নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবিতা প্রেমী; একটু এলোমেলো; উড়নচণ্ডী; আর বই ভালবাসি। শব্দ নিয়ে খেলা আমার বড্ড প্রিয়। গল্প-কবিতা-মুক্ত গদ্য সব লিখতেই ভালো লাগে। \"কেননা লেখার চেয়ে ভালো ফক্কিকারি কিছু জানা নেই আর।\"

শিখা রহমান

পুরনো ইমেজারির ব্যবসা করি। চিত্রকল্প সস্তায় বানাই। টান টান রিমেকশিল্প, ওপরে ঝকঝক করছে স্কাই।.........লোকে পড়ে ভাবে এ তো নতুন, আনকোরা কৌটো। কিন্তু সেই একই, সেই একই বন্দিপ্রাণ ছটফট ভ্রমর....

শিখা রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

রহস্যময় জলখাবার

২১ শে মার্চ, ২০১৮ ভোর ৫:৪৯



১.

- দ্যাখো দ্যাখো পাহাড়ের ওপরে কি সুন্দর সব গরু ছাগল চরে বেড়াচ্ছে!! একটু আগেতো অনেকগুলো ঘোড়াও দেখলাম।
- হুম...ইশশ্ এই ছাগলগুলিকে রোষ্ট করে খেতে না জানি কতো মজা!!!
রুপা হতাশ চোখে পাশে গাড়ী চালাতে থাকা তার মানুষটার দিকে তাকালো। আশ্চর্য!! খাওয়া দাওয়া ছাড়া কি সুমনের আর কোন চিন্তা নেই?

গাড়ী ছুটছে ক্যালিফোর্নিয়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিখ্যাত সর্পিল হাইওয়ে ওয়ান ধরে। গন্তব্য এলিফ্যান্ট সিল ভিউপয়েন্ট; সমুদ্র উপকূল ঘেঁষা ওদের ছোট্ট শহর থেকে প্রায় তিরিশ মাইল উত্তরে। রুপার বিয়ের এক বছর হয়ে এলো। আজ শনিবার; সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে দুজনে এদিকে সেদিকে বেড়াতে বের হয়। ক্যালিফোর্নিয়াতে সুমন প্রায় পাঁচ বছর ধরে আছে; মাস্টার্স ডিগ্রী আর চাকরী এই অঙ্গরাজ্যেই। অনেক কিছুই ওর দেখা; কিন্ত রুপার মুগ্ধতা এখনো কাটেনি।

চারপাশে সবুজের আধিপত্য; দিগন্ত রেখার ওপরে ঝকঝকে নীল আকাশ। পেঁজা পেঁজা শাদা মেঘ; যেন কোথাও কার্পাসের ফল ফেটেছে। নীলের বুকে সবুজ ঢেউতোলা পাহাড়ের সারি। কোথাও পাহাড়েরা একটু পাথুরে; কোথাও পাহাড়ের গায়ে সবুজ গাঢ় পোলকা ডট। হালকা সবুজ, কলাপাতা সবুজ, পতাকা সবুজ, কালচে সবুজ; পৃথিবীর এই টুকরো তৈরীর সময় নির্ঘাত ঈশ্বরের রঙের ঝুলিতে সবুজ বাদে বাকী সব রঙ শেষ হয়ে গিয়েছিলো। রুপার ইচ্ছে করছে সবুজ পাহাড়ের গায়ে সারি সারি কৃষ্ণচূড়া ফোটাতে; দিগন্ত জুড়ে আঁকা হতো বাংলাদেশের পতাকা। উহহহ্ কি দারুন লাগতো!!

উচ্ছসিত হয়ে বলতে গিয়েও রুপা কথাটা গিলে ফেললো। দেখা যাবে এত্তো সুন্দর ভাবনাটার ফর্দাফাই অবস্থা। সুমন হয়তো বলবে “কৃষ্ণচূড়া না...তার চেয়ে বরং লালশাক লাগাও...মাঝে মাঝে তুলে খাওয়া যাবে।“

২.

বড্ড খাওয়া পাগল সুমন; খাবার যে অনেক পরিমানে খায় তা নয় তবে খাওয়ার ব্যাপারে খুবই শৌখিন। যে রুপা বিয়ের আগে তেমন রান্নাই করেনি আমেরিকাতে এসে একবছরের মধ্যেই অনেক রকম রান্না শিখে নিয়েছে; শুধু সুমনের জন্যই শিখেছে। নতুন কিছু বা পছন্দের কোন পদ রান্না করে টেবিলে দিলে মানুষটা কি যে খুশী হয়!! চোখে মুখে হাজার ওয়াটের বাতি জ্বলে ওঠে। রান্না যেমনই হোক খুব তৃপ্তি করে খায়। খাওয়ার সময় পাশে বসে চুপচাপ দেখতে রুপার বড় ভালো লাগে। খাওয়া শেষ করে মাঝে মাঝে বলে “ওপরে আল্লাহ আর নীচে রুপা আমাকে খাওয়াইলো!!!” কি যে ফাজিল!!

বাইরে ধাবমান সুন্দরের দিকে চোখ রেখে রুপা ভাবছিলো সম্পর্কের শুরুর কথা। সুমনতো তার খাদ্যপ্রীতি লুকানোর কোনরকম চেষ্টাই করেনি। বাসর রাতে ঘরে ঢুকে শেরওয়ানীর বোতাম খুলতে খুলতে প্রথম কথাই হলো “তোমাদের বাবুর্চির নাম কি বলতো?” রুপা লজ্জা ভুলে অবাক হয়ে চোখ তুলে তাকাতেই “না মানে এতো ভালো কাচ্চি বিরিয়ানী অনেক দিন খাইনি...কাচ্চি বিরিয়ানী কিন্তু সবাই ভালো পারে না। এই বিরিয়ানী রান্না একটা আর্ট।“

বিদেশে থাকে বলে রুপাকে দেখার দু’সপ্তাহের মধ্যেই বিয়ে হয়ে গিয়েছিলো। বিয়ে ঠিক হবার পরে একবার মাত্র শুধু ওরা দুজনে দেখা করেছিলো। “আপনার নামটা আমার খুব ভালো লেগেছে।“ রুপার মুখ একটু লাল “বাবা রেখেছেন...তবে এটাতো ডাকনাম।“ “ভালো নাম...শুনলেই পদ্মার রুপালী ইলিশের কথা মনে পড়ে...সর্ষে ইলিশ আমার খুব প্রিয়!!!” এখন বাড়াবাড়ি মনে হলেও তখন সহজ সরল মানুষটাকে বেশ লেগেছিলো।

এলিফ্যান্ট সিল ভিউপয়েন্টে খাড়া সমুদ্রপাড়ে কাঠের আর কাঁটাতারের বেড়া; ত্রিশ চল্লিশ ফিট ওপর থেকে দেখা যাচ্ছে সারি সারি সিল। মনে হচ্ছে অনেকগুলো বিশাল সিমেন্ট রঙ্গা বস্তা পড়ে আছে সমুদ্র উপকুলে। খুব ধীরেসুস্থে হেলেদুলে কয়েকজন আগানোর চেষ্টা করছে।

- আহারে!!! দেখেছো বিশাল শরীর নিয়ে সীলগুলোর কি কষ্ট হচ্ছে!!
- ঠিক বলেছো...ব্যাটাদের কি সাইজ দেখলে...একটা রান্না করলে পুরা পাড়া খাওয়ানো যাবে।

আবারো খাওয়া! রুপার ইচ্ছা করছে বেড়ার ওপরে উঠে সমুদ্রে ঝাঁপ দেয়।

৩.

আজ রবিবার। মানুষটা খেতে ভালোবাসে বলে ভোরে উঠে রুপা রান্না শুরু করেছে। দুপুরে টেবিলে ভুনা খিচুড়ি, কাঁচামরিচ পেয়াজ দিয়ে সরিষার তেলে মাখা আলু ভর্তা, ইলিশ মাছের কড়কড়া ভাজি, চাক চাক বেগুন ভাজা, আর চ্যাপা শুটকির চোখে জল আনা প্রচন্ড ঝাল ভর্তা। সব সুমনের খুব পছন্দের খাবার; দেখেই রুপাকে জড়িয়ে ধরলো “আমার লক্ষী বউটা...তুমি এত্তো ভালো কেন বলতো?” ঠোঁটের ওপরে ঠোঁট চেপে বসতেই রুপা ছাড়িয়ে নিলো “খেতে বসতো...সব ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে...”

- আচ্ছা দাঁড়াও খেয়ে নেই... তুমিতো আছোই খাবার পরে মিষ্টিমুখ করার জন্য...
- ধ্যাত!! খালি আজেবাজে কথা...খাওতো...

- একটা কৌতুক বলি শোন...এক বামুন গিয়েছে বিয়ে বাড়ীতে। খেতে খেতে শুয়ে পড়ে হাঁসফাঁস করছে। বোঝাই গেল, আর খেতে পারছে না! একজন বললেন ‘ঠাকুরমশাই! একটা হজমের বড়ি দি! কি বলেন?’ অতিকষ্টে উত্তর এলো ‘হজমের বড়ি যদি খাওয়ার জায়গা থাকতো হে, তা হলে তার বদলে আমি আরও ১০ টা পান্তুয়া খেতাম।‘ শুনেছ এটা আগে?

- শুনিনি…এই সব ফালতু খাওয়ার জোক্স আমার জানা নেই…
- কাকে ফালতু বলছো? এটা মুজতবা আলীর লেখা; খুব খাদ্যরসিক ছিলেন। একবার চাঁদনী রাতে তাজমহল না দেখতে গিয়ে তিনি রেস্তোঁরায় বসে রামপাখীর মাংস খাচ্ছিলেন। জিজ্ঞেস করাতে বলেছিলেন ‘বাপু হে! ওই তাজমহল, কড়কড়ায়তে-মড়মড়ায়তে করে খাওয়া যায় না। তাই যাই নি!’

রুপা জিজ্ঞাসা করবে না করবে না ভেবেও বলে ফেললো “রামপাখীটা কি?” সুমন মাছের কাঁটা বাছতে বাছতে বিজয়ীর হাসি দিলো “রামপাখী হলো মুরগী…” সুমনের এখন কথার ফ্লো চলে এসেছে “ইলিশ মাছ ভাজা দাওতো আরেক পিস। শোনো মাছ তিন প্রকার। উত্তম, মধ্যম ও অধম। উত্তম মৎস্য হচ্ছে প্রায় কাঁটাবিহীন। মধ্যম মৎস্যে কিছু কাঁটা থাকে। আর অধম মৎস্য হলো প্রচুর কন্টক হইলেও উত্তম রূপে ভর্জিত হইলে অতীব উপাদেয়। মানেটা হলো, কাঁটা মাছ কড়কড়ে করে ভেজে খেতে পারো! ইলিশ হলো অধম মৎস্য।”

"আচ্ছা তোমার কি খাবার ছাড়া অন্য কোন বিষয়ে গল্প নেই?” রুপার স্বরে একটু উষ্মা “অন্য কথা বলো...অফিসে কি হলো?”

- সেদিন রবার্ট জিজ্ঞাসা করছিলো উইকেন্ড কেমন গেলো। বললাম যে আমাদের বাংলাদেশিদের দাওয়াত পার্টি ছিলো। ব্যাটা বলে কি " 'তোমাদের তো দেখি প্রায়ই উইকেন্ডে পার্টি থাকে। এইসব পার্টিতে তোমরা কি একটিভিটিজ করো?' আমিও একটু লোভ লাগালাম ‘আমরা মজার মজার সব বাংলাদেশী খাবার রান্না করে খাই।’ সে বলে আর কি করি আমরা...ড্যান্সিং? ক্যারিওকি? জানায়ে দিলাম ‘We eat a lot of food and then we just talk more about foods.’ হা হা হা!!!

খাওয়া শেষ; রুপা রাগ সামলাতে না পেরে উঠে গেলো “তোমার জন্য মিষ্টি কিছু রান্না করিনি আজ।”

- আরে নো প্রবলেম!!! বাসায় কি গুড়া দুধ আছে?
- না... কন্ডেন্সড মিল্ক আছে? কেন বলতো? রুপা একটু অবাক।
- ওতেও চলবে। ছোটবেলায় গুঁড়া দুধের সাথে অনেক চিনি মিশিয়ে একটু পানি দিয়ে ঘন করে খেতাম....এখনও যখনি খাই মনে মনে বলি ‘ওরে দুধ গোলা রে! তুঁহু মম শ্যাম সমান!!’
- তোমার কাছে তো দুধ গোলাই অমৃত মনে হবে। তুমি কি আর রাধা কৃষ্ণর প্রেম বুঝবে?

রুপাকে রাগলে এতো সুন্দর দেখায়। ঠোঁট ফুলে যায়; একটু গোল মুখের গাল দুটো আরো ফোলে; রাগে চোখ ছোট করে ভুরু কুঁচকে তাকায়। সুমনের রুপার রাগ দেখে মজা লাগছে; ইচ্ছা করছে ফোলা গাল দুটো টিপে দিতে। আরেকটু রাগানোর জন্য সে গান ধরে “লুচির কোলে পড়ল চিনি/ যেন শ্যামের কোলে সৌদামিনী!”

৪.

রবিবারটা বেশ ঢিলাঢালা গেলো। এই উইকেন্ডে কোন দাওয়াত ছিলো না। বিকেল নামতে রুপা টিভি ছেড়ে বসলো। বাংলা চ্যানেলে কি একটা নাটক হচ্ছে...নায়কতো ফুল হাতে প্রেমে হাবুডুবু...কঠিন সব ভালোবাসার বানী ছাড়ছে। রুপা মনে মনে বলল “ব্যাটা!! বিয়ের পরেতো বলবি কিসের গোলাপ ফুল...কুমড়াফুল ভাজি করো।“ দুপুরের রাজকীয় খাওয়ার পরে সুমন একটু শুয়েছিলো। টিভির আওয়াজে গড়াগড়ি ছেড়ে রুপার পাশে এসে বসলো। নাটকে বেশ জটিল অবস্থা এখন...নায়ক খাবার টেবিলে তার চশমা পড়া রাগি মাকে প্রেমিকার কথা বলার চেষ্টা করছে।

- আরে দ্যাখো কি বড় বড় কই মাছ!!! কতোদিন কই মাছ খাই না...এই কইগুলা সাইজে এতো বড়...আমার মনে হয় এইগুলো থাইল্যান্ডের কইমাছ? ঠিক না?

রুপার ইচ্ছা করছে ডাক ছেড়ে কাঁদে “নাটকের এই ক্রিটিক্যাল দৃশ্যে কথা না শুনে তোমার চোখ গেলো টেবিলের কই মাছের দিকে?”
গলা চড়ে গেছে বেশ; বোঝাই যাচ্ছে রুপা ভালো রেগেছে। সুমন পুরো চুপ। এখন কথা বললে খুব ঝগড়া হবে। রাতের খাওয়াও চুপচাপ হলো। সুমন টুকটাক কথা চালাতে চাইলেও রুপা কথা আগায়নি; গম্ভীরমুখে শুতে এলো। সুমন শেষ চেষ্টা করলো “তুমি না হাসলে মনে হয় পুরো বাসার ওপরে পাথর চেপে বসে আছে...একটু হাসো না...আমি দুঃখিত...প্লিজ প্লিজ হাসো!!!” “কাল সকালেই ঠিক হয়ে যাবে…এখন ঘুমাই প্লিজ!”

৫.

বাচ্চাটা একদম একটা পুতুল; টমেটোর মতো লাল লাল গাল; ঝকঝকে নীল পুতির মতো চোখ। বার বার চেয়ারে উঠছে আর নামছে। অনেক রাত, প্রায় রাত তিনটা; বাচ্চাটার ঘুম নেই কেন? রুপা জুবুথুবু হয়ে হাসপাতালের এমারজেন্সি এরিয়াতে বসে আছে। খুব টেনশন হচ্ছে; সুমন ঠিক আছে তো? কাল রাতে কেন যে এতো রাগারাগি করলো রুপা?

বুকে ব্যথা হচ্ছে বলে সুমন রাত দুটোর দিকে রুপাকে ডেকে তুলেছে। ছোট শহরে হাসপাতাল মিনিট পনেরোর ড্রাইভের মধ্যেই; গভীর রাতে আজ তেমন ভিড়ও নেই। ভাগ্যিস রুপা মাস তিনেক আগে ড্রাইভিং লাইসেন্সটা নিয়েছিলো। এসে বুকে ব্যথা বলা মাত্র হাসপাতালে ছোটাছুটি; সুমনকে চলমান বেডে শুইয়ে একগাদি যন্ত্রপাতি লাগিয়ে ভেতরে নিয়ে গেলো।

বাচ্চাটা খেলা থামিয়ে রুপার দিকে তাকিয়ে আছে; চোখাচোখি হতেই হাসলো। রুপা হাত নেড়ে হাসি দিলো। রুপার কি কখনো এমন একটা বাবু হবে? যদি সুমনের কিছু হয়...নাহ্ ও ভাবতেই পারছে না; চোখ দিয়ে টপ টপ করে জল ঝরছে। বাচ্চাটা ভয় পেয়েছে; ঠোঁট বেকে যাচ্ছে। রুপা তাড়াতাড়ি চোখের জল মুছে ফেললো।

- তোমার হাসব্যান্ডের হার্ট অক্ষত আছে...এখনো তোমার জন্যই ধুকপুক করছে ইয়াং লেডি...চিয়ার আপ...এতো ভয় পেয়েছো কেন? খুবই রসিক একজন বয়স্ক ডাক্তার “ইসিজি একদম নরমাল। He has the heart of a horse.”
- তাহলে বুকে ব্যথা হলো কেন? ও যে বলছিলো অনেক ব্যথা।
- Acidity...শুনলাম তোমরা নাকি ডিনারে অনেক খাওয়া দাওয়া করেছো…অনেক মজার সব স্পাইসি খাবার!! সপ্তাহ খানেক আর এইসব ভারী মশলাদার খাবার খেতে দিও না। আশা করছি এই সময়ের মধ্যেই ও সুস্থবোধ করবে।

৬.

বাসায় ফেরার পরে সুমন একটু চিন্তায় ছিলো। রুপা কি খাওয়া নিয়ে বকাবকি করবে? এ ব্যাপারটা নিয়ে রুপা অবশ্য একদম চুপ; দেশে বাবা মা বা এখানে বন্ধুদেরও বলেনি। সপ্তাহ গড়িয়ে আবারো আরেকটা উইকেন্ড; এ কদিন ডাক্তারের কথা মতো খাওয়ার মেনু খুব সাদামাটা। আর সুমনও ভয়ে কোন পছন্দের রান্নার আবদার করেনি।

সপ্তাহান্তে শনিবার সকালে নাস্তার টেবিলে ভুনা গরুর ঝাল ঝাল মাংস, চালের আটার রুটি আর সবজি। গরুর মাংস সুমনের সবচেয়ে প্রিয়। তুলে দিতে নিতেই “রুপা আজ গরু খেতে ইচ্ছা করছে না…সবজি দিয়ে রুটি খাই?” রুপা আসলেই অবাক “কেন? তুমি যেভাবে পছন্দ করো সেভাবেইতো রেঁধেছি…খাবে না কেন? একটু খাও।“ “আচ্ছা এক টুকরা দাও…তুমি কষ্ট করে রেধেছো।“ রুপার স্বরে উদ্বিগ্নতা “শরীর খারাপ নাতো…এসিডিটি?” “না না ঠিক আছি…বসতো…ছুটির দিনে রান্না করে এতো সময় নষ্ট কর যে কেন?”

সুমনের শরীরটা আজ মনে হয় আসলেই ভালো নেই; বের হতে চাইলো না। দুশ্চিন্তায় রুপা একাই তাড়াহুড়ো করে গ্রোসারী শপিং সারলো। বাসায় ফিরে আনাজপাতি তুলতে গিয়ে হঠাৎই রান্নাঘরে কাউন্টারের ওপরে গোলাপ ফুলের উঁকি। একটাই গোলাপ কলি; রক্তের মতো তাজা লাল; পাপড়ি গুলো এখনো পরষ্পরের খুব অন্তরঙ্গ। শ্যামলা কান্ড জলের স্পর্শ পেলে এই পাপড়িরা ডানা মেলবে; ঘনিষ্ঠতা আড়মোড়া ভেঙ্গে সুবাস ছড়াবে। সাথে শঙ্খশাদা কার্ড। হাতের ব্যাগগুলো নামিয়ে রুপা কার্ড খুললো।

“শোন আমার রুপা নামের সোনার মেয়ে!!

অনেকদিন বিদেশে একা একা থেকেছি। যখনি মন খারাপ হতো খেলে ভালো লাগতো। সেই থেকে খাবারের প্রতি ঠিক ভালোবাসা নয়, আসক্তি।

তবে ভেবে দেখলাম এখনতো আর আমি একা নই। খাবারের কাছে মন ভালো করার জন্য আশ্রয় নিতে হবে কেন? তুমি আছো না আমার রহস্যময় জলখাবার!!

রহস্যময় জলখাবার, তোমাকে আমি খেতেই পারছি না।
তোমাকে আমি...তোমাকে আমি, আচ্ছা করে সাপটে নিয়ে তুলে ঠোঁটের কাছে রাখতে চাই,
জলখাবার, জলখাবার ভুলে
বিষম খেয়ে মরেছি আমি সেই দিনই তো, যখন তোমার হলাম।
রহস্যময় জলখাবার, তোমার দিকে যখনই মন দিলাম
তুমি দিয়েছ স্বপ্ন, যাদু, তুমি দিয়েছ বানানো সব গল্প...”

লেপটে যাচ্ছে ক্ষুদে ক্ষুদে লাল অক্ষরে বন্দী ভালোবাসা। বড় বড় ফোঁটায় চোখের নোনা জল রক্তিম ভালোবাসা ছড়াচ্ছে শাদা কাগজে।

শিখা (১৮ই মার্চ, ২০১৬)

মন্তব্য ৫৫ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৫৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মার্চ, ২০১৮ ভোর ৫:৫৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর আর সাবলীল। পড়ে ভালো লাগলো।

২১ শে মার্চ, ২০১৮ ভোর ৬:০৬

শিখা রহমান বলেছেন: মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম। পড়ার জন্য আর মন ভালো, মন আলো মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

ঘরের মানুষের অনুপ্রেরণায় যে গল্পটা লেখা সেটা যখন ঘরের চৌহদ্দি পেরিয়ে বাইরের পাঠকেরও ভালো লাগে তখন লেখা সার্থক মনে হয়।

ভালো থাকবেন। সাথে থাকবেন। শুভকামনা।

২| ২১ শে মার্চ, ২০১৮ ভোর ৫:৫৫

শিখা রহমান বলেছেন: মলাসইলমুইনা আপনার জন্য গল্প খুঁজতে গিয়ে মনে পড়লো যে জাহিদ অনিকের রান্না নিয়ে একটা লেখা পড়ে বলেছিলাম যে এই গল্পটা পোষ্ট করবো। কাজের চাপে ভুলেই গিয়েছিলাম।

এই গল্পটা আপনাদের দুজনের জন্য দিলাম, জাহিদ অনিক আর মলাসইলমুইনা। গল্পের অনুপ্রেরণা আমার একুশ বছরের রুমমেট =p~

৩| ২১ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:১৪

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো।

২১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:০৫

শিখা রহমান বলেছেন: জুনায়েদ বি রাহমান আমার ব্লগে স্বাগতম। গল্পটা পড়ার জন্য এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

ভালো থাকবেন। শুভকামনা।

৪| ২১ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৫১

কবীর হুমায়ূন বলেছেন: অনেক সুন্দর হয়েছে। জীবনের বাঁকে যে সকল ঘটনাগুলো ঘটে; তাই যেন তুলির আঁচরে ছবি করে তুলে এনেছেন এ গল্পে। ভালো লাগা। শুভকামনা।

২১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:০৮

শিখা রহমান বলেছেন: কবীর হুমায়ূন আপনি আমার ব্লগে প্রথম এসেছেন। ধন্যবাদ ও স্বাগতম। "জীবনের বাঁকে যে সকল ঘটনাগুলো ঘটে; তাই যেন তুলির আঁচরে ছবি করে তুলে এনেছেন এ গল্পে।" খুব সুন্দর করে বলেছেন। আর গল্পটার অনেককিছু আসলেই জীবন থেকে নেয়া।

আপনিও অনেক ভালো থাকবেন। শুভকামনা আর আশাকরি সময় হলে আমার লেখা পড়বেন।

৫| ২১ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:০৬

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: শুভ সকাল, শিখা আপা!

আপনার "একজন দ্বিচারিণীর গল্প" ও "রমণীয় তকমা" পড়লাম। ভাল লাগল। লিখতে থাকুন।

আজকের গল্পটা, একটু বড় হয়েছে যে?

২১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:১৭

শিখা রহমান বলেছেন: মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল আপনাকেও শুভদুপুর :) ধন্যবাদ গল্প দুটো পড়ার জন্য। ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে আর আমেরিকা নিয়ে লেখা দিলে আপনাকে জানাবো।

আমি কিন্তু বেশ বড় বড় গল্পই লিখি। :) আজকের গল্পটাতো বেশী বড় না। আপনি বরং ছোট গল্প গুলোই পড়বেন।

অনেক ধন্যবাদ আর শুভকামনা। সাথে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা।

৬| ২১ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৪৪

সামিয়া বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম পড়ে সময় করে পড়ে নেব। হাউ আর ইউ সিস??

২১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:২৩

শিখা রহমান বলেছেন: সামিয়া অনেক ধন্যবাদ। সময় পেলে পড়ে জানাবেন কেমন লাগলো। আমি অবশ্য এই ধরনের মজার গল্প কমই লিখি, একটু বৈচিত্র্য আনার জন্য ব্লগে দিলাম।

আমি ভালো আছি সিস!! একটু ব্যস্ত সময় যাচ্ছে। আপনি কেমন আছেন? 'সিস' শুনে ভালো লাগলো। সাউথ থেকে চলে আসার পরে আমেরিকার এই পশ্চিম উপকুলে আমাকে অনেকদিন কেউ 'সিস' বলেনি।

আপনার বই পাঠকের কাছে কেমন লাগলো? আবারো অভিনন্দন। আমি প্রথমে একটূ কনফিউজড হয়ে গিয়েছিলাম। আপনার নাম কি আগে ব্লগে 'ইতি সামিয়া' ছিলো?

ভালো থাকবেন। শুভকামনা। আর লিখতে থাকুন। মন্তব্য করা হয় না। তবে আমি আপনার লেখার নীরব পাঠক ও ভক্ত। ভালোবাসা :)

৭| ২১ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:০৫

রাফা বলেছেন: গল্পটা যেমন তেমন হলেও ,ছবিটা গল্পের সঙ্গে সংগতিপুর্ণ হয়েছে।রুপাকে সুমন মনে হয় এমনি দেখে....হা..হা..হা...হি...হি...হি।

২১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:২৫

শিখা রহমান বলেছেন: রাফা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা।

৮| ২১ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৪৭

ক্লে ডল বলেছেন: দারুণ মিষ্টি গল্প! এতটাই মিষ্টি যে গল্পটা যদি খেয়ে ফেলা হয় তবে গালে স্বাদ লেগে থাকবে বহুদিন! :D

২১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৩১

শিখা রহমান বলেছেন: ক্লে ডল আপনার মন্তব্যটাও কিন্তু খুব মিষ্টি হয়েছে :) মিষ্টি মধুর গল্প খুব কমই লেখা হয়। ব্লগে একটু বৈচিত্র্য আনার জন্য দিলাম।

পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনি সম্ভবত আমার ব্লগে প্রথম এলেন। ধন্যবাদ ও স্বাগতম। আমি অবশ্য আপনার বেশ কয়েকটা লেখা পড়েছি। আপনার লেখাও কোথাও একটা বিষন্নতা আছে, যা আমাকে টানে।

ভালো থাকবেন। শুভকামনা ও "মিষ্টি যেন গুড়" মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা।

৯| ২১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:০৭

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: গল্প ভালো লিখেছেন।

২১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৩২

শিখা রহমান বলেছেন: শাহরিয়ার কবীর ধন্যবাদ পড়ার জন্য। শুভকামনা :)

১০| ২১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল সুন্দর।

২২ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:০১

শিখা রহমান বলেছেন: রাজীব নুর আপনার মন্তব্যগুলো আর আপনিও কিন্তু "সহজ সরল সুন্দর।" ভালো থাকবেন। শুভকামনা।

১১| ২১ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:১৪

রোদ্দূর মিছিল বলেছেন: সাবলীল লেখায় এরকম মিষ্টি একটা গল্প পড়তে কার না ভালো লাগে। ভালো লেখার জয় হোক। পঞ্চম লাইকটা আমার তরফ থেকে।

২২ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:০৪

শিখা রহমান বলেছেন: রোদ্দূর মিছিল আমার ব্লগে স্বাগতম। আমি আপনার একটা দুটো লেখা পড়েছি। বেশ ভালো লেগেছে। "ভালো লেখার জয় হোক।" আসলেই!!

লাইকের জন্য আর মিষ্টি মন্তব্যটার জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

১২| ২১ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:০৪

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: সব প্রশংসা আগেই করা শেষ তাই নতুন করে আর কী বলব? আপনার লেখায় পাঠক ধরে রাখার অসাধারণ ক্ষমতা আছে। লিখতে থাকুন।

২২ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:০৯

শিখা রহমান বলেছেন: সম্রাট ইজ বেস্ট কবিদের জন্য আলাদা বাক্স খুলেছি। :) প্রশংসাসূচক হোক বা সমালোচনাই হোক, মন্তব্য গুলো আলাদা করে জমিয়ে রাখবো। তাই মন্তব্য করতে দ্বিধা করবেন না প্রিয় কবি।

অনুপ্রেরণার জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা। শুভকামনা। ভালো থাকবেন সবসময়।

১৩| ২১ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭

সামিয়া বলেছেন: গল্প মজার ছিল, বেশ ভালো লেগেছে, আমার এক বন্ধু আছে ও এরকম সব কিছুতে খাবার কথা নিয়ে আসে, এফ বি তে যা ই পোস্ট দেয় যে কোন ছবি দেয় লিখে ফিলিং হাংরি।

আমার বইমেলায় মাত্র দুইবার যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে , ভালো ফিডব্যাক পেয়েছি, অচেনা অনেক পাঠক পেয়েছি যারা মেইল করে ইনবক্স করে বই নিয়ে ছবি তুলে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। তবে পরিচিতরা তেমন ফিডব্যাক দেয়নি, বিশেষ করে ব্লগারগন। যাক আমি তো এর সিকি ভাগ ও আশা করিনি।

আমি লেখালিখির পাশাপাশি ফটোগ্রাফি করি তখন পিচ্চি ছিলাম এফ বি তেমন একটা জনপ্রিয় না। তখন বিদেশি ফটোগ্রাফি সাইড গুলোতে আমি অংশ নিতাম, সেখান থেকে বিভিন্ন দেশের ৩০/৪০ জন আছেন যারা আমাকে অনেক ভালবাসেন এবং তারা আমার ফামিলির মত আমি বিশ্বাস করি, প্রায় একযুগের ও বেশি তাদের সাথে সম্পর্ক। ইউ এস এ এর এক সিস আমাকে প্রায়ই গভীর আবেগ দিয়ে লেটার লিখতো, একদিন গভীর আবেগে লিখলেন তুমি কি জানো তুমি পৃথিবীর সব থেকে নিষ্পাপ চেহারার মেয়ে আর আমার ৬ বছর বয়সের ডেলমারিস দেখতে তোমার মত। তার স্বামী ব্ল্যাক সে হোয়াইট দুঞ্জন মিলে মেয়ের চেহারা হয়েছে বাংলাদেশি বাংলাদেশি, ডেলমারিস সেই থেকে আমাকে গড মা ডাকে। যারা অল্প বয়স তারা আমায় সিস বলেই ডাকে বেশি বড় যারা তারা ডাকে সামি। হুম ব্লগে আগে ইতি সামিয়া ছিল।

যাই হোক অনেক গল্পের ঝুলি নিয়ে বসেছি প্লিজ ডোন্ট মাইন্ড। আই লাইক ইউর অ্যাটিটিউড অ্যান্ড দি ওয়ে ইউ রাইট।

২২ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:২৩

শিখা রহমান বলেছেন: সামিয়া এই গল্পের কথোপকথনের অনেকটাই জীবন থেকে নেয়া। অবশ্যই কাকতালীয় কিন্তু সুমনের সাথে আমার একুশ বছরের পুরোনো রুমমেটের অনেক মিল খুঁজলেই পাওয়া যাবে। =p~

আমি ব্লগে খুব নিয়মিত নই। তবে মাঝে মাঝে এলে আপনার লেখা পড়া হয়। আপনার লেখা ও দৃষ্টিভঙ্গীও আমার পছন্দ। আর আপনার গল্প শুনতে ভালো লাগলো। মাইন্ড করবো কেন বলুনতো? যে গল্পটা বললেন সেটাতো খুবই ইন্টারেস্টিং। আপনাকে মনে হয় আমার 'সামি' বলেই ডাকতে হবে। গল্প শুনে মনে হলো আপনি আমার ছোটই হবেন।

লেখালেখিতো মানুষের মন ছোঁয়ার জন্য, মানুষের সাথে যোগসূত্র তৈরীর জন্য। আপনার গল্প শুনে, আপনার সাথে পরিচিত হয়ে ভালো লাগলো। ওই যে বললেন "আই লাইক ইউর অ্যাটিটিউড অ্যান্ড দি ওয়ে ইউ রাইট।" --- এই কথাটা আমার অনেক অনেক দিন মনে থাকবে।

অনেক ধন্যবাদ। আশাকরি আবার কখনো কথা হবে। আপনার গল্পের ঝুলি খুলে বসবেন। ভালো থাকবেন সামি। ভালোবাসা আর শুভকামনা।

১৪| ২১ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৫২

অহন_৮০ বলেছেন: ভালো লেগেছে...

২২ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:২৪

শিখা রহমান বলেছেন: অহন_৮০ আমার ব্লগে স্বাগতম। ধন্যবাদ পড়ার জন্য। মন্তব্যটা পেয়ে আমারও ভালো লাগলো। শুভকামনা।

১৫| ২১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:২৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: শিখা রহমান ,




কুড়মুড় , কুড়মুড় করে চিবিয়ে খাওয়ার মতো চানাচুর লেখা । "রহস্যময় জলখাবার " শিরোনামের অসম্ভব একটা শানে-নযুল গল্পের শেষে- " তোমাকে আমি খেতেই পারছি না ............."।

বিশ্ব কবি দিবসের শুভেচ্ছা ।

২২ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৪৯

শিখা রহমান বলেছেন: আহমেদ জী এস আমার শহরে বৃষ্টিভেজা দিনে আপনার মন্তব্যটাও কিন্তু কুড়মুড়ে চানাচুরের স্বাদ এনে দিলো। :)

অনেক ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্য পেলে মন ভালো হয়ে যায়। শুভকামনা ও কৃতজ্ঞতা পাশে থাকার জন্য। আপনাকেও কবিতা দিবসের শুভেচ্ছা প্রিয় কবিবর।

১৬| ২১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:০২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দিলেনতো ডায়াবেটস ঝুকি বাঁড়িয়ে ;)

আহা রহস্যময় জলখাবার! ওয়াহ!
খাবার ভালবাসা আর ভালবাসার খাবার ;) দুজনে দুজনার =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

ভাল লাগা রইল
++++++++++

২২ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৫৩

শিখা রহমান বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু ঝুঁকি না নিলে জীবন পানসে হয়ে যায়। ঝুঁকি না নিলে ভালোবাসাও যায় নাকি বলুন? :) ঝুঁকি নিয়ে গল্পটা পড়ার জন্য এত্তো ধন্যবাদ।

"খাবার ভালবাসা আর ভালবাসার খাবার ;) দুজনে দুজনার =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ " একদম!! এই গল্প জীবন থেকে নেয়া। :)

ভালো থাকবেন। মজার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা।

১৭| ২১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:২৭

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: গল্পের শেষ টা ভীষন ভালো লাগা ছড়িয়ে দিলো ।
মিষ্টি প্রেমের গল্প ।
শুরুতে আমারও বিরক্ত লাগছিল কি খারাপ বর খালি খাওয়ার গল্প করে ভেবে ।

২২ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৫৬

শিখা রহমান বলেছেন: নূর-ই-হাফসা ঠিক ধরেছেন। মিষ্টি প্রেমের গল্প। এমন মিষ্টি মধুর দাম্পত্যের গল্প আমার খুব বেশী লেখা হয় না। বৈচিত্র্য আনার জন্য ব্লগে দিয়েছিলাম। আপনাদের সবার এতো ভালো লেগেছে দেখে লেখাটা সার্থক মনে হলো।

ভালো থাকবেন। শুভকামনা আর ভালোবাসা।

১৮| ২১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৪৬

আখেনাটেন বলেছেন: মিষ্টি একটি গল্প গেঁথেছেন যা পড়ে একটি শব্দই বের হল 'অসাধারণ'। ভাষার কারুকাজও চমৎকার। দেড় কেজি ওজনের ইলিশ মাছের পেটি খাওয়ার মতোই স্বাদটা পেলুম গল্প পড়ে।

রূপালী শুভেচ্ছা রইল গল্পের জন্য।

২৩ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:০০

শিখা রহমান বলেছেন: আখেনাটেন অনেকদিন পরে লেখায় আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো। "দেড় কেজি ওজনের ইলিশ মাছের পেটি খাওয়ার মতোই স্বাদটা পেলুম গল্প পড়ে।"--- মন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে আপনিও বেশ ভোজনরসিক। :)

ভালো থাকবেন। শুভকামনা।

১৯| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৩২

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: গল্পটি চমৎকার। অনেকটা ব্যাস্ততার মাঝেও গল্পটি পড়ার আগ্রহ কমেনি মানেই গল্পটি অনেক সুন্দর।

২৩ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:০৩

শিখা রহমান বলেছেন: মাহমুদুর রহমান সুজন ধন্যবাদ। অনেকদিন পরে লেখায় আপনার মন্তব্য পেলাম। মন্তব্যটা পড়ে মন আলো হয়ে গেলো। বুঝতে পারছি অনেক ব্যস্ততার মাঝেও লেখাটা আপনার মন ছুঁয়ে গেছে। গল্পটা সার্থক!!

ভালো থাকবেন। পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা।

২০| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ ভোর ৫:৩২

ফাহমিদা বারী বলেছেন: আপা! দারুণ! দারুণ!

২৩ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:০৫

শিখা রহমান বলেছেন: ফাহমিদা বারী ধন্যবাদ। তোমার মতো দারুণ লেখকের কাছে থেকে 'দারুণ!' শুনলে লেখালেখি সার্থক মনে হয়।

পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থেকো। লিখতে থাকো। শুভকামনা।

২১| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৫০

সানজিদা হোসেন বলেছেন: এই গল্পের নায়কের সাথে আমার ওনার যে কি মিল! খাই খাই করতে করতে আমার মাথাটাই খেয়ে ফেললো । গল্প সুন্দর হয়েছে ।

২৩ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:০৮

শিখা রহমান বলেছেন: সানজিদা হোসেন আপনার ওনার শুধু নয়, গল্পের নায়কের যে আমার ওনার সাথেও খুব মিল!! =p~ আপনাদের গল্প নিশ্চয়ই এই গল্পের চেয়েও সুন্দর!!

ধন্যবাদ পড়ার জন্য। শুভকামনা। ভালো থাকুন সবসময়।

২২| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৫০

সানজিদা হোসেন বলেছেন: এই গল্পের নায়কের সাথে আমার ওনার যে কি মিল! খাই খাই করতে করতে আমার মাথাটাই খেয়ে ফেললো । গল্প সুন্দর হয়েছে ।

২৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০২

সুমন কর বলেছেন: মিষ্টি গল্প। বর্ণনা ভালো হয়েছে। +।

* আমি কিন্তু খাওয়া-দাওয়া নিয়ে কোন মাথা ঘামাই না !!! শুধু ঝাল আর কাঁটা বাদ ...............হাহাহাহাহা

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৩২

শিখা রহমান বলেছেন: সুমন কর ধন্যবাদ কবি :)

আপনি খাওয়া-দাওয়া কেমন করেন সেটা জানতে হলেতো আপনার 'রুপা'কে জিজ্ঞাসা করতে হবে। =p~

ভালো থাকবেন সুন্দর সব স্বপ্ন নিয়ে। শুভকামনা।

২৪| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:২৪

জাহিদ অনিক বলেছেন:

বেশ রোমান্টিক গল্প।
জলখাবার তো রহস্যময় হবেই, যে এত সুন্দর করে রাধে তার তো রহস্য থাকবেই।
তার যে খাইয়েই তৃপ্তি !

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৩৮

শিখা রহমান বলেছেন: জাহিদ অনিক ধন্যবাদ পড়ার জন্য আর কাব্যিক মন্তব্যের জন্য। আপনাকে সেই কবে বলেছিলাম যে এই গল্পটা দেবো। আপনি পড়েছেন দেখে ভালো লাগলো।

ভালো থাকবেন। শুভকামনা।

২৫| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৭

মলাসইলমুইনা বলেছেন: কন্টিনিউয়াস মুগ্ধতা গল্প পড়ে |
একুশ বছরের পুরোনো রুমমেটের অনুপ্রেরণায় আঁকা সুমনকে ভালো লাগলো | আপনার একুশ বছরের পুরোনো রুমমেটকে এন্টিক শ্রদ্ধা জানিয়ে দেবেন প্রিয় একটা চরিত্রের অনুপ্রেরণা হওয়ায় |

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৪৪

শিখা রহমান বলেছেন: মলাসইলমুইনা আপনার মন্তব্য না পেলে ভালো লাগছিলো না। গল্পটা যে আপনার অনুরোধে, আপনার জন্যেই দেয়া।

সম্পর্কের গল্প, ভালোবাসার গল্প আমার লিখতে ভালো লাগে, পড়তেও। তবে বিয়োগান্তক গল্পই লেখা হয় বেশী। কেন যেন মনে হয় আপনার বিয়োগান্তক ভালোবাসার গল্পই বেশী ভালো লাগে। তাই কি?

আপনি রাজশাহীর মানুষ তাই না? রাজশাহীর একটা চাঞ্চল্যকর ঘটনা নিয়ে আমার একটা লেখা আছে। একসময় পোষ্ট করবো।

ভালো থাকবেন। আপনার ভালো লেগেছে দেখে লেখাটা সার্থক মনে হলো।

শুভকামনা। আশেষ কৃতজ্ঞতা সবসময় পাশে থাকার জন্য।

২৬| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৪২

জাহিদ অনিক বলেছেন:


আপনাকে সেই কবে বলেছিলাম যে এই গল্পটা দেবো।
- বলেছিলেন বুঝি ! আমি তো ভুলেই খেয়ে ফেলেছি। ভুলে যাওয়ার রোগ আছে আমার।
মনে করিয়ে দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপনিও ভালো থাকবেন

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৪৭

শিখা রহমান বলেছেন: জাহিদ অনিক ভুলে যাওয়া যে খুব ভালো রোগ জানেন তো? এতে করে অপেক্ষার কষ্ট থাকে না। কখনো বা স্মৃতিদের জ্বালাতন থেকেও মুক্তি!!

ভালো থাকবেন। শুভকামনা।

২৭| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৪৯

জাহিদ অনিক বলেছেন:


কিন্তু কি জানেন !! যেটা ভুলতে চাই সেটাই পারি না

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৫২

শিখা রহমান বলেছেন: জাহিদ রুদ্রের কথা ধার করে উত্তর দিলাম "" ভুলে যাবো ভেবে এতোদূর আসা, অথচ ভুলে যেতেই ভুলে গেছি- ভুল বুঝতে পারিনি! "

২৮| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৫৮

জাহিদ অনিক বলেছেন:

ভুলেছি যা রাখি নি মনে
ক্ষণে ক্ষণে মনে পড়ে যে রাখেনি মনে


- অনেক ধন্যবাদ শিখা রহমান

২৯| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:০১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: লেখাটি প্রিয়তে নিলাম। পুরো পড়ে মন্তব্য করবো আবার।

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:০৩

শিখা রহমান বলেছেন: সত্যপথিক শাইয়্যান ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকলাম। শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.