নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবিতা প্রেমী; একটু এলোমেলো; উড়নচণ্ডী; আর বই ভালবাসি। শব্দ নিয়ে খেলা আমার বড্ড প্রিয়। গল্প-কবিতা-মুক্ত গদ্য সব লিখতেই ভালো লাগে। \"কেননা লেখার চেয়ে ভালো ফক্কিকারি কিছু জানা নেই আর।\"

শিখা রহমান

পুরনো ইমেজারির ব্যবসা করি। চিত্রকল্প সস্তায় বানাই। টান টান রিমেকশিল্প, ওপরে ঝকঝক করছে স্কাই।.........লোকে পড়ে ভাবে এ তো নতুন, আনকোরা কৌটো। কিন্তু সেই একই, সেই একই বন্দিপ্রাণ ছটফট ভ্রমর....

শিখা রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

উদাসীন সঙ্গম

২০ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:১৬



আচ্ছা মর্মর ধ্বনি কি একেই বলে? ওই যে শুকনো পাতার ওপরে হেঁটে গেলে যে ম্যাড়ম্যাড়ে আওয়াজটা হয়!! পাঁচ নম্বর ঘুষিটার সময় মাথার মধ্যে তেমন একটা শব্দ হলো; আর এখন ছয় নম্বরটার সময়ও। অদিতির হঠাতই হাসি পেল। সে কি করছে!!! ঘুষির সংখ্যা গুনছে...হা হা হা!!! আহসানের বাম হাত ওর গলা চেপে আছে আর ডান হাতি ঘুষিগুলো পড়ছে ওর বাম চোখে। অদিতিকে বিছানায় ফেলে বক্সিং প্রাক্টিস হচ্ছে; ও অবশ্য ওঠার চেষ্টা করছে না; জোর করে উঠতে গেলে গলায় আঙ্গুলের দাগ বসে যাবে গতবারের মতো। ও আর এখন ব্যথা পাচ্ছে না, শুধু মারটা শেষ হবার জন্য অপেক্ষা করছে।

অদিতির ভাবনা শেষ হতে না হতেই আহসান ঘুষি বন্ধ করলো। ও উঠে বসলেও প্রথমে কিছুই দেখতে পাচ্ছিলো না; খালি অন্ধকার। “মা ও মাগো ...কিচ্ছু দেখতে পাচ্ছি না যে...” অদিতির মা সেই কবেই মারা গেছেন অথচ কেন যে ও মাকে ডাকলো কে জানে। আহসানের গলায় বিদ্রুপ “ঢং করো নাতো...চোখে দেখবে না কেন??? তোমার ডান চোখেতো মারিনি...” বলতে না বলতেই অদিতি দেখতে পেল; মাথাটা ঘুরছে। মারের সময় চিন্তা হচ্ছিল; আটমাসের মেয়েটা বিছানায় ঘুমাচ্ছিলো। তাকাতেই দেখলো বাবুটার ঘুম ভেঙ্গেছে; দাঁত উঠবে; মুখে আঙ্গুল দিয়ে হাত লালায় মাখামাখি। মা তাকাতেই সে বিশাল একটা হাসি দিলো। অদিতি হাসি দেবার চেষ্টা করতেই বুঝতে পারলো চোখে তীব্র ব্যথা হচ্ছে; চোখের চারপাশের চামড়া তেলেভাজা লুচির মতো ফুলে উঠছে।

অদিতি জানে কি করতে হবে। সে এক দৌড়ে ফ্রিজ থেকে বরফ নিয়ে চোখের ওপরে চেপে ধরলো। বরফের তা দিতে দিতেই ও বাথরুমে আয়নায় চোখের অবস্থা দেখতে গেলো। ইশশ রে...কি যে অবস্থা...যাকে বলে black eye…এইটাতো ঠিক হতে কম করে হলেও তিন থেকে ছয় মাস লাগবে। কালো দাগ আস্তে আস্তে নীল হবে, তারপরে গাঢ় হলুদ, তারপরে গাঢ় থেকে হালকা হলুদ মিলাবে ত্বকের বাদামীতে। আজ শনিবার; সোমবারে অফিসে যাবার আগে ঠিক হবার কোন সম্ভাবনাই নেই। এর মধ্যেই অদিতির মনে হলো “আচ্ছা black eye এর বাংলা কি হবে? কালো চোখতো অবশ্যই না...তাহলে নীলকালো চোখ...ব্যথিত কালো চোখ...” তক্ষুনি মাথার মধ্যে অরণীর রাগী রাগী কন্ঠ বলে উঠলো “তুমি না বড্ড ফালতু কথা ভাবো...আগে ভাবো আজ রাতের দাওয়াতের কি হবে? তারপরে ভাবো অফিসে কি বলবে?” অরনীটা না খুব টেনশন করায়। আয়নায় তাকিয়ে অদিতি ফিসফিসিয়ে বললো “ছোট বাচ্চা থাকার অনেক সুবিধা...আজ আমি দাওয়াতে যাবো না...আহসানকে পাঠিয়ে দেব...বললেই হবে যে বাবুর জ্বর এসেছে...এই ভাবী যা গসিপ করেন...দেখা হলে খবর চারিদিকে দাবানলের মতো ছড়িয়ে যাবে...কিছুদিন সামাজিকতা এড়িয়ে চলতে হবে...”

সন্ধ্যায় আহসান বের হতেই বাবুকে খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে ও আয়নার সামনে। দেখা যাক মেকাপ দিয়ে ব্যথিত কালো চোখের ব্যথা কতোটা আড়াল করা যায়!!! চোখের আসলেই বীভৎস অবস্থা; ভুরুর নীচে একটু কেটেছেও; চোখটা ফুলে ছোট হয়ে গেছে। অদিতির আবারো হাসি পেলো; ওকে দেখাচ্ছে র‍্যাম্বোর মতো...Lady Rambo। সব মজার সময় গুলোতেই অরণী কথা বলে ওঠে “শোনো মেয়ে এইসব ফাজলামি কথা না ভেবে আগে ভাবো অফিসে কি বলবে? Domestic abuse সন্দেহ হলেইতো বস প্রথমে Human Resources কে ডাকবে আর জেরার পরে ধরা খেলে পুলিশ হাজির...” অদিতি দ্রুত ভাবতে থাকে “একটা বলা যায় যে বাবু চোখে খেলনা দিয়ে জোরে মেরেছে...কিন্তু বাচ্চা মানুষ এত্তো জোরে মেরেছে কেউ বিশ্বাস করবে না...হুউউ তাহলে মাইনর কার অ্যাক্সিডেন্ট...তাওতো আবার কার ড্যামেজ নেই...ইন্স্যুরেন্স পেপারস???” “তাহলে কিচেন ফ্লোর ক্লিনিংয়ের সময় পা পিছলে গেছে...চোখ গিয়ে লেগেছে কাউন্টারের ধারালো করনারে...হুউউ এটা হতেও পারে...” অফিসে গিয়ে অদিতি বলবে “পা পিছলে আলুর দম”; ওর আবারো হাসি পাচ্ছে।

আহসানের দাওয়াত থেকে আসতে বেশ রাত হবে; অদিতি বাবুকে আরেকবার খাইয়ে রাতের মতো ঘুম পাড়িয়ে দিলো। একা একা টিভি দেখার সময় ও হঠাৎই আতঙ্কে জমে গেলো; আজ যদি ও অদিতিকে চায়। চাওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশী; আদর করতে করতে বলবে সে সরি...আর হবে না...কিন্তু অদিতি কেন ওকে রাগায়...এত্তো তর্ক করে!!! আগের সব বারেই তাই ঘটেছে। ও ফিসফিস করে বললো “শোনো অরণী ওই সময়টা আমার সাথে থেকোতো...একটু কথা বোলো...” রাতে বিছানায় আহসান কাছে টানতেই অদিতি শক্ত হয়ে গেলো; ভাগ্যিস অন্ধকার; নাহলে আহসান দেখতে পেতো যখন চুমু দিচ্ছে অদিতির বমি বমি লাগছে। অদিতির ইচ্ছে না করলেও মানা করার সাহস নেই; ও আহসানকে প্রচন্ড ভয় পায়।

অদিতির শরীরে সুখ খুঁজতে ব্যস্ত আহসান; ও নিঃশ্বাস ফেলে ভাবলো আহসান কি জানে যে শরীরে ভালোবাসাও থাকে? আদরের একসময়ে অদিতি সাহস করে বললো “শোনো এরপরে থেকে মারলে পিঠে বা শরীরে মেরো...হুউউ...মুখে মেরো না প্লিজ...” বলতেই মাথার ভেতরে অরণী বলে উঠল “তুমি মরবে মেয়ে...making a deal with the devil…বাইরে দেখো রুপালী জোছনার কাফন...ঠিক এমনই দুধ সাদা কাফনে মুড়বে তুমি...” অদিতি মনে মনে প্রচন্ড হেসে উঠলো “বোকা মেয়ে...তুই কি আসলেই জানিস না??? আমিতো সেই কবেই মরে গেছি...কবেই!!!”

মন্তব্য ৩১ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৩১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৩৩

অগ্নি কল্লোল বলেছেন: ভালো লাগা রইলো।।

২০ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৪৩

শিখা রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ অগ্নি কল্লোল। কোন কারণে দুবার লেখা পোষ্ট হয়ে গিয়েছিলো। আপনার মন্তব্যের উত্তর দিতে গিয়ে ঠিক করে দিলাম।

২| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৬

বিজন রয় বলেছেন: গল্পের পুরুষটাতো একটা জানোয়ার। ওর লিঙ্গ গোড়া থেকে কেটে ফেলা ভাল ছিল।

২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৪৯

শিখা রহমান বলেছেন: বিজন আপনি এতো রেগেছেন দেখে মনে হচ্ছে লেখাটা একটু হলেও সার্থক হয়েছে। গল্পটা ক্রোধ তৈরী করার জন্যই লেখা। ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:১১

পথে-ঘাটে বলেছেন: বাস্তবে এমন পুরুষ আসলেই কি আছে? নিজে এই জাতে থাকায় খুবই ঘেন্না হচ্ছে।

২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৫৩

শিখা রহমান বলেছেন: পথে ঘাটে বাস্তব কিন্তু আমার এই গল্পের চেয়েও নির্মম। তবে পুরুষ হলেই এমন হয় সেটা মনে করাটাও কিন্তু ঠিক নয়। গল্পটার উদ্দেশ্য হচ্ছে Domestic abuse/ violence এর বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা। ঠিক জানি আপনি নিশ্চয়ই গল্পের আহসানের মতো নন। নিজেকে যারা ভালোবাসে তারাই কিন্তু অন্যদের ভালোবাসতে পারে। ভালো থাকবেন। ভালোবাসা ঘিরে থাকুক আপনাকে ও আপনার প্রিয়জনদের।

৪| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৩০

জেন রসি বলেছেন: অদিতি মনে মনে প্রচন্ড হেসে উঠলো “বোকা মেয়ে...তুই কি আসলেই জানিস না??? আমিতো সেই কবেই মরে গেছি...কবেই!!!”

অনেকেই এভাবে বেঁচে থাকতে বাধ্য হয়। কিন্তু বাধ্য হওয়াটা সবসময় নিজের উপরই নির্ভর করে।

২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৫৭

শিখা রহমান বলেছেন: জেন রসি "অনেকেই এভাবে বেঁচে থাকতে বাধ্য হয়।" ---- এটা সত্য। "কিন্তু বাধ্য হওয়াটা সবসময় নিজের উপরই নির্ভর করে।" ----এটা পুরোটা থিক নয়। সামাজিক অবস্থান, পরিবারের সাপোর্ট, বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ, আর্থিক ও শিক্ষাগত যোগ্যতা ছাড়াও আরো অনেক ব্যাপার মানুষকে বাধ্য করে। প্রত্যেকটা জীবনের গল্পই আলাদা। আমার এ নিয়ে আরো লেখার ইচ্ছে আছে। পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৫| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:২৭

সায়ান তানভি বলেছেন: প্লট দারুন, গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়, লিখেছেনও চমৎকার। ভাল লেগেছে।

২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:০০

শিখা রহমান বলেছেন: সায়ান ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আপনার সাথে একমত যে Domestic abuse/ violence গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় ও এটা নয়ে আমার আরো লেখার ইচ্ছে আছে। উৎসাহের জন্য ধন্যবাদ।

৬| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১২

ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: আপনি অসাধারন লেখেন। সব পড়ে ফেলেছি। লেখা থামাবেন না। "আমি কইলাম যারে তারে অনুসরন করিনা"। হা হা হা। ভাল থাকবেন

২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:০৭

শিখা রহমান বলেছেন: ৎৎৎঘূৎ উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। একজন নব্য লেখকের জন্য এটা বড় পাওয়া। আপনিও ভালো থাকবেন আর প্লিজ লেখা পড়ে মতামত/ সমালোচনা দেবেন। আচ্ছা আপনার নামটা কি ভাবে উচ্চারণ ববে? আর নামের মানে কি বলা যাবে? :-P :-D

৭| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:১৮

আরজু পনি বলেছেন:
বাস্তবে এর চেয়েও ভয়ঙ্কর পুরুষের কথাও শুনেছি...তাই অবাক হলাম না।
তবে ঘুষির সংখ্যাটা বেশি মনে হলো।
অফিসের কিছু ব্যাপার এনেছেন লেখায়...তাই বেশ বাস্তবিক লেগেছে।
বেশি ভালো লাগলো এই জন্যে।

অনেক শুভকামনা রইল, শিখা।
অগ্নিশিখা।

২১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:১২

শিখা রহমান বলেছেন: আরজু পনি গল্পটা কিছুটা হলেও সত্যি ঘটনা অবলম্বনে। আমার এক পরিচিতার কাহিনী কিছুটা উঠে এসেছে। আমি বোঝার চেষ্টা করেছি তার মনের অবস্থা। জানি না কতোটা পেরেছি। "বাস্তবে এর চেয়েও ভয়ঙ্কর পুরুষের কথাও শুনেছি" ---- আসলেই বাস্তবতা এই গল্পের চেয়েও ভয়ঙ্কর। দেশের বাইরে থাকা হয় বলে বাইরের অফিসের কথাই উঠে এসেছে। পড়ার জন্য ধন্যবাদ আর আপনার জন্যও শুভকামনা রইলো। "অগ্নিশিখা" নামটার জন্য থ্যাঙ্কস। :-)

৮| ২১ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:৫৫

পুলহ বলেছেন: "বাইরে দেখো রুপালী জোছনার কাফন...ঠিক এমনই দুধ সাদা কাফনে মুড়বে তুমি...” --জটিল উপমা !! অসাধারণ !!
গল্প ভালো লাগে নি, ভালো লাগার মতন কোন ঘটনা না। কিন্তু আপনার লেখা খুব ভালো লেগেছে, নিশ্চিতভাবেই আপনি ভালো লিখেন।
সুলিখিত গল্পে প্লাস :)
ভালো থাকবেন এবং শুভকামনা জানবেন :)

২১ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৩২

শিখা রহমান বলেছেন: পুলহ এতো প্রশংসা করেছেন যে ভালো লাগলেও একটু লজ্জা লাগছে। অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। গল্প ভালো লাগার মতো নয় সেটা ঠিক বলেছেন। কিন্তু বাস্তবে এমনটা ঘটেই বলে গল্পে ঘটনাগুলো আসার প্রয়োজন পড়লো। আপনিও ভালো থাকবেন আর শুভকামনা। :-)

৯| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:২৯

ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: আসলে এই নামটি আমি ছোটকাল থেকে মাথায় নিয়ে ঘুরছি বুঝলেন। ছোটবেলার পড়া একটি বইয়ের একটি ভুতের নাম। উচ্চারন সম্ভব নয়। আবার দেখলাম আনকমন তাই দিয়ে দেয়া আরকি। আপনার লেখা পড়ে মনে হয়েছে যে আপনি ওখানে ছিলেন। এতটা বাস্তব মনে হয়েছে সবগুলো। এডগার এলান পো'র টেল টেল হার্ট এর মত।

১০| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:২৪

মাটিরময়না বলেছেন: এন্ডিং বেশ ভালো হয়েছে।

পুরুষ চরিত্রটা পুরাই হারামজাদা।

লিখা ভাল লেগেছে।

২২ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৬:১১

শিখা রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য। গল্পটা লেখাই হয়েছে পুরুষ চরিত্রটাকে একজন নির্মম হৃদয়হীন মানুষ হিসাবে মাথায় রেখে। ভালো থাকবেন আর সুচিন্তিত মতামতের জন্য ধন্যবাদ। :)

১১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৩৩

প্রীতম বলেছেন: কিছু মনে করবেননা আপু, আমার কেনো যেনো মনে হচ্ছে লেখাটাই বড় নির্মম। কলম নয় ধারালো ব্লেড কিংবা হায়েনার নখ দিয়ে লেখা। কিছু বলার নেই, আমার অনুভুতি নিয়ে আমি নিজেই আস্থির।
উন্নত লেখার জন্য ধন্যবাদ দেয়াটা সব সময় জরুরি না।
পুনশ্চ: এমন লেখা লিখলে ব্রেকেটে লিখে দিবেন এটা হার্টের রুগিদের জন্য নয়।
ভালো থাকবেন। ভেবে নিলাম আপনার আরো অনেক লেখা পাবো।

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:৪৫

শিখা রহমান বলেছেন: প্রীয়তম আমি মোটেও কিছু মনে করিনি। লেখাটা আসলেই খুব নির্মম। একজন নির্যাতিতার খুব অন্তরঙ্গ কষ্ট ভালো না লাগারই কথা। আপনি কষ্ট পেয়েছেন। লেখাটার উদ্দেশ্যই ছিলো পাঠককে অদিতির কষ্টের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাওয়া। আপনি অনেক সংবেদনশীল একজন মানুষ। ভালো থাকবেন। আশা করছি আপনাদের আরো কিছু লেখা দিতে পারবো। শুভকামনা।

১২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৬:৫০

ম্যাক্সি বলেছেন: দুইজনকে বক্সিং গ্লাভস পরিয়ে রিং এ নামিয়ে দিলেও হত।নাহ থাক তখন দেখা যাবে বেচারি অদিতির ডান চোখও কালো।ব্ল্যাক আইস হয়ে যেত।ওর হাসবেন্ড যে মাত্রার পশু সুযোগ পেলে বউএর দুইচোখ কালো করে তাকে ভূত বানাবে।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৫

শিখা রহমান বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা।

১৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৪২

খায়রুল আহসান বলেছেন: ঐ বদ লোকটার আর কোন নাম খুঁজে পেলেন না? X((

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৮

শিখা রহমান বলেছেন: খায়রুল আহসান নামে কিইবা আসে যায়!! আপনার নামে অনেক ভালো মানুষও আছেন। আর আপনি নিজেও একজন অনুকরনীয় মানুষ।

এই লেখাটা আমার নিজের খুব প্রিয়। এমন করে আমি আর কখনোই লিখতে পারিনি। পড়ার জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো।

১৪| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ২:৩০

মিথী_মারজান বলেছেন: নিখুঁত একটা গল্প!
বর্ণনা, প্লট, ক্যারেক্টারাইজেশন, পাঠকদের জন্য ম্যাসেজ- সব মিলিয়ে তুখোড় একটা গল্প।
অদিতির মাথায় অরণীর বসবাস!
দুইটি নামে দুটি পৃথক সত্ত্বা -জাস্ট অসাধারণ প্রকাশ!
অদিতির প্রতিটা কষ্ট, প্রতিটা অনুভূতি আর সেগুলোর প্রকাশভঙ্গি! - আপনি কিভাবে এমন করে লিখেন আপু!!!
'আহসান কি জানে যে শরীরে ভালোবাসাও থাকে? - আমার মনেহয় প্রতিটা পুরুষই গল্পটা পড়ে এই লাইনটায় এসে একবার বিবেকের কাঠগড়ায় দাঁড়াবে।
আর অদিতির শেষ কথাগুলোতে চোখে পানি চলে এসেছে আপু।

আপনি সত্যিই একজন জারুল ফুলের মেয়ে।
আপনি আমার কাছে সামুর বেস্ট গল্পকার।:)

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:০৩

শিখা রহমান বলেছেন: মিথীমনি তুমি খুব সংবেদনশীল একজন পাঠক আর মানুষ। শব্দের সাথে, লেখার সাথে তোমার আবেগ যেভাবে একসুরে ওঠানামা করে সেটা খুব কম মানুষেরই করে। তুমি অদিতির কষ্ট, অসহায়তা এমন ভাবে অনুভব করেছো দেখে লেখাটা সার্থক মনে হলো।

"আপনি আমার কাছে সামুর বেস্ট গল্পকার।:)" শুধু এই কথাগুলোর জন্যেই তোমার জারুল ফুলের মেয়ে সারাজীবন ভালোবাসায় ডুবে থাকবে।

ভালোবাসা আর ভালোবাসা। ভালো থেকো আমার মিথীমনি!!

১৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:২৮

নীল আকাশ বলেছেন: Click This Link
http://www.asianews.it/news-en/In-Bangladesh,-87-per-cent-of-women-victims-of-domestic-violence-30204.html


আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি আপনার লেখা আর যে সুত্র গুলি দিয়েছি সেগুলি পড়ার পর, এই লেখার উপর আমি কোন মন্তব্য করবো না।

ইসলাম কি বলে দেখুন:-

Abdullah ibn Amr reported: The Messenger of Allah, peace and blessings be upon him, said, “The best of you are the best to their women.” Source: Sunan Ibn Mājah 1978

Iyas ibn Abdullah reported: The Messenger of Allah, peace and blessings be upon him, said, “Do not strike the maidens of Allah,”

Jabir ibn Abdullah reported: The Messenger of Allah, peace and blessings be upon him, said, “Fear Allah regarding women. Verily, you have taken them as a trust from Allah, and intercourse has been made permissible by the word of Allah. Your rights over them are that they do not let anyone in the house you dislike. If they do so, then you may strike them without causing pain. Their rights over you are that you provide for them and clothe them in a reasonable manner.”
Source: Sunan Al-Kubra Al-Bayhaqi 8849

Abu Hurairah (may Allah be pleased with him) reported, “The Messenger of Allah (peace be upon him) said, “A believer must not harm (his) believing woman; if he dislikes one of her characteristics, he will be pleased with another.” (Muslim)

The Prophet (peace be upon him) said, “The believers who show the most perfect faith are those who have the best morals, and the best of you are those who are the best to their wives.” (At-Tirmidhi)

Abu Dawud, Book 11, Number 2137: Narrated Mu'awiyah al-Qushayri:
Mu'awiyah asked: Apostle of Allah, what is the right of the wife of one of us over him? He replied: That you should give her food when you eat, clothe her when you clothe yourself, do not strike her on the face, do not revile her or separate yourself from her except in the house.
[online reference: Click This Link

আল্লাহ আমাদের সবাই কে সঠিক ভাবে চলার তৌফিক দান করুন।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৮

শিখা রহমান বলেছেন: নীল খুঁজে খুঁজে পুরানো লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যটা তথ্যবহুল ও সুচিন্তিত!!

শুভকামনা নিরন্তর!!

১৬| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:০৯

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: অদিতির জন্যে বুকটা কেমন করে উঠলো.........

'আহসান কি জানে যে শরীরে ভালোবাসাও থাকে? - আমার মনেহয় প্রতিটা পুরুষই গল্পটা পড়ে এই লাইনটায় এসে একবার বিবেকের কাঠগড়ায় দাঁড়াবে।
আর অদিতির শেষ কথাগুলোতে চোখে পানি চলে এসেছে আপু।
আপনি সত্যিই একজন জারুল ফুলের মেয়ে।
আপনি আমার কাছে সামুর বেস্ট গল্পকার।


মিথীমনি সত্যিই সব বলে দিয়েছে।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২০

শিখা রহমান বলেছেন: কি করি আজ ভেবে না পাই এই গল্পটা আমার নিজের লেখা গল্পদের মাঝে সবচেয়ে প্রিয়। এই গল্পটা লেখার সময়ে আমি একটা ঘোরের মাঝে চলে গিয়েছিলাম। অন্য আর কোন গল্প লেখার সময়েই এমনটা হয়নি।

মিথীমনি আর তুমি আমাকে আর আমার লেখাকে খুব ভালোবাসো বলেই হয়তো বুঝতে পেরেছো অদিতির কষ্ট আর গল্পের বক্তব্য।

ভালো থেকো ছেলে আর এমনটাই ভালোবেসো আমার লেখাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.