নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবিতা প্রেমী; একটু এলোমেলো; উড়নচণ্ডী; আর বই ভালবাসি। শব্দ নিয়ে খেলা আমার বড্ড প্রিয়। গল্প-কবিতা-মুক্ত গদ্য সব লিখতেই ভালো লাগে। \"কেননা লেখার চেয়ে ভালো ফক্কিকারি কিছু জানা নেই আর।\"

শিখা রহমান

পুরনো ইমেজারির ব্যবসা করি। চিত্রকল্প সস্তায় বানাই। টান টান রিমেকশিল্প, ওপরে ঝকঝক করছে স্কাই।.........লোকে পড়ে ভাবে এ তো নতুন, আনকোরা কৌটো। কিন্তু সেই একই, সেই একই বন্দিপ্রাণ ছটফট ভ্রমর....

শিখা রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি চেনা চেনা গল্প -২ (সত্য ঘটনার ছায়া অবলম্বনে) (শেষ পর্ব)

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ ভোর ৬:২৯



গল্পের প্রথম পর্বের লিঙ্ক এখানে দিলাম। একটি চেনা চেনা গল্প -১ (সত্য ঘটনার ছায়া অবলম্বনে)

৫.
দেরী হয়ে গেলো। আসার পথে মিন্টুর পারফিউম খুঁজতে সময় লেগে গেলো; বেশ কড়া গন্ধের একটা পারফিউম কিনেছে। বাবুর পছন্দ হলেই হয়। দামটাও নিয়ে নিতে হবে। মিন্টু মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে; তার বাবাতো আর বাবুর বাপের মতো নেতা না। বাবু এইসময় আউট হাউসে থাকে; বিশাল জায়গা নিয়ে ওদের বাসা আর বাগান। বাগানের এক কোনায় আউট হাউস; দুটো বেডরুম, বাথরুমও আছে। গেষ্ট থাকার জন্য তৈরী করা হলেও বেশীর ভাগ সময়ে এখানে বাবুই থাকে।

আউট হাউসের কাছাকাছি আসতেই মিন্টু আগরবাতির গন্ধ পেলো। দরজা ভেজানো ছিলো।

- কি রে দোস্ত? কি খবর?
- দেরী করলি ক্যান? কখন থেকে বইস্যা আছি।
- সরি রে...তোর সেন্ট কিনতে গিয়ে দেরী হলো। দ্যাখ গন্ধ পছন্দ হয় কিনা!!

বাবু হাতে নিয়ে বাতাসে একটু স্প্রে করে শুঁকল।

- বাহ...কড়া আছে। ভালো কিনছিস।
- দামটা দিয়া দিস দোস্ত...মাসের শেষ, হাতে একদমই ট্যাকা নাই।
- এই নে তিন হাজার...চলবে? ঠিক আছে?

বাবু মানিব্যাগ থেকে টাকা বের করে মিন্টুর হাতে দিয়ে দিলো। পারফিউমের দাম পড়েছে পনেরশ; পুরাই আসলের সমান লাভ। মিন্টুর এইজন্যই বাবুকে ভালো লাগে; টাকা নিয়ে সে ছোটলোকি করে না।

খুশী খুশী ভাবটা থিতিয়ে যেতেই মিন্টুর নাকে একটু ভ্যাপসা পচা গন্ধ ধাক্কা দিলো। ও আড়চোখে তাকিয়ে খাটের নীচে রাখা ট্রাঙ্কটা দেখলো। বাবুকে এইসব নিয়ে বলতে ওর ভয় লাগে। তারপরেও ঢোক গিলে বললো “দোস্ত একমাসতো প্রায় হয়ে গেলো...ট্রাঙ্কটার একটা গতি করা দরকার না?”

বাবুর পা নাড়ানো বন্ধ হয়ে গেলো; শরীরটা চিতাবাঘের মতো একটু টান টান হয়ে গেলো ঠিক যেমনটা শিকার অন্য বাঘ নিয়ে গেলে হয়। বাবু এই ট্রাঙ্ক কাছ ছাড়া করতে পারবে না; রাত্রে মাঝে মাঝে ও এই ট্রাঙ্ক জড়িয়ে ধরে শুয়ে থাকে। কিন্তু এও ঠিক যে শীত চলে গিয়ে গরম পড়া শুরু হয়েছে; আগরবাতি আর কড়া সুগন্ধী দিয়েও পচনের গন্ধ পুরোপুরি ঢাকা যাচ্ছে না; এই গন্ধ আরও বাড়বে। যে মানুষটা বেঁচে থাকতে এতো সুন্দর ছিলো, পাশ দিয়ে গেলে যার শরীরের গন্ধে বাবুর শরীর মন ঝনঝন করে উঠতো, সে মরে গেলে এমন পচা গন্ধ কিভাবে হয়? এইসব কথাতো মিন্টুকে বলা যায় না।

- হুউউ...তা ঠিক বলছিস। দেখি সাজ্জাদ আসার কথা। সবাই মিলে পরামর্শ করে ঠিক করবো।
- সাজ্জাদ কখন আসবে? আমার একটু অন্য কাজ ছিলো।
- আরে বস...দুপুরে খেয়ে যা। এর মধ্যেই সাজ্জাদ চলে আসবে।

মিন্টুর আসলে দমবন্ধ হয়ে আসছে; বাবু যে কি ভাবে এই ঘরে ওই ট্রাঙ্ক নিয়ে রাত কাটায়? মিন্টু বাবুকে বুঝতে পারে না; ভয় পায়। নীহারকে বাবু পছন্দ করতো; আগে মনে হতো বাবু প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে; এখন মিন্টু ঠিক জানে না বাবু কি আসলেই নীহারকে ভালোবাসতো কিনা!!

ওরা তিনজন একই ডিপার্টমেন্টে; নীহারকে পুরো ইউনিভার্সিটিতেই সবাই ডাকসাইটে সুন্দরী বলে চেনে। মিন্টু ওর ছেলেবেলার বন্ধু আর প্রতিবেশী বলে অনেকেই খাতির করতো। নীহারকে ভালো লাগলেও ও ঠিক বাবুর মতো এতো পাগল হয়নি। বাবু যা চায় তাই পায়, সেটাই সমস্যা তৈরী করলো। না হলে কতো ছেলেপিলেই তো নীহারের পেছনে পেছনে ঘুরঘুর করতো।

৬.
- দোস্ত প্লিজ প্লিজ তুই ডাকলে ঠিক আসবে।
- তোকেতো মানা করে দিয়েছে...আর কি কথা বাকী আছে?
- দোস্ত আমি নীহারকে ছাড়া বাঁচবো না...একটু চেষ্টা করতে কি দোষ?
- আচ্ছা ক্লাসের পরে আজ ওকে বলবো তোর কথা...

- না না...আমার কথা বলিস না...ওকে রিক্সায় তুলে দেবার কথা বলে বাইরে নিয়ে আসিস। তারপরে আমি গাড়িতে লিফট দেবার জন্য হাজির হলে ওকে বুঝিয়ে একটু গাড়ীতে উঠাস।
- যদি না উঠে?
- না উঠলে নাই...তুই কথায় কথায় জায়গামতো নিয়ে আসিস...

মিন্টু নিয়ে এসেছিলো। নীহারকে সাথে নিয়ে মিন্টুও সেই গাড়ীতে উঠেছিলো। গাড়ীতে সাজ্জাদও ছিলো। সাজ্জাদ ওদের স্কুল ফ্রেন্ড; ইন্টারমেডিয়েটের পরে পড়া ছেড়ে দিলো, এখন ওর কন্ট্রাকটার মামার বিজনেসে কাজ করে। মিন্টুর ছেলেটাকে ভালো লাগে না কিন্তু ও বাবুর আশেপাশে প্রায়ই থাকে।

এরপরের ঘটনাগুলো মিন্টুর কেমন যেন বিশ্বাস হয় না, এখনও মনে হয় সত্যি না। নীহারের সাথে বাবুর বাকবিতন্ডা পাশের ঘরে শোনা যাচ্ছিল। নীহার আউট হাউসে আসতে চায়নি, কিন্তু সাজ্জাদ ছুরি ধরাতে কোন উপায় ছিলো না। একটু পরেই মারের আওয়াজ; নীহারের চাপা চীৎকার।

পনের বিশ মিনিট পরে বাবু দরজা খুলে প্যান্টের জিপার লাগাতে লাগাতে বলেছিলো “শালীর কত্তো সাহস...মুখে থুতু দেয়।“ হতচকিত মিন্টু কিছু বলার আগেই সাজ্জাদের চোখ চকচক করে উঠেছিলো “বস তুমি যখন উদ্বোধন কইরা ফেলছো...আমি কি বিল্ডিংয়ে একটু ঢুকতে পারি?” বাবু মাথা নেড়ে সায় দিয়ে সিগারেটে আগুন ধরিয়েছিলো।

সাজ্জাদ পাশের বেডরুম থেকে বের হয়ে তৃপ্ত মুখে বলেছিলো “বসের চয়েস ভালো...মাল মাশাল্লা খুবই জোশ। তবে মাগীর জিদ বেশী...শালী হাতে এমন কামড় দিসে...যাউক গা কোন ব্যাপার না!!! বন্যঘোড়া পোষ মানানোতেও মজা আছে।“ হালকা গোঙ্গানির আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছিল। “তুইও ঢুঁ মেরে আয়...আমার ট্রিট।“ বাবু বলার সময় এমন ভাবে হাসলো যে মিন্টুর ভয়ে হাতপা ঠান্ডা হয়ে গেলো।

ঘরে ঢুকে নীহারের দিকে তাকাতেই দেখলো ওর চোখে অবিশ্বাস আর কি প্রচন্ড ঘৃণা!!! ওই চোখ থেকে চোখ সরিয়ে প্রায় নগ্ন নারী শরীরের দিকে তাকাতেই মিন্টুর শরীর জেগে উঠলো। মিন্টুকে নীহার কোন বাঁধা দেয়নি; একদম চুপ হয়ে গিয়েছিলো।

মাত্র খুবলে খাওয়া শরীর থেকে শরীর তুলে মিন্টু আবার ওই চোখ দুটোর দিকে তাকালো। চোখ দুটো মরে গেছে; কিচ্ছু নেই ওই চোখে, না অবিশ্বাস, না ঘৃণা, না প্রতিরোধ। একজন মৃত মানুষের সাথে সঙ্গম; শরীরের আনন্দ ছাপিয়ে মিন্টুর বমি বমি ভাব হলো। বাবু আরো কয়েকবার ওই মৃতদেহ নিয়ে খেলার পরে শাড়ী গলায় পেঁচিয়ে নীহারকে মেরে ফেললো। নীহার বাঁধা দেয়নি; কোন আওয়াজ করেনি; শুধু ওই অদ্ভুত সুন্দর পাপড়ি ঘেরা চোখগুলো নিঃশ্বাস না নিতে পেরে একটু বিস্ফোরিত হয়েছিলো, ঘনকালো মনির চারপাশে ছোটবড় লাল লাল রক্তের ফুটকি।

ট্রাঙ্কের দিকে তাকালেই মিন্টুর মনে হয় ওই চোখ দুটো তাকিয়ে আছে, ঠান্ডা শীতল অনুভূতি বিহীন মৃত দুটো চোখ।

৭.
রাত কয়টা বাজে কে জানে? মিন্টু আর সাজ্জাদ ধরাধরি করে গাড়ী থেকে ট্রাঙ্কটা নামালো। মানুষ মরে যাবার পরে কি ওজন বেড়ে যায় নাকি অপরাধবোধের কারনেই মিন্টুর ওজন বেশী মনে হচ্ছে? অনেক বলেকয়ে বাবুকে রাজী করানো গেছে; সাজ্জাদের মামা এই বিল্ডিংয়ের কাজ করছে। আগামী দু’এক দিনের মধ্যেই একতলার মেঝে ঢালাই হবে। ওরা কন্ট্রাকশন সাইটে এসেছে রাত দশটার দিকে। গর্ত খুড়তে বেশ সময় লেগে গেছে। আবার ট্রাঙ্কটা গর্তে রাখার পরে মাটি লেভেল করতে হবে। আজতো মনে হচ্ছে এইখানেই রাত ভোর হয়ে যাবে।

“দোস্ত বুঝছোস...এই মেঝের উপরে যে শুইয়া থাকবো তার তো রাজ কপাল...জানে ও না কিন্তু এতো সুন্দরী একটা মাইয়ার উপরে সারাক্ষন আছে...হা হা হা!!” সাজ্জাদ এমন একটা অবস্থায় কি ভাবে আদি রসাত্বক কথা বলে মিন্টু বুঝতে পারে না; বাবুর মুখও দেখি হাসি হাসি। এরা কি মানুষ? নাকি নীহারের মতো এরাও ভেতরে ভেতরে মরে গেছে?

- কয়টা বাজে রে?
- এখন প্রায় চারটা...আজ আমার আউট হাউসে থাক তোরা...এখন আর বাসায় ফিরবি ক্যান?
- না না বাবু...আমাকে বাসায় নামিয়ে দে।

মিন্টু বাসায় নেমে গেলো। ওই আউট হাউসে ও কোনদিনই থাকতে পারবে না। ট্রাঙ্কটা না থাকলেও ওখানে এক জোড়া মৃতচোখ ওর জন্য অপেক্ষা করে থাকে। সেদিন ভোরেই প্রথম সেই অদ্ভুত স্বপ্নটা দেখলো মিন্টু।

- কিরে মিন্টু কাঁদছিস কেন?
- আমার পছন্দের বলটা না নিয়ে গেছে...
- বলিস কি? কে নিলো?
- পেছনের মাঠে খেলতে গেছিলাম...ওই পাশের পাড়ার বড় ছেলেগুলো নিয়ে গেলো। ওদের সাথে গাঁয়ের জোরে পারিনি রে...

কলা বেনী করা গোলাপী লাল ফ্রক পরা ছোট্ট নীহার ওর চোখ মুছিয়ে দিচ্ছে।

- কাঁদিস না...আমার মাটির ব্যাঙ্কটা ভেঙ্গে ফেলবো...দেখি কতো পয়সা আছে।
- তুই গত এক বছর ধরে জমাচ্ছিস...আমার জন্য ভেঙ্গে ফেলবি?
- বাহ...তুই আমার বন্ধু না!!! মন ভালো করতো...আরেকটা বল কিনে নিস!!!

“আয়তো...কান্না বন্ধ কর!!” নীহার ওর হাত ধরে টানতেই একি!!! ওর দুহাত নীহারের গলায় কেন? ফ্রকটা বদলে গেছে জারুল রঙ্গা শাড়িতে, লাল লাল ফুলগুলো কি রক্তের দাগ? মৃত দুটো চোখ, ঠান্ডা শীতল অনুভূতি বিহীন, চোখের সাদায় লাল লাল রক্তের ফুটকি। মিন্টু গোঙাচ্ছে; মা এসে দরজায় ধাক্কা দিতে ঘুম ভাঙল।

ঘুম ভাঙ্গার পরে এই প্রথম নীহারের জন্য মিন্টু কাঁদল “নীহার আমাকে মাপ করে দিস...আমি বুঝতে পারিনি ওরা তোকে মেরে ফেলবে... বিশ্বাস কর আমি সত্যিই জানতাম না...” ওই মরা চোখ দুটোতে এই প্রথম বিদ্রুপের আভাস দেখা গেলো “ওরা??? তুই কি আমাকে মারিসনি? আমি তোকে বিশ্বাস করেছিলাম...তুই আমার না বন্ধু...হা হা হা!!!” মিন্টু কি পাগল হয়ে যাচ্ছে? ওই চোখ দুটো কি ওকে সারাক্ষন তাড়া করে ফিরবে?

৮.
সকালে অফিসে এসে খবরের কাগজের ভাঁজ খুলেই ওসি লোকমানের মেজাজটা খাট্টা হয়ে গেলো। বড় বড় করে হেডলাইন “শহীদকন্যা নীহার বানু হত্যাকান্ডঃ পুলিশের আশ্চর্য নিষ্ক্রিয়তা!” পুলিশের নাম হেডলাইনে ক্যান? আর নিষ্ক্রিয়তা তাও আবার আশ্চর্য? মেজাজটা বেশী খারাপ হয়েছে “শহীদকন্যা” দেখে; এই সব শহীদ আর মুক্তিযোদ্ধা জড়িত থাকলে খুবই ঝামেলা হয়। কথায় বলে “পুলিশে ছুঁলে ছত্রিশ ঘা”। ব্যাটারা যদি জানতো যে আসলে “মুক্তিযোদ্ধা আর শহীদে ছুঁলে হয় একশ ছত্রিশ ঘা!”

কাগজের রিপোর্ট পড়তে পড়তে লোকমান কয়েকবারই মুখ খারাপ করলো। “ওই শালা বাঞ্চোত ডাক্তার তুই ক্যান কাগজের লোকের সাথে কথা বলতে গেলি? পুলিশের ইনভেস্টিগেশন চলতেছে...তুই কথা বলবি পুলিশের সাথে। হ্যা...তুই ওই কনুইতে কামড়ের কথা জানাইছস। তো কি হইছে? ব্যাটা আবার বলে কনুইয়ের দাঁতের দাগ সময়মতো তদন্ত করলে নীহারের ডেন্টাল রেকর্ডের সাথে তুলনা করা যাইতো। আরে ব্যাটা ওই ছেমরির ডেন্টাল রেকর্ড তোর কাছে আছে?”

লোকমানের খুব টেনশন হচ্ছে। রিপোর্টারগুলা খুবই হারামী; কালকে বা আজকেই দেখা যাবে থানার আশে পাশে ঘুরাঘুরি করতেছে। এরা হচ্ছে ভীমরুলের মতো; একা আসে না ঝাঁকে ঝাঁকে আসে।

কাগজ পড়া শেষ করতে না করতেই টেলিফোন বেজে উঠলো। লোকমান হতাশ চোখে ফোনের দিকে তাকালো; সে জানে কে ফোন করতে পারে।

- জী স্যার...জী জী অবশ্যই!!!
- না মানে আসলে স্যার ডঃ আহমেদ আমাদেরকে বললেও কোন লিখিত ষ্টেটমেণ্ট দেননি তো...
- জী জী...আমি জানতাম না যে নিখোঁজের বাবা একজন শহীদ...
- আপনি কোন চিন্তা করবেন না স্যার...আমি এখনই ব্যাপারটা দেখছি...

এই জায়গা থেকে বদলি না করে দেয় আবার; পোষ্টিংয়ের জন্য দেয়া ঘুষটা জলে গেলো। তাড়াতাড়ি এই কেস সলভ করতে না পারলে সোজা বান্দরবান!!!

লোকমান দ্রুত চিন্তা করছে; সে আগেই আন্দাজ করেছে যে এই সাজ্জাদ ছেলেটা জড়িত। ডঃ আহমেদ বলার পরে খবর নিয়ে যখন জেনেছে যে সাজ্জাদের সাথে বাবুর খুব উঠাবসা তখনি বুঝেছে। কিন্তু বাবুকে ওসি সাহেব ঘাটাতে চাননি...তার বাবা এলাকার প্রভাবশালী লোক; তার বদনজরে পড়ে বদলী না হয়ে যায়। অবশ্য এখন খেলা আরেকটু ওপরের লেভেলে চলে গেছে; হাঙ্গর আসলে আর রাঘব বোয়াল রে কে তোয়াক্কা করে?

৯.
সাজ্জাদ ধড়মড় করে জেগে উঠলো; চোখে মুখে পানি ঢুকে গেছে। কে যেন এক বালতি পানি ছুড়ে মেরেছে; জ্ঞান ফিরে প্রথমে নিঃশ্বাস নিতে পারছিলো না। ওহ এটা তাহলে দুঃস্বপ্ন নয়...সত্যি সত্যি ঘটছে। আবারো মারবে নাকি? সাজ্জাদের ভয় লাগছে। ওসি সাহেব এত্তো চড় থাপ্পড় লাথি মেরেছেন...আর লাঠির বাড়িতো আছেই।

কষ্ট হয়েছে প্রচন্ড যখন আঙ্গুলের নীচে পেন্সিল বসিয়ে চাপ দিয়েছেন...আর বার বার পানিতে চুবানো আর ওঠানো। পানির নীচে চেপে ধরে রাখলে বাতাসের অভাবে বুক মনে হয় ফেটে যাবে...যখন প্রায় অজ্ঞান হয়ে যাবে যাবে, একটু ছটফট কমে আসে, ঠিক তক্ষুনি আবার পানি থেকে উঠিয়ে আনে। প্রত্যেকবারই বাতাসের অভাবে ছটফট করতে করতে সাজ্জাদের নীহারের মুখ মনে পড়েছে। পানির নীচে মেয়েটার শান্ত সুন্দর মুখ, কি ঠান্ডা চোখে তাকিয়ে আছে!!! মেয়েটা কিভাবে এতো শান্ত ছিলো মরার সময়? গলায় ফাঁস দিলে তো এমনই বাতাসের অভাব হওয়ার কথা...একটুও ছটফট করেনি...একটা টুঁ শব্দও করেনি!!

সাজ্জাদ সামনে কিছু দেখতে পারছে না। এতো কড়া একটা বাতি মুখের সামনে ঝুলিয়ে রেখেছে। আলো বড্ড চোখে লাগছে...ও চোখ বন্ধ করলো। কিন্তু বাতিটা এতো কাছে...মুখে বেশ গরম লাগছে...এভাবে বেশীক্ষন থাকলেতো মনে হচ্ছে ফ্রাই হয়ে যাবে। ফ্রাইয়ের কথা মনে পড়তেই সাজ্জাদের পেটে খিদে মোচড় দিলো। পিপাসাও লেগেছে প্রচন্ড...বাতির গরমে এর মধ্যেই ভেজা মুখ শুকিয়ে গলা পর্যন্ত চিড়বিড় করছে।

“ওই হারামী বল নীহারকে কি করেছিস?” পুরোই দৈববাণী...সাজ্জাদ চমকে উঠলো; ও তো কড়া আলোতে কিছুই দেখতে পারছে না। কোথা থেকে আওয়াজ আসছে ঠাহর করতে না করতে চুল ধরে কষে চড়।
- ওসি সাহেব বিশ্বাস করেন...আমি কিচ্ছু জানি না...
- তুই জানিস না...

আবারো কষে কয়েকটা থাপ্পড়।

- স্যার নীহার কে? সেটাই তো জানি না...
- তোকে হাতে কে কামড় দিয়েছিলো?
- স্যার সেইটা তো একটা কুত্তা...তার সাথে খুনের কি সম্পর্ক?

- ওই শালা নীহার খুন হইছে কে বললো?
- আপনি না স্যার বললেন যে সে মারা গেছে?
- হারামীর পো...আমি বলছি নীহার রে কি করছোস? খুনের কথা আসলো ক্যান?

মিন্টু আর বাবু ঠিকই বলে যে ও কথা পেটে রাখতে পারে না। সাজ্জাদ পুরোপুরি ঘাবড়ে গেছে; এখন কি হবে? মুখ ফসকে কি সব বলে ফেললো?

- ওই পানির বালতিটা ভইরা এদিকে আন...এই শালা রে আবারো চুবানি দিতে হইবো। ব্যাটা কথা বলতেছে না...
- ওসি সাহেব...প্লিজ পানিতে চুবায়েন না..আমি বলতেছি...সব বলতেছি...

সাজ্জাদ আরো আগেই বলতো কিন্তু ও বাবুকে ওসি সাহেবের চেয়েও বেশী ভয় পায়। কিন্তু আর ও পারছে না...শরীর আর নিতে পারছে না; দুই দিন হলো নাকি আরো বেশীদিন ধরে ও এই অন্ধকার ঘরে আলোর নীচে...আর পারছে না। মাইর খেয়ে মরে গেলেতো ভয়ও মরে যাবে...ভয়ে ভয়ে বেঁচে থাকা অনেক ভালো...এখন পর্যন্ত সাজ্জাদ তো ভয়ে ভয়েই জীবন কাটালো।

১০.
শাবল দিয়ে একতলার কংক্রীটের মেঝে ভাঙ্গতেই একটু পরে টং করে আওয়াজ। ধুলো সরাতেই একটা কালো ট্রাঙ্ক। ডালা খুলতেই একটা বিকৃত গন্ধ নাকে ধাক্কা দিলো; লাশ পচা জৈবসার গন্ধের সাথে সুগন্ধের মিশ্রন বিবমিষা আনে। বেগুনী শাড়ী জড়ানো একটি কংকাল; বেশীর ভাগ মাংসই গলে পড়েছে।

কি আশ্চর্য!!! শুধু চোখ দুটি তেমনি আছে...অদ্ভুত সুন্দর পাপড়ি ঘেরা এক জোড়া চোখ, চোখের সাদায় ছোটবড় লাল লাল রক্তের ফুটকি। ঠান্ডা শীতল অনুভূতি বিহীন দুটো চোখ। কিচ্ছু নেই ওই চোখে, না অবিশ্বাস, না ঘৃণা, না প্রতিরোধ। চোখ দুটো মরে গেছে আর মানুষটাও।

© শিখা রহমান (২৬শে ডিসেম্বর, ২০১৫)

বিঃদ্রঃ এই গল্পটা আসলে মোটেও গল্প নয়, সত্যি ঘটনা। অবশ্যই লেখার সময়ে আমি অনেক কিছুই কল্পনায় এঁকে নিয়েছি। তথ্যগুলো খবরের কাগজ থেকে নিলেও মানুষগুলোকে আমার আকঁতে হয়েছে। আমি জানি কিছু কিছু মানুষ এই গল্পের চেয়েও বিকৃত আর ভয়ঙ্কর ছিলো। কয়েকটা নাম ঠিক রেখেছি, কিছু মানুষ আমার কল্পনা প্রসূত, আর কিছু মানুষকে গল্পে আনিনি।

যখন আমার ছয় বছর আমি বিচিত্রার কভার পেজে একটা মেয়ের মুখ দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম। মেয়েটাকে আমার রাজকন্যা মনে হয়েছিলো; ধাক্কা খেয়েছিলাম প্রচ্ছদের ডান কোনায় একটা ট্রাঙ্কের পাশে মেয়েটার কংকালের ছবি দেখে। যা পাই তাই পড়ার সময় ছিলো সেটা।

মাকে লুকিয়ে পড়ে ফেলেছিলাম; আমার পড়া প্রথম হত্যাকান্ড। নীহার বানু হত্যাকান্ড ১৯৭৬ সালে খুব সাড়া ফেলেছিলো। সেই রাজকন্যার মুখ আজো আমাকে মাঝে মাঝে বড্ড কষ্ট দেয়, এ মৃত্যু তার প্রাপ্য ছিলো না।

এ গল্পটা খুব চেনা, এজন্য না যে এটা নীহারের গল্প, একটি বিখ্যাত হত্যাকাহিনী। এ গল্পটা খুব চেনা কারণ আমরা এখন প্রতিদিন কয়েকটি করে এমন সংবাদ শুনি টিভিতে, পড়ি খবরের কাগজে। এইসব ঘটনা আর সাড়া জাগায় না বা হেড লাইন হয় না।

আমরা নীহারদের মরা চোখ দেখতে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি।

মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ ভোর ৬:৩৬

সিগন্যাস বলেছেন: প্রথম হয়ে গেলাম :)

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ ভোর ৬:৫৬

শিখা রহমান বলেছেন: সিগন্যাস আপনি ফার্স্ট :) প্রথম মন্তব্য ও প্রথম লাইক। :)

সবসময়ে পড়ার জন্য ও সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। শুভকামনা।

২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:১৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল আপু,

তবে আপনাদের সন্ধ্যা। গল্প ভালো লাগলো। অ্যাডোনেসেন্ট প্রিয়ডের তাড়নায় এভাবে প্রত্যেকদিন কতয়ে নীহার চলে যাচ্ছে তার হিসাব নেয়। পাশাপাশি সত্য ঘটনা অবলম্বনে হওয়াই মনটা বিষন্নে ভরে গেল।

অনেক শুভ কামনা আপু আপনাকে।

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:৪২

শিখা রহমান বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি সকাল-সন্ধ্যার ঝামেলা এড়িয়ে 'শুভদিন' জানাচ্ছি। :)

গল্পটা লিখেছিলাম একধরনের দায়বদ্ধতা, হয়তোবা কিছুটা অপরাধবোধ আর পুরো ব্যাপারটার ভয়ঙ্কর দিকটা তুলে ধরার জন্য। নিরাপদ সমাজ আর পরিবেশ নিশ্চিত না করতে পারার জন্য কিছুটা দায়তো নিতেই হয়।

পড়ার জন্য আর বরাবরের মতো মন্তব্যে অনুপ্রাণিত করার জন্য কৃতজ্ঞতা।

ভালো থাকবেন। শুভকামনা।

৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:৩৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভ সকাল, আপা।


গতকালকে প্রথম পর্বটি পড়ে অনেক বিষয় কল্পনা করেছিলাম। কিন্তু এতো ভয়ঙ্কর হবে ভাবিনি। আসলে এমন ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে; কে রাখে কার খবর বলুন? এখানে "হিউ্যান ভেল্যু" "উইম্যান রাইট" আর "হিউম্যান রাইট" শব্দগুলো কিতাবে আছে কিন্তু বাস্তবে নেই। মানুষ হতে আমাদের আরো কয়েক দশক লাগবে।

আপু, গল্পটি পড়ে একটু ভয় পেয়ে গেছি; আমি খুব সফট হার্টের একজন মানুষ। গল্পে ভাল লাগা।

অফটপিক: ইদানিং ব্যস্ততা মনে হয় একটু বেড়ে গেছে। ভাবছিলাম ঈদের দাওয়াতে বাসায় বেড়াতে আসবেন? যাক, না আসলেও খুশি। আপ্যায়নের টাকাটা বেঁচে গেল বলে!!

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:৫০

শিখা রহমান বলেছেন: কাওসার আপনি শুধু একজন ভালো লেখক ও পাঠকই নন, একজন ভালো ব্লগার। আপনার সুন্দর ও সুচিন্তিত মন্তব্যে সবসময়েই অনুপ্রাণিত হই।

গল্পটা লিখেছিলাম একধরনের দায়বদ্ধতা, হয়তোবা কিছুটা অপরাধবোধ আর পুরো ব্যাপারটার ভয়ঙ্কর দিকটা তুলে ধরার জন্য। নিরাপদ সমাজ আর পরিবেশ নিশ্চিত না করতে পারার জন্য কিছুটা দায়তো নিতেই হয়।

ভালো থাকবেন। শুভকামনা।

অফটপিকঃ ঠিক ধরেছেন ব্যস্ততা একটু বেড়েছে। সামার শুরু হলো। ক্লাস শেষে পরীক্ষা, গ্রেডিং নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। শিক্ষাবর্ষের শেষ হওয়াতে থিসিস ডিফেন্স আর অন্যান্য কমিটির ব্যস্ততাও ছিলো। এখনো ব্যস্ত কারণ কাজের জন্য শহর ছেড়ে মাঝে মাঝে এখানে ওখানে যেতে হচ্ছে। আপনার ব্লগবাড়িতে সময় করে যাবো অবশ্যই। আপ্যায়নের দরকার নেই। আপনার দারুন লেখাগুলোতেই মন ভরে যায়। :)

৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:৫৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:


"ঠিক ধরেছেন ব্যস্ততা একটু বেড়েছে। সামার শুরু হলো। ক্লাস শেষে পরীক্ষা, গ্রেডিং নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। শিক্ষাবর্ষের শেষ হওয়াতে থিসিস ডিফেন্স আর অন্যান্য কমিটির ব্যস্ততাও ছিলো। এখনো ব্যস্ত কারণ কাজের জন্য শহর ছেড়ে মাঝে মাঝে এখানে ওখানে যেতে হচ্ছে। আপনার ব্লগবাড়িতে সময় করে যাবো অবশ্যই। আপ্যায়নের দরকার নেই। আপনার দারুন লেখাগুলোতেই মন ভরে যায়। :)"

আপু, একটু কষ্ট দিলাম। এতো ব্যস্ত এখন জানতাম না। তবে জানতে খুব ইচ্ছা করছিল তাই একটু ঘুরিয়ে প্রশ্ন করেছিলাম। শুভ কামনা আপনার জন্য সব সময়।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:৩০

শিখা রহমান বলেছেন: কাওসার কষ্ট কিসের!! ব্লগের সব গুণী লেখক-পাঠকেরা আপন মনে করেন বলেইতো মাঝে মাঝে বিরতি দিলে খোঁজ খবর নেন। কেউ আমার ব্যস্ততা খেয়াল করেছে সেটাও আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া।

ব্যস্ত থকলেও ফোন থেকে প্রায়ই আপনার বা অন্যদের লেখা পড়া হয়। সমস্যা হচ্ছে যে ল্যাপটপে না বসলে আমি মন্তব্য করতে পারি না, এমন কি নিজে লেখায় মন্তব্যের প্রতি উত্তর করতেও না। অনেক সময় তাই খুব ব্যস্ত থাকলে নিজেও লেখা পোষ্ট করি না।

ভালো থাকবেন। আপনার জন্যেও শুভকামনা সবসময়। ব্লগে আপনার উপস্থিতি চারপাশ উজ্জ্বল করে রাখে।

৫| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: আমি ১ম পর্ব পড়েই বুঝতে পেরেছিলাম এটা সত্য ঘটনা।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:৩২

শিখা রহমান বলেছেন: রাজীব ধন্যবাদ পড়ার জন্য। সবাই আপনার মতো বুঝতে নাও পারে বলেই গল্পের নামের পাশে লিখে দিয়েছিলাম আর ফুটনোটও দিলাম।

শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

৬| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৩৪

লাবণ্য ২ বলেছেন: আপু গল্প ভালো লাগল।আবার সত্য ঘটনা জানতে পেরে খারাপ ও লাগল

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:৩৪

শিখা রহমান বলেছেন: লাবন্য মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। এইসব গল্প লিখতে ভালো লাগে না। তার পরেও বাস্তবে এমন গল্প এতো বেশী ঘটছে যে লিখতেই হলো। গল্পটা গল্প হলেই ভালো হতো।

শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

৭| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৪০

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: আমার অনুমান প্রথম পর্বে যা লিখেছিলাম তা মিলে গেলো। তার কারণ এটাই যে, এখন আমাদের চারপাশে এমন ঘটনা অনেক বেশি ঘটছে । হেডলাইন না হলেও পত্রিকায় আর সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখতে দেখতে এসব ঘটনার সাথে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি যা অত্যন্ত লজ্জাজনক এবং দুঃখজনকও বটে।
আপনার চরিত্র চিত্রায়ন আমার ভালো লেগেছে। বিশেষ করে ওসি সাহেবের মানসিক গঠন আর অপরাধী সাজ্জাদের মনস্তত্ত্বের সামান্য বিশ্লেষণ খুব ভালো লেগেছে। ' ভয়ে ভয়ে বেঁচে থাকা অনেক ভালো........... এখন পর্যন্ত সাজ্জাদ তো ভয়ে ভয়েই জীবন কাটালো'। :)
শুভকামনা ।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:৩৯

শিখা রহমান বলেছেন: চঞ্চল হরিণী আপনার মন্তব্যের ভক্ত হয়ে গেছি। খুব সুন্দর গুছিয়ে মন্তব্য করেন আপনি।

"হেডলাইন না হলেও পত্রিকায় আর সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখতে দেখতে এসব ঘটনার সাথে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি যা অত্যন্ত লজ্জাজনক এবং দুঃখজনকও বটে।" একমত!! তবে এইসব ঘটনা হেডলাইন হচ্ছে না কারণ ঘটনাগুলো খুব আটপৌরে হয়ে গেছে। এই রকম ঘটনাগুলো আমরা এতো সহজেই মেনে নেই যে লজ্জাজনক এবং দুঃখজনকই শুধু নয়, ব্যাপারটা আতঙ্কজনক।

ভালো থাকবেন। শুভকামনা। আশাকরি মাঝে মাঝে ব্লগে আপনাকে পাবো।

৮| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৪৪

সোহানী বলেছেন: আতঁকে উঠলাম লিখাটা পড়ে.........। আর শেষ দুটি লাইন সব কিছুকে ছাড়িয়ে গেছে।...... খুব মন খারাপ নিয়ে আজকে ব্লক ক্লোজ করছি।

ভালো থাকুন শিখা।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:৪৯

শিখা রহমান বলেছেন: সোহানী বাস্তব অবশ্যই এই চাইতেও বেশী ভয়ঙ্কর ছিলো। লেখাটাতে সচেতনভাবেই চেষ্টা করেছি সেই ভয়ঙ্করতা আর নৃসংশতা সাধ্যমতো তুলে আনতে। আপনি আঁতকে উঠেছেন এবং মন খারাপ করেছেন সেটাই স্বাভাবিক। আমি চেয়েছি লেখাটা পড়ে পাঠক ধাক্কা খাক, একটু হলেও সামাজিক অবস্থা আর নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে ভাবুক।

আপনিও ভালো থাকবেন সোহানী। শুভকামনা।

৯| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:০৫

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: সত্য কাহিনী আগেই বুঝেছিলাম। তবে আপনি খুব সুন্দর করে সাজিয়ে গল্প আকারে শোনানোয় কোথাও অসামঞ্জস্যতা ছিল না। আপনি খুব ভালো লেখিয়ে। অনায়াসে বই লিখতে পারবেন। আগেও মনে হয় বলেছিলাম এ কথা। এ ব্যাপারে ভেবে দেখতে পারেন। আশা করি পাঠকরা আপনার লেখা পড়তে গিয়ে ঠকবে না!

কাহিনীটা পড়ে মনটা খুবই খারাপ হয়ে গেল! মানুষ এত জঘন্য আর নিষ্ঠুর হয় কেমন করে? ধিক্কার সেই খুনীদের জন্য যারা নিজেদের বিকৃত লালসার শিকার বানিয়ে অসহায় মেয়েটিকে এমন নৃশংসভাবে হত্যা করতে পারে!

মনটা খারাপ হলেও আপনার লেখার প্রশংসা না করলেই নয়। তাই সবশেষে এত সুন্দর করে লেখাটা আমাদেরকে উপহার দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ! ভালো ও সুন্দর থাকুন!

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৪৬

শিখা রহমান বলেছেন: সম্রাট আপনার সুন্দর ও সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্রথমেই আমার লেখার ও বই প্রকাশের ব্যাপারে বলছি। অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার লেখাকে ভালোবাসার জন্য। পাঠকের মন ছুঁয়ে যাওয়ার চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর নেই। বই প্রকাশ ব্যাপারটা একইসাথে বড্ড সরল ও জটিল মনে হয়। আজকাল বই প্রকাশ করা খুব সহজ বলেই অনেক ভালো লেখককেই দেখি বই বিক্রি করতে না পেরে হতাশায় ভুগছেন। সে হতাশাকে ভয় হয়। হয়তো যারা বই কিনবে ও পড়বে তারা ঠকবে না। কিন্তু বই বিক্রি করার মতো জনপ্রিয়তা বা উদ্যম আমার আছে বলে মনে হয় না আর তাই গড়িমসি। আপনি এবং আর অনেকেই বলছেন। ভেবে দেখবো আর বই প্রকাশ হলে অবশ্যই ব্লগের বন্ধুদের জানাবো।

কাহিনীটা পড়ে মন খারাপ হয়েছে জেনে মনে হলে লেখাটা সার্থক। আমি চেয়েছি লেখাটা পড়ে পাঠক ধাক্কা খাক, একটু হলেও সামাজিক অবস্থা আর নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে ভাবুক।

ভালো থাকবেন কবিসম্রাট। শুভকামনা। সবসময় পাশে থাকার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।

১০| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:২৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেকদিন পর সামুতে কোন দুই পর্বের লেখা পুরোটা মনযোগ দিয়ে পড়লাম। কৃতিত্ব আপনার, লেখক হিসেবে আমাকে বাধ্য করেছেন পুরোটা পড়তে। চমৎকার লিখেছেন, আপনার লেখা হাত বেশ দারুন।
গল্প, প্রেক্ষাপট, সংলাপ ইত্যাদি খুব ভালো লেগেছে। তবে দৃশ্যায়ন নিয়ে চাইলে আরো কিছুটা কাজ করা যায়। যেমন ধরুন, ওসির রুমের অবস্থা, ফোন আসার আগে ওসি কি করছিলো, উনার মুখটা কেমন, ওসির রুমের ফার্নিচার বা পরিবেশ কেমন ইত্যাদি হয়ত চাইলে আনা যেতো।
এক সময় আমরা পাল্লা দিয়ে গল্প লিখতাম সামুতে। হাসান মাহবুব, নোমান, প্রফেশর শঙ্কু, মাহমুদ ভাই, মামুন ভাই সহ আরো অনেকে দারুন দারুন সব গল্প লিখেছেন। উনাদের তুলনায় আমরা কিছুই ছিলাম না। সময় হলে উনাদের ব্লগে যাবেন। না চিনলে আমাকে জানাবেন।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:০১

শিখা রহমান বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা আপনার মন্তব্যে আমি অভিভূত এবং অনুপ্রাণিত।

নিজের লেখা অনেকদিন পরে আবারো পড়লে সবসময়েই মনে হয় আরো সম্পাদনা করা যেতো, আরো ভালো করা যেতো। গঠনমূলক সমালোচনার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। " তবে দৃশ্যায়ন নিয়ে চাইলে আরো কিছুটা কাজ করা যায়।" একমত!! আমার বর্ণনা দিতে ভালো লাগে। আগে অনেক গল্পেই (সামু ব্লগে নয়) বর্ণনার ঘনঘটার জন্য প্রিয় পাঠক আর মানুষদের বকা খেয়েছি। এই বিশাল পটভুমির গল্পে অনেক চরিত্র আর দৃশ্যই আরো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ফুটিয়ে তোলার সুযোগ রয়ে গেছে। এই গল্পটা সত্যি ঘটনার ওপরে ভর করে লেখা হলেও গবেষনা করে তেমন বেশী তথ্য পাইনি আর তার কল্পনার ব্যবহার করতে হয়েছে অনেক বেশী। গল্পটা লেখার সময়ে তীব্র কষ্ট হয়েছে। কষ্ট এড়াবার জন্য একটু তাড়াহুড়ো করেছি শেষ করার জন্য।

হাসান মাহবুবকে চিনি মানে ওনার লেখার সাথে আমি পরিচিত। উনি দুর্দান্ত লেখক আর ওনার একটা নিজস্ব লেখন ভঙ্গী আছে, যা মনোমুগ্ধকর। নোমান, প্রফেশর শঙ্কু, মাহমুদ ভাই ও মামুন ভাই ওনাদের ব্লগে যাইনি বা লেখা পড়িনি। খুঁজে দেখবো। তবে না পেলে আপনাকে জানাবো। ওনাদের ব্লগ আইডি কি যে নামগুলো বলেছেন সেটাই? অনেক ধন্যবাদ দারুন সব গল্পকারদের উল্লেখ করার জন্য।

অনেক শুভকামনা ও ধন্যবাদ। আপনার এই মন্তব্য আমাকে বহুদিন লেখার অনুপ্রেরোনা যোগাবে।

১১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৫১

সাহসী সন্তান বলেছেন: দুর্দান্ত একটা গল্প! শিরোনামে সত্য ঘটনার কথা উল্লেখ দেখে গতকালই বুঝেছিলাম গল্পের ফিনিশিংটা টাচি হবে। এবং হলোও ঠিক তাই! তবে এতটা হৃদয়স্পর্শী হবে ভাবি নাই! সকাল সকাল মনটা খারাপ হয়ে গেল... :(

প্রথম থেকেই গল্পটা পড়ার প্রতি ভীষন রকম আগ্রহ ছিল। দুই পর্বে শেষ করেছেন দেখে আরো বেশি ভাল হইছে। সব থেকে বড় কথা, আপনার চমৎকার বর্ননার গুণে গল্পটা পাঠকের কাছে সুপাঠ্য রূপে ধরা দিয়েছে!

গল্পে ভাল লাগা! শুভ কামনা জানবেন!

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:০৮

শিখা রহমান বলেছেন: সাহসী সন্তান মন্তব্যে ভালোলাগা। ফিনিশিংটা নিয়ে লেখার সময়ে আর ব্লগে পোষ্ট করার সময়েও একটূ টেনশনে ছিলাম। গল্পটা পাঠকের মন ছুঁয়ে না গেলে নীহার বানুর প্রতি অবিচার করা হবে বলে মনে হয়েছে। গল্পটা আপনাকে হৃদয় ছুঁয়ে গেছে শুনে মনে হলো লেখাটা সার্থক। আর কখনো কখনো মন খারাপ হওয়া ভালো। মন খারাপ কখনো না হলে মন মরে যায়।

আমার লেখা আপনার ভালো লেগেছে শুনে অনুপ্রাণিত হলাম। পাঠকের মন ছুঁয়ে যাওয়ার চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর নেই।

আপনাকেও শুভকামনা। ভাল থাকবেন। ব্লগের পথে দেখা হবে নিশ্চয়ই।

১২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৪

চেনা মুখ, অচেনা ছায়া বলেছেন: চমৎকার লেখনী। সাবলীল বর্ণনায় বেশ লাগলো পড়তে।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:১১

শিখা রহমান বলেছেন: চেনা মুখ, অচেনা ছায়া আমার লেখায় আপনার প্রথম মন্তব্য। :) ব্লগে স্বাগতম।

পড়ার জন্য ও সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আশাকরি মাঝে মাঝে পাঠক হিসেবে আপনাকে পাবো।

শুভকামনা ও ভালো থাকবেন।

১৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৩৬

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: চমৎকার গল্পটি পাঠে ভাল লাগল। তবে থমকে গিয়েছিলাম। লিখন শৈলী অসাধারণ।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:১২

শিখা রহমান বলেছেন: সুজন এমন গল্প লিখতে ভালো লাগে না। তার পরেও বাস্তবে এমন গল্প এতো বেশী ঘটছে যে লিখতেই হলো। গল্পটা গল্প হলেই ভালো হতো।

বরাবরের মতো সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। শুভকামনা।

১৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৩৮

মিথী_মারজান বলেছেন: আপুউ!! :(
কেন এটা শুধু গল্প হলো না!

কি যে সুন্দর করে লিখেছেন!
কিন্তু তারপরও কত যে খারাপ লাগছে নীহার বানুকে ভেবে। :(
বেগুনি জারুল রঙের শাড়িতে মোড়ানো নীহার বানুর চেহারাটার জায়গায় আমি দেখতে পাচ্ছিলাম মেনকা নামের আরেকটি সুন্দর মুখ।
২০১০ সালে ঢাকার মিরপুরে মেনকাকে খুন করা হয়েছিলো এমনই এক সাইকো প্রেমিকের একতরফা প্রেমের বলি হিসাবে।
মেনকা আমার ফ্রেন্ড ছিলো আপু।
কিছু কিছু ঘটনা শুধু গল্প হিসাবে হলেই ভালো হতো।
এগুলোর বাস্তবতা মেনে নেয়া খুব কঠিণ।
গল্পটা পড়ে খুব বেশি কষ্ট হচ্ছে।
আপনি যে কত সুন্দর লিখেন এই গল্পটি তার আরেকটি অন্যতম উদাহরণ।


০৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:৩০

শিখা রহমান বলেছেন: মিথীমনি আসলেই এটা গল্প হলেই ভালো ছিলো। সবচেয়ে কঠিন আর নিষ্ঠুর গল্পগুলো আসলে জীবনই লেখে।

গল্পটা সুন্দর করে লেখার চেষ্টা করেছি শুধুই নীহার বানু অথবা মেনকার জন্য। এই একটা গল্প লেখার সময়েই আমি সচেতনভাবে চেষ্টা করেছি পাঠককে নীহারের জায়গায় নিয়ে যেতে। মনে হচ্ছিলো না হলে নীহার বা মেনকারদের সাথে অবিচার হবে। তোমার বন্ধু মেনকার জন্য ভালোবাসা রইলো। ভেবে নিচ্ছি যে আকাশ বাড়িতে সে অনেক অনেক ভালো আছে।

ভালো থেকো মিথীমনি সুন্দর স্বপ্ন, সুন্দর মন নিয়ে। বিশ্বাস হারিয়ো না। সবকিছুর পরেও মনুষ্যত্ব আর সুন্দরেরি জয় হয়।

অনেক ভালোবাসা আর আদর রইলো।

১৫| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:১৪

করুণাধারা বলেছেন: মন খারাপ করে দেওয়ার গল্প! বলার ধরন অসাধারণ, চমৎকার আর যা যা সব ভালো বিশেষণ আছে!!

এত ছোট বেলায় পড়া ঘটনা মনে রাখলে কি করে!! গল্প পড়ে আমারও নিহার বানুকে মনে পড়ে গেল......

০৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:৩৪

শিখা রহমান বলেছেন: করুণাধারা আপনার কাছ থেকে মন্তব্য পেয়ে মন আলো হয়ে গেলো। ভালো আছেন আশাকরি।

শুধু নাম আর মুখটা মনে ছিলো, আর খুন হয়েছিলো সেটা। লেখার আগে ইন্টারনেট ঘেঁটে (যদিও তেমন তথ্য পাইনি, শুধু কয়েকটা পেপার ক্লিপিং ছাড়া) অন্যান্য নাম আর খুঁটিনাটি জেনে নিয়েছি।

পড়ার জন্য ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা ও ভালো থাকবেন।

১৬| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৭

শামছুল ইসলাম বলেছেন: নীহার বানু কথা মনে আছে । খুব ভালো লিখেছেন । অত্যন্ত উঁচু মানের লেখা ।

০৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:৩৬

শিখা রহমান বলেছেন: শামছুল ইসলাম আমার লেখায় আপনার প্রথম মন্তব্য। :) ব্লগে স্বাগতম।

সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম। আশাকরি মাঝে মাঝে পাঠক হিসেবে আপনাকে পাবো।

শুভকামনা ও ভালো থাকবেন।

১৭| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৮

তানজীর আহমেদ সিয়াম বলেছেন: সত্য টা চিরচেনা তাই গল্পের শেষ টা অচেনা মনে হয় নাই :(

০৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:৩৭

শিখা রহমান বলেছেন: সিয়াম "সত্যটা চিরচেনা তাই গল্পের শেষ টা অচেনা মনে হয় নাই।" এই সত্যটা এমন চেনা না হলেই ভালো হতো তাই না!!

পড়ার জন্য ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আশাকরি মাঝে মাঝে পাঠক হিসেবে আপনাকে পাবো।

শুভকামনা ও ভালো থাকবেন।

১৮| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: শিখা রহমান ,



প্রথম পর্ব পড়ে তো এমনটাই হবে বলে এসেছিলুম । তা-ই হয়েছে ।
কিন্তু এটা যে সেই সেন্সেসনাল " নীহার বানু" র গল্প তা মনে হয়নি । মনে পরে গেলো ।

একেবারে শেষ লাইনটি---" চোখ দু'টো মরে গেছে আর মানুষটাও ।" না থাকলেই একটা হাহাকার থেকে যেত মনে হয় ।
কিচ্ছু নেই ওই চোখে, না অবিশ্বাস, না ঘৃনা, না প্রতিরোধ । এই রেশটুকুর পরে আর কিছু চলেনা বোধহয় ----

সুন্দর ।

০৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:৪৩

শিখা রহমান বলেছেন: আহমেদ জী এস বরাবরের মতোই সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শেষের লাইনটা ভেবে দেখবো।

"প্রথম পর্ব পড়ে তো এমনটাই হবে বলে এসেছিলুম । তা-ই হয়েছে ।" আমাদের যে এমনটা মনে হয় সে ব্যাপারটাই দুঃখজনক। এমনতো মনে হয় না যে নীহার ফিরে আসতেই পারে!! এমনতো মনে হয় না যে নীহারের বন্ধুরা, কাছের মানুষেরাই তাকে সুযোগ পেলেই খুবলে খাবে না!! :(

সবসময় সুন্দর মন্তব্যে উৎসাহিত করার জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা ও ভালো থাকবেন।

১৯| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৪

আখেনাটেন বলেছেন: অসাধারণভাবে সত্য এই গল্পটি বর্ণনা করেছেন। ১০ এ ১০।

আর এই রকম ঘটনা এখনও ঘটে চলেছে। বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে। তনু হত্যার কথাই চিন্তা করুণ। কী নির্মম!! অথচ কোনো সুরাহা নেই।

আপনার গল্প লেখার হাত নিপুণ।

০৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:৪৬

শিখা রহমান বলেছেন: আখেনাটেন " এই রকম ঘটনা এখনও ঘটে চলেছে।" সে জন্যেই কিন্তু গল্পটা লেখা। প্রায় চার দশকে কিছুই বদলায়নি।সামনে না এগিয়ে আমরা পিছনে পথ হেঁটেছি। :(

সুন্দর মন্তব্যে উৎসাহিত করার জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা ও ভালো থাকবেন ফারাও।

২০| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:০৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কত গল্প, কত সত্য আমাদের আড়ালেই রয়ে যায়!

অসাধারন ফিনিশিং। একেবারে শেষ পর্যন্ত টানটান উত্তেজনায় ধরে রেখেছেন পাঠককে !

ভাল লাগা বাড়ছেই :)

+++

০৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:৪৯

শিখা রহমান বলেছেন: বিদ্রোহী বড় গল্পে পাঠক ধরে রাখা একটা চ্যালেঞ্জ। আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম।

পাশে থাকার জন্য ও সুন্দর মন্তব্যে উৎসাহিত করার জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা । ভালো থাকবেন প্রিয় কবি।

২১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৪৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: কাল কিছুটা আন্দাজ করেছি,আর বিস্তারিত পড়লাম বাকি গল্পে ;
তোমার ফুটনোট ধরে সার্চদিয়ে নীহারবানু'র একটা ছবি পেলাম :(
সারাদিন থেকে সেই চোখ আমাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে।

০৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:৫৭

শিখা রহমান বলেছেন: নীরা নীহার বানুর মুখটা আমার হালকা মনে ছিলো। তারপরেও লেখার আগে ইন্টারনেট থেকে তথ্য সংগ্রহের সময়ে ছবিটা আবারো দেখেছিলাম। সেই শান্ত সমাহিত সুন্দর চোখ!! এমন চোখের দিকে তাকিয়েও যাদের খুন করতে ইচ্ছে হয়, তারা মানুষ নয়।

মন খারাপ করে দিয়েছি জানি। কখনো কখনো মন খারাপ করতেই হয়, বাস্তবতা যে এমনটাই!!

ভালো থেকো আর ভালোবেসো। শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো কবিতার মেয়ে।

২২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:১৫

জাহিদ অনিক বলেছেন: নীহার বানু হত্যাকাণ্ড একটা সত্য ঘটনা হলেও এটা আগে কিছুই জানতাম না। অবশ্য জানার কথাও না আমার।
আপনার পর্ব দুইটা পড়লাম। তারপর নেটে টুকটাক সার্চ করে ঘটনাটাও জানলাম।

আপনার লেখা নতুন করে আর বলার কিছু নেই। সব সময়েই মনোযোগ ধরে রাখে। শুভেচ্ছা।
নীহার বানুর জন্য খারাপই লাগছে। নীহার নামটা বেশ সুন্দর।

০৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:০২

শিখা রহমান বলেছেন: জাহিদ আমার লেখাটার জন্যে আপনি নীহার বানুর বিষয়ে জানতে পেরেছেন ভেবে ভালো লাগলো। নির্মমভাবে হারিয়ে যাওয়া মানুষগুলোকে কখনো কেউ মনে রেখেছে বা মনে করেছে বলেই তারা কোথাও না কোথাও বেঁচে থাকেন।

পাশে থাকার জন্য ও সুন্দর মন্তব্যে উৎসাহিত করার জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা। ভালো থাকবেন প্রিয় কবি।

২৩| ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:১৩

সামিয়া বলেছেন: আগেই লাইক দিয়ে বুকমার্ক করে রেখেছিলাম, পড়া হয়নি তাই মতামত জানাতে পারিনি তখন, এখন পুরাটা পড়লাম , প্রথম পর্ব ও পড়েছি শেষের অংশ পড়ে কিউরিয়াস হয়ে মেয়েটির নাম লিকে সার্চ দিতেই খবরটা পেয়ে গেলাম। সুন্দরী নীহার বানুকে পুঁতে রেখেছিল ওরা

আসলেই আমার দেখা পৃথিবীর সেরা নিষ্পাপ চোখের অধিকারিণী ছিলেন সে, তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
তোমার অসাধারণ লেখায় গল্প আকারে স্পষ্ট ভাবে ফুটিয়ে তুলেছ সেই সময়ের দৃশ্যপট।
দুর্দান্ত।

+++++++

১২ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:২০

শিখা রহমান বলেছেন: ইতিমিতি মনি তুমি যে পড়ার আগেই লাইক দিয়ে বুকমার্ক করে রাখো সেটা শুনেই আমি অভিভূত। ব্লগে এসে যে গুটিকয়েক মানুষের ভালোবাসা পেয়ে আমি আপ্লুত তার মধ্যে তুমি একজন।

লেখাটা পড়ে যে তুমি খুঁজে খুঁজে নীহারের বিষোয়ে পড়েছো সেটা জেনেও ভালো লাগলো। নির্মমভাবে হারিয়ে যাওয়া মানুষগুলোকে কখনো কেউ মনে রেখেছে বা মনে করেছে বলেই তারা কোথাও না কোথাও বেঁচে থাকেন।

উত্তর দিতে দেরী হলেও তুমি আমার ব্যস্ততার কারণটা জানো বলে আশা করছি বুঝে নেবে।

ভালো থেকো মিষ্টি আর একটু পাগলী মেয়েটা। অনেক আদর আর ভালোবাসা আমার ইতিমিতি মনি।

২৪| ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৪০

সুমন কর বলেছেন: হুম, কমন প্লট। কিন্তু আপনার কল্পনা, সত্য ঘটনা আর বর্ণনা মিলিয়ে চমৎকার অনুভূত হলো।
+।

১২ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:২৪

শিখা রহমান বলেছেন: সুমন কমন প্লট শুধু গল্পে হলেই ভালো হতো। বাস্তবেও প্লটটা খুব কমন বলেই সমস্যা আর উদ্বেগ।

ঘটনাটা নৃশংস আর নির্মম হলেও গল্পটা পড়তে ভালো লেগেছে জেনে অনুপ্রাণিত হলাম।

ভালো থাকবেন। শুভকামনা।

২৫| ০৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ২:৪৪

নিওফাইট নিটোল বলেছেন: দারুণ-ঝরঝরে-সাসপিশাস..........আসলেই বহুদিন পর এত মনযোগ দিয়ে দু' পর্বের লম্বা গল্প পড়লাম......ভিতর থেকে অনুভব করেই যে প্রতিটা বাঁক তুলে ধরেছেন, মুহূর্তের বর্ণনাগুলোতেই সেটা প্রকাশ পাচ্ছিল.......অনেক অনেক কাল আগে- যখন ডাইনোসররা ঘুরে বেড়াত দুনিয়ায়, তখন অনেক গল্প পড়তাম.......আপনার দারুন সুন্দর গল্পগুলো নিয়মিতই পড়তে হবে দেখছি :D

কিচ্ছু নেই ওই চোখে, না অবিশ্বাস, না ঘৃণা, না প্রতিরোধ
গল্প পড়া শুরু করার বয়স থেকেই এমন তীক্ষ্ণ অনুভূতিগুলো উপলব্ধি করার চেষ্টা করতাম- রপ্তও হয়েছিল.....তাতে করে সুখ-দু:খের অনেক কাহিনি পড়তে পড়তে একেবারে মিশে যেতাম- নিজেকে কতবার যে গল্পের ভিতরেই দাঁড় করাতে পেরেছিলাম হিসেব নেই......আগে অনেক সহজেই পারতাম এমন অসহায় অনুভূতিকে ধারণ করতে- এখন উপলব্ধিতে মরিচা ধরে গেছে, সহজে ধারণও করতে পারি না আবার ইচ্ছাও হয় না!!

আমরা নীহারদের মরা চোখ দেখতে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি
চরম তিতকুটে সত্যি!! ছোটবেলায় (যখন ধর্ষণ কী সেটাও বুঝতাম না- খালি 'মেরে ফেলা' বুঝতাম) প্রথম নির্যাতনের যেই ঘটনাটা মনে দাগ কেটেছিল সেটা ছিল তারানা হালিমের নির্দেশনায় বিদেশী সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত কিছু কাহিনির একটা সিরিজ- ৫-৬ পর্বের সিরিজটা বিটিভিতে বেশ চলেছিল........তারপর খারাপ লেগেছিল 'শাজনীন তাসনিম রহমান'-র হ্ত্যাকান্ডটা........এরপর........অসীম কাহিনি পড়েছি- হরর গল্পের মতো /:)

ব্রাজিল হেরে গেছে কিছুক্ষণ আগে- দিলটায় অনেক খুশি এখন.......খুশিমাখা শুভেচ্ছা পোষ্টে :)

১২ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৩২

শিখা রহমান বলেছেন: নিটোল খুব সুন্দর আর সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য মুগ্ধতা আর ভালোলাগা জানবেন। "অনেক অনেক কাল আগে- যখন ডাইনোসররা ঘুরে বেড়াত দুনিয়ায়, তখন অনেক গল্প পড়তাম.......আপনার দারুন সুন্দর গল্পগুলো নিয়মিতই পড়তে হবে দেখছি।" আপনার মন্তব্যের এই কথাগুলোতে অনুপ্রাণিত হলাম।

"ছোটবেলায় (যখন ধর্ষণ কী সেটাও বুঝতাম না- খালি 'মেরে ফেলা' বুঝতাম)..." একদম ঠিক বলেছেন। "ধর্ষণ" শব্দটাএতো কম শুনতাম যে ব্যাপারটা কৈশোর পেরিয়ে এসে পুরোপুরি বুঝেছি। গল্পটা লিখেছিলাম একধরনের দায়বদ্ধতা, হয়তোবা কিছুটা অপরাধবোধ আর পুরো ব্যাপারটার ভয়ঙ্কর দিকটা তুলে ধরার জন্য। নিরাপদ সমাজ আর পরিবেশ নিশ্চিত না করতে পারার জন্য কিছুটা দায়তো নিতেই হয়।

আশা করছি আপনাকে মাঝে মাঝে ব্লগে পাবো। ভালো থাকবেন। শুভকামনা।

২৬| ০৭ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:১৬

উম্মে সায়মা বলেছেন: দু'পর্বই আজ একসাথে পড়লাম শিখা আপু। প্রথম দিকের বর্ণনা গুলো এত ভালো লাগছিল! এত মায়াবতী একটা মেয়ে! ওকে মেরে ফেলার পর্বটা পড়ার সময় দম বন্ধ হয়ে আসছিল :| আসলেই এটা কেন শুধু একটা গল্প হল না! কেন বাস্তবে এমন হয়! এমন নিষ্ঠুরতার ইদানিংকার যে ছবিটা চোখে ভাসে সেটা হল রাজশাহী ইউনিভার্সিটির ছেলেটাকে হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর এক্সরে টা। মানুষ এত ক্রুয়েল হয় কিভাবে! একজন মানুষ আরেকজন মানুষের সাথে কি করে এতটা নিষ্ঠুরতা করতে পারে এটা ভাবতেই অবাক লাগে আমার।
খুব সুন্দর করে গল্পের আবেগটা ফুটিয়ে তুলেছেন আপু। ধন্যবাদ।

১২ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৩৯

শিখা রহমান বলেছেন: উম্মে সায়মা উত্তর দিতে দেরী হয়ে গেলো বলে দুঃখিত। একটু ব্যস্ত সময় যাচ্ছে।

হৃদয়ছোঁয়া মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। "আসলেই এটা কেন শুধু একটা গল্প হল না! কেন বাস্তবে এমন হয়!" কেন যে?? আর বাস্তবতা এমন বলেই গল্পটা লিখতে হলো। :( যতো সময় গড়াচ্ছে নিষ্ঠুরতা বাড়ছে। নৃশংস ব্যাপারগুলো খুব সাধারন, খুব আটপৌরে হয়ে যাচ্ছে। মন আর বিবেক মরে যাওয়ার মতো উদ্বেগজনক আর দুঃখজনক আর কিছুই নেই।

সবসময় সুন্দর মন্তব্যে উৎসাহিত করার জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা ও ভালো থাকবেন।

২৭| ১৪ ই জুলাই, ২০১৮ ভোর ৫:৩০

মলাসইলমুইনা বলেছেন: প্রিয় শিখা রহমান,
আচ্ছা বলেনতো কেমন করে আপনি এমন মায়াবী করে গল্প বলতে পারেন ? সেই কতো দিন আগে আম্মার কাছে শুনে যেমন খারাপ লেগেছিলো নিহার বানুর হত্যাকাণ্ডের নিউজটা আপনার লেখাটা পড়ে সেই খারাপ লাগাটা যেন হারানো দিন থেকে আমার এই ড্রইং রুমে এসে আজ উপস্থিত ! আম্মা নেই, কিন্তু সেই একই রকম জমাট গল্প গাঁথার আপনি আছেন বলেই সেই সেদিনের খ্যাপার লাগাগুলোও মনে হয় উপস্থিত হলো একই ভাবনা, খারাপ লাগা সঙ্গী করে I খুব বেশি কারো লেখা পড়ে কিন্তু ভালো লাগা বা খারাপ লাগার সাথে করে অনেক পেছনে ফেলে আসা দিনগুলোর কথা এমন করে ভেসে ওঠেনা মনে I আপনার লেখার জাদু, হারানো দিনগুলিকেও মনে করিয়ে দেয় বারবার লেখার রেখা চিত্রে i ধন্যবাদ নেবেন জাদুকরী লেখার জন্য I

১৪ ই জুলাই, ২০১৮ ভোর ৫:৫৬

শিখা রহমান বলেছেন: মলাসইলমুইনা আপনার মতো আমার লেখায় আন্দোলিত আর কেউ হয় বলে মনে হয় না। আর হলেও আপনার মতো এমন মায়াময় কথামালায় তা প্রকাশ করতে পারে না হয়তোবা।

খুব মনখারাপ করা গল্প। এমন গল্প লিখতে ভালো লাগে না। তারপরেও মনে হয়েছে লিখলেই হবে, মাথা থেকে সরাতে পারছিলাম না। দিনের পর দিন গল্পটা মাথায় নিয়ে বেড়িয়েছি। লিখতে বসতে ভয় করতো জানেন। খুব কষ্ট হয়েছে লেখার সময়ে, খুব খুব। কেঁদেছি লেখার সময়ে, লেখা শেষ করে। কেন যেন মনে হলো আপনাকে যায় এই কষ্টের কথা, মনে হলো আপনি লেখাটা পড়ে আমার মতোই কষ্টে নীল হয়েছেন।

"খুব বেশি কারো লেখা পড়ে কিন্তু ভালো লাগা বা খারাপ লাগার সাথে করে অনেক পেছনে ফেলে আসা দিনগুলোর কথা এমন করে ভেসে ওঠেনা মনে I আপনার লেখার জাদু, হারানো দিনগুলিকেও মনে করিয়ে দেয় বারবার লেখার রেখা চিত্রে i" আপনার এক কথাগুলো আপনার আরো অনেক যাদুকরী মন্তব্যের মতোই সারাজীবন মনে থাকবে।

ভালো থাকবেন অনেক অনেক। শুভকামনা সতত।

২৮| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৫১

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: কষ্টদাহ ।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৭

শিখা রহমান বলেছেন: পড়ার জন্য ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আশাকরি মাঝে মাঝে পাঠক হিসেবে আপনাকে পাবো।

শুভকামনা ও ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.