নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবিতা প্রেমী; একটু এলোমেলো; উড়নচণ্ডী; আর বই ভালবাসি। শব্দ নিয়ে খেলা আমার বড্ড প্রিয়। গল্প-কবিতা-মুক্ত গদ্য সব লিখতেই ভালো লাগে। \"কেননা লেখার চেয়ে ভালো ফক্কিকারি কিছু জানা নেই আর।\"

শিখা রহমান

পুরনো ইমেজারির ব্যবসা করি। চিত্রকল্প সস্তায় বানাই। টান টান রিমেকশিল্প, ওপরে ঝকঝক করছে স্কাই।.........লোকে পড়ে ভাবে এ তো নতুন, আনকোরা কৌটো। কিন্তু সেই একই, সেই একই বন্দিপ্রাণ ছটফট ভ্রমর....

শিখা রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

নেশা নেশা ভালোবাসা

২৮ শে মে, ২০১৮ রাত ১:৫৭


১.
“শুধু বাবু ভালোবাসে? বাবুর বাবা ভালোবাসে না?” রঞ্জনের ঠোঁটে মিটিমিটি হাসি। কি যে সব কথাবার্তা!! অরনী ওর চোখ এড়িয়ে টেবিলের ওপাশে জানালায় চোখ রাখলো। জুলাই মাসের পড়ন্ত দুপুর; এখন প্রায় তিনটা বাজে। বাইরে ঝকঝকে রোদের দিকে তাকালে ঘুমঘুম লাগে। ঢাকা গত পাঁচ বছরে খুব বদলে গেছে; নতুন সব আকাশচুম্বী অট্টালিকা; নতুন সব দোকান; আর চেনা মানুষগুলোও কেমন অচেনা।

ধানমন্ডির এই বহুতল শপিং কমপ্লেক্সের চারতলায় ফাস্টফুডের রেস্টুরেন্টে ওরাই মনে হচ্ছে সবচেয়ে বয়স্ক যুগল। আশেপাশে একগাদা স্কুলড্রেস পরা ছেলেমেয়ে হৈ চৈ করে খাচ্ছে।

- মেয়ের নাম কি রেখেছিস?
“নিঝুম...” বলেই একটু লজ্জা পেলো অরনী; একটু বিষন্ন।
- তোর মনে আছে?

ও আর রঞ্জন ঠিক করেছিলো মেয়ে হলে নাম রাখবে “নিঝুম” আর ছেলে হলে “নীল”। অরণী আবারো জানালার বাইরে ধানমন্ডি লেকের ছায়াছায়া শ্যাওলা রঙ্গা একটু রোদে ঝিলিক দেয়া জলে চোখ রাখলো। ও জানে রঞ্জন এখন গাঢ় চোখে ওর দিকে তাকিয়ে আছে; ওই চোখে চোখ রাখার সাহস ওর নেই; সবকিছু এলোমেলো হয়ে যাবে।

“অরু!!!” ডাক শুনে ওর ভেতরে কেঁপে উঠলো। “তুই না আগের চেয়েও সুন্দর হয়েছিস!!” অরনী এতোক্ষন পরে রঞ্জনের দিকে ভালো করে তাকালো; চোখের নীচে কালি পড়েছে; উড়ু উড়ু স্বপ্নীল চোখ ক্লান্ত; দীর্ঘ পল্লব গালের হনুতে ছায়া ফেলেছে; যথারীতি শেভ না করা নীলচে খোঁচা খোঁচা দাড়ি; ধারালো চিবুক আর সেই অদ্ভুত সুন্দর পাতলা ঠোঁটজোড়া। ওজন অনেক কমে গেছে; কেমন দুঃখী আর অসুস্থ দেখাচ্ছে ওকে।

- তোর শরীর এত্তো খারাপ হয়ে গেছে কেনো?
- সুন্দরী!!! তুই যে উড়াল দিয়ে আমেরিকা চলে গেলি...আমার যত্ন কে নেবে?

আবারো ফাজলামি!!! রঞ্জনের সাথে কথা বলাই ঝামেলা। “স্যার...ম্যাডাম...আপনাদের অর্ডার?” ওয়েটার আসাতে রক্ষা...না হলে রঞ্জুর মুখ যা খারাপ!! “ঝাল ফ্রাইড চিকেন দেন আমাকে আর ম্যাডামকে চিকেন শর্মা। কিরে এখনো শর্মা পছন্দ করিস তো?” অরনী হাসিমুখে মাথা নাড়ালো।

- স্যার এনি ড্রিঙ্কস?
- হুউউ...আমাকে কড়া মিষ্টি করে এককাপ দুধ চা আর ওকে লস্যি।

রঞ্জন কি তাহলে এখনও!!! না থাক...পরে জিজ্ঞেস করবে।

২.
ফোনের ওপাশে রঞ্জুর জড়ানো গলা “অরু...আমার জন্য একটু খাবার কিনে নিয়ে আয় না...”
- একটু পরেই ল্যাব আছে তো...
- একটা ল্যাব না করলে কি হবে? প্লিজ প্লিজ নিয়ে আয় না...খিদায় মরে যাচ্ছি যে...আমার লক্ষী অরু মনি!!!

এভাবে বললে কেউ মানা করতে পারে? দুপুরের ল্যাব বাদ দিয়ে অরনী খাবার কিনে রওনা হলো। ভার্সিটি থেকে ধানমন্ডি বেশী দূর না; রঞ্জু কয়েক দিন হলো হল ছেড়ে ওর মামার বাসায়। মামার সাথে ট্যুরে মামী প্রায়ই ঢাকার বাইরে বেড়াতে যান; রঞ্জন তখন বাসার পাহারাদার।

কলিংবেল বাজাতেই রফিক দরজা খুলে দিলো “আফা...ভালা আছেন?” ওকে এ বাসার সবাই বেশ ভালো ভাবেই চেনে। রঞ্জনের সাথে ওর প্রায় তিন বছরের সম্পর্ক; দু’জনে একই ডিপার্টমেন্টে সহপাঠী। একসাথে শুরু করলেও রঞ্জু এক বছর পিছিয়ে গেছে; অরনীর এটাই শেষ টার্ম।

শোবার ঘরে ঢুকতেই “অরু এলি? ঝাল চিকেন এনেছিস তো?” বিছানায় এলোমেলো চাদর জড়িয়ে শুয়ে আছে রঞ্জন। বক্স খুলে গপাগপ খাওয়া শুরু করলো; সারাদিন শেষে রাস্তার ধারে রিক্সাওয়ালারা যেমন প্রচন্ড ক্ষুধা নিয়ে খায় তেমনটা।

- জানিস কাল রাতের পরে আর খাইনি...
- জানি...অন্য জিনিষ খেয়েছিস নিশচয়ই...
- হুউউ...কালকের জিনিষটা ভালো ছিলো রে!! খুবই ভালো কোয়ালিটির গাঁজা। আগে বুঝলে আর সাথে ডাইল খেতাম না। একদম আউট হয়ে গেলাম!!! একটু আগে ঘুম ভাংতেই কি যে খিদা...মরে যাচ্ছিলাম...তুই প্রান বাঁচালি...

অরনী রাগ হতে যেয়েও কিছু বললো না; লাভ নেই; অনেক বলেছে। ও খুব চুপচাপ মেয়ে; কেউ ভাবেনি ও রঞ্জনের মতো এলোমেলো দুরন্ত একটা ছেলের প্রেমে পড়বে। যখন রঞ্জু নেশা শুরু করলো সবাই বলেছিলো সরে আসতে। কিন্তু অরনী যে নেশার সাথে বাজি ধরেছিলো। দু’বছর হয়ে গেলো; ও কি হেরে যাচ্ছে?

অরনীর মা বাবা ইতিমধ্যেই বিয়ের কথা বলছেন।
- রঞ্জু!! বাবা মা না আমেরিকায় থাকা এক ইঞ্জিনীয়ার পাত্রকে মোটামুটি ঠিক করে ফেলেছেন।
- ভালো তো বিয়ে করে ফেল...আমেরিকা থেকে মাঝে মাঝে ডলার পাঠাস।

কথা শেষ হতে না হতেই রঞ্জুর শরীর কাঁপা শুরু করলো। আগে ও শুধু গাঁজা খেতো; খেতে খেতে আর নেশা ধরে না; তখন শুরু হলো গাঁজার সাথে ডাইল। হাত পা কাঁপা, খিঁচুনি এইসব ডাইলের কারনে। অরনী মেঝেতে রাখা রঞ্জুর ব্যাকপ্যাক থেকে ফেন্সিডিলের বোতল বের করে ওর হাতে দিতেই পুরো বোতল একটানে শেষ। ও বিছানার পাশের টেবিল থেকে রঞ্জুকে চকলেট দিলো; রান্নাঘর থেকে বেশী চিনি দিয়ে দুধ চা বানিয়ে নিয়ে এলো। ও শিখে গেছে; ডাইলের পরে কড়া মিষ্টি খেলে নেশা জমে ভালো।

“কাঁদছিস কেনো অরু মনি?” বিছানার পাশে বসে থাকা অরনীর চোখ থেকে চাদরের ওপরে নিঃশব্দ জলের ফোঁটা। রঞ্জন ওকে একহাতে টানতেই অরনী পাখির ছানার মতো ওর বুকের মাঝে গুটিসুটি; কান্না ভিজিয়ে দিতে লাগলো রঞ্জুর বুক। অরনী হেরে গেছে; ওর ভালোবাসা নেশার কাছে হেরে গেছে।

- আহ্হা...কাদঁছিস কেনো খামোখা? আমার নেশাটা নষ্ট করবি না তো!!!

নাহ্...অরনী রঞ্জুর দামী নেশা নষ্ট করবে না। ও কান্না গিলে মিথ্যে বললো “এখানে আসার সময় আমার সাথে না রিক্সাওয়ালা খুব খারাপ ব্যবহার করেছে...তাই!!”

- আমাকে ডাকলি না কেনো?

রঞ্জন দু’হাতে ওর কান্না ভেজা মুখ তুলে ঠোঁটে চুমু খেলো “আজ তো তোকে রাজকন্যার মতো লাগছে!!! আমার রাজকন্যা...তোর সাথে যদি কক্ষণো কেউ খারাপ ব্যবহার করে আমাকে বলবি...আমি বকে দেবো!!! কাঁদে না সোনা...”

অরনীর এত্তো কষ্টের মাঝেও হাসি পেলো; রঞ্জু না এটা রঞ্জুর নেশা কথা বলছে; অরনীর দরকারের সময় ওকে বুঝি কখনো পাওয়া যায়!!!

৩.
- রঞ্জু!! তুই এখন কোথায় কাজ করছিস?

রঞ্জন ওর দু’বছর পরে পাশ করে বেরিয়েছে; আমেরিকায় থাকলেও অরনী বন্ধুদের কাছে থেকে টুকটাক খবর পায়।

- মামার ফার্মে আছি। অন্য কোথাও আমার পোষাবে না রে...বেশী কাজ করতে ভালো লাগে না।
- চল উঠি...খাওয়ানোর জন্য থ্যাঙ্কস!!
- তুই তো আমাকে সারা জীবন খাইয়েছিস...আজ একবার না হয় আমি খাওয়ালামই...

বাইরে বেরুতেই রোদের ঝলক; গরম হাওয়ার ধাক্কা। রিক্সা খুঁজতে খুঁজতে কিছুটা পথ চুপচাপ হাঁটা; অরনী ভাবছিলো রিক্সা না পেলেই ভালো, অনেকদিন পরে পাশাপাশি হাঁটা চলুক না আরো কিছুক্ষণ। রিক্সা ঠিক করে দিয়ে রঞ্জন বললো “অরু...আমাকে একশ ডলার দেতো!!! তোর কাছে ডলার আছে না?”

- তোকে তো কিচ্ছু গিফট দেইনি...এই নে তোর জন্য দুইশ ডলার।
- কিন্তু রঞ্জু!! তুই কি এখনো??
- নেশা পাল্টেছি রে...বড়লোকি নেশা ধরেছি...হেরোইন!!

অরনীর ব্যথিত মুখের দিকে তাকিয়ে ও বললো “নেশার ব্যাপার তুই বুঝবি না...চাইলেই ছাড়া যায় না!!!”

রঞ্জন চলে যাচ্ছে; ও কখনো পেছন ফিরে তাকায় না। অনেক আগে অরণীর দেয়া ছাই রঙ্গা পাঞ্জাবী পড়েছে; রঞ্জনকে মনে হচ্ছে একখন্ড ঝোড়োয়া মেঘ।

অরনী ওর চলে যাওয়া দেখতে দেখতে ফিসফিস করে বললো “বুঝবো না কেন রঞ্জু? নেশা তো আমিও করি...ভালোবাসার নেশা!!!”

© শিখা (৯ই নভেম্বর, ২০১৫)

মন্তব্য ৫৮ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৫৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মে, ২০১৮ রাত ২:০৭

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: সমাপ্তিটা সুন্দর হয়েছে। ভালোবাসার নেশা!!! আসলেই তো তাই। ভালোবাসা মানেই তো নেশা। এমন নেশা যাতে একবার আসক্ত হয়ে গেলে আর ছাড়া যায় না।

২৮ শে মে, ২০১৮ রাত ২:১৯

শিখা রহমান বলেছেন: অর্থনীতিবিদ ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। গল্পটা বেশ আগে লেখা। মাদকদব্য আসক্তি নিয়ে ব্লগে অনেকগুলো লেখা এসেছে। লেখাগুলো দেখে গল্পটার কথা মনে পড়ে গেলো আর তাই পোষ্ট করলাম। সবাই ভালোবাসার নেশায় আসক্ত হোক সেই শুভকামনা করছি।

পাঠক হিসেবে পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা। শুভকামনা ও ভালো থাকবেন।

২| ২৮ শে মে, ২০১৮ রাত ২:২১

রাকু হাসান বলেছেন: গল্প অনেক আগের । ৩ বছর !! আমরা কাছেও শেষ টা ভাল লেগেছে ।

২৮ শে মে, ২০১৮ রাত ২:৩৪

শিখা রহমান বলেছেন: রাকু হাসান গল্প আগের সেটা নীচে তারিখে আছে আর ওপরের প্রতিমন্তব্যে উল্লেখ করেছি। কিন্তু ব্লগে প্রথমবার পোষ্ট করেছি। যখন লিখেছিলাম তখন ব্লগে ছিলাম না। ড্রাগগুলো বদলে দেয়াই যেতো। যদি কখনো ছাপার অক্ষরে প্রকাশ করি তবে বদলে দেবো ইচ্ছা আছে।

আমার ব্লগে আপনার প্রথম পা রাখলেন। প্রথম মন্তব্য। আমার ব্লগে স্বাগতম।

আশাকরি মাঝে মাঝে পাঠক হিসেবে আপনাকে পাশে পাবো। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইলো।

৩| ২৮ শে মে, ২০১৮ রাত ২:২৫

মাহদী মুরাদ বলেছেন: শেষটা ভালো ছিল বেশ।

২৮ শে মে, ২০১৮ রাত ২:২৭

শিখা রহমান বলেছেন: মাহদী মুরাদ আমার ব্লগে স্বাগতম। পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম।

শুভকামনা। আশাকরি মাঝে মাঝে পাঠক হিসেবে আপনাকে পাশে পাবো। ভালো থাকবেন।

৪| ২৮ শে মে, ২০১৮ রাত ২:৩১

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: "নেশাতো আমিও করি....... ভালবাসার নেশা!!!"

হয়তো আমিও করি :|

২৮ শে মে, ২০১৮ রাত ২:৩৩

শিখা রহমান বলেছেন: ইব্‌রাহীম আই কে আপনি বেশ ভালো নেশা করেন। গাঁজা, হেরোইন, ডাইল, কোকেইন বা ইয়াবার চাইতে ভালোবাসার নেশা অনেক বেশী ভালো, সমাজের জন্য ও আপনার নিজের জন্যেও।

আমার ব্লগে স্বাগতম। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

শুভকামনা। আশাকরি মাঝে মাঝে পাঠক হিসেবে আপনাকে পাশে পাবো। ভালো থাকবেন।

৫| ২৮ শে মে, ২০১৮ রাত ৩:১৫

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: গাঁজা, হেরোইন, ডাইল, কোকেইন বা ইয়াবার চাইতে ভালোবাসার নেশা অনেক বেশী ভালো, সমাজের জন্য ও আপনার নিজের জন্যেও।

এখন অবশ্য মনে হচ্ছে ভালোবাসার প্রতি নেশা না থাকাটাই ভালো। এক কথায় কোন কিছুর প্রতি নেশা না থাকা ভালো।

ব্লগে নতুন। আমার ব্লগে আপনার দাওয়াত, ঘুরে আসবেন।

২৮ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৩

শিখা রহমান বলেছেন: ইব্‌রাহীম আই কে ধন্যবাদ প্রত্যুত্তরের জন্য। সময় পেলে আপনার ব্লগে ঘুরে আসবো অবশ্যই।

শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

৬| ২৮ শে মে, ২০১৮ ভোর ৬:০২

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: "নেশা নেশা ভালোবাসা!!!!!:(
এটা আবার কেমন শিরোনাম??

লেখকের রিমান্ড হইবে!! সে ইয়ং জেনারেশনকে কেন নেশার দিকে ঠেলে দিচ্ছে??X(



@"নেশা তো আমিও করি...ভালোবাসার নেশা!!!”
ছোট খোকা বড় হ, বড় হবি না,
ওরে এক টানে দুই টানে কিছু হয় না "(দু-একটা প্রেম করলে সমস্যা নাই):P
রঞ্জুকে দিয়ে হবে না!! আমাকে লাগবে!!:P
অরনীর কি বিয়ে হয়ে গিয়েছে???:P


গানাঃ
নেশা লাগিলো রে
বাঁকা দুই নয়োনে নেশা লাগিলো রে,
হাছন রাজা পেয়ারীর প্রেমে মজিলো রে....

২৮ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৮

শিখা রহমান বলেছেন: নিজাম আপনি কবিতা (ও কবিদের) পছন্দ করেন না বুঝতে পেরেছি। কিন্তু তাই বলে গল্প না পড়েই মন্তব্য। X(( অরণীর বিয়ে হয়ে গিয়েছে। :)

"নেশা লাগিলো রে" গানটা আমারও প্রিয়। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৭| ২৮ শে মে, ২০১৮ ভোর ৬:২৪

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: @"মেয়ের নাম কি রেখেছিস?“নিঝুম...”:(
--ভালমত না পড়েই, কমেন্ট কইরা ফাঁইসা গেছি:P


@" ঢাকা গত পাঁচ বছরে খুব বদলে গেছে;!
@"রঞ্জনের সাথে ওর প্রায় তিন বছরের সম্পর্ক"
-- বুঝলাম না??:(
অরনী কি বিদেশ ছিল??

২৮ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৪

শিখা রহমান বলেছেন: নিজাম "ভালমত না পড়েই, কমেন্ট কইরা ফাঁইসা গেছি :P" তাতো ফেঁসে গেছেনই বরাবরের মতো। যাইহোক চিন্তার কিছু নেই। অরনী বিবাহিত এবং আপনার প্রস্তাবে রাজী হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সে রঞ্জনকে ভালোবাসে। আর আপনারও যে নেশা আছে। কথা বলার নেশা। =p~

" বুঝলাম না??:(
অরনী কি বিদেশ ছিল??" আপনি বড্ড অস্থির। মন দিয়ে গল্পটা পড়েননি। X( অরণী আমেরিকায় থাকে, গল্পে আছে। :)

ভালো থাকবেন। শুভকামনা। কথা হবে আবার।

৮| ২৮ শে মে, ২০১৮ সকাল ৮:৫৫

মৌরি হক দোলা বলেছেন: গল্পটা আমার খুব ভালো লেগেছে :) :)

২৮ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৬

শিখা রহমান বলেছেন: দোলা মনি অনেক ধন্যবাদ আর আদর পড়ার জন্য। আশাকরি ভালো আছো।

শুভকামনা ও ভালোবাসা ছোট্ট মিষ্টি মেয়েটা। :)

৯| ২৮ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: অল্প বয়সী ছেলে মেয়েরাই বড় বড় শপিং মলের ফুডজোন গুলো জমজমাট করে রাখে।
অরুদের একজীবনে অনেকবার কাঁদতে হয় কারনে অকারনে।
রঞ্জু আর রঞ্জন যে একই ব্যাক্তি এটা বুঝতে আমার সময় লেগেছে।

মানুষের সবচেয়ে বড় নেশা হওয়া উচিত তিনটা- এক, বই পড়ার নেশা। দুই, সহজ সরল নিঃস্বার্থ ভাবে সব শ্রেণির মানূষকে ভালোবাসা। তিন, আর কাজের প্রতি ভালোবাসা।

২৮ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৭

শিখা রহমান বলেছেন: রাজীব সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। অরণীর ডাকনাম 'অরু' আর রঞ্জনের 'রঞ্জু।'

"মানুষের সবচেয়ে বড় নেশা হওয়া উচিত তিনটা- এক, বই পড়ার নেশা। দুই, সহজ সরল নিঃস্বার্থ ভাবে সব শ্রেণির মানূষকে ভালোবাসা। তিন, আর কাজের প্রতি ভালোবাসা।" সহমত!! সুন্দর বলেছেন।

ভালো থাকবেন। শুভকামনা।

১০| ২৮ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:১৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সুন্দর।

২৮ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৮

শিখা রহমান বলেছেন: মাইদুল পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। শুভকামনা।

১১| ২৮ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৩৪

নাজিম সৌরভ বলেছেন: ভার্সিটিতে পড়ার সময় মেয়েদের প্রেমে পড়ার ব্যপারটাকে আমার কাছে পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য মনে হত । ফুলের মত সুন্দর মেয়েগুলো কেন যেন চালচুলোহীন গাঁজাখোরদের প্রেমের আড্ডায় লাইন ধরে বসে যেত । এটা কি তাদের বোকামি, নাকি নিঃশর্ত ভালোবাসার প্রতিরূপ ।

২৮ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৩

শিখা রহমান বলেছেন: নাজিম সৌরভ আমার ব্লগে স্বাগতম। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

"এটা কি তাদের বোকামি, নাকি নিঃশর্ত ভালোবাসার প্রতিরূপ।" আমার জানামতে যারা নেশাখোরদের প্রেমে পড়েছে তারা ভেবেছিলো মানুষটার জীবন বদলে দেবে। ভালবাসা দিয়ে নেশা থেকে সরিয়ে আনবে। আমার চেনা মানুষগুলোর ক্ষেত্রে খুব কম সময়েই তা কাজ করেছে।

শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

১২| ২৮ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৪১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: নেশা তো আমিও করি, ভালবাসার নেশা!! B-)
বাহ!! চমৎকার একটি লাইন। আপনার লেখা বরাবরই আমার খুব ভাল লাগে, এটাও তার ব্যতিক্রম নয়।

আপা, অনেক রুমান্টিক ও ভাবুক। তবে অনেক জেদি একজন আত্মমর্যাদা সম্পন্ন নারী। আপনার লেখাগুলো পড়ে আমার এ বিশ্লেষণ। আপা, সব সময় ভাল থাকবেন।

২৮ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৬

শিখা রহমান বলেছেন: কাওসার আপনার মন্তব্য সবসময়েই অনুপ্রাণিত করে।

পড়ার জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা ও আপনিও অনেক ভালো থাকবেন।

১৩| ২৮ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৫৬

বিজন রয় বলেছেন: পড়বো? নেশা লাগবে না তো?

২৮ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৮

শিখা রহমান বলেছেন: বিজন লেখা দিয়ে নেশা ধরানোর মতো এমন শক্তিশালী লেখকতো আমি নই। পড়ে ফেলতেই পারেন।

আর এটা খুবই হালকা লেখা। ব্লগে নেশা নিয়ে অনেক পোস্ট দেখে মনে পড়লো।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

১৪| ২৮ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৬

লাবণ্য ২ বলেছেন: অনেক ভালো লাগল।

২৮ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪০

শিখা রহমান বলেছেন: লাবণ্য ২ ধন্যবাদ পড়ার জন্য ও মন্তব্যের জন্য। আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।

শুভকামনা। ভালো থাকবেন। মাঝে মাঝে ব্লগের পথে দেখা হবে আশাকরি।

১৫| ২৮ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩১

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: ভালো লিখেছেন আপু ,,,,




তবে লেখাগুলো এক ধাচের হচ্ছে...যেমন প্রেম বা পারিবারিক কেন্দ্রিক ,,,,

গল্পের একটু ভিন্নতা চাই ।।


দয়া করে সমালোচনা হিসাবে নিবেন না ।।


ধন্যবাদ আপু।।

২৮ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৫

শিখা রহমান বলেছেন: শাহরিয়ার কবীর ধন্যবাদ পড়ার জন্য ও মন্তব্যের জন্য। একদম ঠিক বলেছেন। মে মাসের সবগুলো লেখাই প্রেম বা পারিবারিক কেন্দ্রিক ছিলো। "পারিবারিক কেন্দ্রিক" বা স্মৃতিচারণমূলক লেখাগুলো ইচ্ছে করেই দিয়েছিলাম। বাবার জন্য।

প্রেমকেন্দ্রিক লেখাগুলো কবিতা ছিলো আর এটা নিয়ে দুটো গল্প। আসলে এই লেখাটা হঠাত দিলাম। ব্লগে নেশা নিয়ে অনেক পোষ্ট দেখে মনে পড়লো। নাহলে এতো তাড়াতাড়ি ব্লগে লেখা বা এই লেখাটা দেবার পরিকল্পনা ছিলো না।

ভালো থাকবেন। শুভকামনা। সামনের দু'তিনমাস একটু ব্যস্ততা যাবে। চেষ্টা করবো লেখা দিলেও অন্যরকম লেখা দিতে।

১৬| ২৮ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪১

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: হে...হে...হে....
এবার আর আমার হাত থেকে তোমার কেউ বাঁচাতে পারবে না, সুন্দরী!! :P


@"সুন্দরী!!! তুমি যে উড়াল দিয়ে আমেরিকা চলে গেলে.. এখন আমার যত্ন কে নেবে??:(
-- আর আমার???:(

২৮ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৪০

শিখা রহমান বলেছেন: নিজাম আপনার ভাগ্যে যে অরনী নেই সেটাতো আগের কমেন্টেই বলেছি। :) অন্য সুন্দরীদের পেছনে লাইন ধরুন, যারা উড়াল না দিয়ে আপনার পাশে থাকবে।

ভালো থাকবেন। শীঘ্রই কোন সুন্দরী আপনার ভাগ্যে জুটে যাক সেই শুভকামনা থাকলো।

১৭| ২৮ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:০৮

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: :(:( মনেহয় আজকে আমার খবর আছে!!:(
ও লেখক? আমার জন্য কি অপেক্ষা করছে?
লাঠির বাড়ী??:(
নাকি পদ ধূলি???

পা দুটো দ্যান, ধুলোবালি সংগ্রহ করি! রাগ হলে লাথিও দিতে পারেন! ভাববো ওটা আশীর্বাদ!!!:(


কমেন্ট আর করবো না, আমি পালাই!

২৮ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৪৫

শিখা রহমান বলেছেন: নিজাম বকবক করার পরে চিন্তা করলে হবে? কবি বলেছেন "ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না।" :) আপনিতো জানেনই আমার হাতে জালিবেত থাকে। আর পা এবং মন একদম পরিষ্কার। কোন ধূলাবালি নেই। তাই বুঝতেই পারছেন আপনার কপালে কি আছে? =p~

"কমেন্ট আর করবো না, আমি পালাই!" :) আজকের মতো ছেড়ে দিলাম। তবে পরের লেখাগুলোতে কমেন্ট করবেন অবশ্যই।

শুভকামনা। ভালো থাকবেন। আনন্দে থাকবেন সবসময়।

১৮| ২৮ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:২৪

সুমন কর বলেছেন: হুম, পড়ে গেলাম। এবার মোটামুটি লাগল !

২৮ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৪৮

শিখা রহমান বলেছেন: সুমন কর কবি গল্পটা তেমন গভীর নয়। একটা দুপুরের, একটা বিকেলের গল্প, ভালোবাসার বেদনার গল্প। আপনি পাঠক হিসেবে দারুণ!! আমার নিজের লেখার মূল্যায়নের সাথে আপনার পছন্দ মিলে যায় প্রায়শই। :)

শুভকামনা। পড়ার জন্য ও মূল্যবান মন্তব্যের জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন কবি।

১৯| ২৮ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:৪৬

শামচুল হক বলেছেন: চমৎকার গল্প খুব ভালো লাগল। ধন্যবাদ

২৮ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৪৯

শিখা রহমান বলেছেন: শামচুল হক আপনার মতো শক্তিমান লেখকের ভালো লাগা অনেক বড় পাওয়া। মন ভরে গেলো।

শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

২০| ২৮ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৪৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপুম‌ণি, আপনার লেখা খুব মান সম্পন্ন। এটা‌ ধ‌রে রাখুন। খুব সুন্দর স্টাই‌লে লেখা।

২৮ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৫৯

শিখা রহমান বলেছেন: সাজ্জাদ আপনার মন্তব্যটা পড়ে মন কি যে ভালো হয়ে গেলো!! আপনি আমার এই গল্পের নয় সমগ্র লেখার বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। যেহেতু নিয়মিত আমার লেখা পড়েন তাই আপনার মন্তব্যটা আমার কাছে খুব মূল্যবান।

আপনার মন্তব্যে অনেক অনুপ্রাণিত হলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার দিনটা আলো করে দেবার জন্য। আর পাঠক হিসেবে পাশে থাকার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা।

শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

২১| ২৮ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৫৪

তারেক ফাহিম বলেছেন: নিয়মিত না হলে তাও ছাড়া যায়।
সে হোক ভালোবাসা কিংবা অন্য কিছু।

গল্পের সমাপ্তি ভালো লাগলো।

২৮ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৫৮

শিখা রহমান বলেছেন: তারেক ফাহিম পড়ার জন্য ও সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। গল্পটা লিখেছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে দেখা কিছু ঘটনার প্রেক্ষিতে। আজ ব্লগে নেশা নিয়ে অনেকগুলো পোস্ট দেখে গল্পটা মনে পড়ে গেলো আর তাই পোষ্ট করলাম।

পাঠক হিসেবে পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন।

শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

২২| ২৮ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:০২

আহমেদ জী এস বলেছেন: শিখা রহমান ,




হুমমমমমমম....ভালোবাসার নেশা !
রঞ্জুরা কি জানে , সব নেশা একসময় ছাড়ানো গেলেও ভালোবাসার নেশার ঘোর কাটেনা কখনও ?

অন্যরকম নেশার কথা নিয়ে সুন্দর একটি লেখা ।

২৯ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৭

শিখা রহমান বলেছেন: আহমেদ জী এস সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। "সব নেশা একসময় ছাড়ানো গেলেও ভালোবাসার নেশার ঘোর কাটেনা কখনও?" সুন্দর বলেছেন!!

পড়ার জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা।

২৩| ২৮ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:৪৩

আখেনাটেন বলেছেন: আমাদের বাসায় কাজের জন্য পাশের গ্রামের এক লোক আসত। লোকে তাকে গাঁজাড়ু নামে ডাকত। কানে নামটা এখনও বাজে। বেশ নাদুস-নুদুস লোকটি। চেহারাও মাশাল্লা। কিন্তু পাড়ার লোকেরা বলে নাদুস-নুদুস চেহারা হলে কি হবে, গাঁজা খেয়ে খেয়ে ভিতরটা ঢংঢং (ফাঁপা) হয়ে গেছে। একটু ধাক্কা দিলেই পড়ে যাবে। :D

এখন গল্পে আসি: আপনার আগের গল্পের সাথে তুলনা করলে গল্পের গাঁথুনীকে ঐ লোকটির মতোই নাদুস-নুদুসই মনে হয়। বাকিটা.... :((

তারপরও আপনি লিখেছেন এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আশা করি এর পরেরটা দুর্দান্ত কিছু একটা পাব শিখাপার কাছে। শুভকামনা নিরন্তর।

২৯ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২২

শিখা রহমান বলেছেন: আখেনাটেন আমি কিন্তু বক্তব্যকেন্দ্রিক লেখক নই। আপনি যদি আমার লেখায় সবসময় কোন মেসেজ আশা করে থাকেন তবে আশাহত হতে পারেন। আনন্দের জন্য লিখি আর তাই দুর্দান্ত কিছু লিখবো ভেবে লিখতে বসি না। :)

তারপরও আপনি কষ্ট করে পড়েছেন এইজন্য আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমার লিখতে তেমন কষ্ট হয় না। যখন যাই লিখি আনন্দ নিয়েই লিখি। কষ্টতো পাঠকদের। :)

শুভকামনা ও ভালো থাকবেন।


২৪| ২৯ শে মে, ২০১৮ সকাল ৮:৪৩

অলিভিয়া আভা বলেছেন: আপনার গল্পগুলো সব কেমন যেন মায়াময়। যিনি এত মায়া নিয়ে গল্প লিখেন না জানি সে নিজে কত মায়াবতী !
শিখা রহমান আপনার যে ক'টা লেখা পড়েছি সবগুলোই কেমন যেন একটু আধটু নষ্টালজিক ধরনের। একটা মায়া তো অবশ্যই কাজ করে।

রঞ্জন ওকে একহাতে টানতেই অরনী পাখির ছানার মতো ওর বুকের মাঝে গুটিসুটি; কান্না ভিজিয়ে দিতে লাগলো রঞ্জুর বুক। অরনী হেরে গেছে; ওর ভালোবাসা নেশার কাছে হেরে গেছে। অরণী যে হেরে গিয়েও জিতে গেছে সেটা কি কেবল সেই জানে নাকি রঞ্জুও জানে ?

ভালোলাগার কথা আর আলাদা করে বলতে চাই না :)

২৯ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৭

শিখা রহমান বলেছেন: অলিভিয়া আভা ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আপনি সম্ভবত মে মাসে আমার পোষ্টগুলো পড়েছেন আর তাই আমাকে মায়াবতী মনে হচ্ছে। :) এই মাসটাতে আমি ইচ্ছে করেই স্মৃতিচারণ করেছি ব্যক্তিগত কারণে।

"অরণী যে হেরে গিয়েও জিতে গেছে সেটা কি কেবল সেই জানে নাকি রঞ্জুও জানে?" দু'জনেই জানে বলে আমার ধারণা। গল্পটা কারো জীবন থেকেই নেয়া।

শুভকামনা ও ধন্যবাদ গল্প পড়ার জন্য। ভালো থাকবেন। আশাকরি মাঝে মাঝে ব্লগে এসে সুন্দর মন্তব্য করে যাবেন।

২৫| ২৯ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:৫৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ভালোবাসার নেশার মতো বড় নেশা আর কিছুতে নেই! অন্য নেশাগুলো ভালোবাসার জন্যে ছাড়া যায়, কিন্তু ভালোবাসার নেশা কোনকিছুতেই ছুটে না! গল্পের নায়ক সত্যিকারের ভালোবাসার নেশায় ডুবতে পারেনি বলেই তো অন্য নেশা ছাড়তে পারেনি! আর নায়িকা? সব জেনে বুঝেও, নতুন শুরু করেও, পুরোন ভালোবাসার নেশা কখনো কাটিয়ে উঠতে পারবেনা। যারা ভালোবাসতে জানে তারা যে কি ভীষন অসহায় হয়!

গল্পটিও নেশা ধরানোর মতো। কি ভীষন সুন্দর করে সেটিং নির্মাণ করেন, চরিত্রগুলোকে প্রাণ দেন! ভীষন ভালো লাগল শিখা আপু!

৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৪৭

শিখা রহমান বলেছেন: "গল্পের নায়ক সত্যিকারের ভালোবাসার নেশায় ডুবতে পারেনি বলেই তো অন্য নেশা ছাড়তে পারেনি! আর নায়িকা? সব জেনে বুঝেও, নতুন শুরু করেও, পুরোন ভালোবাসার নেশা কখনো কাটিয়ে উঠতে পারবেনা। যারা ভালোবাসতে জানে তারা যে কি ভীষন অসহায় হয়! " পুরো গল্পটা কি সুন্দর করে অল্প কথায় গুছিয়ে বললেন।

আপনার মন্তব্য সবসময়েই অনুপ্রেরণা দেয়। ধন্যবাদ লেখাগুলো পড়ার জন্য।

শুভকামনা ও ভালো থাকবেন ব্লগের স্বঘোষিত পাগলী মেয়ে!!

২৬| ২৯ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:০৬

জাহিদ অনিক বলেছেন:
পারস্পারিক সৌহাদ্য আর সংযোগের অভাবে অনেক সম্পর্কই হয়ত আপাত দৃষ্টিতে মরে যায় বলেই আমরা দেখতে পাই।
অথচ সেগুলো একেকটা সুপ্ত আগ্নেয়গিরি হয়েই রয়ে যায়। কখনো সখনো দম পেলে বেদম ভালোবাসার জানান দেয়।

ভালোবাসার নেশা ভালো লাগলো।

৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৪৯

শিখা রহমান বলেছেন: জাহিদ ভালোবাসা রয়েই যায়। স্ফুলিঙ্গের মতোই গোলমেলে কিছু সম্পর্ক থাৈ। হাওয়া পেলেই আগুন ফিরে আসে।

পড়ার জন্য ও সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা প্রিয় কবি। ভালো থাকবেন।

২৭| ৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ১:১৩

মাআইপা বলেছেন:
খুব সুন্দর বলেছেন, “ভালোবাসার নেশা!!!”
আসলে দুটো নেশার পরিনতিই এক, ভিতরে ভিতরে নিঃশ্বেষ............

৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৫১

শিখা রহমান বলেছেন: মাআইপা "আসলে দুটো নেশার পরিনতিই এক, ভিতরে ভিতরে নিঃশেষ........" একদম ঠিক বলেছেন।

অনেকদিন পরে আপনার মন্তব্য পেলাম। ভালো আছেন আশাকরি। শুভকামনা ও পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

২৮| ৩০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৯

মিথী_মারজান বলেছেন: এত কষ্ট কেনো ভালোবাসায়!!! :(

আসলে মাদকের মতই আরেকটা ভয়ঙ্কর নেশা হলো ভালোবাসা।
খুব সুন্দর আর বুকে জমাট বাঁধা কষ্টমাখা এক বিচ্ছেদের গল্প।
কিছু বিচ্ছেদের আসলেই ক্ষমতা নেই আপু ভালোবাসাটুকু নি:শেষ করে দেবার।
থাকুক নাহয় কিছু কষ্ট হৃদয় খুব গভীরে ভালোবাসার চাঁদরে মুড়ে।

অনেক অনেক ভালোবাসা প্রিয় জারুল ফুল আমার।:)

৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৫৫

শিখা রহমান বলেছেন: মিথীমনি তুমি সবসময় এমন সব সুন্দর শব্দমালা উপহার দাও যে ইচ্ছে করে প্রতিদিনই লেখা দেই তোমার মন্তব্য পাওয়ার লোভে।

"কিছু বিচ্ছেদের আসলেই ক্ষমতা নেই আপু ভালোবাসাটুকু নি:শেষ করে দেবার।" আসলেই!! ভালোবাসা রয়েই যায়।

তোমাকেও এত্তো আদর মিষ্টি মেয়েটা। শুভকামনা ও ভালোবাসা।

২৯| ৩১ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:৫৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ভালোবাসার নেশা ভালোই লাগলো ।+

০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ১২:৪১

শিখা রহমান বলেছেন: সেলিম আনোয়ার সময় করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ প্রিয় কবি। আপনার ভালো লাগা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া।

শুভকামনা। ভালো থাকবেন সুন্দর সব কথামালাদের সাথে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.