নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবিতা প্রেমী; একটু এলোমেলো; উড়নচণ্ডী; আর বই ভালবাসি। শব্দ নিয়ে খেলা আমার বড্ড প্রিয়। গল্প-কবিতা-মুক্ত গদ্য সব লিখতেই ভালো লাগে। \"কেননা লেখার চেয়ে ভালো ফক্কিকারি কিছু জানা নেই আর।\"

শিখা রহমান

পুরনো ইমেজারির ব্যবসা করি। চিত্রকল্প সস্তায় বানাই। টান টান রিমেকশিল্প, ওপরে ঝকঝক করছে স্কাই।.........লোকে পড়ে ভাবে এ তো নতুন, আনকোরা কৌটো। কিন্তু সেই একই, সেই একই বন্দিপ্রাণ ছটফট ভ্রমর....

শিখা রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মার্বেল চোখের সেই ছেলেটি

১৫ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:০৪



ক্লাস থেকে বেরিয়ে মন খারাপ হয়ে গেলো। প্রতিদিন চারটায় ক্লাসে আসি শেষ বিকেলের আলো নিয়ে আর দু’ঘণ্টা পড়িয়ে যখন বাইরে পা দেই তখন চারপাশে অন্ধকারের ঘেরাটোপ। আজ সারাদিন বৃষ্টি; ঝিঝিঁ পোকার ডাকের মতো একঘেয়ে মন খারাপ করা শীতকেলে বৃষ্টি। ক্লাসরুম থেকে অফিস বিল্ডিং অনেক দূরে; বড্ড ক্লান্ত লাগছে। তবে কাগজপত্র আর ল্যাপটপের ভারি ব্যাগ নিয়ে প্রায় জনশুণ্য ক্যাম্পাসে বৃষ্টিতে হাঁটতে ভালোও লাগছে। ক্যালিফোর্নিয়ার এই ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে আমি কখনো ছাতা নেই না। এ যেন ঠিক মেঘের ভেতরে দিয়ে হেটে যাওয়া; আলোর মতো জলের গুড়ো ছুয়ে যায়; জলের ভেতরে শরীর না ভিজিয়ে হেঁটে চলা।

ঘন সবুজ ঘাসের মাঝে সিঁথির মতো কংক্রিটের ছাইসাদা পায়ে হাঁটার পথ। একটু নীচু জায়গায় বৃষ্টির জল জমেছে; কাকচক্ষুর মতো এই ফুটপাথের নিজস্ব ছোট্ট পুকুর। আশেপাশে তাকিয়ে একটু লাফ দিলাম সেই জলে; এই মুহূর্তে আমি বেণী দোলানো সেই মেয়েটি যে সেন্ট্রাল রোডের দোতলা বাড়ির ছাদের কোনায় জলে লাফাচ্ছে। বৃষ্টি থেমেছে; জুলাই মাসের ঝুম বৃষ্টিতে অনেকক্ষণ ভিজেছি আমি আর আমার সারাদিনের খেলার সঙ্গীরা, লিপি, লিজু আর মুন্নি। বাড়ীওয়ালার তিন মেয়ে; সবচেয়ে বড় লিপি আমার এক বছর নীচে পড়ে, আমি ক্লাস ফাইভে।

সিড়িঁ পেরিয়ে ছাদে পা দিলেই ডান পাশে বালুর স্তুপে বেশ কিছু মরচে পড়া রড আড়াআড়ি শুয়ে আছে। আমরা তখন সবেমাত্র বিজ্ঞানে চৌম্বিক ক্ষেত্র আর চুম্বকের গুণাগুণ শিখেছি। একদিন বাবা একটা ঘোড়ার খুরের মতো ছোট্ট চুম্বক নিয়ে এলেন; কি যে উত্তেজনা!! আমরা চারজন সারাদিন এখানে ওখানে সেই খুর লাগিয়ে চৌম্বিক গুণাগুন পরীক্ষা করছি। হাড়ি পাতিল, চামুচ, মগ, বালতি, পানির কল, ড্রয়িং রুমে সাজানো শোপিস, চেয়ালের হাতল, দরজার নব; বাসার সব কিছুতে চুম্বক ঘষার পরে আমাদের আনন্দযাত্রা ছাদে। বালুতে চুম্বক ধরতেই গুঁড়া গুঁড়া লোহার কণা উঠে এলো; উহ্ কি যে আনন্দ!! আনন্দে আর উত্তেজনায় আমরা ঝলমল করছিলাম। সারাদুপুর ছাদে বালু মেখে বাসায় গিয়ে মায়ের বকা খেয়েও মুখ হাসি হাসি; সেদিন রাতে সেই ঘোড়ার খুর জড়িয়ে ধরে ঘুমের দেশে যাত্রা। চাওয়া পাওয়া আর আনন্দগুলো কেন যে বড় হবার সাথে সাথে এতো জটিল হয়ে গেলো!!!

ছাদের মাঝামাঝি হঠাৎই ফুটখানেক উঁচু ইটের দেয়াল; পুরোনো সাদা শ্যাওলা ছাদের মাঝে একটু লাল বাদামীর ছোঁয়া। দেয়াল পেরিয়ে গেলে ছাদের মেঝেতে চার পাঁচটা পানির পাইপ; মাঝে মাঝে এক আধটা ইটের ওপরে পাইপগুলো রাখা আছে ঠিক যেন সার্কাসের তাবুতে টাঙ্গানো ট্রাপিজের দড়ি। ছাদের অন্য প্রান্তে দুটো চারকোনা পানির ট্যাঙ্ক; টিনের মলিন রুপালী ট্যাঙ্ক দুটো ফুটখানেক উঁচুতে ইটের ঘেরের ওপরে বসানো। ডান দিকের পানির টাঙ্কিটার চেহারা একটু রুক্ষ ছিলো; একটু রাগী রাগী, এখানে সেখানে একটু ট্যাপ খাওয়া আর জং ধরা। আমরা চার বালিকারা মনে মনে সেটাকে ছেলে টাঙ্কি আর বাম পাশের টিপটপ চেহারার টাঙ্কিটাকে মেয়ে ভেবে নিয়েছিলাম। মেয়েরা খুব ছোট বেলাতেই সংসার বুঝে যায়। সোঁদা গন্ধ ভরা সেই পুরোনো ছাদের শ্যাওলা পড়া কোনায় আমাদের কল্পনায় দুই পানির টাঙ্কি খোলা আকাশের নীচে সংসার পেতে বসেছিলো।

অল্প বৃষ্টি হলেই মেয়ে টাঙ্কির পাশে একটু নীচু সামান্য ঢালু জায়গায় পানি জমতো; আমাদের লাফানোর জায়গা। ছাদের এই কোনাটা সবসময় ছায়াময় রহস্যঘেরা; একটা মস্ত বড় গাছের সবুজ ডাল মুখ বাড়িয়ে তার পাতার ছায়া মেলেছে। ভরা রোদেও ঠান্ডা ঠান্ডা আলো আঁধার ঘেরা এই জায়গাটা বড্ড পিছল আর শ্যাওলা পড়া ছিলো। বাবা মা অনেকবার পড়ার ভয়ে সাবধান করেছে বলেই হয়তো ওই শ্যাওলা মাখা জায়গা আমাদের খুব পছন্দের ছিলো। নিষিদ্ধ সব কিছুই কি খুব নিজস্ব, গোপন সব কিছুই কি এখনো সেই বালিকাবেলার মতো কাম্য নয়?

সেদিনও ভেজা ফ্রক গায়ে আমরা সারা ছাদে খালি পায়ে দৌড়ে বেড়াচ্ছি; অকারণ কোলাহল; অর্থহীন আনন্দ। বৃষ্টি শেষে মুখ ভার করা আকাশের নীচে আমরা চারজন আসলেই বলাকার মতো বন্ধনহীন আনন্দের ডানায় উড়ছি। হঠাৎই ছাদে দুষ্ট উপগ্রহের আবির্ভাব; আমার তিন বন্ধুর বড় ভাই লিটন, আমার চেয়ে দু’বছরের বড়। আমাদের খুবই অপছন্দ তার; এসেই সবসময় বোনদের প্রবল বকা দিয়ে খেলার আনন্দ নষ্ট; মাঝে মাঝে চুল টানা বা কিল চড় দিয়ে ওদের কাঁদিয়ে হাওয়া। আমার সাথে সে কখনো কথা বলেনি; বলবে সে আশাও নেই। দশ বছরের আমি বুঝে গেছি যে ছেলেরা মোটেও ভালো নয়; একটা দুটো নমুনা দেখে মনে মনে ছেলেদের বন্ধু হবো না ঠিক করে ফেলেছি। কি আশ্চর্য!! জীবনের স্রোতে সবসময় উল্টো সাঁতার কাটা হলো; বড় হতে হতে আর এখনো আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধুগুলোই যে ছেলে!!

সেই কফি রঙ্গা ভেজা ভেজা মেঘলা দুপুরে অবশ্য সে আমাদেরকে বকেনি; কে জানে বর্ষার মেঘ হয়তো তার মনেও ছায়া ফেলেছিলো! লিটনও আমাদের সাথে খেলায় যোগ দিলো। লাইন করে বৃত্তাকারে সারা ছাদে আমরা দৌড়ে বেড়াচ্ছিলাম; আমার সামনে লিপি আর পেছনে সে। হঠাৎ সেই ছায়া ছায়া কোনায় শ্যাওলায় পা পিছলালো; খুব ভয় পাইনি; পড়ে পড়ে অভ্যাস ছিলো। কিন্তু পড়ার আগেই সে পেছন থেকে ধরে ফেললো; তার দু’হাত আমার কোমরে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেখি দুটো উদ্বিগ্ন চোখ; ছাইরঙ্গা আকাশ আর সবুজ পাতা ছায়া ফেলেছে সেই চোখে। মেঘের ফাঁকফোকর গলে চুরি করে আসা সূর্যের আলো চোখে পড়েছে; ঠিক যেন সবুজ ছাই রেখাটানা ঝকঝকে মার্বেল।

সেই চোখ দুটোয় দুটো মার্বেল ছিল, ছোটবেলার খেলার মাঠে পড়ে থাকা দুটো ঝকঝকে মার্বেল। সেই চোখে কামনা ছিলো না, যেমনটা থাকে চেনা প্রেমিকের চোখে, অজানা পুরুষের দৃষ্টিতে। সেই মার্বেল চোখে আমি প্রথম বারের মতো নির্ভরতা দেখেছিলাম; প্রথমবারের মত মনে হয়েছিলো কারো ওপরে নির্ভর করতে পারলে বেশ হতো; কোন একটা মানুষ যার চোখ দুটো এভাবে বলবে “ভয় নেই...তুমি এলোমেলো দৌড়ে বেড়াও। পিছলালে ঠিক ঠিক ধরবো...আমি আছিতো!”

সারা জীবন সেই আমি সেই মার্বেল চোখ খুঁজে বেড়িয়েছি। যখন বয়ঃসন্ধিতে এক সাথে বেড়ে ওঠা বন্ধু হঠাৎ অবাক করে জড়িয়ে ধরেছিলো, আমি ওর চোখে সেই মার্বেল খুজেছিলাম। বাগানবিলাস ঘেরা বারান্দাতে বেতের অর্ধ চন্দ্রাকৃতি দোলনায় দোলার সময়ে মাত্র উনিশে পা দেয়া আমার পুরো পৃথিবীকে যখন কেউ দুলিয়ে দিয়েছিলো, আমি তার চোখে মার্বেল খুজেছিলাম। আমার মানুষটাকে যখন প্রথম দেখেছিলাম, সেই অস্বস্তিকর ভালোলাগার সময়গুলোতে তার চোখে আমি সেই মার্বেল খুজেছিলাম।

আমার মানুষটা যখনি আমার দিকে তাকায় শৈশবের সেই বর্ষার উতল হাওয়া ছুঁয়ে যায় আমাকে; তার মুগ্ধ চোখে শৈশবের সেই বৃষ্টিভেজা ছাদের মার্বেল দুটো থেকে আলো ছিটকে এসে পড়ে। আর হঠাৎ চমকে উঠে ভাবি “ছেলেটি কি সেই ছেলে?” আমার মানুষটাই সেই মার্বেল চোখের ছেলেটি; সে চোখে চোখ রাখলেই হুড়মুড়িয়ে চলে আসে আমার কৈশোর, আমার ছেলেবেলার স্বপ্ন। হাতের তালুতে সে প্রতিদিন এনে দেয় ঘুরন্ত লাটিম; যতক্ষণ লাটিম ঘুরে মনে হয় পুরো জগত আমার হাতের মুঠোয় ঠিক সেই ছোট্টবেলার মতো।

© শিখা (৩রা ডিসেম্বর, ২০১৫)

বিঃ দ্রঃ লেখাটা অনেক আগে প্রায় দু'বছর আগে ব্লগে পোষ্ট করেছিলাম। মুছে ফেলেছিলাম। শ্রদ্ধেয় ব্লগার খায়রুল আহসান ইদানিং এক মন্তব্যে উল্লেখ করেছিলেন যে গল্পটা ওনার খুব ভালো লেগেছিলো। ওনার জন্যই লেখাটা আবার পোষ্ট করলাম। আগে পড়ে থাকলেও আবার না হয় পড়লেনই। :)

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:৫০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: বরাবরের মতো চমৎকার আরেকটি গল্প পড়লাম। আপনার লেখার মান যথেষ্ট ভাল। আপনার কী কোন বই বের হয়েছে?

১৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:১৭

শিখা রহমান বলেছেন: কাওসার চৌধুরী প্রথম মন্তব্য এবং বরাবরের মতোই অনুপ্রেরণাদায়ক মন্তব্য। ধন্যবাদ। আপনি তুখোড় লেখেন। আপনি আমার লেখা পছন্দ করেছেন জেনে ভালো লাগলো।

নাহ!! আমার কোন বই বের হয়নি। লেখালেখির মাত্র বছর দুয়েক। আসলে ভাবিনি যে লেখা শুরু করলেও এতোদিন লিখবো। আমি বেশ অস্থির, বেশীদিন কোন বিষয়ে আগ্রহ ধরে রাখতে পারি না। মনে হচ্ছে লেখালেখির অভ্যাসটা টিকে যাবে। :) বই বের করলে ব্লগে জানাবো। কিনবেন কি?

ভালো থাকবেন। শুভকামনা ও পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা।

২| ১৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:২২

সুমন কর বলেছেন: ভালো লাগল।

১৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:১৮

শিখা রহমান বলেছেন: সুমন কর ধন্যবাদ কবি। শুভকামনা।

৩| ১৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: হয়তো আগে পড়েছি। অথবা পড়িনি।
কারন দুই বছর আগের পোষ্ট মনে রাখা আমার কর্ম না।

১৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:২২

শিখা রহমান বলেছেন: রাজীব নুর আপনি মনে হয় না এই লেখাটা পড়েছেন। তখন যারা আমার ব্লগে নিয়মিত আসতেন তারা অনেককেই আর দেখি না। :(

মধ্যে আমিও ব্লগে অনেকদিন আসিনি। আপনার সাথে পরিচয় বছরখানেকের। তবে আপনি আদর্শ পাঠক। গল্প মনে না রাখলেতো লেখকেরই সুবিধা। একই কুমীরছানা বার বার দেখানো যায়। :)

শুভকামনা। পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৪| ১৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: বই বের করলে ব্লগে জানাবো। কিনবেন কি?.....
অবশ্যই, এবং আপনি চাইলে প্রথম বইটা কিনবো। আগামী বই মেলায় আমার বই আসবে। আমি চাই আপনিও মনে মনে প্রস্তুতি নেন। সাহস করে শুরু করাটাই আসল। আপনি লেখুন নিয়মিত। গল্পের পাশাপাশি প্রবন্ধ, ফিচার ও রম্য লেখার চেষ্টা করুন। যারা পারে সবই পারে। শুধু প্রয়োজন ইচ্ছা শক্তি। আমি প্রবন্ধ দিয়েই লেখা শুরু করেছিলাম। এখন কবিতা ছাড়া সবই লেখি।

সাহিত্যের যত বেশি অঙ্গনে বিচরণ করবেন, লেখার মান ততো বাড়বে। লেখক হিসাবে প্রতিষ্ঠা পেতে সহজ হবে।

১৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪৩

শিখা রহমান বলেছেন: কাওসার চৌধুরী ধন্যবাদ উতসাহব্যঞ্জক মন্তব্যের জন্য। আপনার বই প্রকাশ হলে জানাবেন। আসলে বিদেশে থেকে বই প্রকাশ করা আর তারপরে বিক্রির জন্য ধরপাকড় করাটা খুব ঝামেলার মনে হয়। কোন একসময় হয়তো বই প্রকাশ করা হবে। একশোর ওপরে ছোটগল্প আর গোটা পঞ্চাশেক কবিতা লেখা হয়ে গেছে। দেখা যাক কি হয়!!

ভালো থাকবেন। আপনা্র ও আপনার বইয়ের জন্য শুভকামনা রইলো।

৫| ১৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সুন্দর।

১৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:২২

শিখা রহমান বলেছেন: মোঃ মাইদুল সরকার আমার ব্লগে স্বাগতম। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা ও ভালো থাকবেন।

৬| ১৫ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: @শিখা রহমান, আমি অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি যে আমার একটা মন্তব্যের সূত্র ধরে আপনার এ অসাধারণ গল্পটা আপনি একবার সরিয়ে নিলেও আবার পুনঃ প্রকাশ করলেন। এত সুন্দর গল্পটা কেন মুছে ফেলেছিলেন জানিনা, তবে পুনঃপ্রকাশের জন্য ধন্যবাদ।
গল্পটা আবার পড়লাম, আবারো ভাল লাগলো। তবে, এবারেরটা কি কিছুটা সম্পাদনা করেছেন?

১৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:২৮

শিখা রহমান বলেছেন: খায়রুল আহসান আমি সামান্য লেখক। আমার কোন লেখা কারো মনে আছে শুনলেই মন ভালো হয়ে যায়। আর আপনি আমার অত্যন্ত পছন্দের একজন লেখক-কবি ও মানুষ। আপনি বলেছেন আর আমি গল্পটা পোষ্ট করবো না তা সম্ভব নয়। আমিই আপনার ভালোলাগায় সম্মানিত। গল্পটা সম্পাদনা করিনি। তবে আগের পড়া গল্প অনেকদিন পরে আবার পড়লে অন্যরকম লাগে। গল্পটা নয়, পাঠকের দৃষ্টিভঙ্গীর বদলে যায় বলেই হয়তো।

ভালো থাকবেন। পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা। শুভকামনা ও ধন্যবাদ আবার পড়ার জন্য।

৭| ১৫ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৬

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: আপা?
আমি রাগ করেছি!!!!! :(
আপনি কখন পোস্ট দিয়েই ফুড়ুৎ করেন????:(




আমি আপনার বাড়ীতে আসলাম ধন্যবাদ দিতে???:(

১৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৩১

শিখা রহমান বলেছেন: নিজাম লেখা দেই আমার দিনের বেলায়, যখন দিগন্তের ওপারে রাত। লেখাটা দিয়েই ক্লাসে দৌড়াতে হলো। পড়ানোর কাজে অনেক কিছুই বড্ড সময় বাঁধা আর ব্যস্ততাও বেশী। এই জন্যেই বেশী বেশী লেখা দিয়ে আপনাদের জ্বালাতন করি না। উত্তর দিতে দেরী হলে অনেকে মনখারাপ করেন। :(

এখন ধন্যবাদ দেন। বাড়িতে আছি। :)

৮| ১৫ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:০৩

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: এত্তোগুলা ভালবাসাময়(বাড়ী নয় কিন্তু;)) ধৈন্যবাদ।;)

@"শিখা রহমানবলেছেন: নিজাম সব মায়েদের জন্য (আমিও আছি) ভালোবাসা।"

-- মায়েদের সবাই ভালবাসে। ভাইকেই কেউ কেউ বাসে না!!:(
(আমার বড় আপা(কাজিন), ওর বিয়ের আগে কত ভালবাসতো!!! ওর বেবী হবার পরে আমার ভাগে টান পড়েছে!!!:(

আমি প্রেমিক মানুষ!!!
প্রেম-ভালবাসা, ভাল কথা, ভালোমানুষ ছাড়া থাকতে পারি না।।:(

পোস্ট পড়েছি।
কমেন্ট করবো??
রাগ করবেন না তো???:(

১৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৩৫

শিখা রহমান বলেছেন: নিজাম ভাইয়ের ভালোবাসার সাথে মায়ের ভালোবাসার রেষারেষি কেন বলুনতো? আপেলের সাথেতো আর কমলার তুলনা চলে না। সব ভালোবাসারই কিছু রীতি আছে, যে যার জায়গায়। :)

পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ। অবশ্যই কমেন্ট করবেন। ভাগ্য ভালো যে জ্ঞান হারাননি। :) রাগ করবো কেন? ভালো লাগতেই হবে এমন তো কথা নেই। দোয়া পড়ে কিবোর্ডে ফুঁ দিয়ে কমেন্ট করে ফেলেন। :)

৯| ১৫ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:০০

মিথী_মারজান বলেছেন: চোখ যে মনের কথা বলে
চোখে চোখ রাখা শুধু নয়
চোখের সে ভাষা বুঝতে হলে চোখের মত চোখ (শিখা আপুর মত মন) থাকা চাই... :)

খুব সুন্দর লেখা আপু।
ভালোলাগা আর ভালোবাসা...:)

১৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৩৬

শিখা রহমান বলেছেন: মিথীমনি আমার মন বুঝতে হলে যে তোমার মতো মন থাকা চাইই চাই :)

পড়ার জন্য এত্তো আদর আর ভালোবাসা। ভালো থেকো আর আপুটাকে ভালোবেসো।

১০| ১৫ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৫৬

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: শৈশবের ঘটনাবলী থেকে গল্পের সূচনা। আর শেষে পুরাই নস্টালজিক (স্মৃতিবেদনাতুর) হয়ে গেলাম। শৈশবের স্মৃতি তো মানুষের সবচেয়ে বড় সম্পদ। সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে শুধুই বুক ঠেলে বেরিয়ে আসে দীর্ঘশ্বাস।

১৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৩৯

শিখা রহমান বলেছেন: অর্থনীতিবিদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। গল্পটা আসলে শৈশবের গল্পই। "শৈশবের স্মৃতি তো মানুষের সবচেয়ে বড় সম্পদ।" একদম মনের কথা। শুধু এই কারণেই এই লেখাটা আমার নিজের প্রিয়।

শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.