নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুলিশের হাতে লাঠি দেখলে, আমার বাঁ হাতের
কনুইয়ে চিন চিন করে ব্যথা করে। এর
পেছনে ছোট্ট একটা ইতিহাস আছে।
বুদ্ধিমান পাঠকদের সেই ইতিহাস
খুলে বলতে হবে না।
তারা ইতোমধ্যে ঘটনা ধরে ফেলেছেন।
তবে যেসব পাঠকদের কৌতুহল একটু বেশি,
তাদের উদ্দেশ্যে বলছি। পুলিশ
ভাইয়েরা একদা আমাকে মেরে বাঁ হাত জখম
করে দিয়েছিলেন। সেই জখম বহু আগে সেরেও
গেছে। কয়েক বছর হলো। তবু সেই
বেদনাবিধুর ঘটনার পর থেকে লাঠি দেখলেই
আমার হাত ব্যথা করে। এতেই প্রমাণিত হয়,
প্রেম, ব্যথা, বেদনা-এইসব মানবিক
অনুভূতি বিজ্ঞান মানে না।
যাই হোক, একটু আগে দেখলাম আমার এক
ফেসবুক বন্ধু দ্বীপ( আমাদের উন্মাদ গ্রুপেরও বন্ধু)
একটা ছবি শেয়ার করেছেন।
পুলিশের হাতে লাঠিওয়ালা ছবি।
যথারীতি ছবিটা দেখে আমার হাত ব্যথা শুরু
হলো। এরপর সেই ছবির বর্ণনা পড়লাম।
খুবই ইন্টারেস্টিং। সকালে বেশ
জোড়ালো বৃষ্টি হয়েছে। সেই
প্রভাতী বৃষ্টির ফলে রাস্তায়
পানি জমে যানজট লেগে গিয়েছিলো। ট্রাফিক
পুলিশ লাঠি দিয়ে ড্রেন খুঁচিয়ে লাইন ক্লিয়ার
করে দিয়েছেন। পানি ড্রেন বেয়ে চলে গিয়েছে।
রাস্তা ক্লিয়ার। যানজট ছুটেছে।
পুলিশি লাঠির এই জনহিতকর ব্যবহার
দেখে আমার হাতের ব্যথা দ্রুত চলে গেলে।
এই ঘটনা থেকে আমরা কি শিখলাম:
১. ড্রেন পরিষ্কার করা পুলিশের কাজ নয়।
তবু সেই ট্রাফিক পুলিশ ভাই তার হাতের
লাঠি দিয়ে একটুখানি ''খোঁচা'' মেরেছেন।
ইতিবাচক খোঁচা। একটি সামান্য খোঁচার ফল
হয়েছে দুর্দান্ত। দেশ ও দশের উপকার
হয়েছে।
২. আমার সেই ফেসবুক বন্ধু সেই
ছবিটি তুলে ফেসবুকে আপলোড
করে পুলিশকে ধন্যবাদ দিয়েছেন।
তিনি এটা না করলেও পারতেন। তিনি ব্যস্ত
মানুষ। তার অফিস আছে, কাজ আছে,
ব্যস্ততা আছে। তবু একটা পজিটিভ
ঘটনা তুলে এনে ফেসবুকে দেয়াও একজন
সুনাগরিকের লক্ষণ। এটাও এক ধরণের
ইতিবাচক ''খোঁচা"। ফেসবুকে এই
ছবিটি অন্য কোনো পুলিশ দেখলে, তিনিও
জনকল্যাণকর কাজে উৎসাহ পাবেন। তারও
মনে হবে মানুষ এবং সাংবাদিক পিটানোর
বাইরেও লাঠির অনেক কাজ রয়েছে।
ময়লা পানি দেখে তারাও উতলা হয়ে ড্রেন
খোঁচাবেন।
এটা দেখে হয়তো সিটি কর্পোরেশনের
কোনো লোক ভাবছেন, ছি ছি ছি। যে কাজ
আমরা করতে পারিনি, সে কাজ আরেক
ডিপার্টমেন্টের লোক করছেন। তারাও
খোঁচাখুচির সরঞ্জাম নিয়ে মাঠে নামবেন।
৩. আমরা প্রত্যেকে যদি একটু
এগিয়ে এসে আমাদের
চারপাশে সমস্যাগুলোকে নিজের
সমস্যা ভেবে একটু খোঁচাখুচি করি, লাইন
ক্লিয়ার করার চেষ্টা করি,
তাহলে ময়লা পানির মতোই অনেক
সমস্যা ড্রেন দিয়ে ''নিকাশ'' হয়ে যাবে।
এতে দেশ ও দশের উপকার বৈ অপকার
হবে না।
একটা ছোট্ট ছবি, অথচ কত কিছু শিখলাম
আমরা।
ধন্যবাদ ফটোগ্রাফারকে। ধন্যবাদ সেই
পুলিশ ভাইকে।
আর ... ছবিটা দেখুন। লাঠি হাতে এমন
কিউটি পুলিশ আগে কখনো দেখেছেন? ( লেখাটা সংগৃহীত | আমার ফেসবুক বন্ধু দ্বীপ এই লেখাটি কিছুক্ষণ আগে শেয়ার করেছিলেন | আমি শুধু ব্যথা বানানটি শুদ্ধ করেছি এবং লেখার ভিতরে দ্বীপের নাম ঢুকিয়ে দিয়েছি :-) )
২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫
হাসান মাসুম বলেছেন: ভাই আপনার এই লেখাটা ফেসবুকে আমার বন্ধু আশিফ এন্তাজ রবির ফেসবুক স্ট্যাটাস হিসাবে দেখলাম। রবি সামহোয়ারইনব্লগ এ রুমি৯৯ নামে লেখে না। তার মানে এই লেখার লেখক দুইজন।
আসল লেখক যে কে খুব কনফিউশনে পরে গেছি।
২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:১৯
রুমি৯৯ বলেছেন: ভাই আপনি সম্ভবত লেখাটির নিচের অংশ পড়েননি ! ওখানে লেখা আছে লেখাটা সংগৃহীত | আমার ফেসবুক বন্ধু
দ্বীপ এই লেখাটি আগে শেয়ার
করেছিলেন | আমি শুধু ব্যথা বানানটি শুদ্ধ
করেছি এবং লেখার ভিতরে দ্বীপের নাম
ঢুকিয়ে দিয়েছি
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫
নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: http://www.somewhereinblog.net/blog/rariq08