নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবিতা প্রেমী; একটু এলোমেলো; উড়নচণ্ডী; আর বই ভালবাসি। শব্দ নিয়ে খেলা আমার বড্ড প্রিয়। গল্প-কবিতা-মুক্ত গদ্য সব লিখতেই ভালো লাগে। \"কেননা লেখার চেয়ে ভালো ফক্কিকারি কিছু জানা নেই আর।\"

শিখা রহমান

পুরনো ইমেজারির ব্যবসা করি। চিত্রকল্প সস্তায় বানাই। টান টান রিমেকশিল্প, ওপরে ঝকঝক করছে স্কাই।.........লোকে পড়ে ভাবে এ তো নতুন, আনকোরা কৌটো। কিন্তু সেই একই, সেই একই বন্দিপ্রাণ ছটফট ভ্রমর....

শিখা রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

খয়েরী রঙের অপলাপ

০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৫১



“মা!! জানো কি হয়েছে?” বড় ছেলে বাসায় এসে ব্যকপ্যাক নামাতে নামাতে একথা বলতেই চমকে তাকালাম। অনেকদিন হয়ে গেলো ছেলেটা এমনভাবে বলে না। ছোটাটা এখনো স্কুল থেকে তোলার সময়ে গাড়ীতে উঠেই বলে “Guess what happened today Mamma?” আরেকটু বড় হলেই কথার এই ফুলঝুরি বন্ধ হয়ে যাবে জানি; নিজস্ব জগত তৈরী হবে। সেই জগতের সীমারেখা বেঁধে দেয়া; বুঝে পা ফেলতে হবে যেন তার সেই গোপন জগতে অনধিকার প্রবেশ না হয়।

“আজ যখন লাইব্রেরীর কাছে বাস স্ট্যান্ডের দিকে হেঁটে আসছিলাম তখন একটা শাদা ছেলে পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়ে ইচ্ছে করে কনুই দিয়ে ধাক্কা দিলো। পাত্তা না দিয়ে চলে যাচ্ছিলাম কিন্তু সে ঘুরে দাড়ালো…আমাকে বললো ‘ধাক্কা দিলে কেন?’ আমি তার চোখে চোখ রেখে বললাম ‘আমি নয়...তুমি ধাক্কা দিয়েছো...’”

এতোদূর শোনার পরে আমার গলা শুকিয়ে গিয়েছে। বড়ছেলে খুব চুপচাপ, অন্তর্মুখী মানুষ; কিন্তু যখন রাগে তখন খুব রেগে যায় আর বড্ড জেদী। “তুই কি করলি? মারামারি করিসনি তো?” “নাহ!! সে তাকিয়ে ছিলো...তার চোখে চোখ রেখে আমিও মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ছিলাম কিছুক্ষণ...” “তারপরে?” আমার উদ্বিগ্ন মুখের দিকে তাকিয়ে ও হেসে দিলো “মাআআআ!!! ছেলেটা মারামারি বাধানোর জন্য মুখিয়ে ছিলো...তার হাতের আঙ্গুল মুঠো করা...চোখ নামিয়ে একটুপরে হেসেছি...বলেছি ‘No big deal..it’s alright!!’ আর তারপরে বাসে উঠে বাসায়। আমি তাকে দেখিয়ে দিয়েছি যে মানুষ হিসেবে আমি তার চেয়ে ভালো…এভাবেইতো মানুষের ধারনা বদলাতে হয়…মারামারি করে নয়!!”

চেপে রাখা নিঃশ্বাস ফেলে বললাম “I am so sorry Baba!!” “ঠিক আছে...I am used to it!!” “used to it” শুনে মনে পড়ে গেলো যখন ওর বয়স বছর দুয়েক আমেরিকায় কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের এক ঘনিষ্ঠ বান্ধবী প্রেগন্যান্ট শুনে অভিনন্দন জানাতে ফোন করেছিলাম। কুশলাদি জিজ্ঞাসা করার পরে এক পর্যায়ে সে বললো “শিখা...দোয়া কোরো যেন আমার বাচ্চাটা তোমার ছেলের মতো কালো না হয়!!” আমি খুব সহজে কাঁদি না আর কাঁদলেও কারো সামনে নয়। কিন্তু সেদিন তাড়াতাড়ি ফোন রেখে দিয়ে খুব কেঁদেছিলাম। আমার মানুষটা ব্যতিব্যস্ত হয়ে গিয়েছিলো।

বড় ছেলের জন্মের পর থেকেই শুনে আসছি “তোমরা দু’জনেতো এতো কালো নও ছেলেটা এমন রং পেলো কোথা থেকে?” যারা অরেকটু অনুসন্ধানী তাদের চিন্তার কম্পাস ঘুরেফিরে আমার মায়ের দিকে স্থির হতো “নানীর থেকে গায়ের রং পেয়েছে...” প্রচন্ড রাগ লাগতো; আমার প্রকৌশলী মা, কর্মজীবনে খুবই সফল একজন মানুষের সব অর্জন সেই গায়ের রঙে গিয়ে ব্যর্থ!! বছর পাঁচেক আগে বাংলাদেশ থেকে ফিরে বড় ছেলে বলেছিলো “মা...বাংলাদেশের মানুষ এত্তো রেসিস্ট কেন? ঠিক এখানকার মতো...”

যুক্তরাষ্ট্রের “Deep South” প্রদেশ মিসিসিপিতে আমার প্রথম চাকরী; ছোট ছেলের জন্ম সেখানেই। প্রেগন্যান্ট অবস্থায় এক আপা একদিন বাসায় ষ্ট্রবেরী নিয়ে এলেন; জানতেন যে আমি এই ফল পছন্দ করি না। বললেন “শোন...ভালো না লাগলেও প্রতিদিন ষ্ট্রবেরী খাবে...এতে করে বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা হবে...তোমার ছেলেটার গায়ের রংতো তেমন উজ্জ্বল না!!” প্রবাসে প্রায় সাত বছর; ততোদিনে আমি আমেরিকানদের একটা কথা মনেপ্রাণে ধারণ করে ফেলেছিলাম “If you are not paying my bill then it is none of your business.”

হাসিমুখে বললাম “আপনি প্রেগন্যান্ট অবস্থায় অনেক ষ্ট্রবেরী খেয়েছেন...তাই না আপা?” ওনার থতোমতো মুখের দিকে তাকিয়ে বলেছিলাম “আপনি বা ভাইয়াতো বেশ কালো কিন্তু আপনার ছেলেটা ফর্সা হয়েছে...” “না...না...ও এমনিতেই ফর্সা হয়েছে...” “তাহলে আমার বাচ্চাটাও এমনিতেই হবে...গায়ের রঙের কথা না ভেবে দোয়া করুন যেন একটা সুস্থ বাচ্চা হয়!!”

এক আফ্রিকান আমেরিকান সহকর্মী একদিন জিজ্ঞাসা করেছিলো “আচ্ছা...তোমার গায়ের রংতো তেমন শাদা নয়...বিয়ের সময়ে কি এই হালকা তামাটে রং একটা ফ্যাক্টর ছিলো?” চমকে গিয়েছিলাম “কিভাবে জানলে?” সে হেসে বলেছিলো “আমাদের মধ্যেও যেসব মেয়েদের গায়ের রং তুলনামূলক ভাবে উজ্জ্বল তাদের কদর বেশী!!” মনে মনে বললাম “পৃথিবীতে আর কোন কালো মেয়ে থাকবে না কখনও/ গৌরী সেন ক্রিম মেখে প্রত্যেকেই তুখোড় গোলাপি/ যেসব পুরুষ খোঁড়া, বংশে খুঁতো,/ যেসব উন্মাদ,কিংবা ডিভোর্সি, অথবা দোজবরে/…এমন পাত্রের জন্য কালো কালো মেয়ে/ কীভাবে সাপ্লাই দেবে আমার সমাজ?”

মিসিসিপি খুবই racially segregated একটা প্রদেশ; বর্ণবাদ এই প্রদেশে প্রতিষ্ঠানিক। আবাসিক এলাকা শাদা কালো হিসেবে বিভক্ত; সেই হিসেবে বাচ্চাদের স্কুল গুলোও। মিসিসিপিতে biracial কাপল দেখিনি কখনো; বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পর্যন্ত শাদা কালো তকমা দেয়া। গায়ের রং এখানে খুব বড় একটা বিষয়। বড় ছেলে এই রংবিভক্ত প্রদেশে তার কিন্ডারগার্টেন স্কুল শুরু করলো। খুব অল্প দিনের মধ্যেই সে বলা শুরু করলো যে সে অন্যদের মতো যথেষ্ট ভালো নয় কারণ তার গায়ের রং ডার্ক। মাঝে মাঝেই বলতো “মা...আমি তোমার মতো হইনি কেন? তুমি ফর্সা!!”

ছোট ছেলের জন্মের সময়ে মনেপ্রানে প্রার্থনা করেছিলাম যেন সে কালো হয়; অথচ সে অনেকখানিই ফরসা...আমার চেয়েও!! হাসপাতালে ছোট ভাইকে দেখে আমার বড় ছেলে বলেছিলো “মা...ও আমেরিকায় জন্মেছে আর আমি বাংলাদেশে...ও আমেরিকান বলেই কি এমন ফর্সা?” প্রচন্ড কষ্ট হয়েছিলো...আর সেইদিনই ঠিক করে ফেলেছিলাম এই শাদা কালো অচিনপুরীতে আমার দিন শেষ।

ক্যালিফোর্নিয়ায় এখন আমাদের বসতি। এই বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক ছোট্ট শহর বড্ড শাদা; অন্য রঙের বা অন্য দেশের মানুষ এখানে ঠিক যেন কোন সুন্দরীর দুধশাদা শরীরে তিল। এখানে যখন কেউ বলে “You are exotic,” “Interesting” বা “real” তখন চেষ্টা করি কমপ্লিমেন্ট হিসেবে নিতে যদিও বেশীর ভাগ সময়েই কোথাও একটা সুর বাজে যা বলে “কি আশ্চর্য!! তুমি অন্য রঙের, অন্য দেশের হলেও তেমন খারাপ নওতো যেমনটা ভেবেছিলাম!!” এই দাড়ি, কমা, সেমিকোলনের দেশে আজীবন বিস্ময়সূচক চিহ্ন হয়েই থাকলাম।

মিসিসিপির মানুষেরা খুব খোলামেলা ভাবেই (কখনো কখনো খুবই গর্বিত ভাবে!!) বর্ণবাদী এবং বর্ণবিদ্বেষী। জিজ্ঞাসা করলে খুব সহজেই উত্তর পেয়েছি “আমরা বাপু এতো রেখে ঢেকে কথা বলতে পারবো না...আমেরিকার অন্য প্রদেশে তারা মুখোশ পরে...আমরা তেমন নই!!” আসলেই কিন্তু তাই...তবে সময় বদলে যাচ্ছে। কেন যেন ইদানীং মনে হয় পুরো আমেরিকাই মিসিসিপি হয়ে যাচ্ছে। কোন রাখঢাক নেই; বর্ণবাদ বা বর্ণবিদ্বেষের জন্য মানুষ আর লজ্জা পায় না।

ছেলেটা বড় হয়ে গেছে; ছোট্টবেলার মতো সামান্য বিষয়ে আর বলা হয় না। আজ অনেক দিন পরে ওকে বললাম “I am proud of you Baba!!”

“Hold on to me as we go
As we roll down this unfamiliar road
And although this wave, wave is stringing us along
Just know you're not alone
'Cause I'm gonna make this place your home
Settle down, it'll all be clear
Don't pay no mind to the demons
They fill you with fear
The trouble—it might drag you down
If you get lost, you can always be found
Just know you're not alone
'Cause I'm gonna make this place your home…”

I KNOW I WILL!!!

© শিখা (৫ই জুন, ২০১৭)

মন্তব্য ৬৪ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৬৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:১১

সনেট কবি বলেছেন: বেশ সুখ পাঠ্য।

০৯ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:১৬

শিখা রহমান বলেছেন: সনেট কবি পড়ার জন্য ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

শুভকামনা। ভালো থাকবেন কবি।

২| ০৯ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৯

বিজন রয় বলেছেন: এসব সত্যিই আপনার জীবনের কথা?

না না, শুধু আপনার নয় সবার।

খুব নিচু মানসিকতার মানুষ আমরা।

০৯ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৭

শিখা রহমান বলেছেন: বিজন হুউউউ.....এই গল্পগুলো আমার জীবনের কথা।

আমরা অনেক সময়েই আয়না দেখতে ভুলে যাই। বর্ণবাদ, বর্ণবিদ্বেষ আসলে ভৌগলিক সীমারেখা দিয়ে বাঁধা যায় না।

পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৩| ০৯ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:২৫

মিথী_মারজান বলেছেন: অফ লাইনে পড়ছিলাম আপু।
আপনার সুন্দর লেখাটা পড়ে বাধ্য হলাম লগইন করতে।
আপনার আজকের টপিকটা চমৎকার বেছে নিয়েছেন।
গায়ের রঙ নিয়ে যাদের এলার্জি আছে আমি সবসময় তাদের করুণা করি।
আমার নিজের কথা বলি, আমার নিজেরই খুব শখ ছিলো আফ্রিকান মিষ্টি বাচ্চাদের মত কালো, গোলমুখো, কার্লি চুলের কিউট একটা মেয়ে বেবীর।
আর প্রেগনেন্সির সময় মেয়েদের উপর এই এক্সট্রা প্রেশারগুলোও আমি নিজেও অনেক ফেস করেছি।
অনাগত সন্তান ছেলে না মেয়ে, কালো না ফর্সা এসব নিয়ে কেউ আমাকে কিছু বলতে এলেই আমি সরাসরি বলতাম, আমার যেন আফ্রিকান বেবীদের মত কিউট কালো একটা মেয়ে হয় দোয়া করবেন।
আমার নিজের গায়ের রঙ কালো।
এটা নিয়ে কোনদিনও আমার মনে কোন কষ্ট ছিলোনা।
এটা ঠিক কিছু মানুষ কিছু সময় অনেক কথা বলেছে, তবে আমার কাছে কখনো পাত্তা পায়নি।
কারন আমার পরিবার ছোটবেলা থেকেই আমাকে বিশ্বাস করতে শিখিয়েছে আমি আমার মত সুন্দর।

আপনার বড় ছেলেটির কথা কি বলবো!
বাবাটা যে দেখতে কতটা হ্যান্ডসাম আর কিউট সেটা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
বড় বাবাটার হাসি আর চোখের এক্সপ্রেশন তো মারাত্মক সুন্দর!
(যারা গায়ের রঙ বিচার করে ওকে দেখবে, তারা প্রতিবারই ওর নিজস্ব সৌন্দর্য থেকে বঞ্চিত হবে)
আর আপনার ছোট বাবাটাও কিউটি কার্লি স্টাইলিশ!
মাশাআল্লাহ্।
দুইটা বাবার জন্যই আমার আদর রইল।

খুব মায়া হয় তাদের জন্য, পর্যাপ্ত শিক্ষিত হওয়ার পরও যারা গায়ের রঙের পিছু ছোটে।
বৈষম্যতায়পূর্ণ নোংরা মনের অধিকারী হওয়ার চেয়ে কালো গায়ের রঙের সুস্হ মনের মানসিকতা নিয়ে জন্মেছি জন্য মহান আল্লাহ্'র দরবারে কৃতজ্ঞতা।

০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:৫৬

শিখা রহমান বলেছেন: মিথীমনি মনছোঁয়া আর সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য ভালোবাসা। আসলেই "গায়ের রঙ নিয়ে যাদের এলার্জি আছে আমি সবসময় তাদের করুণা করি।" লেখাটা গত বছরের, যখন বড়টা বাসায় এসে ওই ঘটনাটা বলেছিলো। লেখাটাতে বলতে চেষ্টা করেছি যে বর্ণবিদ্বেষ সব সমাজেই আছে। আমরা অনেকেই কিন্তু না বুঝে অজানিতেই বর্ণবিদ্বেষী উক্তি বা মন্তব্য করে চলেছি।

আমার ছেলেগুলোকে এত্তো ভালোবাসার চোখে দেখার জন্য কৃতজ্ঞতা। ওদের জন্য দোয়া করো যেন ভালো মানুষ হতে পারে।

"বৈষম্যতায়পূর্ণ নোংরা মনের অধিকারী হওয়ার চেয়ে কালো গায়ের রঙের সুস্হ মনের মানসিকতা নিয়ে জন্মেছি জন্য মহান আল্লাহ্'র দরবারে কৃতজ্ঞতা। " খুব সুন্দর বলেছো। অনেক অনেক ভালোবাসা আর আদর মিথীমনি। তোমার গুল্লুপুটুশ বাবুটাকেও অনেক আদর আর দোয়া।

৪| ০৯ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৫৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: লেখাটি পড়ে অনেক ভাল লাগল আপু।
মিথী আপুর মন্তব্যও ভাল লেগেছে।+++

০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:৫৯

শিখা রহমান বলেছেন: সোহেল আপনার ভালোলাগা আমার জন্য বড় পাওয়া কারণ আপনি আমার ব্লগের নিয়মিত পাঠক। নিজের জীবনের কিছু ঘটনা/ অভিজ্ঞতা দিয়ে সহজ করে বর্ণবিদ্বেষ ও বর্ণবাদের ব্যাপারটা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

৫| ০৯ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:২৮

অচেনা হৃদি বলেছেন: মুদ্রার এপিঠ ওপিঠের মত সাদা কালো সব রঙের ভেতর যন্ত্রণা লুকিয়ে আছে । আপু ঘনিষ্ঠ সাদা রঙের কেউ আছে যে আপনার সাথে মন খুলে কথা বলে ? থাকলে একান্তে তাকে জিজ্ঞেস করে দেখুন তো সাদা রঙ নিয়ে সে কি সবসময় মজা পেয়েছে ? তার জীবনে এমন কোন দিন কি আসেনি যেদিন মনে হয়নি, "আমার বরং কালো হওয়া উচিৎ ছিল ।"
বর্ণের প্রতি মানুষের মোহ কেটে যাক । হৃদয়ের সৌন্দর্যটাকে দেখুক সবাই । জানি এই প্রার্থনা কবুল হবার নয়, তবুও এই প্রার্থনা জপে চলি । :(

০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:০৫

শিখা রহমান বলেছেন: অচেনা হৃদি "তার জীবনে এমন কোন দিন কি আসেনি যেদিন মনে হয়নি, "আমার বরং কালো হওয়া উচিৎ ছিল ।" আপনার মন্তব্যটা অনেকটাই Whitesplaining (The paternalistic lecture given by Whites toward a person of color defining what should and shouldn't be considered racist, while obliviously exhibiting their own racism.) হয়ে গেছে।

আপনি যে সমস্যার কথা বলেছেন সেটা তার চেহারা বা তার গায়ের রং নিয়ে তার ব্যক্তিগত ভাবনা। সামাজিকভাবে কোন ককেশিয়ানকে আমেরিকায় তার গায়ের জন্য সুবিধাবঞ্চিত হতে হয় না সেটা আমি আপনাকে নিশ্চিতভাবে বলতে পারি।

"বর্ণের প্রতি মানুষের মোহ কেটে যাক । হৃদয়ের সৌন্দর্যটাকে দেখুক সবাই ।" সেই শুভকামনায় আপনার সাথে আছি। ভালো থাকবেন। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৬| ০৯ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৫৭

আখেনাটেন বলেছেন: রেসিজম যে পশ্চিমা সমাজে এখনও খোলা ম্যানহোলের মতোই খোলা রয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এবং আপনি ঠিকই বলেছেন নানাকারণে এটা দিন দিন বাড়ছে বৈ কমছে না। (কলাবাগান১ ভাইজান এখানে দ্বিমত পোষণ করতে পারে)।

আমার এক পরিচিত মানুষের কথা বলি। ভাইয়ার গাঁয়ের রং কালো। নিউইয়র্কে কলেজ-ভার্সিটি শেষ করে ওখানেই জব করতে্ন। আপা আবার বেশ ফর্সা। আপার জন্মও আমেরিকাতে। আপা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক আর ভাইয়া গ্রিনকার্ডধারী। বিয়ের প্রায় দশ বছর পর বাচ্চা হয়েছে। এবং বলাই বাহুল্য বাচ্চাটা ভাইয়ার জিনটা শরীরে বেশি ধারণ করে ফেলেছে। আর যায় কোথায়। নানা মানুষের নানা কথা।
বাচ্চাটা যখন প্রথম স্কুলে যায় তখন থেকেই নাকি সমস্যা। অবশেষে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন এই রেসিস্ট সমাজে আর নয়। যদিও উনারা দুজনেই বেশ ভালো জব করতেন সেখানে।

২০১০ এর দিকে বাংলাদেশে চলে আসেন। এখন উত্তরাতে নিজেদের বাসায় থাকেন। বাচ্চাটাও এখানের একটি স্কুলে ভর্তি করে দিয়েছেন। নিজেরাও এখানেই ব্যবসা শুরু করেছেন।

প্রাথমিকভাবে তারা ভেবেছিল বাচ্চাটা একটু বড় হলে আবার ফেরত যাবেন। এখনতো মনে হচ্ছে বাংলাদেশে পাকাপাকিভাবে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। কিছু জিজ্ঞেস করলে হেসে বলে, বেশ আছি।

আপনার লেখা পড়ে মনে হল আসমান ও জমিনের মাঝে অনেক দূরত্ব থাকলেও মাঝের জায়গাটায় বিশাল এক শূন্যতার হাহাকার যা সবখানেই সমান না হলেও কমবেশি বিরাজমান।

০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:১৫

শিখা রহমান বলেছেন: আখেনাটেন বরাবরের মতোই সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

বর্ণবিদ্বেষ ও বর্ণবাদের ব্যাপারটা পশ্চিমা সমাজে, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রে গত কয়েকবছরে বেশ বেড়েছে। বর্ণবিদ্বেষ ও বর্ণবাদ ছিলোই, তবে ম্যানহোলে ঢাকনি ছিলো। যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমান লিডারশিপের কারণে ব্যাপারটা খোলামেলা হয়ে উঠেছে। খোলামেলা হলে আলোচনা, সমালোচনা হতে পারে ও সমস্যা থেকে উত্তরণের পথ খোঁজা যেতে পারে। কিন্তু আতঙ্কের বিষয় হচ্ছে যে আজকাল এখানে অনেকেই মনে করছে বর্ণবিদ্বেষী ও বর্ণবাদী হওয়াটা লজ্জার নয়,বরং গর্বের বিষয়।

আপনার পরিচিত যুগলের গল্প শুনে খারাপ লাগার সাথে সাথে ভালোও লাগলো। ওনারা বিশাল পৃথিবীতে নিজের সুখী গৃহকোণ খুঁজে পেয়েছেন শুনে আশাবাদী হয়ে উঠলাম। ওনাদের আমার আন্তরিক শুভকামনা।

"আপনার লেখা পড়ে মনে হল আসমান ও জমিনের মাঝে অনেক দূরত্ব থাকলেও মাঝের জায়গাটায় বিশাল এক শূন্যতার হাহাকার যা সবখানেই সমান না হলেও কমবেশি বিরাজমান।" আপনি আমার লেখাটার মূল বক্তব্য ধরতে পেরেছেন।

শুভকামনা। ভালো থাকবেন। সবসময় পাশে থাকার জন্য ও মন্তব্যে উৎসাহিত করার জন্য কৃতজ্ঞতা।

৭| ০৯ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: প্রথমে লেখাটা একবার পড়লাম।
মন্তব্য গুলো পড়ার পর লেখা টা আরেকবার পড়লাম।

০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:১৭

শিখা রহমান বলেছেন: রাজীব দুইবার পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যগুলো পড়ার পরে কি লেখাটা অন্যরকম লেগেছে নাকি প্রথমবারের মতোই?

শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

৮| ০৯ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:১০

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: হে... হে... হে....
খুঁজতে খুঁজতে লেখককে ২য় পাতায় পেয়ে গেলুম;)
আজকের লেখাটা আমি সবচেয়ে ভালো বুঝেছি, তবে বিষয় বস্তুর জন্য ঐ গাধাগুলোকে কচুকাটা করতে ইচ্ছে করছে..X(

পড়ুনঃ
কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি,
কালো তারে বলে গাঁয়ের লোক।
মেঘলা দিনে দেখেছিলেম মাঠে
কালো মেঘের কালো হরিণ-চোখ।


এই গাঁয়ের এক চাষার ছেলে লম্বা মাথার চুল,
কালো মুখেই কালো ভ্রমর, কিসের রঙিন ফুল!



সাদা বা ফর্সা মানেই কিন্তু সুন্দর নয়,আর কালো মানেই কিন্তু কুতসিত নয়।কাফনের কাপড় সাদা কিন্তু ভয়ানক। কাবা ঘর কালো কিন্তু অপরূপ। মানুষের সৌন্দর্য বাহ্যিক দৃশ্যে নয়, চরিত্র দ্বারাই মানুষ সুন্দর হয়।(আমি এই থিউরীতে চলি):)

০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:২৬

শিখা রহমান বলেছেন: নিজাম তুমি চলো ডালে ডালে আর আমি চলি পাতায় পাতায় :P পাতায় পাতায় না খুঁজে ব্লগে দেখলেই হয় যে নতুন লেখা দিলাম কিনা। :)

"কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি,/ কালো তারে বলে গাঁয়ের লোক।" রবিঠাকুরের যে কালো মেয়েকে নিয়ে কবিতা লেখার দরকার পড়েছিলো তাতেই বোঝা যার গায়ের রং নিয়ে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গীতে সমস্যা আছে। উনি কিন্তু "শ্বেতকলি আমি তারেই বলি, / শাদা তারে বলে গাঁয়ের লোক।" এই জাতীয় কোন কবিতা লেখেননি। কালো বা শাদা কোন রংকেই মহান করার দরকার নেই। রঙের ব্যাপারটা দিয়ে মানুষকে সংজ্ঞায়িত্ না করাটাই উচিত।

"মানুষের সৌন্দর্য বাহ্যিক দৃশ্যে নয়, চরিত্র দ্বারাই মানুষ সুন্দর হয়।" তুমি আর আমি এই থিওরীতে চলি বলেই না এত্তো মিল আর ঝগড়া :)

শুভকামনা। ভালো থেকো। লেখাটা বুঝেছো বলে জালিবেত তুলে রাখলাম।

৯| ০৯ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:২১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: রেসিজম আমি পছন্দ করি না। যদিও আমার গাঁয়ের রং আকর্ষণীয়। তবে অতটা শাদা নয়। লিখেছেন বেশ। :)

০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:২৯

শিখা রহমান বলেছেন: সেলিম আনোয়ার বর্ণবিদ্বেষ ও বর্ণবাদ কোন বিবেকবান মানুষের পছন্দ না হওয়ারই কথা।

পড়ার জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা কবি।

১০| ০৯ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৩১

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: @মিথী_মারজান,
দারুন, একেবারে দার্শনিক কথাবার্তা বন্ধু;)


আমার মাথায় একটা আইডিয়া এসেছে:
সাদা চামড়ার সাথে আফ্রিকানদের বিয়ে দেয়া হোক। তাহলে পরবর্তি প্রজন্ম সবাই শ্যমলা হয়ে যাবে। প্রবলেম সলভড;)


কালো মেয়ে-(সোহেল রানা)
কালো মেয়ে দেখতে কালো
কালো তোমার কেশ
কালো মেয়ে কালো মেয়ে
লাগছো দারুণ বেশ।
কালো মেয়ে দেখাও তোমার
মুক্তা ঝরা হাসি
কালো মেয়ে কালো মেয়ে
তোমায় ভালোবাসি।(কপি করলুম):)


পুনশ্চঃ আমি দেখতে শ্যমলা! তবে মেকাপ করলে হিরো হয়ে যাব:P

০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:৩২

শিখা রহমান বলেছেন: নিজাম "আমি দেখতে শ্যমলা! তবে মেকাপ করলে হিরো হয়ে যাব।" B:-) :D :D :D

বত্ব হিরোদেরও মেকাপ করে ফরসা হতে হয়। :)

১১| ০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:০১

মিথী_মারজান বলেছেন: @নিজাম ভাইয়া,
পুনশ্চঃ আমি দেখতে শ্যমলা! তবে মেকাপ করলে হিরো হয়ে যাব:P
হা হা হা।
আপনি ভাইয়া এমনিতেই ব্লগে সবার পছন্দের হিরো।;)
মেকাপ করে আপনাকে আর নাম্বার ওয়ান শাকিব খান সাজতে হবেনা।:P

আপনার নিজের থিওরিটাও সুন্দর।
ফর্সা মানেই সুন্দর নয়, কালো মানেই কুৎসিত নয় এটা।
তবে আপনার আইডিয়াটা পড়ে আমি হাসতে হাসতে শেষ!
সাদা চামড়ার সাথে আফ্রিকানদের বিয়ে দেয়া হোক।তাহলে পরবর্তী প্রজন্ম সবাই শ্যামলা হয়ে যাবে। =p~
কি দরকার এসব আইডিয়া এ্যাপ্লাই করার!!!
পরবর্তী প্রজন্ম হোকনা তাদের নিজস্ব রঙে সুন্দর!
কালো, শ্যামলা বা ফর্সা - কি আসে যাবে তাতে?

০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:৩৫

শিখা রহমান বলেছেন: মিথীমনি "সাদা চামড়ার সাথে আফ্রিকানদের বিয়ে দেয়া হোক।তাহলে পরবর্তী প্রজন্ম সবাই শ্যামলা হয়ে যাবে। =p~
কি দরকার এসব আইডিয়া এ্যাপ্লাই করার!!!
পরবর্তী প্রজন্ম হোকনা তাদের নিজস্ব রঙে সুন্দর!
কালো, শ্যামলা বা ফর্সা - কি আসে যাবে তাতে?" --- একদম ঠিক বলেছো। :)

তবে আমার মনে হয় নিজাম ঘটকালী ব্যবসায় নামতে চাচ্ছে। ব্যবসায় নামার আগে একটু প্রচারণা। নিজাম হবে সামু ব্লগের জনপ্রিয় 'ঘটক পাখি ভাই' =p~

১২| ০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:৪৪

জাহিদ অনিক বলেছেন:

খয়েরী রঙের অপলাপ নামটা সহ লোখাটাই ভালো লাগলো। মন খারাপ করার মত নয়, করুনা হবার মত। মিথী আপু যেমন বলল, গায়ের রঙ নিয়ে যাদের এলার্জি আছে আমি সবসময় তাদের করুণা করি।

০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:৩৮

শিখা রহমান বলেছেন: জাহিদ লেখাটা পড়ে আপনার প্রতিক্রিয়া শুনে মন ভরে গেলো। আমার লেখার উদ্দেশ্য সফল। গায়ের রং যাদের কাছে মানুষকে বিচারের মানদন্ড তারা করুণার পাত্রই।

লেখা পড়ে সবসময় মন্তব্যে অনুপ্রাণিত করার জন্য কৃতজ্ঞতা। শুভকামনা। ভালো থাকবেন প্রিয় কবি।

১৩| ০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:২৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপা, বরাবরের মতো চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে লেখেছে। লেখাটি পড়লে অনেক কিছু জানার আছে। আপনার প্রতিটি লেখা মনযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করি। তবে লেখাটি খুব ভাল লেগেছে।
@মিথী_মারজান আপার কমেন্টটি খুবই ভাল লেগেছে...........

অনাগত সন্তান ছেলে না মেয়ে, কালো না ফর্সা এসব নিয়ে কেউ আমাকে কিছু বলতে এলেই আমি সরাসরি বলতাম, আমার যেন আফ্রিকান বেবীদের মত কিউট কালো একটা মেয়ে হয় দোয়া করবেন।
আমার নিজের গায়ের রঙ কালো।
এটা নিয়ে কোনদিনও আমার মনে কোন কষ্ট ছিলোনা।
এটা ঠিক কিছু মানুষ কিছু সময় অনেক কথা বলেছে, তবে আমার কাছে কখনো পাত্তা পায়নি।
কারন আমার পরিবার ছোটবেলা থেকেই আমাকে বিশ্বাস করতে শিখিয়েছে আমি আমার মত সুন্দর।"...........

০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:৪৪

শিখা রহমান বলেছেন: কাওসার আপনি যে আমার লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়েন ও সবসময় সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত করেন সেজন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিনে অনেক বছর থাকার সুবাদে বর্ণবিদ্বেষ ও বর্ণবাদের অভিজ্ঞতা আছে। এইসব নিয়ে লেখার ইচ্ছে আছে। সময় করে লিখে ফেললে ব্লগে পোষ্ট করে দেবো।

আপনার গল্পগুলো কিন্তু দারুন হচ্ছে। সবগুলো পড়েছি। আপনার লেখা চোখ এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই, আলোচিত বা নির্বাচিত ব্লগে থাকেই।

আপনার ভালোলাগা অনেক বড় পাওয়া। শুভকামনা। ভালো থাকবেন ও সুন্দর গল্পে, লেখায় ব্লগ মাতিয়ে রাখবেন।

১৪| ০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:২৮

সুমন কর বলেছেন: জীবন ঘনিষ্ঠ লেখা। বাস্তবতা আর রাগ-হতাশা-ক্ষোপ-জিদ....অনুভূতিগুলো বেশ ছুঁয়ে গেল।
+।

০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:৪৭

শিখা রহমান বলেছেন: সুমন কর পড়ার জন্য ধন্যবাদ। জীবন থেকে নেয়া বলেই হয়তো অনুভূতিগুলো খুব জীবন্ত। লেখাটা আপনার মন ছুঁয়ে গেছে শুনে ভালো লাগলো।

শুভকামনা কবি। ভালো থাকবেন।

১৫| ০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:১৩

ওমেরা বলেছেন: দু:খ কষ্ট, রাগ, অভিমানে ভরা লিখাটা মন ছুয়ে গেল। সাদা- কালো আল্লাহর তৈরী এতে অহংকার, গর্ব করার যেমন কিছু নেই,তেমনি হতাশ হওয়ারও কিছু নেই।

আপু লিখাটা পড়ে খুবই খারাপ লাগল নিজেকে খুবই হীন্যমন্য মনে হল। কারন আমি নাকি ছোট বেলায় কালো মানুষের কুলে যেতাম না কালো মানুষ দেখলেই চোখ বন্ধ করে ফেলতাম আর কান্না করতাম ।

আমি তখন খুব ছোট আমাদের বাসায় ভারা থাকত আমার আম্মুর কাজিন আমার মামা । সে প্রতিদিন বিকাল বেলা আমাদের বাসায় আসত আব্বু আম্মুর সাথে গল্প করতে । সে আমাকে কুলে নিত চাইত কিন্ত তাকে দেখলেই চিৎকার করতাম , এরপর যখন একটু বড় এই ২/৩ বছর বয়স সে যতক্ষন আমাদের বাসায় থাকত সেই রুমেই আমি যেতাম এতে একদিন সে হেসে হেসেই বলেছিল আমি দোওয়া করি তুমি বড় হয়ে একটা কালো বর পাও আর তোমার ছেলে হবে আমার মত কালো, এখন তুমি আমার কুলে আস না তখন তোমার কুলে থাকবে কোলে থাকবে কালো ছেলে ।

এরপর সুইডেন যখন আমরা এলোনাদের ওখানে ছিলাম, এলোনা আমাকে অনেক আদর করত ওর সাথে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেত একদিন ওর সাথে একটা জুতোর দোকানে ডুকেছি তখন এক আফ্রিকান মহিলা সাথে জমজ দুইটা মেয়ে নিয়ে এসেছে । তিন বছর হবে বয়স কিন্ত এত বেশী কালো আমি একেবারে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি। এলোনা এটা খেয়াল করে,” খুব সুন্দর না “

আমি ,” না একটুও সুন্দর না “ এলোনা কেন? আমি কেন আবার অনেক কালো, আমার কাছে সুন্দর লাগে না ।

আপু কিছু মনে করবেন না কিন্ত তখন আমি ছোট ছিলাম তাই । তবে এখন ফর্সা মেয়ে যেমন তেমন ফর্সা ছেলে একদমই ভাল লাগে না মেয়ে মেয়ে লাগে ।

ফর্সা মেয়ে ও যদি চেহারা ভাল না হয় সেটা কালোর যেয়েও বেশী বিশ্রী লাগে। আর আমার হৃদয়ের পুরোটাই জুড়ে আছে ব্ল্যাক ডায়মন্ড।

আপু অনেক কিছু তো বলে ফেল্লাম কিছু ভুল বল্লে ক্ষমা করবেন । আর আপনার ছেলেদের জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা আপু।

০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:২৭

শিখা রহমান বলেছেন: ওমেরামনি তুমি আসলে খুব সহজ, সরল একজন মানুষ। তুমি ছোট্টবেলায় কালো মানুষদের ভয় পেতে তার কারণ সম্ভবত আশে পাশে তেমন মানুষ দেখোনি বা আশেপাশের মানুষদের মন্তব্য শুনে ভয় পেয়েছো। বাচ্চারা পারিপার্শ্বিকতা থেকে অনেককিছু শিখে নেয়। আর বাচ্চারা রেখে ঢেকে বলতে পারে না বলে তাদের কথাগুলো অনেক নিষ্ঠুর হয়। আমার বড় ছেলেটার রং নিয়ে মিসিসিপিতে স্কুলে বাচ্চাগুলো খুব কঠিন আর নির্মম মন্তব্য করতো। আমার অবশ্য বাচ্চাগুলোর ওপরে কখনো রাগ হয়নি। ওরা আশেপাশে যা দেখে তাইতো শিখবে। খারাপ লেগেছিলো যে বাচ্চাগুলো কি সংকীর্ণ মন নিয়ে বড় হচ্ছে।

এই যে তুমি পৃথিবী দেখেছো, তোমার মানুষকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গী বদলে গেছে এই ব্যাপারটা অদ্ভুত সুন্দর, এই ব্যাপারটাই কাঙ্খিত!! আসলে "প্রথমে দর্শনধারী তারপরে গুণ বিচারী।" প্রথম দেখাতে কোন মানুষকে বিচার করা সহজাত প্রবৃত্তি। তবে সময় নিয়ে মানুষটাকে জানার চেষ্টা করাটা উচিত।

তুমি খুব মিষ্টি করে গল্প বলেছো। মনছোয়া মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্য তোমার লেখার মতোই সাবলীল, সহজ আর সুন্দর। এত্তো ভালোবাসা ওমেরা মনি। ভালো থেকো।

১৬| ০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৩১

ওমেরা বলেছেন: আপু আপনার প্রতিমন্তব্য পরে কি যে ভাল লাগছে ——— অনেক , অনেক খুশী হয়েছি আপু । আপু অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।

১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:৫১

শিখা রহমান বলেছেন: ওমেরা মনি তোমাকেও অনেক অনেক ভালোবাসা। শুভকামনা। ভালো থেকো।

১৭| ০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৩২

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: @"পাতায় পাতায় না খুঁজে ব্লগে দেখলেই হয় যে নতুন লেখা দিলাম কিনা।"
:`>:`>:`>:``>>
এবার আর ডাল নয়, পাতা নয়, এক্কেবারে উড়ে আসলাম!;)
ওকে,
আমার আইডিয়া বাদ, আপনাদের সাথে সহমত।:(


@"বত্ব হিরোদেরও মেকাপ করে ফরসা হতে হয়।"
-- বত্ব কি??

ব্লগে শায়মা আপা নাই!
মনখুলে কাউকে কমেন্টও করতে পারি না!:(
ব্লগে আসলে নিজেকে এতিম এতিম মনে হয়!!

পুনশ্চঃ
আমাকে শামা আপা তার গাওয়া কয়েকটা গান দিয়েছে...;)

০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৪৫

শিখা রহমান বলেছেন: নিজাম উড়ে আসলে কি ভাবে? পাখা আছে নাকি? :P "পিপীলিকার পাখা ওঠে মরিবার তরে।" :(

বত্ব কি?? B:-/ BTW (by the way) বাংলায় বত্ব (বাংলা কিবোর্ডে BTW) লেখা হয়। :-P

"ব্লগে শায়মা আপা নাই!
মনখুলে কাউকে কমেন্টও করতে পারি না!:(
ব্লগে আসলে নিজেকে এতিম এতিম মনে হয়!!" আহারে!! শায়মা শিঘ্রীই সুস্থ হয়ে ফিরে আসবে ইনশাল্লাহ!!

তোমাকে সব্বাই এত্তো এত্তো ভালোবাসে। আসলে তুমি শায়মাকে মিস করছো। ব্লগের সবাই ওকে অনেক অনেক মিস করছো। আর মন খুলে না হোক কিবোর্ড খুলে যে কমেন্ট করপছো সেটাতো দেখি বিভিন্ন পোষ্টে :)

ভালো থেকো। মনখারাপ করো না। আমার পোষ্টে তোমাকে আনলিমিটেড কমেন্ট করার অনুমতি দিলাম। :)

১৮| ০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৫৮

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: আমি নিজেকে ভাবতাম অপু, আর শায়মা আপাকে ভাবতাম দুর্গা!(পথের পাঁচালীর মত) সে না থাকায় মনটা খারাপ!:(

আর কমেন্ট?
আমি ব্লগে থাকলে ইচ্ছে কমেন্ট করি!(না পড়েই নয় কিন্তু)
নিজেকে দশ জনের সমান ভাবি!(পাঠক হিসেবে):P

ও হ্যাঁ, আমি কিন্তু টাচপ্যাডে লিখি!:)

১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:৫৪

শিখা রহমান বলেছেন: নিজাম "আমি ব্লগে থাকলে ইচ্ছে কমেন্ট করি!(না পড়েই নয় কিন্তু)" কবিতা হলেও? :P

"নিজেকে দশ জনের সমান ভাবি!(পাঠক হিসেবে):P" হুউউউ......সেই হিসাবে তোমার দশটা কমেন্ট করা এমনিতেই আসে। :)

ভালো থেকো। আমিও সামনে একটু ডুব দেবো।

১৯| ১০ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:২৭

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: চমৎকার একটি বিষয় তোলে ধরেছেন। আমারো মন খারাপ হয়ে যায় যখন মানুষ বর্ণ বৈষম্যর স্বীকার হয়।

১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:৫৫

শিখা রহমান বলেছেন: সুজন আপনার মন্তব্যে সমসময়েই অনুপ্রাণিত হই। ভালো থাকবেন। পাঠক হিসেবে সবসময় পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা। শুভকামনা।

২০| ১০ ই জুন, ২০১৮ রাত ৩:০১

রাকু হাসান বলেছেন: জীবনের অংশ .বেশ ভালবাবে তুলে ধরেছেন শিখা আপু..গল্পটি একদমেই পড়লাম..

১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:৫৬

শিখা রহমান বলেছেন: রাকু হাসান সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনার লেখাটি ভালো লেগেছে জেনে মন ভরে গেলো।

শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

২১| ১০ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৬:৩৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমি রেসিজম ব্যাপারটিকে হয়ত বুঝিনা আপু। আমার কাছে রেসিজম অনেক বড় একটা ব্যাপার। যখন কাউকে তার গায়ের রং, শরীরের কোন ফিচার বা কোন স্পেসিফিক রেসের কারণে ভোট দেবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনে বাধা দেওয়া হয় - যেমন চাকরি পাবার ক্ষেত্রে পিছিয়ে রাখা হয় অথবা ইভেন হত্যা করা হয় তবে সেটা রেসিজম।

একটা মানুষকে তার গায়ের রং এর কারণে সুন্দর মনে করা হচ্ছে না সেটা রেসিজম!? তাহলে আমি রেসিস্ট! কেননা আমার লম্বা, শ্যামলা এবং কালো ছেলেদের বেশি হ্যান্ডসাম মনে হয়, ফর্সা ছেলেদের একটু মেয়েলী লাগে। অবশ্য ব্যতিক্রমও অনেকে আছে।

আমার মনে হয়, বাহ্যিক সৌন্দর্য বিচারে গায়ের রং কে একটা ক্রাইটেরিয়া ভাবা যদি অন্যায় হয়, তবে সো কলড হেয়ার, হাসি, চোখের ক্ষেত্রেও তাই হওয়া উচিৎ! কেননা আমার গায়ের রং এর ওপরে যেমন আমার হাত নেই, তেমন অন্যকোন বডি ফিচারের ওপরেও নেই।

একজন কৃষ্ণকলির কথা লিখে রবীঠাকুর মহান হলেন। কেন? তিনি তো কৃষ্ণকলিকে সৌন্দর্যের বাইরে গিয়ে ভাবেননি! এক জোড়া কালো গভীর চোখের প্রেমে পড়েছিলেন। একই ব্যাপার নয় কি? কারো গায়ের রং দেখে প্রেমে পড়া আর তার চোখ/নাক দেখে প্রেমে পড়ার পার্থক্য কোথায়? দুটোতেই তো আমরা আল্লাহ প্রদত্ত বিষয়কে বিচার করার ধৃষ্টতা দেখাচ্ছি!

অনেকে বলেন আমি তো কালোকেই বেশি সুন্দর মনে করি! অথবা গায়ের রং ব্যাপার না, চোখ সুন্দর হলে আর গালে টোল পড়লেই হলো! আরেহ ভাই! একই ব্যাপার! তার মানে আপনি ফর্সাকে সুন্দর মনে করছেন না, টোলহীন হাসিকে মূল্য দিচ্ছেন না এন্ড উই আর ব্যাক ইন দ্যাট সেম সার্কেল!

আমার মনে হয়, সৌন্দর্যের একেক ডেফিনিশন আমাদের সবারই আছে। শিখা আপু আপনারও আছে হয়ত। যে এমন হাইটের এমন হাসির ছেলে বা মেয়ে আমার কাছে সুন্দর। চোখের ও মনের সেই ভাবনাকে আমরা ইগনোর করতে পারিনা এন্ড দ্যাটস ওকে। যার নয়নে যারে লাগে ভালো! কিন্তু সেই সৌন্দর্যের ধারণার ওপরে ভিত্তি করে কাউকে ছোট বড়, সম্মান অসম্মান, প্রপোজ রিজেক্ট করার অধিকার আমাদের কারোরই নেই।

সৌন্দর্যের মাপকাঠি মানুষ//জাতি/দেশ ভেদে যাই হোক না কেন, মানুষের মাপকাঠি সর্বদা মানবতা হোক!

১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:০৬

শিখা রহমান বলেছেন: তোমার সুন্দর ও সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। তুমি রেসিজম অবশ্যই ভালো করেই বোঝ, যেটা তুমি তোমার মন্তব্যের প্রথম প্যারাগ্রাফে লিখেছো।

দ্বিতীয় প্যারাগ্রাফ থেকে (আমি যতোটুকু বুঝেছি) তুমি ব্যক্তিগত সৌন্দর্যবোধকে বা প্রেমে পড়ার ব্যাপারটাকে বর্ণবাদ ও বর্ণ বিদ্বেষের সাথে মিশিয়ে ব্যাখ্যা করেছো। যখন আমি কোন শ্যামলা ছেলেকে দেখেই ভালো মানুষ ভাববো আর কালো/সাদা মানুষকে দেখেই তাকে অপছন্দ করা শুরু করবো, তখনই সম্ভবত আমি বর্ণ বিদ্বেষের মাঠে পা দিচ্ছি। "প্রথমে দর্শন ধারী তারপরে গুণ বিচারী" তাই না। দর্শনেই যখন মানুষকে বিচার করা শেষ হয়ে যায়, তখনই বর্ণবাদ ও বর্ণ বিদ্বেষের শুরু।

"সেই সৌন্দর্যের ধারণার ওপরে ভিত্তি করে কাউকে ছোট বড়, সম্মান অসম্মান, প্রপোজ রিজেক্ট করার অধিকার আমাদের কারোরই নেই।

সৌন্দর্যের মাপকাঠি মানুষ//জাতি/দেশ ভেদে যাই হোক না কেন, মানুষের মাপকাঠি সর্বদা মানবতা হোক!"
সহমত!! একদম এই কথাটাই আমি লেখায় বলতে চেয়েছি।

শুভকামনা। আর অনেক ভালোবাসা সুন্দর কথাগুলোর জন্য। ভালো থেকো পাগলী মেয়ে!!

২২| ১০ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: রাজীব দুইবার পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যগুলো পড়ার পরে কি লেখাটা অন্যরকম লেগেছে নাকি প্রথমবারের মতোই?

শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

না মন্তব্য পড়ে লেখা ভালো বা মন্দ লাগেনি।
কিন্তু কত রকম মানুষ, তাদের মন্তব্যও কত রকম। এটা আমাকে ভাষায় হাসান আনন্দ দেয়।

১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:০৮

শিখা রহমান বলেছেন: রাজীব এই ধরনের লেখা এই জন্যেই ব্লগে এলে ভালো লাগে আমার। লেখা পড়ার পরে মন্তব্যগুলো পড়ে অনেক কিছু জানা যায়, একটু আধটু মন্তব্যকারীকেও। :)

সবসময়ে আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন অনেক।

২৩| ১০ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৪৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: `কালো যদি মন্দ গো তবে কেশ পাকিলে কান্দ কেনে হায়---
নিতাইর সেই পুরানো আক্ষেপ যেন জনম জনমের!

অজ্ঞানতাই রেসিজম, মূর্খতাই রেসিজম, লোভ, মোহ, ক্রোধ, অহংকার রেসিজম!
শুধু গায়ের রং নয়, নিজের চিন্তা ভাবনা, মতামত জোর করে অন্যের উপর চাপানোতেই কি সেই মানসিকতার প্রকাশ নয়!
আর বিশ্বের অন্যতম রেসিস্ট পণ্য ফেয়ার এনড লাভলী! বারবার এই চেতনায় ঘি ঢালছে!
আমার মতে এই বিজ্ঞাপন সারা বিশ্বেই বন্ধ করে দেয়া উচিত!
সৌন্দর্য মানে সাদা ত্বক নয়!

কমনওয়েলথ হাইকমিনশার নামটা মনে পড়ছে না- কোন উপলক্ষে উনার বাসায় গেলে ঈদে দাওয়াত দিয়েছিলাম
উনার সাথে পুরো পরিবার এবং প্রতিবেশী সহ এসেছিলেন। চোখ আটকে গেছিল এক কৃষ্ণ সুন্দরীর উপর!
ও এম জি!!
মানুষ এত সুন্দর হয়!!!!
ক্রাশ মানে সেইরাম ক্রাশ!!!
আর স্বভাবতই মেয়েরা সবার আগে ফিল করে- তার সেই মিটি মিটি হাসি যেন গালে টোল পড়া বা সুন্দর গালে তিলের মতো আরো বেশি সুন্দর করে তুলছিল! :P

অনেক অনেক সময় ছিল সেই ক্রাশানুভব!

আপনিতো যাদুর কাঠি লেখা দিয়েছেন। সবার কত্ত কত্ত মনের কথা বেরিয়ে আসছে ;) হা হা হা

জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হোক ভুবন
কেটে যাক যত অন্ধকার আর ভ্রান্তি মনের
মনে ভরে থাক কেবলই সুন্দরের আহবান
সাদা-কালো অভেদ শুধু সত্য সুন্দর সন্ধান।

১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:১৩

শিখা রহমান বলেছেন: বিদ্রোহী আপনার মন্তব্যটা দারুণ। পড়ার সময়ে হাসলাম এবং ভাবলামও। :)

আপনার মতো আমিও টুকটাক TALL GLASS OF HOT CHOCOLATEদের ওপরে ও এম জি ক্রাশ খেয়েছি। :P

"আপনিতো যাদুর কাঠি লেখা দিয়েছেন। সবার কত্ত কত্ত মনের কথা বেরিয়ে আসছে ;) হা হা হা" আপনার মনের কথাগুলো মজা লেগেছে। :)

"জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হোক ভুবন
কেটে যাক যত অন্ধকার আর ভ্রান্তি মনের
মনে ভরে থাক কেবলই সুন্দরের আহবান
সাদা-কালো অভেদ শুধু সত্য সুন্দর সন্ধান।"
সুন্দর বলেছেন কবি।

মজার ও সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য এত্তো ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন কবি। শুভকামনা।

২৪| ১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:২৫

কুসুম কানন বলেছেন: বাহ্যিক সৌন্দর্যের চেয়ে মনের সৌন্দর্যই অধিক গুরুত্বপূর্ণ!!

১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:১৬

শিখা রহমান বলেছেন: কুসুম কানন আমার লেখায় আপনার প্রথম মন্তব্য। আমার ব্লগে স্বাগতম!!

"বাহ্যিক সৌন্দর্যের চেয়ে মনের সৌন্দর্যই অধিক গুরুত্বপূর্ণ!!" একদম লেখাটার সারমর্ম এক বাক্যে বলেছেন।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আশাকরি মাঝে মাঝে আপনাকে পাঠক হিসেবে পাবো।

শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

২৫| ১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:১৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সৌন্দর্যের মাপকাঠি মানুষ//জাতি/দেশ ভেদে যাই হোক না কেন, মানুষের মাপকাঠি সর্বদা মানবতা হোক!"
চমৎকার এই কথাটির জন্য সামুপাগলা কে ধন্যবাদ!

তোমার এই লেখাটিতে আমি অনেকবার এসে ফিরে গেছি ,কিছু বলতে চাইলে অনেক্কিছুই বলার থাকে।এমন অভিজ্ঞতার ঝুলি আসলে আমাদের সবার ই আছে মনে হয়।

আমার মেয়ে টা যত'না আমার মেয়ে ,সব হিসেবে দেখি ও তত'টাই ঠিক তোমার ছায়া।কেমন করে এমন হলো!!! আমার এই সুপার সেন্সেটিভ মেয়ে এবং ছেলে কে নিয়ে আমি প্রায় প্রতি দু'বছর পর পর ঠিকানা পাল্টাই। নতুন দেশ নতুন শহর নতুন স্কুল নতুন বন্ধু।কিছু'টা নিশ্চয়ই আঁচ করতে পারছ !!!

তোমার অস্মভব মানবিক এই বড় ছেলে 'র জন্য আর সুপার বয় ছোটু'র জন্য ভালোবাসা।

১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:৪৯

শিখা রহমান বলেছেন: নীরা আমি আজকাল ব্লগে অনেকখানিই নিয়মিত আর তার কারণ তোমার মতো কিছু মানুষ, কিছু ব্লগার। তোমাকে সামনাসামনি না দেখলেও অনেক দেখা মানুষদের চেয়েও তুমি চেনা, অনেক কাছের। তুমি আর মিথীমনির মতো কাউকে কাউকে চিনি বলেই আজকাল ব্লগে নিজের জীবনের টুকরো কথা লিখে রাখি। জানি কেউ না কেউ তো বুঝবে আমার কথা, আমার জীবন, আমার উপলব্ধি!!

তুমি কিভাবে বুঝলে বলো তো!! আমার বড় ছেলেটাও সুপার সেন্সেটিভ। ওকে নিয়ে আমি খুব চিন্তায় থাকি জানো। মনে হয় ওকে এই পৃথিবী, এই মানুষেরা চিনতে পারবে তো, বুঝতে পারবে তো।

"আমার মেয়ে টা যত'না আমার মেয়ে ,সব হিসেবে দেখি ও তত'টাই ঠিক তোমার ছায়া।" তোমার কথায় অভিভুত ও সম্মানিত বোধ করছি। তোমার মেয়ে (আমার মিতা) আর ছেলের জন্য ভালোবাসা। দোয়া করি জীবন আর মানুষ তাদের প্রতি সদয় হোক।

আশা করতেই পারি, স্বপ্ন দেখতেই পারি যে একদিন এই পৃথিবীটা আসলেই সবার বাসযোগ্য হবে। অনেক ভালোবাসা আর শুভকামনা। নীরা মানেই যে ভালোবাসা।

২৬| ১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:৫৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: শিখা আপু, প্রথমেই ধন্যবাদ সময় নিয়ে সুন্দর ও আন্তরিক প্রতিমন্তব্য করেছেন বলে।
মনিরা আপুকেও থ্যাংকস।

দ্বিতীয় প্যারাগ্রাফ থেকে (আমি যতোটুকু বুঝেছি) তুমি ব্যক্তিগত সৌন্দর্যবোধকে বা প্রেমে পড়ার ব্যাপারটাকে বর্ণবাদ ও বর্ণ বিদ্বেষের সাথে মিশিয়ে ব্যাখ্যা করেছো। যখন আমি কোন শ্যামলা ছেলেকে দেখেই ভালো মানুষ ভাববো আর কালো/সাদা মানুষকে দেখেই তাকে অপছন্দ করা শুরু করবো, তখনই সম্ভবত আমি বর্ণ বিদ্বেষের মাঠে পা দিচ্ছি। "প্রথমে দর্শন ধারী তারপরে গুণ বিচারী" তাই না। দর্শনেই যখন মানুষকে বিচার করা শেষ হয়ে যায়, তখনই বর্ণবাদ ও বর্ণ বিদ্বেষের শুরু।
আমি এটা বোঝাতে চেয়েছি যে আমার সৌন্দর্যবোধ যদি একটা শ্যামলা ছেলের প্রতি ঝুঁকে যায়, তবে সেটা কি রেসিস্ট? আমাদের দেশে কোন ছেলে বা মেয়ে যদি বলে তারা কালোর চেয়ে ফর্সাকে বেশি সুন্দর মনে করে, সাথে সাথে কয়েকজন বলে উঠবেন, ব্যক্তিটি রেসিস্ট। কিন্তু কোন ছেলে বা মেয়ে যদি বলে শ্যামলা/কালো রং বেশি পছন্দ, তখন সবাই তাকে উদার ভাববে। এটাতেই আমার সমস্যা। একটা মানুষকে ফর্সা হবার কারণে সুন্দর ভাবা ভুল হলে, কালো হবার কারণে সুন্দর ভাবাও ভুল।

আপনার একটি কথা চমৎকার লাগল। দর্শনেই যখন মানুষকে বিচার করা শেষ হয়ে যায়, তখনই বর্ণবাদ ও বর্ণ বিদ্বেষের শুরু।
আমার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সৌন্দর্যবোধ ও প্রেমে পড়া আলাদা। একটা ছেলে টল, ডার্ক হলে তাকে সুন্দর অবশ্যই ভাবব নিজের বিচারে, তবে প্রেমে পড়ব না।
তো একটি মেয়ে যদি কলেজে গিয়ে কারো প্রেমে পড়ে শুধুমাত্র লুকস দেখে, তবে সেটা রেসিজম। একটি ছেলে যদি শুধু পাত্রীর ছবি দেখে বিয়েতে হ্যাঁ বলে, চেহারা দেখেই বিচার করে ফেলে মানুষটিকে বোঝার চেষ্টা না করে, সেটাও রেসিজম।
চেহারা দেখে প্রেমে পড়াটা বা কারো প্রেম ফিরিয়ে দেওয়াটা রেসিজম সে বিষয়ে সমাজের কনফিউশন আছে। এটাকে আসলে আমরা খুব ইন্নোসেন্ট একটা বিষয় মনে করি। সুন্দর মেয়ে বা ছেলে দেখে প্রেম, বিয়ে করাটা অতি স্বাভাবিক ব্যাপার! রিশিপসনিস্ট, এয়ার হোস্টেস, মিডিয়া কর্মীকেও সুন্দর হতে হবে! এই কালচারটি আসলে পরিবর্তন করতে হবে। সুন্দর শরীর নয় সুন্দর মন, যোগ্যতা, মেধা সবকিছু দিয়ে মানুষকে বিচার করা হোক। যারা অলরেডী ভুল বিচারে জীবন প্রায় পার করে ফেলেছেন, তাদের নতুন করে বোঝালে কিছু লাভ হয়ত হবে না। তবে ছোট বাচ্চাদের এসব শিক্ষা দিয়ে বড় করতে পারলে সমাজটা পাল্টে যাবে।

ভালো থাকবেন আপু!

১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ২:২২

শিখা রহমান বলেছেন: ব্লগের পাগলী মেয়েটা তুমি যে কি সুন্দর সব চিন্তা ভাবনা করো। মুগ্ধ হলাম তোমার মন্তব্যে। পাগলী বলেই হয়তো পারো এমন সব সুন্দর আর সুচিন্তিত কথা বলতে।

"আমি এটা বোঝাতে চেয়েছি যে আমার সৌন্দর্যবোধ যদি একটা শ্যামলা ছেলের প্রতি ঝুঁকে যায়, তবে সেটা কি রেসিস্ট? আমাদের দেশে কোন ছেলে বা মেয়ে যদি বলে তারা কালোর চেয়ে ফর্সাকে বেশি সুন্দর মনে করে, সাথে সাথে কয়েকজন বলে উঠবেন, ব্যক্তিটি রেসিস্ট। কিন্তু কোন ছেলে বা মেয়ে যদি বলে শ্যামলা/কালো রং বেশি পছন্দ, তখন সবাই তাকে উদার ভাববে। এটাতেই আমার সমস্যা। একটা মানুষকে ফর্সা হবার কারণে সুন্দর ভাবা ভুল হলে, কালো হবার কারণে সুন্দর ভাবাও ভুল। "

খুব সুন্দর বলেছো। যে বাক্যটা বোল্ড করে দিয়েছি সে ব্যাপারটা যে আমি কতোবার দেখেছি। আমার চেনা অনেককেই বলতে শুনেছি "জানে্ন অমুক ভাই না অসাধারণ একজন মানুষ। উনি পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে একজন কালো মেয়েকে বিয়ে করেছে।" কথাগুলো যে মেয়েটার জন্য, এবং ভদ্রলোকের জন্য অপমানজনক সেটা বোঝার ক্ষমতা মানুষের নেই।

"আমার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সৌন্দর্যবোধ ও প্রেমে পড়া আলাদা। একটা ছেলে টল, ডার্ক হলে তাকে সুন্দর অবশ্যই ভাবব নিজের বিচারে, তবে প্রেমে পড়ব না।" একদম। আমি নিজেও বিয়ের সময়ে সাদা/কালো শর্ত না দিলেও চেয়েছি যে মানুষটাকে প্রথম দেখাতে ভালো লাগুক। অনেক ছেলেকেই দেখে ভালো বা সুন্দর লাগলেও কথা বলে ভালো লাগেনি বলে বিয়ের ব্যাপারে আগাইনি।

"চেহারা দেখে প্রেমে পড়াটা বা কারো প্রেম ফিরিয়ে দেওয়াটা রেসিজম সে বিষয়ে সমাজের কনফিউশন আছে। এটাকে আসলে আমরা খুব ইন্নোসেন্ট একটা বিষয় মনে করি।" ঠিক বলেছো। আসলে ব্যাপারটা সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গী থেকে আসে, যে কারণে গায়ের রঙের বা চেহারার জন্য খুব গুণী আর মেধাসম্পন্ন একজন মানুষকে হেয় মনে করা হয়। "ছোট বাচ্চাদের এসব শিক্ষা দিয়ে বড় করতে পারলে সমাজটা পাল্টে যাবে।" সামাজিক দৃষ্টি ভঙ্গী আগের থেকে অনেক বদলেছে, প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে।

আমি আশাবাদী। আমাদের চারপাশ তোমার মতো পাগল-পাগলীতে ছেয়ে যাক। অনেক ভালোবাসা সুন্দর মন্তব্যে আমার রবিবারের ছুটির দিনটা আলো করে দেবার জন্য।

২৭| ১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:৫৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আশা করতেই পারি, স্বপ্ন দেখতেই পারি যে একদিন এই পৃথিবীটা আসলেই সবার বাসযোগ্য হবে
নিশ্চয়ই হবে,আশা নিয়েই আমাদের বেঁচে থাকা।

১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ২:২৬

শিখা রহমান বলেছেন: নীরা ভালোবাসায় বিশ্বাস করি, আর মানুষকে। তাই অবচেতনে জানি নিশ্চয়ই হবে,আশা নিয়েই আমাদের বেঁচে থাকা।

২৮| ১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ২:৩৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমি আবারো বকবক করতে এসে গেলাম। কেননা এমন কিছু লাইন আপনার প্রতিমন্তব্যে প্রতিবার থাকছে যা নিয়ে আরো কিছু বলার জন্যে আমার হাতটা কিবোর্ডের ওপরে নিশপিশ করছে! :)

ব্লগের পাগলী মেয়েটা তুমি যে কি সুন্দর সব চিন্তা ভাবনা করো। মুগ্ধ হলাম তোমার মন্তব্যে। পাগলী বলেই হয়তো পারো এমন সব সুন্দর আর সুচিন্তিত কথা বলতে।
আপু জানেন, আমি না ব্লগে যাদের আপু ভাইয়া বলি, মাঝেমাঝে ভাবি তারা বাস্তবে আমার ভাই বোন হলে কেমন হতো? আপনার ক্ষেত্রে কি মনে হয় বলি? আপনি বাংলা ছবির নায়িকা সাবানার মতো, "মায়ের মতো মমতাময়ী বড় বোন" হতেন। আমাকে আদরে আদরে বিগড়ে দিতেন। হাহাহা।
থ্যাংকস এ লট আপু ফর ইওর কাইন্ড ওয়ার্ডস!

খুব সুন্দর বলেছো। যে বাক্যটা বোল্ড করে দিয়েছি সে ব্যাপারটা যে আমি কতোবার দেখেছি। আমার চেনা অনেককেই বলতে শুনেছি "জানে্ন অমুক ভাই না অসাধারণ একজন মানুষ। উনি পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে একজন কালো মেয়েকে বিয়ে করেছে।" কথাগুলো যে মেয়েটার জন্য, এবং ভদ্রলোকের জন্য অপমানজনক সেটা বোঝার ক্ষমতা মানুষের নেই।
এক্স্যাক্টলি! এই কথাটিই আমি বোঝাতে চাইছিলাম। যিনি বলছেন তিনি ভাবছেন যে অনেক ভালোমনে বললাম। কিন্তু আসলে না জেনে মেয়ে এবং ছেলেটির পছন্দকেও অপমান করছেন। সৌন্দর্য যে একেক মানুষের কাছে একেক রকম হবে এটা মানতে সমস্যা কেন হয় কিছু মানুষের? যত্তসব!

আমি নিজেও বিয়ের সময়ে সাদা/কালো শর্ত না দিলেও চেয়েছি যে মানুষটাকে প্রথম দেখাতে ভালো লাগুক।
আমার মাও আপনার মতো বলে আপু। সেদিনই বলছিল, আমার জন্যে যখন পাত্র খুঁজবে, এমন ছেলে দেখবে যে দেখতে হিরোর মতো না হলেও ভালো লাগবে তাকে দেখলে।
কিন্তু যদি ভালো না লাগে তবে কি? যদি টাক, ভীষন মোটা, বেঁটে একটা ছেলে হয় তবে? তেমন ছেলেকে প্রথম দেখায় ভালো লাগা কি কোন মেয়ের পক্ষে সম্ভব? ৯৯% ক্ষেত্রে মেয়েটির পরিবার ছবি দেখেই রিজেক্ট করে দেবে। পাত্রটিকে সামনাসামনি নিজেকে প্রেজেন্ট করারও সুযোগ দেবেনা। মেয়েদের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার! আসলে আমাদের সর্বোচ্চ উদারতাতেও খামতি থেকে যাচ্ছে। আমার মাও বলে যে শিক্ষিত, ভালো পরিবার, ভালো চরিত্র চায়, কিন্তু সেই দেখতে খুব সুন্দর না হলেও মোটামুটি ভালো হতে হবে ব্যাপারটিকেও ছাড়তে পারেনা!

এগেইন! কিডস! উই হ্যাভ টু ডিপেন্ড অন দেম! আমরা হয়ত একটা পর্যায়ের পরে ভাবনাকে নিতে পারবনা। তারা পারবে। প্রসেসটা তো একদিনে হবেনা। আস্তে আস্তেই হোক, তবে এই পৃথিবীটা আসলেই সবার বাসযোগ্য হবে।

১২ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৪:০৩

শিখা রহমান বলেছেন: তোমার বকবক শুনতে বেশ লাগে আমার। সুন্দর আর সুচিন্তিত শব্দমালা!!

যদিও বকবক শুনতে আপত্তি নেই তাও কথা বাড়াবো না। ভালো থেকো পাগলী মেয়েটা।

সুন্দর কথাগুলোর জন্য অনেক ভালোবাসা। ভালো থেকো। শুভকামনা রইলো।

২৯| ১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ৩:৫১

শামচুল হক বলেছেন: কাহিনীতে চমৎকার একটি বিষয় তুলে ধরেছেন।

১২ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৪:০৪

শিখা রহমান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ও পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

ভালো থাকবেন প্রিয় গল্পকার। শুভকামনা।

৩০| ১৩ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৭:৪৮

বোববুরগের বলেছেন: Sad to hear what your son has to deal with didi, hope he doesn't have to hear "go back to where you came from" or "you're a terrorist" or something similar. It's very unpleasant to hear, I can say from experience. Which Cali uni are you working for if you don't mind me asking?

১২ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:৫৫

শিখা রহমান বলেছেন: বোববুরগের Welcome to my blog. I apologize for the late reply. Sometimes I do not get the notifications for new comments on old posts. :(

In an ideal world, immigrants should not have to face the comments you mentioned or I mentioned in my post. But the world is not ideal. My son did hear those comments you mentioned. I remind him that RIGHT HAS TO BE EARNED, IT IS NOT GIVEN ALWAYS.

We still hope for a better world and I believe we are making progress.

Thank you and take care.

৩১| ০৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:১৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: শিখা রহমান ,




আহত হবার মতোই লেখা ।
" এই দাড়ি, কমা, সেমিকোলনের দেশে আজীবন বিস্ময়সূচক চিহ্ণ হয়েই থাকলাম । " কতো আক্ষেপ আর হতাশার এই উপলব্ধির কোন প্রতিউত্তর আমার জানা নেই ! তাই আরো কিছু বলা থেকে বিরত রইলুম ।
তবুও পুরাতন কথাটিই আবার বলি ---- কলঙ্ক আছে বলেই চাঁদ এতো সুন্দর ।

১২ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:০০

শিখা রহমান বলেছেন: আহমেদ জী এস সুন্দর মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা।

লেখা পড়ে আপনি আমার আক্ষেপ আর হতাশা বুঝতে পেরেছেন দেখে ভালো লাগলো। তবে আমি কিন্তু আশাবাদীও। ভাবতে ভালো লাগে যে একদিন এই পৃথিবীটা আসলেই সবার বাসযোগ্য হবে। এইসব তুচ্ছ ব্যাপারগুলো নিয়ে আমরা আর ভাববো না।

ভালো থাকবেন প্রিয় কবি ও কথার যাদুকর। শুভকামনা সতত।

৩২| ১১ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার একটা শিরোনাম দিয়েছেন গল্পটার! আর চমৎকার একটা কথা বলেছেনঃ দর্শনেই যখন মানুষকে বিচার করা শেষ হয়ে যায়, তখনই বর্ণবাদ ও বর্ণ বিদ্বেষের শুরু।
"তোমাকে যদি আমার বিল পরিশোধ করতে না হয়ে থাকে, তবে এসব বিষয়ে মাথা ঘামার দরকার নেই" - এ এ্যাটিচুডটা মনে ধারণ করে থাকলেও অনেক সময় মুখে প্রকাশ করা যায় না। তবে কথাটা মনে গেঁথে থাকলে মনে হয় কোন না কোন ভাবে অভিব্যক্তিতে প্রকাশ পায়।
মিথী_মারজান, আখেনাটেন মনিরা সুলতানা সামু পাগলা০০৭ আহমেদ জী এস প্রমুখের চমৎকার মন্তব্যগুলোতে 'লাইক'।
আপনার ৮, ১৫, ২৫ ও ২৬, নং প্রতিমন্তব্যগুলো ভাল লেগেছে।

১২ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:০৯

শিখা রহমান বলেছেন: খায়রুল আহসান আপনার মন্তব্য পেলেই মন ভালো হয়ে যায়। আপনিই আমার জানা একমাত্র ব্লগার যিনি লেখার পাশাপাশি মন্তব্য-প্রতিমন্তব্যগুলোও খুব মন দিয়ে পড়েন।

সেই বছর আড়াই আগে থেকেই যখন মাত্র ব্লগে লেখা শুরু করেছি এবং খুবই অনিয়মিত, সেই প্রথম থেক্লেই আপনি ও বিজন রয় আমাকে উৎসাহ আর অনুপ্রেরণা দিয়ে চলেছেন। আপনারা দু'জন না থাকলে হয়তো অনেক আগেই সামু ব্লগ থেকে চলে যেতাম। সবসময় পাশে থাকার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।

ভালো থাকবেন শ্রদ্ধেয় ব্লগার। শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.