নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রুমি৯৯

আমি রুমি

রুমি৯৯ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাস্তিতে আচরণ বদলায় না

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৯

আচরণে পরিবর্তন আনতে প্রায়ই আমরা শিশুদের শাস্তি দিয়ে থাকি। অনেকেই চূড়ান্তভাবে মনে করেন এটাই একমাত্র পদ্ধতি শিশুর আচরণ পরিবর্তনের।কিন্তু ভেবে দেখেছেন কি এর প্রতিক্রিয়া কেমন হতে পারে? কিংবা প্রশ্ন উঠতে পারে শাস্তিতে কি আসলেই আচরণে পরিবর্তন আসে ? মজার বিষয় হলো মনোবিজ্ঞানীরা শাস্তিকে দুই ভাগে ভাগ .বাংলানিউজ. করেছেন। ইতিবাচক এবং নেতিবাচক। ইতিবাচক শাস্তি বলতে বোঝানো হয়েছে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক কথা বলছেন এ সময় কোনো শিক্ষার্থী কথা বললে তাকে কিছু সময় চুপ করে থাকার শাস্তি দেওয়া। নেতিবাচক শাস্তি বলতে বোঝানো হয়েছে কোনো শিক্ষার্থী একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটালে তাকে শ্রেণিকক্ষ থেকে বের করে দেওয়া। মনোবিজ্ঞানের নির্দেশনা হলো, কোনো কারণে শাস্তি প্রদান করা হলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ওই সংক্রান্ত আচরণ পরিবর্তনের সম্ভাবনা কমে আসে।
কখনও কখনও প্রাথমিক শাস্তি দেওয়া শেষে আচরণে পরিবর্তন না এলে আমরা ধারণা করি আটক করে রাখাই একমাত্র সমাধান। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা গেছে জেল থেকে কোনো ব্যক্তি বের হয়ে আসার পরে অবাধে অপরাধ করতে শুরু করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন,শাস্তির পরিবর্তে আচরণ নজরদারির মধ্যে নিয়ে এলে পরিবর্তন সম্ভব। বিশেষত যদি প্রতি মুহূর্তের ভুল ধরিয়ে দেওয়া যায় তবে সংশোধন করা সম্ভব।
ভিন্ন মত প্রকাশ করে তারা বলছেন, গাড়ি চালানোর সময় গতির বিষয়টি আমরা কিছু সময়ের জন্য ভুলে গেলেও আবার মনে পড়ে। এর কারণ এই ভুলের কারণে রাস্তার প্রতি মোড়ে মোড়ে শাস্তি পেতে হয়।তাই বলা যায় শাস্তিতেও আচরণের পরিবর্তন আনা সম্ভব, তবে সেটা সাময়িক। কেননা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শাস্তির ভেতর পরিবর্তিত আচরণের কোনো উদাহরণ থাকে না। ফলে ওই ব্যক্তি শিখতে পারে না তার কেমন আচরণ করা উচিৎ। একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের আনুমানিক শতকরা ৭৫ ভাগ অভিভাবক মাঝে মাঝে তাদের সন্তানদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে থাকেন।
শারীরিক নির্যাতনের কারণে শিশুদের ভেতরে অসামাজিক,হিংস্র এবং কর্তব্যবিমুখ আচরণ দেখা যায়। একইসঙ্গে শাস্তির এই প্রভাব দীর্ঘদিন এমন কী প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরও থাকতে পারে বলে জানাচ্ছেন মনোবিজ্ঞানীরা।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:২০

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: শাস্তিতে যে একেবারেই শিক্ষা হয়না তা নয়। শাস্তির শিক্ষা সাময়িক যতখন না বিবেক জাগ্রত করা যায়। তাই শাস্তির আগে সঠিক শিক্ষার প্রয়োজন আর সেই শিক্ষাটা শুরু হয় পরিবার থেকে। পরিবার শিশুর প্রাথমিক বিদ্যালয়।

প্রতিটি পরিবারের দায়িত্ব ও কর্তব্য শিশুকে বয়সোপোযোগী সঠিক শিক্ষাদান। ছোটবেলায় কৃত ছোট ছোট অপরাধের নেতিবাচক দিকগুলি শিশুকে বুঝিয়ে বলতে হবে। ও সেসব কাজ থেকে সে যেন বিরত থাকে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:০৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ভালো পোস্ট, তবে .বাংলানিউজ. এ প্রকাশিত, তা আপনার পোস্টে চলে এসেছে। :P

সরি ফর দিস কমেন্ট, আপনি ইচ্ছে করলে কমেন্টটি মুছে দিতে পারেন।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:২৪

রুমি৯৯ বলেছেন: কেন মুছবো ? আপনি তো সত্য বলেছেন

৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৭

ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: অনেকেই চূড়ান্তভাবে মনে করেন এটাই একমাত্র পদ্ধতি শিশুর আচরণ পরিবর্তনের।

একমাত্র পদ্ধতি যারা মনে করে তারা মানসিকভাবে সুস্থ নয়. কিন্তু মটিভেশনের পাশাপাশি এটাও কখনও দরকার হতে পারে - একে একেবারে বাতিল করা যাবে না.

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.