রেক্ষাপটে গত শনিবার রাতে ডানপন্থীদের সমর্থনপুষ্ট এই মানবাধিকার সংগঠনটির সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন অধিকারের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে দুটি ল্যাপটপ ও তিনটি কম্পিউটারসহ বেশ কিছু কাগজপত্র জব্দ করা হয়।



বিকৃত তথ্য প্রচার এবং রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগ এনে রোববার আদিলকে আদালতে হাজির করা হলে হাকিম পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সোমবার রিমান্ড স্থগিত করে কারাফটকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয় হাই কোর্ট।



বিদেশি কয়েকটি সংস্থা এবং বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী আদিলের গ্রেপ্তারে উদ্বেগ প্রকাশ করে তার মুক্তি দাবি করার প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার মতিঝিলের অভিযান, অধিকারের প্রতিবেদন এবং আদিলের গ্রেপ্তার নিয়ে একটি প্রেসনোট দেয়। এতে বলা হয়, আদিলের নির্দেশনায় অধিকারের প্রতিবেদনে ৬১ জন নিহত হওয়ার যে তথ্য দিয়েছে তা মিথ্যা ও কাল্পনিক। তাদের উদ্দেশ্য ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সরকার ও দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা।



গোয়েন্দা পুলিশের মুখপাত্র মনিরুল সোমবার জানান, আদিলের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সে ব্যাপারেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।



“মতিঝিলে ৬১ জন নিহত হওয়ার তথ্য তিনি কোথায় পেলেন, কোন উদ্দেশ্যে এটা করা হয়েছে, কারা এ ব্যাপারে সহায়তা করেছেন এসব বিষয় তার কাছ থেকে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।”



আদিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, ৬১ জনের তালিকা বিদেশি দুটি মানবাধিকার সংস্থাকে পাঠিয়েছেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন আদিল। তবে এখন তার কাছে ওই তালিকা নেই বলেও দাবি করেছেন।



মুন্সিগঞ্জ-১ আসন থেকে ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৫১ ভোট পেয়ে হেরে যাওয়া জাসদ নেতা আদিল প্রসেঙ্গে যুগ্ন কমিশনার মনিরুল বলেন, “জিজ্ঞাসাবাদে তাকে অনেক বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে, যার বেশিরভাগের উত্তর পাওয়া যায়নি।”



তদন্তের প্রয়োজনে অন্য কাউকে গ্রেপ্তার করতে হলে তাও করা হবে বলেও জানান মনিরুল।



এদিকে আদিলের বিষয়ে তদন্ত করছেন এমন একজন পুলিশ কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের একটি গ্রুপ তাদের ঠিকানা হিসাবে অধিকারের গুলশানের ঠিকানা ব্যবহার করে বলে গোয়েন্দা তথ্য আছে।



তাছাড়া ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সঙ্গে অধিকারের সংশ্লিষ্টতা আছে এবং উলফার এক শীর্ষ নেতা অধিকারের অফিসে এসেছিলেন বলেও তথ্য পেয়েছেন তারা।



অধিকার থেকে পাকিস্তানে লোক পাঠানোর ‘সুনির্দিষ্ট প্রমাণ’ও গোয়েন্দা পুলিশের কাছে রয়েছে বলে ওই সূত্রটি জানায়।



গোয়েন্দা পুলিশের আরেক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আদিলের ব্যাংক হিসাবেরও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।



এক প্রশ্নের জবাবে যুগ্ন কমিশনার মনিরুল জানান, তথ্যপ্রযুক্তি আইনে কাউকে গ্রেপ্তার করতে হলে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করার নিয়ম রয়েছে। পরে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী আদালতে অভিযোগ দাখিল করতে হয়।



এই আইনে গ্রেপ্তারের জন্য কোনো পরোয়ানা লাগে না উল্লেখ করে মনিরুল বলেন, “অপরাধের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেলে এ আইনে গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা রাখেন তদন্ত কর্মকর্তা।

#####লিটন হায়দার, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম#####

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০২

চলতি নিয়ম বলেছেন: শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না।

২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৩১

গরম কফি বলেছেন:
যদি লিস্ট পাঠিয়ে থাকে তবে নিশ্চই দিতে সমস্যা হওয়ার কথা নয় । আর তথ্য ছাড়া লিস্ট দিয়ে থাকলে অবশ্যই অন্যায় করেছেন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.