নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রুমি৯৯

আমি রুমি

রুমি৯৯ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা বাঙালিরা.....................................................................

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৪

উপমহাদেশের বিখ্যাত লেখক প্রয়াত নিরোদ সি. চৌধুরী 'আত্মঘাতী বাঙালি' শিরোনামে একটি বই লিখেছিলেন। বাঙালি সম্পর্কে তাঁর উক্তিটি আজ মর্মে মর্মে উপলব্ধি করছি। বাঙালিরা তাদের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শুধু হেনস্তা করেই ছাড়েনি, তাদের হত্যা পর্যন্ত করেছে। ব্যক্তিগত লোভ-লালসা, ঈর্ষা, প্রতিহিংসাপরায়ণতা বাঙালি চরিত্রে অতিমাত্রায় প্রভাব বিস্তারের কারণেই এই জাতি নিজের নাক কেটে অন্যের যাত্রা ভঙ্গ করে। আর বিশ্বাসঘাকতা! এ বুঝি অতিলোভী বাঙালির প্রধান বৈশিষ্ট্য! তাইতো মীর জাফর, মোশতাকরা ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়। তবে ক্ষণজন্মা মানুষরা দেরিতে হলেও যথাযথভাবেই মূল্যায়িত হন, ইতিহাসের পাতায় চির অম্লান হয়ে থাকেন। ইতিহাসের পরিপ্রেক্ষিতে এসকল বিষয় নিয়ে আমাদের তাই অবাক হওয়ার কিছু নেই।আমরা বাঙালিরা যেকোনো বিষয় নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত মাতামতি নিয়ে বিখ্যাত।পৃথিবীতে সম্ভবত আমরাই একমাত্র জাতি যাদের মধ্যে শতকরা ৯৯ ভাগ লোকের মধ্যে কোনো দেশপ্রেম নেই,যা আছে সব লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ।শুূধু দেশপ্রেম কেন,যেকোনো বিষয় নিয়ে আমাদের আদিখ্যেতা দেখার মত।তার ছোট্ট কয়েকটি উদাহরণ............
(১)দেশপ্রেমঃ সারাবছর কোনো খবর না থাকলেও ২১শে ফেব্রুয়ারী,২৬শে মার্চ এবং ১৬ই ডিসেম্বর আমাদের দেশপ্রেমের ঠেলায় টিকে থাকা মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়।এই দিনগুলি না আসলে আমরা বুঝতেই পারতাম না যে আমাদের দেশ দেশপ্রেমিক এর একটি হোলসেল ডিপো।
(২)পহেলা বৈশাখঃ বছরের অন্যান্য দিন যেভাবেই কাটাই না কেনো,এইদিন আমরা এক একজন প্রতিযোগীতায় লিপ্ত হই যে আমরা কে কত বড় বাঙালি।সারাবছর পিজা,বার্গার নিয়ে টানাটানি করলেও এইদিন আমাদের পান্তাভাত খাওয়া চাইই চাই।যা কিনা আমাদের দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে অপমান করার সামীল(আমার দৃষ্টিকোণ থেকে)।
(৩)রমজান মাস+শবে বরাতঃ বাস্তবিক জীবনে আমরা ধর্মকর্ম যেমন পালন করিনা কেনো,রমজান মাসে (নব্য)ধার্মিকদের ঠেলায় নিয়মিত মুসল্লিরা মসজিদে জায়গাই পান না।১৫ রমজানের পর থেকে অবশ্য ধীরে ধীরে এসকল মুসল্লি নাই হতে থাকে।আর শবে বরাতের রাতে যে পরিমাণ মুসল্লি দেখা যায়,বাস্তবে যদি তার ৫% এর অস্তিত্ব থাকতো তাহলেতো ভালোই হত।অথচ হাজার বছরের উত্তম রাত লাইলাতুল কদর যা আমরা শবে কদরের রাত বলে থাকি,তখন মুসল্লি খুঁজে পাওয়াই বিরাট ভাগ্যের ব্যাপার।
(৪) থার্টি ফার্স্ট নাইটঃ আজ সেই থার্টি ফার্স্ট নাইট।বেলেল্লাপনা কত প্রকার ও কি কি তা আজ আমরা দেখতে পাবো সমগ্র দেশব্যাপি।এদিন আমরা ফিরিংগিদের চাইতে বড় ফিরিংগি।অথচ আমাদের দেশে সারাবছর আমরা যত বিদেশী নাগরিকদের যেভাবে শালীনভাবে চলাফেরা করতে দেখে থাকি তা যদি আমরা অনুকরণ করতাম তাহলে যথেষ্ঠ ধন্যবাদ দিতে আমার কোনো আপত্তি ছিলনা(কর্মসূত্রে আমাকে অনেক বিদেশী নাগরিকদের সাথে ওঠাবসা করতে হয়।ব্যক্তি জীবনে তারা যাই থাকুক না কেনো,তাদের চলাফেরা,বেশভুষা যথেষ্ঠ মার্জিত)।

#অফটপিকঃ আজ আমার কোনো থার্টি ফার্স্ট নাইট নেই।আগেও ছিলোনা এবং ভবিষ্যতেও কখনো হবেনা ইনশাআল্লাহ.....................................................।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৫

রাখালছেলে বলেছেন: একটু অফটপিক বলি । আমরা বাঙালি না আমরা বাংলাদেশী । আর থার্টি ফাষ্ট নাইট এর কথা বললেন । সেটাতো সব দেশেই পালিত হচ্ছে । এমন কি আপনাদের প্রিয় দেশ সৌদিয়াতেও । এমনকি পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে । তাহলে আমরা কি দোষ করলাম ।

পহেলা বৈশাখ নিয়া আপনার এত মাথাব্যাথা কেন । কারন এটা সৌদি আরব থেকে আসে নাই তাই । পুরো পৃথিবী এখন চলে ইংরেজী মাস অনুযায়ী । তাই আমরা যা করি যা দেখি তা সবই ইংরেজী মাস অনুযায়ী । এমন কি আপনার জন্মদিনও দেখেন ইংরেজীতে ।

আমরা যেমন নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা পেয়েছি তেমনি মীরজাফর পেয়েছি । বাশের কেল্লা-নীল বিপ্লব সবকিছুই আমরা বাঙালিরাই করেছেন। কিছু লোকের কারনে সব লোকই খারাপ হতে পারে না ।


মালালাকে নিয়ে ব্রিটিশরা যা করছে সেটা কি আপনার চোখে পড়ে না !

২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১১

ইমরান আশফাক বলেছেন: @রাখাল ছেলে, আমি কিন্তু রুমি৯৯ এর সাথে একমত।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:০৮

রুমি৯৯ বলেছেন: স্বাভাবিক থার্টি ফাষ্ট নাইট,পহেলা বৈশাখ কিংবা ধর্মকর্ম পালন নিয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই।আমার বক্তব্যের মূল বিষয় হচ্ছে বাড়াবাড়ি রকমের আদিখ্যেতা নিয়ে।

৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:০৪

রাখালছেলে বলেছেন: মানুষের পরিচয় ধর্ম দিয়ে হয় না। মানুষের একটাই পরিচয় তার দেশ । ভারতের মানুষ তার কৃষ্টি অনুযায়ী ধর্ম পালন করবে । তেমনি ফিলিপাইন,মালয়েশিয়া,ভুটান কিংবা চীনের মানুষ তাদের নিয়মানুযায়ী ধর্ম পালন করবে । আবার আরব দেশের মানুষ তাদের কৃষ্টি অনুযায়ী ধর্ম পালন করবে । আমাদের দেশের গর্ব আমাদের পয়লা বৈশাখ । কারন আমাদের দেশের চাষীরা সেই অনুযায়ী চাষ করতে অভ্যস্ত । এখন এটা নিয়েও যদি কিছু লোকের চুলকানী শুরু হয় তাহলে তো আমাদের এখন আরব দেশের মত করে চলতে হবে । সবাই উট কিনে নেন তারপর খেজুর লাগান । যদিও সেই গাছে আরব দেশের মত পবিত্র খেজুর হবে না । তখন কি দাড়াবে না যে, ময়ুরের পেখম লাগিয়ে কাকের ময়ুর হওয়া চেষ্টা ।


০১ লা জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:১৩

রুমি৯৯ বলেছেন: আমি কিন্তু আমার লেখায় আমাদের দেশের চাষীদের বিদ্রুপ করে কিছু লিখিনি।আমার লেখার মূল উদ্দেশ্য ছিল আমরা যারা শহুরে অতি অনুকরণপ্রিয় তাদেরকে নিয়ে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.