নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রুমি৯৯

আমি রুমি

রুমি৯৯ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আহম্মকের থেকে শিক্ষা গ্রহণ

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩২

লোকমান হেকিম অনেক
জ্ঞানী ব্যক্তি ছিলেন।তাকে একবার এক
ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করে ছিলেন।হুজুঁর
আপনি এত জ্ঞান কাদের থেকে পেয়েছেন।
প্রত্যুত্তরে লোকমান হেকিম বলেছিলেন
আহম্মকদের কাছ থেকে।লোকটি তখন
জিজ্ঞাসা করল হুজুঁর কিভাবে?তখন
লোকমান হেকিম উত্তরে বললেন কেন
আহম্মকরা যা চিন্তা করে তার
উল্টো ভাবলেইতো হয়।আজকাল বহু
লেখক
আছেন যারা নিজেদেরকে নারীবাদী হিসেবে মনে করেন।
কিন্তু তারা নারীবাদ মানে কি সেটাও জানেন
না উপরন্তু প্রচলিত ধর্ম ও
সমাজগুলো কে পুঁজি করে আদিম নাচন
নাচেন।তারা শুধু অপব্যাখ্যা করে ক্ষান্ত
হন না তাদের মতে মেয়েরা রাস্তায় অর্ধ
উলঙ্গ হয়ে বের হবেন আর
উনারা হা করে তাকিয়ে থাকবেন।এটাই
উনাদের জন্য নারীমুক্তি।এনারা শুধু
এটা করে ক্ষান্ত থাকেন না।এনারা আবার
বাংলা সংস্কৃতি নিয়ে বড় বড় বুলিও
ছোড়েন।কিন্তু তাদের মাথায় এটা নেই
যে কোন একটা দেশের সংস্কৃতির
সবচেয়ে বড় একটা অংশ বা উপাদান
হচ্ছে মানুষের ধর্মীয় অনুভূতি।যাই হোক
আহম্মক ভাইয়েরা এত দিন
ধরে মানুষকে আপনারা এভাবে শিক্ষা দিয়ে যাওয়ার
জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।তবে এবার
আপনারা কিছু শিখুন।সত্য এবং আলোর পথ
কোনটি বোঝার চেষ্টা করুন।প্রকৃত
নারীমুক্তির পথ খুজুন।
ধর্মকে পুঁজি করে নারীবাদের নামে ধর্মের
অবমাননা করার এসব ভাওতবাজি বন্ধ
করুন।
বি:দ্র: লেখাটি কোন সমাজ কিংবা
ব্যক্তিকে এককভাবে উদ্দেশ্য
করে লেখা হয়নি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০৭

ইমরান আশফাক বলেছেন: কোন অন্চলের সংস্কৃতি হচ্ছে সমাজের অধিকাংশ মানুষ দীর্ঘদিন ধরে যেসকল রীতিনীতি, সামাজিক আচার-আচারনে অভ্যস্ত এবং যে পদ্বতিতে বা পন্থায় জীবন-যাপন করে আসছে সেটাই। একটা সংস্কৃতি অন্য কোন সংস্কতির সংস্পর্শে এসে ভালোমন্দ কিছু গ্রহন করতে পারে এবং এটি একটি অব্যাহত ধারা। এইভাবেই প্রতিটি সংস্কৃতি সমৃদ্ধ হয়ে উঠে অথবা কালের গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

আমাদের এই অন্চলের সংস্কৃতি অর্থাৎ বাংগালী সংস্কৃতিও এই ধারার বাইরে নয় বরং বিভিন্ন সংস্কৃতির সংগে সংঘাত বা মিশ্রনে যুগে যুগে পরিশুদ্ব হয়ে এই পর্যায় উপনিত হয়েছে। আমাদের একদম আদি সংস্কৃতির সাথে বর্তমান সংস্কৃতির আকাশ-পাতাল পার্থক্য।

পাশ্চাত্য সংস্কৃতির যেসকল ভালো দিকগুলো আছে সেইগুলি আমরা গ্রহন করতে চাই কিন্তু ক্ষতিকর দিকগুলো অবশ্যই পরিহার করতে হবে। আমাদের নারীরা স্বাবলম্বী হউক এটা আমাদেরও কাম্য এবং এটা যদি নারী স্বাধীনতার অংশ হয় তবে তা খুবই উত্তম। তবে নারী স্বাধীনতার নামে ন্যাংটা হওয়ার স্বাধীনতার কোন স্হান আমাদের দেশে নেই, হতে দেয়া যাবে না। পার্শ্ববর্তী ন্যাংটা নারী সংস্কৃতির দেশ ভারতে আমাদের দেশের কোন চ্যানেল দেখতে দেওয়া হয় না কিন্তু আমরা ঢালাওভাবে তাদেরগুলো আমাদের দেশে দেখতে দেই।

যাই হোক, আমাদের বাংগালী সংস্কৃতির তথাকথিত ধারকবাহকদের অযৌক্তিক দাবীদাওয়ার প্রতি কর্নপাত করে তাদেরকে আমরা অতিমূল্যায়ন করে ফেলছি যেটা তাদের প্রাপ্য নয়। প্রত্যেকরে যার যার প্রাপ্য দিয়েই আমাদের সংস্কৃতি এগিয়ে যাবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৩

রুমি৯৯ বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষণ ! সহমত পোষণ করছি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.