নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবিতা প্রেমী; একটু এলোমেলো; উড়নচণ্ডী; আর বই ভালবাসি। শব্দ নিয়ে খেলা আমার বড্ড প্রিয়। গল্প-কবিতা-মুক্ত গদ্য সব লিখতেই ভালো লাগে। \"কেননা লেখার চেয়ে ভালো ফক্কিকারি কিছু জানা নেই আর।\"

শিখা রহমান

পুরনো ইমেজারির ব্যবসা করি। চিত্রকল্প সস্তায় বানাই। টান টান রিমেকশিল্প, ওপরে ঝকঝক করছে স্কাই।.........লোকে পড়ে ভাবে এ তো নতুন, আনকোরা কৌটো। কিন্তু সেই একই, সেই একই বন্দিপ্রাণ ছটফট ভ্রমর....

শিখা রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই মেঘলা দিনে

০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৫৮



তীক্ষ ধাতব শব্দ, শীষের মতো। ঘুম ভেঙ্গে বহ্নি প্রথমে বুঝতে পারেনি এই শব্দের উৎস কোথায়। হাত বাড়িয়ে মাথার কাছে রাখা সেল ফোন নিয়ে দেখলো “Flash Flood Warning!!!” শব্দটা বন্ধ করতেই কানে এলো জলের অবিশ্রান্ত বয়ে যাবার শব্দ, জলস্রোতের কুলকুল ধ্বনি। জানালার ব্লাইন্ড খুলতেই কাচের ওপাশে কি বিষণ্ণ একটা দিনের মুখ!!

অঝোর ধারায় বৃষ্টি; Flood Warning তো আসবেই। ক্যালিফোর্নিয়ায় এমন দেশের মতো ঝুম বৃষ্টি কদাচিৎ হয়। দোতলার জানালা দিয়ে Highway 1 এর ওপাশে ভেজা ভেজা গাঢ় সবুজ পাহাড় দেখা যাচ্ছে। এ দেশে এই রাজ্যে বড় হলে ষড়ঋতুর রচনা অন্যভাবে লিখতে হতো। এখানে শীতকাল মোহময়ী সবুজ; বৃষ্টির জল গাছপালা আর মৌন পাহাড়দের গায়ে সবুজ রঙ লেপে দেয়। গ্রীষ্মই বরং রোদে পোড়া রুদ্র সন্ন্যাসিনী; গেরুয়া রঙের বাদামী পাহাড় আর প্রকৃতি।

বৃষ্টির রুপালী ঝরোকার দিকে তাকিয়ে বহ্নির ঠিক বিষন্ন লাগছে না; মন কেমন করছে। কোন কোন দিন মন কেমন করে; বহ্নির মনে হয় কি যেন নেই, কে যেন নেই। অথচ কি যে নেই, কে যে নেই সে কথাটা মন ঠিক জানে না। কেউ আসবে না জেনেও কারো জন্য অপেক্ষা করতে ইচ্ছে করে। আজ ঠিক তেমন একটা দিন; কারো বা কোন কিছুর জন্য অপেক্ষা নেই জেনে অস্থির হবার দিন।

আজ রবিবার। মাত্র সকাল সাতটা; সাপ্তাহিক ছুটির দিন; কাজে যাবার তাড়া নেই। প্রতীক্ষাহীন দীর্ঘ একাকী একটা দিন পড়ে আছে। কিন্তু ছেলেবেলার রবিবারগুলো কি আলো ঝলমলে ছিলো!! সারা সপ্তাহের কাজের শেষে একটাই ছুটির দিন। মা আর বহ্নি অন্য সব দিনের মতোই বেশ সকাল সকাল উঠে যেত; অন্যদিন সাতটা আর রবিবারে খুব দেরী হলে আটটা। মা না উঠলে কেন যেন সংসারের চাকা স্থবির হয়ে থাকে। বহ্নিও উঠে যেত; অন্যদিন মা অফিসে যায় আর ও স্কুলে। এই দিনটা ও আর মা নাস্তার টেবিলে একটু বেশী সময় নিয়ে বসে থাকে; মা ধীরে ধীরে চা ঠান্ডা করে খায় আর ও কথার ঝুড়ি খুলে বসে। ওর অকারন উচ্ছাস, ছেলেমানুষী বকবক শুনতে শুনতে মা মৃদু হাসেন; ঠান্ডা চায়ে চুমুক দেন।

নাস্তা শেষে মা রান্নাঘরে তদারকি করতে যান বা আসবাবপত্রের ধুলো ঝাড়েন। বহ্নি মায়ের পেছনে পেছেন ঘুরতে থাকে; কখনো আঁচলের প্রান্ত ধরে থাকে। মা আঁচলে টান পড়লে বলেন “পাগলী একটা…পেছনে পেছনে ঘুরছিস কেন?” বহ্নি কথা না বলে মাকে জড়িয়ে ধরে। “ছাড় বলছি…কাজ আছে তো…” “থাকুক…মা তুমি এতো নরম কেন?” মায়ের গায়ে যে কি সুন্দর গন্ধ!!! বহ্নির ছাড়তে ইচ্ছা করে না। বেড়াল ছানার মতো সারাবেলা পায়ে পায়ে ঘুরতে ইচ্ছা করে। কিন্তু একটু পরেই পড়তে বসতে হয়।

পড়ার টেবিলে বসে আকাশ পাতালে বিচরন; কল্পনার ঘোড়ার লাগাম ছোটানো। আর মনে মনে অপেক্ষা। একটু বেলা হতেই রোদের তেজ বাড়ে; বহ্নির ঘরে আলো ঝলমল দিন আছড়ে পড়ে। ঘরের দেয়াল সমুদ্রনীল আর জানালার পর্দাগুলোও; চারতলার সেই ঘরটাতে কেটেছে বহ্নির পুরোটা কৈশোর আর যৌবনের কিছু সময়। নয়টা থেকে দশটার মধ্যেই ডাক শোনা যায় “বুড়িইইইই...এই বুড়ি...” বহ্নি পাখির ডানায় ভর করে মুহূর্তেই মা বাবার শোবার ঘরে। বাবা বিছানায় চাদর জড়িয়ে আধশোয়া; বাবা হাসতেই ও ঝাঁপিয়ে পড়ে বাবার ওপরে। একটুক্ষন জড়িয়ে থাকা; বহ্নির এখন অনেক কাজ। বাবা ডান গাল বাড়িয়ে দিলেন; একটা চুমু দিয়ে উঠতে নিতেই বাবা আঙ্গুল দিয়ে বাম গাল দেখালেন। “উহহহ বাবা...উম্মাহ!!!” চুমু দিয়েই দৌড়।

পাশের ঘর থেকে বাবাকে খবরের কাগজ এনে দিলো বহ্নি। আজ রবিবার তাই দুটো খবরের কাগজ; বাংলার সাথে ইংরেজী সংবাদপত্রও আছে। বাবা কাগজ পড়া শুরু করতেই বহ্নি টেপ রেকর্ডারে ক্যাসেট দিলো। প্লে বাটন টিপতেই হেমন্তের ভরাট গলা শান্ত সকালের নৈশব্দ ভাংলো “এই মেঘলা দিনে একলা ঘরে থাকে না তো মন/ কাছে যাব কবে পাব ওগো তোমার নিমন্ত্রণ..." “বাবা গান ঠিক আছে...নাকি মান্না দে দেব?” “নারে...একদম ঠিক!! কি ভাবে বুঝলি যে আজ আমার হেমন্তের গান শুনতে ইচ্ছা করছিলো?” “বাবা তুমি গান শোনো...আমি মাকে বলে আসি তোমার জন্য নাস্তা রেডি করতে...আসছি...”

বাবা ঘুম থেকে না উঠলে দিনটা ঠিক রবিবার মনে হয় না; এখন দিনটায় একটা ছুটি ছুটি গন্ধ এসেছে। মাকে নাস্তার কথা বলে এসে বহ্নি বাবার পাশে বিছানায় আসন গেঁড়ে বসলো। এখন বাবার সাথে সাথে উকি মেরে খবরের কাগজ পড়বে ও। তবে এ সময়টা ঝামেলারও। বাবা ইংরেজী কাগজ পড়ার সময় কঠিন সব শব্দের মানে জিজ্ঞাসা করবেন; না পারলে বলবেন ওর নতুন শব্দের খাতা নিয়ে আসতে; সে খাতায় আবার মানে সহ সব শব্দগুলো লিখতে হবে। তারপরেও বহ্নির বাবার সাথে এ সময়টা ঘেষাঘেষি করে বসে থাকতে ভালো লাগে। বাবার গায়ের গন্ধের সাথে সিগারেটের গন্ধ মিশে থাকে। বহ্নি জানে বাবা অনেক সিগারেট খায় বিশেষ করে যে রাতগুলোতে বাবার ঘুম আসে না। শুধু বাবার জন্যই এখনো সিগারেটের গন্ধ বহ্নির কি যে ভালো লাগে!!!

বাবা এ সময়টা বহ্নির সাথে দেশের অবস্থা, সংবাদপত্রের বিভিন্ন খবর নিয়ে খুব মন দিয়ে আলাপ করেন। বহ্নি অনেক কিছুই বোঝে না; না বুঝেই মাথা নাড়ে। আগ্রহে উৎসাহে বাবার চোখ ঝলমল করতে থাকে। বহ্নির এ সময়টা নিজেকে বড় বড় মনে হয়; বাবা কি সুন্দর ওর মতামত নেন আর না বুঝে কথা বললেও রাগেন না, কি আদর করে বুঝিয়ে বলেন। তবে কোন কোন রবিবারে বাবার কথা বলতে ভালো লাগতো না; চুপচাপ চোখ বন্ধ করে গান শুনতেন আর মাঝে মাঝে পছন্দের জায়গাগুলোতে বলতেন “আহা...আহা!!!”

রবিবারে প্রায় সারাদিনই ওদের বাসায় গান বাজতো। যে গানগুলোকে এখন সবাই বলে “পুরোণো দিনের বাংলা গান” তখন সে গানগুলো নতুনই ছিলো। এই গানগুলোর কাছেই বহ্নির ভালোবাসতে শেখার প্রথম পাঠ। মান্না দের আবেগী গলায় “চাঁদ দেখতে গিয়ে আমি তোমায় দেখে ফেলেছি..." শুনে কিশোরী বহ্নি কতো পূর্ণিমা রাতে কাচভাঙ্গা জ্যোৎস্নায় ভেবেছে কোন একদিন কেউ বলবে “কোন জোছনায় বেশি আলো এই দোটানায় পড়েছি।“ উনিশে উথাল পাথাল প্রেমে পড়া বহ্নি মনে মনে বলেছে “পথ হারাবো বলেই এবার পথে নেমেছি..নয়ন মেলে পাবার আশায় অনেক কেঁদেছি/ এই নয়নে পাবো বলেই নয়ন মুদেছি।“ “পথের কাঁটায় পায় রক্ত না ঝরালে কী করে এখানে তুমি আসবে! কফোঁটা চোখের জ‍ল ফেলেছ যে তুমি ভালবাসবে?” ঠিক কতখানি ভালোবাসলে এমন তীব্র শ্লেষে তা উচ্চারণ করা যায়?

মাঝে মাঝে বহ্নিকে বাবা আদর করে “বনলতা” ডাকতেন; বাবার প্রিয় কবি জীবনানন্দের সেই “বনলতা সেন।“ “নাম রেখেছি বনলতা যখন দেখেছি/ হয়ত বা সেই ক্ষণেই তোমায় ভালবেসেছি।“ গানটা তো বহ্নির জন্যেই গাওয়া। শ্যামল মিত্রের একটু নীচু খাদের গলায় “যদি কিছু আমারে শুধাও/ কি যে তোমারে কব?/ নীরবে চাহিয়া রব/না বলা কথা বুঝিয়া নাও...” শুনে বহ্নি কতোদিন ভেবেছে ওর মানুষটা কি এমনই চাপা স্বভাবের হবে। অভিমান হলে বহ্নি বলবে “‘ললিতা ওকে আজ চলে যেতে বল না” আর অভিমান ভাংলে সে কি বলবে “সেইতো আবার কাছে এলে/ এতদিন দুরে থেকে বলোনা কি সুখ তুমি পেলে?“

ভালোবাসার মাদকতা তালাত মাহমুদের “রূপের ঐ প্রদীপ জ্বেলে কী হবে তোমার/ কাছে কেউ না এলে আর/ মনের ঐ এত মধু কেন জমেছে/ যদি কেউ না থাকে নেবার...“ না শুনলে কি জানতো বহ্নি? কিশোরের রোমান্টিক গলা “পৃথিবী বদলে গেছে/ যা দেখি নতুন লাগে। তুমি আমি একই আছি/ দুজনে যা ছিলাম আগে“ সুরে সুরে বহ্নিকে বলে দিয়েছিলো ভালোবাসা দুজন মানুষকে সমস্ত পৃথিবী থেকে আলাদা করে দেয়। খুব প্রিয় ছিলো “শুধু একদিন ভালোবাসা মৃত্যু যে তারপর তাও যদি পাই, আমি তাই চাই/ চাইনা বাঁচতে আমি প্রেমহীন হাজার বছর ..” বহ্নি অবশ্য তার ভালোবাসার মানুষের কাছে শুনতে চেয়েছে “আমার একদিকে শুধু তুমি পৃথিবী অন্যদিকে/ এদিকে একটি একটি প্রদীপ, সূর্যটা ওদিকে, আমি তোমারই দিকটা নিলাম...” কি বিপুল বিশাল স্পর্ধিত উচ্চারণ!!

আবেগের রঙধনুর রঙ চেনালো তো এই গানগুলোই। তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে বহ্নি ঠিকই বুঝে গিয়েছিলো যে বাস্তবে ভালোবাসা এমনটা নয়, এটা গল্পে কবিতায় গানে সম্ভব, বাস্তবে সম্ভব নয়। অথচ তাও কি পরিমাণ ভালো লাগতো গানগুলো শুনতে! যে এলোমেলো উড়নচণ্ডী বহ্নি জীবনের বাঁকে বাঁকে বহুবার বলেছে “আমি কাঁদলাম বহু হাসলাম এই জীবন জোয়ারে ভাসলাম/ আমি বন্যার কাছে ঘূর্ণির কাছে রাখলাম নিশানা/ ঝড়ের কাছে রেখে গেলাম আমার ঠিকানা...” সেই বহ্নির এখনো গানগুলো ভালো লাগে। এখনো এই গানগুলো বহ্নির মাঝে স্বপ্ন বোনে, যাচিত বিভ্রম আনে, আশ্রয় দেয়, আনন্দ বা আকাঙ্খারা পাখা মেলে...কন্ঠস্বরেরা যে যাদু তৈরী করে...ভালো না লেগে আর উপায় কি?

আশির দশকের শেষে বহ্নিদের বাসায় ভিসিআর এসেছে; তারও অনেক পরে নব্বইয়ের মাঝামাঝি স্যাটেলাইট চ্যানেল। বহ্নি আগে নেপথ্যের কন্ঠগুলোকে চিনেছে; পরে সেই গানগুলোতে ঠোট মেলানো অভিনেতা অভিনেত্রীদের। উত্তম কুমারকে চেনার আগেই ও হেমন্ত বা মান্না দে কে চিনতো; আর সুচিত্রা সেনকে চেনার আগেই সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় বা লতা মুঙ্গেশকার বা আশা ভোশঁলেকে। ওই যে সিনেমাটা যেখানে উত্তম হচ্ছেন আঁকিয়ে; তিনি স্কেচবুকে সুচিত্রার ছবি আঁকতে থাকেন; আর সুচিত্রা সেন ট্রেতে করে চা-নাস্তা নিয়ে বাঁকা কোমর দুলিয়ে হেঁটে আসেন; উত্তমের ঠোঁটে মান্না দে তুমুল গেয়ে ওঠেন “তোমার দেহের ভঙ্গিমাটি যেন বাঁকা সাপ/ পায়ে পায়ে ছড়িয়ে চলো যৌবনেরই ছাপ...”; পুরো রুপালী পর্দায় মান্না দের কন্ঠের যাদু কি তীব্র মাদকতা তৈরী করে!!!

রাফির সাথে ওর পরিচয় সেই ছোটবেলায়; “চাহে কোই মুঝে জংলী কহে...”র জংলী শাম্মি কাপুরের সাথে দেখা হলো অনেক বছর পরে বা “কাশ্মির কি কলি”র শর্মিলা ঠাকুরের সাথে। মুকেশ যে রাজ কাপুরের সব গানে কন্ঠ দেয় সেটা বাবার কাছে অনেক গল্প শুনলেও রাজ কাপুর বা কাপুর পরিবারের মানুষদেরকে বহ্নি রুপালী পর্দায় দেখেছে অনেক বড় হবার পরে।

ছুটির সকালে বহ্নি যে গানই বাজাতো বাবা বলতেন “বুড়ি আজ না এই গানটাই শুনতে ইচ্ছা করছিলো...” বহ্নির যে কি খুশী লাগতো!!! ও ঠিক ঠিক বাবাকে বুঝে ফেলেছে। বোকা ছিল তো; এখন জানে বাবা ভালোবাসতেন বলেই এমনটা বলতেন!! জানালার বাইরে একটু আলো আলো দিন; বহ্নি উঠে সিডি প্লেয়ার চালালো। সেই ছোটবেলার রবিবারের মতো গান বেজে উঠলো “ওগো বর্ষা তুমি ঝরো না গো অমন জোরে…কাছে সে আসবে তবে কেমন করে…”

বহ্নি অপেক্ষা করছে এখন...বাবা বলবে “কি ভাবে জানলি আমার এই গানটাই আজ শুনতে ইচ্ছা করছিলো?” আজ এই মন কেমন করা দিনে বহ্নি ওর বাবার জন্য অপেক্ষা করবে।

© শিখা (৩১শে জানুয়ারী, ২০১৬)

বিঃ দ্রঃ প্রিয় গানগুলো নিয়ে লেখার ইচ্ছা অনেক দিনের। তবে অনেক গানই ইচ্ছা থাকলেও গল্পে আনতে পারিনি বা এখন মনে পড়ছে না। Hopefully this post will make you nostalgic and bring back some memories related to favorite songs.

নিজাম আপনার জন্য এই লেখাটা পোষ্ট করলাম। শুভকামনা।

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:০৩

ফারহানা সুন্দর মন বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন, আপনার প্রতি রইল শুভকামনা

০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:১৩

শিখা রহমান বলেছেন: ফারহানা সুন্দর মন আমার ব্লগে স্বাগতম। পড়ার জন্য ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

২| ০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:১৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: শুভ সন্ধ্যা জারুল ভালোবাসা !!!
লেখাটায় শিখা'র সুবাস লেগে আছে !!! দারুন লেখা
স্মৃতি কাতর হলাম।

০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:২৪

শিখা রহমান বলেছেন: নীরা শুভ সন্ধ্যা!! 'বহ্নি' বা 'অরনী' বা 'রিমঝিম' সবগুলোতেই শিখার সুবাস আছে। কোনটাতে কম আর কোনটাতে বেশী। তবে 'বহ্নি'র বড় কাছাকাছি আমি।

আমার শৈশবের রবিবারের গল্প তোমাকে স্মৃতি কাতর করেছে জেনে ভালো লাগলো। বাবা হারিয়ে গেছেন। আমিও হারিয়ে যাবো। গানগুলো রয়েই যাবে।

ভালোবাসা। ভালো থেকো সন্ধ্যা মালতী!!

৩| ০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:২০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: চমৎকার আরেকটি লেখা পেলাম। আপনার লেখাগুলো সামুকে সমৃদ্ধ করছে। অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।

০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৩০

শিখা রহমান বলেছেন: কাওসার চৌধুর সবসময়ে পড়ার জন্য ও উতসাহব্যঞ্জক মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা। আপনি খুব ভালো লেখেন, বিশেষ করে প্রবন্ধ আর সমসাময়িক বিষয় নিয়ে। মন্তব্য করা হয় না বলে ভাববেন না যে পড়িনি। আসলে আপনার লেখা ভালো লাগলেও যে জটিল বিষয়গুলো বা সমস্যাগুলোকে নিয়ে নিজের বলার যোগ্যতা নিয়ে সন্দিহান থাকি।

শুভকামনা। আর আপনার লেখাগুলো সামুকে অনেক বেশী সমৃদ্ধ করছে। ভালো থাকবেন।

৪| ০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:২৮

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: অ্যাএএএএB:-)

গানের পোস্টে একি পড়িলাম। B:-) :(



শুনুনঃ
কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা:)
মনে মনে! মেলে দিলেম গানের সুরের এই ডানা
মনে মনে.......


তুমি কেমন করে গান লিখ হে গুনি
আমি অবাক হয়ে পড়ি, কেবল পড়ি......


তুমি রবে নিরবে হৃদয়ে মম......

০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৩৪

শিখা রহমান বলেছেন: নিজাম "গানের পোস্টে একি পড়িলাম।" মানে কি? :|| ভালো লাগেনি? :(

গানের লিঙ্ক দেবার কাজ আপনার। মন্তব্যে সব প্রিয় গানের লিঙ্ক দিয়ে দেন। আপনার কোন গানটা প্রিয়? ওপরের একটা গানও প্রিয় নয়?

পড়ার জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা।

৫| ০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:২৮

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: মেঘলা দিনে মন ভাল করার মত লেখা

০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৩৬

শিখা রহমান বলেছেন: ইমন আজ দিনটা কি মেঘলা নাকি? "মেঘলা দিনে মন ভাল করার মত লেখা।" শুনে আমার মনের মেঘ কেটে গেলো।

ভালো থাকবেন। সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা।

৬| ০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৩০

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: আরেক টাঃ


জারুল ফুল, জারুল ফুল
চিনতে তোমায় হয়নি-কো ভুল,
মাটির বুকে ঝরে পড়
লজ্জায় কেন জড়সড়,
কানে তোমার পরাবো দুল
মি_মার প্রিয় জারুল ফুল।।(সংগৃহীত):P

০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৪৩

শিখা রহমান বলেছেন: নিজাম আপনি না পারেনও!! :) "মি_মার প্রিয় জারুল ফুল।।" "মি_মা" কে? B:-)

বলেছি বলেই পুরোপুরি কলম বেঁধে জ্বালাতন করতে নেমে যাবেন? :-P আপনি কি জানেন কেন নীরা আমাকে 'জারুল ফুল' বলে? হা ভাই জানতে হলে পড়ুন ভালোবাসার জাল বুনেছি !! =p~

শুভকামনা। ভালো থাকবেন। বত্ব জ্বালাতন জারী রাখেন। অভ্যাস নষ্ট হয়ে গেছে।

৭| ০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৪৫

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ভালো, ভালো, খুব ভালো....
পোস্ট টা অনেক সুন্দর....


লেখাটা কি রকম, মানে সেই রকম, মানে ঐ রকম,
মানে........
পাঠক বেঁহুশ.....:P

১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:০৫

শিখা রহমান বলেছেন: নিজাম মিথীমনি ঠিকই বলেছিলো। আপনার মনে হচ্ছে মৃগীরোগ আছে। নাকি আগে বেহুঁশ হওয়ার রেশ এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি? :)

ভালো লেগেছে জেনে খুশী লাগলো। তবে এরপর থেকে পোষ্ট পড়ার সময় একটু হুঁশিয়ার থাকবেন যাতে বেহুঁশ না হয়ে যায়। পানির গ্লাস পাশে নিয়ে লেখা পড়তে বসবেন পিলজ!!

ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। শুভকামনা।

৮| ০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৪৭

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: গল্প খুব সুন্দর লিখেছেন আপু ।।

১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:০৬

শিখা রহমান বলেছেন: শাহরিয়ার কবীর ধন্যবাদ কবি। আপনার ভালো লেগেছে জেনে মনে হচ্ছে লেখাটা সার্থক।

শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

৯| ০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৪৩

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: লেখক কোথায় পালালো......;(

"পৃথিবী বদলে গেছে/ যা দেখি নতুন লাগে।
তুমি আমি একই আছি/ দুজনে যা ছিলাম আগে।"
ট্যাবে লিংকঃ https://m.youtube.com/watch?v=1uQ4wlFkkVQ


@"মি_মা" কে?"
--- হায়, হায়! তাকে আপনি সত্যি চেনেন না???:(
-- ভালোবাসার জাল বুনেছি, এর ৮ নাম্বার মন্তব্য দেখুন।:P


আচ্ছা??
"চারজন মানুষের যতোটুকু ডিএনএ তা একটা মাকড়শার ডিমে থাকে।"
--- এটা কি কথার কথা?
নাকি সত্যি????

১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:১২

শিখা রহমান বলেছেন: নিজাম ধন্যবাদ গানের লিঙ্কের জন্য। 'মি_মা' যে মিথীমনি সেটা মন্তব্য লেখার পরে বুঝেছি। আপনি কবিতার নীচে সংগৃহীত লেখাতে একটু কনফিউজড হয়ে গিয়েছিলাম। :)

"ভালোবাসার জাল বুনেছি" গল্পটা লেখার সময়ে মাকড়শার ওপরে একটু পড়াশোনা করে নিয়েছিলাম। গল্পে মাকড়শার বিষয়ে তথ্যগুলো সত্যি হওয়ার কথা যদি আমার তথ্যসূত্রে ভুল না থাকে।

পুরনো গল্পটা পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা থাকলো। শুভকামনা। আনন্দে থাকবেন।

১০| ১০ ই মে, ২০১৮ রাত ১:২০

শামচুল হক বলেছেন: চমৎকার গল্প, খুব ভালো লাগল। লিখতে থাকুন সাথে আছি।

১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:১৩

শিখা রহমান বলেছেন: শামচুল হক আপনি সবসময় লেখায় মন্তব্য করে উৎসাহ দেন সেজন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা।

শুভকামনা। ভালো থাকবেন। পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

১১| ১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।
মেঘলা দিন মানেই অন্য রকজম একটা অনুভূতি।

১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৫১

শিখা রহমান বলেছেন: রাজীব নুর ধন্যবাদ। ভালো আছেন আশাকরি। মেঘলা দিন মানেই মন কেমন করা আর পিছু ফিরে দেখা।

শুভকামনা।

১২| ১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:১৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পড়টে পড়তেই ভাবছিলাম লিখব গল্পে গল্পে গান না গানের জন্যই গল্প :)

শেষে নোট দেখে বুঝলাম ভাবনা ভূল ছিল না :)

++++

১০ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৪০

শিখা রহমান বলেছেন: বিদ্রোহী কবিদের ভাবনা কখনো ভুল হতে পারে বলুন? :) গানগুলোর সাথে আমার ছেলেবেলা, বড় হওয়া আর প্রিয় মুখেরা জড়িয়ে আছে। গল্পটা গানের জন্য যতোখানি, ঠিক ততোখানিই নিজেকে খুঁজে ফেরার জন্য।

শুভকামনা। পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন কবি।

১৩| ১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: রাজীব নুর ধন্যবাদ। ভালো আছেন আশাকরি। মেঘলা দিন মানেই মন কেমন করা আর পিছু ফিরে দেখা।

শুভকামনা।


অনেক ধম্ন্যবাদ মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য।

১০ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৪৩

শিখা রহমান বলেছেন: রাজীব আমিতো সবসময় আমার সব লেখার সব মন্তব্যের উত্তর দেই। #:-S হয়তো সাথে সাথে দেয়া হয় না কারণ বেশীরভাগ সময়েই কাজের ফাঁকে পোষ্ট করা হয়। কিন্তু বাড়ী ফিরে বা পরের দিন উত্তর দেইতো। :)

আপনাকেও ধন্যবাদ সবসময়ে আমার লেখা পড়ার জন্য। ভালো থাকবেন।

১৪| ১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫০

মিথী_মারজান বলেছেন: আপুউউউ!!!
লেখাটা পড়তে পড়তে একটা লাইনই কেবল ভায়োলিনের সুরে মনে বাজছে - কি জানি কিসের লাগি প্রাণ করে হায় হায়...।
কিসের জন্য, সেটাও বুঝতে পারছি।
ফেলে আসা দিন, ফেলে আসা মানুষ আর সময়ের জন্য এই মন কেমন করা।
মায়ের আঁচলে সেঁটে থাকা, বাবার গালে দেয়া আদর, কিছু গান, কিছু কল্পনা!
উফ! কি সুন্দর করে লিখেছেন আপনি!
একটা গানের কথা খুব মনে পড়ছে আপু, শ্রীকান্ত'র জোছনা ভেজা এই রাত।
এটা আমার একটা স্বপ্নের গান ছিল একসময়।
শুধুমাত্র এই গানটা শুনলেই তেমন একটা রাজকন্যা হতে এখনো ইচ্ছা হয় আমার।
আরেকটা গান নিয়ে কি যে হিংসা হতো আমার ছোটবোনের উপর!
'কাজল নয়নে যূথী মালা গলে এসো নীপবনে, ছায়াবীথি তলে...'
আমার বোনের নাম জুথী।
পছন্দের লাইনটায় ওর নামটা আছে বলে ওর নামটাকে ছিলো আমার দারুণ হিংসা।
মাঝেমাঝে খুব মনখারাপ হয় আপু।
এত আবেগী কেনো আমরা?

সত্যিই নস্টালজিক হয়ে গেলাম।
অনেক অনেক ভালোবাসা প্রিয় জারুল ফুল আমার।

১০ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৫৪

শিখা রহমান বলেছেন: মিথীমনি তোমার মতো আর কে আমাকে আমার লেখায় খুঁজে পায় বলো? তুমি যেমন আমাকে বোঝো তেমন খুব কম মানুষই বোঝে। "ফেলে আসা দিন, ফেলে আসা মানুষ আর সময়ের জন্য এই মন কেমন করা।" একদম ঠিক বলেছো!!

তোমাদের দুই বোনের নাম দুটো খুব সুন্দর!! দুজনকেই ভালোবাসা। আর তুমি কিন্তু এমনিতেই রাজকন্যা, গান শোন আর নাই শোন। :)

"মাঝেমাঝে খুব মনখারাপ হয় আপু।
এত আবেগী কেনো আমরা?" হলামই না হয়। তোমার জন্য শ্রীজাতের একটা প্রিয় কবিতা দিলাম।

"ডিপ্রেশনের বাংলা নাকি নিম্নচাপ ?
বৃষ্টি এল। সঙ্গে কফি এক-দু' কাপ

নামছে বিকেল, অল্প ভিজে রাস্তাঘাট
ছাতার নীচে মিইয়ে গেল পাপড়ি চাট

বন্ধুরা সব ফিরছে বাড়ি দূর থেকে...
কেন যে আজ হিংসে হল তাই দেখে,

দেখতে গিয়ে সন্ধ্যে হল জানলাতেই
আগের মত মেঘ করেছে ... কান্না নেই

কেবল মুঠোয় বন্দি কফির একলা কাপ
ডিপ্রেশনের বাংলা জানি। মনখারাপ।"

ভালো থেকো রাজকন্যা মিথীমনি। অনেক ভালোবাসা আর আদর।

১৫| ১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:১৫

মিথী_মারজান বলেছেন: @নিজাম ভাইয়া,
মি_মা???!!!
হাসতে হাসতে এবার আমি শেষ!
মামি ডাকলেও মনেহয় এত হাসি পেতো না!
হা হা।

বাই দ্যা ওয়ে, আপনার সংগৃহীত গানটি ভালো লাগলো।

১০ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৫৫

শিখা রহমান বলেছেন: মিথীমনি নিজামের কথা আর বলো না। :)

১৬| ১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: শিখা রহমান ,




আমি সাধারনত কারো লেখা লাইন ধরে পড়তে পড়তেই মনে মনে মন্তব্যের কথাগুনো গুছিয়ে রাখি । তারপরে গোছানো কথাগুনোকেই আরও গুছিয়ে মন্তব্যে প্রকাশ করি । তেমনি আপনার এই লেখার প্রথম তিনটি প্যারা পড়তে পড়তে মনের ভেতর যে গানটি গুনগুনিয়ে উঠলো তা এই --- এই মেঘলা দিনে একলা .... যা দিয়ে মন্তব্যটি শুরু করবো ভারছিলুম !
নীচে নামতেই দেখি বহ্ণিও বাবাকে ঠিক এই গানটাই শোনাচ্ছে টেপ রেকর্ডারে । একই সুর বেজে গেলো কি, একই সাথে দু'টি ভিন্ন তন্ত্রীতে ?
আর সকল পুরোনো গানে ভরা এমন গল্প যেন ফিরিয়ে নিয়ে গেলো এক কিশোর কালে । এখন তো বলতেই হয় - সেই যে আমার নানা রঙের দিনগুলি .. । আর বহ্ণির মনের ভেতরে বাবাকে নিয়ে যে তুমুল আলোড়ন তার সুর বোধহয় এমন ---- আয় খুকু আয় , খুকু আয় / আয়রে আমার কাছে আয় মা'মনি........

হ্যাঁ , আপনি নষ্টালজিক করে দিয়ে গেছেন বড় বেশি । স্মৃতির মন্থন থেকে এখন শুধু বিষাদের গানের সুর টেনেই আনলেন এই বয়সেও , -- দেখনি কি পাথরেও ফোঁটে ফুল ......... দেখেছো কি বরষার ফাঁকে আকাশের চোখ জলে ভরে থাকে , দেখেছ কি .........


এখানে ঠিক এইমূহুর্তে আকাশের চোখেও জল , শরীর জুড়ে তার তীব্র কালবোশেখীর অন্ধকার ......

১০ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:০৩

শিখা রহমান বলেছেন: আহমেদ জী এস আপনি একজন দারুণ পাঠক। "আমি সাধারনত কারো লেখা লাইন ধরে পড়তে পড়তেই মনে মনে মন্তব্যের কথাগুনো গুছিয়ে রাখি । তারপরে গোছানো কথাগুনোকেই আরও গুছিয়ে মন্তব্যে প্রকাশ করি।" আপনার অনন্য মন্তব্যগুলোর কারণ বোঝাঁ গেলো। :) পড়ার জন্য ও মনছোঁয়া মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

"আর বহ্ণির মনের ভেতরে বাবাকে নিয়ে যে তুমুল আলোড়ন তার সুর বোধহয় এমন ---- আয় খুকু আয় , খুকু আয় / আয়রে আমার কাছে আয় মা'মনি........" আমি একসময় গান গাইতাম। বাবার খুব প্রিয় গান ছিলো এটা। সব বাবারই হয়তো এই গানটা প্রিয়। বাবা মাঝে মাঝেই বলতেন গানটা গাইতে। কত্তো গড়িমসি করেছি, নানান অজুহাত বাবাকে গান গেয়ে না শোনানোর জন্য।

এখন আর কেউ কোন গান গাইতে বলে না।

এখন শুধু অন্তিম শ্রাবণে অকারণ অপেক্ষা!!

১৭| ১০ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৫৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+
যার জন্য পোস্ট করেছেন তাকে অভিনন্দন।

১০ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:০৬

শিখা রহমান বলেছেন: সেলিম আনোয়ার ধন্যবাদ কবি। :) নিজাম গানের পোষ্ট দেয় অনেক আর তার মন্তব্যেও প্রায়শই গানের কথা থাকে। তাই একসময় বলেছিলাম যে গান নিয়ে লেখাটা ওনার জন্য পোষ্ট করে দেব।

ভালো থাকবেন। শুভকামনা।

১৮| ১০ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:০৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: নিজাম সাহেব গান পাগল মানুষ বোধ হয়। আর আড্ডা জমাতে উস্তাদ।

১০ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:১৬

শিখা রহমান বলেছেন: ঠিক বলেছেন কবি। নিজাম খুব অল্পসময়েই ব্লগে সবার মন জয় করে নিয়েছেন। মজার মানুষ আর রসবোধ ভালো। দুষ্টুমিভরা মজার মন্তব্যে ব্লগ মাতিয়ে রাখেন।

শুভকামনা থাকলো। আপনার কবিগুরুকে নিয়ে লেখাটা খুব ভালো লেগেছে। সময়ের অভাবে অনেক সময়েই মন্তব্য করা হয় না। আপনি ব্লগে আমার প্রিয় কবিদের একজন। ভাল থাকবেন।

১৯| ১১ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:০৪

সুমন কর বলেছেন: গানের কথা আর আপনার অনুভূতির প্রকাশ মিলিয়ে দারুণ লিখেছেন। পুরনো সেসব গান কখনো হারিয়ে যাবার নয়।

১১ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:১৯

শিখা রহমান বলেছেন: সুমন সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। পুরনো এই গানগুলো আসলেই কালের পরীক্ষায় টিকে থাকবে বলে আমার বিশ্বাস।

শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

২০| ১২ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:০২

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: শিখা আপা??
ব্লগে আপনি তুখোড় জনপ্রিয়! ভোটাভুটি হলে নিশ্চিত.....।;)

তাই সবাই আপনার মিষ্টি প্রতিউত্তরের লোভে কমেন্ট করে!! আমিও:P

১২ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:২৪

শিখা রহমান বলেছেন: নিজাম আমার কেন জানি মনে হচ্ছে আপনার এই মন্তব্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত =p~ আপনি ব্লগে আপনার তুমুল জনপ্রিয়তা প্রমানের জন্য ভোটাভুটি চাইছেন আর আমাকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দাঁড় করিয়ে হারাবেন। আমি অবশ্য মিষ্টি মানে লাড্ডু খেতে রাজী।

ব্লগে সবচেয়ে সুন্দর মন্তব্য করেন আহমেদ জী এস। মিথীমনি, আমার 'নীরা', খায়রুল আহসান, সম্রাট, বিজন, আর ওপরের মন্তব্যকারী সব কবি-লেখকরাই খুব সুন্দর সব মন্তব্য করেন। নিজাম নামের এক জনপ্রিয় লেখকই শুধু...... X(

শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.