নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রুমি৯৯

আমি রুমি

রুমি৯৯ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অলিভার কানঃ ‘দ্যা টাইটান’

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৯

অলিভার কান ‘দ্যা টাইটান’
পজিশনঃ গোলরক্ষক
জাতীয়তাঃ জার্মান
জন্মতারিখঃ ১৫ জুন, ১৯৬৯ (কার্লসরুয়া,জার্মানি)
ক্লাবঃ বায়ার্ন মিউনিখ,কার্লসরুয়া এসসি ক্লাব
ম্যাচঃ ৬৩০ টি
আন্তর্জাতিক দলঃ জার্মানি
আন্তর্জাতিক ম্যাচঃ ৮৬টি
বিশ্বকাপ ম্যাচঃ ৮টি(৫ ক্লিনশিট)
সর্বকালের সেরা গোলরক্ষকদের তালিকা করতে গেলে জার্মান
খেলোয়াড় অলিভার রল্ফ কান থাকবেন তালিকার শীর্ষ পাঁচের মধ্যে। ১৯৯৯ থেকে ২০০২ সময়কালটিতে ক্লাব এবং জাতীয় দুই পর্যায়েই এই গোলরক্ষককে বিশ্বসেরা মানা হত।তবে জার্মানির ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই গোলরক্ষকটির সূচনা খুব বড় কোন ক্লাবে হয়নি। তৎকালীন বুন্দেসলিগার অখ্যাত এক ক্লাব কার্লস্রুয়া এর যুব একাডেমী থেকেই তার ফুটবলের
হাতেখড়ি। প্রায় ১২ বছর যুব একাডেমীতে কাটানোর পর ১৯৮৭
সালে প্রথম কার্লস্রুয়ার পেশাদার দলে খেলার সুযোগ পান তিনি। পেশাদার জীবনের প্রথম সময়ে নিজ শহরের ক্লাবকে ছেড়ে যাওয়ার তার কোন ইচ্ছা ছিল না। তবে শেষমেশ ১৯৯৪
সালে ২৫ বছর বয়সে এই গোলরক্ষক পাড়ি জমান জার্মান
পরাশক্তি বায়ার্ন মিউনিখে। সে বছরই প্রথম জার্মান দলে সুযোগ মিলে এই খেলোয়াড়ের। তবে জার্মানি জাতীয় দলে তার অভিষেক হয় আরও এক বছর পর সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে। ১৯৯৪ সালের ফিফা বিশ্বকাপ দলে ছিলেন কান কিন্তু কোন ম্যাচেই খেলতে পারেননি। ১৯৯৬ সালের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়ের পদক পেয়েছেন ঠিকই তবে খেলা হয়নি সেই প্রতিযোগিতায়ও। ১৯৯৮ সালে ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ শেষে মূল গোলরক্ষক আন্দ্রেয়াস কোপকে জাতীয় দল থেকে অবসর নেওয়ার পর অবশেষে মূল গোলরক্ষকের
ভূমিকা পান কান। ২০০০ সালের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে অধিনায়কের দায়িত্বটিও অর্পিত হয় তার হাতে। কান নিজ ক্যারিয়ারের অন্যতম লজ্জাজনক ম্যাচের সম্মুখীন হন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মিউনিখে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব ম্যাচে। সেই ম্যাচে ৫-১ গোলে পরাজিত হয়েছিল জার্মানি।
তবে প্লে-অফ ম্যাচে ইউক্রেনকে হারিয়ে শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল কানের দল জার্মানি। নিজ
দলকে বিশ্বকাপে নিয়ে যেতে তার ভালো অবদান ছিল। ফলে ১৯৯৯ সালের পর আবারও ২০০১ এ ‘আইএফএফএইচএস
ওয়ার্ল্ডস্ বেস্ট গোলকিপার’ সম্মাননা পান তিনি। ধীরে ধীরে দলের সবার তার প্রতি আস্থা আরও বাড়তে থাকে। ২০০২
বিশ্বকাপেও অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে। মূলত একঅখ্যাত তারকাবিহীন দল হিসেবেই কোরিয়া-জাপান বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিল জার্মানি। কিন্তু দলের সবার একবদ্ধ
প্রচেষ্টায় প্রতিযোগিতার ফাইনালে পর্যন্ত পৌঁছে যায় জার্মানি। এই বিশ্বকাপেই কানের অনবদ্য এবং অপ্রতিরোধ্য গোলকিপিং দক্ষতার অনবদ্য প্রমাণ পায় পুরো ফুটবল বিশ্ব। দলটি ফাইনালের আগে পুরো প্রতিযোগিতা জুড়ে মাত্র একটি গোল
হজম করে যার অনেকটা কৃতিত্বই দেওয়া যেতে পারে ৬ ফুট ২
ইঞ্চি উচ্চতার এই বিশাল দেহের অধিকারী গোলরক্ষককে। আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি যে পায়ের লিগামেন্টে গুরুতর চোট থাকা সত্ত্বেও ব্রাজিলের বিপক্ষে ২০০২ বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলতে রাজি হন অলিভার কান। ম্যাচের ৬৭ এবং ৭৯
মিনিটে রোনালদোর করা দুই গোলের সুবাদে শেষমেশ বিশ্বকাপ জিতে নেয় ব্রাজিল। তবে দর্শকদের মন জয় করে নেন
পরাজিত দলের অধিনায়ক অলিভার কান। প্রতিযোগিতার সেরা গোলরক্ষক হিসেবে ‘লেভ ইয়েসিন পুরস্কার’ পান
তিনি। এছাড়া বিশ্বকাপ ইতিহাসে গোলরক্ষক হিসেবে প্রথম
খেলোয়াড় হিসেবে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন, জয় করেন ‘গোল্ডেন বল’ পুরস্কার। ২০০৬ সালের বিশ্বকাপ দলেও
ছিলেন কান। কিন্তু ১টি ম্যাচের বেশি খেলা হয়নি এই তারকা গোলরক্ষকের। পর্তুগালের বিপক্ষে খেলা ৩য় নির্ধারণী এই ম্যাচই ছিল জার্মানির হয়ে অলিভার কানের খেলা শেষ ম্যাচ। জাতীয় পর্যায়ের মত ক্লাব পর্যায়েও কিছু অসাধারণ সাফল্য
দেখিয়েছেন কান। নিজ ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে ১৯৯৯
সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল খেলেন কান। তবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে খেলা সেই ম্যাচে শেষ দুই মিনিটে হজম করা দুই গোলে হেরে যায় তার দল। কিন্তু ২ বছর
পর আবারও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল খেলে কানের দল বায়ার্ন। এবারের প্রতিপক্ষ স্প্যানিশ ক্লাব ভ্যালেন্সিয়া। ১-১ গোলে অমীমাংসিত থাকায় ম্যাচটি গড়ায় টাইব্রেকারে। পেনাল্টিতে ২টি গুরুত্বপূর্ণ সেভ করে দলকে শেষপর্যন্ত জেতান
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা। সেই ম্যাচে ‘ম্যান অফ দ্য ম্যাচ’ হন তিনি। বুন্দেসলিগাতে গোলরক্ষক হিসেবে সর্বোচ্চ ৫৫৭ ম্যাচ খেলার রেকর্ডটি এখনও তার দখলে। এছাড়া ২০১১
এর পরিসংখ্যান মতে, বুন্দেসলিগার ইতিহাসে তার সর্বোচ্চ ১৯৭টি ক্লিনশিট রাখার রেকর্ডটি এখনও কেউ ভাঙতে পারেনি।
জিততে পারেননি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ফুটবল আসর ‘ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ’, তবুও এখনও এই গোলরক্ষককে প্রাণ ভরে স্মরণ করে পৃথিবীর সব ফুটবল সমর্থকেরাই।ক্যারিয়ারে সব সময়ের জন্যই তিনি তার নিয়মানুবর্তিতা এবং উচ্ছাভিলাসিতার জন্য তার সহযোদ্ধাদের কাছে প্রশংসিত
হয়েছেন। পেশাদার জীবনে দলের প্রতি তার প্রভাবের কথা মাথায় রেখে তার ভক্তটা তাকে ‘দা টাইটান’উপাধি দিয়েছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.