নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রুমি৯৯

আমি রুমি

রুমি৯৯ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরীক্ষার হলে দেখা দেখি করে লেখা---

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৯

পরীক্ষার হলে দেখা দেখি করে লেখা ব্যাপারটা একটা শিল্পস্থানীয়পর্যায়ের ব্যাপার ।কুকুরের পেটে যেমন ঘি সয় না ,তেমনি সবার পক্ষে এই শিল্পেরবিশিষ্ট শিল্পী হওয়া সম্ভব হয় না ।প্রয়োজনে সামনের জনের খাতারলেখা দেখার জন্য ঘাড়টাকে বকের মতলম্বা করা , বিস্ফোরিত বড় বড়

নয়নে সামনের জনের খাতারপাঠোদ্ধার করা , পেছনের জনের কাছথেকে ফিসফাস উত্তর শোনার জন্য কানের শ্রবণশক্তিকে অত্যধিক সক্রিয়করার ক্ষমতা খুব কম ফাঁকিবাজ ছাত্রেরই আছে ।

যাদের আছে , তারা যেনতেন লেভেলের ফাঁকিবাজ না , মহাপুরুষ টাইপীয় ফাঁকিবাজ । পৃথিবীকে তাদের জয় করতে হয় না , পৃথিবী নিজেই পরাজিত হয়ে তাদের পদতলে ভূলুণ্ঠিত হয় ।তো যাই হোক , পরীক্ষার হলে যারা দেখাদেখি করে অথবা ,দেখাদেখি করায় , তাদের মধ্যে ৪ প্রকৃতির লোক রয়েছে । নানা রঙের ছয় ঋতু যেমন প্রকৃতিকে ঐশ্বর্যময় করেছে ,তেমনি এই চার প্রকৃতির বিদ্বান পরীক্ষা নামের বিভীষিকাকে করেছে মহিমান্বিত ,শৈল্পিক আর ঐতিহাসিক ।এবার আসুন , এই চার প্রকৃতির লোকদের ইউনিক ক্যারেক্টারেস্টিক নিয়ে আমরা কিছুক্ষণ রোজনামোচন করি ।

তবে হ্যাঁ , মহাশূন্যের যেমন কোন সীমা পরিসীমা নেই , অতল নীল সাগরের রহস্যের যেমন কোন শেষ নেই ,নারীর মনের জিলিপির প্যাচের কোন অন্ত নেই , তেমনি তাদের ইউনিক ক্যারেক্টারিস্টিকের কোন বাউন্ডারি নেই ।

টাইপ ১ #এরা অতিশয় সজ্জন , সবার সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে এদের তুলনা শুধু এরাই ।পরীক্ষার হলে এরা শুধু দেখেই না ,জানপ্রান দিয়ে যা পারে তা দেখায়ও।কৃতজ্ঞতা ও স্বার্থ উদ্ধারের এক যুগপৎ মিশেল রয়েছে এদের চরিত্রে ।আশেপাশের কেউ ভুলে যাওয়া একটা পয়েন্ট জিজ্ঞেস করলে এরা ৫ টা পয়েন্ট বলে দেয় ,আবার নিজেরা একটা পয়েন্টভুলে গেলে আশপাশ থেকে ৫ টা পয়েন্ট শুনে নেয় ।

টাইপ ২ #এরা স্বার্থপর মিরজাফর প্রজাতির জীব । হিংসার জ্বলন্ত আগুন চিরন্তন শিখার মত এদের বুকে সবসময় দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে । অন্যের কাছ থেকে ভুলে যাওয়া উত্তরদেখতে এরা সিদ্ধহস্ত , কিন্তু কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে মুখটাকে এরা হুতুম পেঁচার মত করে রাখে , যদিও

সে উত্তরটা জানে । যক্ষের ধনের মত মুখস্ত উত্তরগুলো মস্তিষ্কের করোটির ভেতরে সে সযত্নে আগলে রাখে ।আশেপাশের করুন অসহায় জিজ্ঞাসু সহপাঠীর কণ্ঠস্বর তাকে বিচলিত করতে পারেনা । অন্যের অসহায়ত্ব তার ঠোঁটের কোনে হাসি খেলায় ,বুকে তোলে আনন্দের হিল্লোল !

কখনো যদি একান্ত বাধ্য হয়ে কিছু বলতে হয় , চোখে মুখে একটা সরল ভাব

এনে এরা ভুল উত্তর বলতেও দ্বিধা করে না ।

টাইপ ৩ #এরা হাতেম তাই টাইপীও মানুষ । এদের জন্মই হয়েছে মানব সেবার জন্য ।

পরীক্ষার হলে এরা কারো কাছ থেকে কিছুই জিজ্ঞেস করেনা ,কারো কাছ থেকে সাহায্যের আশাও

করেনা , বরঞ্চ আশেপাশের সবাইকে উত্তর দেখানোর জন্য এরা মুখিয়ে থাকে ।বিনিময়ে এরা কিছুই চায় না । শুধু চায় পাবলিক তাকে একটু প্রশংসার বানে ভাসাক , চায় পাবলিক তার

অগোচরে তার বদান্যতা নিয়ে আলোচনায় মেতে থাকুক ।বদান্যতার এই সুনাম ধরে রাখার জন্য

তারা সারা বছর উদয়াস্ত পরিশ্রম করে পড়াশুনা করে । রাতের পর রাত নির্ঘুম থেকে পড়া মুখস্ত

করতে করতে এরা মুখ দিয়ে ফেনা বের

করে ফেলে । জীবন , যৌবন , ধন , প্রেম ,ভালবাসা , রমণীর স্পর্শ , প্রকৃতির নিষিদ্ধ আবেদন

পড়াশুনা থেকে তাদের মনোযোগ কেড়ে নিতে পারেনা ।তারাই আধুনিক যুগের সাধু । নেহাত

পড়াশুনা করে বলে , নাহলে এরা বোধ করি হিমালয়ের পাদদেশে গিয়ে দিগম্বর হয়ে ধ্যানমগ্ন

হয়ে বসে থাকতো !

টাইপ ৪ #এরা চরম মুডি , অহংকারী ,গা ছাড়া আর নন কেয়ারিং টাইপের স্টুডেন্ট । কারো কাছ থেকে এরা কিছু দেখে না প্লাস কাউকে এরা কিছু দেখায়ও না । কেউ এদের কাছে কিছু

জিজ্ঞেস করলে এরা প্রত্যুত্তরে তার দিকে শীতল দৃষ্টিতে তাকায় । সেই দৃষ্টির ঠাণ্ডা আগুনে বেচারা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে নেক্সট আর কিছু জিজ্ঞেস করার দুঃসাহস করে না ।নিজেদের উপর এদের আত্মবিশ্বাস প্রবল । ভাগ্য তাদের নিরাশ করে না ।সাধারণত পরীক্ষায় ফার্স্ট সেকেন্ড

তারাই হয় ।প্রফেশনাল লাইফে তারা শতভাগ সফল ,কিন্তু সামাজিকতায় তারা একশতে শুন্য।

#এখন_দেখি_আপনারা_কে_কোন_টাইপ_ছিলেন/আছেন

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.