নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রুমি৯৯

আমি রুমি

রুমি৯৯ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিরোনামহীন

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:২২

১/ সরকার ভেজাল ঔষধের বিরুদ্ধে অভিযান
চালালো। আমাদের ঔষধ
বিক্রেতা ভাইয়েরা বেঁকে বসলেন। ধর্মঘট
শুরু হলো। তুমুল আন্দোলন যাকে বলে।
ভেজাল ঔষধ বেচার অধিকার ফিরে পাওয়ার
আগ পর্যন্ত তারা কোন ঔষধ বেচবেন না।
ভেজাল ঔষধ খাইয়ে আমাদের, আমাদের
শিশুদের মেরে ফেলা তাদের জনম জনমের
অধিকার।
২/ ফলে, মাছে, শব্জিতে ফরমালিন, কার্বাইড
সহ নানা প্রকারের ক্যামিকেল মেশানো হয়।
সরকার কেমিক্যালযুক্ত খাবার দাবার
বাজেয়াপ্ত করা শুরু করলো।
জরিমানা করলো। তাতে দুই নাম্বার
ব্যাবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন। দাম
বাড়িয়ে দিলেন। সেই সাথে ব্যাপক
হারে ক্ষোভ প্রকাশ। আমাদের
সুবিধাবাদী মিডিয়া সেসব প্রচারের
ব্যাবস্থা করলো। কেমিক্যালযুক্ত খাবার,
ফলমুল বেচার অধিকার দিয়ে সরকার পিছু
হটতে বাধ্য হলো। কেমিক্যালযুক্ত খাবার
বেঁচে আমাদের ক্যান্সারে ভুগাবে,
এটা উনাদের অধিকার।
৩/ নিত্য ব্যাবহার্য জিনিসপাতি মজুদ
করে কৃত্রিম সংকট
তৈরী করে একটি সিন্ডিকেট। সাধারন
মানুষের পকেট থেকে লুটে নেয় হাজার হাজার
কোটি টাকা। সরকার সেখানে হস্তক্ষেপ
করলে আমাদের ব্যাবসায়ীরা গোস্বা করেন।
জিনিসপত্র আমদানী বন্ধ করেন।
তাতে জিনিসের দাম চার পাঁচগুণ হয়ে যায়।
জনজীবনে অস্বস্তি নেমে আসে।
আমাদের ব্যাক্কল মিডিয়া প্রচার
করে জিনিসের দাম উর্ধগতি। সরকার
ব্যার্থ। তারা কখনো মুল জায়গায় হাত দেয়
না। কারন মিডিয়ার মালিক ঐ সিন্ডিকেটের
সদস্যরা। প্রবল সমালোচনার মুখে সরকার
পিছু হটে। সাধারন মানুষের মাথায়
বাড়ি মেরে পকেট কেটে নেয়া হয়। এইটা রুই
কাতলা ব্যাবসায়ীদের অধিকার।
৪/ ইদানীং ফিটনেসবিহীন গাড়ীর
বিরুদ্ধে সরকারী অভিযান চলছে। ঢাকার
রাস্তায় চলাচল করা ৬০ ভাগ পাবলিক
যানবাহনের ফিটনেস নাই। প্রাইভেট/পাবলিক
অধিকাংশ গাড়ীর চালকের লাইসেন্স নাই।
যাও আছে তার অধিকাংশ ভুয়া।
সরকারের এই অভিযানের
কারনে ফিটনেসবিহীন গাড়ীর
মালিকেরা বিরক্ত। আজ তারা সায়েদাবাদ/
যাত্রাবাড়ির দিকে মিছিল করেছেন।
ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় নামাবেন
এবং ব্রেক ফেল করে অন্য গাড়ীর উপরে,
ফুটপাথের উপরে গাড়ি উঠিয়ে দিয়ে মানুষ
মারবেন। এটা তাদের অধিকার।
মাঝে মাঝে ভেবে পাই না ঠিক কিসের
মধ্যে আমরা বাস করি। মানুষের
সাথে প্রতারনা করে অসাধু
উপায়ে টাকা উপার্জন আমাদের অধিকাংশ
ব্যাবসায়ীদের অধিকারে পরিনত হয়েছে।
সরকারী খাতে এই অবস্থা কেমন
সেটা তো আমাদের অর্থমন্ত্রী সেদিন "ঘুষ"
জায়েজ সার্টিফিকেট দিয়ে দিয়েছেন।
এত এত অসাধুতা সরাসরি প্রভাব
ফেলছে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে। সরকার
ভালো কাজ করতে গেলে আমাদের দৈনন্দিন
জীবনে সাময়িক সমস্যার তৈরী হয়।
সরকারকে ইচ্ছেমত গালাগালি করি। যেন
মেনে নিয়েছি কেউ আমাদের
গতরে উঠে তাদের বিকৃত চাহিদা পূরন
করবে সেটা-ই স্বাভাবিক।
সমস্যা হলেই সরকার খারাপ। দেশ খারাপ।
আসল খারাপ আমরা সাধারন মানুষেরা। কেউ
আমাদের ভালো চাইলে সেটা হয়ে যায়
অপরাধ। সাধারন মানুষ
না জাগলে কিচ্ছুটি হবে না। স্বয়ং ঈশ্বরের
পক্ষেও সম্ভব না আমাদের ভালো করা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.