নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রুমি৯৯

আমি রুমি

রুমি৯৯ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুখী পরিবার-বিবাহ পর্ব এবং ষংসার পর্ব

২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫

***********বিবাহ পর্ব ************



(১)বিয়ে হোক প্রতিদিন একই ব্যক্তির সঙ্গে নতুন করে প্রেমে পড়া।

(২)নিঃশর্ত ও নিঃস্বার্থ ভালবাসার নামই প্রেম।

এই প্রেমই মানুষের ভেতরের ভালো সত্তাকে জাগ্রত করে।

(৩)সাধারণভাবে ‘আমি তোমাকে ভালবাসি’র অর্থ আমি তোমাকে আমার মতো

করে চাই। অথচ সত্যিকারের ভালবাসা শুধু দিতে জানে, নিতে জানে না।

(৪)প্রেমে কোনো দায়দায়িত্ব নেই। কিন্তু বিয়ে হচ্ছে দেয়ার ও নেয়ার।

বিয়েতে দায়িত্ব ও কর্তব্য- দুটোই রয়েছে।

(৫)মা-বাবার সম্মতি ও দোয়া ছাড়া বিয়ে কখনো সুখের হয় না।

সেখানে সবসময় একটা শূন্যতা থেকে যায়।

(৬)শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সামর্থ্য থাকলে জীবনের

যেকোনো পর্যায়ে বিয়ে করা যেতে পারে।

(৭)বিয়ের আগেই বিবাহ পরবর্তী আচরণে জড়াবেন না।

(৮)বিয়ে পারিবারিকভাবে অভিভাবকের সম্মতিতে হওয়া উচিত।

তবে বিয়ে করবে কি না, আর করলে কাকে করবে সে ব্যাপারে

ছেলে/ মেয়ের সিদ্ধান্ত বা পছন্দ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

(৯)জোর করে বিয়ে দেয়া খুন করার চেয়েও বড় অপরাধ।

বিয়ের ব্যাপারে ছেলে/ মেয়ের শারীরিক বা মানসিক অনাগ্রহ

বা অক্ষমতা বিচ্ছেদ ঘটাতে পারে।

(১০)প্রতিটি মানুষই আলাদা।

কিন্তু চেতনা ও জীবনদৃষ্টির সাথে মিল রয়েছে-

এমন কাউকে জীবনসঙ্গী হিসেবে গ্রহণ করুন।

(১১)বিয়ের পাত্র/ পাত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে

সুন্দর মুখশ্রী, ডিগ্রি, সম্পদ কিংবা বংশমর্যাদা নয়,

গুণকে প্রাধান্য দিন। আপনি জয়ী হবেন।

(১২)বিয়ে একটি সহজ স্বাভাবিক ঘটনা।

বিয়ে করেছেন এমন অনেকে যেমন বিখ্যাত হয়েছেন,

তেমনি বিয়ে করেন নি এমন অসংখ্য নারী-পুরুষের

খ্যাতিমান হওয়ার ঘটনা ইতিহাসে রয়েছে।

(১৩)এমন কাউকে বিয়ে করুন যাকে আপনি সম্মান করতে পারবেন,

সহযোদ্ধা হিসেবে সবসময় পাশে পাবেন।

(১৪)মেয়ে ফর্সা, সুন্দরী, কম বয়সী আর

ছেলে ভালো বেতনের চাকুরে, পয়সাওয়ালা ব্যবসায়ী বা প্রবাসী-

বিয়ের পাত্র/ পাত্রী পছন্দে সবচেয়ে খোঁড়া যুক্তি।

(১৫)বাড়ি গাড়ি কিংবা ব্যাংক ব্যালেন্স নয়, বিয়ের পাত্র/ পাত্রী

ভালো মানুষ কি না তা বিবেচনায় আনুন।

(১৬)সম-সামাজিক, সম-সাংস্কৃতিক, সম-আর্থিক ও সম-ধর্মীয় পরিমন্ডলের

এমন কাউকে বিয়ে করুন, যার সম্পর্কে আপনি জানেন।

(১৭)বিয়ের ব্যাপারে আকাশকুসুম কল্পনা করবেন না।

কাল্পনিক বর বা কনের আদলে কাউকে বিচার করবেন না।

বাস্তবতা এবং কল্পনায় প্রায়ই অনেক ফাঁক থাকে।

(১৮)সিনেমার নায়ক/ নায়িকা বা কাল্পনিক চরিত্রের আসনে

স্বামী/ স্ত্রীকে বসাবেন না।

বাস্তবতাকে সহজভাবে মেনে নিন।

(১৯)নারী অর্ধেক নয়, পরিপূরক- মনে করলেই

পরিবারে পূর্ণ একাত্মতা সৃষ্টি হবে।

(২০)বিয়ের সিদ্ধান্তে তাড়াহুড়ো করবেন না।

পাত্র/ পাত্রী পক্ষের লৌকিক আচরণ দেখেই মুগ্ধ হবেন না।

সব ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে তারপর সিদ্ধান্ত নিন।

(২১)বিয়ের সময় মেয়ে ছাড়া শ্বশুরবাড়ি থেকে একটি সুতো নেয়াও যৌতুক।

যৌতুক নেয়া কাপুরুষতা।

আত্মসম্মান বোধসম্পন্ন প্রতিটি পুরুষের উচিত

সবিনয়ে তা ফিরিয়ে দেয়া।

(২২)যৌতুক নেয়া যেমন অপরাধ তেমনি দেয়াও অপরাধ।

এতে নিজেদের মেয়েকে ও পরিবারকেই অপমান করা হয়।

(২৩)অর্থের বিনিময়ে কখনো সুখ কেনা যায় না।

অর্থ এমন একটি দুষ্টচক্র তৈরি করে যে,

যত পাওয়া যায় তত এর অভাববোধ বাড়তে থাকে।

(২৪)বিয়ের আয়োজনে খরচের প্রতিযোগিতায় নামবেন না।

যে বিয়েতে ধুমধাম ও অপচয় যত বেশি,

সে বিয়েতে সুখের পরিমাণ তত কম।

(২৫)একটিমাত্র বিয়েতে একাধিক অনুষ্ঠান করে টাকার শ্রাদ্ধ করবেন না।

ঋণ করে হলেও বিয়ের এ লৌকিকতা পরিবারকে দুর্দশায় নিপতিত করে।

(২৬)বিয়ের তারিখ ভুলে যাবেন না। বিয়ে বার্ষিকী বা যেকোনো উৎসবে স্ত্রী/

স্বামীকে আপনার সামর্থ্যের মধ্যে উপহার দিন।

(২৭)আপনার জীবনসঙ্গী/ সঙ্গিনীকে বিয়ের প্রথম দিন থেকেই

দিনে অন্তত একবার বলুন, ‘আমি তোমাকে ভালবাসি’।

(২৮)আপনার জীবনসঙ্গী/ সঙ্গিনীর সব গুণ ও দোষসহই তাকে গ্রহণ করুন।

একে অপরকে কখনো অন্যের সাথে তুলনা না করে তার অতীতের সাথে

বর্তমানকে তুলনা করুন। তার মধ্যে যে ভালো পরিবর্তন এসেছে সবসময় তার প্রশংসা করুন।

(২৯)সম্পর্কের উন্নয়ন নির্ভর করে কথা বলা ও যোগাযোগের ওপর।

খেয়াল রাখুন কখন কাকে কোন অবস্থায় কী বলছেন।

যত সুন্দরভাবে, শ্রদ্ধার সাথে বলবেন

তত আপনার কথার প্রভাব বাড়তে থাকবে।

(৩০)চাওয়া এবং প্রত্যাশার মধ্যে দ্বন্দ্ব পরিবারকে ভারসাম্যহীন করে তোলে।

তাই সুখী পরিবারের জন্যে পারিবারিক মনছবি নির্মাণ করুন।

যেকোনো প্রতিকূলতা অতিক্রমে এ মনছবি প্রেরণা যোগাবে।

(৩১)পারস্পরিক ইতিবাচক ও ভালো ধারণাগুলোকে সবসময় লালন করুন।

বাস্তবেও সম্পর্ক হবে ইতিবাচক।

(৩২)শুধু জৈবিক প্রয়োজন পূরণ বা বংশধারা রক্ষা নয়,

আত্মিক-আধ্যাত্মিক চেতনা সুখী পরিবারের অন্যতম ভিত্তি।

প্রথমটি পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা বাড়ায়।

আর দ্বিতীয়টি দেয়ার আকুতি সৃষ্টি করে।

(৩৩)জৈবিক, বংশধারা, হৃদয়িক এবং আত্মিক-আধ্যাত্মিক-

এ চারটি খুঁটি পারিবারিক ভারসাম্য রক্ষা করে।

(৩৪)জৈবিক চাওয়া-পাওয়ার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। জৈবিকতার সাথে

আত্মা ও হৃদয় যুক্ত হলেই পরিবার প্রাণস্পন্দন লাভ করে।

(৩৫)প্রতিটি ধর্মমতে বিয়ে একটি পবিত্র প্রক্রিয়া। ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা

ছাড়া কোনো পরিবার শুদ্ধ হয় না। ধর্মীয় বন্ধন সুদৃঢ় না হলে

জৈবিক বন্ধনও সুদৃঢ় হতে পারে না।

(৩৬)স্বামী/ স্ত্রীর ব্যাপারে অহেতুক খুঁতখুঁতে হবেন না।

কঠোর ভাষায় কখনো তার ভুল ধরিয়ে দেবেন না।

ভুলগুলোকে সময়, সুযোগমতো সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিন।

(৩৭)একজন পুরুষ ও একজন নারী কিংবা দুজন পুরুষ বা দুজন নারীও

চিন্তায় কখনো এক হয় না। তাই পার্থক্যগুলো বাদ দিয়ে

সাধ্যমতো মতৈক্যের সৃষ্টি করুন।

(৩৮)স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হয়ে কখনো সুখী হওয়া যায় না।

সচেতনভাবে নিজ পিতৃ-পরিবারের সাথে বাহ্যিক সম্পর্ক যতই

ছিন্ন করুন না কেন, ভেতরের সম্পর্ক থেকেই যায়।

(৩৯)চুক্তির স্থায়িত্ব সবসময় নির্ভর করে সততা ও বিশ্বস্ততার ওপর।

বিয়েও একটি চুক্তি। এ চুক্তিতে প্রতারণা বা তথ্যের গোপনীয়তা

পরে অশান্তি বা বিচ্ছেদের কারণ হতে পারে।

(৪০)বিশ্বাস, বিশ্বস্ততা, ভালবাসা ও সহমর্মিতা

বিবাহিত জীবনে নিয়ে আসে স্বর্গীয় আনন্দ।

(৪১)বিপরীত লিঙ্গের প্রতি মাত্রাতিরিক্ত আকর্ষণকে নিয়ন্ত্রণ করুন।

একটি ছেলে ও একটি মেয়ের মধ্যে

শোভন আচরণের সীমাকে বজায় রাখুন।

(৪২)সমাজের চোখে দৃষ্টিকটু সম্পর্ক বর্জন করুন। দাম্পত্য জীবনে ভুল

বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয় এমন সম্পর্ক এড়িয়ে চলুন।

(৪৩)মেয়ের বিয়ে হচ্ছে না বলে তাকে খোঁটা দেবেন না,

কটু কথা শোনাবেন না। তার প্রতি সমমর্মিতা পোষণ করুন।

(৪৪)বিয়ে বিলম্বিত হচ্ছে বলে হতাশ হবেন না।

হীনম্মন্যতায় ভুগবেন না। চেহারা, গুণ, যোগ্যতা-

সব মিলিয়ে আগে নিজেকে নিজে গ্রহণ করুন।

এতে অন্যদের কাছেও আপনার গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।

(৪৫)অন্যের চোখে নিজেকে দেখবেন না ,

বিচার-বিশ্লেষণ করে প্রভাবিত হবেন না।

আপনিই হচ্ছেন আপনার যথার্থ আয়না।



(৪৬)আপনার স্বামী/ স্ত্রীর চেয়ে নিজেকে ডিগ্রি, সামাজিক মর্যাদা,

বিত্ত-বৈভবে শ্রেষ্ঠ মনে করবেন না।

বিবাহিত জীবনে আপনারা অংশীদার।

আপনার সাফল্যে স্বামী/ স্ত্রীর যেকোনো ভূমিকা অকপটে স্বীকার করুন।

(৪৭)বর্তমানকে নিয়ে বাঁচুন।

অতীতে আপনার কী কষ্ট ছিলো বা কী পান নি তা নিয়ে আফসোস না করে

বর্তমানকে আনন্দময় করে তুলুন।

ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করুন।

(৪৮)রূপের প্রশংসা সাময়িক। গুণের কদর চিরন্তন।

তাই গুণকে বিকশিত করুন। পরিবারে ও

পরিবারের বাইরে আপনার মর্যাদা বেড়ে যাবে।

(৪৯)প্রতিটি ছেলে এবং প্রতিটি মেয়ের আসল শিকড়

তার বাবা-মায়ের পরিবার। অতএব বিয়ের কারণে

একটি মেয়ে তার শিকড় থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারে না।

(৫০)কোনো প্রতিদানের আশা ছাড়াই স্ত্রী/ স্বামীর কাছে নিজেকে

উজাড় করে দিন। বিনিময়ে আশাতীত প্রতিদান পাবেন।

নিঃশর্ত সম্পর্ক যে ভালবাসার সৃষ্টি করে তা ধমক, চাবুক,

তলোয়ার বা কোনো চুক্তিনামা দিয়ে অর্জন করা যায় না।



**********সংসার পর্ব*********



(৫১)পশুর খোঁয়াড় আর পরিবারের মধ্যে পার্থক্য হলো পরিবারে আত্মিক ও

নৈতিক মূল্যবোধ রয়েছে যা খোঁয়াড়ে নেই।

(৫২)এক+এক = দুই। কিন্তু একের পাশে এক রাখলে হয় এগারো।

এটাই পরিবার। সফল গৃহকর্তা/ কর্ত্রী এ সবকিছুর মধ্যে

সমন্বয় করেন দক্ষ জাদুকরের কুশলতায়।

(৫৩)পরিবার গঠিত হয় একজন নারী ও একজন পুরুষকে ঘিরে। সাধারণত পুরুষ পরিবারের প্রধান হলেও নারীই পরিবারের প্রাণ। এই প্রাণকে কেন্দ্র করেই পরিবার টিকে থাকে।

(৫৪)নারী পুরুষের অর্ধেক নয়। পরিবারে নারী এবং পুরুষ পরস্পরের পরিপূরক।

(৫৫)মমতা বা ভালবাসা হচ্ছে সকল সুসম্পর্কের প্রাণ।

মমতা অপরপক্ষকে বিচার করে না, বোঝার চেষ্টা করে।

প্রভাবিত করে না, তার সাথে অংশগ্রহণ করে।

(৫৬)প্রভাবিত করা আর অংশ হয়ে যাওয়া এক নয়।

প্রাণবন্ত পরিবারের শর্ত হচ্ছে দ্বিতীয়টি।

প্রভাবিত করে নয়, পারস্পরিক অংশীদারিত্বেই পরিবারে শান্তি আসে।

(৫৭)দাম্পত্য জীবনে কোনো এক পক্ষকে ক্রমাগত অবহেলা ও অপমান করে

কখনো সুখী পরিবার গঠন করা যায় না।

(৫৮)পারস্পরিক মমতা, সহানুভূতি ও শ্রদ্ধাবোধ সুখী পরিবারের প্রধান শর্ত।

Source:-http://quantummethod.org.bd/

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৫৭

রাবার বলেছেন: ++++্

২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৪:৫৪

এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন: খুব সুন্দর, ++++++++++++++

২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:২৫

রুমি৯৯ বলেছেন: thanx

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.