নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবিতা প্রেমী; একটু এলোমেলো; উড়নচণ্ডী; আর বই ভালবাসি। শব্দ নিয়ে খেলা আমার বড্ড প্রিয়। গল্প-কবিতা-মুক্ত গদ্য সব লিখতেই ভালো লাগে। \"কেননা লেখার চেয়ে ভালো ফক্কিকারি কিছু জানা নেই আর।\"

শিখা রহমান

পুরনো ইমেজারির ব্যবসা করি। চিত্রকল্প সস্তায় বানাই। টান টান রিমেকশিল্প, ওপরে ঝকঝক করছে স্কাই।.........লোকে পড়ে ভাবে এ তো নতুন, আনকোরা কৌটো। কিন্তু সেই একই, সেই একই বন্দিপ্রাণ ছটফট ভ্রমর....

শিখা রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি চেনা চেনা গল্প -১ (সত্য ঘটনার ছায়া অবলম্বনে)

০২ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:৪৭



১.
- মনেতো হচ্ছে কামড়ের দাগ!!
- শালী এমন কামড় দিছে...উহহ্!!

ডাঃ আহমেদ হাতের কনুই থেকে চোখ উঠিয়ে সাজ্জাদের দিকে প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে তাকালেন। সাজ্জাদ একটু ঘাবড়ে গেলো। বাবু আর মিন্টু ঠিকই বলে ওর মুখ পাতলা।

- নাহ মানে কুত্তা...মানে মহিলা কুত্তা...মানে কুত্তী কামড়াইছে!!!
- তুমি কামড়ানোর সময় আবার খেয়াল করেছো কুকুরটা মেয়ে না ছেলে... আশ্চর্য!!!

- না মানে ইয়ে ডাক্তার সাহেব...আসলে এমন মরন কামড় দিছে যে মাটিতে পইড়া গেছিলাম। তখন খেয়াল করসিলাম আর কি!!
- হুউউউ...মরন কামড়ই। খুবই বাজে ঘা হয়েছে... অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে। আরো আগেই তোমার ডাক্তার দেখানো উচিত ছিলো। কবে কামড়ালো?

- তা ধরেন প্রায় মাসখানেক হয়ে গেলো।
- বলো কি? ওষুধ লিখে দিচ্ছি...আজ থেকেই শুরু করবে। দশদিনের কোর্স দিলাম। না কমলে আরো স্ট্রং অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হবে। আর শোনো ওষুধ নেবার সময় ইনজেকশনটা দিয়ে নেবে। বাইরের ডিসপেনসারিতে বলে দিচ্ছি।
- হে হে...অবশ্যই অবশ্যই...

ইঞ্জেকশন নিতে গিয়ে সাজ্জাদের মেজাজটা খারাপ হয়ে গেলো “শালা...কুত্তার কথা বললাম ক্যান?”

২.
সালমা বানু প্রায় ঘন্টাখানেক হয়ে গেলো থানায় বসে আছেন। বসে বসে থানায় আসা রকমারী মানুষ দেখতে খারাপ লাগছে না। অন্তত কিছুক্ষনের জন্য হলেও দুঃস্বপ্ন ভুলে থাকা, বাসায় থাকলে সেই একই চিন্তা। এখানে অপেক্ষা করার সময় মনে হয় আজ নিশ্চয়ই কোন সুসংবাদ অপেক্ষা করে আছে। একটাই খারাপ লাগে যে মেয়েটা কাজ থেকে ছুটি নিয়ে ওনার সাথে বসে আছে।

- মেহের!!!
- জী মা...কি? বলো...শরীর খারাপ লাগছে নাতো?

মেয়েটা বড় শরীর নিয়ে চিন্তা করে, তার ওপরে আবার ডাক্তার। নীহার নিখোঁজ হবার পরে থেকে সারাক্ষণ মাকে পাখির বাচ্চার মতো বুকে আগলে রাখে। মেয়েটা বড্ড মায়াবতী হয়েছে; সালমা বানু নিঃশ্বাস ফেলে ভাবলেন তার দুইটা মেয়েই বড় মায়াবতী হয়েছে। নীহারতো ছোট বলে বড় আদুরীও; পেছন থেকে যখন তখন জড়িয়ে ধরতো আর ছাড়তে চাইতো না।

- রান্না করছিতো...ছাড় বলছি...
- উহু ছাড়বো না...রান্না শেষ না হওয়া পর্যন্ত ধরে থাকবো...
- পাগলী...এভাবে কাজ করা যায়?
- কাজ কোরো না...ধরে থাকি...মা তোমার গায়ে এতো সুন্দর গন্ধ!!! এতো নরম কেন তুমি? আমার লক্ষীসোনা মাআআআ...

“মা কি হলো? কথা বলছো না কেন?” মেহেরের উদ্বিগ্ন স্বরে সালমার সম্বিৎ ফিরে এলো।
- না না শরীর ঠিক আছে। তোর কাজের দেরী হয়ে যাচ্ছে না তো?
- না মা...স্যারকে বলে এসেছি অনেকক্ষণ লাগতে পারে। থানায় আসবো বলেছি...সবাইতো জানে ব্যাপারটা।

ওসি লোকমানকে বেশ ব্যস্ত মনে হচ্ছে; সামনে লোক নেই কিন্তু একটা খাতায় খুব লেখালেখি করছেন মনে হচ্ছে। মাঝে মাঝে অবশ্য চোখ তুলে ওদেরকে দেখছেন; সালমা আর মেহেরকে আরেকজন করিডোরে চেয়ারে বসিয়ে রেখে গেছে। বসার জায়গা থেকে ওসি সাহেবকে দেখা যায়। লোকমানের একটু মেজাজ খারাপ লাগছে। এই মহিলা সপ্তাহে দু’তিনবার থানায় এসে নিখোঁজ মেয়ের কেসের খবর নেয়। ফোন করলেই হয়; তা না যত্তোসব!!!

একেতো মালদার পার্টি না...কোন উপরি আয় নাই তার উপরে মহিলাকে বার বার বলতে খারাপ লাগে যে কেসে কোন প্রগ্রেস হয় নাই। এসে যখন সামনে বসেন চোখ জ্বলজ্বল করতে থাকে আগ্রহে। তারপরে লোকমান যখন বলে যে কোন খবর নেই ওনার চোখের আলো দপ করে নিভে যায়। ওই মুহূর্তে লোকমানের নিজেকে খুব ছোট মনে হয়।

একমাত্র লাভ হচ্ছে মহিলার মেয়েটা বড় সুন্দর দেখতে। এই জন্যই লোকমান বসিয়ে রাখে। কিছুক্ষণ চোখের আনন্দ!!! যে মেয়েটা নিখোঁজ, নীহার, সে মেয়েটাও খুবই সুন্দরী। এইসব সুন্দরীদের কোন ঠিক আছে...কেউ হয়তো তুলে নিয়ে গেছে বা কে জানে মেয়ে নিজেই পালায়ে গেছে কিনা। দুনিয়াতে সুন্দরী মেয়েগুলা না থাকলে পুলিশের কামকাজ অর্ধেক কমে যেত।

৩.
রিক্সায় মেহের পেছনে হাত দিয়ে মাকে শক্ত করে ধরে রেখেছে। সালমা একটু একটু কাপঁছেন। ও যেই কাজে চলে যাবে মা একা বাসায় চোখের জল ঝরাবেন। ইচ্ছা না করলেও মেহের শুধু এইজন্যই এই দিনগুলোতে অফিসে যায়; মা কেঁদে কেঁদে হালকা হোক। মায়ের যে বড় কষ্ট, একাত্তরে বাবা নিখোঁজ হওয়ার পরেও মা সবসময় লুকিয়ে লুকিয়ে কেঁদেছে। মেহেরের কি ওর কাছের মানুষগুলোর সাথে কোনদিনই বুড়ো হওয়া হবে না? মেহের এখন মাঝে মাঝে শুধু ওর প্রিয় মানুষগুলোকে কবর দিতে চায়, তাদের মৃত্যুর সময়ে পাশে থাকতে চায়, তাদের মৃতদেহ জড়িয়ে ধরে কাঁদতে চায়। খুব সামান্য চাওয়া...তাও পুরণ হলো কই?

নীহার ছাড়া বাসাটা যে কি নীরব লাগে!!! খুব ছেলেমানুষ, খুব উচ্ছল ছিলো মেয়েটা, যদিও মেহেরের চেয়ে মাত্র তিন বছরের ছোট। গত বছর যখন ও ডাক্তারী পড়া শেষ করে হাসপাতালে চাকরী নিলো নীহার একটা শাড়ীর আবদার করেছিলো। বাবা ছাড়া সংসারে ওর সব আবদার অনুযোগই মেহেরের কাছে।

- আপুনি বলতো কে?

মেয়েটা পাগল!!! পেছন থেকে চোখ চেপে ধরে জিজ্ঞাসা করার কোন মানে আছে; সেই ছোট বেলার অভ্যাস।

- ঠিক সিউর না...বুঝতে পারছি না!!!
- যে চোখ ধরে আছে সে খুব লক্ষী একটা মেয়ে...
- আর...
- আর সে তোকে খুব ভালোবাসে...
- নীরুমনি নাকি? নীরুমনির মত তো আমাকে আর কেউ ভালোবাসে না...

বলার সাথে সাথেই মেয়েটা ঠিক ছোট্টবেলার মতো জড়িয়ে ধরতো।

- তো নীরুর কি কিছু চাই?
- আপুনি তুই চাকরী পেলি আমাকে একটা শাড়ি কিনে দে না...
- আচ্ছা দেবো...কেমন শাড়ি চাই তোর?
- বেগুনী বেগুনী জাম রঙ্গা...
- এটা আবার কেমন রং...
- সেদিন মার্কেটে এমন একটা শাড়ি দেখেছি...পরলে দেখিস আমাকে একটা শাপলা ফুলের মতো দেখাবে...
- আমার নীরুমনিতো এমনিতেই একটা ফুল...

যেদিন নীহার হারিয়ে গেলো ওই শাড়ীটাই পরে ছিলো। ওকে আসলেই শাড়ীটা খুব মানিয়েছিলো; মেয়েটা বড্ড সুন্দর ছিলো। মেহের সুন্দর কিন্তু বড় শান্ত সমাহিত, মানুষ ওর সাথে কথা বলার আগে চিন্তা করে। আর নীহার ছিলো দমকা হাওয়া; ঘূর্ণিঝড়ের মতো ভয়ংকর সুন্দর। ওকে দেখলে কেমন যেন জ্বালা ধরে, অধরা জেনেও পেতে ইচ্ছা করে। মেহের মাঝে মাঝে জিজ্ঞাসা করতো ছেলেরা ওকে বিরক্ত করে কিনা। নীহার হেসে উড়িয়ে দিয়েছে “কি যে বলিস না আপুনি!!! ছেলেগুলো না খুব গাধা...কেমন বোকা বোকা চেহারা করে ভালোবাসার কথা বলে...শুনেতো আমি হাসতে হাসতে শেষ...”

৪.

বাসার কাছে রিক্সা থামতেই মেহের দেখলো মিন্টু আরেকটা ছেলের সাথে কথা বলছে; কেন যেন মনে হচ্ছে মিন্টু ওদেরকে দেখেও না দেখার ভান করছে। এড়িয়ে যেতেই পারে; মা যে ওকে দেখলেই অস্থির হয়ে ওঠেন, বার বার নীহারের কথা জিজ্ঞাসা করেন। মিন্টু নীহারের সাথে পড়ে, রাষ্ট্র বিজ্ঞানে অনার্সের শেষবর্ষে। নিখোঁজ হওয়ার দিন মিন্টুর সাথে নীহারকে ক্লাস শেষে কথা বলতে দেখা গেছে।

মিন্টুকে পুলিশও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে; নীহার নাকি ওর কাছে কোন একটা ক্লাসের নোট চেয়েছিলো। মিণ্টু আর ওরা অনেক বছরের প্রতিবেশী; ছোটবেলা থেকে নীহার আর মিন্টু একসাথে খেলেছে; ভাই বোনের মতোই, ওরা তো পরষ্পরকে তুই করে সম্বোধন করে।

মা ঠিকই মিন্টুকে দেখে ফেলেছেন। সালমা হাতের ইশারায় ডাকলেও ও তাকাচ্ছে না। মেহের নাম ধরে ডাকতেই মিন্টু এগিয়ে আসলো।
- স্লামালেকুম খালা! মেহের আপু কি ডাকছিলেন?

মেহের কিছু বলার আগেই সালমা বলে উঠলেন “নীহারের কোন খবর পেয়েছো বাবা? পুলিশতো কিছু খোঁজ পাচ্ছে না।“

- না খালা। আমিতো যতোটুকু জানি আপনাদের আর পুলিশকে বলেছি।
- না ভাবলাম যদি নতুন কিছু জানতে পারো...একসাথে পড়তে। অন্যদের জিজ্ঞাসা করেছিলে?
- জিজ্ঞাসা করেছি। কেউ কিছু বলতে পারে না।

- আচ্ছা তুমিতো নীহারকে খুব ভালো ভাবে চিনতে...ও কোথায় যেতে পারে?
- খালা প্লিজ আপনি চিন্তা করবেন না। নিশ্চয়ই ওকে পাওয়া যাবে। একটু কাজ ছিলো। যাই খালা, মেহের আপু। পরে কথা হবে।

সালমার কিছু ভালো লাগছে না। কথা বলার সময়ে মিন্টু একবারও চোখের দিকে তাকায়নি, পুরোটা সময় মাথা নীচু করে রেখেছে। নীহার নিখোঁজ হবার পরে যতোবারই কথা বলেছেন সালমা একবারও মিন্টুর চোখ দেখতে পাননি; চোখে চোখ রাখার জন্যই উনি বার বার ছেলেটার সাথে কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় যে ছেলেগুলো এসে মেহেরের বাবাকে মিথ্যা কথা বলে সাথে করে নিয়ে গিয়েছিলো ওরাও মাথা এমনটাই নীচু করে রেখেছিলো।

সালমার শরীরটা খুব খারাপ লাগছে। কেন যেন মনে হচ্ছে নীহারের সাথে খুব খারাপ কিছু ঘটেছে, খুব ভয়ংকর কিছু। নীহার কি আর কখনই ফিরে আসবে না?

চলবে................................................................................................................................................

© শিখা রহমান (২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫)

গল্পটার দ্বিতীয় ও শেষ পর্বের লিঙ্ক এখানে দিলাম। একটি চেনা চেনা গল্প -২ (সত্য ঘটনার ছায়া অবলম্বনে) (শেষ পর্ব)

মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:১০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল আপু,

শুরুটা বেশ লাগলো। আমরাও নীহারের অপেক্ষায় থাকলাম।


শুভ কামনা জানবেন।

০২ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:৩৮

শিখা রহমান বলেছেন: পদাতিক শুভ সন্ধ্যা :)

ব্লগে কিছুদিন ছিলাম না ব্যস্ততার জন্য। আশাকরি ভালো আছেন।

গল্পটা দীর্ঘ বলে ভাবলাম দুই পর্বে দেই। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

২| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:৫৫

সিগন্যাস বলেছেন: এতো বড় গল্প? :-<

০২ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:০২

শিখা রহমান বলেছেন: সিগন্যাস গল্প নয় কিন্তু সত্যি ঘটনা। বড় গল্পগুলো কিন্তু ব্লগে তেমন দেইই না। :||

তবে গল্পটা বড় হলেও মনে হচ্ছে পড়ে ফেলছেন। :) লাইকের জন্য ধন্যবাদ।

শুভকামনা আর কষ্ট করে আগামী কাল শেষ পর্বটা পড়ে নেবেন প্লিজ!! ভালো থাকবেন।

৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:০০

তানজীর আহমেদ সিয়াম বলেছেন: পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম :)

০২ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:০৪

শিখা রহমান বলেছেন: তানজীর অােমদ িসয়াম আমার ব্লগে স্বাগতম। গল্পটা দীর্ঘ বলে ভাবলাম দুই পর্বে দেই। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

আগামী কাল দ্বিতীয় পর্বটা পড়ে নেবেন আর কেমন লাগলো জানাবেন প্লিজ! শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

৪| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:১১

রাজীব নুর বলেছেন: গল্প বুঝতে বেশ বেগ পেতে হলো।

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ ভোর ৬:৩৮

শিখা রহমান বলেছেন: রাজীব কষ্ট করে পড়েছেন সেজন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

৫| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৪২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: গল্প চলুক। গল্প গভীরে প্রবেশ করছে।

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ ভোর ৬:৪২

শিখা রহমান বলেছেন: শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) আপনাকে ব্লগে পেয়ে ভালো লাগছে।

ধন্যবাদ পড়ার জন্য। চেষ্টা করেছি ঘটনাটা তুলে ধরতে। যদিও গল্পের মতো করে বলার কারণে অনেক ক্ষেত্রেই কল্পনার আশ্রয় নিতে হয়েছে। পরের পর্বের শেষ করেছি। পড়ে অবশ্যই অনুভুতি জানাবেন।

আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম। আশাকরি মাঝে মাঝে আপনাকে পাঠক হিসেবে পাবো। শুভকামনা ও ভালো থাকবেন।

৬| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৪৯

কলাবাগান১ বলেছেন: @মোঃ আবু বকর ছিদ্দিক
এত ডিফেন্সিভ হলে চলে!!!! ৯৫% মুসলিম সামুর ব্লগার রা তারা তো প্রথম পাতায় লিখছেন ...সবাই লাইনে দাড়িয়ে ..অপেক্ষার পর এপ্রুভ হয়ে... কেউ কেউ ২-৩ মাস ও ওয়েট করেছিল..কাউকে ই দেখি নাই বলতে যে তার ধর্মের জন্য তাকে দেরী করানো হচ্ছে...এমন অধর্য্য হয়ে আপনি আপনার ধর্মকে অসহিস্ঞনু (বানান পারি না) বানাচ্ছেন।

৭| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:০৫

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: হুম! ইন্টারেস্টিং লাগল! সত্য ঘটনা হলে নিশ্চয়ই জমজমাট হবে! পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ ভোর ৬:৪৫

শিখা রহমান বলেছেন: সম্রাট কিছুদিন বিরতির পরে ব্লগে এসে আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো। আশা করি ভালো আছেন।

ধন্যবাদ পড়ার জন্য। চেষ্টা করেছি সত্য ঘটনাটা তুলে ধরতে। যদিও গল্পের মতো করে বলার কারণে অনেক ক্ষেত্রেই কল্পনার আশ্রয় নিতে হয়েছে। পরের পর্বের শেষ করেছি। পড়ে অবশ্যই অনুভুতি জানাবেন।

শুভকামনা ও ভালো থাকবেন কবিসম্রাট।

৮| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:১১

সাহসী সন্তান বলেছেন: গল্পটা পড়তে ভাল্লাগছিল বিধায় মন্তব্য করবো বলেই লগইন করছিলাম। কিন্তু নিচে এসে দেখি চলবে লেখা। সাথে সাথে মনটা খারাপ হয়ে গেল! আমি ৩০০ পৃষ্টার একটা বই এক বসাতেই পড়ে উঠতে পারি, কিন্তু তিন পৃষ্টা পড়ার পর যদি চলবে বলা হয়; তাইলে সেই লেখাটা পড়ার আর এনার্জিই পাই না... :-<

যাহোক, গল্পটা আগাইছে ভাল ভাবেই। তবে সব থেকে বেশি আগ্রহ জাগছে সাথে সত্য ঘটনার ছায়া অবলম্বনে লেখায় দুরুদুরু বুকে অপেক্ষার প্রহরটা আরো বাড়াইয়া দিলেন। এইভাবে পর্ব আকারে পড়াটা হয়তো আমার জন্য সম্ভব হবে না। তবে পুরো গল্পটা শেষ হইলে অবশ্যই পড়ে দেখবার ইচ্ছা আছে!

গল্পে ভাল লাগা! শুভ কামনা জানবেন!

অফটপিকঃ আপনার পোস্টে মন্তব্য করতে আইসা প্রথম মন্তব্যকারীর মন্তব্য পইড়া বেশ বিনোদন পাইলাম। আমার ধারনা, সম্ভবত ব্লগার মাত্রই নাস্তিক এই মতবাদে বিশ্বাস কইরাই তিনি ব্লগিং করতে আসছেন। আল্লায় জানে, উনি ব্লগ দিয়া ইন্টারনেট চালান, নাকি ইন্টারনেট দিয়া ব্লগ! তবে উনাকে আরো কিছুদিন ঐভাবে লটকাইয়া রাইখা উনার ইমানের জোর ভাল ভাবে পরীক্ষা করার জন্য মডারেটর ভাইদের কাছে সবিনয় অনুরোধ রইলো! ;)

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ ভোর ৬:৫৩

শিখা রহমান বলেছেন: সাহসী সন্তান আপনি ব্লগে আসায় সম্মানিত বোধ করছি। গল্পটা দুই পর্বে দেয়ার ইচ্ছে ছিলো না। কিন্তু এর আগেও দু'তিনটা গল্পে পাঠকেরা গল্পগুলো বেশী লম্বা বলে মন্তব্য করেছেন। আমি এর আগে কখনোই পর্বে পর্বে লেখা পোষ্ট করিনি। এই প্রথম। গল্পটা কিন্তু পরের পর্বেই শেষ।

সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি সত্য ঘটনাটা তুলে ধরতে। যদিও গল্পের মতো করে বলার কারণে অনেক ক্ষেত্রেই কল্পনার আশ্রয় নিতে হয়েছে। শেষটা পড়ে অবশ্যই অনুভুতি জানাবেন। পড়ার সুবিধার্থে শেষ পর্বের লিঙ্ক দিয়ে দিলাম একটি চেনা চেনা গল্প -২ (সত্য ঘটনার ছায়া অবলম্বনে) (শেষ পর্ব)

সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম। আপনি আমার মতো গল্পকারের আদর্শ পাঠক। আশাকরি মাঝে মাঝে আপনাকে আমার ব্লগে পাবো।

শুভকামনা ও ভালো থাকবেন।

৯| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:১৬

কালো যাদুকর বলেছেন: গল্প চলুক। স্যমস্যা হল পরের পর্ব হয়তো আর খুজে পাব না। ভাল হয়েছে।

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:০১

শিখা রহমান বলেছেন: কালো যাদুকর আমার ব্লগে স্বাগতম। পড়ার জন্য ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

পরের পর্বেই শেষ করেছি। পরের পর্ব খুঁজে পাবেন না কেন? :(

পড়ার সুবিধার্থে শেষ পর্বের লিঙ্ক দিয়ে দিলাম একটি চেনা চেনা গল্প -২ (সত্য ঘটনার ছায়া অবলম্বনে) (শেষ পর্ব)

শেষটা পড়ে অবশ্যই অনুভুতি জানাবেন।

আশাকরি মাঝে মাঝে আপনাকে আমার ব্লগে পাবো। শুভকামনা ও ভালো থাকবেন।

১০| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:০২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এক পর্বে গল্পটা পড়তে পারলে ভালো লাগত। স্টোরি টেলিং এখন পর্যন্ত ভালো লেগেছে।

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:০৫

শিখা রহমান বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা আপনাকে ব্লগে পেয়ে দারুন ভালো লাগছে। আমার লেখাগুলো নির্বাচিত পোষ্টে গেলে আপনার লাইক পাই কিন্তু এই প্রথম মন্তব্য পেলাম।

গল্পটা দুই পর্বে দেয়ার ইচ্ছে ছিলো না। কিন্তু এর আগেও দু'তিনটা গল্পে পাঠকেরা গল্পগুলো বেশী লম্বা বলে মন্তব্য করেছেন। এই প্রথম পর্বে পর্বে লেখা পোষ্ট করলাম।। গল্পটা কিন্তু পরের পর্বেই শেষ।

সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি সত্য ঘটনাটা তুলে ধরতে। যদিও গল্পের মতো করে বলার কারণে অনেক ক্ষেত্রেই কল্পনার আশ্রয় নিতে হয়েছে। শেষটা পড়ে অবশ্যই অনুভুতি জানাবেন। পড়ার সুবিধার্থে শেষ পর্বের লিঙ্ক দিয়ে দিলাম একটি চেনা চেনা গল্প -২ (সত্য ঘটনার ছায়া অবলম্বনে) (শেষ পর্ব)

সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম। আশাকরি মাঝে মাঝে আপনাকে আমার ব্লগে পাবো।

শুভকামনা ও ভালো থাকবেন।


১১| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:০৩

নাজিম সৌরভ বলেছেন: চলবে ! :(

চালিয়ে যান আপু ! :)

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:০৭

শিখা রহমান বলেছেন: নাজিম সৌরভ পরের পর্বটাই শেষ আর সেটা পোষ্ট করেছি। :) চলা শেষ।

শেষটা পড়ে অবশ্যই অনুভুতি জানাবেন। পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা।

শুভকামনা ও ভালো থাকবেন।

১২| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:০৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: @সাহসী সন্তানঃ অফ টপিক হিসেবে আপনি একদম মনের কথা বলেছেন। বিনোদন নেয়া যেত, তবে এই মুহুর্তে বিনোদন নেয়ার মত মানসিকতা সামুর নাই। ;) কিছু কিছু প্রতিভা অংকুরেই বিনষ্ট হয়, হয়ে যায় বা হতে দিতে হয়।

১৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৪৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মন খারাপ করা গল্প (?)।
'সত্য ঘটনার ছায়া' দেখে আরো খারাপ লাগছে। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:০৯

শিখা রহমান বলেছেন: ভুয়া মফিজ সত্য ঘটনাগুলো গল্পের চাইতেও মন খারাপ করা আর ভয়ঙ্কর হয়। :(

পরের পর্বটাই শেষ আর সেটা পোষ্ট করেছি। শেষটা পড়ে অবশ্যই অনুভুতি জানাবেন। পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা।

শুভকামনা ও ভালো থাকবেন।

১৪| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৪৫

আজিজার বলেছেন: অপেক্ষায় থাকলাম

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:১১

শিখা রহমান বলেছেন: আজিজার আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।

পরের পর্বটাই শেষ আর সেটা পোষ্ট করেছি। শেষটা পড়ে অবশ্যই অনুভুতি জানাবেন।

আশাকরি মাঝে মাঝে ব্লগে আপনাকে পাবো। শুভকামনা ও ভালো থাকবেন।

১৫| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:০৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপা, শুভেচ্ছা নেবেন।



প্রথম পার্টের সাথে পরের তিনটি পার্টের মিল পেলাম না; পরের পর্বে পাব নিশ্চিত। তবে, সাজ্জাদ কামড় খেয়ে গুরুতর জখম নিয়ে একমাস পরে কেন ডাক্তারের কাছে গেল বুজলাম না!! আর কামড়টা শরীরের কোন অংশে তারও কোন উল্লেখ নেই।

একমাত্র লাভ হচ্ছে মহিলার মেয়েটা সুন্দর দেখতে; এজন্য লোকমান বসিয়ে রাখে।" এই লাইনটি ভাল লেগেছে। তবে, পরের তিনটি পর্বে একটু খাপ ছাড়া ভাব আছে; কাহিনী অনুপাতে বর্ণনা বেশি মনে হয়েছে।

গল্পটি যেহেতু সত্য ঘটনা অবলম্বনে সেহেতু হয়তো এমনটা হচ্ছে। সামনের পর্ব পড়লে গল্পের বিষয়বস্তু পরিষ্কার হবে আশা করছি।

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:১৬

শিখা রহমান বলেছেন: কাওসার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

"প্রথম পার্টের সাথে পরের তিনটি পার্টের মিল পেলাম না; পরের পর্বে পাব নিশ্চিত।" আশা করছি চরিত্রগুলোকে পরের পর্বে আপনার সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে পারবো।

"তবে, সাজ্জাদ কামড় খেয়ে গুরুতর জখম নিয়ে একমাস পরে কেন ডাক্তারের কাছে গেল বুজলাম না!! আর কামড়টা শরীরের কোন অংশে তারও কোন উল্লেখ নেই।" গল্পের তৃতীয় বাক্যে কনুইইয়ের কথা উল্লেখ আছে।

"গল্পটি যেহেতু সত্য ঘটনা অবলম্বনে সেহেতু হয়তো এমনটা হচ্ছে। সামনের পর্ব পড়লে গল্পের বিষয়বস্তু পরিষ্কার হবে আশা করছি।" সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি সত্য ঘটনাটা তুলে ধরতে। যদিও গল্পের মতো করে বলার কারণে অনেক ক্ষেত্রেই কল্পনার আশ্রয় নিতে হয়েছে। শেষটা পড়ে অবশ্যই অনুভুতি জানাবেন।

শুভকামনা। ভালো থাকবেন। সবসময় পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা।

১৬| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৬

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: বিল্কোল ভাল লাগলো।

দেখা যাক পরবর্তী পর্ব...

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:১৭

শিখা রহমান বলেছেন: সৈয়দ ইসলাম আমার ব্লগে স্বাগতম। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনার ভালোলাগায় অনুপ্রাণিত হলাম।

পরের পর্বটাই শেষ আর সেটা পোষ্ট করেছি। শেষটা পড়ে অবশ্যই অনুভুতি জানাবেন।

আশাকরি মাঝে মাঝে ব্লগে আপনাকে পাবো। শুভকামনা ও ভালো থাকবেন।

১৭| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সাসপেন্সে রেখে ঝুলিয়ে দিলেন সব পাঠককে !!!

আগামী পর্বের অপেক্ষায় - - -

+++

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:২০

শিখা রহমান বলেছেন: বিদ্রোহী একটু না হয় ঝুলনায় দোল খেলেনই :) আসলে গল্পটা দুই পর্বে দেয়ার ইচ্ছে ছিলো না। কিন্তু এর আগেও দু'তিনটা গল্পে পাঠকেরা গল্পগুলো বেশী লম্বা বলে মন্তব্য করেছেন। এই প্রথম পর্বে পর্বে লেখা পোষ্ট করলাম।।

পরের পর্বটাই শেষ আর সেটা পোষ্ট করেছি। শেষটা পড়ে অবশ্যই অনুভুতি জানাবেন।

শুভকামনা ও ভালো থাকবেন রণক্লান্ত কবি।

১৮| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২২

আখেনাটেন বলেছেন: সত্যের ছায়া যেহেতু রয়েছে সেহেতু পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করা যেতেই পারে। যদিও আমি থেমে থেমে পড়া পছন্দ করি না। একবার শুরু করলে শেষ না করলে ভালোও লাগে না।

বিশেষ করে আগে যখন মাসুদ রানা, ওয়েস্টার্নগুলো পড়তাম। যেগুলোর পর্ব ছিল সেগুলো এক পর্ব পড়ে মাথা হট হয়ে যেত যতক্ষণ না দ্বিতীয় বইটি কালেক্ট করতে না পারছি। হা হা হা।

ভালো লেগেছে লেখা।

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:২৪

শিখা রহমান বলেছেন: আখেনাটেন আসলে গল্পটা দুই পর্বে দেয়ার ইচ্ছে ছিলো না। কিন্তু এর আগে দু'তিনটা পোষ্টে পাঠকেরা গল্পগুলো বেশী লম্বা বলে মন্তব্য করেছেন। :( এই প্রথম পর্বে পর্বে লেখা পোষ্ট করলাম।।

পরের পর্বটাই শেষ আর সেটা পোষ্ট করেছি। শেষটা পড়ে অবশ্যই অনুভুতি জানাবেন।

শুভকামনা ও ভালো থাকবেন ফারাও।

১৯| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫২

আহমেদ জী এস বলেছেন: শিখা রহমান ,




হ্যা .... এমনই হয় আমাদের আজকালকার চেনা গল্পগুলো । বাস্তবে কাছের মানুষই এমন গল্পগুলোর জন্ম দেয় ।

সাথে থাকছি । লেখার স্টাইল ( ফর্ম্যাট ) সুন্দর ।

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:২৮

শিখা রহমান বলেছেন: আহমেদ জী এস আপনি একদম মনের কথাটা বলেছেন। পরের পর্বের শেষের কথাগুলোতে আমি আপনার মন্তব্যেরই প্রতিধ্বনি করেছি।

পরের পর্বটাই শেষ আর সেটা পোষ্ট করেছি। শেষটা পড়ে অবশ্যই অনুভুতি জানাবেন।

সবসময়ের মতো সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত করার জন্য কৃতজ্ঞতা।

শুভকামনা ও ভালো থাকবেন কথার যাদুকর।

২০| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৪৩

শামচুল হক বলেছেন: গল্প বেশ ভালো লাগল পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:২৯

শিখা রহমান বলেছেন: শামচুল হক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। পরের পর্বটাই শেষ আর সেটা পোষ্ট করেছি। শেষটা পড়ে অবশ্যই অনুভুতি জানাবেন।

শুভকামনা ও ভালো থাকবেন প্রিয় লেখক।

২১| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:২৩

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: আপনার গল্প পড়ে কোনদিন ভালো লাগেনি বলেতে পারিনি আজও পারলাম না আপু। ;)



পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:৩২

শিখা রহমান বলেছেন: শাহরিয়ার কবীর পড়ার সময়ে এই আপুটার জন্য ভালোবাসা মিশিয়ে পড়েন বলেই আজও ভালো লাগেনি বলেতে পারেননি। :) মন্তব্যটা পড়ে মন ভালো হয়ে গেলো।

পরের পর্বটাই শেষ আর সেটা পোষ্ট করেছি। শেষটা পড়ে অবশ্যই অনুভুতি জানাবেন।

শুভকামনা ও ভালো থাকবেন কবি।

২২| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৩৯

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আমি একটা অনুমান করেছি সামনের পর্বে কি পাবো। খুব সম্ভবত মিন্টু এবং সাজ্জাদ মিলে নীহার এর সর্বনাশ ঘটিয়ে ওকে মেরে ফেলেছে। সঙ্গে বাবুও থাকতে পারে। আর ছোটবেলা থেকে চেনা এত বছরের পুরনো বন্ধু মিন্টুকে নীহার অবিশ্বাসও করতে পারেনি। ওর সঙ্গে নিরাপত্তাহীনতার কথা কেউই ভাবতে পারেনি। :|| অনুমান ভুল হলে হবে, ঠিক হলে হবে; যাইহোক, আপনার গল্প লেখার ধরণটা ভালো।

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:৩৪

শিখা রহমান বলেছেন: চঞ্চল হরিণী আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম। পড়ার জন্য এবং খুব সুন্দর সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য এত্তো ধন্যবাদ। আপনার অনুমান ও কল্পনাশক্তি খুব ভালো। :)

পরের পর্বটাই শেষ আর সেটা পোষ্ট করেছি। শেষটা পড়ে মিলিয়ে নেবেন ও অবশ্যই অনুভুতি জানাবেন।

আশাকরি মাঝে মাঝে ব্লগে আপনাকে পাবো। শুভকামনা ও ভালো থাকবেন।

২৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ ভোর ৫:৪২

রাকু হাসান বলেছেন: পরের পর্বের অপেক্ষায় শিখাপু । ..

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:৩৫

শিখা রহমান বলেছেন: রাকু হাসান পড়ার জন্য ও পাশে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

পরের পর্বটাই শেষ আর সেটা পোষ্ট করেছি। শেষটা পড়ে অবশ্যই অনুভুতি জানাবেন।

শুভকামনা ও ভালো থাকবেন।

২৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৫

শামছুল ইসলাম বলেছেন: আপনার গল্প লেখার স্টাইলটা ভালো লেগেছে । গল্পটাও জমজমাট মনে হচ্ছে ।

শুরু করেছিলাম শেষ পর্ব দিয়ে । শেষ করলাম ১ম পর্ব দিয়ে ।

শেষ পর্বটা তো খুবই ভালো লিখেছেন ।

মনে হচ্ছে একজন ভালো গল্পকারে দেখা পেলাম ।

আমি গল্প শুনতে/পড়তে ভালোবাসি ।

০৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:০৭

শিখা রহমান বলেছেন: শামছুল ইসলাম আপনার মন্তব্যে উৎসাহিত হলাম।

"আমি গল্প শুনতে/পড়তে ভালোবাসি।" আশাকরি ব্লগে এসে মাঝে মাঝে গল্প পড়ে যাবেন। আমার পুরোনো পোষ্টের বেশীরভাগই গল্প। কখনো কখনো টুকরো স্মৃতিকথা আর কবিতা পোষ্ট করি ব্লগে বৈচিত্র্য আনার জন্য।

শুভকামনা। ভালো থাকবেন। ব্লগের পথে দেখা হবে আশাকরি।

২৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৪৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: শুরু থেকে টানা ,একটানে পড়েছিলাম;
এরপর মিন্টু র চোখের দিকে না তাকিয়ে কথা বলা পড়ে ,আবার শুরুতে গিয়ে দেখলাম হুম ঠিক তিন জনের নাম 'ই এসছে।
বুঝতে আর বাকি ছিলো না :( কিন্তু না বুঝলেই ভালো হত।

কি যে চমৎকার লেখো তুমি!!! এত মায়া তুলে আনো মনে গেঁথে থাকে চরিত্র গুলো।

০৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:১২

শিখা রহমান বলেছেন: নীরা "বুঝতে আর বাকি ছিলো না :( কিন্তু না বুঝলেই ভালো হত।" আসলেই গল্পটা অন্যরকম হলে ভালো হতো তাই না!!

পাশে থাকার জন্য, আমাকে বোঝার জন্য, আমাকে আর আমার লেখাকে এমন ভালোবাসার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা কবিতার মেয়ে।

ভালো থেকো আর ভালোবেসো।

২৬| ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:২২

সুমন কর বলেছেন: সত্য ঘটনা বলে, মনে হয় আরো বেশি ভালো লাগল। বর্ণনাও সাবলীল। +।

যাই পরের পর্ব পড়তে...... ;)

১২ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:১৫

শিখা রহমান বলেছেন: সুমন কর বর্ণনা দিতে আমার ভালো লাগে। বর্ণনা বাহুল্য মনে না হয়ে সাবলীল মনে হয়েছে জেনে ভাল লাগলো।

আমিও যাই দেখি আপনি পরের পর্বে কি মন্তব্য করলেন... :)

ধন্যবাদ পড়ার জন্য ও মন্তব্যের জন্য। শুভকামনা কবি।

২৭| ১৪ ই জুলাই, ২০১৮ ভোর ৫:১৫

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আমি অনেক ছোট যখন তখন আমার আম্মার কাছে এই ঘটনার কথা শুনেছিলাম | আমাদের বাসায় কোনো কাৰণে অনেক দিন কিছু পেপারও ছিল এই হত্যাকাণ্ডের নিউজের I অনেক দিন পরে রাজশাহীতেতে হওয়া অনেক আগের সেই হত্যাকান্ডটার কথা মনে পড়লো | নিহার বানু মনে হয় রাজশাহী ইউনিভার্সিটির ছাত্রী ছিলেন সেই সময়ে তাই না ? মনে হচ্ছে পেপারে নিউজের ঠিক ওপরে দেওয়া নিহার বানুর ফোটোটাও একটু করে যেন মনে করতে পারছি I বাসাটার নাম কি "মিনা মনজিল" ছিল যেখানে নিহার বানুর লাশ খুন করে বাবু লুকিয়ে রেখে ছিলো ? আপনার লেখা পরে যেন কি হয়--কিছু সময় আনমনা হই, "ভালোবাসার জাল বুনেছি" পড়ে কত দিন যে মন খারাপ করে থেকেছি (এখনো হই )! আর এই গল্পটা পড়ে ভুলে যাওয়া স্মৃতিগুলো উঠল পাঠাল করে উঠলো I প্রিয় গল্পকার, অনেক শুভেচ্ছা নিন বিস্মৃতির ধুলোবালিতে ঢেকে যাওয়া অনেক আগে শোনা একটা ঘটনাকে নিয়ে একটা সুন্দর গল্প শোনাবার জন্য |

১৪ ই জুলাই, ২০১৮ ভোর ৫:৪৬

শিখা রহমান বলেছেন: মলাসইলমুইনা আপনি ব্লগে ফিরলেন কবে??? :) কি যে ভালো লাগছে আপনাকে ব্লগে পেয়ে আর লেখায় আপনার মন্তব্য পেয়ে। মনে হচ্ছে অনেকদিন পরে হঠাত করেই প্রিয় বন্ধুর সাথে দেখা হয়ে গেলো। ব্লগের সবাই আপনাকে খুব খুব মিস করেছিলো জানেন নিশ্চয়ই। বেশ কয়েকটা পোষ্টেই আপনাকে নিয়ে কথা হয়েছে। সবাই একটু উদ্বিগ্নও ছিলো। যাইহোক ফিরে এসেছেন দেখে খুব ভাল লাগছে। ভাল আছেন আশাকরি।

মনে আছে কিনা জানিনা কোন একটা লেখার মন্তব্যে আপনি যখন বলেছিলেন যে আপনি রাজশাহী ইউনিভার্সিটিতে পড়েছেন, আমি বলেছিলাম যে রাজশাহীর একটা চাঞ্চল্যকর ঘটনা নিয়ে আমি গল্প লিখেছি আর একসময় ব্লগে পোষ্ট করবো। লেখাটা পোষ্ট করার সময়েও আপনার কথা ভেবেছি জানেন। আপনি লেখাটা পড়েছেন আর নীহার বানুকে মনে করতে পেরেছেন দেখে লেখাটা সার্থক মনে হচ্ছে।

ভালো থাকবেন। শুভকামনা প্রিয় ব্লগার ও লেখক। হুট করে আবার হারিয়ে যাবেন না কিন্তু।

২৮| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ ভোর ৬:১৯

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আমি রাজশাহী ইউনিভার্সিটিতে পড়িয়েছি চার বছর ।আশ্চর্য কি জানেন ? এখন মনে হলো একদিনও আমার নিহার বানু হত্যার কথা তখন মনে হয়নি ! কিন্তু আপনার গল্পটা পড়তে পড়তে আমি যেন কত বছর আগের পেপারের কাটিংগুলো, নিহার বানুর মুখটাও দেখতে পারছি ....সাধে কি আর আপনি আমাদের প্রিয় গল্পকার !!

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৫

শিখা রহমান বলেছেন: মলাসইলমুইনা আপনার মন্তব্যে বরাবরের মতোই উৎসাহ পেলাম। অনেক ভালো থাকবেন। শুভকামনা ও ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.